মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন সরকারি এবং বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে।
আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অনলাইন আবেদন ফরম পূরণের সময়সীমা ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
গত ২৪ অক্টোবর শুরু হয়ে ১৪ নভেম্বর আবেদনের শেষ সময় ছিল।
আবেদন ফরম পূরণের পর রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদন ফি জমা দেওয়া যাবে।
মন্তব্য করুন
নির্বাচনে নৌকা প্রতীক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আওয়ামী নেতাদের জয়-পরাজয়ের কষ্ট ভুলে আবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভায় এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামীলীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে এ যৌথসভা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা নির্বাচন করেছি সবার সঙ্গে। হয়তো কেউ হেরেছি অথবা কেউ জিতেছি, কষ্ট আছে কারো, কারো আনন্দ আছে। কিন্তু ওই আনন্দ-দুঃখ-কষ্ট-হাসি-কান্না সব মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে আবার এক হয়ে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে, জনগণের স্বার্থে জনগণের কল্যাণে মানুষের জন্য। মানুষের যে আস্থা-বিশ্বাস আমরা অর্জন করেছি, সেটা যেন কোনোভাবে হারিয়ে না যায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দলটা সবচেয়ে বড়। সংগঠন যদি পাশে না থাকে তো, কোনো অর্জন করা সম্ভব হয় না। প্রতিটা সাফল্যের পেছনে একটা শক্তি দরকার। আমার শক্তি বাংলাদেশের জনগণ, আওয়ামীলীগ ও আমাদের সহযোগী সংগঠনগুলো।
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনটা যাতে না হয়, সে জন্য অনেক চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র ছিল। ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আমরা নির্বাচন করেছি। আমরা নির্বাচনে সবসময় মনোনয়ন দিই, মনোনয়ন দিয়েছি। আমাদের বড় দল, অনেকেই নির্বাচন করতে চায়, সেজন্য নির্বাচনটা উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। যে-যারা করতে চায়, করুক।
নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা নির্বাচন করেছে, কেউ জয়ী হয়েছে, কেউ পারেনি। সেক্ষেত্রে আমি সবাইকে অনুরোধ করব, একজন আরেকজনকে দোষারোপ করা, কার কী অপরাধ সেগুলো খুঁজে বেড়ানো বন্ধ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দল ছাড়া আরও কয়েকটি দল অংশ নিয়েছে। আমরা জনগণের যে সমর্থন পেয়েছি, সেটা কাজের স্বীকৃতি হিসেবে। দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছি, ভোট দিয়েছে, আমাদের জয়ী করেছে।
নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সজাগ থাকতে হবে। অগ্নিসন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ করে যারা রেলগাড়িতে মা-শিশুসন্তানকে পুড়িয়ে মারে, যারা বাসে আগুন মানুষ মারে, ওই অগ্নি সন্ত্রাসীদের বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। তাদের মিথ্যাচার, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার জন্য শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) পাঠানো অভিনন্দন বার্তায় শি জিনপিং উল্লেখ করেন, চীন ও বাংলাদেশ দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের প্রতিবেশী।
কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে বিগত ৪৯ বছরে দুই দেশ সর্বদা একে অপরকে সম্মান করেছে, একে অপরের সঙ্গে সমান আচরণ করেছে, পারস্পরিক সুবিধার ক্ষেত্রে উইন উইন ফলাফল অর্জন করেছে।
চীন ও বাংলাদেশ একে অপরের মূল স্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে একে অপরকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে এবং যৌথভাবে প্রতিটি দেশের উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবনের কাজ করে, যা দুই দেশের জনগণের জন্য বাস্তব সুবিধা নিয়ে আসে।
মন্তব্য করুন
সোমবার (১৩ মে) সকালে গণভবনে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ।
এসময় হজযাত্রীদের সবাই যাতে
পবিত্র হজ পালন করতে পারেন সে জন্য ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়াতে সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান
জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে
প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম তাকে (প্রধানমন্ত্রী) উদ্ধৃত করে বলেন,
সৌদি আরবের উচিত হজযাত্রীদের জন্য ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানো, যাতে তারা পবিত্র হজ
পালন করতে পারেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর বিষয়টি উত্থাপন করেছেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, যেসব হজযাত্রী
এখনো হজ পালনের জন্য ভিসা পাননি তাদের ভিসা দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছেন তিনি। বিভিন্ন জটিলতায়
সৌদি আরব থেকে এখনও ভিসা পাননি ১০ হাজারের বেশি হজযাত্রী।
সৌদি রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে
কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নে তার দেশের বিনিয়োগকারী ও কোম্পানির আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং
সে সব প্রকল্পের একটি তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, যাচাই-বাছাই
এবং পরীক্ষা শেষে বাংলাদেশ পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে এবং এ প্রসঙ্গে তিনি তাকে আশ্বস্ত
করেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।
সৌদি রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, তার দেশে প্রায় ৩২ লাখ বাংলাদেশি রয়েছেন যারা বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন।
প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবে
বসবাসরত বাংলাদেশিদের বৈধ পন্থায় ঢাকায় রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করার পদক্ষেপ নেওয়ার
জন্য রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি
শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, অ্যাম্বাসেডর এ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন
এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
শনিবার
(২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে
উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন
দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী-এমপির
নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী
বলেন, নিকটজনেরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী
প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া
হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
তিনি
বলেন,আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই
নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি
গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে।
নির্দেশনা
দেওয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের
তারিখ শেষ হউক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে।
সংবাদ
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ,
আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন,
সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান
গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কিছু দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে বলা হচ্ছে যে, নির্বাচন হয়েছে ঠিক, কিন্তু অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। তাদের দেখাতে হবে কোথায় সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। আমরা তো এতটুকু বলতে পারি, নির্বাচন অত্যন্ত অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে হয়েছে।
আজ শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ৮১টা সংস্কার প্রস্তাব কার্যকর করে নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করে দিয়েছি। নির্বাচন কমিশন যাতে নিরপেক্ষ কাজ করতে পারে, সে ব্যবস্থা করেছি। এই সাহস আওয়ামী লীগেরই আছে। যার কারণে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। সব বাহিনী নিরপেক্ষভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেছে।
দেশি-বিদেশি একটি পক্ষ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকে চেয়েছে, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু না হোক, তাতে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে এবং স্যাংশনস দেওয়া যাবে। স্যাংশনস নিয়ে আমি বলেছিলাম, আমরাও স্যাংশনস দিতে পারি। না জেনে বলি নাই। আমি স্যাংশনসের সব জানি বলেই বলেছি।
বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারে যাতে না আসতে পারে, বারবার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। জনগণ আমাদের শক্তি, তারা চেয়েছে বলেই এসেছি। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ আমাদের শক্তি। এই দলটির নেতাকর্মীদের ত্যাগের বিনিময়ে নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজ আমরা এখানে।
বারবার নির্বাচন নিয়ে চক্রান্ত হয়েছে। সব চক্রান্ত মোকাবিলা করে আমরা ক্ষমতায় এসেছি। ২০১৪ সালে চেষ্টা করেছে, নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। ২০১৮ সালেও এসে আবার পরাজয় জেনে সরে গেছে। নির্বাচন যেন না হয়, সে অপচেষ্টা করেছে। এবারও বানচাল করার চেষ্টা করেছে। এখনো লম্ফঝম্প করছে। কিন্তু কোনো লাভ হবে না। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে।
সভায় সূচনা বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শোক প্রস্তাব পাঠ করেন দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
এতে অংশ নেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, জেলা, মহানগর ও উপজেলা, থানা, পৌর (জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা) আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় সংসদের দলীয় ও স্বতন্ত্র সদস্য, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার দলীয় মেয়র এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
মন্তব্য করুন
ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক ৪ দিনের সফরে আগামীকাল সোমবার ঢাকায় আসছেন।
সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল ১০টায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাজার পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
এ সময় রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও ফার্স্ট লেডি গান স্যালুট ও গার্ড অব অনার দিয়ে রাজাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যাবেন রাজা ওয়াংচুক।
এসময় সোমবার বিকেলে ভুটানের রাজা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করবেন এবং তাদের দুজনের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বৈঠকের পর দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ রাজার সঙ্গে তার অবস্থানকালীন আবাসস্থলে সাক্ষাৎ করবেন।
মঙ্গলবার রাজা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করবেন। সেসময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাজা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
পরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করবেন ভুটানের রাজা। এরপর তিনি বঙ্গভবন পরিদর্শন করবেন, সেখানে রাষ্ট্রপতি ও ফার্স্ট লেডি তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজা। রাষ্ট্রপতি সফররত রাজপরিবারের সম্মানে ইফতার ও নৈশভোজের আয়োজন করবেন।
বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে ভুটানের রানী জেটসুন পেমা ওয়াংচুক ও ভুটানের নির্বাচিত প্রতিনিধি দলের সদস্যরা একটি বিশেষ ফ্লাইটে ভুটানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বিমানবন্দরে তাদের বিদায় জানাবেন।
ভুটানের রাজা পদ্মা সেতু ও বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ পরিদর্শন করবেন। বৃহস্পতিবার রাজা কুড়িগ্রামের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে সোনাহাট স্থলবন্দর হয়ে আসামের গোলকগঞ্জের উদ্দেশে বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী তাকে বিদায় জানাবেন।
মন্তব্য করুন
মিয়ানমার থেকে কেউ বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, ‘সীমান্ত ক্রস করে মিয়ানমার থেকে আর কাউকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরীর কাজ করছে।’
(১৩ ফেব্রুয়ারি)মঙ্গলবার দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে হাইওয়ে পুলিশের ‘সেবা সপ্তাহ-২০২৪’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারের চারদিকেই যুদ্ধ লেগে আছে। বাংলাদেশ সীমানায় আরাকার আর্মির সঙ্গে তাদের বাহিনীর যুদ্ধ চলছে। আমরা দেখছি তাদের এই যুদ্ধ এতটাই তীব্র হয়েছে যে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি), সরকারি কর্মকর্তা, ধারণা করছি দু-একজন সেনা সদস্য আমাদের এখানে ঢুকে পড়েছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ অস্ত্র নিয়ে এসেছেন, কেউ বা অস্ত্র ছাড়া।তবে তাঁরা এসেছেন জীবন রক্ষার জন্য, যুদ্ধের জন্য আসেননি।’
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা তাদের অস্ত্রগুলো রেখে আটক অবস্থায় আমাদের এখানে রেখেছে। তাদের মধ্যে যারা আহত, তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা তাদের ফেরত নিতে জানিয়েছি।
তারা অতি শিগগিরই জাহাজে করে যাবে বলে বার্তা পাঠিয়েছে। আশা করছি, দুই-এক দিনের মধ্যেই তাদের সদস্যদের তারা ফেরত নিয়ে যাবে। আমাদের সঙ্গে তাদের কোনো কনফ্লিক্ট নেই, কোনো ধরনের যুদ্ধ নেই, তারা আত্মরক্ষার্থে এখানে এসেছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছি, এমনিতেই ১২ লাখ রোহিঙ্গা আমাদের এখানে রয়েছে। রোহিঙ্গা বা অন্য কেউ যে-ই আসুক, মিয়ানমার থেকে আমরা কাউকে আর এখানে সেটেল হতে দেব না।
যারা আত্মরক্ষার্থে এখানে আসছে তাদের নিয়ে যেতে সে দেশের সরকারকে বলেছি। তারা নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের বিজিবি, পুলিশ, কোস্ট গার্ড সবাই অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করছে। সেখানে যুদ্ধ হচ্ছে, এ সীমানায় তাদের কেউ আসবে বলে মনে হচ্ছে না। তার পরও যদি আসে আমাদের এখানে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।’
বিজিপি সদস্য যাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের ওপর আক্রমণে তাঁদের কেউ জড়িত ছিলেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো লিস্ট নেই। তবে আমরা সে সময় দেখেছি মাইলের পর মাইল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, নদীতে মরদেহ ভেসে আসতে দেখেছি। সেখানে যে গণহত্যা হতো আমরা দেখেছি সেই সময় তাদের আর্মি দাঁড়ানো ছিল। তবে তারাই গণহত্যা করেছে কি না জানি না। আন্তর্জাতিক আদালতে এটার বিচার চলছে।’
মন্তব্য করুন
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগদান উপলক্ষে জার্মানি সফর শেষে দেশে
ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানা
চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটি ছিল
তার ১ম বিদেশ সফর।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা
১১ টায় বিমান বাংলাদেশ
এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর
আগে তিনি স্থানীয় সময়
রাত ৯ টা ৮
মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে মিউনিখ ছাড়েন।
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে গত
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জার্মানি
যান প্রধানমন্ত্রী। ১৬
ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে
যাওয়া মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্স ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত
চলে। এতে বিশ্বের বিভিন্ন
দেশের শীর্ষ নেতারা যোগ দিয়েছেন।
৬০তম মিউনিখ নিরাপত্তা
সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মানির
চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ, ডেনমার্কের
প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডেরিকসেন ও
নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট
ভলোদিমির জেলোনস্কিসহ কয়েকজন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান,
বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এক টুইটে (এক্স হ্যান্ডেলে) তিনি এই শুভেচ্ছা জানান।
টুইটে মোদি লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছি এবং সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো ঐতিহাসিক বিজয়ের জন্য তাকে অভিনন্দন জানিয়েছি। নির্বাচন সফলভাবে পরিচালনার জন্য আমি বাংলাদেশের জনগণকেও অভিনন্দন জানাই। আমরা বাংলাদেশের সাথে আমাদের স্থায়ী এবং জনকেন্দ্রিক অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এর আগে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নরেন্দ্র মোদির একটি অভিনন্দন বার্তা পৌঁছে দেন।
বাংলাদেশ সরকারের নতুন মেয়াদে সার্বিক উন্নয়নে দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ভারতীয় হাইকমিশনার। সেই সাথে স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে ভারত সরকার তার সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলেও প্রতিশ্রুতির কথা জানান ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা।
মন্তব্য করুন
৪ দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শুরু হয়েছে। আজ রবিবার(৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সম্মেলনটি শুরু হয়, যা শেষ হবে আগামী বুধবার(৬ মার্চ)। সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই বার সম্মেলনের আলোচ্য সূচিতে থাকছে ৩৫৬টি প্রস্তাব। আলোচনায় গুরুত্ব পাবে ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম জোরদারকরণ।
সম্মেলনে মোট অধিবেশন ৩০টি। কার্য-অধিবেশন ২৫টি (একটি উদ্বোধন অনুষ্ঠান, একটি স্পিকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় এবং একটি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও সদয় নির্দেশনা গ্রহণ এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা একটি।
তাছাড়া অংশগ্রহণকারী কার্যালয় একটি (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়)। একই সঙ্গে ৫৬টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ, কার্যালয় ও সংস্থা সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রায় ৩৫৬টি প্রস্তাবনা জমা পড়েছে।
প্রাপ্ত প্রস্তাবগুলোর জনসেবা বৃদ্ধি, জনদুর্ভোগ হ্রাস করা, পর্যটনের বিকাশ, আইন-কানুন বা বিধিমালা সংশোধন, রাস্তাঘাট ও ব্রিজ নির্মাণ, জনস্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বলেছেন, এবারের ডিসি সম্মেলন ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ৪ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে। গত সম্মেলন ৩ দিনব্যাপী ছিল। স্পিকার ও বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে জেলা প্রশাসকরা সৌজন্য সাক্ষাৎ, সদয় নির্দেশনা গ্রহণ ও মতবিনিময় করবেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং সামরিক-বেসামরিক সমন্বয় বিষয়ক অধিবেশন সংযুক্ত করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন