কুমিল্লা
জেলার ১৮টি থানা এলাকায় এই বছর স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে সর্বমোট ৪০৯টি পশুর হাট
বসবে।
আসন্ন
ঈদ-উল আযহা উপলক্ষ্যে পশুর হাটের ইজারাদারদের সাথে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক ও ট্রাফিক
ব্যবস্থাপনা নিয়ে জেলা পুলিশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ (১০ জুন) দুপুরে কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে কনফারেন্স রুমে উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম (বার)।
উক্ত
মতবিনিময় সভায় কুমিল্লা জেলার ১৮টি থানার পশুর হাটের ইজারাদারগণ উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত আলোচনা সভায় পশু হাটের ইজারাদারগণ তাদের বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধা ও পর্যবেক্ষণ
তুলে ধরে মতামত ব্যক্ত করেন।
পরবর্তীতে পুলিশ সুপার পশুর হাট সংক্রান্তে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি ও হয়রানি রোধ, জালটাকা সনাক্তের জন্য মেশিন স্থাপন ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়সহ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্তে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
উক্ত
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) খন্দকার
আশফাকুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ট্রাফিক
(অতিরিক্ত দায়িত্বে ডিবি) মোঃ নাজমুল হাসান, অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার (ডিএসবি) কাজী মোঃ মতিউল ইসলাম, অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ কামরান হোসেন, অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার (মুরাদনগর সার্কেল) মোঃ রবিউল ইসলামসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন
কর্মকর্তাগণ।
মন্তব্য করুন
বন্যা দুর্গত অঞ্চলে ও কুমিল্লা মহানগরীর আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে সহমর্মিতা প্রকাশ করে যাচ্ছেন বিবেকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইউসুফ মোল্লা টিপু।
উল্লেখযোগ্য কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে, কুমিল্লা জিলা স্কুলের আশ্রয় কেন্দ্রে চাহিদা মত রান্না করা খাবার, শুকনো খাবার, মেডিসিন, ওরস্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় সকল সামগ্রী দিয়ে যাওয়ার কাজ করে যাচ্ছে বিবেক ।
কুমিল্লাতে এরই মধ্যে কুমিল্লা হাই স্কুল, সংরাইশ সালেহা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,ধর্মপুর মহিলা সরকারি কলেজর আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে প্রত্যেকের চাহিদা অনুযায়ী উপহার সামগ্রী বন্টন করেছে আত্ম মানবতার সেবায় নিয়োজিত সংগঠন বিবেক ।
পাশাপাশি বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনেও আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের কাজ করে আসছে সংগঠনটি ।
সহযোগিতা প্রদানের কাজ নিয়ে ইতিমধ্যেই ইউসুফ মোল্লা টিপু আশ্বস্ত করেছেন বন্য পরবর্তী সময়ে পুনর্বাসন সহ অনেক উদ্যোগ বিবেক হাতে নিয়েছে যার কার্যক্রম কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে।
এখানে
বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, বিবেক সংগঠন থেকে যা কিছু করা হয় সেগুলোর আর্থিক অনুদান একমাত্র
বিবেকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইউসুফ মোল্লা টিপু'র নিজ অর্থায়নে করা হয়।
মন্তব্য করুন
তাপস চন্দ্র সরকার:
ভাই-বোনের
সম্পর্ককে মজবুত করতে রাখইর থালায় রাখি, মিষ্টি, প্রদীপ, সিঁদুর, লাল সুতো, ধান ও দূর্বা
দিয়ে সাজিয়ে বাঙালি হিন্দুদের শ্রেষ্ঠ সামাজিক অনুষ্ঠান রাখি বন্ধন উৎসব পালিত হয়।
সোমবার
(১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় সারাদেশের ন্যায় কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুরীতেও জেলা ঐক্য পরিষদ
নেতা এডভোকেট তাপস চন্দ্র সরকার এর একমাত্র মেয়ে অর্পিতা সরকার এভাবেই রাখি বন্ধনের
মাধ্যমে তাঁর ছোট ভাই অরন্য সরকার প্রিন্স এর দীর্ঘায়ু ও সৌভাগ্য কামনা করেন। তদ্রুপ
ভাইও বোনের রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে। ঐদিন পরিবারের সকলে একত্রে মিলিত হয়ে
বিশেষ খাবার দাবার ও উপহার এর ব্যবস্থা করা হয় এবং সকলে মিলে আনন্দ ফুর্তিতে মেতে ওঠে।
এই বিশেষ দিনে পরিবেশে “যম” তত্ত্ব বেশি থাকে, এতে ভাইয়ের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে
কিন্তু রাখি বন্ধনের ফলে তা দূর হয়ে যায়।
