প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন সৌদি আরব বাংলাদেশের বন্ধু এবং গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার, আমরা সৌদি আরবকে সবসময় আমাদের হৃদয়ের কাছাকাছি পেয়েছি।
আজ সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নবনির্মিত ‘পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল’ পরিচালনার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক) ও রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল ইন্টারন্যাশনালের (আরএসজিটিআই) মধ্যে কনসেশন চুক্তি সই অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আস্থা ও সহযোগিতার জন্য সৌদি সরকার, সৌদি বাদশা সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ এবং যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে কনসেশন চুক্তি সইয়ের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই প্রকল্পটি বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের মধ্যে একটি শক্তিশালী এবং টেকসই অংশীদারত্বের দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, এই কনসেশন চুক্তি অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সমৃদ্ধির জন্য আমাদের দুই দেশের যৌথ দৃষ্টিভঙ্গি এবং অটল অঙ্গীকারের উদাহরণ। এটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্র আরও জোরদার করবে।
চুক্তিটি বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগ উত্তরোত্তর বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, চট্রগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল প্রকল্পটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের আশার বাতিঘর। স্বয়ংসম্পূর্ণ এই আধুনিক টার্মিনালটি আমাদের বন্দরের সক্ষমতা আরও বাড়াবে এবং নিরবচ্ছিন্ন বাণিজ্য সহজতর করার পাশাপাশি কর্মসংস্থান ও নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির পথও সুগম করবে।
তিনি বলেন, এটি বিশ্ব বাণিজ্যের প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করবে এবং আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে বিশ্বের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের নতুন সুযোগ উন্মুক্ত করবে।
শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেন, আরএসজিটিআই যে সুনামের সঙ্গে জেদ্দা পোর্ট টার্মিনালসহ অন্যান্য টার্মিনাল পরিচালনা করছে, সেই দক্ষতা ও প্রযুক্তিজ্ঞান কাজে লাগিয়ে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালটি পরিচালনা করবে বলে আমি আশা করি । এতে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার দক্ষতা বাড়বে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত হবে।
সরকারপ্রধান বলেন, আমরা এমন একটি ভবিষ্যতের অপেক্ষায় আছি যেখানে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধির একটি চালিকাশক্তি হয়ে উঠবে।
পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে নবনির্মিত ‘পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল’ পরিচালনার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক) এবং রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল ইন্টারন্যাশনালের (আরএসজিটিআই) মধ্যে কনসেশন চুক্তি সই হয়।
চুক্তিতে সই করেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এবং আরএসজিটিআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিন্স অ. ফলেই।
এ সময় সফররত সৌদি আরবের বিনিয়োগ বিষয়ক মন্ত্রী খালিদ আল ফালি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানসহ সৌদি বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
আজ সকাল ১১টার দিকে ভার্চ্যুয়ালি এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী ।দীর্ঘ অপেক্ষার পর দুয়ার খুলল দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নভোথিয়েটারের।
এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন তিনটি প্রকল্পের অধীন নব নির্মিত ১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পেরও উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা প্রশাসককের কার্যালয় থেকে যুক্ত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো আনিসুর রহমান, রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুর রহমান।
