চাঁদপুর জেলার কচুয়ায় জান্নাত আক্তার (৯) নামের এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার রাত ৮টার দিকে পৌরসভার কড়ইয়া গাইন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে সোমবার ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুরের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। জান্নাত আক্তার উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের জাফর খন্দকারের মেয়ে।
জান্নাতের বাবা জাফর খন্দকার জানান, তার স্ত্রী খালেদা আক্তারের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য থাকায় প্রায় দু’ বছর যাবৎ তার স্ত্রী খালেদা আক্তার মেয়ে জান্নাতকে নিয়ে কড়ইয়া গ্রামে তার বাপের বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। এ ঘটনায় তদন্তপূর্বক মূল রহস্য উদঘাটন ও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।
কচুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে চাঁদপুরের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ২৮.৫ কেজি গাঁজাসহ তিনজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
আজ (১৪ নভেম্বর) সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি মডেল থানাধীন বলদাখাল এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে আসামী ১। মোঃ সুয়েল রানা (২৭); ২। মোঃ সোহেল রানা (২০) এবং ৩। মোঃ সোহেল রানা (২৬) নামের তিনজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদের কাছ থেকে ২৮.৫ কেজি গাঁজা ও মাদকদ্রব্য পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি মিনি ট্রাক উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ সুয়েল রানা (২৭) পঞ্চগড় জেলার বোদা থানার উত্তর বগুড়া পাড়া গ্রামের মোঃ জমিনুল ইসলাম টুটুল এর ছেলে, ২। মোঃ সোহেল রানা (২০) একই জেলার তেতুলিয়া থানার আজিজ নগর গ্রামের মোঃ মানিক মিয়া এর ছেলে এবং ৩। মোঃ সোহেল রানা (২৬) একই জেলার বোদা থানার বৈরাতি গ্রামের মৃত সোলাইমান আলী এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত মিনি ট্রাক ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা কর্তৃক চাঁদপুর জেলার সদর থানাধীন তর্পচন্ডী এলাকা থেকে পাসপোর্ট দালাল চক্রের মূলহোতা মোঃ ইয়াসিন (২২) সহ ১৬ জন সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে দেশের প্রচলিত নিয়ম, নীতি অনুসরণ করে পাসপোর্ট প্রাপ্তি সকল নাগরিকের অধিকার। তবে অধিকাংশ সময়ে অসংখ্য ভুক্তভোগী দালাল চক্রের সদস্যকে পাসপোর্ট করতে দিয়ে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার পরেও যথাসময়ে পাসপোর্ট পায়নি মর্মে আমাদের নিকট লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করেন। এসকল অভিযোগ সমূহের সত্যতা যাচাই পূর্বক র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লার একটি টিম ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং দালাল চক্রকে হাতেনাতে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে।
গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল অদ্য ২৩ জুন ২০২৪ইং তারিখ দুপুরে চাঁদপুর জেলার সদর থানাধীন তর্পচন্ডী এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে পাসপোর্ট দালাল চক্রের মূলহোতা সহ ১৬ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
পাসপোর্ট দালাল চক্রের আসামীদেরকে গ্রেফতারকালে তাদের হেফাজত হতে ১৮৩ টি ডেলিভারি স্লীপ, ০৮ টি মোবাইল ও নগদ ৪৫,২০০/- টাকা’সহ পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: ১। মোঃ ইয়াসিন (২২), পিতা-ইলিয়াস, সাং-বিমলের গা, থানা-চাঁদপুর সদর, জেলা-চাঁদপুর; ২। মোঃ মামুন (৩৭), পিতা-হাতেম আলী, সাং-তর্পচন্ডী, থানা-চাঁদপুর সদর, জেলা-চাঁদপুর; ৩। মুনকার আহমেদ রাজ (২২), পিতা- মনির হোসেন, সাং-সুবিদপুুর, থানা-চাঁদপুর সদর, জেলা-চাঁদপুর; ৪। মোঃ তানভীর (২৩), পিতা-হাফেজ, সাং-পালতালুক, থানা-ফরিদগঞ্জ, জেলা-চাঁদপুর; ৫। মোবারক গাজী (৪০), পিতা-ছিটু গাজী, সাং-তর্পচন্ডী, থানা-চাঁদপুর সদর, জেলা-চাঁদপুর; ৬। মোঃ রবিউল আলম (২৮), পিতা-মিজানুর রহমান গাজী, সাং-মধ্য তর্পচন্ডী, থানা-চাঁদপুর সদর, জেলা-চাঁদপুর; ৭। মোঃ শরিফ হোসেন (৩৭), পিতা-মোঃ মুসলিম গাজী, সাং-মির্জাপুর, থানা-চাঁদপুর সদর, জেলা-চাঁদপুর; ৮। মোঃ শাওন (২২), পিতা-মোঃ শাহজাহান প্রধানিয়া, সাং-উত্তর পাইক আচড়া, থানা-চাঁদপুর সদর, জেলা-চাঁদপুর; ৯। মোঃ নুরুল ইসলাম মজুমদার (২৬), পিতা-মৃত আব্দুল বারেক মজুমদার, সাং-সহেদি পাঁচগাও, থানা-চাঁদপুর সদর, জেলা-চাঁদপুর; ১০। মোঃ অমিত হাসান (২৮), পিতা-তাজুল ইসলাম, সাং-মধ্য তর্পচন্ডী, থানা-চাঁদপুর সদর, জেলা-চাঁদপুর; ১১। মোঃ তোফাজ্জল দেওয়ান (৫৫), পিতা-কাশেম আলী দেওয়ান, সাং-দক্ষিণ তর্পচন্ডী, থানা-চাঁদপুর সদর, জেলা-চাঁদপুর; ১২। মোঃ সেলিম (৪০), পিতা-মৃত সিরাজ মিজি, সাং-মধ্য তর্পচন্ডী, থানা-চাঁদপুর সদর, জেলা-চাঁদপুর; ১৩। রানা (৩৭), পিতা-ইব্রাহিম, সাং-মৈশাদি মির্জাপুর, থানা-চাঁদপুর সদর, জেলা-চাঁদপুর; ১৪। সাজ্জাদ (১৯), পিতা-শাহজাহান গাজী, সাং-মৈশাদি মির্জাপুর, থানা-চাঁদপুর সদর, জেলা-চাঁদপুর; ১৫। মোঃ তামিম হোসেন (২৩), পিতা-মোঃ ইমরান মিজি, সাং-মৈশাদি পালকান্দি, থানা-চাঁদপুর সদর, জেলা-চাঁদপুর এবং ১৬। আরমান হোসেন (৩০), পিতা-সাত্তার পাটোয়ারী, সাং-বিশকাটালী, পোঃ রামপুর বাজার, থানা-হাজীগঞ্জ, জেলা-চাঁদপুর।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে গ্রেফতারকৃত আসামীরা সকলেই পাসপোর্ট দালাল চক্রের সক্রিয় সদস্য এবং তারা দীর্ঘদিন যাবৎ পাসপোর্ট তৈরী করে দেওয়ার নাম করে ভূক্তভোগী লোকজনের নিকট থেকে সরকার নির্ধারিত রেট এর অধিক বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিল বলে স্বীকার করে। মূলতঃ তারা সাধারণ মানুষকে সহজভাবে পাসপোর্ট তৈরী করার নাম করে বিভিন্ন এজেন্টের নিকট নিয়ে আসে। এই এজেন্ট গ্রুপ ভুক্তভোগীদের অনলাইন আবেদন ও ব্যাংক ড্রাফট করে দেওয়ার পাশাপাশি দ্রুতসময়ে পাসপোর্ট দিবে বলে ডেলিভারী স্লীপ নিজেদের নিকট রেখে দেয় এবং বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে পাসপোর্ট ডেলিভারী করার নির্দিষ্ট তারিখ নিধারণ করে। এভাবেই তাদের কাছে টাকা জমা দিলে তারা বিভিন্নভাবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জালিয়াতি মাধ্যমে প্রস্তুত করে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করে পাসপোর্ট অফিস থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করে আসছিল বলে মর্মে জানায়।
উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে চাঁদপুর জেলার সদর থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার
হোমনায় প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ফয়সল (২২) কে প্রথমে শ্বাসরোধ পরে জবাই করে
হত্যার দায়ে দুই যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত।
সোমবার
সকাল সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মোঃ
জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
মৃত্যু
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুমিল্লা হোমনা উপজেলার রাজনগর গ্রামের মোঃ ফুল মিঞার ছেলে
মোঃ শামীম মিয়া (২৪) ও একই উপজেলার সাফলেজি গ্রামের মোঃ বেদন মিয়ার ছেলে মোঃ দুলাল
মিয়া (২০)।
মামলার
বিবরণে জানাযায়, হত্যাকাণ্ডের শিকার ফয়সল আসামি
মোঃ শামীম মিয়ার কলেজ পড়ুয়া বোন মেহেদী আক্তার (১৮) এর প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে পূর্ব
পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে ২০২০ সালের ৫ জুন ফয়সল তার মামা নজরুল মিয়ার ছাদে বন্ধুদের
সাথে আড্ডা দেওয়ার সময় তার মোবাইলে আসামি শামীম ফোন করে বলে আমিরুল ইসলাম উচ্চ বালিকা
বিদ্যালয়ের নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ে যাওয়ার জন্য। তখন ফয়সাল কাউকে কিছু না বলে শামীরের
কথামতো মামা বাড়ীর ছাদ থেকে বের হয়ে বাড়ীতে ফিরে না আসায় স্থানীয় লোকজন বিভিন্ন স্থানে
খোজাখুজি করে না পেয়ে নিহতের বৃদ্ধ পিতা মোঃ মকবুল হোসেন হোমনা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি
করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ট্রেকিং এর মাধ্যমে প্রথমে
আসামি মোঃ শামীম মিয়াকে গ্রেফতার করার পর শামীম জানায় প্রথমে গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ
করে এবং পরে ধারালো ছুরিকাঘাতে জবাই করে ফয়সলকে হত্যা করে লাশটি বিদ্যাময়ের মাঠে মাটিতে
পুঁতে রাখা হয়।
এ
ব্যাপারে ২০২০ সালের ১৩ জুন নিহত ফয়সলের বড় বোন হোমনা থানাধীন রাজনগর গ্রামের হারুন
মিয়ার স্ত্রী সালমা আক্তার বাদী হয়ে মোঃ শামীম মিয়াসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে হোমনা
থানায় মামলা দায়ের করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা
এসআই মোঃ শামীম সরকার তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ট্রেকিং এর মাধ্যমে আসামি মোঃ
শামীম মিয়া ও মোঃ দুলাল মিয়াকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে।
তারা
বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। জবানবন্দির সময় শামীম জানান,
২০২০ সালের ৫ জুন দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার সময় ফয়সলকে প্রথমে শ্বাসরোধ পরে জবাই করে হত্যা
করে লাশ মাটির নিচে পুঁতে রাখে। ঘটনার ১২দিন পর গ্রেফতারকৃত আসামি শামীম এর দেখানো
মতে ভিকটিম ফয়সলের অর্ধ গলিত মরদেহ আমিরুল ইসলাম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের মাঠের মাটির
নিচ থেকে হোমনা থানাপুলিশ উদ্ধার করে সূরতাল রিপোর্ট তৈরি করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে
১০জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামিদ্বয়ের প্রদত্ত
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনাক্রমে আসামি মোঃ শামীম মিয়া ও মোঃ দুলাল মিয়া'র
বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড এবং একই সাথে
প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
রায়
ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোঃ শামীম মিয়া ও মোঃ দুলাল মিয়া আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত
ছিলেন।
এ
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষে নিযুক্তীয় বিজ্ঞ কৌশলী অতিঃ পিপি এডভোকেট শেখ
মাসুদ ইকবাল মজুমদার ও মোঃ নূরুল ইসলাম বলেন, আমরা আশা করছি উচ্চ আদালত এ রায় বহাল
রেখে দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন।
অপরদিকে,
আসামিপক্ষে নিযুক্তীয় বিজ্ঞ কৌশলী এডভোকেট বিমল কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, এ রায়ে আসামিপক্ষ
অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ। রায়ের কপি হাতে পেলে শীঘ্রই উচ্চ আদালতে আপীল করবো।
মন্তব্য করুন
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ঈদ সালামি দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্ত্রীর দায়ের কোপে আহত হয়েছেন স্বামী তাইজুল ইসলাম।
