সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানা পুলিশের অভিযানে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের মোঃ বশির শেখ (৩৮) নামে এক সদস্যকে অস্ত্র, গাড়ি সহ আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাত দুইটার দিকে শ্যামনগর -কালিগঞ্জ রোডের জাহাজঘাটা নামক স্থান থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত ব্যক্তি খুলনা জেলার রুপসা উপজেলার জাবুসা গ্রামের মোঃ হোসেন আলী শেখের পুত্র।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, তার নেতৃত্বে ৫/৬ জন সদস্যর ডাকাত দল ডাকাতির প্রস্ততির কালে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের অন্যতম সদস্য মোঃ বশির শেখকে একটি মিনি ট্রাক সহ আটক করা হয়েছে। এ সময় অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
আটককৃত ব্যক্তির নিকট ও নম্বর বিহীন একটি মিনি ট্রাক তল্লাসি করে ২টি বড় হাসুয়া, ১টি বড় কাতারি, ১টি শাবল, ৫টি বাঁশের লাঠি, ১টি লোহার রড, ৩টি হাতুড়ী, ১টি লোহার পাইপ, ৯টি সেলাই রেঞ্জ, ৩টি ছোট-বড় প্লাস, ১টি ছোট কাতারী, ১টি কাঁচি, ৩টি স্ক্রু ড্রাইভার, ৮টি রিং রেঞ্জ, ৩টি টর্চ লাইট, ১৬টি ডাল রেঞ্জ, ৯টি কস টেপ, ৬০ ফিট লম্বা রশি, গাড়ীর নম্বর প্লেট দুটি ও ১টি মিনি ট্রাক জব্দ করা হয়।
জানা যায়, ডাকাত দলের সদস্যকে আটক করার সময় নিজেই ট্রাকের চালক সেজে পুলিশের গাড়ীকে খাদে ফেলে পালানোর চেষ্টা করেন। তার নামে বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, রাহাজানি সহ অন্যান্য ১৪টি মামলা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
১০১ পিস মোবাইল ফোনসহ একজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
গত
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে জেলা গোয়েন্দা শাখা, কুমিল্লার একটি টিম কুমিল্লা জেলায় বিশেষ
অভিযান পরিচালনা করে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন ২নং উত্তর দূর্গাপুর ইউপির শংকরপুর
সাকিনস্থ আইএফআইসি ব্যাংকের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌছাঁলে ডিবি পুলিশ চিনতে পেরে
আসামী একটি প্লাষ্টিকের বস্তাসহ দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করলে বস্তাসহ আটক করা হয়। বস্তুা
তল্লাশি করে ১০১ পিস নতুন-পুরাতন মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত
আসামী হলো: কুমিল্লা জেলা ব্রাহ্মণপাড়া থানার রানীগাছ গ্রামের মোঃ রুবেল মিয়া’র ছেলে
মোঃ পারভেজ মিয়া (৩০)।
গ্রেফতারকৃত
আসামীর বিরুদ্ধে কুমিল্লা বুড়িচং থানায় মামলা দায়ের করা হয।
মন্তব্য করুন
প্রায় এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার
পর কুমিল্লার ১৮টি থানার কার্যক্রম সোমবার শুরু হয়।
কর্মবিরতিতে থাকা পুলিশ
কর্মকর্তা ও সদস্যরা কাজে যোগ দেওয়ায় থানার কার্যক্রমে গতি এসেছে আর এদিকে১ যঙয ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের উপস্থিতিতে সড়কে
দায়িত্ব পালন করা শিক্ষার্থী ও আনসার সদস্য কমতে শুরু করেছে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১৩
আগষ্ট) কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান জানান, গতকাল (সোমবার) থেকে
জেলার ১৮ থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রায় সব পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তাগণ ডিউটি
করছেন। সেবা গ্রহীতাদের তারা বিভিন্ন সেবা প্রদান করা শুরু করেছেন।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, আমরা ইতোপূর্বে
থানার অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমগুলো শুরু করেছি। আমাদের কোতোয়ালি মডেল থানায় ১০৪ জন
অফিসার ফোর্স কর্মরত আছেন সবাই কাজে যোগদান করেছেন । সোমবার ও আজ মঙ্গলবার এ দুই
দিনে ৬টি অভিযোগ এবং ১৯টি জিডি করা হয়েছে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায়। যেকোনো
সেবা প্রত্যাশীরা জিডি কিংবা অভিযোগ অনায়াসেই আমাদের ডিউটি অফিসারের কাছে গিয়ে
করতে পারবেন। আমি এবং আমার ডিউটি অফিসাররা এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছি।
থানার সেবা আমরা চালু করেছি। কোতোয়ালি মডেল থানার কোন হামলা হয়নি।
