এ বছর সৌদি আরবে পৌঁছেছেন৫৮ হাজার ১২১
জন বাংলাদেশি হজযাত্রী। সৌদিতে গিয়ে আরও একজন বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (৪ জুন) হজ পোর্টালে আইটি
হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মারা যাওয়া হজযাত্রীর নাম মাকসুদ আহমেদ
(৬১)। তিনি রোববার (২ জুন) মদিনায় মারা যান। তার বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়ায়।
হজ বুলেটিন থেকে জানা গেছে, সোমবার
(৩ জুন) দিনগত রাত ৩টা পর্যন্ত সর্বমোট ৫৮ হাজার ১২১ হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।
এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৪
হাজার ৩৭৪ জন।
গত ৯ মে হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার
প্রথম ফ্লাইট শুরু হয়। আগামী ১২ জুন পর্যন্ত সৌদি যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০
জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী,
এ পর্যন্ত ১০ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে মারা গেছেন। মৃত্যুবরণ করা ১০ জনই পুরুষ।
মক্কায় সাত এবং মদিনায় ৩ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন।
মন্তব্য করুন
মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা শুরু হয়েছে ।
তিন দিনব্যাপী এ বিশ্ব ইজতেমা শুরুর আগে তিনজন ও ইজতেমা শুরু হওয়ার পর একজন মুসল্লি মৃত্যুবরণ করেন। এ নিয়ে বিশ্ব ইজতেমায় চারজন মুসল্লি মারা গেলেন।
শুক্রবার ভোররাতে এখলাস উদ্দিন (৭০) নামে এক মুসল্লি বার্ধক্যজনিত কারণে ইজতেমা ময়দানে মারা যান যার বাড়ি নেত্রকোনা জেলা সদরে।
বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সেলের প্রধান মো. হাবিবুল্লাহ রায়হান মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, ভোররাত ৩টা ১৫ মিনিটে ইজতেমা ময়দানে নির্দিষ্ট খিত্তায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে এখলাস উদ্দিনকে টঙ্গী শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানার কুমরি বাজার গ্রামের আব্দুস সাত্তার (৭০), চাঁপাইনবাবগঞ্জের চৌহদ্দীটোলা গ্রামের জামান মিয়া (৪০) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার ধামাউরা গ্রামের ইউনুছ মিয়া (৬৫) নামে ৩ জন মৃত্যুবরণ করেন।
মন্তব্য করুন
হজের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ৪১৯ জন হজ যাত্রী নিয়ে দেশে ফিরেছে।
আজ (২১ জুন) বিজি ৩৩২ ফ্লাইটটি সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এসে পৌঁছেছে।
বিমানবন্দরে হাজীদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান। সুস্থ ও শান্তিপূর্ণভাবে হজ সম্পন্ন করে দেশে ফিরতে পাড়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন যাত্রীরা।
এসময় বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, সব হজযাত্রী যেন সুষ্ঠুভাবে দেশে ফিরতে পারে সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ফ্লাইটের মাধ্যমে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পোস্ট ফ্লাইট অপারেশন্স শুরু হয়েছে, যা চলবে আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত।
আগত হজযাত্রীদের বিমানের বোডিং গেটে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। সব হজযাত্রীকে বিমানের বুথ থেকে জমজমের পানি বিতরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাইফুল ইসলাম, বিমানের পরিচালক (গ্রাহক সেবা) হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন
প্রতি
বছরের ন্যায় এবছরও পবিত্র রমজান মাসের আগেই প্রায় ৯০০ পণ্যের দাম কমালো মধ্যপ্রাচ্যের
ধনী দেশ কাতার।
২১ সালে দেশটি প্রায় ৬৫০ পণ্যের দাম কমিয়েছিল। ২২ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮০০তে, ২৩ সালে সেটি আরও বাড়িয়ে ৯০০র বেশি পণ্যের দাম কমায় দেশটি। এ বছরও প্রায় একই সংখ্যক পণ্যের দাম কমিয়েছে কাতারি কর্তৃপক্ষ।
কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এ বছর রমজান মাস শুরু হতে পারে আগামী ১১ মার্চ থেকে। তার আগেই কাতারের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে নয় শতাধিক পণ্যে বিশেষ মূল্যছাড় দেওয়া হচ্ছে। গত ৪ মার্চ থেকেই কার্যকর হয়েছে নতুন মূল্য তালিকা, চলবে পবিত্র রমজান মাসের শেষ পর্যন্ত।
দেশটির বড় বড় খুচরা বিক্রয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে জানিয়েছে কাতার সরকার।
রমজান মাস উপলক্ষে মূল্যছাড় দেওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে- দুধ, দই, দুগ্ধজাত পণ্য, টিস্যু পেপার, পরিচ্ছন্নতা উপকরণ, রান্নার তেল ও ঘি, পনির, হিমায়িত সবজি, বাদাম, বোতলজাত পানি, জুস, মধু, মুরগি, রুটি, টিনজাত খাবার, পাস্তা, ভার্মিসেলি, গোলাপ জলসহ ইত্যাদি।
কাতারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, খাদ্য ও ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় পবিত্র রমজান মাসে সেগুলো কম দামে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
হজ পালনের জন্য বাংলাদেশ থেকে এ পর্যন্ত সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ২৮ হাজার ৭৬০ জন হজযাত্রী। এখন পর্যন্ত হজে গিয়ে দুইজন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।
গত মধ্যরাতে হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের সর্বশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
সৌদিতে যাওয়া হজযাত্রীদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৭৪৭ জন জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার গেছেন ২৫ হাজার ১৩ জন।
বাংলাদেশ থেকে ৭২টি ফ্লাইটে এসব হজযাত্রী সৌদি পৌঁছেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ২৫টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ২৩টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করে।
এদিকে সৌদি আরবে গতকাল শনিবার আরও একজন বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন। তার নাম মো. মোস্তফা। ৮৯ বছর বয়সী এই হজযাত্রীর পাসপোর্ট নম্বর- ইজি ০৭৪০৮৪৭। এর আগে গত ১৫ মে চলতি মৌসুমে হজে গিয়ে প্রথম মারা যান মো. আসাদুজ্জামান। তার পাসপোর্ট নম্বর:
এ-১৩৫৬১০৩৪।
মন্তব্য করুন
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নিরাপত্তা রক্ষায় দেশব্যাপী জেলায় জেলায় সেনাবাহিনী
মোতায়েন থেকে পূজামন্ডপ সমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সদা তৎপর রয়েছে। হিন্দু
ধর্মাবলম্বী প্রত্যেক বাংলাদেশী অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে উৎসবমুখর পরিবেশে
শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করবেন এবং অন্যান্য সকল ধর্মাবলম্বীগণ সহযোগিতা ও
সম্প্রীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের
শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন সার্থক ও সুন্দর করে তুলবেন- এই প্রত্যাশা বাংলাদেশ
সেনাবাহিনীর।
মন্তব্য করুন
শনিবার (১৫ জুন) পবিত্র হজ আজ। ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে আজ মুখর আরাফাতের ময়দান।
সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত এই ময়দানে অবস্থান করবেন বিশ্বের দেড় শতাধিক দেশ থেকে আগত লাখ লাখ মুসলমান। আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করাই হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা।
শুক্রবার (১৪ জুন) মিনায় অবস্থান করেছেন হজযাত্রীরা। সেলাইবিহীন দুই টুকরা সাদা কাপড় পরে হজের নিয়ত করে তাঁরা মক্কা থেকে মিনায় যান। মিনায় নিজ নিজ তাঁবুর মধ্যে নামাজ আদায়সহ অন্যান্য ইবাদত করেন। আজ ফজরের নামাজ আদায় করেই তাঁরা যাবেন আরাফাতের ময়দানে।
লাখো কণ্ঠে আরাফাতের ময়দানে ধ্বনিত হবে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক।’ অর্থাৎ আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার।
পবিত্র হজ মহান আল্লাহর একটি বিশেষ বিধান। হজ শব্দের আভিধানিক অর্থ ‘ইচ্ছা করা’।
হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। আর্থিক ও শারীরিকভাবে সামর্থ্যবান সব মুসলমান পুরুষ ও নারীর ওপর হজ ফরজ।
