মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
৫২ কেজি গাঁজাসহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ।
আজ
(৬ জানুয়ারী) রাতে কোতয়ালী মডেল থানায় কর্মরত এসআই(নিঃ) শেখ মফিজুর রহমান ও সঙ্গীয়
ফোর্স সহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন ৪নং আমরাতলীর
বাসমঙ্গল চৌমুনী পাকা রাস্তায় ৫২ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ রাফিন ফার রহমান প্রঃ
মাটি(২৫) কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত
আসামী হলো: মোঃ রাফিন ফার রহমান প্রঃ মাটি(২৫), পিতা মৃত-শাকিল আহম্মেদ প্রঃ নিজাম
উদ্দিন, মাতা-মরিয়ম বেগম প্রঃ মারিয়া আক্তার, সাং-কুচাইতলী (মধ্যপাড়া, লিটন মেম্বারের
বাড়ী সংলগ্ন), থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা- কুমিল্লা।
উক্ত
ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ৭৬ কেজি গাঁজা’সহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানাধীন বাগরা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
অভিযানে আসামী ১। মোঃ রাশেদ মিয়া (২৪) ও ২। সাইফুল আব্বাস (২২) নামক ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ৭৬ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত ০১ টি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারা বাজার থানার আলমখালী গ্রামের মৃত মনির হোসেন এর ছেলে মোঃ রাশেদ মিয়া (২৪) এবং চট্টগ্রাম জেলার কর্ণফুলী জেলার দুহিনকুল গ্রামের আলী আব্বাস টিটু এর ছেলে সাইফুল আব্বাস (২২)।
আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত কাভার্ড ভ্যান ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে সুনামগঞ্জ, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে।
র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে বিনম্র শ্রদ্ধায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন, সকাল ১০.২০ টায় কালো ব্যাজ ধারণ ও শোক র্যালি, সকাল ১০.৪০ টায় বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা এবং বাদ যোহর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
শহীদ মিনারে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মাসুদা কামাল বলেন, আজকের দিনটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সাধারণভাবে জানি, সমাজের দু’টি শ্রেণি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি হচ্ছে ধনী শ্রেণি, আরেকটি হচ্ছে জ্ঞানী বা বুদ্ধিজীবী শ্রেণি যাদেরকে সাধারণ মানুষ অনুসরণ করে। বুদ্ধিজীবীরাই একটি সমাজ ও জাতির বিবেককে জাগ্রত করে রাখেন। আমাদের শত্রুরা পরিকল্পনা করেছিলেন, এই দুই শ্রেনিকে ধ্বংস করে দিতে পারলেই একটি জাতি ও সমাজকে ধ্বংস করে দেয়া যাবে।আমরা সেই সকল বুদ্ধিজীবী যাদেরকে ৭১-এ হত্যা করা হয়েছে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
এই দুই শ্রেণি ছাড়াও আরও একটি শ্রেণি আছে, সেটি হলো যুব সমাজ যেটি আমরা জুলাই বিপ্লবে দেখলাম। তারা ঐক্যবদ্ধভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে আমাদের সমাজের পরিবর্তন এনেছে। সেই সকল শহীদদের প্রতিও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করছি এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
শোক র্যালি ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হাকিম সহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) কুমিল্লা সেক্টর এর উদ্যোগে কুমিল্লায় গোমতী নদী তীরবর্তী বন্যাদুর্গত অসহায় মানুষদের উদ্ধার ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ ও নদী রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে ।
২২ আগস্ট ২০২৪, বৃহস্পতিবার কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর অধীন এ বিবির বাজার বিওপির দায়িত্বপূর্ণ গোমতী নদীর তীরবর্তী বন্যাদুর্গত এলাকার অসহায় মানুষদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদে পৌঁছে দেয়ার কাজ করছে বিজিবি।
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর আরাফাত হোসেন অনি এ ব্যাপারে জানানোর পাশাপাশি আরো বলেন, বিজিবির উদ্যোগে বন্যাদুর্গত অসহায় মানুষদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রীও বিতরণ করা হচ্ছে।
এছাড়া গোমতী নদীর তীরে ফাটল দেখা দিলে নদীর ভাঙ্গন রোধে স্থানীয় জনসাধারণকে সাথে নিয়ে বালুর বস্তা ফেলে বাঁধ নির্মাণ করছে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) সদস্যরা।
মন্তব্য করুন
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি আজ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪) ৩৩ পদাতিক ডিভিশন ও কুমিল্লা এরিয়া পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে সেনাবাহিনী প্রধান কুমিল্লা সেনানিবাসে কর্মরত সকল পদবির সেনাসদস্যদের উদ্দেশ্যে দরবার নেন এবং তাঁর দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। পরে তিনি সকল পদবির সেনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে 'অফিসার্স অ্যাড্রেস' গ্রহণ করেন।
এসময় তিনি তাঁর মূল্যবান বক্তব্যের শুরুতেই শহিদ লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
তিনি বলেন, দেশমাতৃকার সেবায় তরুণ সাহসী এই সেনা কর্মকর্তার আত্মত্যাগ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাঁর জন্য গর্বিত। এরপর সকলের উদ্দেশ্যে দেশের চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির উপর আলোকপাত করে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। পাশাপাশি তিনি আর্মি মেডিকেল কলেজ কুমিল্লা এবং ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ এর কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এসময় জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ৩৩ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার কুমিল্লা এরিয়া, সেনাসদরের চিফ কনসালটেন্ট জেনারেল, অ্যাডহক সিএসসি'সহ সেনাসদর ও কুমিল্লা এরিয়ার উর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাগণ, জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার ও অন্যান্য পদবির সৈনিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
ভারতীয় সীমান্তে পাচারের সময় ৪৪০ কেজি
ইলিশ মাছ জব্দ করেছে বিজিবি।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত
করেছেন ৬০ বিজিবির অধিনায়ক এ এম জাবের বিন জব্বার।
তিনি বলেন, প্রথম প্রহরে কুমিল্লা জেলার
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী মনোরা নামক স্থানে পাওয়া যায় এসব ইলিশ।
তিনি জানান, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সীমান্ত
পিলার ২০৫৭২-এস হতে ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মনোরা নামক স্থানে এসব ইলিশ পাওয়া
যায়৷ এসময় কাউকে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, বিজিবি আসার খবরে এসব ইলিশ ফেলে পালিয়ে
যায় চোরাকারবারিরা।
৪৪০ কেজি ইলিশ মাছের মূল্য ৯ লাখ ৬৮
হাজার টাকা। ইলিশগুলো বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর বুড়িচংয়ের আনন্দপুর
সীমান্তে সাড়ে ৬০০ কেজি ইলিশ জব্দ করেছিলো বিজিবি।
মন্তব্য করুন
সারাদেশের মতো কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের
অধীনে ৬ জেলার কলেজগুলোতে আজ রোববার (৩০ জুন) অনুষ্ঠিত হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট
(এইচএসসি) পরীক্ষা।
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে,
কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০২৪ সালে এইচএসসি পরীক্ষায়
৬ টি জেলায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ১৩ হাজার ২৯০ জন। এর মধ্যে ছেলে পরীক্ষার্থী
৪৮ হাজার ৪৭১ জন এবং মেয়ে পরীক্ষার্থী ৬৪ হাজার ৮১৯ জন। এ ক্ষেত্রে দেখা যায়, ছেলেদের
তুলনায় মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৩৪৮ জন বেশি।
কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর,
চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৪৩২টি কলেজের শিক্ষার্থীরা ১৯৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষায়
অংশগ্রহন করেছেন।
কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক
শিক্ষা বোর্ডের প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণে পাওয়া গেছে, বোর্ডে সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার্থীর
সংখ্যা কুমিল্লা জেলায়। এখানে ১৬৩টি কলেজের ৩৯ হাজার ৪৯২ জন। নোয়াখালী জেলায় ৫৫টি কলেজের
পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৯হাজার ৭৮৯ জন, ফেনী জেলায় ৪২ কলেজের ১১ হাজার ৮০ জন, লক্ষ্মীপুর
জেলায় ৪০টি কলেজের ১১ হাজার ৩৪৮ জন, চাঁদপুর জেলায় ৬৭টি কলেজের ১৬ হাজার ২৩২ জন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া
জেলায় ৬৫টি কলেজের ১৫ হাজার ৩৫৯ জন শিক্ষার্থী এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষায় এই তিন বিভাগের মধ্যে মানবিকে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক
পরীক্ষার্থী এবার অংশ নিচ্ছেন। মানবিক বিভাগে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫২ হাজার ৪১৪ জন,
বিজ্ঞান বিভাগে ২৮ হাজার ৯২ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৩২ হাজার ৭৪৮ জন।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা
নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ৬ জেলায়
ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছে। পরীক্ষার্থী কিংবা পরীক্ষক যারাই কোনো অনিয়মের সঙ্গে
জড়িত হবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক
শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. নিজামুল করিম বলেন, নানা সামাজিকও আর্থিক
কারণে মেয়ে পরীক্ষার্থী বেড়েছে এবং ছেলে পরীক্ষার্থী সংখ্যা কমেছে। বিশেষ করে এখন ছেলেরা
কম বয়সেই এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেই কর্মসংস্থানে যুক্ত হচ্ছে আবার অনেকে বিদেশ চলে
যাচ্ছে। আর এসব কারণেই মেয়েদের অংশগ্রহণ বেশি।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলায় বিদ্যুৎস্পর্শে
পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় জহিরুল ইসলাম (২৮) ও মো: মনির হোসেন (২৩) নামে দুই শ্রমিককের মৃত্যু
হয়েছে। এ সময় আরও দুই শ্রমিক আহত হয়। আহতরা দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
চিকিৎসাধীন।
নিহত জহিরুল ইসলাম উপজেলার ইউসুফপুর
ইউনিয়নের এগারগ্রামের মো: সহিদ মিয়ার ছেলে ও মনির হোসেন মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার
থানার টনকি ইউনিয়নের সোনারামপুর গ্রামের মো: আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
জানা গেছে, গত শনিবার বিকেল ৫টার দিকে
উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের মোগসাইর গ্রামের রঞ্জিত দাসের পুকুরে ত্রুটিযুক্ত সেচ পাম্পের
ইলেকট্রিক মোটর মেরামত করতে গিয়ে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে পুকুরের পানিতে বিদ্যুৎতায়িত
হয়ে ঘটনাস্থলেই জহিরুল ইসলামের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে দেবিদ্বার থানা পুলিশ জহিরুলের
লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার (১০
জুন) বিকাল ৩টার দিকে পৌরসভার চান্দিনা রোডে হিলফুল ফুজুল স্কুলের পাশে সৌদী প্রবাসী
জসিম উদ্দিনের নির্মাণাধীন ভবণের চারতলা ভবনে রশিতে লোহার রড বেঁধে উপরে তোলার সময়
পাশে থাকা ফোর ফোরটি বৈদ্যুতিক লাইনের তারে লেগে মনির হোসেনসহ আরও তিন শ্রমিক আহত হয়।
পরে তাদের উদ্ধার করে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক
মনির হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহত শ্রমিক শাকিল ও সাগর বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
নিহত মনিরের স্ত্রী রোজিনা আক্তার জানান,
গত ২ বছর ধরে চান্দিনা রোডের একটি ভাড়া বাসায় থেকে নির্মাণ শ্রমিককের কাজ করত আমার
স্বামী। রোববার বিকেলে কাজের ফাঁকে বাসায় এসে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবার কাজে যায়। আমার
দুই বছর ও ১০ মাসের দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে। আমি এ সন্তানদের নিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছি।
দেবিদ্বার থানার ওসি মো: নয়ন মিয়া বলেন,
বিদ্যুৎস্পর্শে পৃথক দুই ঘটনায় দুইজন মারা গেছেন। তাদের লাশ সুরতহাল শেষে থানায় নিয়ে
আসা হয়েছে। এ ঘটনায় দেবিদ্বার থানায় পৃথক দুটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় তিনদিন ব্যাপী জাতীয় পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে কান্দিরপাড় টাউন হল মাঠে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় জাতীয় পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানটি প্রতিদিন বিকেল তিন টা থেকে রাত নয় টা পর্যন্ত চলবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর উদ্যোগে কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার মনোহরগঞ্জ থানার নাথেরপেটুয়া অঞ্চলে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার ২৮ আগস্ট কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি টিম নিয়ে সেখানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা গিয়েছে বন্যা দুর্গত অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করার জন্য।
সাম্প্রতিক সময়ে বন্যা কবলিত হয়েছে অনেকগুলো অঞ্চল। সবগুলো জায়গাতেই ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ভাবে যাওয়ার পরিবেশ এবং রাস্তা প্রতিকূল হওয়াতে অনেকেই সঠিকভাবে ত্রাণ নিয়ে সেখানে পৌঁছাতে পারছে না।
পাশাপাশি অধিকাংশ মানুষ এই জায়গায় মানুষের দুরবস্থা সম্পর্কে ধারণা না থাকাতে এই অঞ্চলের মানুষকে অত্যধিক পরিমাণে সাহায্যের অভাবে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে।
আজকের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী এই অঞ্চলে পানির স্রোত নেই কিন্তু পানির উচ্চতা দুই পুরুষ সমান। নৌকা আছে কিন্তু ত্রাণ বেশি আসছে না।
যদিও বা কেউ ত্রান নিয়ে আসছে কিন্তু ভিতরে গ্রামগুলো পর্যন্ত সেগুলো পৌঁছাচ্ছে না।
এ বিষয়ে সকলের সহযোগিতাপূর্ণ দৃষ্টি এই অঞ্চলের বন্যা দুর্গত মানুষের
কষ্ট লাঘবে সহায়ক হবে।
মন্তব্য করুন