বোয়ালমারী উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে কালের বির্বতনে হারিয়ে
যাচ্ছে গ্রাম বাংলার এক সময়ের ধান চাল ভাঙার একমাত্র অবলম্বন ঢেঁকি। গ্রাম বাংলার
ঐতিহ্য ঢেঁকি এখন আর আগের মতো চোখে পড়ে না। সময়ের বির্বতনে বিলীন হতে চলেছে ঢেঁকি।
উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে দেখা মিলতো ঢেঁকির। এখন ঢেঁকির কদর
কমে যাওয়ায় তেমন আর দেখা মেলে না। অনেক দরিদ্র পরিবার ঢেঁকিতে চাল ভাঙিয়ে
হাটে-বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতো। আর ঢেঁকিতে ভাঙা চাল খুব সুস্বাদু ও
পুষ্টি সমৃদ্ধ হওয়ায় ওই চালের খুব কদর ছিল কিন্তু কালের বিবর্তনে ধান, গম, ভাঙার
মেশিনের কারণে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি আজ বিলপ্তির পথে। গ্রাম-গঞ্জে গেলে
এখনো দু-একটি বাড়িতে ঢেঁকি দেখা গেলেও ভবিষ্যতে ঢেঁকির প্রচলন থাকবে না বলে মনে
করেন সচেতন মহল। বর্তমানে বিভিন্ন গ্রামের কয়েকটা বাড়ি ঘুরলে দেখা মেলে ঢেঁকির।
সেগুলো আবার রয়েছে অযন্তে। অথচ একদিন ঢেঁকি ছাড়া গ্রাম কল্পনা করাও কঠিনতর ছিল। যেখানে
বসতি সেখানেই ছিল ঢেঁকি। কিন্তু আজ তা আমাদের আবহমান গ্রামীণ সংস্কৃতি থেকে হারিয়ে
যাচ্ছে। এক সময় বোয়ালমারী উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে প্রতিটি পরিবারেই
ধান-চাল গুঁড়ো করার ঢেঁকির প্রচলন ছিল। ঢেঁকি থেকে উৎপাদিত চালের ব্যাপক প্রচলন।
তখনকার সময়ে পরিবারের নারীরা ধান, গম, চালসহ বিভিন্ন খাদ্য শস্য ভাঙার কাজ
ঢেঁকিতেই করতেন। বিশেষ করে ঈদ, নবান্ন উৎসব পৌষ পার্বনসহ বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানে
পিঠা-পুলি খাওয়ার জন্য অধিকাংশ বাড়িতে ঢেঁকির নতুন ধানের চালের গুঁড়া তৈরির ধুম
পড়ে যেত।
কেওয়াগ্রাম বাসিন্দা আবু সায়েদ মৃধা বলেন, একসময় এই অঞ্চলে ঢেঁকিতে ধান ভাঙার ব্যাপক প্রচলন ছিল। ঢেঁকি ভাঙার চালের ভাতে অনেক পুষ্টি ও অনেক সুস্বাধু ছিলো। এখন মেশিনের ধান ভাঙার চালে ও ভাতে কোনো স্বাদ নেই। বিভিন্ন উৎসবের সময় প্রতিটি বাড়িতে নতুন জামাই মেয়ে ও অতিথিদের উপস্থিতিতে বাড়ি ছিল কোলাহল পূর্ণ। গভীর রাতে ঢেঁকিতে ধান ভাঙার শব্দ শুনা যেত। কিন্তু কালের বির্বতনে ও সময়ের চাহিদা অনুয়ায়ী আধুনিক যন্ত্রপাতির ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে ঢেঁকি। তারপরও সেই ঢেঁকির কদর বোয়ালমারী প্রত্যন্ত অঞ্চলে দু-একটি বাড়িতে এখনো দেখা গেলেও অযত্নে ও অবহেলায় পড়ে রয়েছে।
মন্তব্য করুন
তমা রাণী সরকার নামে ১৮ বছর বয়সী কলেজ পড়ুয়া এক তরুণী পুরুষে পরিণত হয়েছেন।
শরীরের হরমোনজনিত পরিবর্তনের কারণে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের চৌবাড়িয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গেছে। তার পুরুষের রূপান্তরিত হওয়ার ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
তমা ওই গ্রামের সুধান্ন সরকারের মেয়ে। তিনি রাজশাহী মহানগর সুজা-উজ-দৌলা সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। দুদিন ধরে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন তাকে দেখতে বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন।
তমার বাবা সুধান্ন সরকার বলেন, হিন্দু ধর্মের কিছু রীতিনীতি থাকায় রূপান্তরিত তমা সরকারের নাম এখনও পরিবর্তন করা হয়নি। অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার নাম পরিবর্তন করা হবে।
তমা সরকার বলেন, ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার দুই সপ্তাহ আগে থেকে হঠাৎ করেই আমার শারীরিক পরিবর্তন শুরু হয়। লজ্জা ও ভয়ে বিষয়টি কাউকে জানাইনি। এভাবে বেশ কিছুদিন কেটে যায়। পরবর্তী সময়ে রাজশাহী সুজা-উজ-দৌলা সরকারি কলেজে এইচএসসিতে ভর্তি হই। কিছুদিন পর তার শারীরিক পরিবর্তনের বিষয়টি বান্ধবীদের জানাই। এক সময় আমার পরিবারও বিষয়টি জানতে পারে। পরে আমার বাবা-মা আমাকে রাজশাহীর বিশেষজ্ঞ এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। সেখানে আমার শারীরিক পরিবর্তনের বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হই। আর বর্তমানে আমি পুরোপুরি পুরুষের রূপান্তরিত হয়েছি।
তমার মা শিখা রাণী বলেন, আমার একটা মেয়ে একটা ছেলে ছিল। সে বড় মেয়েটাকেও ভগবান ছেলে করে দিয়েছেন।
তরুণী পুরুষে পরিণত হওয়া বিষয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হরমোন বিশেষজ্ঞ ডা. কামরুজ্জামান জানান, হরমোন পরিবর্তনের কারণে এ রকম শারীরিক পরিবর্তন হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশি তরুণী সুবর্ণা আক্তারের প্রেমের টানে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের মধ্য গছানী গ্রামে ছুটে এসেছেন দিলশান মাদুরাঙ্গা নামের এক শ্রীলংকার যুবক।
গত বুধবার (৬ নভেম্বর) তিনি পটুয়াখালী আসেন এবং বৃহস্পতিবার ইসলামী শরিয়াহ মেনে পরিবারিক সম্মতিতে তাদের বিবাহ হয়।
বিষয়টি শুক্রবার (৮ নভেম্বর) জানাজানি হলে উপজেলার মানুষ এই নব দম্পতিকে এক নজর দেখার জন্য সুবর্ণার বাড়িতে ভিড় করতে থাকে।
জানা গেছে, গছানী গ্রামের নিজাম উদ্দিন সিকদারের মেয়ে সুবর্ণা পাঁচ বছর আগে জর্ডানে যান কাজের সন্ধানে। সেখানে একটি পোশাক কারখানায় কাজ পান তিনি। একই পোশাক কারখানায় সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করতেন দিলশান মাদুরাঙ্গা। কাজের সুবাদে পরিচয় হয় তাদের। পরে তাদের মধ্যে দীর্ঘ পাঁচ বছর প্রেমের সম্পর্ক চলে।
দিলশান মাদুরাঙ্গা শ্রীলঙ্কার কুরুনাগাল জেলার দুমমলচুরিয়া থানার ন্যাবটাকা উডুবাগদা গ্রামের লাকমালের ছেলে।
১ মাস আগে গ্রামে ফিরে সুবর্ণা বিষয়টি তার পরিবারকে জানান এবং তার পরিবার রাজি হলে তিনি দিলশান মাদুরাঙ্গাকে বাংলাদেশে আসতে বলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিলশান মাদুরাঙ্গা পটুয়াখালী পৌঁছান এবং তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তার বর্তমান দিলশান ইসলাম।
শ্রীলঙ্কান পাত্র দিলশান মাদুরাঙ্গা ওরফে দিলশান ইসলাম বলেন, আমরা দুইজন একই গার্মেন্টসে কাজ করতাম। সেখানেই আমাদের পরিচয় হয়। গত পাঁচ বছরের সম্পর্ক, আমাদের পরিবার আমাদের সম্পর্কের বিষয়ে জানেন এবং তাদের সম্মতিতে বিবাহ করেছি।
সুবর্ণার বাবা নিজাম উদ্দিন সিকদার বলেন, আমার মেয়ের সুখেই আমার সুখ। এখানে আমার কিছুই বলার নাই। তবে দোয়া করি ওরা যাতে ভালো থাকে।
এ বিষয়ে দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল আলীম বলেন, আমরা শুনেছি শ্রীলঙ্কার এক নাগরিক প্রেমঘটিত কারণে দশমিনায় এসেছেন।
মন্তব্য করুন
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়নে খনন করা
বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) কূপের তিনটি স্তরে মিলেছে জ্বালানি গ্যাস। বাংলাদেশ
পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) আশা করছে এ
থেকে দৈনিক এক কোটি (১০ মিলিয়ন) ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে ।
সোমবার (১২ আগস্ট) রাতে বিষয়টি
নিশ্চিত করে বাপেক্সের ভূ-পদার্থিক বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার ওহিদুল
ইসলাম বলেন, ওয়াছেকপুর গ্রামে খনন করা বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) কূপে মিলেছে গ্যাসের
অস্তিত্ব। ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল শুরু হওয়া খননকাজের পর ডিএসটি টেস্ট শেষে এখন চলছে
সর্বনিম্ন স্তরের উৎপাদন টেস্ট। প্রাথমিকভাবে কূপটির তিনটি স্তরে পর্যাপ্ত গ্যাস
আছে। এ টেস্ট শেষে জানা যাবে এখানে মজুত থাকা মোট গ্যাসের পরিমাণ।
বাপেক্স সূত্রে আরো জানা যায়, কূপটিতে তিন হাজার ১১৩ মিটার গভীর পর্যন্ত খনন করা
হয়, যার মধ্যে এক হাজার ৯২১ থেকে এক হাজার ৯৭৩ মিটার পর্যন্ত প্রথম স্তর, দুই
হাজার ৫৪৮ মিটার থেকে দুই হাজার ৫৮৫ মিটার পর্যন্ত দ্বিতীয় স্তর এবং তিন হাজার ৮১
মিটার থেকে তিন হাজার ১০১ মিটার পর্যন্ত তৃতীয় স্তরে গ্যাসের অস্তিত্ব মিলেছে।
বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) কূপের তিনটি স্তর থেকে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন
ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
হাওলাদার ওহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের লক্ষ্যমাত্রার থেকে বেশি গ্যাস মিলতে পারে বলে
ধারণা করছি। এখন পর্যন্ত টার্গেট চারটি জোনের মধ্যে তিনটি জোন থেকে বাণিজ্যিকভাবে
গ্যাস উত্তোলন করা যাবে বলে আশা করছি।’
বাপেক্সের ভূতাত্ত্বিক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শামসিয়া মুক্তাদির বলেন, ‘প্রাকৃতিক
গ্যাসের সন্ধানে বাপেক্স দীর্ঘদিন থেকে কাজ করে আসছে। বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) কূপটিতে
খনন কাজ শুরু এ বছরের ২৯ এপ্রিল। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল না থাকায়
আমাদের খনন কাজেও কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। দিনশেষে আমরা সফল হতে পেরেছি।’
বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপের প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. প্রিন্স আল
হেলাল বলেন, এখান থেকে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ করার
লক্ষ্যমাত্রা ছিলো। তবে লোয়ার জোনে গ্যাসের কন্ডিশন দেখে মনে হচ্ছে, আরও ভালো কিছু
আশা করা যাবে। উৎপাদন টেস্ট শেষে মোট গ্যাসের মজুত সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ড্রিলিং ইনচার্জ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এটি খনন করতে আমাদের নানা
প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়েছে। সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে আমরা আজ আলোর মুখ দেখছি।
একসময় গ্যাসকূপ খননের কাজে বিদেশি শ্রমিক ও কর্মকর্তারা যুক্ত থাকতেন। কিন্তু এখন
তার পরিবর্তন হয়েছে। এ কূপ খননের সঙ্গে জড়িত প্রায় দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী
সবাই বাংলাদেশের। এটাও আমাদের জন্য অনেক আনন্দের।’
এর আগে, ১৯৭৬ সালে বেগমগঞ্জ-১ ও ১৯৭৮ সালে বেগমগঞ্জ-২ গ্যাসকূপ খনন করা হলেও সেগুলো
থেকে গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। ২০১৪ সালে বেগমগঞ্জ-৩ কূপ খনন করা হয় এবং
সেখান থেকে এখনো প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ফেনী-নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক
সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এখানে বেগমগঞ্জ-৫ ও বেগমগঞ্জ -৬ কূপ
খননের পরিকল্পনা রয়েছে বাপেক্সের।
মন্তব্য করুন
কিশোরগঞ্জের হাওরের মিঠামইন জিরোপয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত ১৪
কিলোমিটার অলওয়েদার সড়কে একটি আলপনা আঁকা হয়েছে।
এশিয়াটিক এক্সপেরিয়েনশিয়াল মার্কেটিং লিমিটেড, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস
লিমিটেড ও বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগের এই আয়োজনের নাম দেওয়া হয়েছে
‘আল্পনায় বৈশাখ ১৪৩১’।
গত শুক্রবার (১২ এপ্রিল) শুরু হওয়া এই বৈশাখী আলপনা অঙ্কন শেষ হয় রোববার (১৪
এপ্রিল)।
আর এই বৈশাখী আলপনা অঙ্কন করেছেন প্রায় ৭০০ জন শিল্পী।
কিশোরগঞ্জের হাওরের মিঠামইনে ১৪ কিলোমিটার সড়কে বৈশাখী আলপনা ঘুরে দেখলেন ডাক,
টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং রোববার
(১৪ এপ্রিল) সকালে মিঠামইন উপজেলার অলওয়েদার সড়কের জিরো পয়েন্টে প্রধান অতিথি হিসেবে
উপস্থিত থেকে তুলির আঁচড়ের মাধ্যমে বৈশাখী আলপনার সমাপ্তি করেন।
একটি মোটরসাইকেল নিজেই চালিয়ে মিঠামইন অলওয়েদার সড়কের জিরো পয়েন্টে থেকে ঘুরতে
বের হন প্রতিমন্ত্রী। এসময় তার পেছনে বসা ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম
উপজেলা) আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, কোভিড-১৯ পরবর্তী পহেলা বৈশাখের আলপনার উৎসব আবার
ফিরে আসায় বাঙালি চেতনার উদযাপন তার চেনা রূপ লাভ করেছে। আয়োজকদের প্রতি আমি শুভকামনা
জানাচ্ছি । এ আয়োজন ইতিহাসের পাতায় নাম লেখাবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা
অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স
অফিসার তাইমুর রহমান প্রমুখসহ সংশ্লিষ্ট আরো অনেকেই।
এই সড়কের আলপনা আঁকার পর বিশ্বরেকর্ড হিসেবে গিনেস বুকে নথিভুক্ত করার উদ্যোগ
নেবেন আয়োজকরা।
মন্তব্য করুন
লালমনিহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় স্বামী হাসান আলীর মৃত্যুর ৭ ঘণ্টা পরই স্বামীর শোকে স্ত্রী মঞ্জু আরা বেগম মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
শনিবার (১৫ জুন) ভোর ৪টায় পাটগ্রাম উপজেলার বাউড়া ইউনিয়রের রসুলপুর গ্রামে মৃত্যুবরণ করেন স্বামী হাসান আলী (৫৫)। এরপর স্বামীর মৃত্যুর শোকে বেলা ১১ টায় মৃত্যুবরণ করেন স্ত্রী মঞ্জু আরা বেগম (৪৫)।
হাসান আলী ও মঞ্জু আরা বেগম দম্পতির তিন মেয়ে। দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন আরেক মেয়ে স্থানীয় সরকারি আলিমুদ্দিন ডিগ্রি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
স্বামীর শোকে মঞ্জু আরা বেগম ভোর থেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এরপর বেলা ১১ টায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় বাউড়া বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসান আলী একজন সুস্থ-সবল মুদি ব্যবসায়ী ছিলেন। প্রতিদিনের ন্যায় বাজার থেকে রাতে বাড়ি ফিরেন তিনি। এরপর ভোর ৪টার দিকে ঝড়ে পড়া আম খেয়ে কিছুক্ষণ পর স্ত্রীর সামনেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে হাসান আলী।
স্থানীয়রা বলেন, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালবাসার বন্ধন ছিল দৃঢ়। একজন আরেকজনকে খুবই ভালোবাসতেন। স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুতে তাদের বাড়িতে শত শত মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন।
স্থানীয় সাহেব হোসেন জানান, হাসান আলী একজন সাদামনের মানুষ ছিলেন। আমরা জীবনে এমন মৃত্যু দেখি নাই। স্বামীর মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পর স্ত্রীর মৃত্যু।
পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাবিউল ইসলাম মিরন জানান, স্বামী স্ত্রীর মৃত্যু খবর পেয়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে সান্ত্বনা দিয়েছি।
মন্তব্য করুন
মোঃ মাসুদ রানা, কচুয়া প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পালাখাল আলিম মাদ্রাসায় দাখিল পরীক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকালে মাদ্রাসা মিলনায়তনে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি আব্দুর রাজ্জাক আনোয়ারীর সভাপতিত্বে ও সহকারি মৌলভী আব্দুল কুদ্দুস খানের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান জয়।
এসময় মাদ্রাসার সাবেক উপাধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হাই, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান সরদার, মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান, গিয়াস উদ্দিন প্রধান, সমাজসেবক দেলোয়ার হোসেন ক্যাশিয়ার, নুরুল ইসলাম মোল্লা, জমির হোসেন মিয়াজীসহ মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
পরে দাখিল পরিক্ষার্থীদের সফলতা ও দোয়া কামনায় বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন, মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কাশেম ভূইয়া।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম পাটোয়ারীর (৭১) দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে বাদ আসর উপজেলার সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাযা শেষে ওই গ্রামের নিজ পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা শাহআলম পাটোয়ারীর দাফনের আগে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাপ্পি দত্ত রনি ও পুলিশের একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন। তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ও ৩ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহআলম পাটোয়ারী অসুস্থজনিত কারনে বুধবার রাত ১১টার সময় সৈয়দপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি। তার মৃত্যুতে মুক্তিযোদ্ধা,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের লোকজন গভীর শোক প্রকাশ করেন।
এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মবিন,জাবের মিয়া,আনোয়ার সিকদার,সনতোষ চন্দ্র সেন,সমাজসেবক ইউসুফ মিয়াজী,আলমগীর চৌধুরী সহ পুলিশ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রামে এক যুবককে দুটি খুঁটির সঙ্গে
বেঁধে গান গেয়ে পিটিয়ে মারার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিশ
সেকেন্ডের সে ভিডিওতে দেখা গেছে, এক যুবককে উড়ালসড়কের নিচে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা
হয়েছে। এ সময় গান গেয়ে তাকে মারধর করতে দেখা যায় কয়েকজন তরুণকে।
তবে ঘটনাটি গত ১৪ আগস্টের হলেও সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যায় গত শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) থেকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যে যুবককে মারধর
করা হয়, সে যুবকের নাম মো: শাহাদাত হোসেন (২৪)। তিনি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার পাঁচবাড়িয়া
গ্রামের ২নং নদনা ইউনিয়নের মিয়া জান ভুঁইয়া বাড়ির মৃত মোহাম্মদ হারুনের ছেলে। শাহাদাত
থাকতেন চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন বিআরটিসি এলাকার বয়লার কলোনিতে। তিনি নগরের
ফলমণ্ডির একটি দোকানে চাকরি করতেন।
তবে যে স্থানে তাকে বেঁধে রাখা হয়েছিল
সেটি চট্টগ্রাম নগরীর আখতারুজ্জামান উড়াল সড়কের নিচে ২নং গেট মোড় এলাকায়। গত ১৪ আগস্ট
রাতে নগরে প্রবর্তক এলাকা থেকে পুলিশ শাহাদাতের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পরদিন শাহাদাতের
চাচা মো: হারুন বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি
করা হয়। কিন্তু কেন এ হত্যাকাণ্ড কিংবা কার সঙ্গে বিরোধ, তা এজাহারে উল্লেখ নেই।
পুলিশ জানায়, গত ১৪ আগস্ট রাতে প্রবর্তক
এলাকা থেকে ক্ষতবিক্ষত ও অচেতন অবস্থায় এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে
ওই ব্যক্তিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসকরা
তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার চাচা ফেসবুকে লাশের ছবি দেখে থানায় এসে মামলা করেন। তবে মারধরের
শিকার ব্যক্তি যে শাহাদাত, সেটি জানা গেছে তার স্ত্রীর ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে
শনাক্ত করার পর।
মামলার এজাহারে নিহত শাহাদাতের চাচা
মো: হারুন উল্লেখ করেছেন, ১৩ আগস্ট দুপুর ২টার দিকে কর্মস্থলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের
হন শাহাদাত। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফোন করলে কিছুক্ষণের মধ্যে বাসায় চলে আসবেন বলে তার
স্ত্রীকে জানান শাহাদাত। গভীর রাত পর্যন্ত স্বামী বাসায় ফিরে না আসায় খোঁজাখুঁজি করেন
স্ত্রী শারমিন। সে সময় শাহাদাতের মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
গেল ১৪ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফেসবুকে
বাদী দেখতে পান, নগরের প্রবর্তক মোড়ের অদূরে বদনা শাহর মাজারের বিপরীতে সড়কের পাশে
তার ভাতিজা শাহাদাত হোসেনের মৃতদেহ পড়ে আছে। পরে এদিন রাতেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে গিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে শাহাদাতের লাশ শনাক্ত করেন তার স্ত্রী শারমিন আক্তার
ও বাদী।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার
ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর শাহাদাতের স্ত্রী মারধরের শিকার ব্যক্তি
শাহাদাত বলে নিশ্চিত করেছেন। তবে যারা মারধর করছেন, তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কক্সবাজারের পাবলিক হলে আয়োজিত দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি নির্মূলে ছাত্র-নাগরিকের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় একটি সুষ্ঠু ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনে প্রশাসন, চিকিৎসকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন উল্লেখ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ দাবি বা প্রত্যাশা পূরণে ‘দাদাগিরি’র মতো প্রশাসন বা চিকিৎসকদের ওপর চাপ প্রয়োগ না করার আহ্বান জানিয়েছেন।
হাসনাত বলেন, ‘যখন ভাঙার সময় আসে তখন আমরা এক
হয়ে যাই। যেমন ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময়, একাত্তরের যুদ্ধে, নব্বইয়ের অভ্যুত্থানে
কিংবা ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে আমরা সবাই এক হয়ে লড়েছিলাম। এসময় আমরা কাউকে জিজ্ঞেস
করিনি কে সরকারি চাকরি করে- কে করে না, কে বিসিএস ক্যাডার- কে ক্যাডার না। এভাবে
পৃথিবীর সবকিছুতেই ভাঙার সময় এক হয় মানুষ, কিন্তু যখন গড়ার সময় আসে তখন বিভাজন
সৃষ্টি হয়। ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত আমাদের মাঝে কোনো বিভেদ
ছিল না। যখন রাষ্ট্র সংস্কার ও পুনর্গঠনের সময় এসেছে তখনই বিভাজন তৈরি করছি। এই
জায়গা থেকে আমাদের বের হতে হবে। বাংলাদেশের প্রশ্নে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ’
ফ্যাসিস্টদের সরাতে শত শত ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন উল্লেখ করে এ সমন্বয়ক আরও বলেন, ‘তারা তো কোনো পদ-পদবি চাননি। আন্দোলন শেষে আমরা যখন রাষ্ট্র ও সরকার মেরামতের কাজে হাত দিয়েছি, তখন অনেকেই পদ-পদবির জন্য উঠে-পড়ে লেগেছেন।
মতবিনিময় সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের
চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি, কক্সবাজারের সমন্বয়ক শাহেদ ওয়াহেদ,
শাহেদ মাহমুদ লাদেস, সাহাব উদ্দিন চৌধুরী, ফাহমিদা হাসানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
সনাতন
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শ্রেষ্ঠ সামাজিক অনুষ্ঠান ভ্রাতৃদ্বিতীয়া বা ভাইফোঁটা উৎসব পালিত
হয়।
গত
বুধবার (১৫ নভেম্বর) কুমিল্লা মহানগরীর কালিয়াজুরীতে বাংলাদেশ আইনজীবী ঐক্য পরিষদ কুমিল্লা
ইউনিট এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট তাপস চন্দ্র সরকার এর একমাত্র মেয়ে অর্পিতা
সরকার তার একমাত্র ছোট ভাই অরন্য সরকার প্রিন্স এর কপালে চন্দন দিয়ে ফোঁটা এঁকে ছড়া
কেটে বলেন "ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়লো কাঁটা, যমুনা দেয় যমকে
ফোঁটা, আমি দেই আমার ভাইকে ফোঁটা।" এভাবেই
ভ্রাতৃদ্বিতীয়া যমের দুয়ারে কাঁটা দিয়ে ভাইয়ের দীর্ঘায়ু ও সৌভাগ্য কামনা করেন বোন।
এ
বিষয়ে রিতা রাণী মজুমদার বলেন, শুভ দিনের পরম পবিত্র লগ্নে ভাই-বোনের মধুর সম্পর্কের
পুনঃ নবীকরণ করে নেওয়া হয় প্রতি বছর। শৈশবের হারিয়ে যাওয়া মধুর এই দিনটিতে বড় বেশি
করে মনে পড়ে যায়। ভাই-বোনের স্নেহ ভালোবাসার সম্পর্কের প্রকাশ ভাইফোঁটা আচার অনুষ্ঠানটি
মন কেড়ে নেয়। একটি অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে চিরন্তন আবেগ অনুভূতিই জীবন্ত হয়ে ওঠে। কার্তিক
মাসের শুক্লপক্ষে দ্বিতীয় তিথিতে বোন তার ভাইকে পরম যত্ন সহকারে একটি সুন্দর আসনে বসিয়ে
হেমন্তের শিশির ও অন্যান্য উপকরণ দিয়ে হাতের তিন আঙ্গুলের সাহায্যে বোন তাঁর ভাইয়ের
কপাল ধুয়ে দেয়। এরপর বোন তার কনিষ্ঠা আঙ্গুল দিয়ে একইভাবে চন্দন তিলক এঁকে দিয়ে ছড়া
কেটে বলে "ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়লো কাঁটা, যমুনা দেয় যমকে
ফোঁটা, আমি দেই আমার ভাইকে ফোঁটা।"
মন্তব্য করুন