চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলায় ভাত রান্নায় দেরি হওয়ায় স্বামীর হাতেই স্ত্রী খুন হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ঘাতক স্বামী মো: ইয়াসিনকে আটক করছে থানা পুলিশ।
নিহতের নাম ফেরদৌসী আক্তার আন্না (২৫)। উপজেলার নবুরকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়ালের মেয়ে ফেরদৌসী আক্তার।
অভিযুক্ত স্বামী মো. ইয়াছিন উপজেলার পশ্চিম গাজীপুর গ্রামে মো: শাহ আলমের ছেলে।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলার ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নের মেঘনা ধনাগোদা নদীর নবুরকান্দি বেড়িবাঁধের সঙ্গে টেম্পু স্টেশন নদী থেকে নিহত ফেরদৌসীর লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
এদিন বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মো. রবিউল হক।
স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভাত রান্না দেরি হওয়াকে কেন্দ্র করে স্ত্রী ফেরদৌসীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় স্বামী ইয়াসিনের। এক পর্যায়ে রাগান্বিত হয়ে ফেরদৌসীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন ইয়াসিন। পরে গলা টিপে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেন।
সকালে নদীর পাড়ে লাশ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
নিহত ফেরদৌসী আক্তার আন্নার বড় বোন মনোয়ারা জানান, আমার ছোট বোনের স্বামী অন্য মেয়ের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে পারলে এবং পরকীয়ায় বাধা দিলে আমার বোনকে প্রতিনিয়ত মারধর করত ইয়াসিন। কয়েকদিন আগেও পরকীয়া করতে গিয়ে ধরা পড়ে জরিমানা দিয়েছে ইয়াসিন। শুক্রবার রাত তিনটার দিকে ইয়াসিন আমার মাকে ফোন দিয়ে বলে আপনার মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছি না, আপনার বাড়িতে গিয়েছে কিনা। আমরা ভোরে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখি ঘরের দরজায় তালা দেওয়া। পরে লোকমুখে শুনতে পাই আমার বোনকে মেরে নদীর তীরে ফেলে রেখেছে।
নিহত ফেরদৌসী আক্তারের বড় ছেলে মো. আব্দুল্লাহ (৭) জানান, ভাত খেতে গেলে আমার আব্বু রাতে আম্মুকে গ্যাসের চুলার আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় এবং গলা টিপে হত্যা করে জামা কাপড় পরিবর্তন করে অটোরিকশায় করে আম্মুকে নদীতে ফেলে দেয়।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মো. রবিউল হক জানান, খবর পেয়ে মতলব সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল কবিরসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী ইয়াসিনকে আটক করা হয়েছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় পৃথক অভিযানে ৬৮ কেজি গাঁজাসহ
২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২। মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত
একটি কাভার্ড ভ্যান ও একটি প্রাইভেটকার জব্দ।
সোমবার ১৮ মার্চ রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২
একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন চিওড়া
সুজাতপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা সুপন বড়ুয়া (৩০) নামক ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে
গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ২৮ কেজি গাঁজা ও ১ টি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা
হয়।
পৃথক অন্য একটি অভিযানে ১৮ মার্চ রাতে
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন নবগ্রাম এলাকায় মাদক বিরোধী
অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ মনির হোসেন (৪৩) নামক ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৪০ কেজি গাঁজা ও ১ টি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। সুপন বড়ুয়া (৩০)
চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানার ফতেহপুর গ্রামের মৃত দুলাল বড়ুয়া এর ছেলে এবং আসামী
২। মোঃ মনির হোসেন (৪৩) কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার কলাকান্দি গ্রামের মৃত জাফর মোল্লা
এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী
ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী
ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির
বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ
ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নাজিম উদ্দিন মিলন ,নোয়াখালী:
