ময়মনসিংহের তারাকান্দায় আলু বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে চিনি বোঝাই পিকআপের চালকসহ ৩
জন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে ময়মনসিংহ-শেরপুর মহাসড়কের তারাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, ঘোষবেড় গ্রামের মৃত আব্দুল আলীর ছেলে পিকআপ চালক কামরুল ইসলাম (২৫), সন্ধাপুড়া গ্রামের অশন আলীর ছেলের কাদির মিয়া (৪৫), আকদপাড়া গ্রামের মৃত রঞ্জন আলীর ছেলে মিজানুর রহমান (৪৫)। তারা সবাই হালুয়াঘাট উপজেলার বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা
যায়, একটি চিনি বোঝাই পিকআপ হালুয়াঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। পথিমধ্যে ঢাকা-শেরপুর সড়কের তারাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা আলু বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই পিকআপ চালক কামরুল ইসলাম মারা যান। এ সময় আহত হন পিকআপের আরও ২ আরোহী। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত মিজানুর রহমান ও কাদিরকে মৃত ঘোষণা করেন।
তারাকান্দা থানার ওসি মো. ওয়াজেদ আলী বলেন, ট্রাক-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে পিকআপ চালক ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। চালক পালিয়েছে
তবে ট্রাক জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১১৯ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬
ডিসেম্বর) ভোরে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে
কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন আমতলী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে আসামী ১। মোঃ আবু এবং ২। মোঃ ইদ্রিস মিঞা নামক দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে
গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ১১৯ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত
একটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
১। মোঃ আবু (৩৫) চট্টগ্রাম জেলার খুলশী থানার ফয়েস লেক গ্রামের মৃত আবুল খায়ের এর ছেলে
এবং ২। মোঃ ইদ্রিস মিঞা খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা থানার হাতিয়াপাড়া গ্রামের আতাউর
রহমান এর ছেলে।
র্যাব
জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত পিকআপ ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা
হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও
মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী
ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির
বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ
ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়ায় গর্তে ঢুকিয়ে
এক তরুণীকে পুড়িয়ে মেরেছে ফারহান রনি নামে এক যুবক। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার
করেছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায়
উপজেলার গাজীর বাজার এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের ধারণা, পুরো শরীর পুড়ে যাওয়ায়
এবং মাথা না থাকায় নারী নাকি পুরুষ তা নির্ধারণ করতে পারেনি পুলিশ। তবে হাতে চুড়ি থাকায়
দেহটি তরুণীর বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী জানান, উপজেলার গাজীর
বাজার এলাকার এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে রাজহাঁস চুরি হয়। মঙ্গলবার সকালে এনামুল ও রোমান
নামে দুই ভাই হাঁস খুঁজতে শাহনেওয়াজ ভুইয়ার বাড়ি গেলে পরিত্যক্ত টিনের ঘর থেকে ধোঁয়া
উঠতে দেখে তারা। তখন সেখানে থাকা ফারহান রনি জানায়, সে পাতা পুড়িয়েছে। এ কথায় বিশ্বাস
না হলে এনামুল, রোমান ও তাদের চাচাতো ভাই উবায়দুল ঘরের ভেতরে গেলে ফারহান তাদের হত্যার
হুমকি দেয়। এতে সন্দেহ হলে গ্রামের লোকজন নিয়ে ঘরে গেলে গর্তে পুড়তে থাকা লাশ দেখতে
পায় সবাই। তখন তারা পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে মাটি খুড়ে লাশ বের করে। এলাকাবাসীর ধারণা
পুড়িয়ে মারা হয় এক তরুণীকে। আটক ফারহান রনি উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ
সম্পাদক শাহনেওয়াজ ভুইয়ার ছেলে। সে চিহ্নিত মাদককারবারি।
আখাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহীনূর
ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, একজনকে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। তার দেহের বেশিরভাগ অংশ
পুড়ে গেছে। সে পুরুষ না মহিলা তা বুঝা যাচ্ছে না। পরিচয় সনাক্তে সিআইডি ও পিবিআইকে
খবর দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
৫০ হাজার টাকা পুরস্কারের আশায় জীবিত
রাসেল ভাইপার সাপ নিয়ে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে গেলেন রেজাউল খান নামের এক কৃষক।
কৃষক রেজাউলের বাড়ি ফরিদপুর শহরতলীর
আলিয়াবাদ ইউনিয়নের কাদেরের বাজার এলাকায়। তিনি ওই এলাকার মনোরুদ্দিন খানের ছেলে।
শনিবার (২২ জুন) রাতে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের
সামনে এসে জীবিত রাসেল ভাইপারটি সাংবাদিকদের দেখান কৃষক রেজাউল (৩২)।
এ সময় প্রেসক্লাবের সদস্যরাসহ ফরিদপুর
পৌরসভার ২৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ আওয়াল হোসেন তনু ও স্থানীয় অন্যান্য লোকজন
উপস্থিত ছিলেন।
কৃষক রেজাউল খান বলেন, শনিবার বিকেলে
জেলা সদরের আলিয়াবাদ ইউনিয়নের সাইনবোর্ড এলাকার ফসলি জমিতে চাষ করার সময় এই রাসেলস
ভাইপারটি দেখতে পাই। পরবর্তীতে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় সাপটিকে অ্যালুমিনিয়ামের
পাতিলে ভরে ফেলি। পরে প্লাস্টিকের নেটের আবরণ দিয়ে পাতিলের মুখ বন্ধ করে দিই। স্থানীয়দের
কাছে জেনেছি, জীবিত রাসেলস ভাইপার সাপ ধরতে পারলে ফরিদপুরের নেতারা পুরস্কার দেবেন।
এ কারণেই জীবিত সাপটি ধরে এনেছি।
প্রসঙ্গত, গত ২০ জুন জেলা আওয়ামী লীগের
একটি মিটিংয়ে রাসেলস ভাইপার সাপ নিয়ে আলোচনা হলে জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক শাহ মো.
ইশতিয়াক আরিফ রাসেলস ভাইপার সাপ মারতে পারলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেন।
সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার একদিন পরেই সেই
অবস্থান থেকে সরে আসেন তিনি। পরদিন ২১ জুন এক সংশোধনী বিজ্ঞপ্তি দেন, সেখানে তিনি উল্লেখ
করেন, কেউ যদি রাসেলস ভাইপার সাপ জীবিত ধরতে পারেন তাহলে তাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার
দেওয়া হবে।
আগের বক্তব্যটি ভুল বোঝাবুঝির কারণে
বিকৃত করে প্রকাশ হয়েছে বলেও ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
মন্তব্য করুন
নড়াইলের নড়াগাতি থানার মহাজন গ্রামের
মালোপাড়ায় অতিরিক্ত মদ্যপানে পূজা নামে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে
ছাত্রীর মৃত্যু হলেও আজ বুধবার দুপুরে বিষয়টি জানাজানি হয়। মৃত পূজা গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি
উপজেলার ভাটিয়াপাড়া গ্রামের ননী বিশ্বাসের মেয়ে।
এ ঘটনায় আরেক স্কুলছাত্রী ত্রিনয়নী
বিশ্বাসকে (১৫) অসুস্থ অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ত্রিনয়নী রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার আবাশপুর গ্রামের পলাশ বিশ্বাসের মেয়ে।
মৃতের স্বজনদের থেকে জানা যায়, কার্তিয়ানী
পূজা উপলক্ষে পূজা ও তার খালাতো বোন ত্রিনয়নী মহাজন গ্রামে তাদের নানা মৃত দিল্লীশ্বরের
বাড়িতে বেড়াতে আসে। মঙ্গলবার দু’জনে মদ পান করে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনরা তাদের লোহাগড়া
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখানে চিকিৎসক পূজাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের
কর্তব্যরত চিকিৎসক খালিদ সাইফুল্লাহ বেলাল জানান, পূজাকে মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে
হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। স্বজনদের বরাতে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পূজা অতিরিক্ত
মদ্যপানে মারা গেছে।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) আশিকুর রহমান জানান, বিষয়টির ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে আশুলিয়া থানা অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস্) আবদুল্লাহিল কাফি জানান, পোশাক কারখানা ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বেতন প্রদানের সময় স্ট্যাম্পের চাহিদার সুযোগ নিয়ে কোটি টাকার জাল স্ট্যাম্প সরবরাহ করে আসছিল একটি চক্র। এমন চক্রের সন্ধান পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে আশুলিয়া থানা পুলিশ আর এ অভিযানে বিপুল সংখ্যক জাল স্ট্যাম্পসহ চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-বরিশাল জেলার সদর থানার ব্রাউন কম্পাউন্ড রোড এলাকার মৃত আ. রশিদ হাওলাদারের ছেলে মো. আসিফ ইকবাল (৩৮) ও মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার বাহেরচর গ্রামের হোসেন মোল্লার ছেলে মো. জুয়েল (৪২)। একটি পোশাক কারখানায় জার স্ট্যাম্প বিক্রির সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস্) আবদুল্লাহিল কাফি বলেন, জাল স্ট্যাম্প তৈরির কারখানা আমরা গত ঈদের আগে শনাক্ত করে চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছি। তারা কিন্তু ধরন পরিবর্তন করেছে। পোশাক কারখানার বেতনের সময় ১০ টাকার জাল স্ট্যাম্পের প্রয়োজন হয়। একই সঙ্গে পণ্য শিপমেন্টের সময় ৫০০ টাকার স্ট্যাম্প প্রয়োজন হয়। এ চাহিদাকে চক্রটি কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার ডংলিয়ন পোশাক কারখানায় জাল স্ট্যাম্প বিক্রি করতে আসেন আসামি আসিফ ইকবাল। খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ।
পুলিশের উপস্থিত বুঝতে পেরে তিনি আসিফ ইকবাল পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ১০ টাকা মুল্যের ২ লাখ ৯০ হাজার ২০০ টি রিভিনিউ স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার মৌচাক বাজারের ইউনিয়ন ব্যাংকের সামনে থেকে মো. জুয়েল মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার কাছ থেকে ১০ টাকা মূল্যের ১০ হাজার ও ৫০০ টাকা মূল্যের ৪০ হাজার স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়। যার মুল্য দুই কোটি ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এ জাল স্ট্যাম্পের কারখানার করা হচ্ছে। দ্রুত কারখানাসহ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হবে। গ্রেপ্তারকৃত আসামির রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
সন্ত্রাসীদের গুলিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় এক বাংলাদেশি প্রবাসী নিহত হয়েছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে এ ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ আফ্রিকায় জোহানেসবার্গে লিটনের নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে।
গুলিতে নিহত নুরুল হুদা লিটন (৩২) দাগনভূঞা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড পূর্ব জগতপুর গ্রামের লাল মোহাম্মদের বাড়ির এবাদুল হকের ছেলে।
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী এবাদল হকের তিন ছেলে ৩ মেয়ের মধ্যে লিটন ছিলেন সবার বড়। মেজ ভাই সৌদি আরবে এবং ছোট ভাই মিঠু দক্ষিণ আফ্রিকা তার সঙ্গে ছিলেন।
গুলিতে নিহত নুরুল হুদা লিটন এর চাচাতো ভাই মোহাম্মদ সবুজ জানায়, শুক্রবার রাতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কাজ শেষে গাড়িতে উঠতে গেলে সঙ্গে সঙ্গে আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোঁড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই সে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে লিটনের মৃত্যুর খবর পেয়ে। তার মরদেহ দেশে আনতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন দাগনভূঞা পৌরসভার মেয়র ওমর ফারুক খান।
মন্তব্য করুন
মাদারীপুরের শিবচরে নিজ ক্লিনিকের নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় শিবচর ইউনাইটেড হাসপাতালের মালিক আপেল মাহমুদকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে শিবচরের বাহাদুরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আপেল মাহমুদ শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার পশ্চিম সেনেরচর এলাকার মৃত চান মিয়া শিকদারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে এর আগে শিশু ধর্ষণচেষ্টা ও চাঁদাবাজির মামলাও রয়েছে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শিবচর ইউনাইটেড হাসপাতালে কর্মরত একজন নার্সকে বিভিন্ন সময় হাসপাতালের মালিক আপেল মাহমুদ কুপ্রস্তাব দিতেন। গত বছরের ২০ ডিসেম্বর ওই নার্স হাসপাতালে কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সেদিন বাড়ি ফেরার পথে তার গতিরোধ করে আপেল মাহমুদ জোরপূর্বক একটি মাইক্রোবাসে তাকে তুলে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে কক্সবাজার নিয়ে যান।
সেখানে একটি আবাসিক হোটেলে তাকে তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেন।
পরে ২৫ ডিসেম্বর তাকে শিবচর এনে একটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে ভুয়া বিয়ের নথি তৈরি করে ওই নার্সকে ছেড়ে দেন আপেল মাহমুদ। এ ঘটনার পর গত ৩০ ডিসেম্বর নার্সের পরিবার শিবচর থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে মামলা না নেওয়ায় মাদারীপুর আদালতের দ্বারস্থ হন ভুক্তভোগী পরিবার।
আদালতের নির্দেশে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি শিবচর থানায় আপেল মাহমুদের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনার পর আপেল মাহমুদ পলাতক ছিলেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শিবচর থানার এসআই রেনুকা আক্তারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শিবচরের পাঁচ্চর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ক্লিনিক মালিক আপেল মাহমুদকে গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়
শিবচর থানার ওসি মো. রতন শেখ (পিপিএম) বলেন, ধর্ষণ মামলার আসামি আপেল মাহমুদের নামে এর আগেও শিশু ধর্ষণচেষ্টা ও চাঁদাবাজির মামলায় রয়েছে। তার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এক নার্সকে ধর্ষণের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় অস্থিতিশীল পেঁয়াজের বাজার দর নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালিয়েছে কুমিল্লা জেলার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বুধবার সকালে কুমিল্লা নগরীর নিউ মার্কেট, টমছমব্রিজ, রানীর বাজারে তদারকি অভিযান অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলার সহকারী পরিচালক মো. আছাদুল ইসলাম।
অভিযানে এক মাংস ব্যবসায়ী ভোক্তাদের সাথে প্রতারণা করার কারণে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আজকে ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে বলে জানান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলাম
মন্তব্য করুন
পারিবারিক গেট-টুগেদার অনুষ্ঠানে মদ
পান করে অসুস্থ হয়ে ঈশিতা রানী মন্ডল (২৪) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২০ জুন) দিবাগত রাত দেড়টার
দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুলশানের এভার কেয়ার হাসপাতালে তিনি মারা যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির গুলশান
থানার এসআই রোজিনা আক্তার।
তিনি বলেন, ঘটনাটি গাজীপুরের গাছা থানা
এলাকার। তিনি মারা গেছেন এভার কেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে। ওই থানার নারী পুলিশ কর্মকর্তা
ছুটিতে থাকায় আমরা ডিসি স্যারের কথা মতো থানাটির পুলিশের সহযোগিতায় আইনি প্রক্রিয়া
শেষে মরদেহটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করি।
পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি বৃহস্পতিবার
সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে পুরো বিষয়টি গাজীপুরের গাছা থানা
তদন্ত করছে বলে জানান এসআই।
গাছা থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭
জুন পরিবারিক গেট-টুগেদার অনুষ্ঠানে মদ্য পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন ঈশিতা। পরে স্বজনরা
১৮ জুন বিকালে তাকে উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে
চিকিৎসকের পরামর্শে রাত ৯টার দিকে তাকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে
ভর্তি করানো হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়।
গাজীপুরের গাছা উপজেলার জামর মল্লিক
গ্রামের স্টেশনারি ব্যবসায়ী বিপ্লব মল্লিকের স্ত্রী ঈশিতা রানী মন্ডল। তার বাবার নাম
প্রদীপ চন্দ্র মন্ডল। দুই মেয়ের জননী ছিলেন তিনি।
মন্তব্য করুন