প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪৪তম জাতীয় সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।
সোমবার বেলা সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর আনসার ভিডিপি একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছান।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪৪তম জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষ্যে আয়োজিত কুচকাওয়াজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সালাম গ্রহণ করেন। এর আগে সমাবেশে যোগ দিতে সারা দেশ থেকে আনসার-ভিডিপি সদস্যরা সফিপুর আনসার একাডেমিতে সমবেত হন।
জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষ্যে বাহিনীর কর্মকর্তা, ব্যাটালিয়ন আনসার, সাধারণ আনসার, ভিডিপি-টিডিপি সদস্যদের সমন্বয়ে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সালাম গ্রহণ করেন।
পদক বিতরণ, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ, সংঘবদ্ধ মার্চ ও কুচকাওয়াজের পর অনুষ্ঠান শেষ হয়।
গাজীপুর জেলায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনর পর এই প্রথম গাজীপুর সফর। এই উপলক্ষে গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরন করে নেয় জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বীবৃন্দ।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সিনিয়র সচিব মো: মোস্তাফিজুর রহমান, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: নাজিম উদ্দিন, আনসার ও ভিডিপি একাডেমির কমান্ড্যান্ট মো: নূরুল হাসান ফরিদী, বাহিনীর উপমহাপরিচালক, অন্যান্য কর্মকর্তা ও আনসার-ভিডিপির সদস্যরা।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, সংসদ সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনী প্রধান, সিনিয়র সচিবসহ বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানরা। অপরদিকে কূটনৈতিক ব্যক্তি, সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা আমন্ত্রিত হয়েছেন।
মন্তব্য করুন
মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতি স্মরণে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৪।
আজ বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ‘অমর একুশে বইমেলা-২০২৪’ -এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহাম্মদ নুরুল হুদা জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় মেলার উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ’
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহাম্মদ নুরুল হুদা আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩ বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করবেন। পাশাপাশি বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগৃহীত রচনা: দ্বিতীয় খণ্ড’ সহ কয়েকটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করবেন। এবারের বইমেলার প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘পড়ো বই, গড়ো দেশ: বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। ’
বরাবরের মতো এবারো বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে থাকছে মেলার আয়োজন।
এবার বইমেলায় ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯৩৭টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমি মাঠে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি স্টল বরাদ্দ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এ বছর মোট ৩৭টি প্যাভিলিয়নও বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
গত বছর ৬০১টি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মোট ৯০১টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।
মেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মাসব্যাপী সেমিনারের পাশাপাশি শিশু-কিশোরদের জন্য ছবি আঁকা, সংগীত ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা থাকবে।
ডিএমপি কমিশনার হাবীবুর রহমান জানিয়েছেন, মেলার মাঠ ও এর আশপাশের এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা ও ড্রোন নজরদারিতে থাকবে।
পুরো অনুষ্ঠানস্থলে নজরদারি করার দায়িত্ব দেওয়া হবে ডিএমপি টিমগুলোকে এবং পাশাপাশি কোন ধরনের গুজব ঠেকাতে সোশ্যাল মিডিয়া মনিটর করা হবে।
সূত্র: বাসস
মন্তব্য করুন
টানা
৪র্থবার ও সব মিলিয়ে
৫মবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন আওয়ামী
লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার
(১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা ৩ মিনিটে
বঙ্গভবনে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রীর
শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন।
শেখ
হাসিনা বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে
প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। স্বাধীন
বাংলাদেশের ইতিহাসে ৪ মেয়াদে ২০
বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ শাসন করেছেন
শেখ হাসিনা।
২০২৯
সালে ৫ম মেয়াদ পূর্ণ
হলে তিনি স্বাধীন দেশে
২৫ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব
পালন করবেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ
হাসিনা প্রথম ১৯৮৬ সালে সংসদ
সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯১,
১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ এবং সর্বশেষ
২০২৪ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত
হন।
দ্বাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ
জয়ের পর তরুণ-প্রবীণদের
সমন্বয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন
করেছেন শেখ হাসিনা। ৫ম মেয়াদে
রাষ্ট্র পরিচালনায় এবার শেখ হাসিনার
সঙ্গী হচ্ছেন ২৫ জন মন্ত্রী
ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর
পর একে একে মন্ত্রী
এবং প্রতিমন্ত্রীদেরও শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি।
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এক টুইটে (এক্স হ্যান্ডেলে) তিনি এই শুভেচ্ছা জানান।
টুইটে মোদি লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছি এবং সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো ঐতিহাসিক বিজয়ের জন্য তাকে অভিনন্দন জানিয়েছি। নির্বাচন সফলভাবে পরিচালনার জন্য আমি বাংলাদেশের জনগণকেও অভিনন্দন জানাই। আমরা বাংলাদেশের সাথে আমাদের স্থায়ী এবং জনকেন্দ্রিক অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এর আগে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নরেন্দ্র মোদির একটি অভিনন্দন বার্তা পৌঁছে দেন।
বাংলাদেশ সরকারের নতুন মেয়াদে সার্বিক উন্নয়নে দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ভারতীয় হাইকমিশনার। সেই সাথে স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে ভারত সরকার তার সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলেও প্রতিশ্রুতির কথা জানান ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়ের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানের প্রতিকৃতি এবং বনানীতে বঙ্গমাতাসহ ১৫ আগস্ট নিহত স্বজনদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন
করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার
(৯ জানুয়ারি) সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের ভেতরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে
শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ
সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ
পুতুল, শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি।
শেখ
হাসিনা ও শেখ রেহানা বনানী কবরস্থানে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্ট
নিহত স্বজনদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে
আলাদাভাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ রেহানা।
মন্তব্য করুন
১৩ নভেম্বর সোমবার খুলনায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন বিকেলে খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জনসভায় সভাপতিত্ব করবেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এছাড়া জনসভায় বক্তব্য রাখবেন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।
সভাস্থল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২২টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। এছাড়া তিনি ২টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে ঘিরে নানা প্রস্তুতি ইতোমধ্যে প্রায় শেষ হয়েছে। বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে খুলনাকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সাদরে বরণ করতে প্রস্তুত খুলনাবাসী। প্ল্যাকার্ড, পোস্টার, বিলবোর্ড, তোরণ ও আলোকসজ্জা করা হয়েছে পুরো নগরজুড়ে।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদেশি বিনিয়োগের দিকে অধিকতর নজর
দিতে হবে। বৈদেশিক অর্থায়নভুক্ত
প্রকল্পগুলোর দিকে বেশি নজর
দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী । দেশের উন্নয়ন
পরিকল্পনা ঢেলে সাজাতে ৯
বছর পর অনুষ্ঠিত পরিকল্পনা
কমিশনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।
বুধবার
(২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিশন চেয়ারপারসন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠকে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মূল্যস্ফীতি
কমাতে বিশেষ নজর দিতে হবে।
প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অর্থাৎ প্রকল্প পরিচালকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে। জাতীয়
নির্বাচনের কারণে যে সময় ব্যয়
হয়েছে তা মেটাতে আরও
বেশি কাজ করতে হবে।
আমাদের লক্ষ্য- স্মার্ট বাংলাদেশ। এজন্য সর্বক্ষেত্রে ডিজিটাল সিস্টেম আরও কার্যকরভাবে চালু
করতে হবে। বৈদেশিক ঋণ
বা অনুদান যেন দ্রুত ছাড়
পাওয়া যায় সেদিকে নজর
দিতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগের
দিকে অধিকতর নজর দিতে হবে।
দেশের ভেতরে সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখতে
হবে। জমি অনাবাদি রাখা
যাবে না। উৎপাদন বাড়াতে
হবে। গবেষণা বাড়াতে হবে। পরনির্ভরশীলতা থেকে
বেরিয়ে আসতে হবে। আত্মমর্যাদা
নিয়ে চলতে হবে। প্রকল্প
পরিচালক প্যানেল করে প্রকল্প পরিচালক
নিয়োগ দেওয়া যায়। এ বিষয়ে
একটি গাইড লাইন করা
যায়। এর নাম ‘বিশেষজ্ঞ
প্যানেল’ হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী
আরও বলেন, নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা
প্রণয়নে খুব বেশি আউট
সোর্সিংয়ের ওপর নির্ভর করা
যাবে না। পাট ও
পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য,
আইসিটি, ডিজিটাল ডিভাইস ইত্যাদিতে নজর দিতে হবে।
পানি ও নৌ-পরিবহন
খাতে নজর দিতে হবে।
এ
সময় উপস্থিত ছিলেন, বৈঠকে
কমিশনের বিকল্প চেয়ারপারসন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ
আলী, ভাইস চেয়ারপারসন পরিকল্পনামন্ত্রী
আব্দুস সালাম, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা এবং গভর্নর আব্দুর
রউফ তালুকদার। বৈদেশিক ঋণনির্ভর প্রকল্প যেন সঠিকভাবে বাস্তবায়ন
হয় সেজন্য মুখ্য সচিবকে প্রধান করে একটি কমিটি
গঠন করা হয়েছে। কমিটি
২ মাস পর রিভিউ
করবে। বৈদেশিক ঋণ বা অনুদানের
প্রকল্পগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, সঠিকভাবে
টাকা ছাড় হচ্ছে কি
না, এসব বিষয় দেখভাল
করবে এ কমিটি।
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বখ্যাত ‘টাইম ম্যাগাজিন’ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রকাশ করেছে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, সত্তরোর্ধ্ব শেখ হাসিনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে অবিসংবাদিত এক নাম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দ্রুতবর্ধনশীল অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ’ শিরোনামে এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। প্রখ্যাত সাংবাদিক চার্লি ক্যাম্পবেল প্রতিবেদনটি লিখেছেন। গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ সফর করে গণভবনে গিয়ে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার নেন ক্যাম্পবেল। সেই সাক্ষাৎকার ও সার্বিক পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে প্রতিবেদনটি।
শেখ হাসিনাকে একজন বিস্ময়কর রাজনৈতিক নেতা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনি গত এক দশকে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দ্রুততম বর্ধমান অর্থনীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ব্যাপক উত্থান ঘটিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক অগ্রগতি, জিডিপির হার, মাথাপিছু আয়, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, সমুদ্রসীমা জয়, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বিদ্যুৎ, মডেল মসজিদ কাম ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, ১০ মেগা প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কথা প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়, তিনি ২০০৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, যা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রেকর্ড। এর আগেও তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক সময়ের হস্তক্ষেপকারী সামরিক শক্তি এবং ইসলামপন্থিদের মোকাবিলা করে কৃতিত্বের সঙ্গে দীর্ঘ এই সময় তিনি সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
বিগত সময়ে শেখ হাসিনাকে ১৯ বার গুপ্তহত্যার চেষ্টা করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ব্রিটেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার বা ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চেয়ে বেশিবার নির্বাচনে জয়ী শেখ হাসিনা আগামী বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে আবারও জয়ী হওয়ার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
এ বিষয়ে সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়। তিনি বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী এ কারণে যে, আমার দেশের জনগণ আমার সঙ্গে আছে। তারা আমার প্রধান শক্তি। ’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে সদস্য নিয়োজিত করার ক্ষেত্রে সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ সর্বাগ্রে। দেশটি নিয়মিতভাবে মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দিয়ে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের সবচেয়ে বড় উৎস উল্লেখ করে এতে বলা হয়, বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির শীর্ষ দেশও যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনে রুশি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আগ্রাসনের নিন্দা জানানো কয়েকজন উন্নয়নশীল বিশ্বের নেতার একজন শেখ হাসিনা নিজেকে পশ্চিমাদের জন্য দরকারি প্রমাণ করেছেন।
প্রতিবেদনে আরও তুলে ধরা হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
টানা চতুর্থবার বাংলাদেশের
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতিসংঘের
খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক ড. চু ডংইউ।
বাংলাদেশে খাদ্য
নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের
ভূয়সী প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক ড.
চু ডংইউ।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি
সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক ড. চু ডংইউ,
দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার আওতায় বাংলাদেশকে সুবিধা গ্রহণ এবং দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্য
এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের আন্তঃসম্পর্ক জোরদার করার ওপর
গুরুত্বারোপ করেন।
ইতালিতে নিযুক্ত
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম কর্তৃক জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থায় (এফএও)
স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে এফএও মহাপরিচালক অভিনন্দন
জানিয়ে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এ মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রদূত ইসলাম এফএওর
স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করার জন্য এবং বাংলাদেশের
অর্জন সম্পর্কে তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রদূত এফএও-কে আরও
দক্ষ, স্বচ্ছ এবং অংশগ্রহণমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মহাপরিচালকের
গতিশীল নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। পঁয়তাল্লিশ
বছরের অধিক সময় ধরে বাংলাদেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে, কৃষি
পরিবেশ, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের উৎপাদনশীলতা ও আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে এফএও-এর
প্রশংসনীয় ভূমিকার কথা স্থায়ী প্রতিনিধি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত ইসলাম
কান্ট্রি প্রোগ্রামিং ফ্রেমওয়ার্ক ২০২২-২০২৬ এর আলোকে বাংলাদেশের কৃষির রূপান্তর
বাস্তবায়নে সহায়তার জন্য এফএও-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমাদের ছেলেমেয়েরা দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশেও খেলাধুলায় ভালো অর্জন করছে। যেটা স্বাধীনতার পরপরই শুরু হয়েছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেসময় রাশিয়া-ভারত এমনকি ভিয়েতনামে পর্যন্ত আমাদের যুব টিম পাঠিয়েছিলেন। তিনি প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করেছিলেন। কাজেই সেইভাবে আমাদের খেলাধুলাকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
বুধবার(৭ ফেব্রুয়ারী) ৫২তম শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মাধ্যমিক পর্যায়ে শুধু ক্রিকেট-ফুটবল না, সব ধরনের খেলাধুলার প্রতি বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। আন্ত স্কুল, আন্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতা গড়ে তোলার দরকার। এতে করে আমাদের ছেলেমেয়েদের যেমন শরীরচর্চা হবে, তেমনি তাদের মন মানসিকতা আরও সুন্দরভাবে গড়ে উঠবে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, খেলাধুলার জন্য আমাদের ছেলেমেয়েদের আরও উন্নত প্রশিক্ষণের দরকার। আমরা দেশের ৮ বিভাগেই একটি করে ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলব। যেখানে আমাদের ছেলেমেয়েরা ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলায় পারদর্শী হয়ে উঠতে পারবে।
মন্তব্য করুন
চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার(১৩ ফেব্রুয়ারী) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার কার্যালয় থেকেও স্মরণ করিয়ে দেওয়া দরকার। প্রত্যেকটা মন্ত্রণালয় যেন এ বিষয়ে একটু নজর দেয়। প্রতিটি মন্ত্রণালয় যেসব প্রকল্পগুলো অল্প খরচ করলেই শেষ হয়ে যাবে, সম্পূর্ণ হয়ে যাবে, সেগুলো দ্রুত সম্পন্ন করে ফেলা। প্রকল্প সম্পন্ন করে ফেললে আমরা নতুন প্রকল্প নিতে পারবো। কিছু কিছু প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সেগুলোও দ্রুত শেষ করা উচিত। দ্রুত শেষ না করলে খরচও বাড়ে, কালক্ষেপণও হয়। সেটা যেন না হয়।
প্রকল্প নেওয়ার সময় গুরুত্ব বিবেচনা করে বাছাই করার নির্দেশ দিয়ে টানা চারবারের সরকারপ্রধান বলেছেন, আর্থ-সামাজিক উন্নতির জন্য যে প্রকল্পগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য সেগুলো আমাদের নিতে হবে। প্রকল্প বাছাই করার সময় সেটা আমাদের দেখা দরকার।যার ফলে আমাদের যে লক্ষ্যটা আছে সেটা আমরা অর্জন করতে পারি।
মন্তব্য করুন