কুমিল্লায় ২
টি পাইপগান ও
৫ রাউন্ড গুলিসহ ০১
জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে
র্যাব- ১১,
সিপিসি-২।
র্যাব জানায়,
আজ সকালে
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার
সদর দক্ষিণ মডেল
থানাধীন উলুরচর এলাকায় বিশেষ
অভিযান পরিচালনা করে
মোঃ আরমান
হোসেন (২৬)
নামক ০১
জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে।
এ সময়
আসামীর হেফাজত হতে
০২ টি
পাইপ গান
ও ০৫
রাউন্ড গুলি
উদ্ধার করা
হয়। গ্রেফতারকৃত মোঃ
আরমান হোসেন
(২৬) কুমিল্লা জেলার
সদর দক্ষিণ মডেল
থানার উলুরচর গ্রামের মৃত
মোবারক হোসেন
এর ছেলে।
র্যাব-১১,সিপিসি-২, কুমিল্লার কোম্পানী অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার মাহমুদুল হাসান জানান, আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে অস্ত্র প্রদর্শন করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম সহ বিভিন্ন ধর্তব্য অপরাধ সংগঠিত করে আসছিল। এ বিষয়ে জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধি:
২০২৪ সালের ৪ ও ৫ আগস্ট, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এ কুমিল্লার দেবীদ্বার পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। আওয়ামী লীগের সশস্ত্র কর্মী ও পুলিশের হামলায় নিহত হন পৌর সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক বাদশা রুবেল (৪৩), স্কুলছাত্র আমিনুল ইসলাম সাব্বির (১৮) ও আব্দুস সামাদসহ মোট ১২ জন। আহত হন অর্ধশতাধিক, এদের মধ্যে স্কুলছাত্র আবুবকর মানসিক ভারসাম্য হারান।
৪ আগস্ট বানিয়াপাড়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন রুবেল। সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পরও তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তার স্ত্রী হ্যাপি আক্তার তখন ছিলেন ৯ মাসের অন্তঃসত্ত¦া। নিহতের এক মেয়ে ও পরবর্তীতে জন্ম নেওয়া এক ছেলে রয়েছে। রুবেল দেবীদ্বার পৌর এলাকার বারেরা গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। রুবেল পেশায় বাস টালক ছিলেন।
৫ আগস্ট থানা ঘেরাওয়ের সময় পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন সাব্বির। ৪০ দিন মৃত্যুর সাথে লড়ে ১৪ সেপ্টেম্বর মারা যান। নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাব্বির পরিবার চালাতেন ভ্যান চালিয়ে। সিএনজি চালক আমিনুল ইসলাম ছাব্বির দেবীদ্বার পৌর এলাকার ভিংলাবাড়ি গ্রামের মৃত আলমগীর হোসেনের পুত্র। একই ঘটনার জেরে গুলিবিদ্ধ হন আব্দুস সামাদ। তিনি দীর্ঘ সাত মাস চিকিৎসা নিয়ে ৪ মার্চ ঢাকা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে মারা যান।
আহত শিক্ষার্থী আবুবকর এখন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। তার পরিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের সহায়তা কামনা করছে।
দেবীদ্বারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১২ শহীদের রক্তে লালিত গণআন্দোলন। সংগ্রামী ছাত্র জনতার আত্মত্যাগের করুণ ইতিহাস।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো কুমিল্লার দেবীদ্বারও জেগে উঠেছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে। কিন্তু সে জাগরণ থেমে গেছে গুলির আওয়াজে, রক্তাক্ত হয়েছে শহরের রাজপথ। এ পর্যন্ত দেবীদ্বার উপজেলার ১২ জন শহীদ গণআন্দোলনের অংশ নিয়ে শাহাদাৎ বরণ করেছেন। তাঁদের রক্তে লেখা হয়েছে আন্দোলনের করুণ ইতিহাস।
নিম্নে উল্লেখিত ৩ জন ছাড়া বাকী ৯ জনের শহীদদের নাম, পরিচয় ও শাহাদাতের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো:
দেবীদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের কাচিসাইর গ্রামের মো. সফিকুল ইসলাম সরকার’র পুত্র ফয়সাল সরকার (২৪)। সে ঢাকায় একটি পলিটেকনিক্যাল ইনিস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ছিলেন। ১৯ জুলাই বিকেলে ঢাকা আব্দুল্লাহপুর এলাকায় পুলিশের গুলিতে ফয়সালের মাথার খুলি উড়ে যায়, পরে হসপিটালে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান। তাকে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে ঢাকায় অজ্ঞাত স্থানে দাফন করা হয়।
উপজেলার বড়শালঘর গ্রামের মো. হানিফ মোল্লা’র পুত্র মো. সাগর মিয়া(১৯), তিনি পেশায় সবজি বিক্রেতা ছিলেন। ১৯ জুলাই ঢাকা মিরপুর ১০ নম্বরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। ২০ জুলাই তার নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়।
উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের বেতুয়া গ্রামের মো. মানিক মিয়ার পুত্র মোঃ হোসাইন মিয়া (১০), সে পেশায় পপকর্ন বিক্রেতা ছিলেন। ২০ জুলাই বিকেলে চিটাগং রোডে তলপেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ২২ জুলাই নিজ বাড়িতে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
উপজেলার ভানী ইউনিয়নের সূর্যপুর গ্রামের মৃত: মোহাম্মদ আলীর পুত্র কাদির হোসেন সোহাগ (২২), তিনি পেশায় চাকরি জিবী(পাঠাও কুরিয়ার সার্ভিস)। ২০ জুলাই ঢাকা গোপীবাগে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। ২২ জুলাই নিজ বাড়িতে দাফন সম্পন্ন করা হয়। উপজেলার ইউছুফপুর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের মৃত শাহআলম সরকার’র পুত্র জহিরুল ইসলাম রাসেল। তিনি শিক্ষার্থী ছিলেন। ৪ আগস্ট ঢাকা গুলিস্তান এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন। ৬ আগস্ট নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়।
উপজেলার ৪ নং সুবিল ইউনিয়নের ওয়াহেদপুর গ্রামের মোঃ ইদ্রিস মিয়ার পুত্র মোঃ রবিন মিয়া (৩৫)। পেশায় একজন ব্যবসায়ি ছিলেন। ৪ আগস্ট যাত্রাবাড়ি গুলিতে নিহত হন। ৬ আগস্ট নিজ বাড়িতে দাফন হয়।
উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের খয়রাবাদ গ্রামের ফজর আলীর পুত্র মোঃ রায়হান রাব্বি। তিনি শিক্ষার্থী ছিলেন। ৫ আগস্ট খিলগাঁও তালতলা মার্কেটে গুলিতে নিহত হন। ৬ আগস্ট নিজ বাড়িতে দাফন হয়। উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামের মো. সফিকুল ইসলাম রানার পুত্র সাইফুল ইসলাম তন্ময়। উপজেলার রসুলপুর গ্রামের সৈয়দ আবুল কায়েসের ছেলে নাজমুল হাসান। ঢাকার মধ্য বাড্ডায় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চাকরি করতেন তিনি। গত ১৯ জুলাই দুপুরের বাড্ডা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। পরদিন মরদেহ মাদারীপুরে তার মামার বাড়িতে দাফন করা হয়।
মন্তব্য করুন
মো মিজানুর রহমান মিনু, চৌদ্দগ্রাম:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম এর নির্দেশনায় ১৪ জুলাই রাত ২ টার সময় চৌদ্দগ্রাম থানায় কর্মরত এস আই সুজন কুমার চক্রবর্তী সঙ্গীয় ফোর্সসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানার চিওড়া ইউনিয়নের ঘোষতল রাস্তার উপর থেকে ০১টি সিএনজি গাড়ী তল্লাশী করে ১টি স্কুল ব্যাগ ও ১টি প্লাষ্টিকের বস্তার ভিতরে থেকে মোট ২৫ কেজি গাঁজা ও ০১টি নাম্বার বিহীন সিএনজি অটোরিক্সা উদ্ধার করে।
এ সময় সি এন জি তে থাকা দুইজন আসামী ইউসুফ (৪৫) ও কাজী মোঃ লিটন (৩২)কে মাদকদ্রব্য সহ আটক করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আর একজন আসামী মোঃ ইউনুছ আলী দৌড়ে পালিয়ে যায়।
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে চৌদ্দগ্রাম থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলা করা হয়।
মন্তব্য করুন
আন্তঃজেলা ট্রান্সফরমার চোর চক্রের মূল হোতাসহ আরো ৮ সদস্য গ্রেফতার এবং চোরাই মালামাল উদ্ধার করেছে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
গত ২৪ জানুয়ারি রুজুকৃত বুড়িচং থানার মামলা নং-১৮, তারিখ-২৪/০১/২০২৪, ধারা- ২০১৮ সালের বিদ্যুৎ আইনের ৩৫ এর রহস্য উদ্ঘাটন পূর্বক গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ মনির হোসেন (৩২), ২। মোঃ সোহেল (৩০), ৩। কামরুল হাসান (৩২), ৪। মাঈনউদ্দিন (২৮), ৫। রুবেল আহমেদ @মিন্টু (২৯) দের গত ০৪/০২/২০২৪খ্রিঃ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিজ্ঞ আদালতে আসামি সোহেল ও মাঈনউদ্দিন ফোজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
উল্লেখ্য যে, তারা কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন থানায় ট্রান্সফরমার চুরি সংক্রান্তে রুজুকৃত ৮টি মামলার ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলো এবং তাদের দেওয়া তথ্য তদন্তকালে প্রাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণে সত্যতা পাওয়া যায়।
আসামী মাঈন উদ্দিন (২৮) এর দেওয়া বিজ্ঞ আদালতের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি মোতাবেক কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি চৌকস টিম অভিযান পরিচালনা করে তথ্য প্রযুক্তি ও স্থানীয় সোর্সের সহায়তায় চোর চক্রের চোরাই মাল ক্রয় -বিক্রয়ের মূল মধ্যস্থতাকারী রুবেল (২৮) কে নোয়াগাঁও চৌমোহনী এলাকায় মা-বাবার দোয়া এন্টারপ্রাইজ দোকানের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়। কুমিল্লার অধিকাংশ চোরাই মাল ক্রয়কারী মাঈন উদ্দিন ঢাকায় চোরাই মাল বিক্রয় করে। ঢাকায় চোরাইমাল ক্রয় চক্রের মূলহোতা ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ এর মালিক দেলোয়ার ও ম্যানেজার মনসুর। তার দেওয়া তথ্য মতে চোরাই মালামাল ক্রয়কারী ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ এর ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম মনছুর কে ঢাকা মিডফোর্ট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মনসুরের দেখানো মতে ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ নামক দোকান হতে ৫০ কেজি চোরাই তামার তার উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়।
উল্লেখ্য, ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক দেলোয়ার পলাতক রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামী রুবেলকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে কুমিল্লায় ট্রান্সফরমার চোর চক্রের সাথে জড়িত অনেক সদস্যের নাম প্রকাশ করে। প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে লালমাই থানার মামলা নং-০২, তারিখ-০৩/০২/২০২৪ ইং, ধারা- ২০১৮ সালের বিদ্যুৎ আইনের ৩৫/৪১ এর পলাতক আসামী চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য ১। রবিউল আলম @ রফিক (২৬) কে নোয়াগাঁও চৌমোহনী এলাকায় থেকে গ্রেফতার করা হয় । তার দেখানো স্থান হতে ২টি ট্রান্সফরমারের খালি খোসা, ৩৩ কেজি ষ্টিলের পাত, ২টি ট্রান্সফরমারের ঢাকনা ও ২টি লোহার তৈরি কয়েলের ঢাকনা উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। রবিউল আলম রফিককে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে অত্র মামলার সাথে জড়িত আসামী ২। মেহেদী হাসান শাকিল (২৩), ৩। রুবেল (২৬), ৪। মাসুদ রানা (২৩) দেরকে ভূশ্চি এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয় এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত অটোটি জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী রুবেলের দেওয়া তথ্য মতে, তথ্য প্রযুক্তি ও স্থানীয় সোর্সের মাধ্যমে সদর দক্ষিণ থানার মামলা নং-৭, তারিখ- ০২/০২/২০২৪ ইং, ধারা- ৩৭৯ দন্ডবিধি এর পলাতক আসামী জহিরুল ইসলাম (২৮) কে সদর দক্ষিণ থানাধীন সুয়াগাজি থেকে গ্রেফতার করা হয়। জহিরুল ইসলাম (২৮) এর দেওয়া তথ্য মতে, অত্র মামলার আর এক পলাতক আসামী মোঃ কবির হোসেন (৩০) কে জাঙ্গালিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে, তারা ট্রান্সফরমার চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা ৩/৪ বছর যাবৎ কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর, চান্দিনা, চৌদ্দগ্রাম, দেবিদ্বার, সদর দক্ষিণ থানাসহ বিভিন্ন থানা এলাকায় এবং পাশর্^বর্তী জেলা চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় ট্রান্সফরমারের তামার তার চুরি করে আসছে। তারা দিনের বেলায় টার্গেট ট্রান্সফরমারের স্থানে রেকি করে এবং রাতের বেলা গিয়ে ট্রান্সফরমারের ঢাকনা খুলে তামার তার নিয়ে চলে আসে। ট্রান্সফরমার থেকে তামার তার চুরি করতে তাদের মাত্র ২০ থেতে ২৫ মিনিট সময় লাগে। চুরি করার পরে ট্রান্সফরমারের খালি খোলস (বক্স) সাধারণত ঘটনাস্থলেই ফেলে দেয়।
উল্লেখ্য যে, আসামী মোঃ কবির হোসেন এর বিরুদ্ধে পূর্বে ৬টি মাদক মামলা রয়েছে। আসামী জহিরুল ইসলাম জহির এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১ টি চুরি মামলা, ৩টি মাদক মামলা, ২টি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা রয়েছে। আসামী মাসুদ রানা এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১টি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা রয়েছে। আসামী মেহেদী হাসান শাকিল এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১ টি চুরি মামলা, ১টি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা রয়েছে। আসামী রবিউল আলম রফিক এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১টি মাদক ও ১টি মারামারি মামলা রয়েছে। আসামী রফিকুল ইসলাম মনছুর এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১টি মারামারি মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো:
১। মোঃ কবির হোসেন (৩০), পিতাঃ মোঃ জসিম উদ্দিন, সাং-কাদির বক্স বাড়ী, গ্রাম- সৈয়দপুর, থানা- দেবিদ্বার, জেলা- কুমিল্লা,
২। জহিরুল ইসলাম (২৮), পিতাঃ মৃত মোঃ জাকির হোসেন, সাং- পূর্ব পাড়া, গ্রাম- বড় দৌলতপুর, থানা- কোতয়ালী, জেলা- কুমিল্লা
৩। রুবেল (২৬), পিতাঃ মিজান, সাং- চৌকিদার বাড়ী, গ্রাম- দূর্গাপুর, ওয়ার্ড- ১, থানা- সদর দক্ষিণ, জেলা- কুমিল্লা।
৪। মাসুদ রানা (২৩), পিতাঃ আব্দুল গফুর, সং- গ্রাম- ভুচ্চি (নুরপুর) মুক্তিযোদ্ধা জহির সাহেবের বাড়ী, থানা- লালমাই, জেলা- কুমিল্লা।
৫। মেহেদী হাসান @শাকিল (২৩), পিতাঃ শুক্কুর আলী,সাং- মোহরী বাড়ী, গ্রাম- চেংহাটা, থানা- লালমাই, জেলা- কুমিল্লা।
৬। রবিউল আলম @রফিক (২৬), পিতাঃ মৃত সুরুজ, সাং- ভুচ্চি( নুরপুর) ডাক্তার বাড়ী, থানা- লালমাই, জেলা-কুমিল্লা।
৭। রুবেল (২৮), পিতাঃ মৃত ফোরকান মিয়া, সাং- আহাম্মদপুর(ধানুর বাড়ী), থানা-নবীনগর, জেলা- ব্রাহ্মনবাড়ীয়া
৮। মোঃ রফিকুল ইসলাম @মনছুর (৪৮), পিতাঃ মোঃ শাহজাহান আলী , সাং- পায়না (প্রামানিক বাড়ী), থানা- ভেড়া, জেলা- পাবনা
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধি;
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে কুমিল্লা জেলায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পূজা উৎসবকে ঘিরে উদ্ভূত যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন কুমিল্লা র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন শ্রী শ্রী রাজরাজেশ্বরী কালী বাড়ি মন্দির প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে।
মেজর সাদমান বলেন, “পূজা মণ্ডপে র্যাবের নিয়মিত টহল, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি, সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ এবং জরুরি প্রয়োজনে মোবাইল টহল পরিচালনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কুমিল্লা শহরসহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিশেষ টহলের ব্যবস্থা থাকবে।”
মেজর সাদমান আরও জানান, ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় র্যাব সবসময় অঙ্গীকারবদ্ধ। পূজার সময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক থাকে সেজন্য র্যাবের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। এখানে সব ধর্মের মানুষ যেন নির্বিঘ্নে ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারে, সেটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”
এবারের দুর্গাপূজায় কুমিল্লা জেলার ৮১২টিরও বেশি পূজা মণ্ডপ বসছে। প্রতিটি মণ্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাবের সদস্যরা নিয়মিত টহল ও পর্যবেক্ষণে থাকবেন। পাশাপাশি, গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপে থাকবে কন্ট্রোল রুম, মেটাল ডিটেক্টর এবং হ্যান্ডহেল্ড স্ক্যানার।
সাংবাদিকদের মাধ্যমে মেজর সাদমান কুমিল্লার সাধারণ জনগণকে আহ্বান জানান, পূজার সময়ে সন্দেহজনক কিছু দেখলে বা কেউ বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করলে সাথে সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাতে। “নিরাপত্তা শুধু বাহিনীর একার পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য জনগণের সচেতনতা ও সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেন তিনি জানান ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১৪৭
বোতল ফেন্সিডিল ও
২০ কেজি
গাঁজাসহ একজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে
র্যাব-১১,সিপিসি-২।
র্যাব জানায়, গতকাল ভোর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ মডেল থানার উত্তর রামপুর, রহমত নগর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মোঃ সাগর (৩২) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় ১৪৭ বোতল ফেন্সিডিল, ২০ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহন কাজে ব্যবহৃত একটি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা হয়। আসামী চৌদ্দগ্রাম থানার ঘাসীগ্রাম গ্রামের নান্টু সরকার এর ছেলে।
র্যাব-১১,সিপিসি-২,
কুমিল্লার কোম্পানী অধিনায়ক লেঃ
কমান্ডার মাহমুদুল হাসান
জানান, গ্রেফতারকৃত আসামী
মোঃ সাগর
জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে,
সে দীর্ঘদিন ধরে
জব্দকৃত কাভার্ড ভ্যানটি ব্যবহার করে
কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা
হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা
ও ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে
কুমিল্লাসহ অন্যান্য জেলায়
পাইকারি ও
খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে
আসছে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে সদর
দক্ষিন থানায়
আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন
করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার মতো কুমিল্লা
জেলাতেও চলছে শিক্ষার্থীদের বাজার মনিটরিং।
শনিবার ১১ই আগস্ট কুমিল্লা জেলা ভোক্তা
অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর শিক্ষার্থীদের নিয়ে করেছে বাজার মনিটরিং।
এদিন সকালে কুমিল্লার নিউমার্কেট এলাকায়
শিক্ষার্থীদের কে নিয়ে বিভিন্ন বাজার মনিটরিং করেন কুমিল্লা জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ
অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলায় অপারেশন ডেভিল হান্টে এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আরাফাতুল।
গ্রেপ্তারকৃত তিনজন হলেন: ছাত্রলীগের সদর দক্ষিণ উপজেলার একটি ইউনিয়নের সদস্য ফয়সাল তানভীর তামিম (১৭), মুরাদনগর উপজেলার ৫ নম্বর পূর্বধইর
(পশ্চিম) ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক জীবন মিয়া (৪৫) ও দাউদকান্দি উপজেলার
সুন্দলপুর ইউনিয়নের যুবলীগের সদস্য আলাউদ্দিন অজি (৪৮)।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে তামিমকে শিশু আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া জীবন মিয়ার বিরুদ্ধে একটি রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। আর আলাউদ্দিন অজি হত্যার মামলায় এজাহারনামীয় আসামি।
মন্তব্য করুন
ভারতীয় সীমান্তে পাচারের সময় ৪৪০ কেজি
ইলিশ মাছ জব্দ করেছে বিজিবি।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত
করেছেন ৬০ বিজিবির অধিনায়ক এ এম জাবের বিন জব্বার।
তিনি বলেন, প্রথম প্রহরে কুমিল্লা জেলার
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী মনোরা নামক স্থানে পাওয়া যায় এসব ইলিশ।
তিনি জানান, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সীমান্ত
পিলার ২০৫৭২-এস হতে ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মনোরা নামক স্থানে এসব ইলিশ পাওয়া
যায়৷ এসময় কাউকে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, বিজিবি আসার খবরে এসব ইলিশ ফেলে পালিয়ে
যায় চোরাকারবারিরা।
৪৪০ কেজি ইলিশ মাছের মূল্য ৯ লাখ ৬৮
হাজার টাকা। ইলিশগুলো বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর বুড়িচংয়ের আনন্দপুর
সীমান্তে সাড়ে ৬০০ কেজি ইলিশ জব্দ করেছিলো বিজিবি।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় বিদেশি পিস্তলসহ আদর্শ সদর উপজেলা পাঁচথুবী ইউনিয়ন বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক খোকন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
আজ (শুক্রবার) সকালে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেনাবাহিনী।
গ্রেপ্তারকৃত খোকন মিয়া (৫৫) পাঁচথুবী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। সে আদর্শ সদর উপজেলা পাঁচথুবী ইউনিয়ন চাঁনপুর গ্রামের মৃত ইউনুস মিয়ার ছেলে।
শুক্রবার ভোর ৫টায় অভিযান চালিয়ে তার কাছ থেকে ১টি ৭.৬৫ মিমি. পিস্তল ও একটি খালি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানতে পারে, চাঁনপুর এলাকার খোকন মিয়া অবৈধ একটি পিস্তল তার বাসায় না রেখে এক শিশুর মাধ্যমে পাশের বাড়ির জহিরুল হকের বাসায় পাঠান। পরে অভিযান চালিয়ে জহিরুল হকের বাসা থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে জহিরুল হক স্বীকার করেন পিস্তলটি খোকন মিয়ার। বিভিন্ন সূত্রে নিশ্চিত হওয়া যায় অস্ত্রটির প্রকৃত মালিক খোকন মিয়া।
সেনাবাহিনী জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামি ও অস্ত্র কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে। কুমিল্লাকে অবৈধ অস্ত্রমুক্ত রাখতে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
মন্তব্য করুন
১৬ কেজি গাঁজাসহ ডিএনসি-কুমিল্লার হাতে
আটক ০২ নারী।
ডিএনসি কুমিল্লার উপপরিচালক চৌধুরী
ইমরুল হাসান এরঁ সার্বিক তত্বাবধানে ও উপপরিদর্শক মো: মুরাদ হোসেন এর নেতৃত্বে ১৪ ফেব্রুয়ারি
২০২৫ তারিখ সকাল ০৮:০০ ঘটিকায় কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন নিমসার এলাকায় কুমিল্লা
টু ঢাকাগামী এশিয়া ট্রান্সপোর্ট নামীয় বাসে তল্লাশি করে ১৬ কেজি গাঁজাসহ মোসা: রুনু
আক্তার(৩৭) ও আঞ্জুমান আক্তার সুমাইয়া(২০) কে আটক করা হয়।
আটককৃত আসামি রুনু আক্তার (৩৭) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানার মুরাদপুর মৃত চারু মিয়ার মেয়ে।
অপর আসামী আঞ্জুমান আক্তার সুমাইয়া(২০) কোতয়ালী থানার মৃত সুমন মিয়ার মেয়ে এবং রাব্বি
হোসেনের স্ত্রী।
জানা যায়, অল্প
সময়ে অধিক উপার্জনের লোভে তারা বারবার মাদক বহনের কাজে জড়িয়ে পড়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর
চোখ ফাঁকি দেয়ার জন্য মাদক ব্যবসায়ীরা কৌশল হিসেবে মহিলাদের মাদক বহনের কাজে ব্যবহার করছেন।
আসামীদের বিরুদ্ধে উপপরিদর্শক মো: মুরাদ
হোসেন বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় নিয়মিত মামলা
দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন