মুরাদুল ইসলাম মুরাদ,কুড়িগ্রাম :
কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলায় অটো রিক্সা চালক আকিদুল হত্যার আসামি সনাক্ত ও গ্রেফতারের দাবিতে উপজেলা রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার দুপুর ১২ টায় রাজিবপুর উপজেলা চত্বরে রাজিবপুর রাষ্ট্র সষ্কার আন্দোলনের সভাপতি আবু সাইদের সভাপতিত্বে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিপন মাহমুদের সঞ্চালনায় বক্তব্যে নিহত আকিদুল ইসলামের মা ভানু বেগম (৪৭) বলেন, অটো রিক্সা চালিয়ে আমাদের সংসার চলত। হঠাৎ একদিন আমার ছেলে বাড়ি ফেরেনি। পরে নদী থেকে আমার ছেলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। অটোরিকশাও ফিরে পাইনি। কেন আমার ছেলেটাকে হত্যা করা হলো, কি অপরাধ করেছিল আমার ছেলে। এক মাস হয়ে গেল আমার ছেলে হত্যার কোন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়নি। আমরা গরিব বলে কি ছেলে হত্যার বিচার পাব না? গ্রেফতার এবং আসামিদের সনাক্তর দাবিতে কান্নার জড়িত কন্ঠে ভানু বেগম বলেন ২০ দিনের মধ্যে আমার ছেলে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও সনাক্ত করার জোর দাবি জানান।
আকিদুল ইসলামের স্ত্রী মরিয়ম খাতুন (২৩) বলেন এক মাস হয়ে গেল আমার স্বামীর হত্যার কোন বিচার পাইনি। কোন আসামিও গ্রেফতার হয়নি। পুলিশে মামলার কোন অগ্রগতি আমাদের জানায়নি। গরিব বলে কি আমরা বিচার পাব না। দয়া করে আমার স্বামীর হত্যাকারীদের শনাক্ত করুন।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের সদস্য সচিব সুজন মাহমুদ, রাজিবপুর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম মুক্তির ডাক আহবায়ক বিদ্যুৎ সরকার প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
মধ্যরাতে নারীকে উত্ত্যক্ত করতে গিয়ে
ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গোপনাঙ্গ জখম হয়েছে এক বখাটে তরুণের। বখাটে শাওন আকনকে (২৫)
আটক করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে বরিশালের
উজিরপুরে উপজেলার সানুহার গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
উজিরপুর মডেল থানার ওসি মো. মাহবুবুর
রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটক শাওন আকন (২৫) সানুহার গ্রামের
মোজাম্মেল আকনের ছেলে।
উজিরপুর মডেল থানার ওসি মো. মাহবুবুর
রহমান জানান, সানুহার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভাড়া বাসায় একা বাস করেন পঞ্চাশোর্ধ এক নারী।
ওই নারীকে প্রায়ই রাতে গিয়ে উত্ত্যক্ত করতো শাওন। গতকাল রাত ৩ টার দিকে ওই নারীকে গিয়ে
উত্যক্ত শুরু করে। এক পর্যায়ে দরজার ফাঁকা দিয়ে ওই নারীকে নিজের পুরুষাঙ্গ প্রদর্শন
করে শাওন। তখন ওই নারী বটি দিয়ে আঘাত করে। এতে পুরুষাঙ্গ মারাত্মক জখম হয়। স্থানীয়রা
টের পেয়ে বখাটেকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন।
এ ঘটনায় মামলা হচ্ছে জানিয়ে ওসি বলেন,
নিজের দোষ স্বীকার করেছেন বখাটে শাওন।
মন্তব্য করুন
দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহের বিস্তার হয়েছে। এ ছাড়া বেড়েছে তীব্রতাও, যা অব্যাহত থাকতে পারে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে ঘন কুয়াশার কারণে দেখা নেই সূর্যের উজ্জ্বল কিরণের, সঙ্গে কনকনে ঠাণ্ডা বাতাসে বেড়েছে শীতের অনুভূতিও।
বর্তমানে দেশের ৫টি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগেরদিন যা চার জেলায় ছিল। আবার শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে থাকলেও তা নিচে নেমে ৮ ডিগ্রির ঘরে চলে এসেছে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, ভোরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া সৈয়দপুরে ৯ ডিগ্রি, তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি, বদলগাছীতে ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি, রাজশাহীতে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
ঢাকার তাপমাত্রা আগের দিনের চেয়ে কিছুটা কমে থার্মোমিটারের পারদ নেমে এসেছে ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
আগামী রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আগামী দুদিনে আবহাওয়ার তেমন পরিবর্তন নেই। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে, তবে পরের দিন ফের কমার আভাস রয়েছে।
মন্তব্য করুন
রফিকুল
ইসলাম বাবু, চাঁদপুর :
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার কিশোর অটোচালক মহিন মিয়াজী (১৭) হত্যা মামলায় ৩ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আটককৃতরা প্রাথমিকভাবে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছে।
আসামীরা হলেন- মতলব দক্ষিণ উপজেলার বাসিন্দা মো. রাব্বি (২৬), মো. জসিম (২৬) ও মো. ইসমাইল হোসেন (৪৪)।
আজ মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে তাদেরকে চাঁদপুর আদালতে পাঠানো হয়। তবে প্রধান আসামী সুজন এখন পর্যন্ত পলাতক রয়েছে।
হত্যার শিকার কিশোর অটোচালক মহিন মিজি উপজেলার উপাদি উত্তর ইউনিয়নের ডিঙাভাঙা গ্রামের নাছিল উদ্দিন মিয়াজীর ছেলে।
মঙ্গলবার চাঁদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভা কক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব।
চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার বলেন, অটোচালক মহিন
হত্যার ঘটনায় ১ ডিসেম্বর থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়। ওই মামলার সূত্রধরে মতলব
দক্ষিণ থানার ওসি পুলিশের একটি বিশেষ দল গঠন করেন। ওই দলটি তদন্ত করে হত্যায় জড়িত
আসামী মো. রাব্বি ওরফে কালুকে গ্রেপ্তার করে। তার তথ্যের ভিত্তিতে ২ ডিসেম্বর
অভিযান চালিয়ে আসামী জসিম ও ইসমাইল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে এবং ইসমাইলের হেফাজতে
থাকা অটোবাইকের ৪টি ব্যাটারী উদ্ধার করে। তবে ঘটনায় জড়িত পলাতক আসামী সুজনকে
গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
এর আগে গত ২৯ নভেম্বর দুপুরে পূর্ব পরিকল্পার আলোকে আসামী সুজন মোবাইল ফোনে কিশোর চালক মহিনকে মতলব ধনারপাড় আসার জন্য। ওই চালক তাদের কথামত বাড়ি থেকে ধনার পাড় চলে আসে। সেখানে আসলে সুজনসহ সকল আসমী তার ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা করে নাগদা, আশ্বিনপুর, নারায়নপুরসহ বিভিন্নস্থানে ঘুরাঘুরি করে। সন্ধ্যার পরে তারা ঘটনাস্থল উপজেলার খাদেরগাঁও ইউনিয়নের বেলুতি গ্রামের গোলগেইল্যা খালের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে তারা কৌশল করে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং অটোরিকশাটি চালিয়ে আসামী ইসমাইলের গ্যারেজে নিয়ে আসে। পরে তারা ব্যাটারীগুলো ২৩ হাজার ৫০০ টাকা বিক্রি করে টাকা ভাগাভাগি করে নিয়ে যায়।
মন্তব্য করুন
মো মিজানুর রহমান মিনু:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে তিনটি চোরাই টিউবওয়েলসহ আন্তঃজেলা চোরচক্রের ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলো- উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের বারাইশ গ্রামের মোঃ কামালের ছেলে মোঃ সাগর ও শুভপুর ইউনিয়নের যশপুর ইঞ্জিনিয়ার বাড়ির মৃত আবদুল কাদেরের ছেলের মোঃ শাহজাহান।
রোববার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ত্রিনাথ সাহা। চৌদ্দগ্রাম থানার সেকেন্ড অফিসার আলমগীর হোসেন জানান, মুন্সিরহাট ইউনিয়নের বারাইশ গ্রামের মঞ্জু বেগমের মা ছালমা বেগম শনিবার রাত ১০ ঘটিকায় প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।
রোববার ভোরে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে উঠে ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন একই গ্রামের সাগর তাদের টিউবওয়েল নিয়ে যাচ্ছে। তাৎক্ষণিক শোর-চিৎকার করলে আশ-পাশের লোকজন এসে টিউবওয়েলটিসহ সাগরকে আটক ও মারধর করে। ঘটনাটি থানায় অবহিত করলে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ সাগরকে হেফাজতে নেয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ থানাধীন পদুয়ার বাজার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হতে শনিবার রাতে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: ডিএমপি ঢাকা জেলার মিরপুর থানার ৬৮নং জনতা হাউজিং, শাহ আলীবাগ এলাকার মৃত ওসমান গনির ছেলে মাঃ ইমামুল হক @শুক্কুর এবং কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদর থানার পূর্ব মুক্তার পোল, ০৬ নং ওয়ার্ড এর মৃত দানু মিয়ার ছেলে দিদারুল আলম (৫০)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় জানায়, তারা উভয়েই একটি সংঘবদ্ধ মাদক চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য এবং তারা সাধারণ পেশার আড়ালে এসকল মাদকদ্রব্যের পরিবহন ও ক্রয়-বিক্রয় পরিচালনা করে আসছিল। গ্রেফতারকৃত ০১ নং আসামী মোঃ ইমামুল হক শুক্কুর ড্রাইভার পেশার আড়ালে মাদকদ্রব্য সংরক্ষণ ও ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল। এই চক্রটি পারস্পারিক যোগসাজসে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট সহ অন্যান্য মাদকদ্রব্যের বড় আকারের চালান দীর্ঘদিন যাবৎ ট্রাক, পিকআপ, কার্ভাড ভ্যান সহ অন্যান্য যানবাহন ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের পণ্যদ্রব্য পরিবহনের আড়াঁলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কুমিল্লা ও ঢাকা সহ পাশর্^বর্তী জেলা সমূহে সরবরাহ করে থাকে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় আরো জানায় এই বিপুল পরিমান ইয়াবা এর চালান ঢাকাসহ পাশর্^বর্তী বিভিন্ন জেলায় সরবরাহের জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। পরবর্তীতে গোয়েন্দা কার্যক্রম ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর আভিযানিক দল মাদক চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য মোঃ ইমামুল হক @শুক্কুর ও দিদারুল আলম’দ্বয়কে গ্রেফতার পূর্বক তাদের দেখানো মতে সদর দক্ষিণ থানাধীন পদুয়ার বাজার এলাকার ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়ক হতে গ্রেফতার করে ০১ টি ব্যাগে সর্বমোট ৪০,০০০ পিস উদ্ধার করে যার আনুমানিক মূল্য ০১ কোটি ২০ লাখ টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে মাদক চোরাচালানের সাথে সম্পৃক্তদের বিষয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এসংক্রান্তে জড়িত অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ীদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব-১১ এর গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল:
কুমিল্লায় চোরকে চিনে ফেলায় রাশেদা বেগম(৬৫) নামে এক বৃদ্ধাকে নিজ ঘরে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারের পর হত্যার দায় স্বীকার করে এমন তথ্য জানিয়েছেন মোঃ নাদিম(১৯)।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আসামি নাদিমকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া নাদিমের দেওয়া তথ্যমতে, উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ বাজারের একটি দোকান থেকে স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল উদ্ধার করেছেন দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মোঃ মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃত নাদিম দাউদকান্দি পৌরসভার নুরপুর গ্রামের নুর আলমের ছেলে।
পুলিশ জানায়, সোমবার (১জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে দাউদকান্দি পৌরসভার নুরপুর গ্রামের মৃত আলী আশাদ মিয়ার স্ত্রী রাশেদা বেগম নিজ বাড়িতে খুন হন। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনাস্থলে পাওয়া জুতার সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
ঘটনার চার ঘন্টার মধ্যে হত্যাকারী নাদিমকে জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেন নাদিম৷ তার দেওয়া তথ্য মতে উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ বাজারের একটি স্বর্ণের দোকান থেকে লুন্ঠিত স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, নিহত রাশেদা বেগমের দুই ছেলে ও চার মেয়ে। বড় ছেলে প্রবাসে আর ছোট ছেলে দেশেই থাকেন। ঘটনার সময় বাড়িতে একাই ছিলেন রাশেদা বেগম। নাদিমের ধারণা নিহত রাশেদা বেগমের বাড়িতে অনেক টাকা পয়সা থাকবে। তাই তিনি রাশেদা বেগমের বাড়িতে যান। পরে তার কানের দুল গলার চেইন ছিনিয়ে নেন। তখন নিহত রাশেদা বেগম তাকে চিনে ফেলেন। পরে নাদিম গলা টিপে বৃদ্ধা রাশেদাকে হত্যা করেন শরীরে থাকা স্বর্ণের কানের দুল ও গলার চেইনটি নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান। কিন্তু যাওয়ার সময় পায়ের জুতা ফেলে যান নাদিম। সেই জুতার সূত্র ধরেই তাকে আটক করা হয়।
দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মোঃ মোজাম্মেল হক বলেন, কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় এবং সহকারী পুলিশ সুপার (দাউদকান্দি সার্কেল) এনায়েত কবির সোয়েব স্যারের দিকনির্দেশনায় ঘটনার ৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকারীকে সনাক্ত করে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্য মতে বৃদ্ধা রাশেদা বেগমের শরীর থেকে লুন্ঠিত স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় নিহত রাশেদা বেগমের ছোট ছেলে সাহাব উদ্দিন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার দেবিদ্বারের ভিংলাবাড়ীতে
চাঞ্চল্যকর বিধবা মহিলাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলার ঘটনায় মৃত্যুদন্ড সাজাপ্রাপ্ত
একজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত ৩ মার্চ হতে ৪ মার্চ ২০১০ ইং তারিখের
মধ্যবর্তী সময়ে কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানাধীন ভিংলাবাড়ীতে বিধবা মহিলা আনোয়ারা
বেগম খুন হয়। এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৩ মার্চ ২০১০ ইং তারিখ রাতে বিধবা মহিলা নিজ
শয়নকক্ষে ঘুমাতে যায় এবং পরবর্তী দিন ৪ মার্চ ২০১০ ইং তারিখ সকালে খাটের উপরে বিধবা
মহিলার মৃতদেহ পাওয়া যায়। এসময়ে বিধবা মহিলার মুখে, গালে, গলায় জখমের চিহ্ন পাওয়া যায়।
এরই প্রেক্ষিতে ঐ দিনই মৃত বিধবা মহিলা মেয়ে বাদী হয়ে কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানায়
একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে উক্ত হত্যাকান্ডের বিচারকার্য শুরু হলে ঘটনার
সাথে জড়িত আসামী আল আমিন দীর্ঘদিন যাবত পলাতক অবস্থায় থাকে এবং তার অনুপস্থিতিতেই বিচারকার্য
শেষে বিজ্ঞ আদালত তার নামে মৃত্যুদন্ডের সাজা পরোয়ানা জারি করেন।
এরই ভিত্তিতে ১২ জুন রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়নগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানাধীন
পবনকল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী আল আমিনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী হলো: কুমিল্লা জেলার
দেবিদ্বার থানাধীন ডিংলা বাড়ী এলাকার সাজু মিয়ার ছেলে আল আমিন (৩৪)।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত আসামী আল
আমিন (৩৪) উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে তার নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। এছাড়াও হত্যাকান্ডের
পর হতে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক বিচারকার্য শেষ হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন সময় নিজের গ্রেফতার
এড়াতে সে বিভিন্ন জায়গায় আত্নগোপনে থাকে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে সাজা কার্যকরের
জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
নাটোরের লালপুরের হিরোইন সংরক্ষণ এবং বহনের দায়ে কবির ইসলাম (২০) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে লালপুর আমলি আদালতে এই রায় ঘোষণা করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এ এফ এম মারুফ চৌধুরী। কবির ইসলাম রাজশাহী জেলার মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ গ্রামের মোনতাজ আলীর ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের একটি আভিযানিক দল ২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর লালপুর উপজেলার তিলকপুর বাজারে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান কালে কবির ইসলামকে সন্দেহ হলে তার দেহ তল্লাশি করা হয়। দেহ তল্লাশির পর তার জুতার ভেতর থেকে ২২০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় র্যাব বাদি হয়ে লালপুর থানায় উপস্থিত হয়ে কবির ইসলামের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের দুই বছর পর সাক্ষ্য গ্রহণ এবং শুনানি শেষে মামলার একমাত্র আসামি কবির ইসলামের উপস্থিতিতে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ডাদেশ দেওয়া হয়। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন আদালত।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে হারুন অর রশিদ (৩৬) নামে এক শিক্ষককে অপহরণ করে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার শ্বশুরসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪।
রোববার (৯ জুন) মধ্যরাতে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার (১০ জুন) দুপুরে র্যাব-৪, সিপিসি- ২ এর কোম্পানি কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান ঘটনাটির বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো: শাহজাদপুর থানার বড়মহারাজপুর গ্রামের তার শ্বশুর ফখরুল মোল্লা, একই জেলার মো. ইদ্রিস মোল্লা (৪০) ও মো. মুকুল মোল্লা (৪৬)।
হত্যার শিকার হারুন অর রশিদ শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের হরিনাথপুর গ্রামের গাজী মো. আলাউদ্দিনের ছেলে।পাবনার আমিনপুর থানাধীন রতনগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ছিলেন হত্যার শিকার হারুন অর রশিদ।
র্যাব-৪ জানায়, দাম্পত্য জীবনে স্ত্রী রেখা খাতুন পরকীয়ায় লিপ্ত থাকায় তালাক দেন শিক্ষক হারুন অর রশিদ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলার বড় মহারাজপুর গ্রামের হারুন অর রশিদ এর শ্বশুর ফখরুল মোল্লা, চাচা শ্বশুর দুলাল মোল্লা ও ইউপি সদস্য হাশেমের নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে হারুন অর রশিদকে পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর দিন নিহতের বাবা গাজী আলাউদ্দিন বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে সংশ্লিষ্ট থানায় হত্যা মামলা করেন।
র্যাব-৪, সিপিসি- ২ এর কোম্পানি কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান বলেন, শিক্ষক হারুন অর রশিদকে পিটিয়ে হত্যার পর আসামিরা পলাতক ছিল। দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরির সময় গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে রোববার (৯ জুন) মধ্যরাতে আশুলিয়ার ডেইরি গেট বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন