সরকারি চাকরিতে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির পদে এ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্ত জনবলের পূর্ণাঙ্গ তথ্য চেয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার
(১৫ আগস্ট) মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর সচিব/সিনিয়র সচিবদের কাছে এ তথ্য চেয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে মন্ত্রণালয়গুলোকে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ করা জনবলের তথ্য পাঠাতে একটি ছক করে দেওয়া হয়েছে। ছক অনুযায়ী প্রার্থীর নাম, নিয়োগপ্রাপ্ত পদ ও শ্রেণি; বাবার নাম ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা, যার মুক্তিযোদ্ধা সনদ/গেজেটের পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন (পিতা/মাতা/পিতামহ/মতামহ) তার নাম ও ঠিকানা; মুক্তিযোদ্ধার নাম, পিতা/মাতা/পিতামহ/মাতামহের মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও গেজেট নম্বর এবং নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার তারিখ জানাতে হবে।
অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাকে সনদ দেওয়া হয়েছে। সেই সনদ দিয়ে অনেকে চাকরি নিয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার পদক্ষেপ নিয়েছে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের
টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তর টিভি, যমুনা টিভি, বাংলাভিশন এবং মোহনা টিভির ইউটিউব চ্যানেলের
সম্প্রচার ভারতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত কারণ দেখিয়ে ভারত
সরকারের অনুরোধের পর এ পদক্ষেপ নিয়েছে ইউটিউব।
আজ
শুক্রবার (৯ মে) এই চার চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করা হয় বলে জানিয়েছে তথ্যব্যবস্থায়
প্রযুক্তির প্রভাব নিয়ে গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান ডিজিটালি রাইটের তথ্য যাচাইয়ের উদ্যোগ
ডিসমিসল্যাব।
ডিসমিসল্যাবের
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একাত্তর টিভি, বাংলাভিশন, যমুনা টিভি এবং মোহনা টিভির ইউটিউব
চ্যানেল ভারতের দর্শকেরা দেখতে পারবেন না। ভারতের ভূ-অবস্থান থেকে এই চ্যানেলগুলোতে
প্রবেশের চেষ্টা করলে একটি বার্তা সামনে আসে। তাতে বলা হয়, এই কনটেন্টটি বর্তমানে এই
দেশে প্রবেশযোগ্য নয়। কারণ, এটি জাতীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সরকারি আদেশের
আওতায় রয়েছে।
মন্তব্য করুন
৮০২ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগে ইসির চিঠি
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে পাঠানো নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমানের স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে সারাদেশে ২৮ নভেম্বর (মঙ্গলবার) থেকে ৮০২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য বলা হয়েছে।
চিঠিতে জানানো হয়, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর আওতায় আচরণবিধি প্রতিপালনার্থে প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় প্রয়োজনীয় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে আর এ লক্ষ্যে ৩০০ নির্বাচনী এলাকায় ২৮ নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা প্রয়োজন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, স্থানীয় বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে বিভাগীয় কমিশনারের পরামর্শক্রমে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা উল্লিখিত সংখ্যার কম-বেশি করতে পারবেন। এছাড়া প্রত্যেক জেলায়, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অধীন ১/২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অতিরিক্ত হিসেবে নিয়োজিত রাখতে হবে। যাতে জরুরি প্রয়োজনে যে কোনো স্থানে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।
চিঠিতে ইসি আরো জানিয়েছে, ভোট গ্রহণের কয়েকদিন আগে থেকে শুরু করে ভোটগ্রহণের ২ দিন পর পর্যন্ত অথবা কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে বিশেষ করে বিজিবি বা অনুরূপ বাহিনীর প্রতি টিম বা প্লাটুনের সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত করা হবে। ওই সময় আচরণবিধি প্রতিপালন সংক্রান্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সংখ্যা হ্রাস করার প্রয়োজন হবে।
চিঠিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি প্রতিপালনে উপরের বর্ণনা মোতাবেক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসি।
মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ ছাড়াও ভোটগ্রহণের কয়েকদিন আগে থেকে ভোটগ্রহণের পর পর্যন্ত কিছু সংখ্যক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্বাচনী এলাকায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজেও নিয়োজিত করার প্রয়োজন হবে।
এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের ধরনের বিষয়ে চিঠিতে ইসি জানায়, প্রতি উপজেলায় ১ জন, তবে ১৫টি ইউনিয়নের অধিক (পৌরসভাসহ) ইউনিয়ন বিশিষ্ট উপজেলায় ২ জন, জেলা সদরের এ ক্যাটাগরির পৌরসভায় ১ জন, তবে ৯ ওয়ার্ডের অধিক হলে ২ জন। আর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ১১, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৫, চট্টগ্রাম সিটিতে ১০, খুলনা সিটিতে ৬, গাজীপুর সিটিতে ৪ এবং অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনে ৩ জন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করতে হবে।
মন্তব্য করুন
ইসলামাবাদের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক এগিয়ে
নিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত সমস্যাগুলো সমাধানের
আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
ডি-৮ সম্মেলনের সাইডলাইনে আজ বৃহস্পতিবার
(১৯ ডিসেম্বর) মিসরের রাজধানী কায়রোর একটি হোটেলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ
শরিফের সঙ্গে বৈঠকের সময় অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, বিষয়গুলো বারবার আসছে। আসুন আমরা সামনে
এগিয়ে যেতে সেই বিষয়গুলোর ফয়সালা করি।
জবাবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ
শরিফ বলেন, ১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারত বিষয়গুলো মীমাংসা
করেছে, কিন্তু যদি অন্যান্য অমীমাংসিত সমস্যা থাকে, তবে সেগুলো দেখতে পেলে তিনি খুশি
হবেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের
জন্য বিষয়গুলো চিরতরে সুরাহা করে ফেলা ভালো হবে।
তারা ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং ক্রীড়া
ও সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদের বিনিময়ের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে সম্মত
হন।
এখানে প্রাপ্ত এক বার্তায় বলা হয়, দুই
নেতা চিনি শিল্প এবং ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনার মতো নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারিত করার
ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী
সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তার ঘোষিত বৈদেশিক নীতির মূল বৈশিষ্ট্য সার্কের
পুনরুজ্জীবনসহ পারস্পরিক স্বার্থ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে শরিফের সঙ্গে আলোচনা করেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস ২০২৬ সালের মধ্যভাগের
আগে ‘প্রয়োজনীয় সংস্কার’ এবং সাধারণ নির্বাচন করতে তার সরকারের পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ
করেন। তিনি বলেন, তিনি সংস্কারের বিষয়ে সংলাপের জন্য একটি ঐকমত্য গঠন কমিশনের নেতৃত্ব
দিচ্ছেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ
ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানান। শরিফ বলেন, আমরা
সত্যিই আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার অপেক্ষায় রয়েছি।
তিনি সার্কের পুনরুজ্জীবনে অধ্যাপক
ইউনূসের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং আঞ্চলিক সংস্থার শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের সম্ভাবনা
নিয়ে কাজ করার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।
অধ্যাপক ড. ইউনূস শরিফকে বলেন, এটি
একটি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
সার্ক বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক
ড. ইউনূস বলেন, আমি সার্কের ধারণার একজন বড় অনুরাগী। আমি ইস্যুটি নিয়ে কথা বলেই যাব।
আমি সার্ক নেতাদের শীর্ষ সম্মেলন চাই। তিনি বলেন, যদিও তা কেবল একটি ফটোসেশনের জন্যেও
হয়, তবুও এটি একটি শক্তিশালী বার্তা বহন করবে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের
রাষ্ট্র পরিচালিত চিনিকলগুলোকে আরও ভালোভাবে পরিচালনার জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রস্তাব
দেন। তিনি বাংলাদেশে ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের কারণে মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন এবং বলেন,
ঢাকা এ রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তানের অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃত হতে পারে।
তিনি বলেন, প্রায় এক দশক আগে পাঞ্জাবে
ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই বিশ্বমানের বলে প্রশংসিত হয়েছিল। বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের
সঙ্গে আমাদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করার জন্য আমরা বাংলাদেশে প্রতিনিধিদল পাঠাতে পারি।
অধ্যাপক ড. ইউনূস, শেহবাজ শরিফকে তার
সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং আশা করেন পাকিস্তান ও বাংলাদেশ এই প্রচেষ্টা অব্যাহত
রাখবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে
সিদ্দিকী।
সিদ্দিকী পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দারকে ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং তিনি সেই
প্রস্তাব গ্রহণ করেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফও
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসকে তার সুবিধামতো সময়ে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানান।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির (এনরোলমেন্ট) লিখিত পরীক্ষায় ২ হাজার ৫৩৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
বার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ফল প্রকাশ করে বলা হয়, আইনজীবী তালিকাভুক্তির (এনরোলমেন্ট) লিখিত পরীক্ষা গত ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট ২ হাজার ৫৩৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। এছাড়াও তৃতীয় পরীক্ষকের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রাখা হয়েছে ৩৪৫ জনকে।
উত্তীর্ণ প্রার্থীদের এখন মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি পরে জানানো হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবী হিসেবে সনদ পেতে তিন ধাপে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়।
প্রথমত, আইনের উপর স্নাতক উত্তীর্ণের পরপরই আইনজীবী হিসেবে ন্যূনতম ১০ বছর পেশায় রয়েছেন এমন একজন সিনিয়রের অধীনে ইন্টিমেশন জমা দিতে হয়।
দ্বিতীয়ত, ইন্টিমেশন জমা দেওয়ার পর ছয় মাস অতিক্রম হলে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পূর্ণ করে এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়।
এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা লিখিত পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পান।
আর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর আইনজীবী হিসেবে সনদ লাভ করেন।
সবশেষে সনদ লাভের পর সংশ্লিষ্ট জেলা বার এ যোগদানের মধ্য দিয়ে আইন পেশা শুরু করতে পারেন।
আইনজীবী হিসেবে সনদ লাভের পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল।
মন্তব্য করুন
মন্ত্রীর নির্দেশনা এবং গ্রাহকদের অসন্তোষ মধ্যে মোবাইল অপারেটরগুলো ইন্টারনেটের খরচ কমিয়েছে।
কোনো অপারেটর তিন দিনের দামে সাত দিনের প্যাকেজ ডিজাইন করেছে, আবার কোনোটি সরাসরি দামও কমিয়ে ফেলেছে।
গত ১৫ অক্টোবর থেকে মোবাইল ইন্টারনেটের নতুন প্যাকেজ কার্যকর হওয়ায় তিন দিনের প্যাকেজ তুলে দেওয়া হয়। অপারেটররা বলে আসছিল, তিন দিনের প্যাকেজ তুলে দিলে দাম বেড়ে যাবে। কারণ, তিন দিনের প্যাকেজটির চাহিদাই সব থেকে বেশি।
তিন দিনের প্যাকেজ তুলে দিয়ে নতুন নির্দেশনা কার্যকর হওয়ার পর দাম বেড়ে যাওয়ায় গ্রাহক এবং অপারেটরদের মধ্যেও অস্বস্তি ছিল। পরে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ১০ নভেম্বরের মধ্যে দাম কমানোর নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
ইন্টারনেট প্যাকেজের খরচ কমানোর নির্দেশনায় প্রথমেই সাড়া দেয় রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটক। এরপর অন্যান্য অপারেটরও প্যাকেজ রিডিজাইন করছে বলে জানিয়েছে অপারেটরগুলো।মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (এমটব) ইন্টারনেটের দাম কমানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এক বিবৃতিতে এমটব জানায়, গত ১৫ অক্টোবর নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশাবলী অনুযায়ী নানাবিধ প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অপারেটররা তাদের ইন্টারনেট প্রোডাক্ট পোর্টফোলিও আপডেট করে। দুর্ভাগ্যবশত এর মাত্র ১৫ দিন পরে আবারও প্রোডাক্ট পোর্টফলিও পরিবর্তন করতে নতুন নির্দেশনাবলী দেওয়া হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমরা ইতোমধ্যেই এই জটিল পোর্টফোলিও পরিবর্তন করেছি।
নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে কার্যকর সমন্বয়ের মাধ্যমে কোটি কোটি বাংলাদেশির জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করে এমটব।
মন্তব্য করুন
শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় প্রিয় প্রাঙ্গণ সুপ্রিম কোর্ট থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও সাবেক এটর্নি জেনারেল বিশিষ্ট আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফকে শেষ বিদায় জানালো তাঁর দীর্ঘ দিনের সহকর্মী, স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীগণ।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে ধানমন্ডি ৭ নম্বর জামে মসজিদে এএফ হাসান আরিফের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন।
শুক্রবার বিকেল ৩টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে মারা যান উপদেষ্টা হাসান আরিফ। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
মন্তব্য করুন
বান্দরবানে ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে আহম্মদ রশিদ (৬০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ২ জন আহত হয়েছে।
১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে বান্দরবান-কেরানীহাট সড়কের টিটিসি এলাকায়।
বান্দরবান পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কালাঘাটা এলাকার মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে আহম্মদ রশিদ। আহত আবুল হাশেম (৩০) ও জয়নাল (৩৮) একই এলাকার বাসিন্দা।
বান্দরবান ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র স্টেশন অফিসার সাইদুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরুতর আহত অবস্থায় আহমেদ রশিদ, জয়নাল ও আবুল হাশেম নামে ৩ জনকে উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হলে তাদের মধ্যে আহম্মদ রশিদের মৃত্যু হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল জলিল।
মন্তব্য করুন
বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক, সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল ও কলেজের শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা অনুদান পাবেন। তবে এ অনুদান পেতে আবেদন করতে হবে অনলাইনে ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রাজস্ব বাজেটের এ টাকা দেওয়া হবে। বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন স্কুল–কলেজ, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা এ টাকা পাবেন। অনুদানের টাকা বিতরণে নীতিমালা (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের অনুদান প্রদানের জন্য অনুসরণীয় নীতিমালা সংশোধিত-২০২০) অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের অনুদানের টাকা পেতে আবেদন করতে হবে।
আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি বিশেষ অনুদানের টাকা বিতরণে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে । ওই দিন থেকে অনলাইনে অনুদান পাওয়ার আবেদন করতে পারবেন। বিশেষ মঞ্জুরির অনুদানের এ টাকা পেতে আবেদন করা যাবে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদ–এর অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এ টাকা শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ আরো জানিয়েছে, সরকারি ও বেসরকারি, এমপিওভুক্ত ও নন–এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসা, দৈব দুর্ঘটনা এবং শিক্ষা গ্রহণের কাজে ব্যয়ের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে দুস্থ, প্রতিবন্ধী, অসহায়, রোগগ্রস্ত, অস্বচ্ছল ও মেধাবী, অনগ্রসর এলাকার শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার পাবেন।
দেশের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বা এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মেরামত ও সংস্কার, আসবাবপত্র সংগ্রহ, খেলাধুলার সরঞ্জাম ক্রয়, পাঠাগার স্থাপন ও প্রতিষ্ঠানকে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী বান্ধব করার জন্য অনুদানের আবেদন করা যাবে। তবে বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অনগ্রসর এলাকার লেখাপড়ার মান ভালো থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অগ্রাধিকার পাবে। আর বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক–কর্মচারীরা দুরারোগ্য ব্যাধি বা দৈব দুর্ঘটনার জন্য অনুদানের আবেদন করতে পারবেন।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (২৯ জানুয়ারি) মন্ত্রিসভার দ্বিতীয় বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিতে সুফল পাওয়ায় ‘আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন, ২০২৪’ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সকালে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় আর বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, প্রথম যখন আইনটি প্রণয়ন করা হয়, তখন একটির মেয়াদ ছিল দুই বছর। পরবর্তীতে কয়েক ধাপে সেটার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। সেই মেয়াদ ২০২৪ সালের ৯ এপ্রিল শেষ হওয়ার জন্য নির্ধারিত ছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ আইনটি মন্ত্রিসভায় তুলেছিল। আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে ধাপে ধাপে মেয়াদ বাড়ানোর পরিবর্তে স্থায়ী আইন হিসেবে নীতিগত সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। এটিকে আর নতুন করে মেয়াদ বাড়াতে হবে না।
আইনটিতে কোনো পরিবর্তন আছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইনটি পুরোনো। আগে যা ছিল, তা-ই থাকবে। কেবল মেয়াদ দুই বা তিন বছর না বাড়িয়ে স্থায়ী করা হয়েছে।
আগে ছিল দুই বছর পর পর মেয়াদ বাড়ানো হবে, তাহলে কেন স্থায়ী করা হচ্ছে এমন প্রশ্নে মাহবুব হোসেন বলেন, জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, এ আইনটির অনেক সুফল আছে, এ আইনটির কারণে এই ক্ষেত্রে তাদের তরফ থেকে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য খুব কাজে লেগেছে, এজন্য তারা আইনটি কন্টিনিউ করতে চাচ্ছেন।
মন্তব্য করুন
বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হচ্ছে, যা পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এতে বাড়তে পারে বৃষ্টিপাতও।
শনিবার (১২ অক্টোবর) এমন তথ্য জানিয়েছে ভারত ও বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস।
ভারতের আবহাওয়া অফিস জানায়, ১৪ অক্টোবর দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে৷ পরবর্তীতে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে এবং শক্তি বাড়িয়ে লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হতে পারে। পরেরদিন এটি রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে। এরপর ১৭ অক্টোবর এটি উপকূলে উঠে আসতে পারে।
এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস মাসের শুরুতেই একটি ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে। যদিও এখনও তারা ঝড়ের কোনো আভাস দেয়নি। তবে আগামী ৫ দিনে বৃষ্টিপাত বাড়ার কথা জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন