কুমিল্লায় অভিনব কৌশলে মিনি পিকআপে
করে মাদক পরিবহনকালে ৪৮ কেজি গাঁজাসহ পাঁচজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১
সিপিসি-২।
আজ সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানাধীন
চান্দিনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে অভিনব কৌশলে
মিনি পিকআপের পিছনে মাছ রাখার ড্রামের মধ্যে লুকিয়ে গাঁজা পরিবহণের সময় আসামী ১। মোঃ
দিপু , ২। কামরুল ইসলাম , ৩। মোঃ ছুটন মিয়া , ৪। শিপন এবং ৫। মোঃ মাহফুজ নামের পাঁচজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদের কাছ থেকে ৪৮ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ
কাজে ব্যবহৃত একটি মিনি পিকআপ উদ্ধার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো- ১। মোঃ দিপু
(২৭) বি.বাড়িয়া জেলার কসবা থানার কাইয়ুমপুর গ্রামের আইয়ুব খান এর ছেলে; ২। কামরুল ইসলাম
(৩০) কুলনা পাথর গ্রামের মৃত জামাল হোসেন এর ছেলে; ৩। মোঃ ছুটন মিয়া (৩০) কামালপুর
গ্রামের মৃত মকবুল হোসেন এর ছেলে; ৪। শিপন (৩০) নোয়াগাঁ গ্রামের টুনু মিয়া এর ছেলে
এবং ৫। মোঃ মাহফুজ (২৪) কামালপুর গ্রামের বাছির মিয়া এর ছেলে।
র্যাব
জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ
করে কুমিল্লা সহ অন্যান্য জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা
মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়াতে তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন
অভিনব কৌশল অবলম্বন করে মাদকদ্রব্য পরিবহণ করতো। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক
অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে
র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা
গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ৮ কেজি ৫শত গ্রাম গাঁজা ও ৩০১ বোতল ফেন্সিডিলসহ
দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
২৩ ডিসেম্বর রাতে
র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার
কোতয়ালী মডেল থানাধীন আমতলী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে
আসামী ১। মোঃ সোহেল এবং ২। মোঃ আমির হোসেন নামের দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।
এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ৮.৫ কেজি গাঁজা, ৩০১ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক পরিবহণ কাজে
ব্যবহৃত একটি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা
হলো- ১। মোঃ সোহেল (২৬) লক্ষীপুর জেলার রামগতি থানার চরমেহার গ্রামের আব্দুল মমিন এর
ছেলে এবং ২। মোঃ আমির হোসেন (৩১) নারায়নগঞ্জ জেলার সদর থানার সৈয়দপুর গ্রামের মোঃ রমজান
আলী এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা
দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত কাভার্ড ভ্যান ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে
মাদকদ্রব্য গাঁজা ও ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী
ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী
ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির
বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ
ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
মো মিজানুর রহমান মিনু :
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২৫ কেজি গাঁজাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক আলমগীর হোসেন।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার গভীর রাতে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের পাতড্ডা, কালিকসার মাদরাসা রাস্তার মাথা এলাকায় ২৫ কেজি গাঁজাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে।
এ সময় মাদক পরিবহনকাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়।
মন্তব্য করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কবি সাহিত্যিকেরা বলে গেছেন, যদি কখনো মনের ব্যামো হয়, তাহলে আবহাওয়ার বদল করতে হয়। সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাহিত্যের অঙ্গনে ছেলেমেয়েরা কবি সাহিত্যিকদের দেয়া সেই প্রেসক্রিপশনই অনুসরণ করলেন। তাইতো তারা নিয়মিত ক্লাস, এসাইনমেন্ট, পরীক্ষার একঘেয়েমি থেকে হাঁফ ছেড়ে বাঁচার জন্য বান্দরবানের প্রকৃতি থেকে ঢু মেরে আসলো।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ রাতে প্রকৃতির অনন্য নিদর্শন বান্দরবানের এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষাসফরের শুভকামনা এবং সাময়িক বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আলী হোসেন চৌধুরী।
দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি ভোরে শিক্ষাসফরের বাসটি বান্দরবান পৌঁছায়। সেখান তারা অপরূপ সৌন্দর্যে বেষ্টিত মেঘবাড়ি রিসোর্টে অবস্থান নেন। পাহাড় ঘেরা সবুজ মেঘের রাজ্যে সবাই মিলে একসাথে তাদের সকালের নাস্তা শেষ করেই তারা বেড়িয়ে পড়েন প্রকৃতির টানে। চাঁদের গাড়িতে করে পাহাড়ের বুক চিড়ে তারা ছুটে চলে নীলগিরি আর নীলাচলের দিকে। পথিমধ্যে তারা বিভিন্ন ঝর্ণা, এবং পাহাড়ী ছড়ার মায়াবী সৌন্দর্য উপভোগ করে। উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ এর কথা মাথায় রেখেই “considers man and nature as essentially adapted to each other, and the mind of man as naturally the mirror of the fairest and most interesting properties of nature.” তারা গিরিবালার সৌন্দর্য অবলোকন করেছেন, সেখানকার ইতিহাস আর সংস্কৃতি সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। শুধু পাহাড় দেখেই তারা তৃপ্ত হয়নি, ফিরতি পথে তারা সমুদ্র সৈকতে (পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত) তাদের পদচিহ্ন এঁকে দিয়ে এসেছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ট্রেন দূর্ঘটনায়
মিম নামে এক স্কুল ছাত্রী নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল সাড়ে ৯টায়
সদর রসূলপুর স্টেশন মাজারগেইট এলাকায় এই দূর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর থেকে ওই রেললাইনে অবস্থান
করছেন স্কুলের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। এ অবরোধের কারণে রসুলপুর স্টেশনে আটকে আছে ঢাকাগামী
মহানগর প্রভাতী ট্রেন।
ট্রেন দূর্ঘটনায় নিহত মিম (১৫) রসুলপুর
উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্কুলে যাওয়ার
সময় মাজার গেট দিয়ে রেললাইন পার হচ্ছিল শিক্ষার্থী মিম। সে সময় ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস
ও চট্টগ্রামগামী পর্যটন এক্সপ্রেস ক্রস করছিল। ওই শিক্ষার্থী একপাশের ট্রেন দেখলেও
অপরপাশের ট্রেনটি না দেখায় কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। ঘটনার পর থেকে অবরোধ শুরু
করে শিক্ষার্থীরা।
কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির
ইনচার্জ মোস্তফা কামাল বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। তবে শিক্ষার্থীরা কেন রেললাইন অবরোধ
করেছে তা জানি না। তাদের সঙ্গে কথা বলছি আমরা। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত পরে বলা যাবে।
মন্তব্য করুন
বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রেখে আন্দোলনের নামে গ্রাহক ভোগান্তি, রাষ্ট্রবিরোধী আচরণ ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা করার অভিযোগে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর ১৫৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিল্টন ঘোষ ওই মামলা করেন। মামলায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আসামি করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে আন্দোলন করে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে লাখ লাখ গ্রাহক চরম ভোগান্তির শিকার হয়।
আটককৃতরা হলেন- কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার বাইমানা গ্রামের নূরুল আনোয়ারের ছেলে সহিদুল ইসলাম (২৬), চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার কামানকান্দি মাথাভাঙ্গা গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে নূর মোহাম্মদ (২৮), চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারি উপজেলার খন্দকিয়া গ্রামের সিকদার চৌধুরীর ছেলে ফয়সাল চৌধুরী (৩৭), নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার পবনপুর তারাবো গ্রামে ফরিদ উদ্দিনের ছেলে তানভীর আহমেদ (৩৩), ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলা সদরের খায়রুল কবিরের ছেলে মিজানুর রহমান সাগর (৩০)। তারা সকলে চান্দিনাস্থ কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর কর্মকর্তা।