জানা
যায়- রাখি বন্ধন বা রাখি পূর্ণিমা উৎসবটি ভাই-বোনদের পবিত্র সম্পর্কের এক নিবিড় উদযাপন।
রাখি পূর্ণিমার ঠিক পাঁচদিন আগে ঝুলন পূর্ণিমা শুরু হয় এবং রাখি পূর্ণিমার সাতদিন পর
জন্মাষ্টমী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর শ্রীকৃষ্ণের এই দুই লীলার মাঝে শ্রাবণ মাসের
পূর্ণিমা তিথিতে রাখি পূর্ণিমা অনুষ্ঠিত হয় বলে এর আরেক নাম শ্রাবণী পূর্ণিমা। এই দিনটির
জন্য প্রত্যেক ভাইবোন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকে। বোন ভাইয়ের হাতে রাখি পরিয়ে দেয়
আর ভাই বোনকে রক্ষার অঙ্গীকার বদ্ধ হয়। এই ভাবেই এই অনুষ্ঠিত যুগের পর যুগ ধরে পালিত
হয়ে আসছে। রাখি বন্ধন মূলত বিহারী সংস্কৃতি হলেও পরবর্তীকালে এই অনুষ্ঠান বাঙালি সংস্কৃতির
সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে পরে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
১,৯৫০ পিস ইয়াবাসহ চারজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
১১ জুলাই রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী
মডেল থানাধীন মতিনগর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ কাইয়ুম মিয়া
(২৪), ২। মোঃ লিমন হোসেন (২৪), ৩। মোঃ সোহাগ হোসেন (২৬) এবং ৪। মোঃ ইয়াছিন (২৩) নামক
চারজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদের কাছ থেকে ১,৯৫০ পিস ইয়াবা ও মাদক
পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
১। মোঃ কাইয়ুম মিয়া (২৪) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার মতিনগর গ্রামের মোঃ সাদেক
মিয়া এর ছেলে, ২। মোঃ লিমন হোসেন (২৪) একই গ্রামের মোঃ নুরু মিয়া এর ছেলে, ৩। মোঃ সোহাগ
হোসেন (২৬) কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার তালতলী গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলাম এর ছেলে
এবং ৪। মোঃ ইয়াছিন (২৩) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার বারপাড়া গ্রামের মোঃ হালিম
মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা
দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত মোটরসাইকেল ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য
ইয়াবা সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা
মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত
অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান
অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
সীমান্ত এলাকায় মানব পাচারকারী আপন
মিয়াসহ তার সহায়তায় ৩ জন বাংলাদেশী নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশ হতে ভারতে যাওয়ার সময়
সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি), কুমিল্লা তাদের আটক করে।
আজ শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে গোপন
সংবাদের ভিত্তিতে সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) এর অধীনস্থ শশীদল বিওপির টহল দল
সীমান্ত এলাকায় টহল পরিচালনাকালে সীমান্ত পিলার ২০৫৮/এম হতে আনুমানিক ১০ গজ বাংলাদেশের
অভ্যন্তরে নারায়নপুর নামক স্থানে মানব পাচারকারী সদস্য মোঃ আপন মিয়াকে আটক করে। এসময়
তার সহায়তায় অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় মোঃ বজলুল আমিন, মোঃ মামুন মিয়া ও মোঃ
তারিকুল ইসলামকে মৌলভীবাজার এলাকা থেকে পাসপোর্টবিহীন অবস্থায় বিজিবি টহল দল আটক করে।
আটককৃতরা হলো: কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া
থানার নারায়নপুর গ্রামের মোঃ ফয়েজ আহম্মেদ এর ছেলে মোঃ আপন মিয়া (২২), হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার
শতকবাজার গ্রামের জয়তুন মিয়ার ছেলে মোঃ বজলুল আমিন (২০), একই এলাকার মোঃ আব্দুল মান্নান
এর ছেলে মোঃ মামুন মিয়া (১৯) এবং মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানার নারায়নপুর গ্রামের
মোঃ মনির মিয়ার ছেলে মোঃ তারিকুল ইসলাম (২২)।
উক্ত আটককৃত ব্যক্তিদেরকে বিজিবি টহল
দল প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে, মানব চোরাচালানকারীর সদস্য মোঃ আপন মিয়া
এর সহায়তায় উল্লিখিত ৩ জন বাংলাদেশী নাগরিক অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল।
উক্ত ব্যক্তিদের নিকট হতে তাদের ব্যবহৃত ৪টি এ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন জব্দ করে।
আটককৃতদের কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া
থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন