বুধবার (২৮ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির জুন ২০২৪ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প দুর্নীতি এবং অনিয়মের আখড়া বলেই জনমনে ধারণা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
তথ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, জনগণ এই ধারণা পোষণ করে কারণ উন্নয়ন প্রকল্পগুলো নিয়েই সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ আসে। উন্নয়ন প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে নির্দেশনা দেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, অনেকগুলো প্রকল্প নির্ধারিত সময় শেষ হয়নি যার নানা কারণ থাকতে পারে কিন্তু এটা ভালো বার্তা দেয় না। সেজন্য গৃহীত প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করার অনুরোধ করেছেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, আপনারা সকলেই এই বিষয়ে সচেতন থাকবেন যাতে প্রকল্পের কাজে স্বচ্ছতা থাকে এবং কোনো অভিযোগ না আসে। বিভিন্ন সময়ে কিছু অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পের কথা শোনা যায়, যেগুলো মূলত দুর্নীতি করার জন্যই নেওয়া হয়। এই ধরনের কোনো প্রকল্প যেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে না নেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন
আজ রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
সভায় ৩৯ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা ব্যয় সংবলিত ৪৪ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান সভায় ৩৬ টি এবং টেবিলে ৯টি প্রকল্প উপস্থাপিত হয়। এর মধ্যে ১টি ফিরিয়ে দেওয়া হয়।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা সচিব সত্যজিৎ কর্মকার ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা।
অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পগুলো হলো-শেরেবাংলা নগর প্রশাসনিক এলাকায় বহুতল সরকারি অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্প; তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ১২৩টি ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প; চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর অর্থনৈতিক অঞ্চলের সঙ্গে লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও ফেনী জেলার সংযোগকারী সড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ প্রকল্প।
ইলিয়টগঞ্জ-মুরাদনগর-রামচন্দ্রপুর-বাঞ্ছারামপুর জেলা মহাসড়কটি যথাযথ মানে ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প; রাজউক পূর্বাচল ৩০০ ফুট মহাসড়ক হতে মাদানী এভিনিউ সিলেট মহাসড়ক পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প; সাতক্ষীরা-সখিপুর-কালীগঞ্জ মহাসড়ক এবং কালীগঞ্জ-শ্যামনগর-ভেটখালী মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ প্রকল্প; চার লেনে উন্নীত ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের (এন-১) (দাউদকান্দি-চট্টগ্রাম অংশ) চার বছরের জন্য পারফরম্যান্স-বেজড অপারেশন ও দৃঢ়করণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; ভাঙ্গা-যশোর-বেনাপোল মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর প্রকল্প; গাবতলী সিটি পল্লীতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ক্লিনারবাসীদের জন্য বহুতলা বিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্প; ঢাকা পানি সরবরাহ নেটওয়ার্ক উন্নয়ন (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প; বর্ধিত ঢাকা পানি সরবরাহ রেজিলিয়েন্স প্রকল্প; ঢাকা স্যানিটেশন উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প।
বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভিন্ন রাস্তা উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্প; বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অধিকতর উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (আরএমইউ) স্থাপন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; মুগদা মেডিকেল কলেজের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ এবং আনুষঙ্গিক সুবিধা সম্প্রসারণ প্রকল্প; সাপোর্টিং ইমপ্লিমেন্টেশন অব দ্য মাদার অ্যান্ড চাইল্ড বেনিফিট প্রোগ্রাম প্রকল্প; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, উন্নয়ন এবং আনুষঙ্গিক কাজ বাস্তবায়ন প্রকল্প; আইসিটি শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণের জন্য নেকটারের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম প্রকল্প; উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্প; ইমপ্রুভমেন্ট অব আরবান পাবলিক হেলথ প্রিভেনটিভ সার্ভিসেস প্রজেক্ট; যমুনা নদী টেকসই ব্যবস্থাপনা প্রকল্প-১ দুর্যোগ ঝুঁকি অর্থায়ন (কম্পোনেন্ট ৩) প্রকল্প; মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চল-৩ এর গ্যাস, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প; যশোর রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা প্রকল্প।
