গভীর
রাতে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়
কম্বল মোড়ানো শিশুটি দেখতে পান পথচারী। এরপর
পুলিশ খবর পেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধারের
পর তার পরিচয় শনাক্ত
করে। তারপর মাকে থানায় ডেকে
নিয়ে শিশুটিকে তার কোলে তুলে
দেওয়া হয়।
পুলিশ
জানিয়েছে, রাস্তায় পড়ে থাকা শিশুটির
নাম মালিহা ইসলাম ওহি। তার বয়স
মাত্র ৯ মাস। তার
মায়ের নাম মরিয়ম বেগম।
গত
৪দিন আগে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর
উপজেলার তোরাবগঞ্জ অগ্রণী স্কুলের ক্যাম্পাস থেকে চুরি হওয়া
তাকে চুরি করে নিয়ে
যায় অজ্ঞাত এক নারী।
শিশু
মালিহার মা মরিয়ম বেগম
বলেন, গতরাত ১২ টার আগ
পর্যন্ত আমরা থানায় ছিলাম।
সেখান থেকে বাড়ি আসার
১০ মিনিটের মাথায় থানা থেকে আমাদের
কাছে ফোন আসে। থানায়
গিয়ে আমার মেয়েকে দেখতে
পাই। পরে আমার কাছে
মালিহাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৪
দিন পর আমার মেয়ে আমার
কোলে ফিরেছে। আমার বুকটা ভরে
গেছে। চুরির সঙ্গে যে নারী জড়িত
তাকে যেন গ্রেপ্তার করে
আইনের আওতায় আনা হয়। আমি
তার বিচার দাবি করছি।
কমলনগর
থানার ওসি (তদন্ত) আবদুল
জলিল বলেন, রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত
আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে
থানার কাছে উপকূল কলেজের
পেছনে মাটির রাস্তা দিয়ে জনৈক পথচারী
ইউছুপ বাড়ি যাওয়ার সময়
কম্বল মোড়ানো একটি শিশুটি দেখতে
পান। তিনি চিৎকার দিয়ে
লোকজন জড়ো করে। পরে
এলাকার লোকজন থানায় খবর দেয়। পুলিশ
গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে এবং তার
পরিচয় নিশ্চিত করে। এর আগে
শিশুর মা থানায় একটি
জিডি করে। সে সূত্রে
পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রাখে।
এদিকে
চুরির সঙ্গে জড়িত নারীকে এখনো
শনাক্ত করা যায়নি।
মন্তব্য করুন
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের
‘শ্লীলতাহানি’র ঘটনার আন্তঃজেলার তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকার
সাভার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত হওয়া তিনটি মোবাইল
ফোন, একটি ছুরি ও ২৯ হাজার ৩৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মানিকগঞ্জের দৌলতপুর সদর উপজেলার লাউতারা গ্রামের মো. বদর উদ্দিন শেখের ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম ওরফে মুহিত (৩০), শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মো. ইসমাইল মোল্লার ছেলে মো. সবুজ (৩০) এবং ঢাকার সাভার উপজেলার টানগেন্ডা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মো. শরীফুজ্জামান (২৮)।
এ বিষয়ে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো.
মিজানুর রহমান তার কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিংএর মাধ্যমে তিনি জানান, এ ঘটনায় দায়িত্ব
অবহেলার কারণে মির্জাপুর থানার এএসআই আতিকুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগে বাসে ডাকাতির ঘটনায় বাসের যাত্রী ওমর আলী বাদী হয়ে শুক্রবার ভোর রাতে মির্জাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইউনিক রোড রয়েলস্
পরিবহনের ঢাকা কোচটি (ময়মনসিংহ-ব-১১-০০৬১) ঢাকার গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে
রাজশাহীর নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এসময় বাসটিতে ৩০ থেকে
৩৫ জন যাত্রী ছিল। পরে রাত ১২টার দিকে হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছার সেখানে
থেকে আরও ১০ থেকে ১২জন যাত্রী নিয়ে বাসটি পুনরায় রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা করে। পরে
বাসটি গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন চন্দ্রা বাইপাসে পৌঁছালে চা-বিরতির জন্য
থামে। সেখান ১০ থেকে ১৫ মিনিট চা বিরতির সময় চন্দ্রা বাইপাস থেকে আরও তিন থেকে চার
জন নতুন যাত্রী নিয়ে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা করে বাসটি। বাসটি ওইদিন রাত দেড়টার
দিকে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন হাইটেক সিটি পার্ক সংলগ্ন খাড়াজোড়া
ফ্লাইওভার ব্রিজ অতিক্রম করার ৫ থেকে ৬ মিনিট পর হঠাৎ যাত্রীবেশে থাকা বাসে ৮ থেকে
৯ জন ডাকাত এক সঙ্গে দাঁড়িয়ে যায় এবং ধারালো চাকু ও চাপাতি দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার
ভয় দেখিয়ে সবাইকে চুপ থাকতে বলে। এসময় তাদের মধ্যে তিনজন অজ্ঞাতনামা ডাকাত
গাড়িচালকের গলায় ধারালো চাকু ধরে টানা হেঁচড়া করে কিলঘুষি মেরে তাকে উঠিয়ে নিয়ে
পেছনে উল্টা করে রাখে। ডাকাতদের মধ্যে থেকে একজন চালকের আসনে বসে বাসটি নিয়ন্ত্রণ
নেয় এবং বাসটি চালিয়ে টাঙ্গাইলের দিকে রওনা হয়। পরে মির্জাপুর উপজেলার সোহাগপাড়া
সাকিনস্থ ফুটওভার ব্রিজের প্রায় ১০০ গজ পশ্চিম পার্শ্বে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের
ওপর পৌঁছালে ডাকাতদলের ৬ থেকে ৭ জন সদস্য গাড়িতে থাকা অন্যান্য যাত্রীদের ধারালো
চাকু ও চাপাতি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এসময় যাত্রীদের বলে, ‘তোদের সঙ্গের টাকা
পয়সাসহ যার যা কিছু আছে সব দিয়ে দে’। এসময় যাত্রীদের কাছে থাকা টাকা, মোবাইল ফোন,
স্বর্ণালংকার ও রূপাসহ সব মালামাল ছিনিয়ে নেয়। পরে ডাকাতদলের সদস্যরা মির্জাপুরের
নাটিয়াপাড়া নাছির গ্লাসের সামনে থেকে ইউটার্ন নিয়ে ঢাকার দিকে রওনা করে। তারা দুই
থেকে আড়াই ঘণ্টা গাজীপুরের কালিয়াকৈর, কোনাবাড়ীসহ গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরায়
এবং এই সময়ের মধ্যে যাত্রীদের ধারালো চাকু ও চাপাতি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
একপর্যায়ে দুই নারীর ‘শ্লীলতাহানি’ করা হয়।
এজহারে আরও বলা হয়েছে- সব যাত্রীদের টাকাসহ অন্যান্য মালামাল লুট
করে রাত ৪টার দিকে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন বাড়ইপাড়া এলাকার নন্দন পার্কের
সামনে গাড়িটি টাঙ্গাইল অভিমুখে থামিয়ে চালককে ভয় দেখিয়ে বলে, ‘১০ কিলোমিটারের
মধ্যে গাড়িটি কোথাও থামালে তোকে জানে মেরে ফেলবো, আমরা তোদের গাড়ির পেছনে পেছনে
আছি’ এই বলে ডাকাতদলের সদস্যরা মালামাল ও টাকা পয়সাসহ গাড়ি থেকে নেমে চলে যায়।
পরে চালক গাড়ি নিয়ে চন্দ্রা মোড়ে গেলে গাড়িতে থাকা যাত্রীরা জাতীয়
জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে ঘটনার বিষয়ে পুলিশকে জানালে কিছুক্ষণের মধ্যে টহল পুলিশ
সেখানে উপস্থিত হয়। তখন গাড়িতে থাকা যাত্রীরা ডাকাতির বিষয়ে বিস্তারিত জানালে
কালিয়াকৈর থানাধীন চন্দ্রা এলাকার টহলরত পুলিশ মির্জাপুর থানায় যাওয়ার পরামর্শ
দিলে চালক গাড়ি নিয়ে মির্জাপুর বাসস্ট্যান্ডে যায়। তখন কয়েকজন যাত্রী ও গাড়ির
সুপারভাইজার মির্জাপুর থানায় গিয়ে ডিউটি অফিসারকে বিষয়টি মৌখিকভাবে অবগত করলে
মামলা না নেওয়ায় তারা পুনরায় রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরে নাটোর জেলার
বড়াইগ্রাম থানা মোড়ে গেলে গাড়ি থেকে তিন থেকে চার যাত্রী নেমে স্থানীয় লোকজনের
সহায়তায় গাড়ির চালক, হেলপার ও সুপারভাইজার ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে সন্দেহে
গাড়িটি আটক করে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, ডাকাতির ঘটনায় মামলা হওয়ার
১৪ ঘণ্টার মধ্যেই এ ঘটনায় জড়িত আন্তঃজেলা ডাকাতদলের তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার
করেছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে আদালতে হাজির করে
পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে। এছাড়া দায়িত্ব অবহেলায় মির্জাপুর থানার ডিউটি
অফিসার উপ পরিদর্শক (এএসআই) আতিকুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীতে ২৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে সাড়ে ছয় লাখ মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদন হয়েছে। এসব তরমুজের বাজার মূল্য দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে দাবি করছেন জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।
উৎপাদিত এসব তরমুজ উচ্চমূল্যে বিক্রি করতে পেরে খুশি কৃষক। গত বছরের বৃষ্টিতে তরমুজ চাষের ক্ষতি পুষিয়ে এবার লাভবান চাষিরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাঠের পর মাঠ তরমুজ ক্ষেত। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তরমুজ। ক্ষেত থেকে তরমুজ তুলে জড়ো করে রেখেছেন বিক্রির জন্য। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যাপারীরা তরমুজ কিনতে ক্ষেতে গিয়ে চাষিদের সঙ্গে দরদাম করে কিনে নিচ্ছেন। এই তরমুজ ট্রাক-ট্রলি ও ট্রলারে বোঝাই করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন শ্রমিকরা। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই ক্ষেত থেকে তুলে বাজারজাতে ব্যস্ততা দেখা গেছে চাষিদের মাঝেও।
এসব দৃশ্য দেখা গেছে পটুয়াখালীর গলাচিপা, দশমিনা, কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলার তরমুজ ক্ষেতে। চাষিরা জানান, জেলার গলাচিপা ও রাঙ্গাবালীতে প্রচুর তরমুজ চাষ হয়েছে। তবে বরি মৌসুমে অল্প সময়ে তরমুজ আবাদ ও লাভজনক হওয়ায় পটুয়াখালীর চাষিদের মধ্যে আগ্রহ অনেক বেড়েছে।
একই এলাকার চাষি সেলিম হাওলাদার (৪২) বলেন, তরমুজ চাষের জন্য অন্যের কাছে থেকে এক বছরের চুক্তিতে দুই একর জমি লিজ নিয়েছি। এর মধ্যে চাষযোগ্য ১৬০ শতাংশ জমিতে তরমুজ আবাদ করেছি। এতে বীজ ও সার-ওষুধসহ মোট খরচ হয়েছে এক লাখ টাকার মতো। আর বিক্রি করেছি চার লাখ টাকা।
তিনি আরও বলেন, আমি গত বছরগুলোতে তরমুজ চাষ করে তেমন লাভ করতে পারিনি। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তরমুজ ভালো হয়েছে এবং লাভবান হয়েছি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, এ বছর জেলায় ২৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে গলাচিপা উপজেলায়। এ উপজেলায় আট হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে রসালো ফলটির চাষ হয়েছে। এ ছাড়াও রাঙ্গাবালীতে ছয় হাজার ৩৫০ হেক্টর, বাউফলে তিন হাজার ৫২০ হেক্টর, কলাপাড়ায় এক হাজার ৭৫০ হেক্টর, দশমিনায় এক হাজার ৭২০ হেক্টর, সদর উপজেলায় ৮০৫ হেক্টর, দুমকি উপজেলায় ৩৫০ হেক্টর ও মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ১৫৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। উৎপাদিত এসব তরমুজ বাজারে বিক্রি দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