মন্তব্য করুন
মো:মিজানুর রহমান মিনু,কুমিল্লা
কুমিল্লায় কিছুতেই যেন কমছে না শীতের তীব্রতা। উত্তরের হিমেল বাতাস আর হার কাঁপানো ঠান্ডায় জনজীবন হয়ে পড়েছে স্থবির।
দুপুর গড়িয়ে গেলও
সূর্যের দেখা মিলছে না, এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়ছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের
মানুষ, বয়স্ক ও শিশুরা।
এদিকে শীতের প্রকোপ
বেড়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে শীত জনিত নানা রোগ। হাসপাতালে বাড়ছে শিশু ও বয়স্ক
রোগির সংখ্যা।
আজ কুমিল্লায়
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১
দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মন্তব্য করুন
সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক আবাসিক/ বাসাবাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ/লোড বৃদ্ধির সংযোগ বন্ধ রয়েছে বলে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড এর সংশ্লিষ্ট গ্যাস বিতরণ কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আবাসিকে/বাসা বাড়িতে নতুন বা লোড বৃদ্ধির সংযোগ দেয়ার প্রকাশিত তথ্য সম্পূর্ণ গুজব ও ভিত্তিহীন। কিছু প্রতারক চক্র জনগনকে বিভ্রান্ত করছে যা থেকে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ প্রদান করা হয়। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট গ্যাস বিতরণ কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেন সংশ্লিষ্ট গ্যাস বিতরণ কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার পৌরশহরে ৪ নং ওয়ার্ডের ঐতিহ্যবাহী আনসার মাঠে ১০৩ বছরের রাবেয়া বেগম নাতি বৌয়ের কাঁধের উপর ভর করে গ্রহণ করলেন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের ঐতিহ্যবাহী আনসার মাঠ প্রাঙ্গনে আনসার ভিডিপি কিন্ডার গার্ডেন স্কুলে ভোটারদের মাঝে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় বিরামপুর পৌরসভার মেয়র আক্কাস আলী, বিরামপুর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অদ্বৈত্য কুমার, বিরামপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মেসবাউল হক, বিরামপুর ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোজাফফর রহমান,৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ওবায়দুল মিনহাজসহ ১০৩ বছরের বৃদ্ধা রাবেয়া বেগম স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করেন।
রাবেয়া বেগম ১০৩ বছরে এসে স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্র পেয়ে খুব আনন্দ প্রকাশ করেন।স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণের আগে জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে একটি টোকেন সংগ্রহে উপজেলা নির্বাচন অফিসের পাশাপাশি স্থানীয় সমাজ কল্যাণমূলক সংগঠন সোনালী স্বপ্ন ক্রীড়া সংঘের সদস্যগন স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্র গ্রহণে বিনামূল্যে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে।
বিরামপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার খন্দকার মোহাম্মদ আলী জানান, বিরামপুর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের ৩ হাজার ৮০০ স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের মধ্যে আজকে ৩ হাজার ৫০ জনকে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়েছে।যাহারা স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র কোন কারনে গ্রহণ করতে পারে নাই পরবর্তীতে ৪/৩/২০২৪ ইং পৌরসভা কার্যলয় হতে গ্রহণ করতে পারবেন।
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রাম
নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন আসদগঞ্জ এলাকা থেকে জুয়া খেলার অভিযোগে ১৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার
দিনগত রাতে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে জুয়া খেলার সরঞ্জাম ও নগদ অর্থ উদ্ধার
করা হয়।
আটককৃত
ব্যক্তিরা হলো, ১। মো. হারুন (৪৭), ২।মো. আবদুর রফিক (৬০), ৩।মো. মহিউদ্দিন (৩০),
৪।মো. রুবেল (২৮), ৫।জাকির হোসেন (৪০), ৬।আবুল হোসেন (৬০), ৭।মো. সোলেমান (৪২), ৮।মো.
নরুল ইসলাম (২৪), ৯।মো. মানিক (২৫), ১০।মো. বেলার হোসেন (২৫), ১১।মো. ইউসুফ (৩৪), ১২।মো.
জাফর (৩৯), ১৩।মো. জসিম (৪৪), ১৪।নুরনবী (৩৭), ১৫।জুয়েল (৩৩), ১৬।মো. এবাদুল (৩৫),
১৭।মো. খালেদ মোর্শেদ (৪৫)।
কোতোয়ালি
থানার ওসি এম ওবায়দুল হক বলেন, রাতে জুয়া খেলার সময় আসদগঞ্জ এলাকা থেকে ১৭ জনকে হাতেনাতে
আটক করা হয়।
তাদের
নন-এফআইআর প্রসিকিউশন মূলে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
মন্তব্য করুন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বরগুনা জেলায় অনেকেই অংশগ্রহণ করেছিল তাদের মধ্যে অন্যতম ছাত্র সমন্বয়ক মীর রিজন মাহমুদ নিলয় ও ফৌজিয়া তাসনীন আনিকার অংশগ্রহণ করেছিলেন। আন্দোলনের শুরু থেকেই দুজনের সাথে দুজনের পরিচয় হাতে হাত রেখে একসাথে মিছিলে তারা অংশগ্রহণ করেছিল। আন্দোলন থেকে শুরু হয়েছে প্রেম, তারা গতকাল শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) একে অপরের সঙ্গী হিসেবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে একসঙ্গে হাতে হাত রেখে লড়াই চালিয়ে যেতে যেতেই ভালো লাগা থেকে শুরু হয় তাদের প্রেম। এরপর প্রায় ৫ মাস পর বিয়ের পিঁড়িতে বসে প্রেমকে পূর্ণতা দিলেন তারা।
আনিকা ও নিলয় জানান,
আন্দোলন চলাকালীন সময়ে সবার সঙ্গে একত্রে থাকলেও গত ৫ আগস্ট
থেকে দু’জনার ভালো লাগা শুরু হয়। পরবর্তীতে ৭ আগস্ট ভালোবাসা
প্রকাশের পর ২৫ আগস্ট
দুজনের সম্পর্কের বিষয়টি তাদের পরিবারকে জানান। পরে উভয় পরিবারের সম্মতিতে প্রণয়ে রূপ নেয় তাদের প্রেম।একদিকে আন্দোলনের ফলে অনেকেই তাদের স্বজন হারিয়েছেন, অপরদিকে নতুন একটি পরিবারও গঠন হয়েছে।
মীর রিজন মাহমুদ নিলয় বরগুনা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের আমতলারপাড় এলাকার মরহুম মীর মোয়াজ্জেম হোসেন নিপুর ছেলে। নিলয় বর্তমানে আনোয়ার খান মর্ডান ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ ৬ষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। অন্যদিকে বরগুনা পৌরসভার কলেজ রোড এলাকার মনোয়ারুল ইসলাম শামীমের মেয়ে ফৌজিয়া তাসনীন আনিকা। সে বরিশালের সরকারি ব্রজমোহন কলেজের রসায়ন বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
ফৌজিয়া তাসনীন আনিকা বলেন, আন্দোলনের সময় নিলয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। ওই সময় আন্দোলন নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে কথা হতো। তখন সাহস এবং সততা দেখে নিলয়ের ওপর আমি দুর্বল হই।
এ বিষয়ে মীর রিজন মাহমুদ নিলয় বলেন, আনিকার সঙ্গে আন্দোলনের মাধ্যমেই পরিচয় হয়। এমনিতে ওকে আগে দূর থেকে চিনলেও কখনও কথা হয়নি। আন্দোলন চলাকালে সবার সঙ্গেই আমার কথা হতো। সবাইকে সাহস দিয়ে আন্দোলন বেগবান করার জন্য বলতাম। এই কারণেই ওর সঙ্গে আমার কথা বলা শুরু হয়। তবে সেই সময়ে আমাদের কোনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। গত ৫ আগস্ট যখন একত্রে বিজয় মিছিলে আনন্দ উল্লাস করছিলাম তখন আমাদের মধ্যে ভালো লাগা শুরু হয়।
মন্তব্য করুন
ডিএনসি-কুমিল্লার উদ্যোগে মাদকবিরোধী টাস্কফোর্স অভিযানে ১২ বোতল বিলাতীমদ
এবং মাদক বিক্রির ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৩ শত টাকাসহ দুইজনকে আসামি করে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ডিএনসি কুমিল্লার উপপরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এর সার্বিক তত্বাবধানে পরিদর্শক মো: সাইফুল ইসলাম ভূঞা এর নেতৃত্বে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নাঙ্গলকোট ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন আবু শাদনান সৈকতসহ ১৮ জন সশস্ত্র সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতায় ৩১ ডিসেম্বর রাত ১ টায় কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানাধীন বাঙ্গড্ডা উত্তর উত্তর পাড়া গ্রামস্থ আতর ইসলাম প্রকাশ আতিক(৫৩) এর বাড়িতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ১২ বোতল বিলাতীমদ এবং মাদক বিক্রির ১,১৮,৩০০ টাকাসহ মুর্শিদা বেগম (৪৯) কে আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামি মুর্শিদা বেগমের স্বামী টাস্কফোর্স টিমের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