আরাফাতের ময়দান মক্কা থেকে ২২ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। এটি দৈর্ঘ্যে দুই কিলোমিটার, প্রস্থেও দুই কিলোমিটার। এই ময়দানের তিন দিক পাহাড়বেষ্টিত।
আরাফাতে রয়েছে জাবালে রহমত বা রহমতের পাহাড়। এই ময়দানে উপস্থিত হাজিদের উদ্দেশে খুতবা দেওয়া সুন্নত। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এখানকার মসজিদে নামিরা থেকে বিখ্যাত বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন।
আরাফাতে অবস্থান হজের শ্রেষ্ঠ রুকন। কারণ আরাফাতের ময়দান যেন বিশ্ব সম্মিলন। লাখ লাখ হাজির এ ময়দানে মুসলিমদের একতার ইঙ্গিত বহন করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের সঙ্গে এই নামাজ আদায় করেছে আর এর আগে আরাফায় অবস্থান করেছে দিনে বা রাতে, তার হজ পূর্ণ হয়েছে এবং সে তার ইহরাম শেষ করেছে। ’ (সুনানে নাসায়ি)
আরাফাতের ময়দান থেকে মুসলিমদের ঐক্য, শৃঙ্খলা ও শান্তির বার্তা সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। মহান আল্লাহ আরাফাতের দিন ইসলামকে পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে ঘোষণা দেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বিন পূর্ণাঙ্গ করলাম এবং তোমাদের প্রতি আমার নিয়ামত পরিপূর্ণ করলাম এবং ইসলাম তোমাদের দ্বিন মনোনীত করলাম। ’(সুরা : মায়েদা, আয়াত: ৩)
আজ মসজিদে নামিরা থেকে খুতবা দেবেন পবিত্র মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়খ মাহের বিন হামাদ আল-মুয়াইকিলি। স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মানারাতুল হারামাইন (manaratal haramain) ওয়েবসাইটসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে তা সরাসরি সম্প্রচারিত হবে।
এদিকে কয়েক বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় এ খুতবার অনুবাদ সম্প্রচার করা হচ্ছে। টানা পাঁচ বছরের মতো এবারও বাংলাসহ ২০টির বেশি ভাষায় আরাফাতের খুতবার অনুবাদ সম্প্রচার করা হবে। এ বছর এর বাংলা অনুবাদ উপস্থাপন করবেন মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ড. খলীলুর রহমান।
হজের অংশ হিসেবে জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখ এই পাঁচ দিনে মিনা, আরাফাত, মুজদালিফা ও মক্কায় অবস্থান করে হজযাত্রীরা হজের কার্যক্রম পালন করবেন। এর মধ্যে আজ শনিবার (০৯ জিলহজ) আরাফাতের ময়দানে জোহর ও আসর নামাজ একসঙ্গে পড়বেন। এরপর সূর্যাস্ত পর্যন্ত দোয়া-মোনাজাতে মগ্ন থাকবেন। সূর্যাস্তের পর সবাই আরাফাত থেকে ৯ কিলোমিটার দূরত্বে মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা দেবেন। সেখানে একসঙ্গে মাগরিব ও এশার নামাজ পড়ে রাত্রিযাপন করবেন। মুজদালিফা থেকে তিন জামারার জন্য তাঁরা পাথর সংগ্রহ করবেন।
পরদিন রোববার (১০ জিলহজ) মিনায় বড় জামারায় গিয়ে পাথর নিক্ষেপ করবেন। এরপর কোরবানি করে মাথা ন্যাড়া করবেন। তখন ইহরামের কাপড় বদলে স্বাভাবিক পোশাক পরে মিনা থেকে মক্কায় গিয়ে পবিত্র কাবা শরিফ সাতবার তাওয়াফ করবেন। কাবার সামনের দুই পাহাড় সাফা ও মারওয়ায় সাঈ (সাতবার দৌড়ানো) করবেন। সেখান থেকে তাঁরা আবার মিনায় ফিরে যাবেন। সেখানে তাঁরা দুই দিন বা তিন দিন (১১ থেকে ১২ বা ১৩ জিলহজ) (বড়, মধ্যম, ছোট) জামারায় সাতটি করে পাথর নিক্ষেপ করবেন। এরপর মক্কায় বিদায়ি তাওয়াফ করে হজের সব কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।
সৌদি আরবের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এবার হজে অংশ নিতে বিভিন্ন দেশ থেকে ১৫ লাখের বেশি হজযাত্রী দেশটিতে গেছেন। প্রতি বছরের মতো এবারও সৌদি বাদশাহ সালমানের আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশসহ ৮৮টি দেশের এক হাজার ৩২২ জন হজ করছেন। তা ছাড়া এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইসরায়েলি হামলায় নিহত বা আহত ফিলিস্তিনি পরিবারের আরও এক হাজার জন হজ করছেন। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরের ৪ হাজার ২০০ জন ফিলিস্তিনি এবার হজ করছেন। এদিকে দীর্ঘ এক যুগ পর সিরিয়া থেকে সৌদি আরবের হজ ফ্লাইট চালু হয়। এবার দেশটি থেকে ১৭ হাজারের বেশি মুসল্লি হজে অংশ নিচ্ছেন।
হজের স্থানগুলোর আশপাশে ৩২টি হাসপাতালসহ ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিক আছে। এসব স্থানে পাঁচ হাজারের বেশি চিকিৎসকসহ ৩২ হাজারের বেশি চিকিৎসাকর্মী রয়েছেন। তা ছাড়া সৌদি রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাকর্মীসহ দুই হাজার ৫৪০ জনের বেশি জরুরি সেবা দিচ্ছেন। আল্লাহর মেহমানদের যাতে কষ্ট না হয়, সে জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষ হাজিদের জন্য ব্যাপক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। হজের সময় তীব্র তাপমাত্রা নিয়ে সতর্ক করে হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছে সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মন্তব্য করুন
সোমবার (১২ আগস্ট) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হটলাইন সেবা চালু করা নিয়ে বলা হয় ।
একটি অনুরোধ জানিয়ে আরো বলা হয় যে,
মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা বা অন্য কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা হলে তার তথ্য জানাতে
অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এতে আরো বলা হয়, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা
বা অন্য কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দুর্বৃত্ত কর্তৃক হামলার শিকার বা আক্রান্ত হলে তার
তথ্য ০১৭৬৬-৮৪৩৮০৯ এই মোবাইল নম্বরে ফোন বা ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে জানানোর জন্য অনুরোধ
করা হলো।
এর আগে গতকাল দুপুরের দিকে অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ঠেকাতে হটলাইন চালুর
কথা বলেন। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চালু হলো এই সেবা।
মন্তব্য করুন
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান,
ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি; নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, ওএসপি,
এনপিপি, এনডিসি, এনসিসি, পিএসসি ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান
মাহমুদ খান, বিবিপি, ওএসপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রমনা
কালী মন্দির পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে সেনাবাহিনী প্রধান দুর্গাপূজা
উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সকলকে শারদীয় শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন এবং বলেন,
"বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশব্যাপী পূজামন্ডপসমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য
সবসময় প্রস্তুত ও তৎপর রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য
নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষ যেন
উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারে, সেটি আমাদের মূল উদ্দেশ্য।
আমরা অতীতের মতোই সকল ধর্মের মানুষদের মধ্যে সহযোগিতা ও সম্প্রীতি বজায় রাখব এবং
দেশের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করব।"
নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান
বক্তব্যের শুরুতেই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনী পূজামন্ডপের নিরাপত্তা
নিশ্চিত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি সকলের জন্য নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ
পূজা উদযাপনের প্রত্যাশা করেন।
বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান
মাহমুদ খান তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, দেশের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে
বিমান বাহিনীও সর্বোচ্চ সতর্কতায় দায়িত্ব পালন করছে।
তিনি সকল ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে সহযোগিতা ও
সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানান।
সেনাবাহিনী প্রধানের পত্নী সারাহনাজ কমলিকা
