নারায়ণগঞ্জের
রূপগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা পাভেল মিয়া (৩০) নিহত হয়েছেন। এ
ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন।
গতকাল
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার চণ্ডিতলা মন্দিরের
সংলগ্ন পৌর কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। কাঞ্চন পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ছিলেন
তিনি।
নিহত পাভেল
মিয়া কাঞ্চন পৌরসভার কৃষ্ণনগর এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে ।
পুলিশ
ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে কাঞ্চন পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক
বায়েজিদ ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এ সময়
পাভেল দুপক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গেলে, পূর্ব শত্রুতার জেরে তার ওপরও হামলা করে বায়েজিদ
গ্রুপের লোকজন। তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। আশপাশের লোকজন মুমূর্ষু অবস্থায়
তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়। সেখানে চিকিৎসক পাভেলকে মৃত
ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে
নিহত পাভেলের বড় ভাই শাহীন মিয়া বলেন, কাঞ্চন পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক
স্বপনের সঙ্গে ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদের ঝগড়া হয়। এ সময় আমার
ছোট ভাই চণ্ডিতলা মন্দিরের সংলগ্ন পাশে অবস্থান করছিল। পরে উভয় পক্ষের লোকজন পাভেলকে
পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে দ্বায়িত্বরত চিকিৎসকরা
তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আমাদের পরিবার পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আমার
ভাই হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই। কোনো সন্ত্রাসী যেন কাঞ্চনের মাটিতে না থাকতে পারে। আর
যেন কারো ভাই হারাতে না হয়।
এ বিষয়ে
কাঞ্চন পৌর যুবদল নেতা সানাউল্লাহ মান্নান সানী বলেন, সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক
স্বপন ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদের সংঘর্ষ বাধে। সে সময় কাঞ্চন
পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক পাভেল তাদের ঝগড়া থামানোর জন্য এগিয়ে যায়। এ সময় দুপক্ষের
লোকজনের পিটুনিতে সে গুরুতর আহত হয়। পরে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে
রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন বলেন, অপরাধী যেই
হোক তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হোক। যাতে করে আর এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি
না ঘটে।
নারায়ণগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইসলাম বলেন, মরদেহের প্রাথমিক সুরতাল সম্পন্ন করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন
মুরাদুল ইসলাম মুরাদ,
কুড়িগ্রাম:
কুড়িগ্রামের
অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন শেষে সস্ত্রীক ভুটান ফিরে গেলেন রাজা জিগমে খেসার নাময়িগেল
ওয়াংচুক। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে জেলার সোনাহাট স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন
শেষে ভুটানের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন তিনি। কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন
শেষে সস্ত্রীক ভুটানের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন রাজা জিগমে খেসার নাময়িগেল ওয়াংচুক।
কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন শেষে সস্ত্রীক ভুটানের উদ্দেশ্যে যাত্রা
শুরু করেছেন রাজা জিগমে খেসার নাময়িগেল ওয়াংচুক।
এর
আগে বৃহস্পতিবার সার্কিট হাউজ থেকে দুপুর ১ টা ২০ মিনিটে ধরলার পাড়ের অর্থনৈতিক অঞ্চলে
যান এবং পনের মিনিট স্থানটি পরিদর্শনের পাশাপাশি বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ
হারুনসহ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
এর
পরে রাজা সড়ক পথে সোনাহাট স্থলবন্দরের দিকে রওয়ানা দেন। রাজা সড়ক পথে দুপুর ১২ টা ১৫
মিনিটে সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে কুড়িগ্রাম
