অসহায় বাবা-মায়ের জন্য আট টাকার শাড়ি লুঙ্গীর
হাট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কুড়িগ্রামে শতাধিক দুঃস্থ অসহায় বাবা মায়ের জন্য
ভ্রাম্যমান শাড়ি লুঙ্গীর হাটের আয়োজন করে স্থানীয় সামাজিক সংগঠন ফাইট আনটিল লাইট
(ফুল)নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ভ্রাম্যমান এ হাটে আট টাকা দরে একটি শাড়ি,
একটি লুঙ্গি এবং দু' টাকায় একটি ব্লাউজের পিস বিক্রি করা হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) কুড়িগ্রাম সদর
উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের কুমোরপুর দাখিল উলুম মাদ্রাসা মাঠে নাম মাত্র মূল্যে
এসব শাড়ি,লুঙ্গী বিক্রি করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ভোগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের
চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান,সিনিয়র গণ মাধ্যমকর্মী শফি খান, স্থানীয় ইউপি সদস্য
হামিদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য সহকারি আতাউর রহমান ও স্বাস্থ্যকর্মী লেলিনসহ অনেকে।
আট টাকায় শাড়ি পেয়ে বৃদ্ধ আমেনা বেওয়া বলেন, বর্তমানে
বাজারে একটা শাড়ির দাম নিম্নে ৩০০ টাকা। সেই শাড়ি আট টাকায় পেয়ে খুব উপকার হলো।
লুঙ্গী পেয়ে হামিদ মিয়া বলেন, হামার ৬৫ বছর বয়সে
কোন দিন দেহি নাই আট টাহায় এহান(একটা) লুঙ্গি পাওয়া যায়। আইজ সেই আট টাহায় লুঙ্গি
কিনলং। খুব খুশি নাগছে।
ভোগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব
সাইদুর রহমান বলেন, ফুল দীর্ঘদিন ধরে জেলায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অসহায় বাবা মা কে
নিয়ে কাজ করে আসছে। ফুলের আজকের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
ফাইট আনটিল লাইট ফুল এর নির্বাহী পরিচালক আব্দুল
কাদের বলেন, কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সামাজিক সংগঠন ফুল শহর গ্রাম ও
প্রত্যান্ত চরাঞ্চলের মানুষ মাঝে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়নে এক
যুগের বেশি সময় ধরে কাজ করে আসছে। আমরা ত্রানে নয় বিনিময়ে উপহার দিয়ে মানুষের
মানসিকতার পরিবর্তন আনতে চাই।তাই অসহায় বাবা মায়ের কাছে মাত্র ৮ টাকার
বিনিময়ে শাড়ি লুঙ্গি বিক্রি করার ব্যবস্থা করছি।
মন্তব্য করুন
সুশৃঙ্খল সুরক্ষিত মহাসড়ক - এ লক্ষ্যকে নিয়ে দিনরাত কাজ করে যায় হাইওয়ে পুলিশ কারণ মূল উদ্দেশ্য থাকে একটাই দিনশেষে সুরক্ষার সাথে বাড়ি ফেরার নিশ্চয়তা সুনিশ্চিতকরণ ।
শনিবার (২০ এপ্রিল ২০২৪) সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলমের নেতৃত্বে কুমিল্লায় হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক কুমিল্লা রিজিয়নের ২২টি হাইওয়ে থানা পুলিশের বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট ডিউটি, অভিযান পরিচালনা এবং স্পিড গান বা স্পিড ডিটেক্টর ব্যবহার সহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় ।
হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজির নেতৃত্বে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সংশ্লিষ্ট সার্কেল সহ সকল থানার অফিসার ইনচার্জ, সাব-ইন্সপেক্টর, সার্জেন্ট সহ সকল পদমর্যাদার অফিসার ও ফোর্স মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বডি ওয়ার্ন ক্যামেরায় সজ্জিত হয়ে সারাক্ষণ লাইভ স্ট্রিমিংয়ে থেকে চেকপোস্ট ডিউটি, অভিযান পরিচালনা ও স্পিড গান ব্যবহার করাসহ আজ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ লঙ্ঘন কারী গাড়ির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় গাড়ি আটক ও গ্রেফতার করা হয়।
আজকের এই বিশেষ অভিযানের সময় কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নে ফিটনেস বিহীন বাস, ফিটনেস বিহীন পণ্যবাহী ট্রাক সহ সকল ফিটনেস বিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
শুধু তাই নয়, পণ্যবাহী গাড়িতে যাত্রী পরিবহন করার অপরাধেও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
পাশাপাশি মহাসড়কে অবৈধভাবে এবং ঝুঁকিপূর্ণভাবে থ্রি হুইলার চালানোর অপরাধে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৪৩টি থ্রি হুইলার আটক, ফিটনেস বিহীন ১টি পিকআপ আটক, দুর্ঘটনায় জড়িত ১টি সাউদিয়া বাস আটক ও গাড়ি ১ ড্রাইভারকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ছাড়াও সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ লঙ্ঘনের অপরাধে বিভিন্ন ধারায় মোট ১৭৩টি প্রসিকিউশন দেওয়া হয় এবং একই সাথে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৬৬ ধারায় ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত মোটরযান ও গণপরিবহন চালানোর অপরাধে ২৮টি, ৭৫ ধারায় ফিটনেস সনদ ব্যতীত বা মেয়াদ উত্তীর্ণ ফিটনেস সনদ ব্যবহার করে মোটরযান চালানোর অপরাধে ০৬টি, ৮৭ ধারায় নির্ধারিত গতিসীমার অতিরিক্ত গতিতে মোটরযান চালানো বা স্পীড ডিটেক্টরের সাহায্যে মোটরযানের গতি চিহ্নিত অপরাধে ৫৯টি, ৮৯(১) ধারায় কালো ধোঁয়া নির্গমনকারী মোটরযান নিষিদ্ধ হর্ণ স্থাপন/ব্যবহার ইত্যাদির অপরাধে ০৭টি, ৮৯(২) ধারায় ঝুঁকিপূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষিত মহাসড়কের চলাচলের অনুপোযোগী যান চালনা ইত্যাদির অপরাধে ৫১টি, ৯২(১) ধারায় মোটরযান চলাচলের সাধারণ নির্দেশাবলী সংক্রান্ত (১ম অংশ) অপরাধে ২০টি এবং ৯২(২) ধারায় (২য় অংশ) অপরাধে ০২টি সহ কুমিল্লা রিজিয়ন কর্তৃক বিভিন্ন অপরাধে সর্বমোট ১৭৩টি প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়।
হাইওয়ে পুলিশ প্রধান এবং বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মো: শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম (বার) মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কুমিল্লা রিজিয়ন জোরদার ভাবে স্পিড গান বা স্পিড ডিটেক্টর ব্যবহার করা হচ্ছে ।
জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে হাইওয়ে পুলিশের বডি ওয়ার্ণ ক্যামেরার মাধ্যমে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে অভিযান সংক্রান্ত এ কার্যক্রম কুমিল্লা রিজিয়নে অব্যাহত থাকবে।
ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কে ৮০ কি:মি গতিসীমার মধ্যেই যানবাহন সমূহ চালানোর নির্দেশনা সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি সদা সর্বদা থাকবে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ এর । এসময় কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলম উল্টোদিকে গাড়ি চালানো এবং মহাসড়কে থ্রি হুইলার ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল অফিসার ইনচার্জদের নির্দেশ প্রদান করেন।
পাশাপাশি তিনি পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নের্তৃত্ব এবং সংশ্লিষ্ট সকল গাড়ির ড্রাইভারদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি পরিহার এবং ফিটনেস সার্টিফিকেট থাকা গাড়ি গুলোকেই গতিসীমা মেনে গাড়ি চালানোর জন্য অনুরোধ করেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলায় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিবন্ধন না থাকায় প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলা সদর এলাকায় মুরাদনগর মেডিনোভা ডায়াগনস্টিক সার্ভিসেস নামে প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাসরিন সুলতানা নিপা অভিযানের নেতৃত্ব দেন।
এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. জয়ন্ত, মুরাদনগর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শাহাদাত হোসেন ও মুরাদনগর থানা পুলিশের একটি টিম।
এ নিয়ে জানা গেছে, মেডিনোভা ডায়াগনস্টিক সার্ভিসেস নামের প্রতিষ্ঠানটি নিবন্ধন (লাইসেন্স) বিহীন। এখানে চিকিৎসা সেবা ও রোগ নির্ণয়ের মতো বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার মতো কোনো পরিবেশ নেই। বিভিন্ন রোগের পরীক্ষার নামে নেওয়া হতো অতিরিক্ত টাকা। কেবল তাই নয়, দক্ষ টেকনিশিয়ানও নেই প্রতিষ্ঠানটিতে।এছাড়া ব্যবহার করা হতো মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট।
সোমবার বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালতের টিম ওই ডায়গনস্টিক সেন্টারে অভিযানে গিয়ে ওইসব অনিয়ম দেখতে পায়। নিবন্ধন না নিয়ে অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করা হচ্ছিল। পরে প্রতিষ্ঠানটিকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও গেলে করে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাসরিন সুলতানা নিপা বলেন, উপজেলায় লাইসেন্স বিহীন প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে শেখ কামাল অনূর্ধ্ব-১৮ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ফাইনালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কুমিল্লা জেলা দল।
১ ডিসেম্বর শুক্রবার কুমিল্লা স্টেডিয়ামে এ ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয় কুমিল্লাা জেলা দল ও ফেনী জেলা দলের মধ্যে।
উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে ফেনী জেলা দলকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৮ ক্রিকেটে বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় উচ্ছাসিত ও আনন্দিত কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়বৃন্দ। এর অগে গত মঙ্গলাবার প্রথম সেমি ফাইনালে চট্টগ্রাম জেলা দলকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে কুমিল্লা জেলা দল।
শুক্রবার ফাইনালে ফেনী জেলা দল টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। ৪২ ওভার ৩ বল খেলে ৯২ রানে অলআউট হয় ফেনী জেলা দল। কুমিল্লা জেলার পক্ষে মুশফিকুর ৯ ওভার বল করে ১৬ রান দিয়ে ৫টি উইকেট নেয়। ৯৩ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ১৯ ওভার ৪ বল খেলে ৫ উইকেটে জয় পায় কুমিল্লা জেলা দল। ম্যান অফ দ্যা ফাইনাল হয় কুমিল্লা জেলা দলের মুশফিকুর।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় ও কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে শেখ কামাল অনূর্ধ্ব-১৮ জোনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৩-২৪ এর কুমিল্লা ভেন্যুর খেলা গত ১৫ নভেম্বর কুমিল্লা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে উদ্বোধন হয়।
খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা জেলা দল ও রানার্সআপ ফেনী জেলা দলের খেলোয়াড়দের হাতে ট্রফি তুলে দেন এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রোমেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারন সম্পাদক খায়রুল আলম সোহাগ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সিলেক্টর শামিম ফারুকী, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কোচ ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স, ফেনী জেলা দলের কোচ রিয়াজ উদ্দিন রবিন, কুমিল্লা জেলা দলের কোচ হাবিব মোবাল্লেগ জেমস, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য দেলোয়ার হোসেন জাকির। ফাইনাল ম্যাচে আম্পায়ার ছিলেন, কাজী শামিম ও আল আমিন ভূইয়া।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া :
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল চাঁদপুরের কচুয়ার দুই মেধাবী শিক্ষার্থীর।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ঢাকা- চট্রগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া পাখির ব্রীজের উপর উঠার সময় মালবাহী লরীর চাপায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন- কচুয়া উপজেলার পালগিরি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে তানভীর আহমেদ রনি (২৬) এবং দুলাল মিয়ার ছেলে জাহিদ হাসান জিপু (২৫)। তারা দুইজনই ঢাকা কলেজের মেধাবী ছাত্র এবং খালাতো ভাই ।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কচুয়া উপজেলার গোহট উত্তর ইউনিয়নের পালগিরি গ্রামের দুই খালাতো ভাই তানভীর হোসেন রনি ও জাহিদ হাসান জিপু মোটর সাইকেল যোগে ঢাকা থেকে কচুয়া আসার সময় পথিমধ্যে মহাসড়কের গজারিয়া এলাকার পাখির মোড় ব্রীজের উপর উঠার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি লরী মোটর সাইকেলটিকে চাপা দেয়। লরীটি রনির পেটের উপর দিয়ে এবং জিপুর পায়ের উপর দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই রনি মারা যায়। অচেতন অবস্থায় অন্য মোটর বাইক চালকগন তাদেরকে পিকআপে করে গৌরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার সময় পথিমধ্যে জিপুও মারার যায়। দুজনের জানাজা শেষে শুক্রবার কচুয়ার পালগিরি গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাদের লাশ দাফন করা হয়।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল:
কুমিল্লার ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি (যুদ্ধসমাধি)
থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ২৪ জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