নোয়াখালীতে শ্রী শ্রী জগন্নাথ বলদেব সুভদ্রা মহারানীর রথযাত্রা মহোৎসব ২০২৪ উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যায় বেগমগঞ্জ চৌমুহনী শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ নিত্যানন্দ মন্দিরে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভানামৃত সংঘ (ইসকন) নোয়াখালী শাখার আযোজনে তপন চন্দ্র মজুমদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সবাইকে আশ্বস্ত করে বক্তব্য রাখেন নোয়াখালি জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বিপিএম, পিপিএম।
এছাড়াও বেগমগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেদ শাহরিয়ার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান, চৌমুহনী পৌর মেয়র খালেদ সাইফুল্লাহ সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় গোমতী নদীতে পড়ে নিখোঁজের সাতদিন পর যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত আজাদ হোসেন (২৭) কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বিবিরবাজার এলাকার অরন্যপুর
গ্রামের আনার হোসেনের ছেলে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দেবিদ্বারের জাফরগঞ্জের নদীর খেয়াঘাট এলাকা
থেকে লাশটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো
হয়েছে বলে জানান দেবিদ্বার থানার ওসি নয়ন মিয়া।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে আজাদ টিক্কারচরে গোমতী নদীর
সেতুতে টিকটকের জন্য ভিডিও করতে গিয়ে নদীতে পড়ে যান।
এ খবর শোনার সাথে সাথেই তার স্বজনরা ও ডুবুরি দল অনেক খোঁজাখুঁজি করে কিন্তু
তাকে উদ্ধার করতে পারেনি।
সাতদিন পর বৃহস্পতিবার দেবিদ্বারের জাফরগঞ্জ খেয়াঘাট এলাকায় স্থানীয়রা ওই যুবকের
ভাসমান লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়।
পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে এরং তাকে সনাক্ত করা হয় ।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ
রানা,কচুয়া (চাঁদপুর) প্রতিনিধি ॥
চাঁদপুরের কচুয়ায় মিশুক চালক সাব্বির হোসেনকে হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভূক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।
শুক্রবার বিকালে এলাকাবাসীর আয়োজনে উপজেলার ভূঁইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন পালাখাল-মেঘদাইর সড়কে প্রায় ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিহতের মা জাহানারা বেগম,নানী সাজেদা বেগম,মামা মহিব উল্যাহ, মাওলানা কামাল হোসেন ও মহিউদ্দিন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাব্বির হত্যার প্রায় ১০ দিন পেরিয়ে গেছে। দ্রুত মিশুক চালকের হত্যার খুনিদের গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানান তারা।
মানববন্ধন শেষে আসামীদের দ্রুত খুঁজে বের করে
গ্রেফতার করতে ভূঁইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়ক থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা
হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জানুয়ারি বুধবার বিকালে মিশুক নিয়ে সাব্বির বাড়ি থেকে বের হলে আর বাড়ি ফিরেনি। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে পালাখাল-সেঙ্গুয়া সড়কের পাশে ডোবা থেকে মিশুক চালক সাব্বির হোসেনের হাত পা বাধা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মন্তব্য করুন
আজ
(২ ফেব্রুয়ারি) কমলাপুরের বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সাফ
অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালের পথে এগিয়ে থাকলো
বাংলাদেশ। সাগরীকা দলের হয়ে জোড়া গোল করেছেন।
ম্যাচপূর্ববর্তী
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের কোচ সাইফুল বারী টিটু বলেছিলেন, ১ম ম্যাচে জয় নিশ্চিত
করে ফাইনালের পথে এগিয়ে থাকতে চান। পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করেছেন মাঠে।
ম্যাচের
শুরু থেকেই আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে নেপালের বিপক্ষে আধিপত্য
বিস্তার করে খেলে পুরোটা সময়। এই ম্যাচে সাগরীকা নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে নজর কেড়েছেন।
ম্যাচের
৫ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো বাংলাদেশ। স্বপ্না রানির ফ্রি-কিক গোলরক্ষক ঝাপিয়ে রক্ষা
করেন। নেপালের গোলরক্ষক সুজাতাতামাংয়ের হাতে লেগে দিক বদলে বারে প্রতিহত হয়। ফিরতি
বলে মুনকি আক্তার বল জালে জড়াতে চেষ্টা করলেও তার শট ডিফেন্ডাররা আটকে দেন।
২
মিনিট বাদেই আবারও আক্রমণ শানায় বাংলাদেশ। বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন মুনকি আক্তার। তবে
নেপালের গোলরক্ষক এগিয়ে এসে তাকে থামান। ম্যাচের ১৪ মিনিটে বক্সের মধ্যে বল পান পূজা
দাস। তার মাটি কামড়ানো শট অল্পের জন্য পোষ্ট ঘেঁষে বেড়িয়ে গেলে এগিয়ে যাওয়া হয়নি বাংলাদেশের।
১৮ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেয়া পূজার বা পায়ের
শট ক্রসবার ঘেষে বেড়িয়ে যায়।
৩৮
মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। গোলকিক থেকে বল পান স্বপ্ন রানী। তার হেডে বক্সের
কাছাকাছি ২ ডিফেন্ডারের মাঝে বল পান সাগরীকা।
২ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে আগুয়ান গোলরক্ষকের উপর দিয়ে চিপ শটে বল জালে জড়ান সাগরীকা।
ব্যবধান
২গুন করতে সময় নেয়নি বাংলাদেশ ৪২ মিনিটে মুনকি আক্তারের দর্শনীয় গোলে ২-০ গোলের লিড
নেয় বাংলাদেশ। বক্সের ভেতর বল ক্লিয়ার করতে এগিয়ে আসেন নেপালের গোলরক্ষক সুজাতা। তবে
তার ক্লিয়ার করা বল পান ইতি খাতুন; ক্রস দেন মুনকি আক্তারকে। তিনি বুদ্বিদীপ্ত শটে
গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে বল জালে জড়ান। প্রথমার্ধে
ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো বাংলাদেশের। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে পেনাল্টি পায় বাংলাদেশ।
বক্সের ভেতর সাগরীকাকে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পেনাল্টি থেকে গোল
করতে পারেননি আফঈদা খন্দকার। তার শট পোস্টে লাগে। তবে ফিরতি বলে শট নেন সাগরিকা। তবে
নেপালের গোলরক্ষক সুজাতা গ্লাভস বন্দী করেন। শেষ পর্যন্ত ২ গোলের লিড নিয়েই বিরতীতে
যেতে হয় সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যদের।
দ্বিতীয়ার্ধে
আক্রমণের ধার বাড়ায় ২ দলই। ৫২ মিনিটেই এক গোল শোধ করে ম্যাচে ঘুড়ে দাড়ানোর ইঙ্গিত দেয়
নেপাল। সুকরিয়া মিয়ার গোলে ব্যবধান কমায় নেপাল। তবে লিড বাড়িয়ে নিতে খুব বেশি সময় নেয়নি
বাংলাদেশ। ৫৬ মিনিটে সাগরিকার গোলে ব্যবধান ৩-১ করে সাইফুর বারী টিটুর শিষ্যরা।
পরের
ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলার বরল এলাকায় মেঘনা কোল্ডস্টোরেজ নামে একটি আলু রাখার হিমাগারে জেলা প্রশাসন ও জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা এর যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ২১ লক্ষ পিচ ডিম এবং প্রায় ২৪ হাজার কেজি মিষ্টি ও মিষ্টির সিরা উদ্ধার করে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান শাওন ও জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,কুমিল্লার সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম এই অভিযান পরিচালনা করেন।
লাইসেন্সবিহীন হিমাগারে অবৈধভাবে খাদ্যপণ্য মজুদ করার দায়ে প্রতিষ্ঠানটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অবৈধভাবে মিষ্টি রাখার দায়ে জরিমানা করা হয় আরও ৬০ হাজার টাকা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান শাওন বলেন,এই বিপুল পরিমাণ ডিম কোন কোন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা এবং কত দিন যাবত মজুদ করা হচ্ছিল- কোল্ডস্টোরেজ কর্তৃপক্ষ জানাতে পারেনি। কোল্ডস্টোরেজটির কৃষি বিপণনের লাইসেন্স না থাকায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এসব পণ্য বিপণনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,কুমিল্লার সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম বলেন, আলু রাখার কোল্ডস্টোরেজে বিপুল পরিমাণ ডিম ও মিষ্টি মজুদ করে রাখা হয়েছিল। ৫ হাজার বান্ডেলে ৪২০টি করে ডিম সেখানে রাখা ছিল। এছাড়া ৮শ ড্রামের প্রতিটিতে ৩০ কেজি করে ২৪ হাজার কেজি মিষ্টি রাখা হয়েছিল। যা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং ভোক্তা অধিকার বিরোধী।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা, কচুয়া (চাঁদপুর) প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়ায় মিশুক চালক সাব্বির হোসেনকে হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও গ্রেফতারকৃত আসামীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। রবিবার দুপুরে এলাকাবাসীর আয়োজনে কচুয়া-সাচার-গৌরিপুর সড়কের পালাখাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রায় ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাব্বির হত্যার গ্রেফতারকৃত আসামীদের দ্রুত ফাঁসির কার্যকর দাবি জানাচ্ছি। কোনো ভাবে তারা যেন আইনের ফাঁকফোকড় দিয়ে জামিন না পায় তারও দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিহতের মা জাহানারা বেগম,উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ডা. মাসুদুর রহমান বাবুল,পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি করেজের সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুল কুদ্দুুস,যুবলীগ নেতা ইকবাল হোসেন,অহিদ রাজা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জানুয়ারি বুধবার বিকালে মিশুক নিয়ে সাব্বির বাড়ি থেকে বের হলেও আর বাড়ি ফিরেনি। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে পালাখাল-সেঙ্গুয়া সড়কের পাশে ডোবা থেকে মিশুক চালক সাব্বির হোসেনের হাত পা বাধা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের মা জাহানার বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করলে তারই প্রেক্ষিতে ৯জন আসামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মন্তব্য করুন
রফিকুল ইসলাম বাবু, চাঁদপুর:
চাঁদপুরে পরকীয়া প্রেমের বলি হলো দুই সন্তানের জননী
তাসলিমা বেগম। পরকীয়ার ঘটনার প্রতিবাদ করায় রাতের আঁধারে শ্বাসরুদ্ধ ও অতর্কিত হামলা
চালিয়ে স্ত্রীকে নৃশংস ভাবে হত্যা করেছে স্বামী। এই ঘটনায় চাঁদপুর আদালতে মামলা হওয়ার
পর অবশেষে মূল হোতা পাল বাজারে ব্যবসায়ী মোঃ সরোয়ার হোসেন সেলিমকে আটক করেছে চাঁদপুর
মডেল থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্ত্রী হত্যা মামলার
আসামি স্বামী সেলিমকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
এই ঘটনায় পরকীয়া প্রেমিকা বাবুরহাট রয়েল তাইবা ট্রাবলস
গ্রুপের অ্যাকাউন্ট অফিসার সালমা মিয়াজি প্রেমিক মায়া এখনো পলাতক রয়েছে।
গত ৮ জুলাই বুধবার গভীর রাতে চাঁদপুর শহরের জে.এম.
সেনগুপ্ত রোড সাবেক মন্ত্রী দীপু মনির বাসার চতুর্থ তলায় ভাড়াটিয়া বাসায় পাল বাজারের
ব্যবসায়ী সেলিম তার স্ত্রীকে শ্বাসরুদ্ধ করে ও অতর্কিত হামলা চালিয়ে হত্যা করে।
পরবর্তীতে তার বাবা মোঃ ইদ্রিস মিয়া বাদী হয়ে আদালতে
সরোয়ার হোসেন সেলিম তার পরকীয়া প্রেমিকা সালমা মিয়াজি মায়াকে আসামি করে মামলাটি দায়ের
করেন।
অবশেষে পুলিশ মামলার প্রধান আসামি সেলিমকে আটক করতে
সক্ষম হয়।
মামলার বাদী ইদ্রিস মিয়া জানান, কচুয়া থানার প্রসন্নকাপ
এলাকার কলিম উদ্দিনের ছেলে সরোয়ার হোসেন সেলিমের সাথে ১১ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে
তাসলিমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সেলিম বিভিন্ন মেয়েদের সাথে পরকীয়ায়
জড়িয়ে পড়ে। কিছুদিন পূর্বে শহরের মিতালী নামের একটি মেয়ের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক
করলে সেই মেয়ের পেটে অবৈধ সন্তান জন্ম হয়। সেই ঘটনায় সেলিমের বিরুদ্ধে মামলা হলে
২৭ দিন জেল খেটে বেরিয়ে আসে।
পরবর্তীতে সেলিম রয়েল তাইবা গ্রুপের অ্যাকাউন্ট অফিসার
সালমা মিয়াজি মায়ার সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সেই ঘটনা প্রতিবাদ করলে ঘটনার
দিন রাতে সেলিম তার স্ত্রী সালমা বেগমকে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলে। অবশেষে ঘটনাটি ধামাচাপা
দেওয়ার জন্য তারা চেষ্টা করে ও মামলা না দেওয়ার জন্য ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে।
পরবর্তীতে আদালতে মামলা হওয়ায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার
করতে সক্ষম হয়। এই ঘটনায় সেলিম ও তার পরকীয়া প্রেমিক মায়ার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত
ব্যবস্থা গ্রহণ করা জোর দাবি জানান পরিবারের স্বজনরা।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ৩২ কেজি গাঁজা ও একটি প্রাইভেটকারসহ
একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে হোমনা থানা পুলিশ ।
আজ (১২ জুলাই) সকালে হোমনা থানার এসআই
মোজাফফর হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হোমনা থানার ছয়ফুল্লাকান্দি মাথাভাঙ্গা
এলাকায় ছিনাইয়া-টু-মেঘনাগামী পাকা রাস্তার উপর চেকপোস্টে একটি প্রাইভেটকার তল্লাশী
করে ৩২ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ সেলিম কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী হলো- হবিগঞ্জ জেলার
মাধবপুর থানার গজনগর গ্রামের মোরশেদ এর ছেলে মোঃ সেলিম (৩৭)।
উক্ত ঘটনায় হোমনা থানার মামলা দায়ের
করা হয়।
মন্তব্য করুন