এছাড়া রাজশাহীর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা, বিভাগীয় ও জেলাপর্যায়ের কর্মকর্তারা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
পরে রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন নভোথিয়েটারের ফলক উন্মোচন করে ভেতরে প্রবেশ করেন এবং মহাগরীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রথম শো উপভোগ করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২৩২ কেটি টাকা। এর মধ্যে শুধু ভবন তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ১৪২ কেটি টাকা। বাকি অর্থ ব্যয় হয়েছে নভোথিয়েটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও অন্যান্য খাতে। এতে স্থাপন করা হয়েছে বিশ্বের অত্যাধুনিক টেলিস্কোপ। যা দিয়ে এখানকার গবেষকরা নভোমণ্ডলের গবেষণা আরও এগিয়ে নিতে পারবেন।
রাজশাহীতে দেশের বৃহত্তম এই নভোথিয়েটার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে মহানগরবাসী ও নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের আকাশচুম্বী প্রত্যাশা পূরণ হলো। শিক্ষা ও গবেষণায় দুয়ার খুলল নব দিগন্তের।
মন্তব্য করুন
বুধবার (১৫ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখতে এসে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, সরকার ও নির্বাচন বিরোধী আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হলে পুলিশ কঠোর অবস্থান নেবে। আর নিয়মতান্ত্রিক হলে সুন্দর হওয়ার জন্য সব ধরনের নিরাপত্তা দেবে পুলিশ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই নির্বাচন ভবনে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করেছে ডিএমপি।
কমিশনার আরো বলেন, তফসিল ঘোষণা হবে। তাই সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখার জন্য আমি এসেছিলাম। সবার সঙ্গে কথা বললাম। তফসিল ঘিরে নির্বাচন কমিশন এবং নগরবাসীর নিরাপত্তার জন্য যে সমস্ত কাজকর্ম পুলিশের পক্ষে থেকে করা দরকার- যেমন, নিরাপত্তা তল্লাশি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা যেগুলো আছে, সেগুলো দেখা।
অবরোধের মধ্যে তফসিল হচ্ছে, বিরোধী দলগুলো বলছে আরো বেশি কঠোর আন্দোলনে যাতে, সে হিসেবে পুলিশের প্রস্তুতি নিয়ে তিনি বলেন,আন্দোলন যদি নিয়মতান্ত্রিক হয়, পুলিশ সেই আন্দোলন যাতে সুন্দরভাবে হয়, সেজন্য পুলিশ নিরাপত্তা বিধান করবে। কিন্তু যদি কোনো নৈরাজ্য হয়, কোনো শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী কোনো কিছু হয়, সেখানে পুলিশ অবশ্যই কঠোর অবস্থান নেবে। সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব কিছু আমরা করবো।
মন্তব্য করুন
অবৈধভাবে পণ্য মজুত করে যারা বাজার অস্থিতিশীল করতে চায় তাদেরকে গণধোলাই দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে জার্মানির মিউনিখে তিন দিনের সফরের বিষয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। টানা চতুর্থবারের মত সরকার গঠনের পর এটা তার প্রথম সংবাদ সম্মেলন।
মজুতদারদের গণধোলাই দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এক সময় বাংলাদেশে অভাব হলে শোনা যেতো পেটে ভাত নেই। পনের বছর আগে কি ছিল, ভাতের জন্য হাহাকার ছিলো, নুন ভাত, ভাতের ফেন ভিক্ষা চাইতো। এখন তো এগুলো নাই।
শেখ হাসিনা বলেন, যখন করোনাভাইরাসের অতিমারি দেখা দিলো, সারা বিশ্বব্যাপি স্যাংশন এলো, পণ্য পরিবহনে যখন বাধাগ্রস্ত হলো তখন থেকেই আমি বলে আসছি- আমাদের নিজেদের খাদ্য নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। এক ইঞ্চি জায়গা যেনো ফাঁকা না থাকে, অনাবাদী না থাকে। এভাবে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনার কি মনে হয় আপনি নিজেই তো বলেছেন ডিম লুকিয়ে রেখেছে। না যারা সরকার উৎখাতের আন্দোলন করে তাদের এখানে কারসাজি আছে? এর আগেও এ রকম পেঁয়াজের খুব অভাব, বস্তাকে বস্তা পানিতে ফেলে দিচ্ছে। এই লোকগুলোকে কি করা উচিত? সেটা আপনারাই বলেন। এদের গণধোলাই দেওয়া উচিৎ। কারণ আমরা সরকার কিছু করলে বলবে, সরকার করেছে। পাবলিক যদি প্রতিকার করে, তাহলে সব থেকে ভালো, কেউ কিছু বলবে না। জিনিস লুকিয়ে রেখে পচিয়ে ফেলে দেবে, আর দাম বাড়াবে!
আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো সংকট হবে না বলে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, রমজানে কোনো কিছুর অভাব হবে না। ইতোমধ্যেই সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোনো সমস্যা হবে না। ছোলা, খেজুর, চিনিসহ পর্যাপ্ত পরিমাণ পণ্য আমদানির ব্যবস্থা রয়েছে। সুতরাং, এটি নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ আমরা অনেক আগেই এর জন্য ব্যবস্থা করেছি।
মন্তব্য করুন
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রচারণার অংশ হিসেবে আজ ৫ জেলায় জনসভায় ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার(২১ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে জনসভাগুলোয় ভাষণ দেবেন তিনি।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা পর্যায়ক্রমে রংপুরের পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট, রাজশাহীর নাটোর ও পাবনা এবং চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ির নির্বাচনি জনসভায় ভাষণ দেবেন।
তার আগে বুধবার সিলেটে জনসভার মাধ্যমে নির্বাচনি প্রচার শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির (জাপা) আসন চাওয়া নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখন ১২টা বাজে, ৪টা পর্যন্ত দেখি। এই ৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। সব ফাইনাল হয়ে যাবে ৪টার মধ্যে।’
আজ রবিবার(১৭ডিসেম্বর) ধানমন্ডিতে দলের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘জাতীয় পার্টির নিজস্ব চাওয়া আছে। তাদের নির্দিষ্টসংখ্যক আসন ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। সেসব আসনে নৌকার প্রার্থী থাকবে না।’
তিনি অরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে। কোনো অশোভন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।’
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপিসহ কয়েকটি দল নির্বাচনকে ‘ভাগাভাগি’ বলছে। যে নির্বাচনে ২৮টি রাজনৈতিক দল এবং প্রায় ২২শ প্রার্থী আছে, সে নির্বাচন কীভাবে ভাগাভাগির নির্বাচন হয়?
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন।
ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ার ও ট্রাস্টি মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস পাঠানো শুভেচ্ছা পত্রে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নতুন মেয়াদ শুরু করায় তাকে শুভকামনা জানিয়েছেন।
‘আমি বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সকলের সাথে যোগ দিয়েছি যে আমরা বাংলাদেশের সাথে আমাদের দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্বকে কতটা মূল্যায়ন করি তা প্রকাশ করার জন্য’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এসডিজি এবং সরকারের অস্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশের উন্নয়ন লক্ষ্যগুলোকে সমর্থন অব্যাহত রাখার আশা করছি।’
মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস বলেন, বাংলাদেশ প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনা গ্রহণের ক্ষেত্রে একটি আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক উদাহরণ হতে প্রস্তুত এবং ‘আমরা দূরদর্শী ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্যোগসহ আপনার আর্থিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যগুলোর জন্য চলমান সহায়তা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।
‘একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল আর্থিক ইকোসিস্টেম বিকাশে এটুআই ও আইসিটি’র সাথে আমাদের ফাউন্ডেশনের অংশীদারিত্ব রয়েছে এবং আমরা ২০৪১ সালে আপনার স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশনে অবদান রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে সহযোগিতা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ফাউন্ডেশন সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আপনার প্রতিশ্রুতির সঙ্গে শরিক হয়েছে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, জলবায়ু পরিবর্তনের মুখে ধানের প্রজনন আধুনিকায়ন এবং উৎপাদনশীলতা বজায় রাখতে তারা বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাথে কাজ করছে।
বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ার ও ট্রাস্টি পুষ্টি বিষয়ে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা সফলভাবে সম্পন্ন করা এবং জাতীয় খাদ্য ও নিরাপত্তা নীতি ২০২০-২০৩০ পাস করায় শেখ হাসিনা সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
ফাউন্ডেশনের পুষ্টি দল বৃহৎ আকারের খাদ্য মজুদকরণের মাধ্যমে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি দূর করার দিকে মনোনিবেশ করছে এবং ‘আমি আশা করি আমরা আপনার সরকারের সাথে আমাদের সহযোগিতা বাড়াতে পারব’।
তারা ডিপিএইচই এবং এটুআই এর সাথে বাংলাদেশে একটি স্যানিটেশন ডেটা কমান্ড সেন্টার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সাথে সমঝোতা স্মারক এই সহযোগিতার পথ খোলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমি আশা করি আমরা আমাদের সমস্ত উন্নয়ন অগ্রাধিকারকে সন্বিবেশিত করে আরও ব্যাপক একটি চুক্তির বিকাশ ঘটাতে পারি।”
মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে আরও সুষম করার জন্য শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতিরও প্রশংসা করেন।তিনি বলেন, শেখ হাসিনার প্রশাসনের জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতে এইচপিভি ভ্যাকসিনের প্রবর্তন একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন এবং এই উদ্যোগের অন্যতম অংশীদার হতে পেরে ফাউন্ডেশন আনন্দিত।
মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনার সূচনাকে অভিনন্দন জানিয়ে মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের ফোকাস কপ২৮-এ যেমন, ফাউন্ডেশনও অভিযোজন অর্থায়ন জলবায়ু কর্ম বৃদ্ধির পক্ষে সুপারিশ করছে।
“আমি আশা করি আমরা এই প্রচেষ্টাগুলিতে সহযোগিতা করার উপায় খুঁজে বের করতে এবং বাংলাদেশের জন্য জলবায়ু অভিযোজনের সুযোগগুলি অবারিত করতে পারব।"
ফাউন্ডেশনের একটি নির্বাহী প্রতিনিধিদল এই বছর বাংলাদেশ সফর করবে বলে জানিয়ে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে তারা বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য ও উন্নয়ন পরিচালনায় তাদের যৌথ প্রচেষ্টা এবং ভবিষ্যতের সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করতে শেখ হাসিনার প্রশাসনের সিনিয়র সদস্যদের সাথে দেখা করতে পারবেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে হরি মেনন, যিনি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ফাউন্ডেশনের কাজের নেতৃত্বে রয়েছেন এবং জামাল খান, যিনি বাংলাদেশ সরকারের সাথে তাদের সরকারি সম্পর্কের নেতৃত্ব দেন, এই সফরের পরিকল্পনা করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আসবেন।
মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস এই বলে শেষ করেন, “আমি আমাদের শক্তিশালী অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখতে এবং একসাথে আমাদের অভিন্ন লক্ষ্যগুলির দিকে এগিয়ে যেতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
মন্তব্য করুন
আজ সন্ধ্যায় তফসিল ঘোষণা, নির্বাচন ভবনে কড়া নিরাপত্তা
নির্বাচন ভবনের চারপাশে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করাকে কেন্দ্র করে ।
আজ ১৫ নভেম্বর সকাল থেকে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়।
এর আগে ১৪ নভেম্বর রাত থেকেই বসানো হয় কাঁটাতারের ব্যারিকেড।
নির্বাচন ভবনের বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সামনের রাস্তা ব্যতীত সকল প্রবেশ পথ বন্ধ করেছে দিয়েছে পুলিশ। অবস্থান নিয়েছে বিজিবি,র্যাব, আনসার এবং পুলিশের অতিরিক্ত ফোর্স।
ইতোমধ্যে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।
ভাষণে থাকবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলও।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করাকে কেন্দ্র করে আজ সকাল থেকে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়।
মন্তব্য করুন
দেশবাসী
ও বিশ্বের সব মুসলমানকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
পবিত্র
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বুধবার (১০ এপ্রিল) ভিডিও
বার্তায় তিনি এ শুভেচ্ছা জানান ।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, প্রিয় দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের
মধ্যে পবিত্র ঈদুল ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ
সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি। ঈদুল ফিতর আমাদের সবার জীবনে বয়ে আনুক সীমাহীন
আনন্দ, সুখ ও শান্তি। আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন ও নিরাপদে থাকুন। ঈদ মোবারক।
বৃহস্পতিবার
(১১ এপ্রিল) বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
মন্তব্য করুন
বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোনো কিছু অর্জন করতে হলে জনগণের শক্তি দরকার।
২১ নভেম্বর মঙ্গলবার ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে স্বাধীনতাযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত নির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দেওয়া এবং ২০২২-২৩ সালে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ শান্তিকালীন পদকপ্রাপ্ত সদস্যদের পদকে ভূষিতকরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