জামান পূজা উপলক্ষে উপস্থিত অন্যান্যের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের সাথে
শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পূজামন্ডপ পরিদর্শনের সময় তিনি উপস্থিত সকলকে শারদীয়
শুভেচ্ছা জানান এবং পূজার আনন্দ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে একসাথে সময় কাটান।
পরিদর্শনকালে সশস্ত্র বাহিনী ও অসামরিক প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
রমজান মাসের পুরোটা জুড়েই রয়েছে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত।
নবী রাসুলুল্লাহ (সা.) বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন, রমজান মাসের প্রথম ১০ দিন হলো রহমত; তার দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাত; এর শেষ ১০ দিন হলো নাজাত।
আজ রোববার (৩১ মার্চ) শেষ হচ্ছে মাগফিরাতের দ্বিতীয় দশক। সেই সাথে আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে রমজান মাসের শেষ দশক ‘নাজাত’।
এই নাজাতের দশকে এমন একটি রাতের কথা বলা হয়েছে, যেই রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম। কারণ, এ রাতেই প্রথম পবিত্র মক্কার হেরা পর্বতের গুহায় মহান আল্লাহ মুহাম্মাদ (সা.)-এর কাছে পবিত্র কোরআন নাজিল করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি একে নাজিল করেছি কদরের রাতে। তুমি কি জানো, কদরের রাত কী? কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।’ (সুরা কদর: ১-৩)
তাই আজ রাত থেকে শুরু হচ্ছে শেষ দশকের বেজোড় রাত।
মূলত, ২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯ এই পাঁচ দিন যদি পূর্ণ বিশ্বাস নিয়ে কোন বান্দা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইবাদত করেন, তাহলে সেই বান্দার ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম হিসেবে মালিক আল্লাহ গ্রহণ করবেন।
‘শবে কদর’ কথাটি ফারসি। শব মানে রাত বা রজনী আর কদর মানে সম্মান, মর্যাদা, গুণাগুণ, সম্ভাবনা, ভাগ্য ইত্যাদি। শবে কদর অর্থ হলো মর্যাদার রাত বা ভাগ্যরজনী। শবে কদরের আরবি হলো লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত। তবে মর্যাদার রাতটি পাওয়া এতো সহজ নয়। কঠিন কিন্তু ঈমানদারগণ যদি নেক দিলে ইবাদাত করে, মহান আল্লাহ অবশ্যই পুরস্কার দিবেন।
এ রাতটি রমাযানের শেষ দশকে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘‘রমজানের শেষ দশদিনে তোমরা কদরের রাত তালাশ কর।’’ (বুখারী : ২০২০; মুসলিম : ১১৬৯)
মহিমান্বিত এ রাতকে আল্লাহ তাআলা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে সুপ্ত রেখেছেন। তিনি এটাকে সুনির্দিষ্ট করে বলেননি।
তিনি বলেছেন, তোমরা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে শবে কদর অনুসন্ধান করো।
মন্তব্য করুন
ফেনীর
সোনাগাজীতে জোহরের নামাজের আজান দেওয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাওলানা সায়েদুর রহমান
নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
রোববার
(৯ জুন) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার লন্ডনীপাড়া জামে মসজিদে এ দুর্ঘটনা
ঘটে।
নিহত
ব্যক্তি হলেন- চরচান্দিয়া ইউনিয়নের লন্ডনীপাড়া গ্রামের হাশেম লন্ডনী বাড়ির
মৃত মাওলানা মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে সায়েদুর রহমান (৬০)।
মৃতের
পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়,
দুপুর ১টার দিকে লন্ডনীপাড়া জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন ছুটিতে
থাকায় মসজিদে আজান দিচ্ছিলেন মাওলানা সায়েদুর রহমান। এ সময় আকাশে বিদ্যুৎ চমকানোর
সঙ্গে সঙ্গে মাইক্রোফোনে বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। স্থানীয়রা
তাকে উদ্ধার করে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক
তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃতের
ছোট ভাই এম ফখরুল ইসলাম জানান,
তার ভাই দীর্ঘ দিন যাবত সৌদি আরবে ছিলেন। দুই বছর পূর্বে দেশে ফিরে আসেন। তিনি
ওই মসজিদের নিয়মিত একজন মুসল্লি ছিলেন।
মন্তব্য করুন