দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের জন্য দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়।
সভা শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের এ সভা তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে ৩শ আসনে মনোনয়ন চূড়ান্ত করার পর ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রংপুরে ৩৩, রাজশাহীতে ৩৯টি, মোট ৭২টি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। আমরা সব আসনে মনোনয়ন চূড়ান্ত না হওয়ার পর্যন্ত ফল প্রকাশ করবো না। আগামী ২৫ নভেম্বর প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করা হবে। আমার একসঙ্গে আমাদের মনোনয়ন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করব। আগামী ২৪ নভেম্বর (শুক্রবার) সকাল ১০টা পর্যন্ত সভা মুলতবি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
গত ২৮ অক্টোবর সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীরা পার পাবে না। তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা হবে। ইতোমধ্যেই মামলা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(২৮ ডিসেম্বর) সকালে গণভবনে বিএনপির সন্ত্রাসী হামলায় আহত সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
এসময় শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন।’
মানুষ হত্যা করে তারা কী রাজনীতি করতে চায়- এমন প্রশ্নও করেন শেখ হাসিনা। বলেন, ‘বিএনপি জানে, নির্বাচনে এলে তারা পরাজিত হবে। সে জন্য নির্বাচন বানচালে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে দলটি।’
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ক্ষেত্রে (পণ্য পরিবহনে) চাঁদাবাজি হলে সংশ্লিষ্ট সবাইকে শক্তভাবে ব্যবস্থা নিতে
বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার
(৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সচিব সভার বৈঠকে তিনি এসব নির্দেশ
দেন। সচিব সভা শেষে বিকেলে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো: মাহবুব হোসেন
এসব তথ্য জানান।
সকাল
১০টায় শুরু হয়ে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সাড়ে ৩ ঘণ্টার বৈঠকে সব সচিব এবং বিভিন্ন দপ্তরের
সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে ১৫-১৬ জন সচিব আলোচনায় অংশ
নেন এবং ১১ জন প্রস্তাব দেন।
মন্ত্রিপরিষদ
সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে
তিনি (প্রধানমন্ত্রী) নজরদারি করতে বলেছেন। নজরদারির ক্ষেত্রে তিনি একটি সুনির্দিষ্ট
এরিয়ার কথা বলেছেন। অনেক সময় আমাদের দ্রব্যমূল্যের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পর্যায়ে চাঁদাবাজির
প্রসঙ্গ আসে, নিউজ আসে। এক্ষেত্রে তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে খুবই শক্তভাবে ব্যবস্থা নিতে
বলেছেন, এটি যেন কোথাও না হয়। আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী একটি বিষয়ের দিকে
নজর দিতে বলেছেন। বিশেষ করে ছিনতাই, কিশোর গ্যাং বা এ রকম যেসব অপরাধ হচ্ছে, সেক্ষেত্রে
স্থানীয় পর্যায়ে কমিটি গঠন করে নজর দিতে বলেছেন তিনি। বাজার মনিটরিংয়ের জন্য যে নির্দেশনা
দিয়েছেন, সেই নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তিনি বলেছেন, এ রকম কারণে অনেক সময় দ্রব্যমূল্য
বেড়ে যায়। সুতরাং এটি যাতে না হয়। এজন্য সংশ্লিষ্টদের তিনি খুবই শক্তভাবে মাঠে থাকতে
বলেছেন।
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর জানান,অবরোধ-হরতালে পরিবহন বা স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগকারীদের ধরিয়ে দিলে অথবা সুনির্দিষ্ট তথ্য দিলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। অবরোধ-হরতালে পরিবহন বা স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগকারীদের উপযুক্ত প্রমাণ অথবা সুনির্দিষ্ট তথ্যসহ ধরিয়ে দিলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেবেন আইজিপি। তবে যিনি তথ্য দেবেন তার পরিচয় গোপন রাখা হবে।
এর আগে সোমবার (৬ নভেম্বর) ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, বিভিন্ন স্থানে যারা গাড়িতে আগুন দিচ্ছে, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করছে, সহিংসতা ও নাশকতা করছে তাদের অনেককে আমরা হাতেনাতে গ্রেফতার করেছি। অনেক প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা পুলিশের হাতে তাদের ধরিয়ে দিয়েছেন। চলমান অবরোধের মধ্যে যারা যানবাহনে আগুন দিচ্ছে ও পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করছে তাদের ধরিয়ে দিলেই ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, ঢাকা শহর অনেক বড়। অনেক মানুষের বসবাস এখানে। কিছু কিছু ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। পুলিশ কিন্তু অনেক ঘটনা নিবৃত করেছে। অনেককে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে। হাতেনাতে অনেককে আটক করেছে। হাতেনাতে আটক করার ক্ষেত্রে যারা আমাদের সহযোগিতা করেছেন তাদেরও আমরা নগদ পুরস্কার দেবো।
মন্তব্য করুন
রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ব্যবস্থা নেওয়াসহ প্রধানমন্ত্রীর ১৫ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সব পৌরসভার মেয়র ও প্রশাসককে চিঠি পাঠিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ১৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সরকারের বর্তমান মেয়াদের প্রথম মন্ত্রিসভা বৈঠকে সবার প্রতি প্রধানমন্ত্রী কতিপয় নির্দেশনা দিয়েছেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পাওয়া আধা-সরকারি পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, গত ১৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সরকারের বর্তমান মেয়াদে প্রথম মন্ত্রিসভা-বৈঠকে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত সকলের প্রতি প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন:
১) সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং অংশীজনের সংগে সমন্বয় করে মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২) পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য আশু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩) নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪-এ বর্ণিত প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নে সকলকে আন্তরিকতার সঙ্গে সমন্বিতভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলো জাতীয় বাজেট প্রণয়নকালে নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪ বিবেচনায় রাখবে।
8) কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খাদ্য পণ্য সংরক্ষাণাগার নির্মাণে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
(৫) স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের চারটি স্তম্ভ স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট জনগণ নিশ্চিত করতে নিজ নিজ মন্ত্রণালয়/বিভাগে করণীয় চিহ্নিত করে তা বাস্তবায়ন করবে।
৬) নতুন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রকল্পের উপকারিতা/দেশের জনগণের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বিদেশি ঋণ/সহায়তা গ্রহণকালীন যথাযথভাবে সম্ভাব্যতা যাচাই করতে হবে। এছাড়া, চলমান প্রকল্পগুলো বিশেষ করে যেগুলির বাস্তবায়ন সর্বশেষ পর্যায়ে রয়েছে সেগুলির প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমাপ্ত করতে হবে।
৭) সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতি প্রতিরোধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করতে হবে।
৮) সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি প্রকৃত উপকারভোগীর কাছে পৌঁছানো নিশ্চিত করতে হবে।
৯) সরকারের শূন্য পদগুলোতে দ্রুত জনবল নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১০) নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
১১) রপ্তানী বহুমুখীকরণ, নতুন নতুন বাজার অনুসন্ধান ও প্রবেশে সহায়তা করতে হবে।
১২) গার্মেন্টস সেক্টরের মতো চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং কৃষিজাত পণ্য বিষয়ক শিল্প বিকাশে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
১৩) শিক্ষাকে কর্মমুখী করার লক্ষ্যে আইসিটি শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
১৪) যুবসমাজকে খেলাধুলা এবং শিল্প সংস্কৃতি চর্চায় উৎসাহ দেওয়ার মাধ্যমে তাদের মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে বিরত রাখতে হবে।
১৫) অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতার বিরুদ্ধে সমন্বিতভাবে কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
মন্তব্য করুন
অবৈধভাবে পণ্য মজুত করে যারা বাজার অস্থিতিশীল করতে চায় তাদেরকে গণধোলাই দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে জার্মানির মিউনিখে তিন দিনের সফরের বিষয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। টানা চতুর্থবারের মত সরকার গঠনের পর এটা তার প্রথম সংবাদ সম্মেলন।
মজুতদারদের গণধোলাই দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এক সময় বাংলাদেশে অভাব হলে শোনা যেতো পেটে ভাত নেই। পনের বছর আগে কি ছিল, ভাতের জন্য হাহাকার ছিলো, নুন ভাত, ভাতের ফেন ভিক্ষা চাইতো। এখন তো এগুলো নাই।
শেখ হাসিনা বলেন, যখন করোনাভাইরাসের অতিমারি দেখা দিলো, সারা বিশ্বব্যাপি স্যাংশন এলো, পণ্য পরিবহনে যখন বাধাগ্রস্ত হলো তখন থেকেই আমি বলে আসছি- আমাদের নিজেদের খাদ্য নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। এক ইঞ্চি জায়গা যেনো ফাঁকা না থাকে, অনাবাদী না থাকে। এভাবে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনার কি মনে হয় আপনি নিজেই তো বলেছেন ডিম লুকিয়ে রেখেছে। না যারা সরকার উৎখাতের আন্দোলন করে তাদের এখানে কারসাজি আছে? এর আগেও এ রকম পেঁয়াজের খুব অভাব, বস্তাকে বস্তা পানিতে ফেলে দিচ্ছে। এই লোকগুলোকে কি করা উচিত? সেটা আপনারাই বলেন। এদের গণধোলাই দেওয়া উচিৎ। কারণ আমরা সরকার কিছু করলে বলবে, সরকার করেছে। পাবলিক যদি প্রতিকার করে, তাহলে সব থেকে ভালো, কেউ কিছু বলবে না। জিনিস লুকিয়ে রেখে পচিয়ে ফেলে দেবে, আর দাম বাড়াবে!
আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো সংকট হবে না বলে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, রমজানে কোনো কিছুর অভাব হবে না। ইতোমধ্যেই সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোনো সমস্যা হবে না। ছোলা, খেজুর, চিনিসহ পর্যাপ্ত পরিমাণ পণ্য আমদানির ব্যবস্থা রয়েছে। সুতরাং, এটি নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ আমরা অনেক আগেই এর জন্য ব্যবস্থা করেছি।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক
করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে গণভবনে বৈঠকটি
অনুষ্ঠিত হয়।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা
দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন। বুধবার (৮ মে) সন্ধ্যায় এক বিশেষ ফ্লাইটে তিনি বিমানবন্দরে
অবতরণ করেন বলে জানায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক্স হ্যান্ডেলে
(সাবেক টুইটার) দেওয়া এক বার্তায় বলা হয়, সংক্ষিপ্ত সফরে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব একটি
বিশেষ ফ্লাইটে বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা আসেন।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসীদের বিরাট অবদান
রয়েছে। তাছাড়াও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।
মঙ্গলবার
দুপুরে গণভবনে প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রবাসীরা আমাদের স্বাধীনতা-সংগ্রামে, যেকোনো আন্দোলনে অবদান রেখেছেন। এটা আমাদের জন্য বিরাট শক্তি। আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে, সরকার জনগণের সেবক। আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, সেবক হিসেবে কাজ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে এসেছি। টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকায় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। এখন মানুষ ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখে।
মন্তব্য করুন
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের
সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রী মহিববুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা ।
সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সাক্ষাতের মূল বিষয়গুলো নিয়ে তিনি
জানান, পরিবেশগত মিল থাকায় আমরা একই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি
হই। ডিজাস্টার রিজিলিয়েন্ট ইনফ্রাসটাকচারসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক সংস্থার সদস্য বাংলাদেশ । বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ
এলাকাগুলোতে তাই ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে ভারত সহায়তা করতে চায় এবং এসব
ক্ষেত্রে ভারত-বাংলাদেশএকসঙ্গে কাজ করতে চায় ।
রিমোট সেন্সিং নিয়ে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে প্রণয়
কুমার ভার্মা বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ
এলাকাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে কীভাবে সহায়তা করা
যায়, তা নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সব উদ্যোগ বাস্তবায়নে প্রতিমন্ত্রী আগ্রহ
প্রকাশ করায় আমি খুবই সন্তুষ্ট।
তিনি আরো বলেন, গতবছর দুই দেশের এই মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ও আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে। ২০২১ সালে আমরা একটি সমঝোতা স্মারকও সই করেছি। এই সমঝোতার বাস্তবায়ন নিয়েও আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে। যেমন, রিমোট সেন্সিং, দুর্যোগ ব্যবস্থা কর্মসূচি, প্রশিক্ষণ ও তথ্য বিনিময়ে দুই দেশ পরস্পরকে সহায়তা করার কথা বলা হয়েছে।
আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভারত সবসময় বাংলাদেশের পাশে আছে। তারা বাংলাদেশকে সমর্থন দিচ্ছে,
ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবে। ভারত ও বাংলাদেশের প্রকৃতি এক হওয়ায় সমস্যা মোকাবিলায় আমরা
ভবিষ্যতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো।
মন্তব্য করুন
গ্রেটার
ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্টের (বিআরটি, গাজীপুর-এয়ারপোর্ট) ৭টি ফ্লাইওভার
যান চলাচলের জন্য উদ্বোধন করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার
(২৪ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি ফ্লাইওভার
উদ্বোধন করেন।
সেতুমন্ত্রী
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ ৭টি ফ্লাইওভার দিয়ে যান চলাচল করতে পারবে। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের
জন্য এ ৭টি ফ্লাইওভার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপহার। আশা করছি এ বছরই
এটি দিয়ে বাস চলাচলের ব্যবস্থা করতে পারবো। আমাদের অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজগুলো শেষ
হয়ে গেছে। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯১ শতাংশ। আমরা আশা করছি ডিসেম্বর নাগাদ বাকি
কাজ শেষ হবে। বিআরটি করিডোর দিয়ে বাস চলাচল করতে পারবে। এখন থেকে এ ফ্লাইওভারগুলো দিয়ে
যান চলাচল করতে পারবে। যার মধ্যে রয়েছে ৩২৩ মিটার এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (বাম পাশ), ৩২৩
মিটার এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (ডান পাশ), ১৮০ মিটার জসিমউদ্দিন ফ্লাইওভার, ১৬৫ মিটার ইউ-টার্ন-১
গাজীপুরা ফ্লাইওভার, ১৬৫ মিটার ইউ-টার্ন-২ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ফ্লাইওভার, ২৪০ মিটার
ভোগড়া ফ্লাইওভার এবং গাজীপুরের চৌরাস্তায় ৫৬৮ মিটার ফ্লাইওভার।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের রূপান্তর ঘটেছে। আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। সম্ভাবনার হাতছানি দেওয়া দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলা দুরন্ত বাংলাদেশ।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের রূপান্তর ঘটেছে। আজকের বাংলাদেশ দারিদ্র্যক্লিষ্ট, অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর বাংলাদেশ নয়। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারি, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যার সময় আমি এবং আমার ছোটবোন বিদেশে ছিলাম। সে কারণে আমরা প্রাণে বেঁচে যাই। দীর্ঘ ৬ বছর আমরা রিফিউজি হিসেবে প্রবাস জীবন কাটাতে বাধ্য হই। ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও জনগণের সমর্থন নিয়ে আমি দেশে ফিরে আসি। অবৈধভাবে ক্ষমতাসীন সরকার, জাতির পিতার হত্যাকারী ও ষড়যন্ত্রকারী এবং যুদ্ধাপরাধীদের সব রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করেই আমি দেশে ফিরে আসি। ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন থেকে ২০০১ সালের ১৫ জুলাই - এই ৫ বছর পূর্ণ করে ২৬ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরা ধান ও দানাদার শস্য উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করি। স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি গ্রহণ, বয়স্ক, বিধবা, স্বামী নিগৃহীতা ও প্রতিবন্ধী ভাতা প্রবর্তন এবং বর্গাচাষিদের বিনা জামানতে কৃষি ঋণ প্রদান করি। ২০০১ সালের ১ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাস বিক্রির প্রতিশ্রুতি দিয়ে এবং নানা চক্রান্তের ফসল হিসেবে বিএনপি-জামায়াত-জোট ক্ষমতার মসনদে আরোহণ করে। এরপরেই দেশে বিপর্যয় নেমে আসে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করে ২২ নেতা-কর্মীকে হত্যা এবং ৫০০’র বেশি মানুষকে আহত করে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে যে ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে তা হলো:
১. দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।
২.কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।
৩.আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
৪.লাভজনক কৃষির লক্ষ্যে সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা, যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি।
৫. দৃশ্যমান অবকাঠামোর সুবিধা নিয়ে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে শিল্পের প্রসার ঘটানো।
৬.ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
৭.নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা।
৮.সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় সবাইকে যুক্ত করা।
৯. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা।
১০.সাম্প্রদায়িকতা এবং সব ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধ করা।
১১.সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার ঘটানো।
মন্তব্য করুন