বগুড়ার সদর উপজেলায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৫ জন মারা গেছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ২৫ জন। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রোববার (৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে
উপজেলা শহরের সেউজগাড়ী আমতলী মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের নাম- অলোক, আতশী, নরেশ, রনজিতা
এবং একজন নারী হাসপাতালে মারা গেছেন, তার নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
এ ঘটনায় গুরুতর আহতরা বগুড়া শহীদ জিয়াউর
রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা
যায়, সেউজগাড়ী ইসকন মন্দির থেকে রথযাত্রাটি বিকেল ৫টার দিকে বের হয়। পথে সেউজগাড়ী
আমতলা মোড় এলাকায় পৌঁছালে আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে রথের চূড়া রাস্তার ওপর থাকা হাইভোল্টেজের
বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে আসে। রথের চূড়া স্টিলের হওয়ায় বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে
আসার সঙ্গে সঙ্গে তারে আগুন লেগে যায়। এ সময় রথে থাকা এবং আশপাশের অন্তত ২৫ জন আহত
হন। পরে আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে
নেওয়া হয় এবং ৪ জন মারা যান। অন্যদিকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে একজনের মৃত্যু
হয়েছে ৷ গুরুতর আহতরা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালসহ বিভিন্ন
ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, রথযাত্রার সময় রথের চূড়াটি বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে
এলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শজিমের হাসপাতালে ৪ জন এবং মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ১
জন মারা গেছেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়ার পুলিশ
সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
মন্তব্য করুন
রোজায়
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন,
সেনাবাহিনী, ভোক্তা অধিকার ও বিএসটিআইসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর।
সোমবার
বেলা ১১টা থেকে ২টা পযন্ত কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছারের নেতৃত্বে কুমিল্লা
নগরীর রাজগঞ্জসহ খুচরা বাজারে তদারকি এ অভিযান পরিচালিত হয়।
এসময়
রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা পণ্যের মধ্যে মাছ,মাংস, মুরগি, সয়াবিন তেল ও লেবুসহ
বিভিন্ন পণ্যের ক্রয় ও বিক্রয়ের ভাউচার মনিটরিং করা হয় ।
এসময়
ব্যবসায়ীদের সাবধান করে জেলা প্রশাসক বলেন যাতে অধিক মুনাফার লোভে ভোক্তার সঙ্গে
প্রতারণা না করা হয় ।
জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছার
বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে প্রতিদিন দুটি টিম নগরীতে বাজার দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে
কাজ করছে। এছাড়া প্রতিটি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করা
হচ্ছে।
একই সময় খুচরা বাজারের দেশি ও বিদেশী ফল এবং সবজিতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ফরমালিন আছে কিনা তা ভ্রাম্যমাণ ল্যাবের মাধ্যমে পরীক্ষা করেছে বিএসটিআই। যাতে করে রমজান মাসে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হয় সেই বিষয়ে এ পরীক্ষা কার্যক্রম বিএসটিআইয়ের।
অভিযানে বিএসটিআই কুমিল্লার উপ-পরিচালক কে এম হানিফ, ভোক্তা অধিকার কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মোঃ কাউছার মিয়াসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়ায় আপন ভাতিজার
হাত ধরে ঘর ছেড়েছেন এক প্রবাসীর স্ত্রী।
গত বুধবার (১২ জুন) রাতে পৌরসভার সৈয়দগাঁও
পূর্বপাড়া এলাকায় চাচি-ভাতিজার ঘর ছাড়ার ঘটনা ঘটেছে।
তারা হলেন, ওই গ্রামের প্রবাসী মুকুল
মিয়ার স্ত্রী সবিতা আক্তার (২১) ও জাকির হোসেনের ছেলে সাকিল (২০)। সম্পর্কে সবিতা ও
সাকিল চাচি-ভাতিজা। সবিতা আক্তারের দুই বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) প্রবাসীর
