"খেলবে
কুমিল্লা বার, দেখবে সকল বার ও সারা বিশ্ব"- এই শ্লোগান সামনে রেখে গেলো বছরের
ন্যায় এবারও শত ব্যস্ততার মাঝেও একটু বিনোদনের উদ্দেশ্যে কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির
আয়োজনে CDBA T-10 ক্রিকেট টূর্ণামেন্ট-২০২৩ এর খেলা চলছে।
এ
খেলাটি ২১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লা টিক্কারচরস্থ শেখ কামাল ক্রীড়া পল্লীতে
অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় গোমতীকে হারিয়ে সিবিএ এডভোকেটস্ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ান হয়ে কোয়ার্টার
ফাইনালে উত্তীর্ণ।
ওই
খেলায় সিবিএ এডভোকেটস্ এর খেলোয়াড় এডভোকেট রানা মজুমদারকে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ ঘোষণা
করেন কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ এয়াকুব আলী চৌধুরী।
তার ব্যক্তিগত রান ৮২ এবং অপরাজিত ব্যাটস্ ম্যান।
সিবিএ
এডভোকেটস্ এ রয়েছেন- প্রধান উপদেষ্টা লাকসাম উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট মোঃ ইউনুস ভূইয়া
এবং টিম ম্যানেজার এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, প্রধান নির্বাচক এডভোকেট মোঃ
ইলিয়াস মজুমদার, নির্বাচক এডভোকেট মোঃ মনিরুল ইসলাম ও এডভোকেট মোঃ আমজাদ হোসেন লিটন,
হেড কোচ এডভোকেট মোঃ মহসিন ভূইয়া, সহ- হেড কোচ এডভোকেট মোঃ হারুনুর রশিদ সবুজ, ব্যাটিং
কোচ এডভোকেট মোঃ নুরুদ্দীন মিয়াজি বুলবুল, বোলিং কোচ এডভোকেট মোঃ আতিকুর রহমান সুমন,
ফিল্ডিং কোচ এডভোকেট মোঃ জুয়েল হোসেন, মিডিয়া ম্যানেজার এডভোকেট তাপস চন্দ্র সরকার,
মাইন্ড ট্রেইনার এডভোকেট শাহ্ আলম, সহঃ ব্যাটিং কোচ এডভোকেট আল নোমান সরকার ও সহঃ মিডিয়া
কোচ এডভোকেট আবুল কাশেম।
সিবিএ
এডভোকেটস্ এর খেলোয়াড়েরা হলেন- এডভোকেট মোঃ মঈনুল আলম মনি, এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর আলম,
এডভোকেট শওকত হাসান দিদার, এডভোকেট শাহাবুদ্দিন নাসেফ, এডভোকেট মোঃ মোবারক হোসেন, এডভোকেট
মোঃ আবু হাসনাত মুন্সি পলাশ, এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, এডভোকেট মোঃ শেখ সাদী ভূইয়া,
এডভোকেট মোঃ তাহের আলম নিপু, এডভোকেট মোঃ সোহেল আহাম্মদ, এডভোকেট মোঃ আলমগীর হোসাইন,
এডভোকেট মোঃ মজিবুর রহমান (মুজিব), এডভোকেট মোঃ আরিফ হোসেন সৈকত, এডভোকেট রানা মজুমদার
ও অধিনায়ক এডভোকেট মোঃ সালাহউদ্দিন মোমেন।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া ॥
চুরি,ছিনতাই,ডাকাতি ও মাদক নির্মূলে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিরর লক্ষে মতবিনিময় করেছেন কচুয়া থানার ওসি এম আব্দুল হালিম। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার পালাখাল মডেল ইউনিয়নের দোয়াটি মবিন মার্কেট এলাকায় স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে এ মতবনিমিয় সভা করা হয়। এসময় কচুয়া-সাচার-গৌরিপুর সড়কে চুরি,ছিনতাই ও ডাকাতি রোধে রাস্তার দু’পাশের আগাছা পরিস্কার,মাদক প্রতিরোধে নিয়ে সচেতনতামূলক আলোচনা করা হয়।
স্থানীয় বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিন প্রধানের পরিচালনায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কচুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ এম আব্দুল হালিম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন স্বপন,ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস,ইউপি সদস্য মামুনুর রশিদ,বিশিষ্ট সমাজসেবক আব্দুল মবিন,মাহবুব আলম প্রমুখ। এসময় কচুয়া থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন,মোশাররফ হোসেন,বিএনপি নেতা মোজাফফর হোসেন সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
১৭৫ জন বরযাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে আসেন
বর। কিন্তু খাওয়া-দাওয়া শেষে বিয়ে না করেই বিয়ের আসর থেকে চলে গেলেন বর।
গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার সাধারচর ইউনিয়নের কালুয়ারকান্দ গ্রামে এ ঘটনা ঘটলেও আগামী
রোববার সবার উপস্থিতিতে বিষয়টি মীমাংসা করার সিদ্ধান্ত হয়।
বিয়েতে বর ছিলেন উপজেলার আয়ূবপুর ইউনিয়নের
ঘাসিরদিয়া গ্রামের আলতাব হোসেন সরকারের ছেলে সাব্বির হোসেন সরকার (৩০)।
কনের মা সেলিনা বেগম জানান, আলোচনা
করেই গত এক সপ্তাহ আগে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক হয়েছে। সময়মতো বর তার আত্মীয়স্বজনসহ ১৭৫
জন বরযাত্রী নিয়ে আসেন। খাওয়া-দাওয়া শেষে বিয়ের কাবিননামায় স্বাক্ষর করবে এমন সময় বরের
বড় বোন সাবিনা ও ছোট বোন নিপা বলেন, কনের আগে বিয়ে হয়েছে দুই বাচ্চা রয়েছে— এই বিয়ে হবে না। সেসময় কনের গায়ের
জামাকাপড় জোর করে খুলে নিয়ে বিয়ের আসর থেকে বরের লোকজন বরকে নিয়ে চলে যান। কনের আগে
বিয়ে হয়েছে এটা জানতো তারা; কিন্তু দুই বাচ্চা আছে এটা মিথ্যা কথা বলেছে। ঘটনার পরে
বরের বাড়ির এলাকার চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান সরকারকে জানালে তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।
এ বিয়ে উপলক্ষে আড়াই লাখ টাকা খাওয়া-দাওয়া ও ডেকোরেশন বাবদ খরচ হয়।
বরের বড় বোন সাবিনা বলেন, কনের আগে
বিয়ে হয়েছে আর বাচ্চা আছে এটা আমরা আগে জানতাম না।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান সরকার
বলেন, আমি বর পক্ষের লোকজনকে বলেছিলাম বসে মীমাংসা করতে। তারা আসেনি।
শিবপুরের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র
সমন্বয়ক আসিফ, রাকিব, সুমনা ও সাহেদের কাছে কনের মা অভিযোগ করলে তারা বরের বাড়িতে
গেলে বর ও বরের বাবাকে না পেয়ে বরের মামাকে থানায় নিয়ে আসেন। থানার ওসি উপস্থিত না
থাকায় আগামী রোববার সবার উপস্থিতিতে বসে মীমাংসা করা হবে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে শিবপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আফজাল হোসেন জানান, শিবপুরের ছাত্র সমন্বয়করা বরের বাড়িতে গেলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
বিয়ে না করে পালিয়ে যাওয়ায় ছোট ভাই আর তার পরিবর্তে বড় ভাই নিজেই বর সেজে বিয়ে করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েছেন কনেপক্ষের। পরে লাখ টাকা জরিমানা দিয়ে রক্ষা পেয়েছেন বরপক্ষ।
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের
জুয়ানপুর গ্রামে গত বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে চঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন করে
কনের বাড়িতে আমন্ত্রিত অতিথিদের ধুমধাম করে খাওয়ানো শেষ হলে বিয়ের জন্য প্রস্তুতি নেন
দুই পক্ষই। এর মধ্যেই ঘটে যায় বিপত্তি। দেখা যায় বর হিসেবে ছোট ভাইয়ের জায়গায় বড় ভাই!
শুরু হয় হৈচৈ। তখন সবাই জানতে পারেন, বর বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ায় বড় ভাই নিজেই বিয়ে
করতে গেছেন। তবে কনেপক্ষ বড়জনের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় এক লাখ টাকা খরচ বাবদ
ক্ষতিপূরণ দিয়ে ফিরে যায় বরপক্ষ।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা হাসান আলী
জানান, পারিবারিকভাবে খানপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের আরমান আলীর ছেলে মীর শহিদের
সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়। সেই অনুসারে ছেলে পক্ষ বিয়ে করতে আসেন। মেয়েটি গরিব হওয়ায় আমরা
এলাকাবাসী নিজেরা টাকা দিয়ে বিয়ের আয়োজন করি। কিন্তু বিয়ে পড়ানোর আগমুহূর্তে দেখা যায়,
বর শহীদ না এসে তার বড় ভাই আব্দুল মোমিন বর সেজে এসেছেন। পরে রাত ৯টার দিকে দুই পক্ষের সিদ্ধান্তে খরচ হওয়া
এক লাখ টাকা দিয়ে তারা চলে যায় বর পক্ষ।
এ বিষয়ে বর সেজে আসা আব্দুল মোমিন বলেন,
বিয়ের জন্য ছোট ভাই শহীদ সব কিছু কিনে প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর)
রাত থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না। তাই দুই পক্ষের সম্মানের কথা চিন্তা করে আমি নিজেই
বিয়ে করতে এসেছিলাম। যদি তাদের সম্মতি থাকত তাহলে বিয়ে করতাম।
কনের মা বলেন, আমরা যে ছেলের সঙ্গে
বিয়ে ঠিক করেছিলাম সে আসেনি। বড় ভাই বর সেজে আসায় আমরা মেয়েকে বিয়ে দেইনি।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনা জানার পর পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। দুই পক্ষ বসে নিজেদের
মধ্যে সমস্যার সমাধান করে নিয়েছে।
মন্তব্য করুন
গভীর
রাতে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়
কম্বল মোড়ানো শিশুটি দেখতে পান পথচারী। এরপর
পুলিশ খবর পেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধারের
পর তার পরিচয় শনাক্ত
করে। তারপর মাকে থানায় ডেকে
নিয়ে শিশুটিকে তার কোলে তুলে
দেওয়া হয়।
পুলিশ
জানিয়েছে, রাস্তায় পড়ে থাকা শিশুটির
নাম মালিহা ইসলাম ওহি। তার বয়স
মাত্র ৯ মাস। তার
মায়ের নাম মরিয়ম বেগম।
গত
৪দিন আগে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর
উপজেলার তোরাবগঞ্জ অগ্রণী স্কুলের ক্যাম্পাস থেকে চুরি হওয়া
তাকে চুরি করে নিয়ে
যায় অজ্ঞাত এক নারী।
শিশু
মালিহার মা মরিয়ম বেগম
বলেন, গতরাত ১২ টার আগ
পর্যন্ত আমরা থানায় ছিলাম।
সেখান থেকে বাড়ি আসার
১০ মিনিটের মাথায় থানা থেকে আমাদের
কাছে ফোন আসে। থানায়
গিয়ে আমার মেয়েকে দেখতে
পাই। পরে আমার কাছে
মালিহাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৪
দিন পর আমার মেয়ে আমার
কোলে ফিরেছে। আমার বুকটা ভরে
গেছে। চুরির সঙ্গে যে নারী জড়িত
তাকে যেন গ্রেপ্তার করে
আইনের আওতায় আনা হয়। আমি
তার বিচার দাবি করছি।
কমলনগর
থানার ওসি (তদন্ত) আবদুল
জলিল বলেন, রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত
আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে
থানার কাছে উপকূল কলেজের
পেছনে মাটির রাস্তা দিয়ে জনৈক পথচারী
ইউছুপ বাড়ি যাওয়ার সময়
কম্বল মোড়ানো একটি শিশুটি দেখতে
পান। তিনি চিৎকার দিয়ে
লোকজন জড়ো করে। পরে
এলাকার লোকজন থানায় খবর দেয়। পুলিশ
গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে এবং তার
পরিচয় নিশ্চিত করে। এর আগে
শিশুর মা থানায় একটি
জিডি করে। সে সূত্রে
পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রাখে।
এদিকে
চুরির সঙ্গে জড়িত নারীকে এখনো
শনাক্ত করা যায়নি।
মন্তব্য করুন
বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশন থেকে পঞ্চগড়গামী আন্তঃনগর দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগির ছাদে সাপ ওঠে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। আর তা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। তাৎক্ষণিক সেই দৃশ্য মোবাইলে ধারণসহ ট্রেনের স্টাফকে অবগত করেন যাত্রীরা।
বুধবার (২৬ জুন) রাতে ট্রেনের ছাদে সাপ ওঠে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্টেশন কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, বুধবার সকাল ১১টায় সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশন থেকে পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় আন্তঃনগর ট্রেন দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস। এসময় কিসমত স্টেশন পার হলে ট্রেনের একটি বগির ছাদে সাপটির উপস্থিতি দেখতে পায় ট্রেনের যাত্রীরা। এর পর ট্রেনে দায়িত্বরতদের অবগত করে। ট্রেনটি রাত ১১টার সময় পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছালে রাতেই ট্রেনের স্টাফসহ স্টেশন সংশ্লিষ্টরা খোঁজাখুঁজি করলে সাপটির উপস্থিতি পায়নি।
ট্রেনের এফ এ এস ডি এ পাওয়ার কার ড্রাইভার শাহিনুর ইসলাম জানান, সাপটি পাওয়ার কারের ইঞ্জিনের বগির উপর ছিল। যেই বগির উপর দেখা গিয়েছে সেই বগি আমাদের সান্তাহার ডগেই ছিল। কিন্তু আমরা রাতে কোনো কিছু দেখতে পাইনি।
স্টেশনের গ্রেড ফোর স্টেশন মাস্টার নিরঞ্জন রায় জানান, চলন্ত ট্রেনের ছাদে সাপটিকে দেখেতে পেয়ে ভিডিও করে আমাদের পাঠিয়েছে। একপর্যায়ে ট্রেনটি স্টেশনে পৌঁছালে আমরা তল্লাশি চালাই। কিন্তু সাপটিকে পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
৬৪ কেজি গাঁজাসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশ।
আজ
(১৯ ফেব্রুয়ারি) ব্রাহ্মণপাড়া
থানায় কর্মরত এসআই শাহাবুর আলম ও সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার
ব্রাহ্মণপাড়া থানাধীন ১নং মাধবপুর ইউপিস্থ মাধবপুর বাজার এলাকায় কুমিল্লা টু সিলেট
মহাসড়কের পূর্ব পাশে পাকা রাস্তার উপর চেকপোস্ট ডিউটি করাকালে ১টি পিকআপ গাড়ি থেকে
৬৪ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী ওয়াহিদুন নবী ও মোঃ তপন মিয়া কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত
আসামী হলো:১. ওয়াহিদুন নবী (২৭), পিতা-মোঃ মোসলেম উদ্দিন, সাং-মাধবপুর(দক্ষিণপাড়া),
থানা- ব্রাহ্মনপাড়া, জেলা: কুমিল্লা। ২. মোঃ তপন মিয়া (১৯), পিতা-মোঃ কানু মিয়া, সাং-মাধবপুর,
পোঃ-মাধবপুর, ১নং মাধবপুর ইউপি, উপজেলা/থানা- ব্রাহ্মনপাড়া, জেলা: কুমিল্লা।
উক্ত
ঘটনায় ব্রাহ্মনপাড়া থানার মামলা রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা, কচুয়া:
“চলো করি বৃক্ষরোপণ, গড়ে তুলি সবুজ ভুবন” এই স্লোগানে চাঁদপুরের কচুয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রশিদ পাঠান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সুপারি ও বিভিন্ন জাতের গাছের বিতরণ ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়েছে।
রবিবার উপজেলার পালাখাল ছালেহিয়া আলিম মাদ্রাসা মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন, ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মজুমদার।
এসময় মাদ্রাসার বিভিন্ন আঙ্গিনায় সুপারি গাছের চারা রোপন করা হয়।
এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রশিদ পাঠান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট সমাজসেবক রকিবুল হাসান জেমস, মরহুম আব্দুর রশিদ পাঠানের সহধর্মনী জোৎসা বেগম, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি আব্দুর রাজ্জাক আনোয়ারী, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম সৌরভ, পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মেহেদী হাসান অভি, ছাত্রলীগ নেতা অন্তুর হোসেন, রাফি মজুমদার ও সজিব সরদার সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় মৌসুমি ফলসহ নিত্যপণ্যের বাজারে ভোক্তা অধিকারের তদারকি অভিযান পরিচালনা করা হয় ।
বৃহস্পতিবার কুমিল্লার টমছম ব্রিজ বাজার ও ঢুলিপাড়া এলাকায় অভিযানের সময় সকল স্তরের ভাউচার যাচাই করা হয়। ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রয় করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
অভিযানের ফলে অন্য সময়ে ৬০০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া তরমুজ যৌক্তিক মূল্যে ৩০০ থেকে ৩৮০ টাকায় বিক্রি হয়।
উৎসুক ভোক্তা সাধারণ যৌক্তিকমূল্যে উৎসবমুখর পরিবেশে তরমুজ ক্রয় করেন এবং তদারকি টিমের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আজ ভোক্তা অধিকার বিরোধী নানা কর্মকাণ্ডের অভিযোগে চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।
জনস্বার্থে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জে মোটরসাইকেল
নিয়ে ঘুরতে গিয়ে রাইস মিলের দেয়ালের সাথে ধাক্কা লেগে দুই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৭ জুন) দুপুরে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার
শাহগঞ্জ সড়কের পাইবাকুঁড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহতরা হলেন, উপজেলার দামদি গ্রামে
আমিনুল ইসলামের ছেলে রনি মিয়া (১৬) ও একই এলাকার আবুল হাশেমের আশিক (১৭)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ঈদের
নামাজের পর রনি ও আশিক মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে ঈশ্বরগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে
ঈশ্বরগঞ্জ-শাহগঞ্জ সড়কের পাইবাকুঁড়ি এলাকায় পৌঁছলে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের
একটি মিলের দেয়ালে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই রনির মৃত্যু হয়। এ সময় গুরুতর আহত হয়
আশিক। স্থানীয়রা আশিককে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আশিকের মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরগঞ্জ
থানার এসআই কমল সরকার জানান, নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় রনির
মরদেহ দাফনের প্রক্রিয়া চলছে। আশিকের মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে আছে।
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
সরকারি চাকুরী শেষে
ফেয়ারওয়েল আছে, আছে এককালীন আর্থিক সুবিধা ও পেনশন সহ নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা।
কিন্তু যারা আল্লাহর ঘর মসজিদে খেদমতের কাজ করেন, দীর্ঘ দিন কাজ করার পরও তাদের
ভাগ্য জুটে না কোনো বিদায় সংবর্ধনা। তবে এবার স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের
ব্যতিক্রমী উদ্যোগ একই মসজিদে ৩৬ বছর খেদমত শেষে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে একজন
মুয়াজ্জিন পেলেন রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) জুমার নামাজ শেষে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের নরোত্তমপুর
গ্রামের গুড়াগাজী বেপারী বাড়ি মসজিদে তাকে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়।
জানা যায়, গুড়াগাজী জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন হুজুর। তিনি একই
মসজিদে একটানা ৩৬ বছর, ৩ যুগেরও অধিক সময় মুয়াজ্জিন হিসেবে খেদমত করে গেছেন। বয়স
এবং কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ায় দীঘ কর্মজীবন শেষে তিনি অবসর নেন। তার এই দীর্ঘ খেদমত
জীবনকে স্মরণীয় করতে রাখতে মসজিদ কমিটির পরিচালনা পরিষদ ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী
সংগঠন মানবতা এক্সপ্রেসের পক্ষ থেকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এ উপলক্ষে এলাকার হাজারো মুসল্লির উপস্থিতিতে তাদের পক্ষ থেকে নগদ এক লাখ
পঞ্চাশ হাজার টাকা সহ পরিবারের সদস্যদের জন্য উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে মুয়াজ্জিনকে।
এই সময় হাজারো মুসল্লি কয়েকটি পিকআপভ্যান এবং ফুলসজ্জিত একটি মাইক্রোবাসে করে
মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ হেলাল হুজুরকে ফুলেল শুভেচ্ছায় পুরো গ্রাম ঘুরিয়ে নিজ বাড়ীতে
পৌঁছে দেন। এইদিকে একজন দীর্ঘদিন মসজিদে খেদমত জীবন শেষে এমন শুভেচ্ছার উদ্যোগকে
স্বাগত জানান এলাকার অনেক উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ।
একজন সাধারণ মুয়াজ্জিন হিসেবে এমন বিরল সম্মান পেয়ে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে
আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ হেলাল হুজুর।
অনুষ্ঠিত সংবর্ধনায় বক্তব্য রাখেন, মসজিদের উপদেষ্টা ও দৈনিক নয়াদিগন্তের নোয়াখালী
অফিস প্রধান মুহাম্মদ হানিফ ভুঁইয়া, সাংবাদিক তাজুল ইসলাম মানিক, স্থানীয় ইউপি
সদস্য জিল্লুর রহমান, সমাজ সেবক শরীফ উল্লাহ, সাংবাদিক মোঃ সুমন ভূঁইয়া,
মানবতা এক্সপেসের মনির হোসেন, মনসাদ আলম প্রমূখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, সরকারি এবং বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী জীবন শেষে
এককালীন আর্থিক সুবিধা ও পেনশন সহ নানা সুযোগ-সুবিধা আছে। কিন্তু আল্লাহর ঘর
মসজিদের খতিব, মুয়াজ্জিনদের জন্য এ সুবিধা না থাকলেও গুড়াগাজী জামে মসজিদের
মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ হেলাল হুজুরের সম্মানজনক রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনার এই উদ্যোগ
আগামীতে অন্যান্য মসজিদের খতিব, মুয়াজ্জিনদের সম্মানে নতুন দিগন্ত উন্মেচিত হবে।
মন্তব্য করুন