সার্কিট হাউজে এসে পৌঁছান।
কুড়িগ্রামের
জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ জানান, ভুটানের রাজা দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সার্কিট হাউজে অবস্থান
করেন। এরমধ্যে তিনি দুপুরের খাবার সেরে নেন। এরপর দুপুর দেড়টায় তিনি ধরলার পাড়ের কুড়িগ্রাম
সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকায় ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত
জায়গা পরিদর্শন করেন। সেখানে রাজা পনের মিনিট অবস্থানের পর সড়ক পথে জেলার ভূরুঙ্গামারী
উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দরের দিকে যাত্রা শুরু করেন। স্থলবন্দরে বিশেষ ইমিগ্রেশনের
মাধ্যমে ভারত হয়ে নিজ দেশ ভুটানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন রাজা। বাংলাদেশ-ভুটান দুদেশের
যৌথ উদ্যোগে ধরলা পাড়ে ২১৯ একর জমির ওপর গড়ে তোলা হবে জিটুজি ভিত্তিতে এ বিশেষ অর্থনৈতিক
অঞ্চল। রাজার আগমনকে ঘিরে সব ধরনের আয়োজন সম্পন্ন করে প্রশাসন। ভুটানের রাজার আগমনে
কয়েক স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রাম
চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট আব্দুল আজিজ জানান, ধরলার পাড়ে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল
গড়ে তোলা হলে সড়ক, নদী ও রেল পথের সুবিধা মিলবে। এ অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি
অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।
এ
সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কুড়িগ্রাম ৪- আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট বিপ্লব হাসান পলাশ
সহ আরও অনেকেই।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা নগরীতে হাতি দিয়ে বিভিন্ন
প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চাঁদাবাজির সময় দুজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।
এসময় দুটি হাতি উদ্ধার করে দেওয়া হয়েছে কোতোয়ালি থানায়। আটক হওয়া দুজনকে পুলিশের
কাছে হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী।
আটককৃতরা হলেন, মৌলভীবাজারের বড়লেখা
উপজেলার মৌলভীবাজার এলাকার মো: ইমরান ও মাদারীপুরের কালকিনি এলাকার চর ঠেংগামারার বাসিন্দা নাজমুল কাজী।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা মো: মাহিনুল ইসলাম জানান, আটক দুজনের কাছ থেকে মুচলেকা রেখে তাদের নিজ এলাকায়
ফিরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কারণ কুমিল্লা বন বিভাগের কাছে হাতি রাখার মতো কোনো পরিবেশ
নেই। তাই তাদের হাতি দুটি নিয়ে নিজ বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
জানা
যায়, আজ বুধবার বিকেলে কুমিল্লার আরবান ভলেন্টিয়ার্সদের সহযোগিতায় দুটি হাতি ও দুই
মাহুতকে নগরীর কাপ্তানবাজার এলাকা থেকে আটক করে সেনাবাহিনী।
মন্তব্য করুন
আজ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস
রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। এ নিয়ে ১২ ও ১৪ ডিসেম্বর দু’দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
রেকর্ড করা হল এ জেলায়। এদিন সকাল ৯ টার সময় চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগার
তাদের নিয়মিত আবহাওয়া পর্যবেক্ষণে এ তথ্য জানিয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫
শতাংশ। তবে আজ কুয়াশা কম রয়েছে। এদিন সকাল ৬ টার সময় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ২ডিগ্রী সেলসিয়াস।
এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গা জেলায় শীতের তীব্রতা ক্রমাগত বাড়ছে। গত দুদিন ধরে তাপমাত্রা ২ থেকে ৫ ডিগ্রী
সেলসিয়াস কমে গেছে। এর আগে ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার চলতি শীত মৌসুমে প্রথমবারের মত
এ জেলায় দেশের সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
গত ১৯ নভেম্বর হতে এ জেলায় তাপমাত্রা
কমতে শুরু করেছে। তাপমাত্রা আরো কমে যাওয়ার পূর্বাভাস দিচ্ছে চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান। তিনি জানান, চুয়াডাঙ্গা
জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকায় প্রচন্ড শীত অনুভূত হচ্ছে। সকালে শীত ও কুয়াশা কয়েক
দিন অব্যাহত থাকবে। আসছে সপ্তাহ থেকে শীতের প্রকোপ আরো বেশী হবে বলে তিনি জানান। শুক্রবার
(১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা
হয়। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৮৮ শতাংশ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় গত
এপ্রিল মাসের শেষ ১২ দিনে পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ১২ শিশুর।
শুধুমাত্র ৩ দিনেই চার উপজেলায় পানিতে
ডুবে মারা গেছে ৮ শিশু। আর বেশিরভাগই শিশুর মৃত্যুই হয়েছে বাড়ির পাশের পুকুর, ডোবা
বা জলাশয়ে ডুবে।
জানা গেছে, গত ১৮ এপ্রিল জেলার বরুড়া
উপজেলায় দুইজন, ২৫ এপ্রিল চান্দিনায় দুইজন, দাউদকান্দিতে দুইজন, ২৬ এপ্রিল বুড়িচংয়ে
একজন, ২৭ এপ্রিল দেবিদ্বারে তিন জন এবং ৩০ এপ্রিল মুরাদনগরে দুই জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে
পানিতে ডুবে। মারা যাওয়া ১২ শিশুর মধ্যে ১১ জনেরই বয়স ৮ বছরের মধ্যে।
এসব শিশুদের মৃত্যুর ঘটনা সংশ্লিষ্ট
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে এসব শিশুদের
মৃত্যু নিয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি বলে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন
তীব্র গরমে তৃষ্ণার্ত শ্রমজীবী পথচারী
মানুষের পাশে দাঁড়ালেন রোটারি ক্লাব অব রেনেসাঁস, কুমিল্লা।
বুধবার (১ মে) সকালে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ
মোড়ে ঠান্ডা পানির বোতল ও খাবার স্যালাইন বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন ডিস্ট্রিক কো-অর্ডিনেটর,
আরআইডি ৬৫,বাংলাদেশ রোটারিয়ান ডা. তৃপ্তিশ চন্দ্র ঘোষ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রোটা. লুৎফুল বারি চৌধুরী, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ রায়হান আহমেদ।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, রোটারি ক্লাব
অব রেনেসাঁস কুমিল্লার চাটার প্রেসিডেন্ট, চাটার সেক্রেটারি, প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট, চাটার
ট্রেজারার সহ ক্লাবের প্রায় সকল রোটারিয়ান।
উক্ত প্রজেক্টের চেয়ারম্যান ছিলেন,
রোটা. আনোয়ার হোসেন।
মন্তব্য করুন
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির পায়ুপথে ছয় ইঞ্চি ডাব ঢুকে গেছে। পরে অস্ত্রোপচার করে ওই ডাব অপসারণ করা হয়।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার ওয়ারুক বাজারের মেডিল্যাব হসপিটাল অ্যান্ড ট্রমা সেন্টারের অপারেশন থিয়েটারে এক ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে ডাবটি অপসারণ করেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল ও রোগীর স্বজন সূত্র হতে জানা যায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নের একটি গ্রামের ওই ব্যক্তির পায়ুপথে ডাবটি ঢুকে যায়। পরে এক্সরে করে ডাবটি অনেক বড় দেখলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আরিফ উল হাসান অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন।
হাসপাতালে আগত আরেক রোগীর স্বজন মো. শেখ ফরিদ জানান, অপারেশনের পরে বের হওয়া ডাবের আকার দেখে তিনি তাজ্জব বনে গেছেন।
তবে এ ঘটনায় রোগী বা তার সঙ্গে আগত স্বজনরা গণমাধ্যমের সামনে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ডা. আরিফ উল হাসান বলেন, ঢিলা-কুলুপ করতে গিয়ে দুর্ঘটনাবশত রোগীর মলদ্বার দিয়ে ডাবটি ঢুকে যায়। আমরা এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে ডাবটি বের করতে সক্ষম হই।
মন্তব্য করুন
মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার চরজোকা এলাকার ভয়ংকর মানব পাচারকারী চক্রের মূলহোতা মিলন ফকিরসহ মানব পাচার চক্রের সদস্য রিজাউল ফকির ও তাসলিমা বেগম কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ এর আভিযানিক দল।
র্যাব জানান, চক্রের মূলহোতা মিলন ফকির দীর্ঘদিন ধরে লিবিয়া থেকে মানব পাচারের কাজ করে আসছে। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বেকারত্ব ও দারিদ্রের সুযোগ নিয়ে তার চক্রের অন্যান্য সদস্যদের মাধ্যমে বিদেশে ভালো চাকরী দেওয়ার লোভ দেখিয়ে মানব পাচার করে আসছিল। এই চক্রটি ফরিদপুরের ভাংগা থানার গোয়ালদী গ্রামের সহিদুল শেখ (৪৮) এর ছেলে জুবায়েদকে ১২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ইতালিতে মোটা টাকার বেতনের চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে আসে। বেকারত্বের অভিশাপ থেকে বাঁচার জন্য জুবায়েদের হত দরিদ্র বাবা-মা জায়গা-জমি বন্ধক রেখে অনেক কষ্ট করে টাকা জোগার করে উপরোক্ত মানব পাচার চক্রের সদস্য রিজাউল ফকির ও তাসলিমা বেগমকে দেয়। গত ২০২২ সালের আগস্ট মাসের ২৯ তারিখে আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে জুবায়েদকে পাচারের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে নিয়ে লিবিয়া পাঠিয়ে দেয় । এরপর থেকে জুবায়েদের আর খোঁজ না পেয়ে তার বাবা-মা মূলহোতা মিলনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সে আরো দশ লক্ষ টাকা দাবী করে তার ছেলেকে ফিরিয়ে দেবার কথা বলে। এরই মধ্যে হঠাৎ করে জুবায়েদ একদিন ফোন করে বলে তাকে প্রচুর অত্যাচার করেছে এবং ট্রলারে করে তাকে সাগরে নিয়ে যাচ্ছে। তার বাবা-মা এতে আতঙ্কিত হয়ে মূলহোতা মিলনকে আরো ছয় লক্ষ টাকা দিলেও তার ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের ৬/৭/৮ ও ১০ ধারায় মামলা দায়ের করেন। এই মানব পাচারের সাথে জড়িত চক্রটির মূলহোতা মিলন ফকিরসহ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতার লক্ষ্যে র্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ, সিপিএসসি কোম্পানি এর একটি চৌকশ গোয়েন্দা টীম যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে তাদের অবস্থান সনাক্ত পূর্বক গ্রেফতারের চেষ্টা করেন। আজ (৫ মে) নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানা এলাকা থেকে মানব পাচার চক্রের মূলহোতা এজাহারনামীয় ১নং আসামী মিলন ফকির (৪২), মানব পাচার চক্রের সদস্য ২নং আসামী রিজাউল ফকির (৬৫), ৩নং আসামী তাসলিমা বেগম (৫৫) কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো- মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানাধীন চরজোকা এলাকার মোঃ রিজাউল ফকির এর ছেলে মিলন ফকির, মৃত আলিম উদ্দিন ফকির এর ছেলে রিজাউল ফকির, রিজাউল ফকির এর স্ত্রী তাসলিমা বেগম।
গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলায় সংসারের খরচ চাওয়ায় মাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাতে উপজেলার সাতানি ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত মঞ্জুরা বেগম (৬৫) ওই গ্রামের শান্তি মিয়ার স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শান্তি মিয়ার দুই ছেলে তিন মেয়ে। ছোট ছেলে প্রবাসী বাবুল মিয়া বাহরাইনে থাকেন। আর বড় ছেলে নবীর হোসেন স্থানীয় একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। শান্তি মিয়ার বয়স হয়েছে, উপার্জন করতে পারেন না। সাংসারিক খরচের জন্য তাকিয়ে থাকেন দুই ছেলের দিকে। ছোট ছেলে প্রবাস থেকে মাস শেষে টাকা পাঠালেও বড় ছেলে খুব একটা সংসার খরচ দেন না। এতে করে কয়েকদিন পর পরই বড় ছেলে নবীর হোসেনের সঙ্গে তার বাবা মায়ের ঝগড়া লাগতো। এর আগেও কয়েকবার সাংসারিক খরচ নিয়ে নবীর হোসেনের সঙ্গে তার মায়ের কথা কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয়রা বসে সমস্যার সমাধান করেন।
মঙ্গলবার রাতে সংসারের খরচ চাওয়ায় নবীর হোসেন তার মাকে গালিগালাজ করেন। শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। এক পর্যায়ে চেয়ার দিয়ে মাকে মারধর করতে শুরু করেন। এই সময় তার বাবা শান্তি মিয়া বাধা দিলে তাকেও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে মা মঞ্জুরা বেগমকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে মা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তিতাস উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাতেই ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে সকালে পুলিশ এসে মঞ্জুরা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
কুমিল্লা তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃষ্ণ কান্তি দাস বলেন, সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন আমরা পাইনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মূল ঘটনা জানা যাবে। আমরা এই বিষয়ে তদন্ত করে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
মন্তব্য করুন
ঝালকাঠিতে
প্রেমিকার রান্না করা নুডুলস খাওয়ার পর সজল দেবনাথ (১৯) নামে এক কলেজছাত্রের রহস্যজনক
মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। আর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার
(১১ নভেম্বর) সকালে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সজলের মৃত্যু হয়। সজল
দেবনাথ ঝালকাঠি সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ও ঝালকাঠি সদরের জেলেপাড়া এলাকার
বাসিন্দা সনাতন দেবনাথের ছোট ছেলে।
সজলের
পরিবার জানায়, রবিবার রাতে জগদ্ধাত্রী পূজার উৎসবে অংশ নিয়ে সজল বাড়ি ফিরে ঘুমিয়ে পড়েন।
রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে হঠাৎ অস্বাভাবিক আওয়াজ পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তার কক্ষে গিয়ে
দেখেন, সজলের পা বাঁধা অবস্থায় এবং তার কথিত প্রেমিকা তিথি খাটের নিচে লুকিয়ে আছেন।
দ্রুত তাকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসকদের চেষ্টা সত্ত্বেও
তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
সজলের
বড় বোন অভিযোগ করেন, তিথি তার বাসা থেকে সজলের জন্য নুডুলস নিয়ে আসেন, যা খাওয়ার পরই
সজলের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। পরিবারের ধারণা, নুডুলসে কোনো বিষাক্ত পদার্থ থাকতে
পারে, যা সজলের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
এ
বিষয়ে প্রেমিকা তিথি জানান, তাদের দু’বছরের সম্পর্ক রয়েছে এবং জগদ্ধাত্রী পূজার দিন
তারা কিছুক্ষণ সময় কাটান। তবে সজলের আচরণ নিয়ে মতবিরোধের কারণে তাদের মধ্যে তর্ক হয়
এবং তিথি অভিযোগ করেন, সজল তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। ঘটনার দিন রাতে সজলের সঙ্গে
কাটালেও তিনি ঘটনাটি আড়াল করেন।
ঝালকাঠি
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার এটিএম মেহেদী হাসান সামি বলেন, গভীর রাতে হাসপাতালে
আনার পর দীর্ঘক্ষণ চিকিৎসা করা হলেও সজলকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর
সঠিক কারণ নির্ধারণ করা সম্ভব নয় বলে তিনি জানান।
ঝালকাঠি
সদর থানার পুলিশ ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের জন্য তদন্ত শুরু করেছেন।
মন্তব্য করুন
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে আওতায় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঈশ্বরদী জংশন অতিক্রম করা রাজশাহীগামী আন্তনগর কপোতাক্ষ একপ্রেস ট্রেনের 'ঙ' নাম্বার বগিতে স্বর্ণা আক্তার (২০) নামে এক প্রসূতির হঠাৎ প্রসব ব্যথা ওঠে। পথে পাবনার ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে পৌঁছালেই ট্রেনের মধ্যেই একটি ছেলে নবজাতকের জন্ম দেন ওই প্রসূতি।
আজ সোমবার (৮ জুলাই) বেলা ১১ টা ৪০ মিনিটে পাবনার ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে ট্রেনে ভূমিষ্ঠ হয় শিশুটি। বর্তমানে মা ও মেয়ে শিশুকে মেয়েকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ট্রেনে সন্তান জন্মদানকারী প্রসূতি স্বর্ণা ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার পান্তাপাড়া ইউনিয়নের হুগরি পান্তাপাড়া গ্রামের ইয়াসিন আরাফাতের সহধর্মিণী।
আন্তঃনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের কর্তব্যরত খুলনার ট্রেন পরিচালক (গার্ড) ইলিয়াস কবীর সেলিম বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, সোমবার (৮ এপ্রিল) যথারীতি খুলনা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর ৭০৫ নাম্বার কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসে। ট্রেনটি সকাল সোয়া নয়টার দিকে দর্শনা রেলস্টেশনে পৌঁছালে ওই প্রসূতি নারী তার পরিবারসহ দর্শনা রেলস্টেশন থেকে 'ঙ' নাম্বার বগিতে ওঠে। ট্রেনটি বেলা পৌনে ১১টার দিকে ভেরামারা রেলস্টেশনে এলে প্রসূতির প্রসব বেদনা ওঠে।
এ সময় ওই ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) তাপস কুমার আমাকে বিষয়টি অবগত করেছেন। যে, 'ঙ' নাম্বার বগিতে এক প্রসূতির প্রসব বেদনা উঠেছে। এ সময় আমি মাইকিং করে ট্রেনে কোনো ডাক্তার আছে কিনা? ঘোষণা করলে খুলনা-রাজশাহী রুটের আলমডাঙ্গা রেলস্টেশন থেকে ওঠা রাজশাহী অভিমুখে যাওয়া ট্রেন যাত্রী ঢাকাস্থ বেসরকারি হাসপাতালের নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মোছাম্মৎ নাজনীন আক্তার দ্রুত এসে ' ঙ' নাম্বার বগিতে এসে পরিচয় দেন, তিনি ডাক্তার।
এদিকে কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের সময় ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে এলে একটি ছেলে শিশু ভূমিষ্ঠ হয়।
ওই ট্রেনের যাত্রী, নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মোছাম্মৎ নাজনীন আক্তার বলেন, আমি ট্রেনে আলমডাঙ্গা থেকে রাজশাহী যাচ্ছিলাম। মাইকিং শোনার পর আমি 'ঙ' বগিতে যাই। সেখানে কাপড় টাঙিয়ে ৩ সিটের একটি চেয়ারে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়। জন্ম নেওয়া বাচ্চাটি নরমাল ডেলিভারিতে বেশ সুস্থভাবেই জন্ম হয়েছে। তাই কোনো সমস্যা হয়নি। বর্তমানে মা ও শিশু সুস্থ আছে।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ জানান, ট্রেনটি রাজশাহী স্টেশনে পৌঁছানোর পর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহায়তা নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ আছে।চলন্ত ট্রেনে ব্যথায় কাতর প্রসূতি, জন্ম দিলেন ছেলে শিশু ।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে আওতায় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঈশ্বরদী জংশন অতিক্রম করা রাজশাহীগামী আন্তনগর কপোতাক্ষ একপ্রেস ট্রেনের 'ঙ' নাম্বার বগিতে স্বর্ণা আক্তার (২০) নামে এক প্রসূতির হঠাৎ প্রসব ব্যথা ওঠে। পথে পাবনার ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে পৌঁছালেই ট্রেনের মধ্যেই একটি ছেলে নবজাতকের জন্ম দেন ওই প্রসূতি।
আজ সোমবার (৮ জুলাই) বেলা ১১ টা ৪০ মিনিটে পাবনার ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে ট্রেনে ভূমিষ্ঠ হয় শিশুটি। বর্তমানে মা ও মেয়ে শিশুকে মেয়েকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ট্রেনে সন্তান জন্মদানকারী প্রসূতি স্বর্ণা ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার পান্তাপাড়া ইউনিয়নের হুগরি পান্তাপাড়া গ্রামের ইয়াসিন আরাফাতের সহধর্মিণী।
আন্তঃনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের কর্তব্যরত খুলনার ট্রেন পরিচালক (গার্ড) ইলিয়াস কবীর সেলিম বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, সোমবার (৮ এপ্রিল) যথারীতি খুলনা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর ৭০৫ নাম্বার কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসে। ট্রেনটি সকাল সোয়া নয়টার দিকে দর্শনা রেলস্টেশনে পৌঁছালে ওই প্রসূতি নারী তার পরিবারসহ দর্শনা রেলস্টেশন থেকে 'ঙ' নাম্বার বগিতে ওঠে। ট্রেনটি বেলা পৌনে ১১টার দিকে ভেরামারা রেলস্টেশনে এলে প্রসূতির প্রসব বেদনা ওঠে।
এ সময় ওই ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) তাপস কুমার আমাকে বিষয়টি অবগত করেছেন। যে, 'ঙ' নাম্বার বগিতে এক প্রসূতির প্রসব বেদনা উঠেছে। এ সময় আমি মাইকিং করে ট্রেনে কোনো ডাক্তার আছে কিনা? ঘোষণা করলে খুলনা-রাজশাহী রুটের আলমডাঙ্গা রেলস্টেশন থেকে ওঠা রাজশাহী অভিমুখে যাওয়া ট্রেন যাত্রী ঢাকাস্থ বেসরকারি হাসপাতালের নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মোছাম্মৎ নাজনীন আক্তার দ্রুত এসে ' ঙ' নাম্বার বগিতে এসে পরিচয় দেন, তিনি ডাক্তার।
এদিকে কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের সময় ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে এলে একটি ছেলে শিশু ভূমিষ্ঠ হয়।
ওই ট্রেনের যাত্রী, নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মোছাম্মৎ নাজনীন আক্তার বলেন, আমি ট্রেনে আলমডাঙ্গা থেকে রাজশাহী যাচ্ছিলাম। মাইকিং শোনার পর আমি 'ঙ' বগিতে যাই। সেখানে কাপড় টাঙিয়ে ৩ সিটের একটি চেয়ারে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়। জন্ম নেওয়া বাচ্চাটি নরমাল ডেলিভারিতে বেশ সুস্থভাবেই জন্ম হয়েছে। তাই কোনো সমস্যা হয়নি। বর্তমানে মা ও শিশু সুস্থ আছে।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ জানান, ট্রেনটি রাজশাহী স্টেশনে পৌঁছানোর পর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহায়তা নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ আছে।
মন্তব্য করুন