প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার
উন্নয়নে নানা ধরণের পদক্ষেপ
নেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের
যে বিশাল সমুদ্রসীমা রয়েছে, সেখানে আমাদের কোনো অধিকার ছিল
না। ১৯৭৫ সালে জাতির
পিতাকে হত্যা করে সংবিধান লঙ্ঘন
করে যারা ক্ষমতায় এসেছিল,
২১টা বছর তারা সমুদ্রসীমার
অধিকার নিয়ে কেউ কোনো কথা
বলেনি। সবার সঙ্গে বন্ধুত্বের পররাষ্ট্রনীতি মেনে চলার পাশাপাশি
নিশ্চিত হয়েছে সমুদ্রসীমা। সুনীল অর্থনীতি বাস্তবায়নে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। ব্লু ইকোনমি যাতে ব্যবহার করতে
পারি সে উদ্যোগ নিচ্ছে
সরকার। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রস্তুত থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার
সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস
অ্যান্ড মেরিটাইম জোন অ্যাক্ট-১৯৭৪’র সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে
আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী
বলেন, ২০১২ সালে ভারত,
মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেই সমুদ্রে বিশাল সমুদ্র সীমা অর্জন করেছে
বাংলাদেশ। যা দেশের অর্থনীতিতে
বড় অবদান রাখবে। ভারত মহাসাগর, বঙ্গোপসাগর
শান্তিপূর্ণ বাণিজ্য পথ হিসেবেই যেনো
অব্যাহত থাকে। পররাষ্ট্রনীতি মেনেই সমুদ্র সম্পদ আহরণে সচেষ্ট থাকবো। সমুদ্রে তেল-গ্যাস উত্তোলনের
জন্য ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। বিদেশি
বিনিয়োগকারীরা তেল, গ্যাস উত্তোলনে
বিনিয়োগ করতে পারেন। আমরা
চাই তেল, গ্যাসের সঠিক
ব্যবহার। বিশাল সমুদ্রসীমার সম্পদ ব্যবহার করে দেশের মানুষের
আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতি করাই সরকারের লক্ষ্য।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আপনারা (জনপ্রতিনিধি) জনগণের ভোটে নির্বাচিত। জনগণের সেবা যদি আপনারা নিশ্চিত করতে পারেন, তবে ভবিষ্যতে আপনাদের ভোটের চিন্তা থাকবে না।
(এপ্রিল ০৪)বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র এবং কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, সিরাজগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের শপথ অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগ সরকার সুষম উন্নয়ন করে যাচ্ছে উল্লেখ করে টানা চারবারের সরকার প্রধান বলেন, প্রত্যেকটা এলাকাভিত্তিক উন্নয়ন করে যাচ্ছি, আমাদের উন্নয়নের সমস্ত লক্ষ্য গ্রামের মানুষ। সে কথা মাথায় রেখেই আমাদের প্রত্যেক গ্রামের সমান উন্নয়ন হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত। জনগণের সেবা যদি আপনারা নিশ্চিত করতে পারেন তাহলে ভবিষ্যতে আপনাদের ভোটের চিন্তা থাকবে না। মানুষই আপনাদের ওপর আস্থা রাখবে, বিশ্বাস রাখবে।দুর্নীতি, মাদক, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনপ্রতিনিধিদের সজাগ থাকার নির্দেশনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দুর্নীতি, মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস থেকে সবাই যেন দূরে থাকে।
আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের কল্যাণ ও উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলের আগে যেটা দরকার, জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা। একমাত্র আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করেছে, তখন এ দেশের মানুষ অন্তত পক্ষে এটুকু পেয়েছে যে, সরকার জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করে। যে কারণে বাংলাদেশের উন্নয়নটা সম্ভব হয়েছে।
নির্বাচিত প্রতিনিধিদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জনগণের উন্নত সেবা প্রদান, জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও পরিকল্পিত নগরী গড়ে তোলা হলো সরকারের লক্ষ্য। ইতোমধ্যে আমরা ঘোষণা দিয়েছি আমার গ্রাম আমার শহর। অর্থাৎ গ্রামের মানুষ নাগরিক সকল সুবিধা পাবে।
তিনি বলেন, আজকে গত ১৫ বছরে আমি অন্তত এটুকু দাবি করতে পারি, বাংলাদেশ এখন বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। আজকে যার বয়স ১৫ বছর, সে হয়তো ভাবতেও পারবে না যে, ১৫ বছর আগে ২০০৯ সালের আগের বাংলাদেশ কী অবস্থায় ছিল! আজকের বাংলাদেশে সেখান থেকে অনেক পরিবর্তন এসেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের প্রবৃদ্ধির হার বেড়েছে, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে; পাঁচ গুণ আমরা বৃদ্ধি করেছি। সব থেকে বড় কথা দারিদ্র্যের হার আমরা পেয়েছিলাম ৪১ দশমিক ৫১ শতাংশ। আমরা তা কমিয়ে ১৮ দশমিক সাত শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল যে, অন্তত আমরা ১৬ বা ১৭ শতাংশে নামিয়ে আনব। যেটা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে একটি গ্রহণযোগ্য অবস্থান।