ছোট ভাই খাইরুল ইসলাম পাকুন্দিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩ বছর
পূর্বে একই উপজেলার হোসেন্দী নামাপাড়া গ্রামের মকবুল হোসেন ওরফে বকুল মিয়ার মেয়ে সবিতা
আক্তারের সঙ্গে বিয়ে হয় সৈয়দগাঁও পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে মুকুল মিয়ার।
বিয়ের ৪ মাস পর মুকুল মিয়া প্রবাসে চলে যান। এ সুযোগে ভাতিজা সাকিলের সঙ্গে পরকীয়ায়
জড়িয়ে পড়েন সবিতা আক্তার। বিষয়টি জানাজানি হলে মুকুলের পরিবার থেকে সবিতাকে সতর্ক করা
হয়। কিন্তু তাতে তিনি সাড়া না দিয়ে স্বামীর নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গত বুধবার
রাতে ভাতিজা সাকিলের সঙ্গে পালিয়ে যান।
প্রবাসী মুকুল মিয়া জানান, ঘটনার একদিন
আগেও আমি আমার স্ত্রীর কাছে ৫০ হাজার টাকা পাঠিয়েছি। এ ছাড়া ঘরে থাকা নগদ আড়াই লাখ
টাকা ও বিয়ের স্বর্ণালংকার নিয়ে আমার ভাতিজার সঙ্গেই পালিয়েছেন আমার স্ত্রী। এই কষ্টের
কথা কার কাছে বলব।
পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো: আসাদুজ্জামান
টিটু জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা, কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ায় পানিকচুতে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন কৃষক বশির উল্যাহ। কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৪৮ শতাংশ জমিতে চাষাবাদ করেছেন পানিকচু। সাধারণত স্বল্প পানিতে যে কচু চাষ করা যায় তাকে পানিকচু বলা হয়। বর্ষার শেষে বাজারে যখন সবজির ঘাটতি দেখা দেয় তখন পানি কচুর লতি ও কান্ড বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, যথাযথ গবেষণা, সরকারি প্রণোদনা প্রদান, সর্বোপরি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় বর্তমানে কচুয়া উপজেলায় বাড়ছে পরিবেশবান্ধব ও ভিটামিনযুক্ত বারি-২ জাতের লতিরাজ পানিকচুর চাষ। এ কচু চাষে নেই পোকার আক্রমণ ও রোগবালাই, সম্ভাবনা নেই আর্থিক ক্ষতির। সেই সঙ্গে বর্তমান বাজারে, স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এ সবজির চাহিদা বাড়ায় লতিরাজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন এ উপজেলার কৃষকরা।
কচু চাষী বশির উল্যাহ বলেন, প্রায় ৪ বছর ধরে কচু চাষ করে আসছেন তিনি। প্রতি বছরে আমি কচু বিক্রি করে লাভবান হয়েছি। চলতি মৌসুমে এবার প্রায় ৪৮ শতাংশ জমিতে পানিকচুর চাষাবাদ করি। তাছাড়া কৃষি অফিসের পরামর্শে এবার লতিরাজ জাতের কচুর চারা রোপণ করি। কৃষি প্রণোদনা প্রকল্পের আওতায় কৃষি অফিস থেকে প্রদর্শনী পাই। ২০হাজার টাকা ব্যয় হলেও প্রথমে বিক্রি করেছেন লতি ১০ হাজার টাকা। লতি আসতে শুরু করেছে মাত্র। তিনি আরো প্রায় ৫০ হাজার টাকার লতি বিক্রি করতে পারবেন বলেও জানান। তার এ পানিকচু ও লতিরাজ কচু উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বিক্রি করে থাকেন।
কচুয়া উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান শাওন বলেন, কচুয়া উত্তর ইউনিয়নের সিংআড্ডা ব্লকে কৃষক বশির উল্যাহকে পানিকচু চাষে উৎসাহী করা হয়েছে। ফলে তিনি কৃষি অফিসের পরামর্শে তার জমিতে ভালো পানি কচুর আবাদ হয়েছে। আশা করছি আবহাওয়া ভালো থাকলে অনেক মুনাফা অর্জন করতে পারবে কৃষক বশির উল্যাহ।
কচুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মেজবাহ উদ্দিন জানান, সবজি হিসেবে কচু স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। কচু উৎপাদনে খরচ ও রোগবালাই কম, দামও ভালো পাওয়া যায়। কচুয়া উপজেলায় ইতোমধ্যে উত্তর ইউনিয়নের লতিফুর গ্রামের কৃষক বশির উল্যাহ লতিরাজ কচুর চাষাবাদ শুরু করেছে। এ ব্যাপারে কৃষকদের সার্বক্ষণিক সহায়তা ও কৃষি পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে ফরিদপুর
শহরের নিউমার্কেট সংলগ্ন একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়েছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। এ
সময় হোটেল থেকে ৪ তরুণ ও ১০ জন তরুণীকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ মে) বিকাল ৪টার দিকে ফরিদপুর
কোতয়ালী থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে ফরিদপুরের বিভিন্ন আবাসিক
হোটেল গুলোতে অসামাজিক কর্মকাণ্ড চলছে এমন অভিযোগ ছিল প্রশাসনের কাছে। আজ বিকেলে গোপন
সংবাদের মাধ্যমে একটি হোটেলে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ১৪ জনকে আটক করা হয়। একই
সঙ্গে অসামাজিক কার্যকলাপে সহযোগিতা করার অভিযোগে হোটেলের দুই কর্মচারীকেও আটক করা
হয়।
কোতয়ালী থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামান
জানিয়েছেন- আটককৃতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
পৃথক দুইটি অভিযানে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন পাঁচথুবি ও চৌদ্দগ্রাম থানাধীন সৈয়দপুর এলাকা হতে ৬১ কেজি গাঁজা’সহ চারজন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
নিয়মিত টহলের অংশ হিসাবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গত ০২ ডিসেম্বর শনিবার রাতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন পাঁচথুবি এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ১১ কেজি গাঁজা’সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী হলো: কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার উত্তর রাচিয়া গ্রামের মৃত চারু মিয়া এর ছেলে মোঃ তোতা মিয়া (৬৫)।
পৃথক অন্য একটি অভিযানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গত ০২ ডিসেম্বর শনিবার রাতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন সৈয়দপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ৫০ কেজি গাঁজা’সহ তিনজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীরা হলো: ১। বরগুনা জেলার সদর থানার হাজারবিঘা গ্রামের মোঃ কুদ্দুস হাওলাদার এর ছেলে মোঃ সজল (২০); ২। সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার ব্রাহ্মণগাও গ্রামের মোঃ জোয়াদ আলী এর ছেলে মোঃ ইলিয়াস (২০) এবং ৩। লক্ষীপুর জেলার রামগতি থানার চর আফজল গ্রামের মোঃ কামাল এর ছেলে মোঃ শাকিল (১৯)। এসময় মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ বরগুনা, সুনামগঞ্জ, লক্ষীপুর, কুমিল্লা’সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গাঁজা’সহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল বলে স্বীকার করে। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামী তোতা মিয়া’এর বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় এবং সজল (২০), ইলিয়াস (২০) এবং শাকিল (১৯) দের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে
দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে এক তরুণ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও পাঁচ জনকে কুপিয়ে
জখম করা হয়েছে।
রবিবার (১৩ অক্টোবর)
রাতে উপজেলার খিলা ইউনিয়নের সাতেশ্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় করা
মামলায় প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর)
সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত তরুণের নাম বাবুল
মিয়া (২৭)। তিনি সাতেশ্বর গ্রামের সোলেমান মিয়ার ছেলে। তিনি দিনমজুরের কাজ করতেন। বাবুলের
আড়াই বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা
গেছে, রবিবার বেলা ১১টায় সাতেশ্বর গ্রামের নড়াই বাড়ির পাশ দিয়ে অটোরিকশা চালিয়ে যাচ্ছিলেন
একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে রিমন হৃদয়। দ্রুতগতিতে অটোরিকশা চালিয়ে যাওয়ায় ওই
বাড়ির শিশুদের গায়ে ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে ওই বাড়ির বাসিন্দাসহ স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে
অটোরিকশাচালকের বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। পরে হৃদয় ফেরার সময় বিষয়টি নিয়ে ওই বাড়ির
লোকজনের সঙ্গে আবার ঝামেলা হয়। ঘটনাটি সমাধানের জন্য সন্ধ্যার পর সাতেশ্বর পূর্বপাড়ার
একটি দোকানের সামনে সালিশ বৈঠক বসে।
এ সময় ইউনিয়ন যুবদলের
সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি আবদুল
মতিন, ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি এমরান হোসেনসহ গ্রামের গণ্যমান্যরা দুই পক্ষকে মিলিয়ে
দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু অটোরিকশাচালক হৃদয়সহ তার পক্ষে থাকা সুমন, রুবেল, অন্তর,
রিপন, আবদুল্লাহসহ বেশ কয়েকজন এ সিদ্ধান্ত মেনে নেননি।
তারা অপর পক্ষের ওপর
হামলা করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে বাবুলসহ স্থানীয় লোকজন তাদের থামাতে
গেলে হৃদয়সহ তার লোকজন চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এ সময় বাবুলের পায়ে, পিঠে
ও হাতে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার
করে লাকসাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি
হাসপাতালে আসার আগেই মারা গেছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত দুলাল মিয়া, আবদুল মান্নান, মনির
হোসেন, যুবদল নেতা এমরান হোসেনসহ পাঁচ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে
ভর্তি করা হয়েছে।
মনোহরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, ঘটনার পর রাতেই লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অটোরিকশাচালক হৃদয়সহ তার সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে পুলিশ। এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে। এতে ১০ জনের নাম ও অজ্ঞাত ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার মূল আসামি ও বাবুলকে ছুরিকাঘাত করা সুমনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
মন্তব্য করুন
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির পায়ুপথে ছয় ইঞ্চি ডাব ঢুকে গেছে। পরে অস্ত্রোপচার করে ওই ডাব অপসারণ করা হয়।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার ওয়ারুক বাজারের মেডিল্যাব হসপিটাল অ্যান্ড ট্রমা সেন্টারের অপারেশন থিয়েটারে এক ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে ডাবটি অপসারণ করেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল ও রোগীর স্বজন সূত্র হতে জানা যায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নের একটি গ্রামের ওই ব্যক্তির পায়ুপথে ডাবটি ঢুকে যায়। পরে এক্সরে করে ডাবটি অনেক বড় দেখলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আরিফ উল হাসান অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন।
হাসপাতালে আগত আরেক রোগীর স্বজন মো. শেখ ফরিদ জানান, অপারেশনের পরে বের হওয়া ডাবের আকার দেখে তিনি তাজ্জব বনে গেছেন।
তবে এ ঘটনায় রোগী বা তার সঙ্গে আগত স্বজনরা গণমাধ্যমের সামনে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ডা. আরিফ উল হাসান বলেন, ঢিলা-কুলুপ করতে গিয়ে দুর্ঘটনাবশত রোগীর মলদ্বার দিয়ে ডাবটি ঢুকে যায়। আমরা এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে ডাবটি বের করতে সক্ষম হই।
মন্তব্য করুন
স্ত্রীকে ভরণপোষণ না দেওয়াকে কেন্দ্র
করে বাগ-বিতণ্ডায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত হয়েছেন ১৫ জন।
রোববার (১৬ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে
মাদারীপুরে সদর উপজেলার ঘটমাঝি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সদর উপজেলার ঘটমাঝি গ্রামের
সাবেদ আলী খালাসির সাথে একই উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের খাকছাড়া গ্রামের খবির মাতুব্বরের
মেয়ে শাহনুরের সাথে বিয়ে হয়। ২ মাস ধরে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন ভরণপোষণ না দেওয়ায়
শাহানুর তার বাবার কাছে অভিযোগ করেন।
এ বিষয়টি শাহানুরের বাবা তার লোকজন
নিয়ে রাতে শাহানুরের শ্বশুরবাড়ি আসেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি
ও হাতাহাতি হয়। পরে একপর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
এতে নারীসহ দুই পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে
ভর্তি করা হয়েছে।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের
চিকিৎসক ডা. অখিল সরকার জানান, আহতদের মধ্যে দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেলে
পাঠানো হয়েছে। বাকিদের ভর্তি করে দেওয়া হয়েছে।
মাদারীপুর সদর থানার ওসি এএইচএম সালাউদ্দিন
জানান, শাহানুরকে ভরণ-পোষণ না দেওয়ায় তার শ্বশুরবাড়ি ও বাবার বাড়ির দুই পক্ষের লোকজনের
মধ্যে মারামারি হয়। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
মাদারীপুরের শিবচরে নিজ ক্লিনিকের নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় শিবচর ইউনাইটেড হাসপাতালের মালিক আপেল মাহমুদকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে শিবচরের বাহাদুরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আপেল মাহমুদ শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার পশ্চিম সেনেরচর এলাকার মৃত চান মিয়া শিকদারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে এর আগে শিশু ধর্ষণচেষ্টা ও চাঁদাবাজির মামলাও রয়েছে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শিবচর ইউনাইটেড হাসপাতালে কর্মরত একজন নার্সকে বিভিন্ন সময় হাসপাতালের মালিক আপেল মাহমুদ কুপ্রস্তাব দিতেন। গত বছরের ২০ ডিসেম্বর ওই নার্স হাসপাতালে কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সেদিন বাড়ি ফেরার পথে তার গতিরোধ করে আপেল মাহমুদ জোরপূর্বক একটি মাইক্রোবাসে তাকে তুলে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে কক্সবাজার নিয়ে যান।
সেখানে একটি আবাসিক হোটেলে তাকে তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেন।
পরে ২৫ ডিসেম্বর তাকে শিবচর এনে একটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে ভুয়া বিয়ের নথি তৈরি করে ওই নার্সকে ছেড়ে দেন আপেল মাহমুদ। এ ঘটনার পর গত ৩০ ডিসেম্বর নার্সের পরিবার শিবচর থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে মামলা না নেওয়ায় মাদারীপুর আদালতের দ্বারস্থ হন ভুক্তভোগী পরিবার।
আদালতের নির্দেশে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি শিবচর থানায় আপেল মাহমুদের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনার পর আপেল মাহমুদ পলাতক ছিলেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শিবচর থানার এসআই রেনুকা আক্তারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শিবচরের পাঁচ্চর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ক্লিনিক মালিক আপেল মাহমুদকে গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়
শিবচর থানার ওসি মো. রতন শেখ (পিপিএম) বলেন, ধর্ষণ মামলার আসামি আপেল মাহমুদের নামে এর আগেও শিশু ধর্ষণচেষ্টা ও চাঁদাবাজির মামলায় রয়েছে। তার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এক নার্সকে ধর্ষণের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
অভিনব
কৌশলে পিকআপে করে মাদক পরিবহনকালে ৪২ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২।
২ ডিসেম্বর রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী
মডেল থানাধীন আমতলী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে অভিনব কৌশলে পিকআপ
ভ্যানের বডির ভিতরে গোপন প্রকোষ্ঠ বানিয়ে মাদকদ্রব্য গাঁজা পরিবহণের সময় আসামী ১। আলী
করিম রিয়াদ এবং ২। মোঃ জাকির হোসেন রানা নামের দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।
এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ৪২ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ উদ্ধার
করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
১। আলী করিম রিয়াদ (৩৩) কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার কালিকাপুর গ্রামের জসিম উদ্দিন
এর ছেলে এবং ২। মোঃ জাকির হোসেন রানা (৩৭) একই থানার ছাঁন্দকরা গ্রামের মৃত দেলোয়ার
হোসেন এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা সহ অন্যান্য জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়াতে তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিনব কৌশল অবলম্বন করে মাদকদ্রব্য পরিবহণ করতো। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন