টানা চতুর্থবার সরকার গঠনের পর আগামী শনিবার (১৩ জানুয়ারি) গোপালগঞ্জ যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র জানায়, সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
রাতে গোপালগঞ্জ অবস্থান করে পরদিন রোববার ঢাকায় ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে আগামী ৫ বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন শেখ হাসিনা। একই অনুষ্ঠানে নতুন মন্ত্রিসভার ২৫ মন্ত্রী এবং ১১ প্রতিমন্ত্রীও শপথ নেবেন।
আজ সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ পাঠ করাবেন।
মন্তব্য করুন
আজ সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকা ছাড়েন।
তিনি সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন।
ওবায়দুল কাদের এর স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ২৫ জানুয়ারি ঢাকা ফেরার কথা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সীমান্তে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ মোকাবিলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ।
সোমবার (৪ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরের বীর উত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে বিজিবি দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, সীমান্তে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ মোকাবিলায় বিজিবিকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত করা হচ্ছে। নিশ্ছিদ্র নজরদারি এবং আন্তঃদেশীয় সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্তে স্মার্ট ডিজিটাল সার্ভিলেন্স অ্যান্ড টেকনিক্যাল রেসপন্স সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, তার সরকার মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ বিওপি, নীলডুমুর, কাচিকাটা ভাসমান বিওপিতে রাডার স্থাপন করেছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নজরদারি বেড়েছে। অত্যাধুনিক ও যুগোপযোগী প্রযুক্তি স্থাপনের মাধ্যমে বিজিবির অপারেশনাল সক্ষমতা বাড়ানোয় কাজ ও দক্ষতার প্রতি তাদের আগ্রহ বহুগুণ বাড়বে।
বিজিবিকে আরও শক্তিশালী করার জন্য শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন-২০১০’পাস করেছি। একইসঙ্গে একটি আধুনিক, শক্তিশালী, দক্ষ ও ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে বিজিবি আজ গড়ে উঠেছে। এখন তারা জল, স্থল ও আকাশপথের দায়িত্ব পালনে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে আমরা বিশ্বমানের আধুনিক সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১’ প্রণয়ন করেছি। যেভাবে আমরা বাংলাদেশকে ২০৪১ সাল নাগাদ ‘উন্নত সমৃদ্ধ দেশ’ হিসেবে গড়তে চাই, আমাদের বিজিবিও তেমনি একটি স্মার্ট বাহিনী হবে। বিজিবি ভিশন ২০৪১ অনুযায়ী এ বাহিনীতে আরও ১৫ হাজার জনবলের পদ সৃষ্টির পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। কমব্যাট ড্রেস দেওয়াসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই তারা যেন আরও উন্নত হয়, তার যথাযথ ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ সরকার করে দিয়েছে এবং তাদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমুখী ব্যবস্থাও প্রবর্তন করা হয়েছে। বিজিবিকে আমরা বিশ্বমানের চৌকস বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে বিজিবিতে সৈনিক পদে মোট ৩৫ হাজার ৫১৭ জনকে নিয়োগ দিয়েছে। ৫৫ হাজার ১৮৭ সদস্যকে বিভিন্ন পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে এবং আমরাই প্রথম বিজিবিতে নারী সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করেছি। এ পর্যন্ত বিজিবিতে ৯৯৬ জন নারী সৈনিক ভর্তি হয়েছে।
মন্তব্য করুন
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল
জানিয়েছেন, আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপির সাবেক নেতারা আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইসের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের একথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এরা স্বপ্রণোদিত হয়ে আসছেন। এরা সবসময় আমাদের নেতাদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। তারা ইলেকশন করবেন, করতে চান। আমাদের কথা একটাই নির্বাচন ডিক্লেয়ার হয়ে গেছে, আপনারা যেভাবে দল ভেঙে নতুন দল করেছেন, সেভাবেও আসুন বা আপনারা যেভাবে আসতে পারেন আসুন। আমাদের তরফ থেকে আপনাদের স্বাগত।
নির্বাচন কমিশন তো আহ্বান জানিয়েই দিয়েছেন। নির্বাচন ঘোষণা করে দিয়েছেন। আমরা তো একটা দল, আমরা তো তাদের আহ্বান করতে পারি না। তারা নিজেরা নির্বাচন কমিশনে যাবেন, তাদের যদি কিছু বলার থাকে বলবেন। আমি যদি এভাবে বলি বিএনপির সিদ্ধান্তটাই তাদের নেতাকর্মীরা মেনে নিতে পারেনি। যার প্রমাণ আমি দেখালাম। তারা আরও দুটি দলে ভাগ হয়ে গেছে। বিএনপি নেতারাই ভাগ করেছেন। একটায় গেছেন তৈমূর আলম খন্দকার আর একটায় শমসের মবিন চৌধুরী। এরা সবাই বিএনপির প্রমিনেন্ট নেতা, তারাই ভাগ হচ্ছেন।
মন্তব্য করুন
নির্বাচনকে ঘিরে যারা অগ্নিসন্ত্রাস করেছে এবং যারা হুকুমদাতা, তাদের সাজা নিশ্চিত করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাদের কোনো ছাড় নেই। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি, নেব।
রোববার (জানুয়ারি ১৪) কোটালীপাড়া উপজেলা চত্বরে কোটালীপাড়া আওয়ামীলীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তারা (বিএনপি) আবার আন্দোলন করে গণতন্ত্রের জন্য। যারা গণতন্ত্রের ‘গ’-ও বোঝে না। তাদের আন্দোলন মানুষ পুড়িয়ে মারা, গণতন্ত্রের ‘গ’ কেন গণতন্ত্র বানানও করতে পারবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তারা জানে জ্বালাও-পোড়াও। জীবন্ত মানুষগুলিকে আগুনে পুড়িয়ে পুড়িয়ে মারা, বাসে আগুন, গাড়িতে আগুন, লঞ্চে আগুন, রেলে আগুন… ২০১৩ সালে যা করেছে, ১৪ সালে করেছে, ১৫ সালে করেছে।
তিনি বলেন, এখন আবার এই নির্বাচন (২০২৪) ঠেকাও আন্দোলন করতে যেয়ে ট্রেনে আগুন দিয়ে মা সন্তানকে বুকে নিয়ে পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে, এ দৃশ্য কোনো মানুষ সহ্য করতে পারে না। যে কারণে তারা যতই চিৎকার করুক, চেঁচামেচি করুক তাদের কথায় কিন্তু জনগণ সাড়া দেয়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা এই ধরনের জঘন্য কাজ করেছে, কোনো ছাড় নেই। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি, নেব। যারা এই ধরনের কাজগুলো করেছে, তাদের খুঁজে খুঁজে বের করে ইতোমধ্যে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা হুকুমদাতা এবং জ্বালাও-পোড়াও করার জন্য হুকুম দিয়েছে, তাদের আমরা গ্রেপ্তার করছি। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেব আর যাতে ভবিষ্যতে কেউ এভাবে মানুষ পুড়িয়ে মারার মতো জঘন্য কাজ করতে না পারে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি যতবার নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছে, বাংলাদেশের মানুষ তাতে সাড়া দেয়নি। মানুষ কিন্তু তার ভোটটা চুরি করলে সে ঠিকই ধরে নেয়। দৃষ্টান্ত হচ্ছে, ‘৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন।
ষড়যন্ত্রীদের চক্রান্ত এখনো চলছে জানিয়ে টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা তো জানেন ষড়যন্ত্র চক্রান্ত কখনো শেষ হয় না। এই ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
কোটালীপাড়াবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, শক্ত একটা ঘাঁটি আছে বলেই আমি যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে পারি। সেই শক্তি আপনারা দিয়েছেন। টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়ার মানুষ আমার বড় শক্তি, বাংলাদেশের মানুষ আমার বড় শক্তি। আগামীতেও বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।
উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, করোনা ভাইরাসের কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। আবার হামলা শুরু হয়েছে। এজন্য সামনে আরও দুর্দিন আসতে পারে। আমাদের দেশের মাটি উর্বর। আমাদের মানুষ আছে। এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। সাথে সাথে হাস-মুরগি, গরু-ছাগল পালন করতে হবে। আমাদের খাদ্য আমাদের উৎপাদন করতে হবে।
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন প্রতিনিধি ও সাবেক সিনিয়র সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহাবুব আলী খান, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন সেখ।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট কন্যা শেখ রেহানা, সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাব উদ্দিন আজম, কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান হাওলাদার, এইচ এম ওহিদুল ইসলাম, কামাল হোসেন সেখ, মতিয়ার রহমান হাজরা, কামরুল ইসলাম বাদল, জাহাঙ্গীর আলম খান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীরত্ব ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৭২ বিজিবি সদস্যকে পদক পরিয়ে দিয়েছেন ।
সোমবার সকাল ১০টায় পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবসের কুচকাওয়াজে তাদের পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় পিলখানায় উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দিবস-২০২৩ এর আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজে বিজিবি সদর দপ্তরের বীরউত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন।
মন্তব্য করুন
আজ দেশের ছয় জেলার নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি ভার্চুয়ালি এ জনসভায় অংশ নেবেন।
বিকেল ৩টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন থেকে জনসভায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। পর্যায়ক্রমে খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও সাতক্ষীরা জেলা, বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলা, চট্টগ্রাম বিভাগের রাঙ্গামাটি জেলা এবং ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনা জেলার নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখবেন।
এসব কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা, সংশ্লিষ্ট জেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা-থানা-পৌর আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত থাকবেন। একই সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর নির্বাচনী এলাকার আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা।
এছাড়া আগামী ২৯ ডিসেম্বর বরিশাল সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী। ওইদিন বিকেল ৩টায় জেলা শহরে এক নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এরপর ৩০ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ সফর করবেন। গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া) আসনের নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা। একই দিন মাদারীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বখ্যাত ‘টাইম ম্যাগাজিন’ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রকাশ করেছে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, সত্তরোর্ধ্ব শেখ হাসিনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে অবিসংবাদিত এক নাম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দ্রুতবর্ধনশীল অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ’ শিরোনামে এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। প্রখ্যাত সাংবাদিক চার্লি ক্যাম্পবেল প্রতিবেদনটি লিখেছেন। গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ সফর করে গণভবনে গিয়ে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার নেন ক্যাম্পবেল। সেই সাক্ষাৎকার ও সার্বিক পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে প্রতিবেদনটি।
শেখ হাসিনাকে একজন বিস্ময়কর রাজনৈতিক নেতা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনি গত এক দশকে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দ্রুততম বর্ধমান অর্থনীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ব্যাপক উত্থান ঘটিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক অগ্রগতি, জিডিপির হার, মাথাপিছু আয়, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, সমুদ্রসীমা জয়, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বিদ্যুৎ, মডেল মসজিদ কাম ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, ১০ মেগা প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কথা প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়, তিনি ২০০৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, যা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রেকর্ড। এর আগেও তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক সময়ের হস্তক্ষেপকারী সামরিক শক্তি এবং ইসলামপন্থিদের মোকাবিলা করে কৃতিত্বের সঙ্গে দীর্ঘ এই সময় তিনি সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
বিগত সময়ে শেখ হাসিনাকে ১৯ বার গুপ্তহত্যার চেষ্টা করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ব্রিটেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার বা ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চেয়ে বেশিবার নির্বাচনে জয়ী শেখ হাসিনা আগামী বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে আবারও জয়ী হওয়ার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
এ বিষয়ে সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়। তিনি বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী এ কারণে যে, আমার দেশের জনগণ আমার সঙ্গে আছে। তারা আমার প্রধান শক্তি। ’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে সদস্য নিয়োজিত করার ক্ষেত্রে সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ সর্বাগ্রে। দেশটি নিয়মিতভাবে মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দিয়ে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের সবচেয়ে বড় উৎস উল্লেখ করে এতে বলা হয়, বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির শীর্ষ দেশও যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনে রুশি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আগ্রাসনের নিন্দা জানানো কয়েকজন উন্নয়নশীল বিশ্বের নেতার একজন শেখ হাসিনা নিজেকে পশ্চিমাদের জন্য দরকারি প্রমাণ করেছেন।
প্রতিবেদনে আরও তুলে ধরা হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
মিয়ানমার থেকে কেউ বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, ‘সীমান্ত ক্রস করে মিয়ানমার থেকে আর কাউকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরীর কাজ করছে।’
(১৩ ফেব্রুয়ারি)মঙ্গলবার দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে হাইওয়ে পুলিশের ‘সেবা সপ্তাহ-২০২৪’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারের চারদিকেই যুদ্ধ লেগে আছে। বাংলাদেশ সীমানায় আরাকার আর্মির সঙ্গে তাদের বাহিনীর যুদ্ধ চলছে। আমরা দেখছি তাদের এই যুদ্ধ এতটাই তীব্র হয়েছে যে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি), সরকারি কর্মকর্তা, ধারণা করছি দু-একজন সেনা সদস্য আমাদের এখানে ঢুকে পড়েছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ অস্ত্র নিয়ে এসেছেন, কেউ বা অস্ত্র ছাড়া।তবে তাঁরা এসেছেন জীবন রক্ষার জন্য, যুদ্ধের জন্য আসেননি।’
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা তাদের অস্ত্রগুলো রেখে আটক অবস্থায় আমাদের এখানে রেখেছে। তাদের মধ্যে যারা আহত, তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা তাদের ফেরত নিতে জানিয়েছি।
তারা অতি শিগগিরই জাহাজে করে যাবে বলে বার্তা পাঠিয়েছে। আশা করছি, দুই-এক দিনের মধ্যেই তাদের সদস্যদের তারা ফেরত নিয়ে যাবে। আমাদের সঙ্গে তাদের কোনো কনফ্লিক্ট নেই, কোনো ধরনের যুদ্ধ নেই, তারা আত্মরক্ষার্থে এখানে এসেছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছি, এমনিতেই ১২ লাখ রোহিঙ্গা আমাদের এখানে রয়েছে। রোহিঙ্গা বা অন্য কেউ যে-ই আসুক, মিয়ানমার থেকে আমরা কাউকে আর এখানে সেটেল হতে দেব না।
যারা আত্মরক্ষার্থে এখানে আসছে তাদের নিয়ে যেতে সে দেশের সরকারকে বলেছি। তারা নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের বিজিবি, পুলিশ, কোস্ট গার্ড সবাই অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করছে। সেখানে যুদ্ধ হচ্ছে, এ সীমানায় তাদের কেউ আসবে বলে মনে হচ্ছে না। তার পরও যদি আসে আমাদের এখানে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।’
বিজিপি সদস্য যাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের ওপর আক্রমণে তাঁদের কেউ জড়িত ছিলেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো লিস্ট নেই। তবে আমরা সে সময় দেখেছি মাইলের পর মাইল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, নদীতে মরদেহ ভেসে আসতে দেখেছি। সেখানে যে গণহত্যা হতো আমরা দেখেছি সেই সময় তাদের আর্মি দাঁড়ানো ছিল। তবে তারাই গণহত্যা করেছে কি না জানি না। আন্তর্জাতিক আদালতে এটার বিচার চলছে।’
মন্তব্য করুন
সদ্যসমাপ্ত বেলজিয়াম সফর নিয়ে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামীলীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলন করে বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন থামাতে পারবে না। ২০১৩-তেও পারেনি, ‘১৮-তেও পারেনি, এবারও পারবে না।
আওয়ামীলীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন হবে এবং সময়মতোই হবে। কে চোখ রাঙালো আর কে চোখ বাঁকালো, ওটা নিয়ে আমরা পরোয়া করি না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নির্বাচন এভাবে আন্দোলন করে তারা থামাতে পারবে না। ’১৩-তেও পারেনি, ১৮-তেও পারেনি, এবারও পারবে না। ইনশাল্লাহ নির্বাচন যথাসময়ে হবে। তারা তো চাচ্ছে এটাই (নির্বাচন বন্ধ করা), সেটা করতে পারবে না।
আওয়ামীলীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। জনগণ ওদের সঙ্গে নাই। জনগণকে কষ্ট দিয়ে রাজনীতি হয় না। রাজনীতি তো জনগণের জন্য।
বিএনপি একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি আসলে নির্বাচনই চায় না।
আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক শেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সব পক্ষকে শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংলাপ নিয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কার সঙ্গে সংলাপ, খুনিদের সঙ্গে কীসের সংলাপ, কীসের আলোচনা। খুনিদের সঙ্গে সংলাপ, এটা বাংলাদেশের জনগণও চায় না।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে
বুধবার থাইল্যান্ডে পৌঁছেন ।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস
উইং জানায়, থাইল্যান্ড সফররতকালীন সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডুসিট প্রাসাদের
অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া
এবং রানী সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
থাইল্যান্ডের রাজা-রানীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তারা কুশলবিনিময় করেন এবং
দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এর আগে সকালে জাতিসংঘের
এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ)
৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন।
২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল
সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে
দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন। এ সফরকালীন সময়ে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড দুই দেশের মধ্যে
একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনার আগ্রহপত্রসহ বেশ কয়েকটি সহযোগিতার নথিতে
স্বাক্ষর করবে।
পাশাপাশি বাংলাদেশ এবং
থাইল্যান্ড সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত একটি চুক্তি
স্বাক্ষর করতে পারে, শক্তি সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং
সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য পর্যটন খাতে সহযোগিতা এবং শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক
সহযোগিতার বিষয়ে আরও দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে পারে।
মন্তব্য করুন