এদিকে গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ও গোলখালী ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে, ক্ষেতের পর ক্ষেতে তরমুজ। চাষিরা এখন বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
আমখোলা ইউনিয়নের বাউরিয়া গ্রামের তরমুজ চাষি ইউনুচ হওলাদার (৪০) ১৩ বছর ধরে রবি মৌসুমে তরমুজ চাষ করছেন। এ বছর নিজের ও অন্যের জমি মিলিয়ে দুই একর জমিতে ফলটি চাষ করেছেন। তিনি বলেন, আমার ক্ষেতের কিছু তরমুজ গাছ মারা গেছে, তবুও যা ছিল ফলন ভালো হয়েছে। বৃহস্পতিবার তরমুজ আড়াই লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। ক্ষেত থেকে ব্যাপারীরা এখন পর্যন্ত তরমুজ কেটে নেয়নি।
বৌবাজার এলাকার কৃষক তাসলিমা বেগম মাঝেরচর এলাকায় আট একর জমি লিজ নিয়ে তরমুজ চাষ করেছেন। তিনি বলেন, দুই একর জমিতে আগাম জাতের তরমুজ উৎপাদন করে সাত লাখ টাকা বিক্রি করেছি। এখনও ছয় একর জমিতে তরমুজ রয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে প্রায় ১৫ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো।তিনি আরও বলেন, প্রথমে দাম ভালো ছিল- এখন কিছুটা কম। আজকে রোদের তাপ অনেক, আবহাওয়া এভাবে থাকলে তরমুজের বাড়বে।
সুহুরী ব্রিজ এলাকার কৃষক আলআমিন জানান, মৌসুমের আগেই দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যাপারীরা অগ্রিম দাদন দিতে এলাকায় চলে আসেন এবং ফলনের পর তরমুজ সংগ্রহ করতে এলাকায় অবস্থান করেন। তিনি ক্ষেত থেকে তরমুজ তুলে ব্যাপারীদের কাছে বিক্রি শুরু করেছেন।
মৌসুম শুরুর আগেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আড়তদার ও ব্যাপারীরা এখানকার চাষিদের লাখ লাখ টাকা দাদন দিয়ে রেখেছেন। এখন আড়তদাররা এলাকায় এসে চাষিদের কাছ থেকে তরমুজ সংগ্রহ করছেন। ক্ষেত থেকে তরমুজ কিনে ট্রলার কিংবা ট্রলি বোঝাই করে এনে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাতে দেখা গেছে। এ ছাড়া ঢাকাগামী লঞ্চগুলোতে তরমুজ চলে যাচ্ছে রাজধানীতে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম মল্লিক বলেন, জেলায় ২৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। এতে সাড়ে ছয় লাখ মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদন হবে। প্রায় সবগুলোই অধিক ফলনশীল হাইব্রিড জাতীয়। জেলার আগাম উৎপাদিত তরমুজ বাজারে ভালো দাম পেয়েছে। সেগুলো দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে। উৎপাদিত তরমুজের বাজার মূল্য দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, আবাদের পর আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। এ অঞ্চলে দোআঁশ মাটিতে তরমুজের ফলন ভালো হয়। বৃষ্টির কারণে মাটিতে প্রচুর রস থাকায় তরমুজ আকারে বড় ও উৎপাদন বেড়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে। এ ছাড়াও দিনের বেলা প্রখর রোদে তরমুজের রং উজ্জ্বল ও সুস্বাদু হয়। ফলে এ অঞ্চলের তরমুজ খুব সুস্বাদু এবং ক্রেতাদের কাছেও জনপ্রিয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন সুয়াগাজী এলাকা হতে ১১ কেজি গাঁজা’সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গত ১১ ডিসেম্বর সোমবার রাতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন সুয়াগাজী এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ১১ কেজি গাঁজা’সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী হলো: চট্টগ্রাম জেলার খুলশী থানার আমবাগান গ্রামের আলমাছ হক পাটোয়ারী @ দুলাল এর ছেলে মোঃ আরমান (৩০)। এসময় মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, সে দীর্ঘদিন যাবৎ জব্দকৃত সিএনজি ব্যবহার করে কুমিল্লা’সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গাঁজা’সহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল বলে স্বীকার করে। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার একতারপুর গ্রাম থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসী একতারপুর গ্রামের মৃত রেজাউল ইসলামের ছেলে রাজন বিশ্বাস (২৮)।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু আজিফ বলেন, কালীগঞ্জ উপজেলার একতারপুর গ্রামের এক নারী রাজনের নামে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পরে পুলিশ ওই গ্রামে অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেফতার করে।