আটককৃত আসামি মুর্শিদা বেগম কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা গ্রামের আতর আলী প্রকাশ আতিক এর স্ত্রী।
টাস্কফোর্স অভিযানে কুমিল্লা ডিএনসির অন্যান্য সদস্য এবং নাঙ্গলকোট থানার উপ-পরিদর্শক তোকিক আহমেদ এর নেতৃত্বে ৪ পুলিশ সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
আসামীদের বিরুদ্ধে পরিদর্শক মো: সাইফুল ইসলাম ভূঞা বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।
#একাই কে'ড়ে নিলেন ৭ জনের প্রা'ণ !
মন্তব্য করুন
অভিনব কৌশলে পিকআপে করে মাদক পরিবহনকালে ২৯ কেজি গাঁজা’সহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২।
গত ০১ নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানাধীন ধানসিড়ি এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে অভিনব কৌশলে পিকআপের পিছনে কাঠের গুড়ার বস্তার মধ্যে লুকিয়ে গাঁজা পরিবহণের সময় আসামী বশির (২০) নামক ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় আসামীর হেফাজত হতে ২৯ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত ০১ টি পিকআপ উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী বশির (২০) বি.বাড়িয়া জেলার কসবা থানার শ্রীপুর গ্রামের মোঃ এনামুল হক এর ছেলে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, সে দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত পিকআপ ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে বি.বাড়িয়া, কুমিল্লা সহ অন্যান্য জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়াতে সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিনব কৌশল অবলম্বন করে মাদকদ্রব্য পরিবহণ করতো। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
পাবনায় কারাগারে থাকা কয়েদিদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
তারা হলেন—জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক তৌফিক ইমাম খান, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালু, গয়েশপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোতাহার হোসেন মুতাই এবং আসাদুজ্জামান সুইট। তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হামলা ও হত্যার ঘটনায় করা মামলার আসামি।
এ ঘটনায় শাস্তিস্বরূপ পাঁচ আসামিকে মঙ্গলবার (৪ মার্চ) অন্য জেলার কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।
পাবনা জেলার জেল সুপার মো. ওমর ফারুক বলেন, কয়েকদিন ধরেই কারাগারে থাকা অন্য সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছিলেন তারা। সবশেষ ৩ মার্চ বিকেলে এই পাঁচ কয়েদি কারাগারের অন্য কয়েদিদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন এবং বাকবিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে তাদের গায়ে হাত তোলেন।
এ ঘটনার পরে শাস্তিস্বরূপ কয়েদি তৌফিক ইমাম, শেখ লালু ও আসাদুজ্জামান সুইটকে রাজশাহী এবং মুতাই ও অন্যজনকে নওগাঁ জেলা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
পাবনা জেলার জেল সুপার আরো বলেন, বিগত সময়ে তারা বাইরে যেমন বেপরোয়াভাবে কথাবার্তা বলেছেন ও চলেছেন, কারাগারেও তেমনই চলছিলেন। ফলে ঝামেলাটা বাঁধে। অন্য কয়েদিদের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও কারাগারে বিশৃঙ্খলার অভিযোগে ৪ মার্চ বিকেলে তাদের রাজশাহী ও নওগাঁ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
মন্তব্য করুন