সুগন্ধা নদীর ভাঙ্গন হতে ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলা ও নলছিটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা রক্ষা প্রকল্প; সমগ্র দেশে শহর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ (দ্বিতীয় পর্ব) প্রকল্প; প্রাণী সম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্প; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, মৌলভীবাজার (প্রথম পর্যায়) প্রকল্প; মেহেরপুর সদরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন ও দেশের মধ্য পশ্চিমাঞ্চলের পরিবেশ-প্রতিবেশ উপযোগী গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণ প্রকল্প; বঙ্গবন্ধু পিয়েরে এলিয়ট ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্র স্থাপন এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণায় সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্প; পার্বত্য চট্টগ্রাম পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প; মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প।
মন্তব্য করুন
প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা সেবা শুরু হয়েছে। চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে এ দীর্ঘসময় সেবা বন্ধ ছিলো ।
চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় তাই হাসপাতালে সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হয়।
চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় হাসপাতালে ২ প্লাটুন বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। হাসপাতালে আসা রোগীদের সঙ্গে দুইজন প্রবেশ করতে পারবেন। নিরাপত্তার স্বার্থে হাসপাতালে আসা রোগীর স্বজন ও দর্শনার্থীদের তল্লাশি করে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। লাঠি, ধারালো অস্ত্র বা জীবনহানি হয় এমন কোনো জিনিস নিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
রাতে ঢামেকের জরুরি বিভাগের সামনে গিয়ে দেখা যায়, চিকিৎসকরা হাসপাতালে আসা রোগীদের সেবা দেওয়া শুরু করেছেন। হাসপাতালে আসা রোগীরা টিকিট কেটে জরুরি বিভাগে গিয়ে ডাক্তার দেখাতে পারছেন।
জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসক জানান, শর্ত সাপেক্ষে আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে সেবা দেওয়া শুরু করেছি। আমাদের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি দাবি জানানো হয়েছে এবং মূল দাবি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসকদের মারপিট করা দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে হবে। আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি আমাদের নিরাপত্তায় হাসপাতালে সেনাবাহিনী এবং বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। আশা করব, এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন আর না ঘটে।
প্রসঙ্গত
যে, গতকাল শনিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি
অব বিজনেস টেকনোলজির (বিইউবিটি) শিক্ষার্থী আহসানুল হক দীপ্তর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে।
পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা
ঘটে। এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দোষীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেন চিকিৎসকরা।
এরই জেরে আজ দিনভর জরুরি বিভাগে চিকিৎসা সেবা দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন ঢামেকের চিকিৎসকরা।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস 'ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকার সবকিছু ধ্বংস করে গেছে' - উল্লেখ করে বলেছেন, নির্বাচনের আগে আমাদের অর্থনীতি, শাসনব্যবস্থা, আমলাতন্ত্র ও বিচারব্যবস্থায় সর্বাত্মক সংস্কার করতে হবে।
একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) প্রকাশিত হয় সাক্ষাৎকারটি।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থা, সংবিধান এবং বিচার ব্যবস্থার ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য বেশ কয়েকটি কমিশন গঠন করেছে। জানুয়ারির মধ্যে ওই কমিশনগুলোর সুপারিশ হাতে পাওয়ার পর পূর্ণাঙ্গ সংস্কার বাস্তবায়ন করার কথা জানান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। উপদেষ্টা বলেন, 'এই সংস্কার বাস্তবায়নে সময় লাগবে, কেননা ‘নতুন বাংলাদেশ’গড়তে আমরা একদম শূন্য থেকে শুরু করেছি। '
নির্বাচন ঠিক কখন হবে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, ‘নির্বাচনের সময় নির্ভর করছে সংস্কার প্রক্রিয়ার ওপর। এর ফলাফলই সময় নির্ধারণ করে দেবে। ’
সাধারণ নির্বাচনে ড. ইউনূস প্রার্থী হবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘না, আমি রাজনীতিবিদ নই। আমি সব সময়ই রাজনীতি থেকে দূরে থেকেছি।’ রাষ্ট্রের যেসব ব্যক্তি নীতি-নৈতিকতা সমুন্নত রাখেন, নিয়মকানুন মেনে চলেন এবং নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত রাখেন তাদের নির্বাচনে দাঁড়ানো উচিত বলে মনে করেন ড. ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, ‘হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে দেশের শাসনকাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে, আর গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার করে তা পুনর্গঠনের সুবিশাল কর্মযজ্ঞ আমাদের ঘাড়ে এসে পড়েছে।'
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, ‘হাসিনার শাসনামলে গণতন্ত্রের রীতিনীতি একদম ধ্বংস হয়ে গেছে। টানা তিন মেয়াদে ভোটারবিহীন ভুয়া নির্বাচন মঞ্চস্থ করেছেন হাসিনা। আর তাতে তিনি নিজেকে এবং তার দলকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করেছেন। একজন ফ্যাসিবাদী শাসক হিসেবে এসব করেছেন হাসিনা।'
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, 'এ বছরের আগস্টে ছাত্র নেতৃত্বাধীন সরকারি চাকরিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কয়েকশ শিক্ষার্থী নিহত হন। এরপরই শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন হাসিনার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। শেষ পর্যন্ত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে হাসিনার ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। তিনি হেলিকপ্টারে চড়ে ভারতে পালিয়ে যান। অক্টোবরে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা এবং তার বেশ কয়েকজন সহযোগীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। ’
বিচারিক কার্যক্রম শেষে রায় হলে হাসিনার প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে ভারতকে অবহিত করা হবে বলে জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, ‘বিচার শেষে তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত রায় এলে আমরা ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হাসিনাকে হস্তান্তরের অনুরোধ জানাব। এক্ষেত্রে উভয় দেশের স্বাক্ষরিত একটি আন্তর্জাতিক আইনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত এ আইন মানে কাজ করতে বাধ্য হবে।’
কূটনীতিক ফ্রন্টে বাংলাদেশের ভারতের সঙ্গে শক্তিশালী ও সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা উচিত। এক্ষেত্রে ড. ইউনূস দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার প্রস্তাব করেছেন। ভারত ও পাকিস্তানের বৈরী সম্পর্কের ফলে সার্ক কার্যত নিষ্ক্রিয় রয়েছে। সার্কের লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর মতো নিজেদের মধ্যে চলাফেরার স্বাধীনতা, আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য উৎসাহিত করা। সার্কের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে ভারতকে পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা নিরসনের আহ্বান জানান ড. ইউনূস।
এদিকে হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে ভারত। তাদের দাবি বাংলাদেশে হিন্দুদের ঘরবাড়ি, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও মন্দিরে ‘হামলা’ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকাকে অবশ্যই হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে বলে জোর দিয়েছে দিল্লি। তবে ভারত সরকারের এসব ঢালাও বক্তব্য নাকচ করে দেন ড. ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, ‘সংখ্যালঘু ইস্যুতে যা বলা হচ্ছে তার বেশির ভাগই প্রোপাগান্ডা। ’ এগুলো সঠিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বলা হচ্ছে না বলে পাল্টা অভিযোগ করেন ড. ইউনূস। তিনি ভারতীয় সাংবাদিকদের বাংলাদেশে এসে তদন্তসাপেক্ষে সঠিক তথ্য তুলে ধরার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমরা এসব অপ-তথ্যের বিরুদ্ধে ভারত সরকারকে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য কাজ করছি।
অন্য আঞ্চলিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইউনূস চীনকে 'আমাদের বন্ধু' বলে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, সড়ক ও বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ থেকে শুরু করে সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত তারা আমাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ বেইজিংয়ের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর সংস্থা- আসিয়ানে বাংলাদেশের যোগ দেওয়ার বিষয়ে জোর দেন ড. ইউনূস। বাংলাদেশ আসিয়ানে যোগ দেয়াকে একটি প্রতিশ্রুতিশীল সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করতে চায়। কারণ বাংলাদেশ বিশেষ করে ২০২৬ সালে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে, এরপর বাংলাদেশ আর অগ্রাধিকারভিত্তিক শুল্ক সুবিধা পাবে না।
মালয়েশিয়া আগামী জানুয়ারি থেকে আসিয়ানের সভাপতি হতে যাচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ড. ইউনূস বলেন, তিনি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে বাংলাদেশের সদস্যপদ নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি বাংলাদেশকে আসিয়ানে স্বাগত জানাতে তার সদিচ্ছার কথা ব্যক্ত করেছেন। তবে এক্ষেত্রে বেশ কিছু ধাপ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের আসিয়ানে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপটি হবে আসিয়ানের সংজ্ঞা সংশোধনে একটি সর্বসম্মত রেজোল্যুশন নিশ্চিত করা। এর আগে আমরা আসিয়ানের একটি সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে স্বীকৃতি অর্জনের আশা করছি। আসিয়ানের সদস্য দেশগুলো বাংলাদেশের এই প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ড. ইউনূস।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তার দমন-পীড়ন থেকে বাঁচতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া বিপুল সংখ্যক রাষ্ট্রবিহীন ও নাগরিকত্বের প্রাধিকার-বঞ্চিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'এই দায় (রোহিঙ্গা) বাংলাদেশ কতদিন বহন করবে? রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আমাদের একটি সুস্পষ্ট গন্তব্য ও একটি অভিন্ন লক্ষ্য ঠিক করা দরকার। '
বাংলাদেশ মিয়ানমারে জাতিসংঘ-শাসিত একটি নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পক্ষে প্রচার চালাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, এতে করে এই বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা তাদের দেশেই আশ্রয়-শিবিরে থাকতে পারবে। সেখানকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে তাদের অন্য কোনো দেশে স্থানান্তর করার প্রয়োজন হবে না, তারা তাদের নিজেদের বাড়িঘরে ফিরে যেতে পারবে বলে উল্লেখ করেন মুহাম্মদ ইউনূস।
মন্তব্য করুন
প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ (১৪ নভেম্বর) বলেছেন, তাঁর সরকার দেশের তৈরি
খাতে আরও বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ করার প্রয়াসে শ্রম খাতে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করবে।
এখানে
প্রাপ্ত এক খবরে বলা হয়েছে, আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ-২৯ বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনের
ফাঁকে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র
সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশের
সাম্প্রতিক অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করার সময় অধ্যাপক ইউনূস তাকে বলেন, ‘শ্রম ইস্যুটি আমাদের
সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের অন্যতম এবং আমরা সকল শ্রম সমস্যার সমাধান করতে চাই।’
থেরেসা
মে বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রম ইস্যুতে কাজ করার ইচ্ছাও ব্যক্ত করেন। তিনি প্রধান উপদেষ্টার
সঙ্গে মানব পাচার ও অভিবাসন ইস্যু নিয়েও আলোচনা করেন।
অধ্যাপক
ইউনূস আইনি মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে অভিবাসন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, এটি
ঝুঁকি ও অনিয়মিত অভিবাসন কমিয়ে দেবে এবং মানব পাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ
করবে।
অধ্যাপক
ইউনূস থেরেসা মেকে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সময় বাংলাদেশী তরুণদের আঁকা গ্রাফিতি ও ম্যুরাল
বিষয়ক বই আর্ট অফ ট্রায়াম্ফের একটি অনুলিপি উপহার দেন।
এ
সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব ও মুখ্য
সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, তুরস্ক এবং আজারবাইজানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আনামুল
হক উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৯তম অধিবেশন এবং অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের
বৈঠকে যোগদানের জন্য তাঁর চার দিনের যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষ করে আজ ভোরে দেশে ফিরেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা এবং তাঁর সফরসঙ্গীদের
বহনকারী কাতার এয়ারওয়েজের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট ভোর ৩টা ৩২ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে
এসে পৌঁছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল
আলম এ তথ্য জানান।
এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় (নিউইয়র্ক
সময়) ফ্লাইটটি নিউইয়র্কের জেকেএফ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা দেয়।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস মার্কিন প্রেসিডেন্ট
জো বাইডেনসহ ১২টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানের
সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সাইডলাইনে ৪০টি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন।
প্রধান উপদেষ্টা নিউইয়র্ক সময় শুক্রবার
(২৭ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেয়া ছাড়াও ২৪ সেপ্টেম্বর মার্কিন
প্রেসিডেন্ট জোসেফ আর বাইডেনের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
এছাড়া তিনি অন্যান্যের মধ্যে জাতিসংঘ
মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
শেহবাজ শরীফ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি এবং নেদারল্যান্ডস’র প্রধানমন্ত্রী ডিক শুফের সাথে দ্বিপাক্ষিক
বৈঠক করেন।
নিউইয়র্ক অবস্থানকালে প্রধান উপদেষ্টার
সঙ্গে অন্যান্যের মধ্যে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট
উরসুলা ভন ডের লেয়েন, জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক, মার্কিন পররাষ্ট্র
মন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিঙ্কেন, জাতিসংঘের হাইকমিশনারের শরণার্থী বিষয়ক কমিশনার ফিলিপ্পো
গ্র্যান্ডি, বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট অজয় বঙ্গ ও ইউএসএইডের প্রশাসক সামান্থা
পাওয়ার সাক্ষাত করেন।
প্রধান উপদেষ্টা নিউইয়র্কে জাতিসংঘ
সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেন।
তিনি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম
অধিবেশনে যোগ দিতে ২৩শে সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক পৌঁছান।
মন্তব্য করুন
পবিত্র রমজান মাসে সিন্ডিকেট
করে বাজার অস্থিতিশীল না করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল
(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ।
রোববার (২ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর
মিরপুর ১৪ পুলিশ লাইনসে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট ঘুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে
তিনি বলেছেন, যারা অস্থিতিশীল করবে তাদের বিরুদ্ধেই কঠোর হবে সরকার।
পাশাপাশি রমজান মাসে সবাইকে
সংযত থাকার আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গেল বছরের তুলনায় বাজার স্থিতিশীল,
অস্থির যাতে না হয় সেদিকে নজর আছে সরকারের।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৭টি দেশের রাষ্ট্রদূতের বৈঠকে চলছে।
আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে তেজগাঁও কার্যালয়ে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার বৈঠক চলছে।
এ বৈঠকে সমসাময়িক ইস্যু ও অর্থনৈতিক খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সম্ভাব্য অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
মন্তব্য করুন
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের নেতৃত্বে আগামীর বাংলাদেশ হবে সুশাসন ও ন্যায়বিচার ভিত্তিক।
আজ শনিবার যশোর পিটিআই মিলনায়তনে আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি বলেন, পুলিশকে তদন্তের সময় সতর্কতা অবলম্বন
করতে হবে। যাতে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি শাস্তি না পায়।
বিচারকদের উদ্দেশে এ সময় তিনি বলেন, জামিন দেওয়ার একচ্ছত্র অধিকার
আপনাদের নেই। নতুন বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণির সভাপতিত্বে
কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম পুলিশ,
প্রশাসন ও বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, এ রাষ্ট্র ট্রান্সফরমেশনের
মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আগামীর বাংলাদেশে কোনো ব্যক্তির কাছে নয়, আপনারা আইন ও
সংবিধানের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন। আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে কাদের পক্ষে
দাঁড়াবেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির
হায়দার, সিআইডির অতিরিক্ত আইজি মতিউর রহমান শেখ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
অতিরিক্ত সচিব আতাউর রহমান খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালায় খুলনা ও বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ও ১৬ জেলার
জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনার, জেলা ও দায়রা জজ, সিনিয়র জুডিশিয়াল
ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পাবলিক প্রসিকিউটর,
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ৩২০ কর্মকর্তা
অংশ নেন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে
প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচনের আয়োজন করা হবে বলে কূটনীতিকদের জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এজন্য বন্ধু রাষ্ট্র ও সংস্থাগুলোর পূর্ণ
সমর্থন চেয়েছেন।
রোববার
(১৮ আগস্ট) দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত,
হাইকমিশনারসহ জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রধানদের ব্রিফ করেন ড. ইউনূস। পরে প্রধান
উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি
বলেন, বাংলাদেশে যে দূতাবাসগুলো আছে তার রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘের যেসব সংস্থার প্রধান
এখানে আছেন তাদের সঙ্গে প্রথমবারের মতো প্রধান উপদেষ্টা বৈঠক করেছেন। বৈঠকে তিনি সবাইকে
ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি সবার পূর্ণ সমর্থন চেয়েছেন।
প্রেস
সচিব আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন- এটা দ্বিতীয় রেভ্যুলেশন ছিল। এখানে এত মানুষের
সম্পৃক্ততা ছিল যে তিনি বলেছেন ১৯৭১ সালে যদি প্রথম রেভ্যুলেশন হয় এটা দ্বিতীয় রেভ্যুলেশন।
তার বার্তা ছিল দ্রুত অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করা। উনি নির্বাচনটি
তখনই করবেন যখন প্রয়োজনীয় সংস্কার করা যায়। বিচার বিভাগ, সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন,
সিকিউরিটি ফোর্স, মিডিয়া- সব কিছুতে সংস্কার চিহ্নিত করে বাস্তবায়ন করে যত দ্রুত নির্বাচন
দেওয়া যায় সেটি তার লক্ষ্য। তিনি বলেছেন এখন প্রধান কাজ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা। সেটি অনেকটা
স্বাভাবিক হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাক টিকিট অবমুক্ত করেছেন।
একই সঙ্গে ১০ টাকা মূল্যমানের উদ্বোধনী খাম ও ৫ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটাকার্ডও অবমুক্ত করেন তিনি।
আজ রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এগুলো অবমুক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান ও ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এস.এম. শাহাবুদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম প্রধান উপদেষ্টাকে একটি স্মারক ডাক বাক্স ও ‘ন্যাচারাল বিউটি অ্যান্ড ওয়াইল্ড লাইফ’শীর্ষক একট বই উপহার দেন।
মন্তব্য করুন