মন্তব্য করুন
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির তাণ্ডবে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ফলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান। দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি ভবন নির্মাণের দাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর।
সরজমিনে গিয়ে জানাযায়, গত শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি। এতে বিদ্যালয়ের পাশাপাশি, পাকা ধান, ঘরবাড়ি ও অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সেদিনের ঝড়ে উড়ে যায় সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবিলী ইউনিয়নের পশ্চিম চরজুবলী গ্রামে অবস্থিত আবদুল মালেক উকিল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এরপর থেকে খোলা আকাশের নিচে তাদের ক্লাস চলছে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে। শিক্ষাবর্ষের শেষ সময়ে পরীক্ষার প্রস্তুতিতে বার্ষিক পরীক্ষা কার্যক্রমও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
আব্দুল মালেক উকিল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভিন আক্তার বলেন, শুক্রবার ঝড় হইসে। আমাদের ধানের জমি ও বাড়ি ঘরের ক্ষতি হইসে। সকালে গিয়ে দেখি স্কুলটাও নেই। ঝড়ে আমাদের স্কুল উড়ে গেছে। খোলা মাঠে ক্লাস করতেসি। সামনে আমাদের পরীক্ষা আছে।
ফাতেমা নামের আরেক শিক্ষার্থী জানান, সামনে আমাদের বার্ষিক পরীক্ষা। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আমাদের সামনের দিন গুলো নিয়ে শঙ্কায় আছি। ভবন নির্মাণ না হলে আমাদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়বে। খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে অসুবিধা হচ্ছে। রোদ আর গরমে বসে থাকা যায় না। আমাদের একটা স্থায়ী ভবন চাই।
অভিভাবক ফারুক বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে পুরো স্কুলটি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। কয়েক দিনের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা। তাই এখন শিক্ষার্থীদেরকে খোলা আকাশের নিচে লেখাপড়া করতে হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. পারভেজ বলেন, এই চরাঞ্চলের শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য ২০০৯ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। যার নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি প্রয়াত আবদুল মালেক উকিলের নামে। আমাদের বিদ্যালয়ে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। ঝড়ে পুরো বিদ্যালয় উড়ে যাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে অনিরাপদ পাঠদান চলছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে সহযোগিতা চেয়েছি। যেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে পাঠদানে অংশ নিতে পারে।
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক ম্পিকার মরহুম মালেক উকিলের পুত্র ও সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহার উদ্দিন খেলন বলেন, আমি ঊর্ধ্বতনকে অনুরোধ করছি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য এবং শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে ভবন নির্মাণ করার জন্য। সেই সাথে বিদ্যালয়টি জাতীয় করণেরও দাবী জানান তিনি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আল আমিন সরকার বলেন, শিক্ষা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিষয়টি দেখা হবে।
মন্তব্য করুন
শ্রীপুরের সাটিয়াবাড়ি এলাকায় একটি মোজা তৈরির কারখানায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট কাজ করছে।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন, গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, সাটিয়াবাড়ি এলাকায় গ্লোব গ্লোভস ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড নামে একটি মোজা কারখানায় আগুন লেগেছে। স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছিল। পরে তারা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। আগুন কারখানার ৩ তলা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। শ্রীপুর, রাজেন্দ্রপুর, কাপাসিয়া ও জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
১০ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত ২৬ নভেম্বর রাতে
র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার
কোতয়ালী মডেল থানাধীন চাপাপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে
আসামী মোঃ বকুল মিয়া নামের একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর হেফাজত
হতে ১০ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি অটো মিশুক উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
মোঃ বকুল মিয়া (৩৮) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার বিবির বাজার গ্রামের মৃত সামছু
মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে
দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত অটো মিশুক ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য
গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি
ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ
হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১
এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা
হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় মৌসুমি ফলসহ নিত্যপণ্যের বাজারে ভোক্তা অধিকারের তদারকি অভিযান পরিচালনা করা হয় ।
