কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন মাঝিগাছা এলাকা থেকে অস্ত্রসহ অস্ত্রধারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ এর সিপিসি-২।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গত ০৬ ডিসেম্বর বুধবার রাতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন মাঝিগাছা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে ১টি পাইপগানসহ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হলো: কুমিল্লার জেলার কোতয়ালী মডেল থানার, বিষ্ণপুর (পশ্চিমপাড়া) এলাকার মৃত তবদল হোসেন এর ছেলে মোঃ জাহের (৩৮)।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সে দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে অস্ত্র প্রদর্শন করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম সহ বিভিন্ন ধর্তব্য অপরাধ সংগঠিত করে আসছিল। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ায় ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে স্থানীয় যুবসমাজের আয়োজনে পালাখাল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সেঙ্গুয়া একাদশ ও পালাখাল মুযক্তিযোদ্ধা একাদশ খেলোয়ারদের প্রীতি ফুটবল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। খেলাটি উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হাবিবুল বাশার। খেলায় সেঙ্গুয়া একাদশকে ০১ গোলে হারিয়ে পালাখাল মুক্তিযোদ্ধা একাদশ বিজয়ী লাভ করে। পরে বিজয়ী খেলোয়ারদের মাছে চ্যাম্পিয়ান ট্রফি তুলে দেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। খেলাটি আয়োজন করেন স্থানীয় যুবক নাসির হোসেন,আমান উল্যাহ,মোহাম্মদ হোসেন সহ অন্যান্যরা। এদিকে খেলাটির রেফারির দায়িত্ব পালন করেন মো. ছিদ্দিকুর রহমান।
এসময় বিএনপি নেতা মাহবুব আলম,উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক নাজমুল হাসান,ছাত্রদল নেতা রানা আহমেদ সহ ইউনিয়ন বিএনপি,যুবদল ও ছাত্রদলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
মো মিজানুর রহমান মিনু:
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের সৈয়দপুর এলাকায় হোটেল ব্যবসার অন্তরালে গাঁজার বাণিজ্য করছে একটি চক্র।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে ফাঁকি দিতে হোটেল বা দোকানের বাহিরে ঝোপ ও মাটির স্তুপের মধ্যে ছোট ছোট পুটলি করে গাঁজার লুকিয়ে রাখে। মহাসড়কে চলাচলরত ট্রাক, কার্ভাডভ্যান, যাত্রীবাহী বাসের কিছু চালক ও হেলপারসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে মাদকসেবীরা ওইসব হোটেলের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। তখন হোটেল বা চা দোকানের লোকজন লুকানো স্থান থেকে চাহিদা মাফিক গাঁজার পুটলি তাদের হাতে তুলে দেয়।
শনিবার বিকেল ৩ টা ২২ মিনিটে ঢাকাগামী সিডিএম পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস উপজেলার সৈয়দপুর এলাকায় মহাসড়কের পাশের জোনাকি হোটেল সংলগ্ন (দক্ষিণ পাশে) একটি দোকানের সামনে দাঁড়ায়। পরে গাড়ির সুপারভাইজার থেকে ২০০ টাকা নিয়ে হেলপার সাইনবোর্ড বিহীন হোটেলে যায়। হেলপার যাওয়ার পরে ওই হোটেলের মালিক পাশের মাটির স্তুপ থেকে কয়েকটি গাঁজার পুটলি বের করে নিয়ে আসে।
এমন একটি সংবাদ পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই ওসমান গণি সঙ্গীয় অফিসারসহ পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে হোটেলের মালিক জাহাঙ্গীর আলম (৩৮)কে আটক করে।
এসময় তার দেহ তল্লাশি করে ও ডান হাতে থাকা নীল রংয়ের পলিথিনের ভিতর রক্ষিত পেপার দ্বারা মোড়ানো ৫০টি গাঁজার রোল উদ্ধার করা হয়। যাহা কাগজ সহ প্রতিটি রোলের ওজন ২০ গ্রাম করিয়া মোট ১০০০ গ্রাম বা ০১ কেজি।
আটককৃত জাহাঙ্গীর উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের উত্তর বাবুচির্র (বসুন্ডা বাড়ি) মৃত রুহুল আমিনের ছেলে।
এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে ওসি ত্রিনাথ সাহা সংবাদ মাধ্যমকে জানান। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
মন্তব্য করুন
বড় ভাই আর ছোট ভাই ছিলেন বন্ধুর মতো।
কিন্তু তাদের বয়সের ব্যবধান ছিল পাঁচ বছরের। হঠাৎ জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান
বড় ভাই। কিন্তু ছোট ভাই সেই মৃত্যুর শোক সইতে পারলেন না। মাত্র এক দিনের ব্যবধানে
মারা গেলেন ছোট ভাইও।
কোরবানির দিন গরু জবাই করার পর ছোট
ভাই সাখাওয়াত গরুর মাংস নিয়ে চলে যান বড় ভাইয়ের কবরের পাশে। কবরের পাশে বসে বসে
অশ্রুসিক্ত নয়নে বড় ভাইকে ডাকতে ডাকতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাকে স্থানীয়রা
উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (১৮ জুন)
সন্ধ্যায় মারা যান ছোট ভাই সাখাওয়াত।
ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড
উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের বগাচতর গ্রামের আব্দুল গাফফার চেয়ারম্যানের বাড়িতে।
মারা যাওয়া দুই ভাই হলেন, ওই এলাকার
মৃত নুরুল আফছারের বড় ভাই মোবারক হোসেন (৩৫) ও ছোট ভাই সাখাওয়াত হোসেন (৩০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাঁচ বছর
বয়সের ব্যবধান বড় ভাই মোবারক হোসেন ও ছোট ভাই সাখাওয়াত হোসেনের। সম্পর্কে দুইজনই
ছিল বন্ধুর মতো। বড় ভাই মোবারক হোসেন হঠাৎ জন্ডিস রোগে আক্রান্ত হন। অনেক চিকিৎসা
করিয়েও মুক্তি পাননি জন্ডিস থেকে। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর বড় ভাই মোবারক হোসেন গত
রবিবার (১৬ জুন) নিজ বাড়িতে মারা যান। ওই দিনই বড় ভাইয়ের দাফন শেষে শোকাবহ হৃদয়ে
ঘরে ফিরে যান ছোট ভাই সাখাওয়াত হোসেন। পরদিন মারা গেলেন তিনিও।
সৈয়দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত)
মমিনুল ইসলাম মামুন জানান, এটি খুবই হৃদয়বিদারক ঘটনা। তারা তিন ভাই। মোবারক ও সাখাওয়া
দুইজন ছিল বন্ধুর মতো। তাই বড় ভাইয়ের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে এক দিনের ব্যবধানে
মারা গেল ছোট ভাইও। তারা দুইজনই বিবাহিত। মোবারক হোসেনের দুই বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে।
এলাকার মধ্যে তারা খুব নম্র-ভদ্র ও পরিচিত মুখ ছিল। তাদের এই মৃত্যুতে এলাকায় শোক বইছে।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ
রানা,কচুয়া (চাঁদপুর) প্রতিনিধি ॥
চাঁদপুরের কচুয়ায় মিশুক চালক সাব্বির হোসেনকে হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভূক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।
শুক্রবার বিকালে এলাকাবাসীর আয়োজনে উপজেলার ভূঁইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন পালাখাল-মেঘদাইর সড়কে প্রায় ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিহতের মা জাহানারা বেগম,নানী সাজেদা বেগম,মামা মহিব উল্যাহ, মাওলানা কামাল হোসেন ও মহিউদ্দিন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাব্বির হত্যার প্রায় ১০ দিন পেরিয়ে গেছে। দ্রুত মিশুক চালকের হত্যার খুনিদের গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানান তারা।
মানববন্ধন শেষে আসামীদের দ্রুত খুঁজে বের করে
গ্রেফতার করতে ভূঁইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়ক থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা
হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জানুয়ারি বুধবার বিকালে মিশুক নিয়ে সাব্বির বাড়ি থেকে বের হলে আর বাড়ি ফিরেনি। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে পালাখাল-সেঙ্গুয়া সড়কের পাশে ডোবা থেকে মিশুক চালক সাব্বির হোসেনের হাত পা বাধা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মন্তব্য করুন
বাগেরহাট জেলায় ১২ কেজি গাজাসহ ৩ জন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
১২ নভেম্বর রোববার সকালে শহরের ভিআইপি মোড়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১টি কাভার্ড ভ্যানসহ এই ৩ জন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়।
কাভার্ড ভ্যানটি তল্লাশি করে পাঁচটি প্যাকেটে ১২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো: পালপাড়া গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে খালিদ হোসেন লিপু (২৫), বাগেরহাট সদর উপজেলার ফুলবাড়ী এলাকার মো. চাঁন মিয়ার ছেলে মো. মিজান হাওলাদার (২৫), কুড়িগ্রাম জেলার সদর উপজেলার সরদারপাড়া গ্রামের মো. কাশে আলীর ছেলে কবির হোসেন (২৩)।
বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুরেশ চন্দ্র হালদার জানান, কুমিল্লা থেকে এসেছে কাভার্ড ভ্যানটি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাভার্ড ভ্যানটি চ্যালেঞ্জ করি আমরা। পরে কাভার্ড ভ্যানটি তল্লাশি করে জব্দ করা হয় ১২ কেজি গাঁজা। মাদক কারবারিরা কাভার্ড ভ্যানটি ৫০ হাজার টাকায় ভাড়া করেছিল। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খেজুরের রস পান করে নড়াইল সদরের একটি বিদ্যালয়ের ৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় এ ঘটনাটি ঘটে জেলা সদর উপজেলার শাহাবাদ এলাকায়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকে শাহাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম থেকে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ওই বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষার্থীরা জানায়, সকালে স্কুলে আসার পরে ১০টায় ১০-১২ জন শিক্ষার্থী মিলে পাশের একটি জমিতে কয়েকটি খেজুরের গাছে উঠে রসের হাঁড়ি নামিয়ে আনে। এরপর সবাই সেটি পান করে। কিছুক্ষণ পর ৬ জনের তীব্র পেটে ব্যথা শুরু হয়। কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যায়। এর মধ্যে একজন বমি করতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক অসুস্থদের অন্যদের সহায়তায় নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
খেজুরের রসের মধ্যে অন্য কিছু ছিল কি না তা শিক্ষার্থীরা জানে না, তবে রস খাওয়া কয়েকজন সুস্থ আছে। অসুস্থ শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকে শাহাবাদ, দলজিতপুরের বাসিন্দা।
নড়াইল সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রেশমী খাতুন জানান, শিক্ষার্থীরা বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছে। মাত্রা বেশি না হওয়ায় ওয়াশ করার প্রয়োজন পড়েনি। একজন বমি করেছে, অবস্থা খারাপ হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হবে।
আপাতত তাদের ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
কুড়িগ্রামে বিশ্ব ইজতেমার উদ্দেশ্যে মুসল্লিদের নিয়ে ছেড়ে যাওয়া একটি রিজার্ভ বাসে মুসল্লি সেজে মাদক পাচারের সময় গাঁজাসহ আঙুর হোসেন নামের এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাগেশ্বরী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপ কুমার সরকার।
এর আগে গতকাল (বুধবার) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, নাগেশ্বরী থানা পুলিশের একটি টিম গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রাতে নাগেশ্বরী বাসস্ট্যান্ড থেকে ছন্মবেশে বিশ্ব ইসতেমার রির্জাভ বাসে মুসল্লি সেজে মাদক পরিবহন করে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় ওই বাসের মুসল্লিদের সহায়তায় নাগেশ্বরীর আঙ্করনগর (নতুন বাজার) গ্রামের মাদক কারবারি মোঃ আঙ্গুল হোসেন (৩০) কে সাড়ে ১০ কেজি গাঁজাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মন্তব্য করুন
সাতক্ষীরার কুখ্যাত ডাকাত রিয়াজুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ভোরে খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী এলাকা থেকে কুখ্যাত ডাকাত রিয়াজুল ইসলামকেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী রিয়াজুল সাতক্ষীরার তালা উপজেলার জেয়ালা-নলতা গ্রামের মৃত বাছতুল্লাহ মোড়লের ছেলে।
রিয়াজুল ইসলাম ডাকাত দল রিয়াজুল গ্রুপের প্রধান। তার বিরুদ্ধে তালা থানাসহ অন্যান্য থানায় ডাকাতি, দাঙ্গা সৃষ্টি ও অস্ত্র মামলাসহ ৭টি মামলা রয়েছে।
র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্প কমান্ডার নাজমুল হোসেন বলেন, কুখ্যাত ডাকাত রিয়াজুল গ্রেফতার এড়াতে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। সম্প্রতি জেলায় ডাকাতির ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল বলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে। তালা থানায় হস্তান্তর করা হবে কুখ্যাত ডাকাত রিয়াজুলকে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ৪০ কেজি গাঁজা এবং ৩৯৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম মডেল থানাধীন আব্দুল্লাপুর দক্ষিণ পাড়া এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আসামী মোঃ সাকিবুল ইসলাম (২২) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে মাদক পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজিসহ ৪০ কেজি গাঁজা ও ৩৯৫ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ সাকিবুল ইসলাম (২২) কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম মডেল থানার কাঠালিয়া গ্রামের আব্দুল মোমেন এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা ও ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে সিএনজি যোগে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
দিনাজপুর জেলার বিরামপুর মহিলা কলেজের শ্রেণিকক্ষ নম্বর ১০১ । সচরাচর এ কক্ষ
দিনের বেলা শিক্ষার্থীদের সমাগমে থাকে ভরপুর আর দিনশেষে জনমানবহীন।
কিন্তু রোববার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায উক্ত নম্বর কক্ষে গিয়ে দেখা মিলল
এক ভিন্ন চিত্রের ।
কক্ষের মধ্যে বিয়ের মঞ্চ তৈরী করে তাতে বসা বর ও কনে আর মঞ্চের আশপাশের পুরো
অংশ বর ও কনে পক্ষের অতিথিতে পরিপূর্ণ।
কলেজসীমানার ভেতরের মাঠে চলছিলো বরযাত্রী ও কনে পক্ষের অতিথিদের জন্য খাওয়াদাওয়ার
যাবতীয় আয়োজন।
আরিফুল-আঁখি দম্পতির বিয়ে উপলক্ষে ছিল এই আয়োজন।
বর আরিফুল ইসলাম রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার শ্যামবাসেরপাড়া গ্রামের মোমিনুল ইসলামের
ছেলে। আর কনে বিরামপুর পৌর শহরের পূর্ব জগন্নাথপুর মহল্লার আজাহার আলীর মেয়ে ফাতেমা
বিনতে আজাহার ওরফে আঁখি। বিয়ে শেষে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বরযাত্রীরা কনেকে গাড়িতে
করে পীরগঞ্জে রওনা দেন।
কলেজের একাডেমিক ভবনের ১০১ নম্বর কক্ষটি বিয়ের আসরের জন্য ব্যবহার করেন স্থানীয়
একটি পরিবার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষ ও মাঠ কেন বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহার
করা হয়েছে, এ বিষয়ে বর ও কনে পক্ষের কেউ কোনো কথা বলতে চাননি।
কলেজের ওই শ্রেণিকক্ষে অনুষ্ঠিত বিয়েটি স্থানীয় নিকাহ রেজিস্ট্রার মোখলেছুর রহমান
তিন লাখ টাকা মোহরানায় রেজিস্ট্রি করেন। কনের বাবার বাড়িতে জায়গার সংকুলান না হওয়ায়
বাড়ির পাশের কলেজে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতে পারে বলে ধারণা তাঁর।
এ বিষয়ে বিরামপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মেজবাউল হক এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি
জানান, মেয়েটি (কনে) উক্ত কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী। কলেজে ওই মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান
করার জন্য মেয়ের বাবা কলেজের অধ্যক্ষকে অনুরোধ করেছিলেন। আর এ সময় কলেজে ঈদের ছুটি
থাকাতে বিয়ের জন্য কলেজের মাঠ ও কক্ষটি ব্যবহার
করতে দেওয়া হয়েছে।
তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিয়ের আসর বসানোর কোনো নিয়ম আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বিরামপুর
মহিলা কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সোহেল রানা বলেন, কলেজের শ্রেণিকক্ষ ও কলেজ চত্বরের ভেতরে বিয়ের
অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে, এমন তথ্য আমার কাছে নেই। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিয়ের
অনুষ্ঠান আয়োজন করার কোনো সুযোগ নেই।
কলেজের শ্রেণিকক্ষে বিয়ের বিষয় নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও নুজহাত
তাসনীম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন
করা নীতিগতভাবে ঠিক নয় বলে আমার যত দূর মনে হচ্ছে। কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলে
আর বিষয়টি বিস্তারিতভাবে খোঁজ খবর নিয়ে দেখব।
মন্তব্য করুন