সন্ধ্যার পর দ্বিতীয় দফা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আন্দোলন করাকালে চান্দিনার পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেড়াও করে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা। এ সময় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আটক করে। পরে দায়ের হওয়া মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: নাজমুল হুদা জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনকালে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে টানা ৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় আন্দোলনকারীরা। এতে সমিতির আওতাধীন চার উপজেলার লাখ লাখ গ্রাহকের ভোগান্তি দেখা দেয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ আমরা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে তাদের সাথে আলোচনা করে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করি। সন্ধ্যার পর আবারো তারা দুই ঘণ্টারও বেশি সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়ায় এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর কার্যালয় ঘেড়াও করে। এ সময় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে নাশকতা, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম পরিচালিত করায় ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কর্মকর্তা মামলা করেন। ওই মামলায় তাদেরকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল, কুমিল্লা:
চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং অপরাধ প্রতিরোধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনায় আজ মোবাইল
কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।
অভিযানটি পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার
(ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সরওয়ার লিমা। তাকে সহায়তা করেন চৌদ্দগ্রাম
থানা পুলিশের একটি টিম।
মোবাইল কোর্টের আওতায় মিয়া বাজার এলাকার
চারটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- গ্রামীণ রেস্তোরাঁ এন্ড সুইটস,
ঈশিতা সুইটস এন্ড কনফেকশনারি, আফতাব সুইটস এন্ড কনফেকশনারি এবং হীরা সুইটস এন্ড কনফেকশনারি।
অভিযানে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিএসটিআই লাইসেন্স,
সঠিক ওজন-পরিমাপ, মূল্য তালিকা এবং খাদ্যসামগ্রীর গায়ে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ
উল্লেখ রয়েছে কিনা তা যাচাই করা হয়।
এ সময় দেখা যায়, তিনটি প্রতিষ্ঠানে (গ্রামীণ, ঈশিতা ও হীরা সুইটস) বিএসটিআই লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও মিষ্টি ও দই জাতীয় খাদ্যপণ্য প্রস্তুত ও বিক্রি করা হচ্ছে।
আফতাব সুইটসে টোস্ট ও ব্রেডের জন্য
বিএসটিআই অনুমোদন থাকলেও মিষ্টিজাত পণ্যের জন্য কোনো লাইসেন্স নেই।
কোনো প্রতিষ্ঠানেই ওজন-পরিমাপ যন্ত্রের
ক্যালিব্রেশন সার্টিফিকেট নেই। মিষ্টিজাত দ্রব্যসামগ্রীর মোড়কে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের
তারিখ অনুপস্থিত।
উল্লেখিত অপরাধসমূহের প্রেক্ষিতে মোবাইল
কোর্ট আইন, ২০০৯ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী অভিযুক্ত চারটি প্রতিষ্ঠানকে
মোট ২৮,০০০ টাকা জরিমানা করা হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে তা আদায় করা হয়।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জনস্বার্থে
এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহতের ২৬ ঘণ্টা পর বাংলাদেশি যুবক কামাল হোসেনের (৩৩) মরদেহ তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভারতের এনসি নগর কোম্পানি কমান্ডার সুনীল কুমার বিজিবি-পুলিশের কাছে এ মরদেহ হস্তান্তর করে।
নিহত যুবক কামাল হোসেন (৩৩) সোমবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পাহাড়পুর সীমান্তে গেলে ভারতীয় বিএসএফ তাকে গুলি করে। কামাল ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করে।
নিহত কামাল হোসেন সদর দক্ষিণ উপজেলার জোলাই কুড়িয়াপাড়া গ্রামের ইদু মিয়ার ছেলে।
নিহত কামাল হোসেনের বড় ভাই হিরন মিয়া মরদেহ দেখে জানান, ‘আমার ভাই ঘুমে ছিল। লাদেন কামাল বাড়ির ভিতর আইসা ২ বার ডাকি নিয়ে গেছে। ৮ টার দিকে শুনছি, আমার ভাইরে বিএসএফ গুলি করে মারছে। সোমবার সন্ধ্যার দিকে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা পরে বিএসএফ ভারতীয় একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে কামালের মরদেহ নিয়ে যায়। যশপুর বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডারের সঙ্গে মরদেহ আনার বিষয়ে যোগাযোগ করলে তারা এখন আমাদের নিকট মরদেহ বুঝিয়ে দেয়।
নিহতের ফুফাতো বোন খোরশেদা জানান, আমার ভাইকে যারা সীমান্তে নিছে তাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হোক।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার এসআই দিলীপ কুমার মজুমদার বলেন, মরদেহ আমরা গ্রহণ করে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছি। তারা বলছিল দ্রুত সময়ে মরদেহ দাফন করে ফেলবে।
কুমিল্লার ১০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত সিইউ মেজর আরাফাত বলেন, পুলিশ মরদেহ গ্রহণ করে। বিএসএফ এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে। পরবর্তীকালে এমন ঘটনা ঘটবে না। যদি করে আমরা বিজিবিও সমুচিত জাবাব দিতে প্রস্তুত। গুলিতেই সে নিহত হন। তারা হত্যা না করে আমাদের নিকট তাকে ধরিয়ে দিতে পারতো। এ হত্যাটি কোনভাবেই কাম্য নয়।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতি ও প্রত্নতত্ত্ব
বিভাগের যৌথ উদ্যোগে প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১৬ মে) সকাল ১০ টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সম্মেলন শুরু হয়। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের হল রুমে দুই দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান চলবে।
সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য
অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর
ড. মোহাম্মদ সোলায়মান। আরও উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোহরাব
উদ্দিন এবং বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সুরমা জাকারিয়া চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম।
সম্মেলনে উপস্থিত গুণী ও পণ্ডিত ব্যক্তিদের স্বাগত জানিয়ে প্রধান অতিথির
বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কেবল শিক্ষাদানের
জায়গা নয়। এখানে দুটি কাজ হয়, একটি জ্ঞান সৃষ্টি, আরেকটি জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়া। আজকের
আয়োজন জ্ঞান সৃষ্টি ও ছড়িয়ে দেওয়া। এর মাধ্যমে উপকৃত হবে আমাদের ছাত্র ও উপস্থিত সকলেই।
তিনি আরও বলেন, প্রত্নতত্ত্ব কেবলমাত্র অতীতের উপাত্ত সংগ্রহের একটি
পন্থা নয়, বরং এটি আমাদের সভ্যতার ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং সামাজিক বিকাশের এক অমূল্য
দৃষ্টান্ত। আমাদের দেশের সমৃদ্ধ প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যকে চিহ্নিত করা এবং তা বিশ্বমঞ্চে
তুলে ধরা আমাদের সকলের একান্ত দায়িত্ব।
ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, পুরনোকে নতুনভাবে উপস্থাপন
না করে, পুরনোকে পুরনোভাবে রেখে ইতিহাসকে খোঁজা, সহযাত্রী হওয়া, শিক্ষা নেওয়া, উপস্থাপন
করা, লালন করা এবং আত্মস্থ করা প্রত্নতত্ত্বের জ্ঞান। আমরা ছাত্রজীবনে এই পাঠগুলো পাইনি,
যার ফলে একটা বড় গোষ্ঠী এগুলো নিয়ে সচেতন নয়। আমরা জাতি হিসাবে পিছিয়ে আছি, কেননা আমাদের
এই জিনিসগুলো নিয়ে আমরা সচেতন নই।
তিনি আরও বলেন, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের এক যুগ পূর্তিতে এই আয়োজন আন্তর্জাতিক
মানসম্পন্ন জ্ঞান বিনিময় প্লাটফর্ম তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। এই সম্মেলনের মাধ্যমে শুধু
গবেষণার গুণগত মানই বৃদ্ধি পাবে না, বরং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে দেশি এবং বিদেশি
গবেষকদের আন্তঃসম্পর্ক তৈরি করবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম বলেন, আমার কাছে মনে হয়,
ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে কষ্টিপাথরে যাচাই করা জ্ঞান সৃষ্টি করে প্রত্নতত্ত্ব। আমরা
যদি ইতিহাসকে বিভিন্ন লেয়ারে ভাগ করি, প্রাচীণ, মধ্য, আধুনিক, তাহলে ফাউন্ডেশন লেয়ারে
আমরা প্রত্নতত্ত্বকে পাবো।
তিনি আরও বলেন,বাংলাদেশে ময়নামতি সংক্রান্ত বিষয় জানতে পারার জন্য ময়নামতির
কাছে এসে এই সম্মেলন হওয়ায় আমরা কৃতার্থ। এই যে
ল্যান্ড অফ ভ্যারাইটিজ যেখানে বিভিন্ন ঐতিহাসিক বিষয় আছে, সেখানে আসতে পেরে
আমরা আসলেই গর্বিত।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সহকারী অধ্যাপক মুতাসিম বিল্লাহ এবং অনুষ্ঠানে
স্বাগত বক্ত্য রাখেন বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সুরমা জাকারিয়া
চৌধুরী।
উল্লেখ্য, সম্মেলনে দেশি-বিদেশি শিক্ষক, প্রত্ন-গবেষক ও শিক্ষার্থীদের
শতাধিক প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে।
মন্তব্য করুন
রোহিঙ্গা
নাগরিকের ভুয়া পাসপোর্ট তৈরীতে সহায়তাকারী আরো ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৪ টি পাসপোর্টসহ
অন্যান্য কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়।
গত
১৬ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় রুজুকৃত রোহিঙ্গা নাগরিকের পাসপোর্ট তৈরির
মামলা সংক্রান্তে গ্রেফতারকৃত মুল আসামী রোহিঙ্গা নাগরিক মোঃ ইয়াছির(১৯) কে বিজ্ঞ
আদালতে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ আদালতে সে তাকে সহায়তাকারী ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করে জবানবন্দি
প্রদান করে। উক্ত জবানবন্দির সুত্র ধরে কুমিল্লা ডিবি ও কোতয়ালী থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে
অত্র মামলার এজাহারনামীয় ৪ নং আসামী ফয়সাল মিয়া(২৬)কে সহ অত্র মামলায় সন্দিগ্ধ আসামী
মোশারফ(৩৫) ও শরীফ(২৫) কে গ্রেফতার করা হয়। এজাহারনামীয় আসামী ফয়সাল মিয়া(২৬) কে রিমান্ডের আবেদনসহ বিজ্ঞ
আদালতে প্রেরণ করা হয়। আসামী মোশারফ(৩৫)কে কুমিল্লা কোতয়ালী থানাধীন নোয়াপাড়া এলাকা
হতে গ্রেফতারকালে তার প্রতিষ্ঠান আল-মদিনা ট্যুর এ্যান্ড ট্রাভেলস হতে ৬ টি ভুয়া পাসপোর্ট
ও পাসপোর্ট জমার স্লিপ উদ্ধার করা হয়।
এ
সংক্রান্তে কোতয়ালী মডেল থানায় পাসপোর্ট আইনে আলাদা একটি মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।
ভুয়া পাসপোর্ট তৈরিতে সহায়তাকারী অপর আসামী কম্পিউটার অপারেটর শরীফ(২৫) কে মুরাদনগর
কোম্পানীগঞ্জ এলাকায় নকিব ট্রাভেলস হতে গ্রেফতারকালে তার প্রতিষ্ঠান হতে ৮ টি ভুয়া
পাসপোর্ট ও কিছু পাসপোর্ট জমার কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়। অভিযানকালে প্রতিষ্ঠানের মালিক
নাসির উল্ল্যাহ(২৮) কৌশলে পালিয়ে যায়। এ সংক্রান্তে গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামীদ্বয়ের
বিরুদ্ধে মুরাদ নগর থানায় পাসপোর্ট আইনে অপর একটি মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে সিএনজি চালক রাসেলকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে দুই যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত।
২১ এপ্রিল রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম শুভপুর গ্রামের মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে গিয়াসউদ্দিন প্রঃ ইয়াজ উদ্দিন প্রঃ সালাউদ্দিন (২৩) ও একই জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার গান্দাচী গ্রামের আনা মিয়ার ছেলে অলি উল্লাহ প্রঃ অলি (৩০)।
মামলার বিবরণে জানাযায়- ২০১৯ সালের ১৮ জুন আসামীরা পরষ্পর যোগসাজশে হত্যাকাণ্ডের শিকার সিএনজি চালক রাসেল এর সিএনজি গাড়ীটি রিজার্ভ ভাড়া করে মুন্সিরহাট টু বাঙ্গড্ডা বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিন্তু রাসেল রাতে বাড়ীতে ফিরে না আসায় তাঁর স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করার একপর্যায়ে আসামি একরামুল হক পাগলা মোবাইল করে বলে যে, সিএনজিসহ রাসেলকে অজ্ঞাত স্থানে আটক আছে। তাঁকে ছাড়াইতে হলে এক লক্ষ টাকা লাগবে। আরও বলেন এবিষয়ে কাউকে কিছু বলা যাবেনা। তখন বাদী নিরুপায় হতে অনেক কষ্টে ৫০ হাজার টাকা সংগ্রহ করে একরামুল হক পাগলার বিকাশ নম্বরে পাঠায়। কিন্তু কুমিল্লা রাজাপাড়া মোড়ে রাসেলকে ইয়াবা ট্যাবলেট খাওয়ার কথা বলে বিমানবন্দর এলাকায় জঙ্গলের ভেতরে নিয়ে আসামি অলি উল্লাহ প্রঃ অলি প্যান্টের বেল্ট খুলে গলায় পেচিয়ে মাটিতে পেলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং কাঁদা মাটি দিয়ে ঢেকে লাশ গুম করে রাখে। পরে তাদের দেখানো মতে পুলিশ রাসেল এর মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। এ ব্যাপারে ভিকটিম রাসেল এর বাবা কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে জয়নাল আবেদীন (৫৫) বাদী হয়ে একই গ্রামের একরামুল হক পাগলার ছেলে মোঃ শাহীন (২৩), মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে গিয়াসউদ্দিন (২১) ও টুংকু মিয়া (১৯) ও একরামুল হক পাগলা (৪৫) সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জনকে আসামি করে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করিলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ হারুনুর রশিদ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি টুংকু মিয়া, গিয়াসউদ্দিন, মোঃ শাহীন ও একরামুলকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করিলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তৎপর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ হারুনুর রশিদ, এসআই সুজন কুমার মজুমদার ও এসআই মিন্টু দত্ত দুটি চার্জশীট দাখিল করেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ২৫ জুন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর গ্রামের মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে গিয়াসউদ্দিন ও মহিউদ্দিন @ টুংকু ও মৃত ওসমান আলীর ছেলে একরামুল হক পাগলা ও নাঙ্গলকোট উপজেলার গান্দাচী গ্রামের আনা মিয়ার ছেলে অলি উল্লাহ প্রঃ অলি'র বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ডবিধির ১৪৩, ৩৬৪, ৩৮৫, ৩৮৬, ৩৭৯, ৫০৬, ৩০২, ২০১, ৪১১, ১০৯ ও ৩৪ ধারা বিধানমতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন এবং চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর গ্রামের একরামুল হক পাগলার ছেলে মোঃ শাহীন মিয়া (১৭) ও ভিকটিম রাসেলের বড়ভাইয়ের দ্বিতীয় স্ত্রী আসমা আক্তার সাথী'র বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় সম্পূরক দোষীপত্র দাখিল করেন। তৎপর মামলাটি বিচারে আসিলে ২০১৯ সালের ১২ জুন আসামি গিয়াসউদ্দিন, মহিউদ্দিন @ টুংকু, একরামুল হক পাগলা ও অলি উল্লাহ প্রঃ অলি'র বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযোগ গঠনক্রমে রাষ্ট্রপক্ষে ১৩জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামীদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনাক্রমে আসামী দ্বয়ের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি গিয়াসউদ্দিন ও পলাতক আসামী অলি উল্লাহ প্রঃ অলিকে মৃত্যুদণ্ড এবং একই সাথে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন আদালত। আসামি মহিউদ্দিন প্রঃ টুংকু'র বিরুদ্ধে রাষ্টপক্ষে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন এবং আসামি একরামুল হক পাগলা মামলা চলাকালীন সময়ে মৃত্যু বরণ করিয়াছেন।
রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোঃ গিয়াসউদ্দিন আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন এবং অপর আসামি অলি উল্লাহ প্রঃ অলি আদালত কাঠগড়ায় অনুপস্থিত ছিলেন।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষে নিযুক্তীয় বিজ্ঞ কৌশলী অতিঃ পিপি এডভোকেট মোঃ মুজিবুর রহমান বাহার বলেন- আশা করছি উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রেখে দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করবেন।
অপরদিকে, আসামি পক্ষে নিযুক্তীয় বিজ্ঞ কৌশলী বলেন- এ রায়ে আসামিপক্ষ অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ। রায়ের কপি হাতে পেলে শীঘ্রই উচ্চ আদালতে আপীল করবো।
মন্তব্য করুন