জীবনের শেষ সময় গ্রামে এসে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি গ্রামে এসে বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়াব, ভ্যানে করে ঘুরবো। ঢাকা শহরে তো আমার বাড়িঘর নেই। গ্রামে এসে গ্রামের বাড়িতেই শেষ জীবন কাটাতে চাই।
তিনি শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এমন ইচ্ছা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়ার মানুষই আমার আপনজন। আমার এই নির্বাচনটাও তারা করে দিয়েছেন। কাজেই আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি সবচেয়ে বড় সৌভাগ্যবান যে আমার নিজের জায়গা নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। সবাই ছুটাছুটি করে, কিন্তু আমি তো সময় পাই না। আমাকে সারা বাংলাদেশ দেখতে হয়। এবারের নির্বাচনও আপনারা করেছেন। বিশেষ করে নারীদের মিছিল দেখে এতো ভালো লেগেছে যে বলতে পারবো না।
এর আগে ঢাকা গণভবন থেকে সড়ক পথে পদ্মা সেতু হয়ে দুদিনের সফরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া এসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ দিন বিকাল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধি ও সুধীজনদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
রোববার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ নির্বাচনী এলাকার কোটালীপাড়া যাবেন। কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স চত্বরে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভায় যোগ দেবেন তিনি।
এতে আওয়ামীলীগ, সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও সুধীজন উপস্থিত থাকবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন বলে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন
গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচন করবেন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২৬ নভেম্বর রোববার বিকেলে ২৯৮ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময় এ কথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফরউল্যাহ, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া সহ আরও অনেকে।
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর জানান,অবরোধ-হরতালে পরিবহন বা স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগকারীদের ধরিয়ে দিলে অথবা সুনির্দিষ্ট তথ্য দিলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। অবরোধ-হরতালে পরিবহন বা স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগকারীদের উপযুক্ত প্রমাণ অথবা সুনির্দিষ্ট তথ্যসহ ধরিয়ে দিলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেবেন আইজিপি। তবে যিনি তথ্য দেবেন তার পরিচয় গোপন রাখা হবে।
এর আগে সোমবার (৬ নভেম্বর) ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, বিভিন্ন স্থানে যারা গাড়িতে আগুন দিচ্ছে, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করছে, সহিংসতা ও নাশকতা করছে তাদের অনেককে আমরা হাতেনাতে গ্রেফতার করেছি। অনেক প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা পুলিশের হাতে তাদের ধরিয়ে দিয়েছেন। চলমান অবরোধের মধ্যে যারা যানবাহনে আগুন দিচ্ছে ও পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করছে তাদের ধরিয়ে দিলেই ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, ঢাকা শহর অনেক বড়। অনেক মানুষের বসবাস এখানে। কিছু কিছু ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। পুলিশ কিন্তু অনেক ঘটনা নিবৃত করেছে। অনেককে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে। হাতেনাতে অনেককে আটক করেছে। হাতেনাতে আটক করার ক্ষেত্রে যারা আমাদের সহযোগিতা করেছেন তাদেরও আমরা নগদ পুরস্কার দেবো।
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার
(২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১ টায় তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ চুক্তি ও
সমঝোতা স্মারক সই হয়। কাতেরের সঙ্গে বাংলাদেশের মধ্যে পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি
সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।
সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে টাইগার গেটে তাকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী।পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল হলে বৈঠকে বসেন দুই নেতা। দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে দুদেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।
চুক্তিগুলো
হলো: দ্বৈত কর ও কর ফাঁকি পরিহার, আইনি বিষয়ে সহযোগিতা, সমুদ্র পরিবহন, পারস্পরিক
বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা এবং একটি যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদ প্রতিষ্ঠা।
বৈঠকে
বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পাশাপাশি ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের ফলে সৃষ্ট মধ্যপ্রাচ্যের বিশেষ
পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
এর বাইরে শ্রমশক্তি, বন্দর পরিচালন, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা, কূটনৈতিক
প্রশিক্ষণে সহযোগিতাসহ পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা
রয়েছে।
এদিকে
দুপুরে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনের দরবার হলে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন
হামাদ আল থানির সম্মানে মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করা হয়েছে। এ দিন সন্ধ্যায় বিশেষ
বিমানে করে আমির কাতারের উদ্দেশে যাত্রা করার কথা রয়েছে। এ সময় বাংলাদেশের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ তাকে বিমানবন্দরে বিদায় জানাবেন।
সোমবার
(২২ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির।
বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
মন্তব্য করুন
শনিবার (১১নভেম্বর) দুপুরে দোহাজারী- কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকে রেলের সাথে কক্সবাজার সংযুক্ত হলো।
দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার রেললাইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে সত্যি আমি খুব আনন্দিত।
তিনি বলেন, একটা কথা দিয়েছিলাম, কথাটা রাখলাম। বাংলাদেশের জনগণের জন্য আজকের দিনটি একটা গর্বের দিন।
মন্তব্য করুন
সদ্যসমাপ্ত বেলজিয়াম সফর নিয়ে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামীলীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলন করে বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন থামাতে পারবে না। ২০১৩-তেও পারেনি, ‘১৮-তেও পারেনি, এবারও পারবে না।
আওয়ামীলীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন হবে এবং সময়মতোই হবে। কে চোখ রাঙালো আর কে চোখ বাঁকালো, ওটা নিয়ে আমরা পরোয়া করি না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নির্বাচন এভাবে আন্দোলন করে তারা থামাতে পারবে না। ’১৩-তেও পারেনি, ১৮-তেও পারেনি, এবারও পারবে না। ইনশাল্লাহ নির্বাচন যথাসময়ে হবে। তারা তো চাচ্ছে এটাই (নির্বাচন বন্ধ করা), সেটা করতে পারবে না।
আওয়ামীলীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। জনগণ ওদের সঙ্গে নাই। জনগণকে কষ্ট দিয়ে রাজনীতি হয় না। রাজনীতি তো জনগণের জন্য।
বিএনপি একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি আসলে নির্বাচনই চায় না।
আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক শেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সব পক্ষকে শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংলাপ নিয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কার সঙ্গে সংলাপ, খুনিদের সঙ্গে কীসের সংলাপ, কীসের আলোচনা। খুনিদের সঙ্গে সংলাপ, এটা বাংলাদেশের জনগণও চায় না।
মন্তব্য করুন
নাশকতা করে নির্বাচন বানচাল করতে চাইলে কারো ক্ষমা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সিলেটে হজরত শাহজালাল (র.) মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভোট বানচালের জন্য যারা মানুষ খুন করবে, এদেশের মানুষ তাদের উৎখাত করবে। এদেশের মানুষ ভোট দিতে চায়, তারা বিএনপির হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছে।
তার আগে সিলেট পৌঁছে হজরত শাহজালালের (র.) মাজার জিয়ারত করেন। ছোটবোন শেখ রেহানা তার সঙ্গে আছেন।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৬ নভেম্বর রোববার সকাল ১০টায় গণভবনে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করবেন।
মতবিনিময় সভায় আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্বাচন উপলক্ষে গঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সব সদস্য এবং আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সব প্রার্থীকে (জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, মনোনয়নপত্রের রিসিভ কপি, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনলাইন ফরমের ফটোকপি) সহ যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানান।
স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এ কথা জানান।
মন্তব্য করুন
সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সিলেটের শাহজালাল (রহ.) এবং হজরত শাহপরানের (রহ.) মাজার জিয়ারত শেষে জনসভার মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে নির্বাচনী প্রচারণা।
সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে আয়োজিত প্রথম নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে সমাবেশের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে সিলেটে উজ্জীবিত আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। জননেত্রীর আগমনকে ঘিরে সিলেটজুড়ে বইছে উৎসবের আমেজ। তোরণ, ব্যানার-ফেস্টুনে সেজেছে সিলেট নগরী। জনসভায় ১০ লাখ লোকের সমাগম করতে কাজ করছেন নেতাকর্মীরা।
আজ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে গিয়ে দেখা যায়, জনসভার মঞ্চ প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষের পর্যায়ে। মঞ্চের পেছনে ব্যানার লাগানোর কাজও শেষ। বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মীদের উপস্থিতিতে বাকি কাজ শেষ করতে তৎপরতা চলছে। এছাড়া সমাবেশ স্থলের চারপাশে বাঁশ দিয়ে শক্ত বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে। নেতাকর্মীদের সমাবেশস্থলে প্রবেশের জন্য পৃথক লেন তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থলের সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করছেন স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)। তাদের সহযোগিতা করতে পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ সফল করতে গত ১৩ ডিসেম্বর প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক এবং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ কেন্দ্রীয় নেতারা সিলেট সফরে আসেন। এসময় বৃহত্তর সিলেটের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ২০ ডিসেম্বর আলিয়া মাদরাসা মাঠের জনসমাবেশ স্মরণকালের বৃহৎ করার নির্দেশনা দেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এসময় সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনের সকল নৌকার প্রার্থীকে অন্তত ১০ হাজার করে লোক নিয়ে আসার নির্দেশনা দেওয়া হয়। সভা শেষে আলিয়া মাদরাসা মাঠ পরিদর্শন করে কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, প্রধানমন্ত্রীর প্রথম নির্বাচনী জনসভায় অন্তত ১০ লাখ লোকের সমাগম হবে।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত সিলেটবাসী। এরমধ্যে জনসভার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এবার জননেত্রীকে স্বাগত জানাতে অপেক্ষার পালা। সিলেটবাসীর প্রতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সব সময় আন্তরিক। জনসভায় সিলেটের উন্নয়নে কথা বলবেন। তাছাড়া নির্বাচন নৌকায় ভোট চাওয়ার বিভিন্ন নির্দেশনা দেবেন।
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে এই বার প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করতে যাচ্ছেন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এজন্য তিনি গত কয়েকদিন ধরে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। মেয়র আনোয়ারুজ্জামান বলেছেন, আমরা নির্বাচনের আচরনবিধির প্রতি খুবই যত্মবান। যার কারণে প্রধানমন্ত্রীর সিলেট সফর নিয়ে আচরনবিধি লঙ্ঘন হয় এমন কোনো কাজ করছি না। তবে জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি। আলিয়া মাদরাসা মাঠে ১০ লাখ মানুষের সমাগম ঘটাতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোনো কিছু অর্জন করতে হলে জনগণের শক্তি দরকার।
২১ নভেম্বর মঙ্গলবার ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে স্বাধীনতাযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত নির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দেওয়া এবং ২০২২-২৩ সালে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ শান্তিকালীন পদকপ্রাপ্ত সদস্যদের পদকে ভূষিতকরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
স্বাধীনতাযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত নির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দেওয়ার পাশাপাশি অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য শান্তিকালীন কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শান্তিকালীন পদক দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সবার কল্যাণ কামনা করি, শান্তি কামনা করি। আমি জানি অগ্নিসন্ত্রাস বা জ্বালাও-পোড়াও মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলে। আমি জানি না একটা মানুষ কীভাবে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এটা করতো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৩ ও ১৪-এর পর এখন আবার সেই অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। কীভাবে একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে পোড়াতে পারে?. এদের চেতনা ফিরে আসুক, আমি এটাই চাই।
তিনি বলেন, একজন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে কোনো কিছু অর্জন করা যায় না। অর্জন করতে হলে জনগণের শক্তি দরকার হয়। জনগণ পাশে থাকতে হয়। জনগণের কল্যাণ করতে হয়। জনগণের অকল্যাণ করে পুড়িয়ে মেরে কোনো কিছু অর্জন করা যায় না।
বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সরকারপ্রধান বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রসার ঘটিয়ে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। আজকের বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এটা ধরে রেখেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা, সেজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করি।
মন্তব্য করুন
১৩ নভেম্বর সোমবার খুলনায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন বিকেলে খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জনসভায় সভাপতিত্ব করবেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এছাড়া জনসভায় বক্তব্য রাখবেন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।
সভাস্থল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২২টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। এছাড়া তিনি ২টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে ঘিরে নানা প্রস্তুতি ইতোমধ্যে প্রায় শেষ হয়েছে। বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে খুলনাকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সাদরে বরণ করতে প্রস্তুত খুলনাবাসী। প্ল্যাকার্ড, পোস্টার, বিলবোর্ড, তোরণ ও আলোকসজ্জা করা হয়েছে পুরো নগরজুড়ে।
মন্তব্য করুন