কুমিল্লা
ভিক্টোরিয়ান্সের মুখোমুখি হয়েছে খুলনা। আগে ব্যাট করে
লড়াই করার মতো পুঁজি
পেয়েছে বিজয়বাহিনী। আসরের
শুরুটা ভালোই ছিল খুলনা টাইগার্সের।
কিন্তু ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি
খুলনা টাইগার্স।
২০২৪
বিপিএলের ৩২তম ম্যাচে আজ
৮ উইকেট হারিয়ে কুমিল্লার সামনে ১৬৫ রানের লক্ষ্য
ছুড়ে দিয়েছে খুলনা টাইগার্স। সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেছেন
দলটির ক্যারিবীয় মিডল অর্ডার ব্যাটার
এভিন লুইস। শেষদিকে ১১ বলে ২০
রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন
দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার ওয়েইন পারনেল।
চট্টগ্রামের
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস আগে ব্যাট
করতে নামে খুলনা। ২
ওপেনার অ্যালেক্স হেলস ও আফিফ
হোসেন মিলে ৩২ রানের
জুটি গড়েন। হেলস ১৭ বলে
২২ রান করে বিদায়
নেন। তুলনায় আফিফ রান তোলেন
ধীরে। ৩৩ বলে ২৯
রানের ইনিংস খেলেন তিনি। হেলস বোল্ড হয়ে
ফেরেন ম্যাথু ফোর্ডের বলে। তারপর
অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ১৩
বলে ১৮ রান করে
মোস্তাফিজুর রহমানের বলে বিদায় নেন।
আর আফিফ ফেরেন তরুণ
স্পিনার আলিস ইসলামের ঘূর্ণিতে
পরাস্ত হয়ে। দলীয় ৭৩
রানে ৩ উইকেট হারালেও
বিপদে পড়েনি খুলনা। কারণ হাল ধরেন
লুইস ও জয়। ২জনের
জুটিতে আসে ৫৭ রান।
ফেরেন ১৯ বলে ২৮
রান করে।
মন্তব্য করুন
ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলী খেলায় চ্যাম্পিয়ন
কুমিল্লার বাঘা শরীফ বলী।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে অনুষ্ঠিত
জব্বারের বলী খেলার ১১৫তম আসরের ফাইনালে মুখোমুখি হয় কুমিল্লার বাঘা শরীফ ও রাশেদ।
ফাইনালে প্রায় ১১ মিনিট
লাড়াইয়ের পর কুমিল্লার
বাঘা শরীফের কাছে হার মানতে হয় রাশেদের।
এর আগে প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি
হয়ে রাঙামাটির সৃজন চাকমাকে হারিয়ে ফাইনালে যান রাশেদ। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রাসেলের
এর প্রতিপক্ষ ছিলেন কুমিল্লার
বাঘা শরীফ।
এদিকে
তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে জয় পান সৃজন চাকমা। এর আগে বিকেল চারটায় শুরু হয় বলী
খেলার ১১৫ তম আসর। এতে অংশ
নেন ৮৪ জন বলী ।
মন্তব্য করুন
৮৫
বছর বয়সে চলে গেলেন আর্জেন্টিনাকে ১৯৭৮ সালে প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা জেতানো
ক্যারিশম্যাটিক কোচ সেজার লুইস মেনোত্তি।
এক্স
হ্যান্ডেলে মেনোত্তির মৃত্যুর খবর জানিয়ে এএফএ লিখেছে, আর্জেন্টিনা
ফুটবল ফেডারেশন অত্যন্ত শোকের সঙ্গে বর্তমান জাতীয় দলের পরিচালক ও আর্জেন্টিনার
বিশ্বকাপজয়ী কোচ লুইস সিজার মেনোত্তির মৃত্যুর খবর জানাচ্ছে। বিদায় প্রিয় ফ্লাকো!
স্থানীয়
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে,
মেনোত্তিকে মার্চ মাসে গুরুতর রক্তাস্বল্পতা নিয়ে একটি
ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছিল। তিনি এপ্রিল মাসে ফ্লেবিটিসের জন্য অস্ত্রোপচার
করেছিলেন এবং পরে দেশে ফিরে আসেন বলে জানা গেছে। আর্জেন্টিনার ফুটবলে তাকে সবচেয়ে
প্রভাবশালী কোচ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মেনোত্তি
একজন রাজনৈতিক কর্মী এবং আর্জেন্টিনার কমিউনিস্ট পার্টির সহযোগী সদস্য হবার
পাশাপাশি বক্সিং অনুরাগী ছিলেন। তিনি রোজারিও সেন্ট্রাল (১৯৬০-৬৩ এবং ১৯৬৭) এর
একজন তরুণ খেলোয়াড় হিসাবে তার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন, তারপরে রেসিং
ক্লাব (১৯৬৪) এবং বোকা জুনিয়র্স (১৯৬৫-১৯৬৬)সহ একাধিক ক্লাবের হয়ে খেলেন।
মেনোত্তি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউ ইয়র্ক জেনারেলদের হয়ে খেলেছেন (১৯৬৭), তারপরে ব্রাজিলের
সান্তোস (১৯৬৮) এবং ইতালির জুভেন্টাসের (১৯৬৯-১৯৭০) হয়েও তাকে খেলতে দেখা গেছে।
মেনোত্তি
১৯৭৪ থেকে ১৯৮৩ সালের মধ্যে আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের কোচ ছিলেন। বিশ্বকাপের
প্রাক্কালে, মেনোত্তি
১৭ বছর বয়সী ম্যারাডোনাকে স্কোয়াড থেকে বাদ দিয়েছিলেন-যে সিদ্ধান্তের জন্য
উভয়ের মধ্যে সম্পর্কের বেশ অবনতি নয়। পরবর্তীতে মেনোত্তি ১৯৯১-৯২ সালে মেক্সিকো
জাতীয় দলের কোচ ছিলেন। তিনি বার্সেলোনাকেও নেতৃত্ব দেন, যেখানে তার
স্কোয়াডে ম্যারাডোনা ছিলেন। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, উরুগুয়ের পেনারোল,
ইতালির সাম্পডোরিয়া এবং মেক্সিকোর টেকোসে ছিল তার শেষ কোচিং জীবন। মেনোত্তি
সিগারেটে আসক্ত ছিলেন। কিন্তু ২০১১ সালে তার তামাক আসক্তির কারণে তিন দিনের জন্য
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে তিনি এই অভ্যাস ছেড়ে দেন।
মেনোত্তি একজায়গায় রসিকতা করে বলেছিলেন, আমাকে না
হারানো পর্যন্ত আমি আমার চুল কাটব না। মেনোত্তির হাত ধরেই সহিংসতাপূর্ণ খেলার
কুখ্যাতি থেকে সরে এসে রোমান্টিক ধাঁচের ফুটবল খেলে সমর্থকদের মন জিতেছে
আর্জেন্টিনা।
মেনোত্তির
মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের
অধিনায়ক লিওনেল মেসি লিখেছেন,
আর্জেন্টিনার ফুটবলের অন্যতম গ্রেট আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তার পরিবার এবং
প্রিয়জনদের প্রতি সমবেদনা। শান্তিতে ঘুমান।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট ২০২৩-২৪ কুমিল্লা ভেন্যুর খেলা শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার ( ৬ ফেব্রুয়ারি ) সকাল সাড়ে ৯টায় বেলুন উড়িয়ে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান বলেন, পড়ালেখার পাশাপাশি ক্রীড়াই হচ্ছে একমাত্র মাধ্যম যা এ প্রজন্মের শিশু কিশোর, তরুন তরুনীদের শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ্য রাখতে পারে।
তিনি স্কুল ক্রিকেটের সফলতা কামনা করেন এবং এখান থেকে অংশ নিয়ে কুমিল্লার ছেলেরা জাতীয় পর্যায়ে ভূমিকা রাখবে এ প্রত্যাশা করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক পঙ্কজ বড়ুয়া।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রোমেন।তিনি স্কুল ক্রিকেটে কুমিল্লার শক্ত অবস্থানের বিষয়ে তুলে ধরেন।
টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী খেলায় প্রথমে ব্যাট করে কুমিল্লা মর্ডান স্কুল ৪০ ওভারে ১৬৯ রান করে। জবাবে ইবনে তাহমিয়া স্কুল ৩৪.৩ ওভারে ১২৮ রানে অলআউট হয়।
এবারের স্কুল ক্রিকেটের আসরে কুমিল্লার ৮টি স্কুল অংশ নিচ্ছে। ক ও খ দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে ৮টি স্কুল দল। ক- গ্রুপে রয়েছে কুমিল্লা মডার্ন হাই স্কুল, এ্যাথনিকা স্কুল এন্ড কলেজ, ইবনে তাইমিয়া স্কুল এন্ড কলেজ ও কুমিল্লা ইউসুফ হাই স্কুল। খ- গ্রুপে রয়েছে কুমিল্লা হাই স্কুল, কুমিল্লা জিলা স্কুল, কুমিল্লা পুলিশ লাইন স্কুল ও কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এর ব্যবস্থাপনায় ও কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে স্কুল ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট হচ্ছে।
স্কুল ক্রিকেট প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারন সম্পাদক খায়রুল আলম সোহাগ, প্রাইম ব্যাংক কুমিল্লা শাখা ভিপি মোঃ মাহবুব মোর্শেদ, যুগ্ম সম্পাদক বাদল খন্দকার, কোষাদক্ষ আল আমিন ভূইয়া, সদস্য দেলোয়ার হোসেন জাকির, অংশগ্রহণকারী স্কুলগুলোর ক্রীড়া শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
বিশ্বকাপে ব্যর্থতায় বরখাস্ত করা হয়েছে লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড কে, পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন কমিটিও বসিয়েছে।সাত ম্যাচে মাত্র দুইটিতে জিতেছে শ্রীলঙ্কা। বিশেষ করে ভারতের কাছে ৫৫ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার পর ক্ষোভের মুখে পড়ে লংকান ক্রিকেট বোর্ড।
শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রী রোশান রানাসিংহে গত শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে বোর্ডের সদস্যের পদত্যাগ করতে বলেন। বোর্ডের সামনে এসে বিক্ষোভও করেছে সমর্থকরা। এমন চাপে পড়ে নিজ পদ থেকে সরে দাঁড়ান ক্রিকেট বোর্ডের সচিব মোহন ডি সিলভা।
এরপর আজ এক বিবৃতিতে শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ক্রিকেট বোর্ডের বাকি সদস্যদের বরখাস্ত করা হয়েছে।
আপাতত একটি অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি দায়িত্ব পালন করবে। এই কমিটির প্রধান শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গা।
পয়েন্ট তালিকায় বর্তমানে সাতে আছে শ্রীলঙ্কা। আজ দিল্লিতে তাদের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ।
এর আগে নেদারল্যান্ডস ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিতলেও দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান, ভারত ও পাকিস্তানের কাছে হেরেছে লংকানরা। আজ বাংলাদেশের কাছে হারলে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলাও ঝুঁকিতে পড়বে তাদের।
মন্তব্য করুন
ভারতের আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে গত মাসের পাঁচ তারিখে ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালের পুনরাবৃত্তি দিয়ে শুরু হয়েছিল বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। দশ দল নিয়ে শুরু হওয়া এই বৈশ্বিক আসর এসে ঠেকেছে দুই দলে। আহমেদাবাদেই স্বাগতিক ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ফাইনাল দিয়ে পর্দা নামবে এই বিশ্বকাপের। চরম উত্তেজনাকর এই ম্যাচে আসরের সেরা দলের মুখোমুখি হচ্ছে বিশ্বকাপের ইতিহাসের সেরা দল।
এবারের আসরে এখন পর্যন্ত দুইদলের সার্বিক পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, বিশ্বকাপ ইতিহাসের অন্যতম সেরা একটি ফাইনাল দেখতে যাচ্ছে ক্রিকেটপ্রেমীরা। এখন পর্যন্ত মোট পাঁচবার বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। আগামীকাল তাদের হেক্সা মিশনের চূড়ান্ত লড়াই। অপরদিকে দুইবার বিশ্বজয় করেছে ভারত। তাদের সামনে তৃতীয় শিরোপা হাতে নেওয়ার সুযোগ।
এই ফাইনালের মঞ্চ ভারত বা অস্ট্রেলিয়া কোন দলের জন্যই অপরিচিত নয়। নিশ্চতভাবে অস্ট্রেলিয়ার জন্য তো নয়ই, অষ্টমবারের মতো তারা ফাইনালের মঞ্চ মাতাবে। কলকাতা, লন্ডন, জোহানেসবার্গ, বার্বাডোস এবং মেলবোর্নে তারা বিশ্বকাপ তুলেছে এমনভাবে যেভাবে বাচ্চারা তাদের খেলনা সংগ্রহ করে। অনেক দলের জন্য বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা একটি উপলক্ষ। অস্ট্রেলিয়ার জন্য, এটি জীবন ধারণের একটি উপায়। তবে এবার এই বিন্দুতে তাদের যাত্রা অনিশ্চয়তার মধ্যেই ছিল।
বিশ্বকাপে তারা তাদের প্রথম দুটি ম্যাচই হেরেছে, ৩৮৮ রান করার পরেও প্রায় হারতে বসেছিল, ২৯২ রান তাড়া করতে যেয়ে ৯১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে হারতে বসছিল এবং সেমিফাইনালের প্রথম ঘন্টার মধ্যে তাদের প্রতিপক্ষকে ২৪/৪ করার পরও প্রায় হারতে বসছিল। তবুও তারা সব বাধা অতিক্রম করে ফাইনালে প্রায় চ্যাম্পিয়নও তারা। এটি এমন এক বছরে যে বছরে তারা ইতিমধ্যেই অ্যাশেজ ধরে রেখেছে এবং বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপও ঘরে তুলেছে, ক্রিকেট খেলার প্রতিটি ফরম্যাটে তিন বছরের বিশ্ব শিরোপা পূর্ণ করতে তাদের দরকার শুধু আগামীকালের ফাইনাল জয়। পারবে তো কামিন্সরা?
তবে বিশ্বকাপের সাথে অজিদের এতো ইতিহাস থাকার পরেও প্যাট কামিন্স এবং তার দল স্বীকার করবে যে তাদের প্রতিপক্ষ ফাইনালে ফেভারিট হিসাবে শুরু করবে এবং শুধুমাত্র এই কারণে নয় যে তারা স্বদেশী দর্শকদের সামনে ঘরের মাঠে খেলবে। এমনকি যারা সাধারণত ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে থাকেন তারাও ভারতের এই দলের ক্রিকেটের এই সংস্করণে যে নির্ভুলতা এবং আগ্রাসণের সাথে কাজ করেছে তার প্রশংসা করবে। এই ভারতীয় দলের সাথে অনেকেই ২০০০ সালের পরের সব জয় করা বিখ্যাত অস্ট্রেলিয়া দলের সাথে মিল পাবেন।
এখানেই রোহিত শর্মা-রাহুল দ্রাবিড়ের কৃতিত্ব। এই ক্যাপ্টেন-কোচ জুটি একটি দলের সাফল্যের জন্য আক্রমণাত্মক ব্র্যান্ডের খেলা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা লুকানোর কোনও চেষ্টা করেনি ,একটি দলে সবার সুনির্দিষ্ট ভূমিকা এবং অসামান্য ব্যক্তিগত প্রতিভা দিয়ে ভারতকে অজেয়তার আভাস দিয়ে রেখেছেন।
তবে দ্রাবিড় এবং রোহিত কথা নয় কাজে দেখাও মনোভাবে বিশ্বাসী। বলিউডের সিনেমায় দেখানো হয় যোগ্যতার পিছনে ছুটতে কিন্তু বাস্তব জীবনে এখনও সাফল্য মাপা হয় সার্টিফিকেট এবং ট্রফি দিয়ে এটি দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি। ভারতের সর্বকালের সেরা ওয়ানডে দল হিসেবে স্বীকৃতি পেতে হলে, রোহিতকে কপিল দেব এবং মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো অধিনায়কদের সারিতে রাখার জন্য শুধু স্কোরকার্ড এবং পরিসংখ্যান দিয়ে হবে না।
সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে রোহিতের অসাধারণ অধিনায়কত্বের গল্প, শামির প্রথম বলে উইকেট, কোহলির দুর্দান্ত শতক, রোহিতের প্রায় ১০০ এবং বুমরাহর জাদুকরী বোলিংকে ইতিহাসের পাতায় ভালোভাবে স্মরণ করা হবে যদি আগামীকাল ট্রফিটি রোহিতের হাতে উঠে। ভারতের অবশ্যই সাফল্যের কোন ঐশ্বরিক অধিকার নেই এবং অধিনায়ক এবং কোচ একমত হবেন যে তারা কেবল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করতে পারেন। তবে এখন ভারতের এই দলের নিখুঁত সমাপ্তির স্ক্রিপ্ট করার সর্বোত্তম উপায় হল মাঠে জবাব দেয়া।
এই দুই হেভিওয়েটের চেন্নাইতে তাদের ম্যাচ শুরু না করার আগ পর্যন্ত এই বিশ্বকাপটি খুব একটা দৌড়াতে পারেনি। এই দুইদলের তাদের চূড়ান্ত বক্তব্য না পাওয়া পর্যন্ত এটি শেষ হবে না। মোতেরা থেকে খালি হাতে ফিরে আসা অধিনায়কের কীর্তি হতাশায় আবদ্ধ হবে আর অপর অধিনায়ক একটি ১১ কিলো ভরের সোনা এবং রৌপ্যর প্রলেপ দেওয়ায় ট্রফি দিয়ে লোকগাঁথায় অমরত্ব পাবে।
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রামে বিপিএলের অনুশীলনের সময় মোস্তাফিজুর রহমান উইন্ডিজ ক্রিকেটার ম্যাথিউ ফোর্ডের হাঁকানো বলের আঘাতে মাথায় চোঁট পেয়েছেন । সাথে সাথে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন করছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স আর আজ দলের অনুশীলনে ব্যস্ত ছিলেন মোস্তাফিজ। তারই পাশের নেটে ব্যাটিং অনুশীলন করছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ফোর্ড। ক্যারিবীয় এই ক্রিকেটারের হাঁকানো একটি বল এসে আঘাত করে টাইগার পেসারের মাথায়। এতেই মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এসময় তার মাথা থেকে রক্ত পড়তে দেখা যায়।
আঘাত পাওয়ার পর শুরুতে দলের ফিজিও দেন চিকিৎসকরা। পরিস্থিতিতির গুরুত্ব বুঝে মাঠের ভেতর অ্যাম্বুলেন্স এনে দ্রুত তাকে ইম্পেরিয়াল হাসাতাপালে পাঠানো হয়।
কুমিল্লার মিডিয়া ম্যানেজার খান নয়ন গণমাধ্যমকে বলেন, দেখছেন তো মাথায় লেগেছে। এরপর বসে ছিল মাঠে, যদিও রক্ত বের হয়েছে বেশ খানিকটা। তবে সে স্বাভাবিকভাবে কথা বলেছে। তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। তার সঙ্গে দলের দায়িত্বে থাকা সকলেই গেছে।
মোস্তাফিজের অবস্থা নিয়ে এখনো কোনো বক্তব্য দেয়নি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স কর্তৃপক্ষ। তবে জানা গেছে, আপাতত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এই পেসারকে। হাসপাতালে নিয়ে করা হচ্ছে স্ক্যান। মূলত স্ক্যান রিপোর্টের উপরই বোঝা যাবে তার অবস্থা।
উল্লেখ্য, বিপিএলের এবারের আসরে এখন পর্যন্ত কুমিল্লার হয়ে ৯ ম্যাচ খেলেছেন মোস্তাফিজ। বল হাতে নিয়েছেন ১১ উইকেট।
মন্তব্য করুন
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য
বাংলাদেশের স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) মিরপুরে প্রধান নির্বাচক
গাজী আশরাফ হোসেন লিপু ১৫ সদস্যের এই স্কোয়াড ঘোষণা করেন।
প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
খেলতে যাচ্ছেন রিশাদ হোসেন, জাকের আলী, তানজিদ হাসান তামিম, তানজিম হাসান সাকিব, তানভীর
ইসলাম ও তাওহীদ হৃদয়।
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াড-
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাসকিন আহমেদ (সহ-অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, সৌম্য সরকার,
তানজিদ হাসান তামিম, সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক,
রিশাদ হোসেন, শেখ মাহেদী হাসান, তানজিম হাসান সাকিব, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম,
তানভীর ইসলাম।
রিজার্ভ: হাসান মাহমুদ, আফিফ হোসেন।
মন্তব্য করুন
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পালাখাল মডেল ইউনিয়নের সফিবাদ পশ্চিম পাড়া মাদক বিরোধী মিনি ফুটবল টুর্ণামেন্ট ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সফিবাদ পশ্চিম পাড়া যুব সমাজের আয়োজনে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম সৌরভের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান জয়। খেলায় চিনামুড়া একাদশ ও সফিবাদ মেহেদী একাদশে খেলা হয় । খেলায় নির্ধারিত সময় গেলেও ট্রাইব্রেকারে চিনামূড়া একাদশ জয়ী লাভ করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয় ও হাসপাতালের রেন্ট কালেক্টর ও বিশিষ্ট সমাজসেবক মো. সাজেদুল হাসান কামাল,ইউপি সদস্য জাকির হোসেন মোল্লা,সিটি ব্যাংকের কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন সরকার,কচুয়া থানার এএসআই সাগর চন্দ্র,সাবেক ইউপি সদস্য সফিউল খান,আব্দুর রশিদ,আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদুর রহমান সরকার,মামুন সরকার,শরীফুল ইসলাম,ইয়াছিন শিকারী প্রমুখ। এসময় ছাত্রলীগ নেতা আব্দুর কাদের জিলানী সহ খেলার আয়োজক কমিটির নেতৃবৃন্দ সহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ খেলায় উপভোগ করেন।
মন্তব্য করুন
আগামী ৩ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত
হতে যাচ্ছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ অধিনায়ক
নিগার সুলতানা জ্যোতি ও ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রিত কৌরকে সামনে রেখে বিশ্বকাপের সূচি
প্রকাশ করে আইসিসি।
এনিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো নারী টি-টোয়েন্টি
বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আর এবারের
আসরে দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে দশটি দল। এর আগে স্বাগতিক বাংলাদেশসহ ৮টি দল সরাসরি
বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে। বাকি দুটি দল উঠে আসবে চলমান বাছাইপর্ব থেকে।
স্বাগতিক বাংলাদেশ পড়েছে বি গ্রুপে।
যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাছাইপর্বের দ্বিতীয়
দল।
অপর গ্রুপে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ভারত,
নিউজিল্যান্ড পাকিস্তান ও বাছাইপর্বের প্রথম দল।
১৯ দিনের এই আসরে দুটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত
হবে মোট ২৩টি ম্যাচ। বাংলাদেশসহ গ্রুপ 'বি' এর সকল ম্যাচগুলো হবে ঢাকার শেরেবাংলা জাতীয়
স্টেডিয়ামে। গ্রুপ 'এ'- এর সবগুলো ম্যাচের ভেন্যু সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। ২০
অক্টোবর ঢাকায় ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে বিশ্বকাপের নবম আসরের। প্রথম সেমিফাইনালে
সিলেট ও দ্বিতীয় সেমিফাইনাল হবে ঢাকায়। নকআউট পর্বের প্রতিটি ম্যাচের জন্যই থাকবে রিজার্ভ
ডে।
আসরের প্রথম দিন বাছাইপর্ব থেকে আসা
দ্বিতীয় দলের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
আজ
(২ ফেব্রুয়ারি) কমলাপুরের বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সাফ
অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালের পথে এগিয়ে থাকলো
বাংলাদেশ। সাগরীকা দলের হয়ে জোড়া গোল করেছেন।
ম্যাচপূর্ববর্তী
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের কোচ সাইফুল বারী টিটু বলেছিলেন, ১ম ম্যাচে জয় নিশ্চিত
করে ফাইনালের পথে এগিয়ে থাকতে চান। পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করেছেন মাঠে।
ম্যাচের
শুরু থেকেই আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে নেপালের বিপক্ষে আধিপত্য
বিস্তার করে খেলে পুরোটা সময়। এই ম্যাচে সাগরীকা নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে নজর কেড়েছেন।
ম্যাচের
৫ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো বাংলাদেশ। স্বপ্না রানির ফ্রি-কিক গোলরক্ষক ঝাপিয়ে রক্ষা
করেন। নেপালের গোলরক্ষক সুজাতাতামাংয়ের হাতে লেগে দিক বদলে বারে প্রতিহত হয়। ফিরতি
বলে মুনকি আক্তার বল জালে জড়াতে চেষ্টা করলেও তার শট ডিফেন্ডাররা আটকে দেন।
২
মিনিট বাদেই আবারও আক্রমণ শানায় বাংলাদেশ। বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন মুনকি আক্তার। তবে
নেপালের গোলরক্ষক এগিয়ে এসে তাকে থামান। ম্যাচের ১৪ মিনিটে বক্সের মধ্যে বল পান পূজা
দাস। তার মাটি কামড়ানো শট অল্পের জন্য পোষ্ট ঘেঁষে বেড়িয়ে গেলে এগিয়ে যাওয়া হয়নি বাংলাদেশের।
১৮ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেয়া পূজার বা পায়ের
শট ক্রসবার ঘেষে বেড়িয়ে যায়।
৩৮
মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। গোলকিক থেকে বল পান স্বপ্ন রানী। তার হেডে বক্সের
কাছাকাছি ২ ডিফেন্ডারের মাঝে বল পান সাগরীকা।
২ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে আগুয়ান গোলরক্ষকের উপর দিয়ে চিপ শটে বল জালে জড়ান সাগরীকা।
ব্যবধান
২গুন করতে সময় নেয়নি বাংলাদেশ ৪২ মিনিটে মুনকি আক্তারের দর্শনীয় গোলে ২-০ গোলের লিড
নেয় বাংলাদেশ। বক্সের ভেতর বল ক্লিয়ার করতে এগিয়ে আসেন নেপালের গোলরক্ষক সুজাতা। তবে
তার ক্লিয়ার করা বল পান ইতি খাতুন; ক্রস দেন মুনকি আক্তারকে। তিনি বুদ্বিদীপ্ত শটে
গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে বল জালে জড়ান। প্রথমার্ধে
ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো বাংলাদেশের। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে পেনাল্টি পায় বাংলাদেশ।
বক্সের ভেতর সাগরীকাকে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পেনাল্টি থেকে গোল
করতে পারেননি আফঈদা খন্দকার। তার শট পোস্টে লাগে। তবে ফিরতি বলে শট নেন সাগরিকা। তবে
নেপালের গোলরক্ষক সুজাতা গ্লাভস বন্দী করেন। শেষ পর্যন্ত ২ গোলের লিড নিয়েই বিরতীতে
যেতে হয় সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যদের।
দ্বিতীয়ার্ধে
আক্রমণের ধার বাড়ায় ২ দলই। ৫২ মিনিটেই এক গোল শোধ করে ম্যাচে ঘুড়ে দাড়ানোর ইঙ্গিত দেয়
নেপাল। সুকরিয়া মিয়ার গোলে ব্যবধান কমায় নেপাল। তবে লিড বাড়িয়ে নিতে খুব বেশি সময় নেয়নি
বাংলাদেশ। ৫৬ মিনিটে সাগরিকার গোলে ব্যবধান ৩-১ করে সাইফুর বারী টিটুর শিষ্যরা।
পরের
ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত।
মন্তব্য করুন