অতি দরিদ্র প্রায় ২৫ ভাগের ওপরে ছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেটা আমরা পাঁচ দশমিক ছয় ভাগে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। এত দ্রুত অতি দরিদ্রের হার কমানো, আমার মনে হয়, পৃথিবীর কোনো দেশ এটা পারেনি। এটা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়েছে, এটা আওয়ামী লীগই পারে। তার কারণ হচ্ছে, আমরা খুব পরিকল্পিতভাবে পরিকল্পনা নিয়েছি এবং আমরা লক্ষ্য স্থির করে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছি বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। আমাদের এখন লক্ষ্য হচ্ছে, বাংলাদেশে কেউ আর ভূমিহীন থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না, অতি দরিদ্র বলে কেউ থাকবে না।
তিনি বলেন, আমরা সেটা করতে পারতাম, যদি কোভিড-১৯ এর মহামারি না দেখা দিত। আর এই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ না হতো, স্যাংশন-কাউন্টার স্যাংশন, বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি; প্রত্যেকটা খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। তেলের দাম বেড়ে গেছে, জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে, গ্যাসের দাম বেড়েছে, পরিবহন খরচ বেড়েছে— এগুলো যদি না হতো, আমরা কিন্তু আরও দ্রুত এগিয়ে যেতে পারতাম। আমাদের দারিদ্র্যের হার আরও কমাতে পারতাম।শপথ নেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র তাহসিন বাহার সূচনা এবং ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র একরামুল হক টিটু।
একই অনুষ্ঠানে শপথ গ্রহণ করেন কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, সিরাজগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলররা।দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগণকে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা হলেন, কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান, ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ, সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামীম তালুকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিল্লাল মিয়া এবং হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলেয়া আক্তার।
পরে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের শপথ বাক্য পাঠ করান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতাকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের হাতে এ সম্মাননা তুলে দেন।
শুক্রবার(৮ মার্চ) সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে পাঁচ জয়িতাকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।
সম্মাননা পেয়েছেন তারা হলেন-ময়মনসিংহের আনার কলি, সিলেটের চা শ্রমিক কমলী রবিদাশ, রাজশাহীর কল্যাণী মিনজি, বরগুনার জাহানারা বেগম ও খুলনার পাখি দত্ত হিজড়া।
মন্তব্য করুন
টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা।
বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে বৃহস্পতিবার
(৭ ডিসেম্বর) বিকেলে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সমাধিতে পুষ্পস্তবক
অর্পণের পর স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ
নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
পরে দেশ ও জাতির কল্যাণ
কামনা করে মোনাজাতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড অভিনন্দন জানিয়েছেন ।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এক অভিনন্দনবার্তায় প্যাট্রিসিয়া বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির নীতির ওপর গুরুত্বারোপ করে যে রূপরেখা দিয়েছিলেন, তাতে তিনি অনুপ্রাণিত।
প্যাট্রিসিয়া আরো বলেন, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই পররাষ্ট্রনীতির কথাও স্মরণ করেন তিনি। এই মূল্যবোধগুলো আমাদের কমনওয়েলথ সনদে প্রতিফলিত হয়েছে, যেখানে সহনশীলতা, শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়া এবং টেকসই উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরার কথা বলা হয়েছে। মূল্যবোধে গুরুত্বপূর্ণ কাজ অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কমনওয়েলথ সচিবালয় আপনাকে সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক নির্বাচনে জ্যামাইকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ব্রুস গোল্ডিংয়ের নেতৃত্বে স্বাধীন পর্যবেক্ষকদের একটি কমনওয়েলথ বিশেষজ্ঞ দল পাঠাতে পেরে তিনি সন্তুষ্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি ওই দলের প্রতিবেদনটি তার অনুসন্ধান এবং সুপারিশসহ পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি এবং আপনার সঙ্গে এগুলো নিয়ে আলোচনা করার সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছি।
প্যাট্রিসিয়া আরো বলেন, বাংলাদেশ কমনওয়েলথ পরিবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। আমাদের বৈচিত্র্যময় দেশগুলো শান্তি, গণতন্ত্র, টেকসই উন্নয়নসহ অভিন্ন মূল্যবোধের মাধ্যমে আবদ্ধ। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে মহাসাগর ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন, ডিজিটাল উদ্ভাবন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, যুবসমাজ, লিঙ্গসমতা, মানসিক স্বাস্থ্য ইস্যুসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের সক্রিয় সম্পৃক্ততা ও নেতৃত্ব ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
কমনওয়েলথ মহাসচিব বলেন, আমরা সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত আছি, যাতে আপনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) আপনার পঞ্চম মেয়াদে বাংলাদেশের অগ্রাধিকারের সব ক্ষেত্রে লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে পারেন।
পরবর্তী কমনওয়েলথ সরকারপ্রধানদের বৈঠক নিয়ে তিনি বলেন, আমি আপনাকে লন্ডনের মার্লবোরো হাউসে আবার স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় রয়েছি। ২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর সামোয়ায় অনুষ্ঠিতব্য পরবর্তী কমনওয়েলথ সরকারপ্রধানদের বৈঠকে (সিএইচওজিএম) আপনার সঙ্গে দেখা করার অপেক্ষায় রয়েছি।
সূত্র : বাসস
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দ্রব্যমূল্য
বেড়েছে, যার প্রভাব আছে, বিশেষ করে যারা সীমিত আয়ের, তাদের কষ্ট হচ্ছে। তবে গ্রামে
যারা নিজেরা উৎপাদন করতে পারেন বা করছেন, তাদের জন্য খুব একটা কষ্ট নেই, হাহাকারও নেই।
বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এসব কথা জানান।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ অধিবেশনে
সভাপতিত্ব করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, টিসিবিতে
যে লোকবল আছে, তা দিয়েই আমরা এখন মানুষের সেবা করে যাচ্ছি। আর সাধারণ মানুষের যাতে
কষ্ট না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমাদের সবসময় প্রচেষ্টা, দ্রব্যমূল্য
যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে। যে পণ্যের প্রয়োজন, আমরা দেশে যেমন উৎপাদন বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছি,
তেমনি আমদানিও করে যাচ্ছি, যত টাকা-ই লাগুক। আমরা কিন্তু খরচ করে যাচ্ছি, যার জন্য
আমাদের রিজার্ভেও চাপ পড়ছে। রিজার্ভে চাপ পড়লেও মানুষের কল্যাণই হলো সবচেয়ে বড় কথা।
সেদিকে আমরা লক্ষ্য রাখছি। আমরা যে পারিবারিক কার্ড দিয়েছি, তাতে স্বল্পমূল্যে চালসহ
অন্যান্য পণ্য কেনারও সুযোগ করে দিয়েছি। আবার যারা আরও দরিদ্র, তাদের জন্য আরও কমমূল্যে
চাল বিক্রির ব্যবস্থা করেছি। আবার যারা হতদরিদ্র, তাদের বিনামূল্যে চাল দিচ্ছি। টিসিবির
এখন যে জনশক্তি আছে, সেই জনশক্তি দিয়েই কিন্তু আমরা যথাযথভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে
সক্ষম হচ্ছি।
মন্তব্য করুন
রাজধানীর বিজয় সরণিতে নবনির্মিত ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার সকাল ১০টায় এ ভাস্কর্য উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।এই প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,এ ভাস্কর্যের মাধ্যমে দেশের ইতিহাস আরও ভালোভাবে জানা যাবে। বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার স্বপ্ন ছিল প্রতিটি মানুষের ঘর থাকবে, চিকিৎসা ও শিক্ষা পাবে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নেই কাজ করছে আওয়ামী লীগ সরকার। ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে দেশকে বদলে যাওয়া বাংলাদেশে রূপান্তর করা হয়েছে। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না,উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা ধরে রেখেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে। সারাদেশে ওয়াইফাই সুবিধা, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটসহ আধুনিক সব প্রযুক্তি স্থাপনা করে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপ দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়েছে দেশের মানুষ। বর্তমানে দেশের ৯৮ ভাগ শিশু স্কুলে যেতে পারছে। বিনা পয়সায় বই পাচ্ছে,বৃত্তি পাচ্ছে। উপবৃত্তির টাকা দরিদ্র মায়েদের মোবাইলে পৌঁছে যাচ্ছে। শিক্ষাই সবচেয়ে বড় সম্পদ। শিক্ষার মধ্য দিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে শিশুরা দেশকে আরও উন্নত-সমৃদ্ধ করবে।
মন্তব্য করুন
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজের নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ বুধবার(১৫নভেম্বর) থেকে ২০২৪ সালের সরকারি ও বেসরকারি হজযাত্রীদের নিবন্ধন শুরু হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার (হজ এজেন্সি) হজযাত্রীরা ১৫ই নভেম্বর থেকে আগামী ১০ই ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধনের টাকা জমা দিতে পারবেন।
আগামী ৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধিত সব হজযাত্রী নিবন্ধন করতে পারবেন। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সর্বশেষ নিবন্ধনের ক্রমিক হল ৯১০০৯৬।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ই জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এই চলতি বছরের মতো আগামী ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। তার মধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটায় ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি এজেন্সির কোটায় এক লাখ ১৭ হাজার জন হজ পালন করতে পারবেন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে।
সরকারি ভাবে আগামী বছর হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। বিশেষ হজ প্যাকেজের মধ্যমে হজ পালনে খরচ হবে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা।
অপরদিকে বেসরকারি ভাবে এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে সাধারণ প্যাকেজে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ হবে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা। বিশেষ প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৩০০ টাকা খরচ হবে ।
মন্তব্য করুন
সদ্যসমাপ্ত বেলজিয়াম সফর নিয়ে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামীলীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলন করে বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন থামাতে পারবে না। ২০১৩-তেও পারেনি, ‘১৮-তেও পারেনি, এবারও পারবে না।
আওয়ামীলীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন হবে এবং সময়মতোই হবে। কে চোখ রাঙালো আর কে চোখ বাঁকালো, ওটা নিয়ে আমরা পরোয়া করি না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নির্বাচন এভাবে আন্দোলন করে তারা থামাতে পারবে না। ’১৩-তেও পারেনি, ১৮-তেও পারেনি, এবারও পারবে না। ইনশাল্লাহ নির্বাচন যথাসময়ে হবে। তারা তো চাচ্ছে এটাই (নির্বাচন বন্ধ করা), সেটা করতে পারবে না।
আওয়ামীলীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। জনগণ ওদের সঙ্গে নাই। জনগণকে কষ্ট দিয়ে রাজনীতি হয় না। রাজনীতি তো জনগণের জন্য।
বিএনপি একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি আসলে নির্বাচনই চায় না।
আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক শেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সব পক্ষকে শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংলাপ নিয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কার সঙ্গে সংলাপ, খুনিদের সঙ্গে কীসের সংলাপ, কীসের আলোচনা। খুনিদের সঙ্গে সংলাপ, এটা বাংলাদেশের জনগণও চায় না।
মন্তব্য করুন
গত ২৮ অক্টোবর সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীরা পার পাবে না। তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা হবে। ইতোমধ্যেই মামলা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(২৮ ডিসেম্বর) সকালে গণভবনে বিএনপির সন্ত্রাসী হামলায় আহত সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
এসময় শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন।’
মানুষ হত্যা করে তারা কী রাজনীতি করতে চায়- এমন প্রশ্নও করেন শেখ হাসিনা। বলেন, ‘বিএনপি জানে, নির্বাচনে এলে তারা পরাজিত হবে। সে জন্য নির্বাচন বানচালে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে দলটি।’
মন্তব্য করুন
বর্ণাঢ্য আয়োজন বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা এবং আনন্দমুখর পরিবেশে প্রতিবারের ন্যায় এবারও পুলিশ সপ্তাহ ২০২৪ আগামীকাল মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) শুরু হচ্ছে ।
ছয় দিনব্যাপী এ পুলিশ সপ্তাহ চলবে ৩ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত।
পুলিশ সপ্তাহ ২০২৪ এর মূল প্রতিপাদ্য-স্মার্ট পুলিশ, স্মার্ট দেশ; শান্তি প্রগতির বাংলাদেশ।
বর্তমান সরকার পুলিশ বাহিনীকে একটি আধুনিক, যুগোপযোগী, দক্ষ ও জনবান্ধব বাহিনীতে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফলে পুলিশ সদস্যদের কার্যক্রমে এসেছে গতিশীলতা এবং কর্মচাঞ্চল্য। পুলিশের জনবল বৃদ্ধি, সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তির সংযোজন, যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিশেষায়িত নতুন নতুন ইউনিট গঠনসহ বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং ইন্সপেক্টর জেনারেল, বাংলাদেশ পুলিশ পৃথক বাণী দিবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ সপ্তাহের প্রথম দিন সকাল সাড়ে দশটায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনস্ মাঠে সুশৃঙ্খল ও নয়নাভিরাম বার্ষিক পুলিশ প্যারেডের মধ্য দিয়ে পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন। তিনি সারাদেশের বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট এবং পতাকাবাহীদলের মনোমুগ্ধকর প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ শেষে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) এর স্টল পরিদর্শন এবং পুলিশ সদস্যদের সাথে কল্যাণ প্যারেডে অংশগ্রহণ করবেন।
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন ও বেতার চ্যানেলগুলোতে এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে।
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বিগত ২০২৩ সালে অসীম সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ কাজ, মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা প্রদর্শন, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের জন্য ৪০০ জন বিপিএম ও পিপিএম পদক পাচ্ছেন। পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের অসীম সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ৩৫ জন পুলিশ সদস্যকে “বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)” , ৬০ জনকে “রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)” এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা প্রদর্শন, কর্তব্য নিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ৯৫ জন পুলিশ সদস্যকে “বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম-সেবা)” এবং ২১০ জনকে “রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম-সেবা)” পদক প্রদান করা হবে। প্রধানমন্ত্রী পদকপ্রাপ্তদেরকে পদক প্রদান করবেন।
পুলিশ সপ্তাহের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতির ভাষণ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সম্মেলন, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মেলন, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীবর্গের সম্মেলন, আইজি’ব্যাজ, শিল্ড প্যারেড, অস্ত্র/মাদক উদ্ধার প্রভৃতি পুরস্কার বিতরণ, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে কর্মরত পুলিশ অফিসারদের পুনর্মিলনী, পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির বার্ষিক সমাবেশ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে আইজিপির সম্মেলন এবং বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা ইত্যাদি।
আগামী ৩ মার্চ ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে পুলিশ সপ্তাহের নানা আয়োজনের।
পুলিশ সপ্তাহে বিগত এক বছরের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে পরবর্তী বছরের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়।
মন্তব্য করুন