তাদের দেহাবশেষ জাপানে নেওয়া হবে। এরই মধ্যে জাপানের পক্ষ থেকে ৭ সদস্যদের একটি ফরেনসিক
বিশেষজ্ঞ দল ওই ২৪ জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছেন। যেটি
শেষ হবে আগামী ২৪ নভেম্বর।
কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের পশ্চিম
পাশে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় অবস্থিত ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান
হিসেবে পরিচিত। সেখানে রোববার বিকেল পর্যন্ত খনন করা হয়েছে ১০টি সমাধি। জাপানের বিশেষজ্ঞ
ফরেনসিক টিমকে সহায়তা করছেন বাংলাদেশ সরকার। পুলিশি নিরাপত্তায় খনন কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে
নিহত বিশ্বের ১৩টি দেশের ৭৩৭জন বীর সৈনিককে ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রিতে সমাহিত করা হয়েছিল।
এর মধ্যে ১৯৬২ সালে একজন সৈনিকের দেহাবশেষসহ সমাধির মাটি তার স্বজনরা যুক্তরাষ্ট্রে
নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে ২৪ জন জাপানি সৈনিকের মরদেহ রয়েছে। গত বুধবার থেকে খনন কাজ
শুরু হয়।
সমাধিস্থলের মাটি খুঁড়তেই মিলছে দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধে নিহত জাপানি সৈনিকদের মাথার খুলিসহ শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড়। সেগুলো অত্যন্ত
যত্নসহকারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশন এই যুদ্ধ সমাধি ক্ষেত্র
তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে আসছে।
সমাধিস্থলের খননকাজে জাপানের প্রতিনিধিদের
সহায়তা করছেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.)
কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীর প্রতীক)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কবর (সমাধি) শনাক্তকরণ, দেহাবশেষ
সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছেন। বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের দেহাবশেষ সরিয়ে আনার কাজটিও করেছেন
তিনি। জাপানের প্রতিনিধিদলের পক্ষে পুরো কর্মযজ্ঞের বর্ণনা দিয়েছেন তিনি।
কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বলেন, ‘জাপান
সরকার ২০১৩ সালে আমাকে তাদের দূতাবাসে ডেকেছিল এই ২৪ জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ সরিয়ে
নেওয়ার বিষয়ে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে ওই সময়ে সেটি সম্ভব হয়নি। গত বছর থেকে তারা বিষয়টি
নিয়ে আবারও যোগাযোগ করে। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে জাপান সরকার আমাদের সরকারের কাছে চিঠি
লেখে এবং কমনওয়েলথের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এই কাজ শুরু করেছে। এখানে জাপানের পক্ষ থেকে
সাতজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ কাজ করছেন, যারা এ কাজে অত্যন্ত দক্ষ। তাদের ছয়জন জাপানি ও
একজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। এই সমাধিগুলো ৮১ বছরের পুরোনো। এরই মধ্যে খনন করে আমরা
১০ জনের দেহাবশেষ সমাধি থেকে উত্তোলন করতে পেরেছি।’
দেহাবশেষে কী কী পাওয়া যাচ্ছে, জানতে
চাইলে এই বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘৮১ বছর পর খুব বেশি কিছু পাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা
প্রতিটি সমাধির দুই ফুটের মতো খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর) দিয়ে খুঁড়ছি। বাকিটা ম্যানুয়ালি
অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে খনন করা হচ্ছে। কোনোটিতে তিন ফুট, আবার কোনোটিতে ছয় ফুট খননের
পর দেহাবশেষ পাওয়া যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত যেগুলো খনন করা হয়েছে, সেসব সমাধিতে মাথার খুলি,
শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড় পাওয়া যাচ্ছে। তবে যা-ই পাচ্ছি, সবকিছুই জাপানের বিশেষজ্ঞ
দল যত্নসহকারে সংরক্ষণ করছে।’
তিনি বলেন, আমরা এক তরুণ সৈনিকের দেহাবশেষ
তুলতে গিয়ে মাথার খুলির মধ্যে বুলেটের চিহ্ন পেয়েছি। রেকর্ড অনুযায়ী ওই সৈনিকের বয়স
২৮ বছর ছিল। আমার তখন বুকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করেছে। এত তরুণ বয়সে পৃথিবী থেকে চলে গেছে
সে। এখানে জাপানের সৈনিকদের ২৪ সমাধির মধ্যে ২০টির নাম-পরিচয় আছে। বাকি চারটির পরিচয়
শনাক্ত করা এখনো সম্ভব হয়নি। নিশ্চয়ই তারা (জাপানের প্রতিনিধিদল) দেহাবশেষ নিয়ে গেলে
ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করা হবে।’
কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশনের পক্ষে
দায়িত্ব পালন করা কান্ট্রি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর আবদুর রহিম সবুজ বলেন, গত বুধবার সকাল
থেকে জাপানের প্রতিনিধি দল কার্যক্রম শুরু করে। এখানে সমাহিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের
সময় নিহত বিশ্বের ১৩টি দেশের।
মন্তব্য করুন
আসন্ন
ঈদ-উল আযহা উপলক্ষ্যে পশুর হাটের ইজারাদারদের সাথে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক ও ট্রাফিক
ব্যবস্থাপনা নিয়ে জেলা পুলিশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ (১০ জুন) দুপুরে কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে কনফারেন্স রুমে উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম (বার)।
উক্ত
মতবিনিময় সভায় কুমিল্লা জেলার ১৮টি থানার পশুর হাটের ইজারাদারগণ উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত আলোচনা সভায় পশু হাটের ইজারাদারগণ তাদের বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধা ও পর্যবেক্ষণ
তুলে ধরে মতামত ব্যক্ত করেন।
পরবর্তীতে
পুলিশ সুপার পশুর হাট সংক্রান্তে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি ও হয়রানি রোধ, জালটাকা সনাক্তের
জন্য মেশিন স্থাপন ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়সহ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্তে
গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, কুমিল্লা জেলার ১৮টি থানা এলাকায় এই বছর স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে সর্বমোট ৪০৯টি পশুর হাট বসবে।
উক্ত
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) খন্দকার
আশফাকুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ট্রাফিক
(অতিরিক্ত দায়িত্বে ডিবি) মোঃ নাজমুল হাসান, অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার (ডিএসবি) কাজী মোঃ মতিউল ইসলাম, অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ কামরান হোসেন, অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার (মুরাদনগর সার্কেল) মোঃ রবিউল ইসলামসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন
কর্মকর্তাগণ।
মন্তব্য করুন
সরকারি গাছের ডাল কাটার অভিযোগে দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এক ভ্যানচালককে ৭ দিন কারাদণ্ড দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: তাজ উদ্দিন। এ সময় একটি ভ্যানে থাকা করলা জব্দ করে স্থানীয় এতিমখানায় ও হাফেজিয়া মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার খানসামা থেকে টংগুয়া সড়কের তেল পাম্প এলাকা থেকে ওই ভ্যানচালককে আটক করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত ভ্যানচালক রফিকুল ইসলাম (৩৫) খানসামা উপজেলার চার নম্বর খামারপাড়া ইউনিয়নের ডাঙাপাড়া গ্রামের ইয়াকুব হাজী পাড়ার ইনসান আলীর ছেলে।
জানা যায়, খানসামা উপজেলা উৎপাদিত করলা, বেগুন ও শসাসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে ট্রাক ও পিক-আপ যোগে আড়তে পাঠানো হয়।
এই শাকসবজি প্রেরণের সময় প্যাকিংয়ের সময় বিভিন্ন গাছের পাতা ব্যবহার করেন ব্যবসায়ীরা।
উপজেলা বন কর্মকর্তা মঞ্জুরুল কাদের জানান, উপজেলার বিভিন্ন সড়কে দীর্ঘদিন ধরে মেহগনি, আকাশমণি গাছের ডাল কেটে আসছিলেন অজ্ঞাত কিছু লোক।
এটি বন্ধ করতে বন বিভাগ সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করছে কিন্তু এই নির্দেশনা অমান্য করেছিল অনেকে। নিয়মিত তদারকির অংশ হিসেবে আজকে অভিযান পরিচালনা করে ভ্যানচালকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: তাজ উদ্দিন বলেন, গাছ আমাদের চারপাশের পরিবেশ রক্ষা করে থাকে। বনবিভাগের গাছের ক্ষতি করা বা ডাল-পালা কাটা সরকারি সম্পদ নষ্ট করার সামিল। এ অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় এক ব্যক্তিকে ৭ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার বিশেষ অভিযানে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন নামা শ্রীপুর দক্ষিণ রামপুর এলাকা হতে ২৫,০০০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট সহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গত বুধবার (৮ নভেম্বর) রাতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন নামা শ্রীপুর দক্ষিণ রামপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ২৫,০০০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদ্বয় হলোঃ ১। কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার দক্ষিণ বাগালপুর গ্রামের মৃত আবু তাহের এর ছেলে মোঃ নুর ইসলাম (৪২) এবং ২। একই থানার টংগীর পাড় গ্রামের মৃত ছফি আলী এর ছেলে মোঃ ফারুক হোসেন (২৬)।
র্যাব জানান,তারা দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সরবরাহ করে আসছিল বলে স্বীকার করে।গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
এসো দেশ বদলাই,পৃথিবী বদলাই এই প্রতিপাদ্যে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পালাখাল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পিঠা উৎসব ও বার্ষিক ক্রীড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিদ্যালয়ের আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে পিঠা উৎসব উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণ করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাপ্পি দত্ত রনি। এসময় তিনি প্রতিটি স্টল পরিদর্শন করেন।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সহকারী শিক্ষক নবীর হোসেনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,বিদ্যালয়ের পিটিএ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সদস্য ইয়ার আহমেদ মজুমদার,ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক কবির হোসেন,সাবেক প্রধান শিক্ষক শহীদ উল্যাহ পাটওয়ারী,দাতা সদস্য ডা. স্বাধীন চৌধুরী,বিএনপি নেতা তাজুল ইসলাম ও বিশিষ্ট সমাজসেবক রুবেল বেপারী সহ আরো অনেকে। পরে অনুষ্ঠানকে মনোজ্ঞ করে রাখতে নৃত্য ও গান পরিবেশন করেন শিক্ষার্থীরা।
এসময় বিএনপি নেতা মোজাফফর হোসেন,বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক নরেশ চন্দ্র,প্রভাষক সিহাব হোসেন সাগর,ছাত্রদল নেতা সাব্বির হোসেনসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক,অভিভাবক ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।
মন্তব্য করুন
দিনাজপুরের খানসামায় অনুকূল পরিবেশে আশানুরূপ লাভজনক হওয়ায় চলতি বছর বেড়েছে পপকনের চাষ। পপকনকে ঘিরে কৃষক দেখতে শুরু করেছেন রঙিন স্বপ্ন। ধান, সরিষা, আলু ও ভুট্টার পাশাপাশি এ ফসল অধিক লাভজনক।
অন্য ফসলের চেয়ে তুলনামূলক কম খরচ, উৎপাদন ভালো, লাভজনক হওয়ায় স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য ও সরাসরি পাইকারি বাজার সৃষ্টি হওয়ায় পপকন চকষে ঝুঁকেছেন সাধারণ কৃষকরা। এছাড়া নিয়মিত কৃষি বিভাগ থেকে উদ্বুদ্ধকরণ, পরার্মশ প্রদান, সরকারি সহায়তার ফলে চাষিদের মধ্যে আগ্রহ বেড়েই চলছে। সব মিলিয়ে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় প্রতি মৌসুমে বাড়ছে পপকন চাষ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলায় ১৫২০ হেক্টর জমিতে পপকন চাষের লক্ষমাত্রা থাকলেও ১৬৬০ হেক্টর অর্জন হয়েছে।
গোয়ালডিহি ইউনিয়নের পপকন চাষি মোস্তফা কামাল ডাবলু শাহ্ বলেন, আমি এ এলাকায় সর্বপ্রথম পপকন চাষ করি। আমাকে দেখে অনেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে এখন চাষ করছেন পপকনের। প্রথমের দিকে ৬০ থেকে ৬৫ বিঘা চাষ করেছি। গতবার ও এইবার ২০ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। গতবার ২০ বিঘা জমিতে শুকনা দেড় টন পপকন পেয়েছি। আশা করছি এবার আরো বেশি পাবো।
একই এলাকার পপকন চাষি লতিফ হাজ্বী বলেন, পপকন চাষে বেশ লাভবান হয়েছি। গতবারের ন্যায় এবারো ৫ বিঘা চাষ করেছি। সব কিছু ঠিক থাকলে ভাল ফলন হবে বলে মনে করছি।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা গোপাল রায় বলেন, পুরো উপজেলার মধ্যে গোয়ালডিহি ইউনিয়নে ৭০ ভাগ ও বাকী ৫ ইউনিয়নে ৩০ ভাগ পপকন চাষ হয়। পপকন চাষে চাষিদের পাশে থেকে ভালো ফলন পেতে সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হাবিবা আক্তার বলেন, দিনাজপুরের শস্যভান্ডারখ্যাত এ উপজেলা। ভুট্টার পাশাপাশি এ অঞ্চলের কৃষক পপকন চাষে বেশ আগ্রহী। পপকন চাষে উদ্ভুদ্ধকরণসহ সার্বক্ষণিক কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন