যশোরের শার্শার পল্লীতে গ্রামের টয়লেটের সেফটিক ট্যাংকির ভেতরে মিললো ৩৮ কেজি গাঁজা। এ ঘটনায় আয়না মতি (৪০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (১ এপ্রিল) ভোররাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ এ গাঁজা উদ্ধার করে।
শার্শার গোড়পাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সালাউদ্দিন খান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের হরিণাপোতা পূর্বপাড়া গ্রামের মুনসুর হোসেনের বসতবাড়িতে বিপুল পরিমাণ গাঁজা মজুত রয়েছে।
এরই ভিত্তিতে তারা অভিযান চালিয়ে বাড়ির পেছনে টয়লেটের সেফটিক ট্যাংকির মধ্যে গাঁজার একটি চালান দেখতে পায়। তারা টয়লেটের সেফটিক ট্যাংকির নিচে থেকে প্লাস্টিকের দুটি ড্রামে ভর্তি ৩৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। এ গাঁজার ব্যবসার সাথে জড়িত থাকায় আয়না মতি (৪০) নামে এক নারী কারবারীকে আটক করে। তিনি ওই গ্রামের মৃত আব্দুল আলীমের স্ত্রী। এ ঘটনায় শার্শা থানায় মামলা হয়েছে ।
মন্তব্য করুন
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মাদরাসার শিক্ষার্থী নিখোঁজের ৯ দিন পর বাড়ির পাশের ধান ক্ষেত থেকে বস্তাবন্দি দ্বিখণ্ডিত গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহটি পচে যাওয়ায় মাথার খুলি শরীরের হাড়গুলো বস্তায় পাওয়া গেছে। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া বলা যাচ্ছে না এটা ওই নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মরদেহ কিনা।
সোমবার (৩ জুন) সকালে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের চিতুলিয়াপূর্বপাড়া এলাকার একটি ধানক্ষেত থেকে বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এরআগে ওইগ্রামের সুমন মিয়ার মেয়ে এবং স্থানীয় হাফিজিয়া মাদরাসা ও নুরানী কিন্ডারগার্টেনের দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী নওশিন ইসলাম শর্মিলা (১০) গত ২৬ মে দুপুরে নিখোঁজ হয়। ওই শিক্ষার্থী নিখোঁজ হওয়ার পর তাকে উদ্ধারে থানায় সাধারন ডায়রী করেন শর্মিলার বাবা সুমন মিয়া।
এদিকে ধানক্ষেতে শিশু শিক্ষার্থীর বস্তাবন্দি দ্বিখন্ডিত গলিত মরদেহ উদ্ধার হওয়ার খবরে আশপাশের শতশত মানুষ সেটি দেখতে ভীড় করেছে। এছাড়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সারসহ জেলার উধ্বর্তন কর্মকর্তারা।
শর্মিলার চাচা কাইয়ুম মিয়া জানান, এটি শর্মিলার লাশ কি না আমরা এখনও শনাক্ত করতে পারিনি। লাশের অধিকাংশ পচে গেছে, কুকুরে টানাটানি করে সমস্ত দেহ লন্ডভন্ড করে ফেলেছে। তবে তার পড়নের লাল পায়জামার অংশ দেখে ধারণা করা হচ্ছে এটিই শর্মিলার দেহ।
নিহত শর্মিলার বাবা সুমন মিয়া বলেন, কারোর সাথে কোন শত্রুতা নেই। কেউ টাকা পয়সাও পায় না। মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর কেউ মুক্তিপণ বা টাকা পয়সা চায়নি। বাড়ির আশপাশসহ বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজ করেও তার সন্ধান পায়নি। এরপর ৩ জুন সকালে বাড়ির পাশে ধান ক্ষেতে বস্তাবন্দি মরদেহ দেখে লোকজন খবর দেয়। এরআগে ওই বস্তাটি কুকুর টানাটানি করছিল। যে নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তার কঠোর শাস্তি দাবী করি।