স্বাধীনতাযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত নির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দেওয়ার পাশাপাশি অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য শান্তিকালীন কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শান্তিকালীন পদক দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সবার কল্যাণ কামনা করি, শান্তি কামনা করি। আমি জানি অগ্নিসন্ত্রাস বা জ্বালাও-পোড়াও মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলে। আমি জানি না একটা মানুষ কীভাবে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এটা করতো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৩ ও ১৪-এর পর এখন আবার সেই অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। কীভাবে একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে পোড়াতে পারে?. এদের চেতনা ফিরে আসুক, আমি এটাই চাই।
তিনি বলেন, একজন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে কোনো কিছু অর্জন করা যায় না। অর্জন করতে হলে জনগণের শক্তি দরকার হয়। জনগণ পাশে থাকতে হয়। জনগণের কল্যাণ করতে হয়। জনগণের অকল্যাণ করে পুড়িয়ে মেরে কোনো কিছু অর্জন করা যায় না।
বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সরকারপ্রধান বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রসার ঘটিয়ে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। আজকের বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এটা ধরে রেখেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা, সেজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড অভিনন্দন জানিয়েছেন ।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এক অভিনন্দনবার্তায় প্যাট্রিসিয়া বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির নীতির ওপর গুরুত্বারোপ করে যে রূপরেখা দিয়েছিলেন, তাতে তিনি অনুপ্রাণিত।
প্যাট্রিসিয়া আরো বলেন, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই পররাষ্ট্রনীতির কথাও স্মরণ করেন তিনি। এই মূল্যবোধগুলো আমাদের কমনওয়েলথ সনদে প্রতিফলিত হয়েছে, যেখানে সহনশীলতা, শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়া এবং টেকসই উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরার কথা বলা হয়েছে। মূল্যবোধে গুরুত্বপূর্ণ কাজ অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কমনওয়েলথ সচিবালয় আপনাকে সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক নির্বাচনে জ্যামাইকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ব্রুস গোল্ডিংয়ের নেতৃত্বে স্বাধীন পর্যবেক্ষকদের একটি কমনওয়েলথ বিশেষজ্ঞ দল পাঠাতে পেরে তিনি সন্তুষ্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি ওই দলের প্রতিবেদনটি তার অনুসন্ধান এবং সুপারিশসহ পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি এবং আপনার সঙ্গে এগুলো নিয়ে আলোচনা করার সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছি।
প্যাট্রিসিয়া আরো বলেন, বাংলাদেশ কমনওয়েলথ পরিবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। আমাদের বৈচিত্র্যময় দেশগুলো শান্তি, গণতন্ত্র, টেকসই উন্নয়নসহ অভিন্ন মূল্যবোধের মাধ্যমে আবদ্ধ। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে মহাসাগর ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন, ডিজিটাল উদ্ভাবন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, যুবসমাজ, লিঙ্গসমতা, মানসিক স্বাস্থ্য ইস্যুসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের সক্রিয় সম্পৃক্ততা ও নেতৃত্ব ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
কমনওয়েলথ মহাসচিব বলেন, আমরা সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত আছি, যাতে আপনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) আপনার পঞ্চম মেয়াদে বাংলাদেশের অগ্রাধিকারের সব ক্ষেত্রে লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে পারেন।
পরবর্তী কমনওয়েলথ সরকারপ্রধানদের বৈঠক নিয়ে তিনি বলেন, আমি আপনাকে লন্ডনের মার্লবোরো হাউসে আবার স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় রয়েছি। ২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর সামোয়ায় অনুষ্ঠিতব্য পরবর্তী কমনওয়েলথ সরকারপ্রধানদের বৈঠকে (সিএইচওজিএম) আপনার সঙ্গে দেখা করার অপেক্ষায় রয়েছি।
সূত্র : বাসস
মন্তব্য করুন