বৃহস্পতিবার কুমিল্লার টমছম ব্রিজ বাজার ও ঢুলিপাড়া এলাকায় অভিযানের সময় সকল স্তরের ভাউচার যাচাই করা হয়। ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রয় করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
অভিযানের ফলে অন্য সময়ে ৬০০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া তরমুজ যৌক্তিক মূল্যে ৩০০ থেকে ৩৮০ টাকায় বিক্রি হয়।
উৎসুক ভোক্তা সাধারণ যৌক্তিকমূল্যে উৎসবমুখর পরিবেশে তরমুজ ক্রয় করেন এবং তদারকি টিমের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আজ ভোক্তা অধিকার বিরোধী নানা কর্মকাণ্ডের অভিযোগে চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।
জনস্বার্থে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন সোয়াগাজী বাজার এলাকা হতে ৩০ কেজি গাঁজা’সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গত ০৮ ডিসেম্বর শুক্রবার রাতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন সোয়াগাজী বাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ৩০ কেজি গাঁজা’সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী হলো: বাগেরহাট জেলার কঢ়ুয়া থানার বড় আন্দার মানিক গ্রামের মৃত আঃ হামিদ শেখ এর ছেলে মোঃ আতিয়ার রহমান (৫০)। এসময় মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, সে দীর্ঘদিন যাবৎ জব্দকৃত প্রাইভেটকার ব্যবহার করে বাগেরহাট, কুমিল্লা’সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গাঁজা’সহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল বলে স্বীকার করে।
উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১২ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক
ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
আজ (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী
মডেল থানাধীন তেলিকোনা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী শাহীন নামক একজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১২ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহন
কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী শাহীন (৬০) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার গাজীপুর গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত
সিএনজি ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে
কুমিল্লাসহ অন্যান্য জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে
বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান
পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত
থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
বাগেরহাটের রামপালে ফিলিং স্টেশন থেকে পেট্রোল নিয়ে কিশোরী প্রেমিকাকে জিম্মায় রেখে পালানোর ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে প্রেমিকার বাবা বাদী হয়ে রামপাল থানা একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা গেছে, ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই কিশোরী
প্রেমিকা বুধবার (২৬ জুন) স্কুলে যায়। ওই দিন দুপুর ১২টার সময় বিদ্যালয়ের সামনে পেন্সিল
কেনার জন্য দোকানে যায়। এ সময় বাছাড়েরহুলা গ্রামের নাজমুল ইসলাম সজিব বিদ্যালয়ের সামনে
থেকে প্রেমিকাকে তার সঙ্গে বেড়াতে যেতে বলে।
কিশোরী সজীবের সঙ্গে তার মোটরসাইকেল
উঠে বেড়াতে যায়। ভাগা বাজার এলাকায় গিয়ে মোটরসাইকেলের তেল শেষ হয়ে গেলে সজীব স্থানীয়
একটি ফিলিং স্টেশনে গিয়ে মোটরসাইকেলে পেট্রোল নেয়। পেট্রোল নিয়ে টাকা দিতে না পারায়
টাকার বদলে কিশোরীকে জিম্মা রেখে টাকা আনার কথা বলে চলে আসে।
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেও ওই কিশোরী বাড়িতে
না ফেরায় তার বাবা স্কুলে খোঁজ নেন। পরে খুঁজতে গিয়ে ফিলিং স্টেশনে কিশোরীকে পাওয়া
যায়।
এ ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি
হলে স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে ওই কিশোরীর বাবাকে মারধর
করা হয়। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে গাববুনিয়া গ্রামের মো. শহিদুল ইসলাম, হাবিবুর
রহমান, নাজমুল ইসলাম সজীব, মল্লিক মনিরুল ইসলাম, ফয়সাল মল্লিকদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ
করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রামপাল থানার ওসি
সোমেন দাশ জানান, তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের একটি অংশ আজ মঙ্গলবার ধসে পড়েছে আর এ ঘটনায় উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।
মূলত নিচে কেউ চাপা পড়ে আছেন কি না, তা দেখতেই এই উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে।
উদ্ধার এ কাজে যুক্ত আছে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট। তবে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আজ সন্ধ্যায় জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। সভায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রকৌশল দপ্তর, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তর, ভবন নির্মাণ প্রতিষ্ঠান মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশনের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।
দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের সামনে নির্মাণাধীন এ এইচ এম কামারুজ্জামান হলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ১০ তলা ভবনের কাজ শেষের দিকে। এই হলের সামনে দুই পাশে শেড হচ্ছে। এর পূর্বপাশের একতলা শেডের সাটারিংসহ ঢালাই ধসে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে সাতজনের আহত হওয়ার কথা জানানো হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আহত ব্যক্তিদের তিনজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। দুজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা নিয়েছেন।
বিকেল চারটার দিকেও ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট উদ্ধারকাজ করছিল। রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক মো. ওহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার খবর শোনার পরই তাঁরা সেখানে উপস্থিত হন। উদ্ধারকাজ শেষ হতে আরও কিছু কাজ করতে সময় লাগবে। সাটারিংসহ ঢালাই পড়ে গেছে। এগুলো সরাতে সময় লাগছে।
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনসংশ্লিষ্ট লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন । সহ–উপাচার্য মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, এখনো উদ্ধারকাজ চলছে। তবে তাঁর জানামতে সেখানে কেউ চাপা পড়েননি। আজ সন্ধ্যা ছয়টার দিকে একটি জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে ভবন নির্মাণের সঙ্গে জড়িত সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা হবে। পরে একটি তদন্ত কমিটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। জানতে হবে, নির্মাণাধীন ভবন কেন ধসে পড়ল।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি তিন শ্রমিক হলেন গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার আজাদুল, চাঁপাইনবাবগঞ্জের অনুপনগর এলাকার সিফাত ও রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পাহাড়পুর এলাকার সিহাব। এ ছাড়া সুরেজ ও রাসেল নামে দুই শ্রমিক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শ্রমিক জানিয়েছেন, তাঁরা ১১ জন নির্মাণাধীন ভবনটিতে কাজ করছিলেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার সদরদক্ষিণ উপজেলার দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সদরদক্ষিণ উপজেলার রামধনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রাম ধনপুর মহিলা দাখিল মাদ্রাসার দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর মাঝে এসব শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।
সদর দক্ষিণ উপজেলার মান্দারী গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মাজুমদার বাড়ীর মরহুম হাজী সিরাজুল ইসলাম মজুমদার ও অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম মজুমদার স্মরণে রোটারি ক্লাব অফ কুমিল্লা সানফ্লাওয়ার এর ব্যবস্থাপনায় "মজুমদার বাড়ির ফাউন্ডেশন" এসব শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করে।
বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রোটারি ক্লাব অফ কুমিল্লা সানফ্লাওয়ার প্রেসিডেন্ট জাহানারা আক্তার কলি, সেক্রেটারি রোটারিয়ান ডাক্তার আবু সায়েম আনসারী, নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আমজাদ হোসেন, মজুমদার বাড়ি ফাউন্ডেশন এর পক্ষে অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মাইনুল ইসলাম মজুমদার টিপু, বাহার মজুমদার, ঐতিহ্য কুমিল্লার সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল।রোটারিয়ান পিপি নাসিরুল ইসলাম মজুমদার এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন মহিউদ্দিন মজুমদার।মেজবা মজুমদার। মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবু হানিফ। রামধনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালযয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুন্নাহার বেগমসহ অন্যান্য অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।
এর আগেও দুর্লভপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও দুর্লভপুর কিন্ডারগার্ডেনে ৩০০জন ছাত্রছাত্রীর মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।
এসময়
"মজুমদার বাড়ির ফাউন্ডেশন" এর পক্ষ থেকে আনিসুল ইসলাম মজুমদার বাবুল উপস্থিত
ছিলেন।এধারা অব্যাহত থাকবে বলে "মজুমদার বাড়ির ফাউন্ডেশন" এর পক্ষ থেকে
জানানো হয়।
মন্তব্য করুন
চিকিৎসক ছাড়াই ঝুঁকি নিয়েই রক্ত ট্রান্সফিউশন
করছিল একটি প্রতিষ্ঠান।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লার
সিটি ব্লাড ব্যাংক অ্যান্ড ট্রান্সফিউশন মেডিসিন সেন্টার নামের একটি প্রতিষ্ঠানে ঘটনাটি
ঘটে। এ সময় ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিষ্ঠানটিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ বেড সরিয়ে ফেলার
নির্দেশনা দেওয়া হয়।
অভিযানটি পরিচালনা করেন- কুমিল্লা জেলা
প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এনডিসি) কানিজ ফাতেমা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,
কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার আব্দুল কাইয়ুম ও জাকির হোসেন।
মেডিক্যাল অফিসার আব্দুল কাইয়ুম বলেন,
নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে ওই প্রতিষ্ঠানে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি, এক শিশুর ব্লাড
ট্রান্সফিউশন করা হচ্ছিল। পাশে বসা শিশুর মা। কোনও চিকিৎসক ছাড়াই প্রতিষ্ঠানের লোকজন
এসে ব্লাড ব্যাগ ঝুলিয়ে দিয়ে গেছেন। এ ছাড়াও সেখানে ডে-কেয়ার সেন্টারের নামে অবৈধভাবে
বেড রেখে রক্ত নেওয়া ও দেওয়ার কাজ চলছিল। তাৎক্ষণিক ওই প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করি। ১০
হাজার টাকা জরিমানা করে বেড সরানোর জন্য বলি। এ ছাড়াও একই দিন আমরা সদর হাসপাতাল রোডের
গ্রামীণ মেডিক্যাল সেন্টার পরিদর্শন করি। এ সময় ওই প্রতিষ্ঠানের অপরিচ্ছন্ন ল্যাব ও
বিভিন্ন অনিয়মের জন্য ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মন্তব্য করুন