কুমিল্লায় ৭০ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে
র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার
কোতয়ালী মডেল থানাধীন আমতলী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে
আসামী ১। আমজাদ হোসেন ফরহাদ এবং ২। মোঃ মাইন উদ্দিন নামের দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
করা হয়। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ৭০ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি
পিকআপ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
১। আমজাদ হোসেন ফরহাদ (২৭) ফেনী জেলার সদর থানার মরুয়ারচর গ্রামের মৃত সাদেক এর ছেলে
এবং ২। মোঃ মাইন উদ্দিন (২৮) একই গ্রামের মৃত মাস্টার সৈয়দ আহমেদ এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা
দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত পিকআপ ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য
গাঁজা সংগ্রহ করে ফেনী, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের
নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক
অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে
র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা
গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনার কুমিল্লা জেলার রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জনশুমারির কুমিল্লা জেলার রিপোর্ট ও বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক খন্দকার মু: মুশফিকুর রহমান।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম (বার)।
কুমিল্লা সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. অমৃত কুমার দেবনাথ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা এবং স্বাগত বক্তব্যসহ জনশুমারির জেলার তথ্য তুলে ধরেন জেলা পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান।
পরে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক খন্দকার মু: মুশফিকুর রহমান জনশুমারি ও গৃহগণনার কুমিল্লা জেলার রিপোর্টের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। জেলা প্রশাসক অনুষ্ঠানে উপস্থিত সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীলদের বইটি ব্যবহারের ওপর গুরত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে জনশুনানির রিপোর্টে বলা হয়, ২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী কুমিল্লার বর্তমান জনসংখ্যা ৬২ লাখ ১২ হাজার ২শ ১৬ জন। জনসংখ্যায় পুরুষের তুলনায় নারী সংখ্যা বেশি।
বর্তমানে কুমিল্লা মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার কারী ৭১ দশমিক ৪২ ভাগ। এর মধ্যে নারী চেয়ে পরুষ ব্যবহারকারী সংখ্যা বেশী। ইন্টারনেট ব্যবহার কারী কুমিল্লায় ৫০ দশমিক ২৯ ভাগ।নারী চেয়ে পুরুষ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বেশী।
এদিকে কুমিল্লায় বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছেন জেলার ৯৯ দশমিক ৩৪ ভাগ মানুষ। যেখানে ১৯৯১ সালে ছিলো ১২ দশমিক ১৪ ভাগ। এছাড়াও জনশুমারিতে উঠে আসা জেলার নানা তথ্য তুলে ধরা হয় এই রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে।
মন্তব্য করুন
গত ৯ই-১২ই ফেব্রুয়ারি ভারতের নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয় ৬ষ্ঠ এশিয়ান সাবাতে চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৫। প্রতিযোগিতায়ে এশিয়ার প্রায় ১৬ টি দেশ অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশ থেকে ১২ জনের একটি টিম প্রতিযোগিতায়ে অংশগ্রহণ নেয়ে। উক্ত প্রতিযোগিতায় রৌপ্য পদক অর্জন করে বাংলাদেশের সুনাম বয়ানে কুমিল্লার কৃতি সন্তান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সত্যায়িত সংগঠন ওয়াইকসের যুব ও প্রিয়া সম্পাদক, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মার্শাল-আর্ট টিম কোচ, বর্তমানে কুমিল্লা সরকারি কলেজের অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী মোফাজ্জাল মাহিন চৌধুরী। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে রৌপ্য পদক অর্জনকারী মাহিন কে সম্পূর্ণ রূপে সহযোগিতা করে দিঘির চাপ, আফসু ডেভলপারস লিমিটেড।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
২০ কেজি গাঁজাসহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ।
গতকাল
(২ ডিসেম্বর) কোতয়ালী মডেল থানাধীন কান্দিরপাড় পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত এসআই (নিঃ) মফিজুল
ইসলাম খান ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন রাজমঙ্গলপুর পশ্চিম মধ্যপাড়ায়
২০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ সোহেল মিয়া
কে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামি হলো: মোঃ সোহেল মিয়া(২৩), পিতা-মোঃ জামাল ভূইয়া,
মাতা-মৃত-আমেনা বেগম ,স্থায়ী: গ্রাম- রাজমঙ্গলপুর (পোঃ-বিবির বাজার) , উপজেলা/থানা-
কুমিল্লা কোতয়ালী, জেলা –কুমিল্লা।
উক্ত
ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত
আসামী মোঃ সোহেল মিয়া এর বিরুদ্ধে পূর্বের ১টি মাদক মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে
।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১৫ কেজি গাঁজা’সহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারী) রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন পদুয়ার বাজার এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আসামী ১। মোঃ শাহাদাৎ হোসেন (৩১) ও ২। মোঃ রুবেল (৩০) নামক ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় আসামীদ্বয়ের হেফাজত হতে ১৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো- ১। মোঃ শাহাদাৎ হোসেন (৩১) চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার উত্তর চাঁদপুর গ্রামের মৃত নূরুল হক কারী এর ছেলে এবং ২। মোঃ রুবেল (৩০) কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার লক্ষীপুর গ্রামের মোঃ সাত্তার এর ছেলে।
আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের রশিদ দিয়ে বিভিন্ন যানবাহন থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী। এসময় তার কাছ থেকে নগদ টাকা, সিটি কর্পোরেশন অনুমোদিত অবৈধ ভুয়া রসিদ বহি জব্দ করা হয়।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ২৩ বীর সেনাবাহিনী ক্যাপ্টেন রাকিন।
সেনাবাহিনী জানায়, কুমিল্লা নগরীর চকবাজার থেকে তেলিকোনা ও জাঙ্গালিয়া বাসট্যান্ড থেকে টমছমব্রীজ সড়কের উপর অবস্থান করে বাস, মিনিবাস, মিনি ট্রাক, ইজিবাইক, মিশুকসহ যাত্রীবাহী বিভিন্ন যানবাহন চালকদের হত্যার ভয়ভীতি দেখিয়ে গতিরোধ করে অবৈধ রশিদের মাধ্যমে চাঁদা আদায় করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর ২টায় জাঙ্গালিয়া বাসট্যান্ড সড়কে চাঁদা নেয়ার সময় একজন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করে সেনাবাহিনী টহল দল।
গ্রেফতারকৃত আসামী হলো কুমিল্লা সদর দৌলতপুর গ্রামের মান্নান এর ছেলে মোঃ জুলহাস (২৪)।
এসময় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ২/৩ জন চাঁদাবাজ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। সেনাবাহিনী গ্রেফতারকৃত আসামীর কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ৩টি,সীল প্যাড ২টি, গোলাপি ও হলুদ রঙের চাঁদা আদায়ের ভুয়া ৩৫ টি রসিদ বই জব্দ করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ পরস্পর যোগসাজশে কুমিল্লা মহানগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে সিটি কর্পোরেশনের নাম ব্যবহার করে অবৈধ চাঁদা উত্তোলন করে আসছে।
পরে গ্রেফতারকৃত আসামীকে সদর দক্ষিণ পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
মন্তব্য করুন
গত ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ হতে যৌথ বাহিনীর নেতৃত্বে ৪/৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে কুমিল্লা জেলায় নিরীহ ছাত্র জনতার উপর আক্রমনকারী সন্ত্রাসীসহ সকল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আটক এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৪ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ ভোরবেলায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অভিযুক্ত ব্যক্তির অবস্থান সম্পর্কে প্রাপ্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বি-পাড়া উপজেলার সবুজ পাড়া নামক এলাকায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উক্ত অভিযানে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারকারী মৃত আবুল হোসেন এর ছেলে কামরুল (২৩) নামক ব্যক্তিকে নিজ বাড়ি হতে আটক করা হয় এবং তার কাছ থেকে ১ টি পিস্তল (চাইনিজ), ১ টি ম্যাগাজিন ও ১ টি পিস্তলের এ্যামোঃ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ও উদ্ধারকৃত অস্ত্রসহ বি-পাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদেরকে আটক
না করা পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর এ অভিযান অব্যাহত
থাকবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১৬,৮২০ পিস
ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট’সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২
একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন
বাশমঙ্গল এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ নাজমুল হাসান নামের
একজন মাদক ব্যবসায়ীকে
গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১৬,৮২০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট এবং মাদক পরিবহণের
কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি অটোরিক্সা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ নাজমুল হাসান (২৫) কুমিল্লা জেলার
বুড়িচং থানার আনন্দপুর গ্রামের মোঃ সিরাজ মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, সে দীর্ঘদিন যাবৎ জব্দকৃত সিএনজি অটোরিক্সাটি ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলা’সহ বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রেখে আন্দোলনের নামে গ্রাহক ভোগান্তি, রাষ্ট্রবিরোধী আচরণ ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা করার অভিযোগে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর ১৫৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিল্টন ঘোষ ওই মামলা করেন। মামলায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আসামি করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে আন্দোলন করে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে লাখ লাখ গ্রাহক চরম ভোগান্তির শিকার হয়।
আটককৃতরা হলেন- কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার বাইমানা গ্রামের নূরুল আনোয়ারের ছেলে সহিদুল ইসলাম (২৬), চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার কামানকান্দি মাথাভাঙ্গা গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে নূর মোহাম্মদ (২৮), চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারি উপজেলার খন্দকিয়া গ্রামের সিকদার চৌধুরীর ছেলে ফয়সাল চৌধুরী (৩৭), নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার পবনপুর তারাবো গ্রামে ফরিদ উদ্দিনের ছেলে তানভীর আহমেদ (৩৩), ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলা সদরের খায়রুল কবিরের ছেলে মিজানুর রহমান সাগর (৩০)। তারা সকলে চান্দিনাস্থ কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর কর্মকর্তা।
সন্ধ্যার পর দ্বিতীয় দফা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আন্দোলন করাকালে চান্দিনার পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেড়াও করে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা। এ সময় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আটক করে। পরে দায়ের হওয়া মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: নাজমুল হুদা জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনকালে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে টানা ৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় আন্দোলনকারীরা। এতে সমিতির আওতাধীন চার উপজেলার লাখ লাখ গ্রাহকের ভোগান্তি দেখা দেয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ আমরা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে তাদের সাথে আলোচনা করে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করি। সন্ধ্যার পর আবারো তারা দুই ঘণ্টারও বেশি সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়ায় এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর কার্যালয় ঘেড়াও করে। এ সময় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে নাশকতা, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম পরিচালিত করায় ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কর্মকর্তা মামলা করেন। ওই মামলায় তাদেরকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১৪৯ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুইজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২ ।
আজ (৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা
থানাধীন চান্দিনা পৌরসভা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে আসামী
১। মোঃ সোহেল এবং ২। মোঃ আলমগীর নামের দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের
কাছ থেকে ১৪৯ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার
করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ সেলিম (৩৩)
ভোলা জেলার সদর থানার জয়গোপী গ্রামের মৃত মিলন এর ছেলে এবং ২। মোঃ আলমগীর (৩২) কুমিল্লা
জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার দড়িয়াপট্টু গ্রামের মৃত শফিকুর রহমান এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত
কাভার্ড ভ্যান ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল
সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি
ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ
হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১
এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ
প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা লাকসাম থানার আলোচিত ও ক্লুলেস
মো. শাহজাহান প্রকাশ সাইমন (১৭) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
গত ৩ সেপ্টেম্বর লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সের পরিত্যক্ত কোয়ার্টারের ভেতরে খাটের ওপর সাইমনের মৃতদেহ সাদা কাপড়ে মোড়ানো
অবস্থায় পাওয়া যায়। লাশের গলা কাটা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। মৃতদেহ থেকে পচা রক্ত
ও পানি বের হচ্ছিল।
পরে সাইমনের পিতা আবদুল হান্নান বাদী
হয়ে লাকসাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে কুমিল্লা পুলিশের একটি
বিশেষ দল সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থেকে প্রধান
আসামি আব্দুল ওয়াদুদ প্রকাশ মানিক (২৪) কে রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে
মানিকের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাইমনের অটোরিকশা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার এবং অপর আসামি
মো. সানাউল্লাহ (২৪) কে লাকসাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে মানিক স্বীকার
করে, সানাউল্লাহর সাথে সাইমনের পূর্বের একটি মাদক সেবন নিয়ে ঝগড়া হয়েছিল এবং সাইমন
সানাউল্লাহর মোবাইল নিয়ে যায়। এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে তারা সাইমনকে হত্যার পরিকল্পনা
করে। হত্যাকাণ্ডের দিন তারা সাইমনকে লাকসাম হাসপাতালের পরিত্যক্ত কোয়ার্টারে নিয়ে যায়,
সেখানে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে মানিক কাঠের লাঠি দিয়ে সাইমনের মাথায় আঘাত করে এবং সানাউল্লাহ
ব্লেড দিয়ে তার গলা কাটে।
গ্রেফতার মানিক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পুলিশ এখনও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন