মো: মাসুদ রানা,কচুয়া ॥
চুরি,ছিনতাই,ডাকাতি ও মাদক নির্মূলে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিরর লক্ষে মতবিনিময় করেছেন কচুয়া থানার ওসি এম আব্দুল হালিম। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার পালাখাল মডেল ইউনিয়নের দোয়াটি মবিন মার্কেট এলাকায় স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে এ মতবনিমিয় সভা করা হয়। এসময় কচুয়া-সাচার-গৌরিপুর সড়কে চুরি,ছিনতাই ও ডাকাতি রোধে রাস্তার দু’পাশের আগাছা পরিস্কার,মাদক প্রতিরোধে নিয়ে সচেতনতামূলক আলোচনা করা হয়।
স্থানীয় বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিন প্রধানের পরিচালনায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কচুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ এম আব্দুল হালিম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন স্বপন,ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস,ইউপি সদস্য মামুনুর রশিদ,বিশিষ্ট সমাজসেবক আব্দুল মবিন,মাহবুব আলম প্রমুখ। এসময় কচুয়া থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন,মোশাররফ হোসেন,বিএনপি নেতা মোজাফফর হোসেন সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
দুই হাত ছাড়াই জন্ম সিয়াম মিয়ার। তাই লিখতে শিখেছে পা দিয়ে। এভাবে লিখেই চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে সে। এই কিশোর জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার চাপারকোনা মহেশ চন্দ্র উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
সিয়াম উদানপাড়া গ্রামের দিনমজুর জিন্নাহ মিয়ার ছেলে। সংসারে অভাবের কারণে চতুর্থ শ্রেণিতে ওঠার পর তার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। এক বছর পর এক শিক্ষকের চেষ্টায় সে আবার শ্রেণিকক্ষে ফিরে আসে। উচ্চবিদ্যালয় থেকে তার বেতন, পোশাক ও এসএসসির ফি মওকুফ করে দেওয়া হয়।
সিয়াম বলে, ‘যখন ছোট ছিলাম তখন সবাই বলত, আমি জীবনে কোনো দিন পড়াশোনা করতে পারব না। সারা জীবন এ রকম থাকব। এখনো অনেক মানুষ নানা কথা বলে। এগুলো শুনি না। আমি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। সবাইকে দেখাতে চাই, আমিও পারব।’
মন্তব্য করুন
ময়মনসিংয়ের এক তরুণীর সঙ্গে কুমিল্লার
নাঙ্গলকোটের আরিম নামে এক তরুণের ৬ মাস আগে রং নাম্বারে পরিচয় হয় । তারপর ঢাকায় বিয়ে
করে।
এরপর স্ত্রীকে নিয়ে আরিফ কুমিল্লার
নাঙ্গলকোটে তার গ্রামের বাড়িতে আসলে পরিবার এ বিয়ে মানতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে বাড়ি
থেকে বের হয়ে স্ত্রীকে রেলস্টেশনে রেখে পালিয়ে যায় স্বামী আরিফ। স্ত্রীর দাবি নিয়ে
সেই তরুণী এখন অনশন করছে স্বামীর বাড়িতে।
প্রেমিক আরিফ (২১) কুমিল্লার নাঙ্গলকোট
উপজেলার হেসাখাল ইউনিয়নের উরুকচাউল গ্রামের আবদুস ছাত্তারের ছেলে।
শুক্রবার দুপুরে ভুক্তভোগী তরুণী জানান,
৬ মাস আগে রং নম্বরে তাদের দুজনের পরিচয় হয়। এরপর তাদের দেখা হয়। তারপর প্রেম। আরিফের
সঙ্গে তার বাড়িতে যান তিনি। কিন্তু আরিফের বাবা তাদের দুজনকে বের করে দেয়। এরপর প্রেমিক
তাকে নিয়ে রেলস্টেশনে যায়। সেখানে রেখে পালিয়ে যায় আরিফ। পরে স্ত্রীর স্বীকৃতি চেয়ে
অনশনে বসেছেন তিনি। স্ত্রীর অধিকার না পাওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন।
আরিফের মা সেলিনা বেগম জানান, মেয়েটি
যদি বিয়ের প্রমাণ দেখাতে পারে তাহলে স্ত্রী হিসেবে মেনে নেবেন তারা।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী
বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া
হবে।
মন্তব্য করুন
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে ঈদের কোরবানি দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে কামার শিল্পীদের ব্যস্ততা। পশু কুরবানিতে ধারালো দা, বটি, চাপাতি ও ছুরি তৈরি করছে হরদম। তাই যেন দম ফেলার ও সময় নেই কামারদের। নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজ করছেন কামাররা। কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন তারা। সারা বছর তেমন কাজ না থাকলে ও কুরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে কয়েক গুণ ব্যস্ততা বেড়ে গেছে কামারদের। ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতারাও ভিড় জমাচ্ছে কামার পট্টিতে। বিক্রিও হচ্ছে চড়া দামে। কামার শিল্পীরা জানান- পশুর চামড়া ছাড়ানো ছুরি ১০০-২০০, দা ৩০০-৫৫০ টাকা, বটি ৩৫০-৬০০, পশু জবাইয়ের ছুরি ৫০০ -১৩ হাজার টাকা, চাপাতি ৬০০-৯০০ শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কামার শিল্পীরা বলেন, কুরবানির ঈদ উপলক্ষে কয়লার দাম ও শ্রমিকের দাম বেড়ে গেছে।
তবে ক্রেতারা বলেন, ঈদ উপলক্ষে দা, চাপাতি ও ছুরির দাম বেশি নেয়া হচ্ছে।
উপজেলার বোরহান পুর গ্রামের এনাম মিয়া (ক্রেতা) জানান, আমি একটি চাপাতি ৬০০ টাকায় কিনেছি। এ ছাড়া ছুরি, দা, জবাই করার ছুরিসহ ৪টি জিনিস রিপেয়ারিং করার জন্য এসেছি।
জাবেদ মিয়া (ক্রেতা) জানান, কুরবানির ঈদের সময় কসাই পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে। তাই একটা নতুন বটি কিনেছি, আর পুরনো চাপতি, দা শাণ দিয়ে নিচ্ছি নিজেরাই কাজে লেগে যাব। গেল বছরের চেয়ে এ বছর পুরনো জিনিষ শাণ দিতে মানভেদে ৩০-৫০ টাকা বেশি নিচ্ছে। ঈদ যতই এগিয়ে আসছে দা/ছুরি কিনতে গ্রাহকদের আনাগোনাও বাড়ছে।
কামারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়- কুরবানির ঈদ উপলক্ষে তাদের বেচাকেনা দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। তবে ঈদের দুদিন আগে বেশী বেচাকেনা হবে। কুরবানির ঈদ উপলক্ষে কয়লা ও শ্রমিকের মূল্য বেড়ে গেছে। দুই মাস আগেও প্রতি বস্তা কয়লার দাম ছিল ৫শ- ৫৫০ টাকা। সেই কয়লা এখন ৯শ-১ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। তাই তারা চাপাতি, ছুরি ও দা’র দাম একটু বেশি নিচ্ছেন।
নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও কামার পাড়া ঘুরে দেখা যায়- লাল আগুনের লোহায় পিটুনিতে সরগরম হয়ে উঠেছে কামার পল্লী গুলো। টুংটাং শব্দের ছন্দে তালমিলিয়ে চলছে হাতুড়ি আর ছেনির কলাকৌশল। ঈদুল আজহার আর মাত্র ৫ দিন বাকি আছে, তাই কামার পল্লী গুলো মুখরিত হয়ে উঠেছে। আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে উপজেলার প্রত্যন্ত আঞ্চলে কামার পল্লীগুলো ও ব্যস্থ সময় পাড় করছে। ঈদের বিপুল চাহিদার জোগান দিতে মাস খানেক আগে থেকেই তারা কাজ শুরু হয়েছে।
উপজেলার কামার বিক্রেতা মুকুল দেব ও প্রনেশ দেব জানান- কাজের ব্যস্থতায় নিশ্বাস ফেলার সময় নেই। তারা পুরোদমে ঈদুল আজহার আগ পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাবেন বলে জানান।
মন্তব্য করুন
ঝালকাঠিতে
প্রেমিকার রান্না করা নুডুলস খাওয়ার পর সজল দেবনাথ (১৯) নামে এক কলেজছাত্রের রহস্যজনক
মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। আর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার
(১১ নভেম্বর) সকালে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সজলের মৃত্যু হয়। সজল
দেবনাথ ঝালকাঠি সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ও ঝালকাঠি সদরের জেলেপাড়া এলাকার
বাসিন্দা সনাতন দেবনাথের ছোট ছেলে।
সজলের
পরিবার জানায়, রবিবার রাতে জগদ্ধাত্রী পূজার উৎসবে অংশ নিয়ে সজল বাড়ি ফিরে ঘুমিয়ে পড়েন।
রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে হঠাৎ অস্বাভাবিক আওয়াজ পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তার কক্ষে গিয়ে
দেখেন, সজলের পা বাঁধা অবস্থায় এবং তার কথিত প্রেমিকা তিথি খাটের নিচে লুকিয়ে আছেন।
দ্রুত তাকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসকদের চেষ্টা সত্ত্বেও
তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
সজলের
বড় বোন অভিযোগ করেন, তিথি তার বাসা থেকে সজলের জন্য নুডুলস নিয়ে আসেন, যা খাওয়ার পরই
সজলের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। পরিবারের ধারণা, নুডুলসে কোনো বিষাক্ত পদার্থ থাকতে
পারে, যা সজলের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
এ
বিষয়ে প্রেমিকা তিথি জানান, তাদের দু’বছরের সম্পর্ক রয়েছে এবং জগদ্ধাত্রী পূজার দিন
তারা কিছুক্ষণ সময় কাটান। তবে সজলের আচরণ নিয়ে মতবিরোধের কারণে তাদের মধ্যে তর্ক হয়
এবং তিথি অভিযোগ করেন, সজল তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। ঘটনার দিন রাতে সজলের সঙ্গে
কাটালেও তিনি ঘটনাটি আড়াল করেন।
ঝালকাঠি
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার এটিএম মেহেদী হাসান সামি বলেন, গভীর রাতে হাসপাতালে
আনার পর দীর্ঘক্ষণ চিকিৎসা করা হলেও সজলকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর
সঠিক কারণ নির্ধারণ করা সম্ভব নয় বলে তিনি জানান।
ঝালকাঠি
সদর থানার পুলিশ ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের জন্য তদন্ত শুরু করেছেন।
মন্তব্য করুন
প্রানী নির্যাতন রোধে সচেতনতা বাড়াতে ক্যাটস হোম বিড়ালের বাড়ি ও বিড়াল সমাচার, কুমিল্লার আয়োজনে কুমিল্লায় বিড়াল প্রেমীদের নিয়ে ইফতার মাহফিল অসুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার বিকেলে নগরীর একটি রেস্টুডেন্টে ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন ক্যাটস হোম বিড়ালের বাড়ি এর প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন রনী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ভেট শেখ ইসমাইল আহমেদ, ভেট হাসিবুর রহমান সাফা, ক্যাটস হোম বিড়ালের বাড়ি এর যুগ্মআহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল, মোঃ আনোয়ার হোসাইন, শিহাব মাহমুদ, সদস্য সচিব লাকী রহমান, সদস্য এমদাদুল হক আখন্দ, বিড়াল সমাচার, কুমিল্লা গ্রুপের এডমিন জাবেদ কাউছার রাজন, শায়লা শিলা, ফারহান তানিন হীরা, সাংবাদিক আরিফুর রহমান মজুমদার, জহিরুল হক বাবু, মাইনুল হক স্বপন, প্রানী প্রেমী মির্জা আশরাফ, মেহেক তাইহান, পিয়াস খান, লুবাইনা তাহিয়াত, জান্নাতুল প্রীতি, তানিয়া তানহা বৃষ্টি, ইমন হোসেন, জাহানারা আক্তার নিশি, ইমরান হোসেন, লামিয়া বীথি, আতিক রহমান আশিকসহ আরো অনেকে।
মন্তব্য করুন
শহিদ লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যার ঘটনায় জড়িত আরও একজনকে গ্রেফতার
করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় ডাকাতি প্রতিরোধ অভিযান
পরিচালনার সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন (২৩) শহিদ
হয়েছিলেন। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত মোঃ নাসির (৩৪) নামক একজনকে গতকাল (২৭
সেপ্টেম্বর ২০২৪) গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ১৭
জনের মধ্যে এ পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। গ্রেফতারকৃত
ডাকাতদের নিকট হতে ৫টি দেশিয় তৈরি বন্দুক, বিভিন্ন ধরনের ১৪ রাউন্ড গুলি,
হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। ডাকাত দলের অন্যান্য জড়িত
সদস্যদের গ্রেফতারের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতকে চকরিয়া থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
আজ বেলা ১১ টায় টঙ্গীর কামারপাড়া রোড়ে র্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্পে বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ইজতেমা মাঠের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত ব্রিফিং করেছেন র্যাব মহাপরিচালক (জিডি) এম খুরশীদ হোসেন।
এসময় তিনি বলেন, আসন্ন বিশ্ব ইজতেমা-২০২৪ উপলক্ষে ইজতেমা মাঠসহ আশেপাশের এলাকায় যে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট র্যাবপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাবের ৫টি ব্যাটালিয়নের (১, ২, ৩, ৪ ও ১০) এর সমন্বয়ে আকাশপথে র্যাবের হেলিকপ্টার টহল, ডক স্কোয়াড টিম, ফুট পেট্রোলিং, মোবাইল টিম, টহল টিম, সাইবার মনিটরিংসহ ৭ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে এবার বিশ্ব ইজতেমায়।
এই বছরও দুই ধাপে ৩ দিন করে মোট ৬ দিন ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রথম ধাপে মাঠে থাকবেন জুবায়ের পন্থী ২-৪ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় ধাপে সাদ পন্থী ৯-১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।
রাজধানী ঢাকার সন্নিকটে তুরাগ নদীর তীরে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য আয়োজিত বিশ্ব ইজতেমায় বিদেশি মুসল্লিসহ সারাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশগ্রহণ করে থাকেন।
তিনি বলেন, বিদেশি মুসল্লিদের নিরাপত্তার জন্য বিদেশি খিত্তা এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধকল্পে সতর্ক দৃষ্টি ও নজরদারি রাখা হয়েছে। ইজতেমামুখী যানবাহন ও যাত্রীদের তল্লাশির জন্য চেরাগআলী বাসস্ট্যান্ড, টঙ্গী কালীগঞ্জ রোড, উত্তরা নর্থ টাওয়ার এর সামনে এবং আশুলিয়া কামারপাড়া এলাকায় নিয়মিত চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ইজতেমা এলাকায় র্যাবের চিকিৎসা কেন্দ্র সার্বক্ষণিকভাবে সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। র্যাবের পর্যাপ্ত সংখ্যক মেডিকেল টিম এবং অ্যাম্বুলেন্সসহ সার্বক্ষণিকভাবে আগত মুসল্লিদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে নিয়োজিত থাকবে।
তিনি বলেন, মাঠে আগত মুসল্লিদের জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করা হবে। বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতের দিনে আগত ও ঘরমুখী মুসুল্লিরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে জন্য র্যাবের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা চলমান থাকবে। বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্র ও ধর্ম বিরোধী অপপ্রচার-গুজব রোধে র্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম অনলাইনে নজরদারি অব্যাহত রাখছে। আসন্ন ইজমেতাকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্ট করতে কোন ব্যক্তি, স্বার্থান্বেষী মহলের অপচেষ্টা-অপপ্রচার কঠোর ভাবে দমন করতে প্রস্তুত রয়েছে র্যাব।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব ডিজি বলেন, বিশ্ব ইজতেমাকে ঘিরে কোন ধরনের হুমকি বা নাশকতার আশংকা নেই। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে র্যাব। কুচক্রী মহলের অপচেষ্টা, সাইবার আপরাধ ও গুজব রোধে সচেষ্ট থাকবে র্যাব।
মন্তব্য করুন
দেশের ৮টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ৬০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যেতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। তাই সতর্কতা সংকেত তোলা হয়েছে ওই সব এলাকার নদীবন্দরগুলোতে।
সোমবার (১৫ জুলাই) আবহাওয়া অফিস এমন পূর্বাভাস দিয়েছে।
আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানায়, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোতে দেখাতে বলা হয়েছে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত।
মন্তব্য করুন
ময়মনসিংহে বিশেষ অভিযানে আন্ত:জেলা চোরচক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতা করেছে পুলিশ। এ সময় ৫টি মোবাইল ও ৪টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয় তাদের কাছ থেকে।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে। পরে ময়মনসিংহ চিফ জুডিসিয়াল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় তাদের।
এর আগে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দিনভর গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকার জয়দেবপুর সিঁড়ির চালা কাইয়াপাড়া এলাকায় এবং ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলার কসবা থানাধীন গোপীনাথপুর বংশীপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই চোরদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত চোরচক্রের সদস্যরা হলো- ময়মনসিংহ নগরীর বলাশপুর বাঘমারা এলাকার মো. পিয়াল হাসান (২৫), বড়বাড়ী এলাকার মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ (৩০), বলাশপুর পাওয়ার হাউজ কলোনি এলাকার মো. আসাদুল ইসলাম (৩০) এবং ব্রাহ্মনবাড়ীয়া সদর উপজেলার মূছা মিয়া (৩৫)।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, এই চোরচক্রের সন্ধান পাওয়া যায় চুরি হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার অভিযানে নেমে। তারা আন্ত:জেলা চোরচক্রের সদস্য। দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন নাম ঠিকানা ব্যবহার করে ভাসমান অবস্থায় বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করে মোটরসাইকেল চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছেন এ চক্রটি। এই চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারের অভিযান চলমান রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ, জামালপুর ও ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলায় অসংখ্য মামলা চলমান আছে বলেও জানান কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাঈন উদ্দিন।
মন্তব্য করুন
এম এ হান্নান, ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলায় নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের চিহ্নিত মাদক কারবারি মো: শহীদুলের আস্তানায় অভিযান চালায় নৌবাহিনী।
এসময় ১৮৭ বোতল ফেনসিডিল, সাড়ে ২৮ কেজি গাঁজা, ইয়াবা, দেশীয় অস্ত্র ও ৬ এন্ড্রয়েড মোবাইলসহ ০৫ জনকে আটক করা হয়। অভিযানে নৌবাহিনীর সঙ্গে পুলিশ ও র্যাব অংশগ্রহন করে।
পরে আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীদেরসহ জব্দকৃত মালামালসমূহ ভোলা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মন্তব্য করুন