আহত স্বামী রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত ঈদের দিন (১১ এপ্রিল) উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের চৌপুতি বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্বামী ও স্ত্রী হাতীবান্ধা থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, ওই এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে তাইজুল ইসলাম ঈদের দিন সকালে তার ভাতিজাদের ২০ টাকা করে ঈদ সালামি দিতে থাকলে তার স্ত্রী রাশেদা বেগম ২০ টাকার পরিবর্তে ১০ টাকা দিতে বলেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর বাগবিতণ্ডা একপর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এ অবস্থায় রাশেদা বেগম দা দিয়ে তার স্বামী তাইজুল ইসলামকে কোপ দেয়। এতে তাইজুলের ঘাড়ের নিচে কেটে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হাতীবান্ধা হাসপাতাল পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। কিন্তু তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় শনিবার সকালে চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এ ঘটনায় স্বামী তাইজুল বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে তাইজুলের স্ত্রী রাশেদা বেগম বলেন, তার স্বামী তাকে মারধর করে ওই দা নিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করেন। এতে তিনি বাধা দিলে ওই দা তার স্বামী ঘাড়ের নিচে লাগে। এ ঘটনায় স্ত্রীও হাতীবান্ধা থানায় পাল্টা একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
হাতীবান্ধা থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) নির্মল চন্দ্র রায় জানান, ঈদের সালামি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মারামারি হয়েছে। এ ঘটনায় উভয়েই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের আলোকে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
মো: মিজানুর রহমান মিনু :
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে চুরির ২৪ ঘন্টার মধ্যে চোরাইকৃত ক্যাবল ও চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি অটোরিকশাসহ আন্তঃজেলা চোরচক্রের ২ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলো; ঘোলপাশা ইউনিয়নের ঈশানচন্দ্রনগর গ্রামের নোয়াব মিয়ার ছেলে মোঃ রাশেদ ও গুণবতী ইউনিয়নের গদানগর গ্রামের ছালেহ আহাম্মদের ছেলে মোঃ শাহজাহান।
শুক্রবার বিকেলে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার সেকেন্ড অফিসার মোঃ আলমগীর হোসেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় অবস্থিত নিপ্রো জেএমআই ফার্মা লিমিটেডের ভাউন্ডারী দেয়ালের ভিতর থেকে বৃহস্পতিবার ভোর রাত সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যে অজ্ঞাতনামা চোর চক্রের সদস্যরা ফ্যাক্টরির নির্মানাধীন নতুন ভবনের বিদ্যুৎ লাইনের কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ ইলেক্ট্রিক ক্যাবল চুরি করে নিয়ে যায়। এরপর ফ্যাক্টরির ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম বাদি হয়ে থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক ছাইদুল ইসলাম তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার ভোরে হাড়িসর্দার এলাকায় অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা চোরচক্রের সদস্য রাশেদ ও শাহজাহানকে আটক করে। এ সময় চোরাই যাওয়া ৩৬ মিটার ক্যাবল ও চোরাইকাজে ব্যবহৃত একটি অটোরিকশা জব্দ করে পুলিশ।
চৌদ্দগ্রাম থানার সেকেন্ড অফিসার মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, চোরাই ক্যাবল ও একটি অটোরিকশাসহ আন্তঃজেলা চোরচক্রের ২ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে শুক্রবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
গভীর
রাতে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়
কম্বল মোড়ানো শিশুটি দেখতে পান পথচারী। এরপর
পুলিশ খবর পেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধারের
পর তার পরিচয় শনাক্ত
করে। তারপর মাকে থানায় ডেকে
নিয়ে শিশুটিকে তার কোলে তুলে
দেওয়া হয়।
পুলিশ
জানিয়েছে, রাস্তায় পড়ে থাকা শিশুটির
নাম মালিহা ইসলাম ওহি। তার বয়স
মাত্র ৯ মাস। তার
মায়ের নাম মরিয়ম বেগম।
গত
৪দিন আগে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর
উপজেলার তোরাবগঞ্জ অগ্রণী স্কুলের ক্যাম্পাস থেকে চুরি হওয়া
তাকে চুরি করে নিয়ে
যায় অজ্ঞাত এক নারী।
শিশু
মালিহার মা মরিয়ম বেগম
বলেন, গতরাত ১২ টার আগ
পর্যন্ত আমরা থানায় ছিলাম।
সেখান থেকে বাড়ি আসার
১০ মিনিটের মাথায় থানা থেকে আমাদের
কাছে ফোন আসে। থানায়
গিয়ে আমার মেয়েকে দেখতে
পাই। পরে আমার কাছে
মালিহাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৪
দিন পর আমার মেয়ে আমার
কোলে ফিরেছে। আমার বুকটা ভরে
গেছে। চুরির সঙ্গে যে নারী জড়িত
তাকে যেন গ্রেপ্তার করে
আইনের আওতায় আনা হয়। আমি
তার বিচার দাবি করছি।
কমলনগর
থানার ওসি (তদন্ত) আবদুল
জলিল বলেন, রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত
আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে
থানার কাছে উপকূল কলেজের
পেছনে মাটির রাস্তা দিয়ে জনৈক পথচারী
ইউছুপ বাড়ি যাওয়ার সময়
কম্বল মোড়ানো একটি শিশুটি দেখতে
পান। তিনি চিৎকার দিয়ে
লোকজন জড়ো করে। পরে
এলাকার লোকজন থানায় খবর দেয়। পুলিশ
গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে এবং তার
পরিচয় নিশ্চিত করে। এর আগে
শিশুর মা থানায় একটি
জিডি করে। সে সূত্রে
পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রাখে।
এদিকে
চুরির সঙ্গে জড়িত নারীকে এখনো
শনাক্ত করা যায়নি।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় ৩০০ বোতল স্কাফ সিরাপ ও ৫০ বোতল ফেন্সিডিলসহ ০১ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল (৩১ জুলাই) ভোরে ব্রাহ্মণপাড়া থানা, কুমিল্লায় কর্মরত এসআই(নিঃ) মোহাম্মদ শাহাবুর আলম সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স গোপন
সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণপাড়া থানার শশীদল এলাকায় আসামীর বসতবাড়ি থেকে ৩০০ বোতল স্কাফ সিরাপ, ৫০ বোতল ফেন্সিডিলসহ
একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী হলো: কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মনপাড়া থানার রামচন্দ্রপুর গ্রামের আবু তাহের এর ছেলে মোঃ রাকিবুল হাসান প্রকাশ রাকিব(২২)।
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে কুমিল্লা এর ব্রাহ্মনপাড়া থানার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে হাফসা আক্তার কাকলী (২৭) নামে এক গৃহবধূকে তার স্বামী পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের শিংলাবো এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর থেকে ওই গৃহবধূর স্বামী সাইফুল ইসলাম শাকিল মোল্লা পলাতক। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ইসমাঈল মিয়া মামুন বাদী হয়ে স্বামী সাইফুল ইসলাম শাকিল মোল্লা, শ্বশুর আব্দুল গণি মোল্লাসহ ৫ জনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
নিহতের বাবা ইসমাঈল মিয়া মামুন জানান, ৬ বছর আগে গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের শিংলাবো এলাকার আব্দুস ছালাম মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলামের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। গত ১ বছর ধরে সাইফুল ইসলাম পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় কাকলী ও তার স্বামী সাইফুল ইসলামের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় কাকলী ছেলে-মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়ি চলে আসার প্রস্তুতি নেয়। এ সময় সাইফুল ইসলাম ও কাকলীর মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে সাইফুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যরা কাকলীকে পিটিয়ে জখম করে। কাকলীর ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় প্রাইভেট হাসপাতাল ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠিয়ে দেন। পরে রাতে চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে কাকলীর স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যায়।
তাদের সংসারে সাইফা আক্তার (৫) নামে একটি মেয়ে সন্তান ও আবদুল্লাহ (২) নামে এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
রূপগঞ্জ থানার ওসি দীপক সাহা জানান, এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।
মন্তব্য করুন
লালমনিরহাটে
সুড়ঙ্গ খুঁড়ে সোনালী ব্যাংক শাখা ডাকাতির চেষ্টা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার
(২৭ জানুয়ারি) দিনগত রাত ১২টার দিকে সদর উপজেলার বড়বাড়ি সোনালী ব্যাংক শাখায় এ
ঘটনা ঘটে।
তবে ব্যাংকের টাকা খোয়া গেছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে
সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ
ও স্থানীয়রা জানান, ব্যাংকের পেছনের দেয়ালের নিচে একটি সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ব্যাংকে ঢোকার
চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। তবে ব্যাংকে কর্মরত চতুর্থ শ্রেণির একজন কর্মচারী বিষয়টি
বুঝতে পেয়ে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। এতে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। খবর
পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ ব্যাংকের কর্মকর্তারা ছুটে আসেন। ব্যাংক থেকে টাকাসহ
অন্যকিছু খোয়া গেছে কিনা তা জানতে অনুসন্ধান চালাচ্ছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও
সেনাবাহিনী।
লালমনিরহাট
সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নূরনবী জানান, তদন্ত চলছে। তদন্ত
সম্পূর্ণ হলে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে। তবে টাকা খোয়া যাওয়ার কোনো তথ্য এখন
পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া ॥
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পালাখাল গ্রামে অবস্থিত মাদরাসাতুল কুরআন ওয়াসসুন্নাহ ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীদের সবক প্রদান ও দোয়া অনুষ্ঠান হয়েছে। বুধবার মাদ্রাসা মিলনায়তনে কুরআনের পাখিদের দ্বীনি শিক্ষার আলোকে তাদের সবক প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষার্থীদের সবক প্রদান করেন, মুন্সীগঞ্জ দারুত তাকওয়া আরাবিয়া কাহেতারা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা মাহমুদুল হাসান।
মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ ক্বারী শিব্বির আহমেদের সার্বিক পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বয়ান রাখেন, নারায়নগঞ্জ জামিয়া আবু বকর ইসলামিয়া মক্কিনগর মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা আশেক এলাহী ও ঢাকার ডেমরার দাওয়াতুল কুরআন মাদরাসার শিক্ষক মো. ইব্রাহিম সহ আরো অনেকে। এসময় কচুয়া ডাকবাংলো ঈদগাঁ বড় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সানি ইমাম আবু বকর সিদ্দিক সহ মাদ্রাসার শিক্ষক,অভিভাবক,শিক্ষার্থীসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। পরে সবক শেষে মঙ্গল কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
উল্লেখ্য যে, শিক্ষার্থীদের উদ্ধুদ্ধ করতে মাদ্রাসার আয়োজনে এমন উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও জানান মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন