আজ সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকা ছাড়েন।
তিনি সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন।
ওবায়দুল কাদের এর স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ২৫ জানুয়ারি ঢাকা ফেরার কথা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) গণভবনে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণই আমার পরিবার। বাংলাদেশের জনগণই আমার আপনজন। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনে বুকের রক্ত ঢেলে দেবো।
১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর দীর্ঘদিন নির্বাসিত জীবন শেষে ১৯৮১ সালে দেশের ফেরার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশে ফিরে আমি পেয়েছিলাম সারি সারি কবর। সেই কবরের মাটি ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, এ স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে পারে না। এ স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে দেবো না। আমার যাত্রাপথ এত সহজ ছিল না। নানা ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত চলছিল, এখনো ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত আছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বিশাল জনসভায় আমি বলেছিলাম, বাংলাদেশের জনগণই আমার পরিবার। বাংলাদেশের জনগণই আমার আপনজন। তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য যেভাবে আমার বাবা তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, যেভাবে আমার মা, আমার ভাইয়েরা জীবন দিয়ে গেছেন, আমিও আমার বুকের রক্ত ঢেলে দেবো মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য।
তিনি বলেন, আমার চলার পথ, প্রতি পদে পদে বাধা। এখনো মনে পড়ে সেই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ আমাদের কত জন জীবন দিয়েছে। কত রকম অত্যাচার হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করেই, সংগ্রাম করে আমরা ক্ষমতায় ফিরতে পেরেছি।
তিনি বলেন, কোনো জায়গা থেকেই আমরা কোনো সহযোগিতা পাইনি। আমাদের একমাত্র শক্তি মানুষের সমর্থন। মানুষের ভালোবাসাই হলো আমাদের প্রেরণা।
এই মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গণভবন মাঠে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রায় দেড় হাজার নারী অংশ নেন।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমাদের ছেলেমেয়েরা দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশেও খেলাধুলায় ভালো অর্জন করছে। যেটা স্বাধীনতার পরপরই শুরু হয়েছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেসময় রাশিয়া-ভারত এমনকি ভিয়েতনামে পর্যন্ত আমাদের যুব টিম পাঠিয়েছিলেন। তিনি প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করেছিলেন। কাজেই সেইভাবে আমাদের খেলাধুলাকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
বুধবার(৭ ফেব্রুয়ারী) ৫২তম শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মাধ্যমিক পর্যায়ে শুধু ক্রিকেট-ফুটবল না, সব ধরনের খেলাধুলার প্রতি বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। আন্ত স্কুল, আন্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতা গড়ে তোলার দরকার। এতে করে আমাদের ছেলেমেয়েদের যেমন শরীরচর্চা হবে, তেমনি তাদের মন মানসিকতা আরও সুন্দরভাবে গড়ে উঠবে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, খেলাধুলার জন্য আমাদের ছেলেমেয়েদের আরও উন্নত প্রশিক্ষণের দরকার। আমরা দেশের ৮ বিভাগেই একটি করে ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলব। যেখানে আমাদের ছেলেমেয়েরা ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলায় পারদর্শী হয়ে উঠতে পারবে।
মন্তব্য করুন
শনিবার (১১নভেম্বর) দুপুরে দোহাজারী- কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকে রেলের সাথে কক্সবাজার সংযুক্ত হলো।
দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার রেললাইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে সত্যি আমি খুব আনন্দিত।
তিনি বলেন, একটা কথা দিয়েছিলাম, কথাটা রাখলাম। বাংলাদেশের জনগণের জন্য আজকের দিনটি একটা গর্বের দিন।
মন্তব্য করুন
টানা চতুর্থবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট মাতামেলা সিরিল রামাফোসা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো এক অভিনন্দন বার্তায় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় আপনাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানোর জন্য আমাকে অনুমতি দিন।
দুই দেশের সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশের সাথে বিশেষ করে সংহতি, বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার ওপর ভিত্তি করে শক্তিশালী সম্পর্ককে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট মাতামেলা সিরিল রামাফোসা বলেন, গত আগস্টে ব্রিকস-আফ্রিকা আউটরিচ এবং ব্রিকস প্লাস ডায়ালগে আপনার উপস্থিতির কারণে এটি আরো মজবুত হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সুবিধাজনক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের আরও সম্প্রসারণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
শেখ হাসিনার অব্যহত সুস্বাস্থ্য কামনা করেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট মাতামেলা সিরিল রামাফোসা।
মন্তব্য করুন
নির্বাচন
কমিশন (ইসি) আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনভিত্তিক ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ
করছে। আইন অনুযায়ী নির্বাচনের ২৫ দিন আগে ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশের করার বিধান রয়েছে।
আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ
সরকারি মুদ্রণালয়ে ধারাবাহিকভাবে গেজেট ছাপানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা।
ইসির
অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, এবার ৪ হাজার ১০৩টি ভোটকেন্দ্রে চূড়ান্ত করা
হয়েছে।
কর্মকর্তারা
জানান, গত ৪ ডিসেম্বর থেকে ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ শুরু হয়। এটি ধারাবাহিকভাবে সম্পন্ন
করা হবে।
ইসির
উপসচিব (নির্বাচন সমন্বয় ও সহায়তা শাখা) মো. মাহবুব আলম শাহ স্বাক্ষরিত ভোটকেন্দ্রের
গেজেট সকলের জ্ঞাতার্থে প্রকাশ করছে ইসি সচিবালয়। এতে ভোটকেন্দ্রের ক্রমিক নম্বর, ভোটকেন্দ্রের
নাম ও অবস্থান, ভোটকক্ষের সংখ্যা, ভোটার এলাকা, পুরুষ, নারী, হিজড়া ভোটার এবং মোট ভোটার
সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে।
ইসির
অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল ২ হাজার
৭১৬টি। তারমধ্যে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি, যা মোট দাখিলকৃত
মনোনয়নপত্রের ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বা ২৭ শতাংশ। আর বৈধ হয়েছে ১ হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র,
যা দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ৭৩ দশমিক ০৮শতাংশ বা ৭৩ শতাংশ।
ইসি
সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৫৬১টি আপিল
আবেদন জমা পড়েছে। আর ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর শুনানি আপিল আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন
কমিশন।
ইসি
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা
প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।
আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি। এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার
৬৩৩ জন।
মন্তব্য করুন
দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে হতদরিদ্র থাকবে না।
১০ নভেম্বর শুক্রবার সকালে গণভবনে আসন্ন শীত-মৌসুমে শীতার্ত মানুষকে সহায়তায় কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণভান্ডারে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দেওয়া অনুদান গ্রহণকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।
বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি ঠিক রাখতে ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতা চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের অর্থনীতিটা যেন সঠিকভাবে চলে সেভাবে আপনারা একটু সহযোগিতা করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে এখন যেমন একটা অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়ছে, সেখানে আপনাদেরও একটু নজর দিতে হবে। আপনারা সহযোগিতা করবেন যেন আমাদের অর্থনীতি কোনো মতেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নিজেদের দেশে টাকা পয়সা থাকলে সেটা দেশের জন্যও লাভ, আর নিজেদেরও একটা নিশ্চয়তা থাকে। সেই জিনিসটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে। নিজের দেশটার দিকে আগে তাকাতে হবে। অনুরোধ করবো সেই বিষয়টার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেবেন।
দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, দারিদ্র্যের হার ৪১ ভাগ থেকে ১৮ দশমিক ৭ ভাগে নামিয়ে এনেছি। হতদরিদ্র ২৫ দশমিক ১ ভাগ ছিল সেটা আমরা ৫ দশমিক ৬ ভাগে নামিয়ে এনেছি। আগামীতে সেইটুকুও থাকবে না। দেশে হতদরিদ্র থাকবে না। একেবারে হতদরিদ্রদের বিনা পয়সায় খাবার, ওষুধ, চিকিৎসার ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। পাশাপাশি ঘরবাড়ি তৈরি করে দিচ্ছি।
মন্তব্য করুন
আগামীকাল
বিকেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিষয়ে বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিকেল ৫টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ইসি সূত্র জানিয়েছে বৈঠকের পরেই সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।
এরআগে গত ৯ নভেম্বর বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার অনুমতি নেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছিলেন, নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করতে আমরা বদ্ধপরিকর। দ্রুত সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। এছাড়া তফসিল ইস্যুতে প্রধান বিচারপতির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন সিইসি।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের রূপান্তর ঘটেছে। আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। সম্ভাবনার হাতছানি দেওয়া দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলা দুরন্ত বাংলাদেশ।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের রূপান্তর ঘটেছে। আজকের বাংলাদেশ দারিদ্র্যক্লিষ্ট, অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর বাংলাদেশ নয়। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারি, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যার সময় আমি এবং আমার ছোটবোন বিদেশে ছিলাম। সে কারণে আমরা প্রাণে বেঁচে যাই। দীর্ঘ ৬ বছর আমরা রিফিউজি হিসেবে প্রবাস জীবন কাটাতে বাধ্য হই। ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও জনগণের সমর্থন নিয়ে আমি দেশে ফিরে আসি। অবৈধভাবে ক্ষমতাসীন সরকার, জাতির পিতার হত্যাকারী ও ষড়যন্ত্রকারী এবং যুদ্ধাপরাধীদের সব রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করেই আমি দেশে ফিরে আসি। ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন থেকে ২০০১ সালের ১৫ জুলাই - এই ৫ বছর পূর্ণ করে ২৬ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরা ধান ও দানাদার শস্য উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করি। স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি গ্রহণ, বয়স্ক, বিধবা, স্বামী নিগৃহীতা ও প্রতিবন্ধী ভাতা প্রবর্তন এবং বর্গাচাষিদের বিনা জামানতে কৃষি ঋণ প্রদান করি। ২০০১ সালের ১ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাস বিক্রির প্রতিশ্রুতি দিয়ে এবং নানা চক্রান্তের ফসল হিসেবে বিএনপি-জামায়াত-জোট ক্ষমতার মসনদে আরোহণ করে। এরপরেই দেশে বিপর্যয় নেমে আসে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করে ২২ নেতা-কর্মীকে হত্যা এবং ৫০০’র বেশি মানুষকে আহত করে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে যে ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে তা হলো:
১. দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।
২.কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।
৩.আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
৪.লাভজনক কৃষির লক্ষ্যে সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা, যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি।
৫. দৃশ্যমান অবকাঠামোর সুবিধা নিয়ে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে শিল্পের প্রসার ঘটানো।
৬.ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
৭.নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা।
৮.সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় সবাইকে যুক্ত করা।
৯. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা।
১০.সাম্প্রদায়িকতা এবং সব ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধ করা।
১১.সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার ঘটানো।
মন্তব্য করুন
আজ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল।
সাক্ষাৎ সময়ে রাষ্ট্রপতিকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করেন সিইসি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচনের সময় হয়ে গেছে,কমিশন সভায় বসে সিদ্ধান্ত নেব। নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করতে আমরা বদ্ধপরিকর। দ্রুত সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।
মন্তব্য করুন
উন্নয়ন পরিকল্পনা পরিবেশবান্ধব
ও ব্যয় সাশ্রয়ী হতে হবে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে পরিকল্পনাই
হোক, সেটা হতে হবে পরিবেশবান্ধব। কারণ জলবায়ুর অভিঘাত থেকে দেশকে রক্ষা করাই আমাদের
লক্ষ্য। পাশাপাশি পরিকল্পনাগুলো যেনো টেকসই হয় এবং খরচের দিকটাও বিবেচনায় নিতে হবে।
শনিবার “Engineering and Technology for Smart
Bangladesh” - প্রতিপাদ্যে আয়োজিত ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এর ৬১তম কনভেনশনের
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তৃণমূল থেকে উন্নয়নই আওয়ামী লীগ
সরকারের মূল লক্ষ্য। তৃণমূল থেকে মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করা। তৃণমূল থেকে মানুষের
ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি সম্পদের সীমাব্ধতা মাথায় রেখে কীভাবে উন্নয়ন সচল রাখা
যায় সেদিকে প্রকৌশলীদের লক্ষ্য রাখতে হবে। এছাড়া যেকোনো প্রকল্প সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব
ও টেকসই হওয়ার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।পাশাপাশি নিজস্ব বাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
এবারের ৬১তম কনভেনশনের মূল
প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফর স্মার্ট
বাংলাদেশ’। কনভেনশনে সেমিনারের বিষয়বস্তু নির্ধারণ করা হয়েছে ‘দ্য ইঞ্জিনিয়ার্স
ফর ট্রান্সফর্মিং টেকনোলজি ড্রাইভেন স্মার্ট বাংলাদেশ।’
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
আরো বলেন, কীভাবে জ্বালানি উদ্ভাবন করতে পারি, কীভাবে আমরা স্বল্প খরচে উন্নয়নের কাজ
সচল রাখতে পারি, যোগাযোগব্যবস্থার কীভাবে আরও উন্নত করতে পারি; সেটি চিন্তা করেই প্রকল্প
নিতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে শিল্পায়নের
সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি করা, আমাদের নিজস্ব বিশাল বাজার, সেই বাজার আমাদের
সৃষ্টি করতে হবে এবং সেদিকে লক্ষ্য রেখেই পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়। এরই মধ্যে ডিজিটাল
বাংলাদেশ করা হয়েছে, এখন স্মার্ট বাংলাদেশ করা হবে।
মন্তব্য করুন