এসময় তার দেহ তল্লাশি করে ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন ও ২ রাউন্ড গুলি পাওয়া যায়। তার নামে থানায় নাশকতা, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু আজিফ বলেন, গ্রেফতারের পর তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
মন্তব্য করুন
বরগুনার আমতলীতে সেতু ভেঙে যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস পানিতে ডুবে নিহত ৭ জনের দাফন
সম্পন্ন হয়েছে।
আজ রোববার সকালে মাদারীপুর জেলার শিবচরের ভদ্রাসন ইউনিয়ন ও ভান্ডারিকান্দি ইউনিয়নের
পারিবারিক কবরস্থানে তাঁদের দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে রাত তিনটার দিকে মরদেহ বাড়িতে
পৌঁছালে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
শনিবার রাত তিনটার দিকে গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের শিবচরে পৌঁছায় দুর্ঘটনায় নিহত
৭ জনের মরদেহ। এ সময় জড়ো হন প্রতিবেশীরাও। পরে রোববার সকালে ভদ্রাসন ইউনিয়নের সাহা
পাড়া, ওমেদপুর ও ভান্ডারিকান্দি ইউনিয়নের ক্রোকচর গ্রামে জানাজা শেষে নিজ নিজ গ্রামের
পারিবারিক কবরস্থানে তাঁদের দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় শিবচর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের দাফন কার্য সম্পন্ন করতে ১০
হাজার করে মোট ৭০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
জানা যায়, বরগুনার আমতলীতে বোনের মেয়ে হুমায়রা আক্তারের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ
দিতে বুধবার রাজধানী ঢাকা থেকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে মাদারীপুরের শিবচরের ভদ্রাসনের
গ্রামের বাড়িতে আসেন ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ। মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় ভাগ্যক্রমে
তিনি বেঁচে গেলেও প্রাণ হারায় তার স্ত্রী শাহানাজ আক্তার মুন্নী ও দুই মেয়ে তাহিয়া
ও তাসদিয়া। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কেড়ে নেয় ব্যাংক কর্মকর্তার বোন, ভাবী, দুই ভাগ্নেসহ
একই পরিবারের ৭ জনকে।
নিহতরা হলেন - শিবচরের ভদ্রাসনের গ্রামের আবুল কালাম আজাদ-এর স্ত্রী শাহানাজ
আক্তার মুন্নী (৪০) ও তার দুই মেয়ে তাহিয়া (০৭) এবং তাসদিয়া (১১)। একই এলাকার মৃত ফকরুল
আহম্মেদের স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪০), সোহেল খানের স্ত্রী রাইতি আক্তার (৩০), বাবুল মাদবরের
স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪০) এবং রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রুমি বেগম (৪০)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে , আমতলীর কাউনিয়ার মনিরুল ইসলামের মেয়ে হুমায়ারার সঙ্গে
একই এলাকার সেলিম ইসলামের ছেলে সোহাগের বিয়ে শুক্রবার দুপুরে সম্পন্ন হয়। শনিবার দুপুরে
কনেপক্ষ আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার সময় বহনকারী মাইক্রোবাসটি লোহার সেতু ভেঙে পানিতে ডুবে
যায়। এ ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে ৭ জনই মাদারীপুরের শিবচরের।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান বলেন, বৌভাত অনুষ্ঠানে যোগ
দিতে গিয়ে একসঙ্গে একই পরিবারের ৭ জনের মৃত্যু খুবই দুঃখজনক। শোকবহ পরিবারের পাশে থাকবে
জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। এ ব্যাপারে জনপ্রতিনিধিকেও বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মো. মাসুদ রানা, কচুয়া প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মাঝিগাছা মাওলানা মবিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের পরীক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে বার্ষিক দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিদ্যালয় মাঠে শিক্ষার্থীদের সফলতা কামনা করে এ উপলক্ষে প্রধান মেহমান হিসেবে দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন জৈনপুরের পীর সাহেব আলহাজ¦ হযরত মাওলানা আব্দুল হাই আতিকী জৈনপুরী।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি রাজীব আহমেদ রাজু’র সভাপতিত্বে এসময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ, সহকারি প্রধান শিক্ষক কাঞ্চন বনিক, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: শাহ্ আলম পাটওয়ারী, নিজাম মিঞা, হালিম পাটওয়ারী, সমাজসেবক মিঞা মো: মিজানুর রহমান, সহকারি শিক্ষক আব্দুল মান্নান বিএসসিসহ অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
গোপালগঞ্জ
জেলায় প্রেমঘটিত কারণে হতাশা থেকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঘনিষ্ঠ দুই বন্ধু আত্মহত্যা করেছেন।
সোমবার ও মঙ্গলবার (১৩
ও ১৪ মে) জেলার কোটালীপাড়া উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার
(১৪ মে) সকালে গাছে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় যুবক পল্লব বাড়ৈর (২২) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি উপজেলার শিকির বাজার গ্রামের গণেশ বাড়ৈর ছেলে।
সোমবার
(১৩ মে) নিজ কক্ষে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় অশ্রু বিশ্বাসের (২৪) মরদেহ উদ্ধার হয়। তিনি উপজেলার ছিকটিবাড়ী গ্রামের আশুতোষ বিশ্বাসের ছেলে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে গাছে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পল্লব বাড়ৈ (২২) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ। এর আগে সোমবার
(১৩ মে) সকালে নিজ কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্র অশ্রু বিশ্বাস (২৪)।
জানা গেছে, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্র পল্লব বাড়ৈর বরিশালের একটি মেয়ের সঙ্গে ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু মেয়েটি হটাৎ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন পল্লব। সোমবার ভোরে তাকে ঘরে না পেয়ে তাকে খুঁজতে বের হন পরিবারের সদস্যরা।
মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পাশে একটি গাছে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পাই পরিবারের মানুষ। এরপর পুলিশে খবর দেয় তারা। পুলিশ এসে পল্লব বাড়ৈর মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় তার পকেট থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। সেখানে লেখা ছিল, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।
অন্যদিকে, সোমবার (১৩ মে) ঢাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও পল্লব বাড়ৈর বন্ধু অশ্রু বিশ্বাস গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। প্রতিবেশী এক মেয়ের সঙ্গে তার প্রেমের সর্ম্পক ছিল। মেয়েটির অন্যত্র বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকে তিনি নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। কিছুদিন ধরে বিয়ের জন্য পরিবারকে চাপ দিচ্ছিলেন অশ্রু বিশ্বাস। এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ করতেন তিনি। সোমবার সকালে নিজ কক্ষে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
কোটালীপাড়া থানার এসআই আতাউর রহমান জানান, এ ঘটনায় দুইটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পল্লব বাড়ৈ প্রেমে ব্যর্থ হয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানতে পেরেছি। অপরদিকে, অশ্রু মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
৫২ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
করেছে কোতয়ালী
মডেল থানা পুলিশ।
গতকাল (১৮মে)
সন্ধ্যায় কোতয়ালী
মডেল থানায় কর্মরত এসআই(নিঃ) শেখ মফিজুর রহমান ও সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোতয়ালী মডেল থানাধীন ২নং উত্তর দূর্গাপুর ইউপিস্থ আড়াইওড়া উত্তর পাড়া কালী মন্দির সংলগ্ন ধৃত আসামী খালেক মিয়ার চা দোকানের উত্তর পাশে খালেক মিয়ার মালিকানাধীন একচালা ছাপরা ঘরের ভিতরে তল্লাশী করে ৫২ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী নিলুফা বকুল
ও মোঃ মালেককে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত
আসামীরা হলো- কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী
মডেল থানাধীন
আড়াইওড়া(উত্তর পাড়া, কালী মন্দির সংলগ্ন) এলাকার খোকন মিয়ার
স্ত্রী নিলুফা
বকুল (৫০) এবং একই এলাকার মৃত আলী আশরাফ এর
ছেলে মোঃ
মালেক(৫০)।
এ
ঘটনায় কুমিল্লা কোতয়ালী
মডেল থানায়
মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় অভিনব কৌশলে পিকআপে করে মাদক পরিবহনকালে ৮৯ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২।
আজ (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল
থানাধীন ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে অভিনব কৌশলে পিকআপের
পিছনে মালামাল পরিবহণের ক্যারেটের মধ্যে লুকিয়ে গাঁজা পরিবহণের সময় আসামী ১। জুয়েল
রানা এবং ২। মোঃ আকাশ নামক দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামী’দ্বয়ের
কাছ থেকে ৮৯ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। জুয়েল রানা (৩১) দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর থানার চন্ডীপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম এর ছেলে এবং ২। মোঃ আকাশ (৩২) একই থানার উত্তর বাসুদেরপুর গ্রামের মোঃ খোকন এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে দিনাজপুর সহ অন্যান্য জেলায় মাদক
ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা
বাহিনীর চোখ এড়াতে তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিনব কৌশল অবলম্বন করে মাদকদ্রব্য পরিবহণ
করতো। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা
করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত
আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
প্রবল বর্ষণের কারণে কক্সবাজারের উখিয়ার
৪টি রোহিঙ্গা শিবিরে পাহাড় ধসে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৮ জন রোহিঙ্গা ও একজন
স্থানীয়।
বুধবার (১৯ জুন) ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, উখিয়ার বালুখালীর ৮ নম্বর
রোহিঙ্গা শিবিরের মো: আনোয়ারের ছেলে মো: হারেজ (৫), ৯ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরে বসবাসরত
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া কেরানীহাটের আলী জহুরের ছেলে মো: হোসেন আহম্মেদ (৫০), একই শিবিরের
রোহিঙ্গা আলী জোহারের মেয়ে আনোয়ারা বেগম (১৮), জামালের ছেলে মো. সালমান (৩), ১০ নম্বর
বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরের আবুল কালাম (৫৭), মতির রহমানের মেয়ে সলিমা খাতুন (৪২), আবুল
কালামের ছেলে আবু মেহের (২৪), শরিফ হোসেনের মেয়ে জানু বিবি (১৯) ও থাইংখালীর ১৪ নম্বর
রোহিঙ্গা শিবিরের শাহা আলমের ছেলে আব্দুল করিম (১২)।
কক্সবাজার অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ
ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো: শামসু দ্দৌজা বলেন, প্রবল বর্ষণের কারণে উখিয়ার ৪টি রোহিঙ্গা
শিবিরে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে ৮ জন রোহিঙ্গা ও একজন স্থানীয় বাসিন্দা মারা গেছেন।
মন্তব্য করুন