

স্বরাষ্ট্র
উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন
অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর করতে বিজিবি সদস্যদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি
বলেন, জাতীয় নির্বাচনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাশাপাশি
বিজিবিও প্রস্তুত আছে। নির্বাচনে ৩৫ হাজার বিজিবি সদস্য মোতায়েন থাকবে বলে জানান তিনি।
তিনি
বলেন, কোথাও কোন ধরনের ছাড় দেয়া হচ্ছে না। দেশের মধ্যে অপরাধ করে যাতে কেউ সীমান্ত
দিয়ে পার হতে না পারে সে জন্য স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে কঠোর নজরদারি রাখা হচ্ছে।
আজ
বিজিবি দিবস ২০২৫ উপলক্ষে বিজিবি সদর দপ্তরে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে
তিনি এ কথা বলেন।
পদক
প্রদান শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিজিবির খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারবর্গকে
সংবর্ধনা ও উপহার সামগ্রী প্রদান করেন।
স্বরাষ্ট্র
উপদেষ্টা জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে বিজিবি সদস্যদের সহায়তা
চান।
এছাড়া
সীমান্তে চোরাচালান রোধে বিজিবি সদস্যদের কঠোর ও কৌশলী হওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।
বক্তব্যের
শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজিবি সদস্যদের অপরিসীম সাহস ও আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার
সঙ্গে তিনি স্মরণ করেন। একইসঙ্গে উপদেষ্টা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধের
সকল শহিদকে। এছাড়া গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে
আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদকে, যাঁদের আত্মদানে উন্মোচিত হয়েছে শোষণ ও বৈষ্যমহীন দেশ গড়ার
নতুন পথ। তিনি আরো স্মরণ করেন এ আন্দোলনে যাঁরা আহত হয়েছেন এবং পঙ্গুত্ববরণ করেছেন
তাদেরকে।
অনুষ্ঠানে
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর
মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত
ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র
উপদেষ্টা বলেন, বিজিবি এক সুদীর্ঘ ও গৌরবময় ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। বিজিবি এক 'ত্রিমাত্রিক'
বাহিনী হিসেবে দেশের সীমান্ত সুরক্ষা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা ও জনকল্যাণমূলক কাজে
অনন্য ভূমিকা রাখছে। বিজিবি’র উন্নয়নে সরকার সর্বাত্নক প্রচেষ্টা
অব্যাহত রেখেছে।
বিজিবি
সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জাতীয় স্বার্থকে সমুন্নত রেখে সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরীর
ন্যায় দায়িত্ব পালন করতে হবে। সীমান্ত দিয়ে কোন মাদক প্রবেশ করবে না। স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে
অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি
আরও বলেন, যে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারি চোরাকারবারী ও মাদক পাচারকারীদের সহায়তা করে
কিংবা সাহায্য করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাই সর্বদা
সজাগ এবং সতর্ক থাকতে হবে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সীমান্ত সমস্যা সমাধানে অত্যন্ত
কৌশলী ও যোগ্যতার পরিচয় দিতে হবে।
সীমান্তে
চোরাকারবারীদের আইনের আওতায় আনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সীমান্তে প্রয়োজনে আইন-শৃঙ্খলা
বাহিনীকে জেলা প্রশাসনের সাথে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে
হবে।
স্বরাষ্ট্র
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ থেকে কোন অপরাধী, সন্ত্রাসী সীমান্ত দিয়ে যেন পালাতে না পারে
সে বিষয়ে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
সীমান্ত
রক্ষার পবিত্র দায়িত্বের পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার যে কোনো
দায়িত্ব সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে পালন করতে বিজিবি সদস্যদের প্রতি আহ্বান
জানান তিনি।
তিনি
বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, 'সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী' হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের
আস্থার প্রতীক হয়ে বিজিবি তার গৌরবময় অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে।
বিভিন্ন
ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য অনুষ্ঠানে ৭২ জনকে পদকে ভূষিত করা হয়।
পরে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী কেক কেটে
বিজিবি দিবস ২০২৫-এর উদ্বোধন করেন।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল
আলম বলেছেন, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসে
সবচাইতে ভালো নির্বাচন। গণঅভ্যুত্থানের মুল উদ্দেশ্য হচ্ছে- বাংলাদেশে যাতে গণতন্ত্র
ফিরে আসে। এজন্য একটি ফ্রি এন্ড ফেয়ার নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সবধরনের
পদক্ষেপ নিয়েছে।
আজ শনিবার (২৮ জুন) বিকেলে খুলনা জেলা
প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে খুলনার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে শফিকুল আলম এসব কথা
বলেন।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, খুলনার
দিকে বর্তমান সরকারের যথেষ্ট দৃষ্টি রয়েছে। যদিও তাৎক্ষণিকভাবে এর ফলাফল দেখা যাচ্ছে
না। তবে, আগামীতে ভালো ফলাফল দেখা যাবে। বিগত আওয়ামী সরকার একটি ভঙ্গুর অর্থনীতি রেখে
গেছে। যে কারণে খুলনার জুট ও চিংড়ি সেক্টরে প্রত্যাশিত গ্রোথ হয়নি। বরং জুট মিলগুলো
যেভাবে বন্ধ করেছে তা নিয়েও অনেক প্রশ্ন রয়েছে। তবে, খুলনায় একাধিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে। বর্তমান সরকার খুলনার একটিসহ দেশের তিনটি জুট মিলের
স্কুল সরকারি করেছে। দেশের প্রত্যেকটা জুট মিলের স্কুল সরকারি করা হবে বলেও তিনি জানান।
মোংলা বন্দর কেন্দ্রিক একটি ইকোনমিক
জোন গড়ে তোলার জন্য কাজ চলছে উল্লেখ করে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, এজন্য প্রাইভেট
সেক্টরকে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যেই প্রধান উপদেষ্টা চীন সফরকালে এ
বিষয়ে তাদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
আগামী দশক খুলনার জন্য গ্রোথের দশক
হবে উল্লেখ করে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, খুলনা আবার ঘুরে দাঁড়াবে, পুরনো গৌরব ফিরে
পাবে।
খুলনা অঞ্চলের উপকূলের বেড়িবাঁধ রক্ষা
এবং ভবদহ নিয়েও সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, সাতক্ষীরার
শ্যামনগর ও গাবুরায় স্থাপনকৃত সুপেয় পানির প্রজেক্ট বাড়িয়ে সকল উপকূলীয় এলাকায় চালুর
উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া ক্ষতিগ্রস্তদের
জন্যও একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
খুলনা অঞ্চলে পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহ
না থাকা সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, গ্যাস ছাড়াও অনেক
কারখানা পরিচালিত হচ্ছে। বিশেষ করে খুলনায় জুতা এবং ব্যাটারি সেক্টর অনেক সম্ভাবনা
তৈরি করেছে। সুতরাং গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে দক্ষ শ্রমিক দিয়ে কিভাবে কর্মসংস্থান
বৃদ্ধি করা যায় সরকার সেদিকে জোর দিচ্ছে।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে সার্চ কমিটির মাধ্যমে
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ভিসি নিয়োগ দিয়ে সমস্যার সমাধানের
উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
খুলনাসহ দেশের সার্বিক আইনশৃংখলা পরিস্থিতির
উন্নতির কথা উল্লেখ করে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, যারা ক্রাইম করবে তাদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো
টলারেন্স রয়েছে।
শফিকুল আলম সরকারের মৌলিক সংস্কারের
প্রসংগ উল্লেখ করে বলেন, প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে সংস্কারের মাধ্যমে স্বচ্ছতা ফিরে এসেছে।
একই সঙ্গে সুশাসনও প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।
মন্তব্য করুন


স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল
(অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, যারা পরিস্থিতি অবনতি করার চেষ্টা করবে তাদের কোনো
অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাঙ্গামাটি
রিজিয়নের প্রান্তিক হলে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের
তিনি এ কথা বলেন। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাঙামাটি জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের
প্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে সরকারের উচ্চপর্যায়ের
প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম
চৌধুরী বলেন, একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন এবং এর সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে।
কোনো অবস্থায় পরিস্থিতি অবনতি করা যাবে না। যারা পরিস্থিতি অবনতি করার চেষ্টা করবে
তাদের হাত ভেঙে দেওয়া হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার,
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে বাহির
থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমাদের কোথাও যেন ছন্দপতন ঘটছে। এর পেছনের ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত
করা হবে।
সভায় পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা,
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ, পুলিশের
আইজিপি মইনুল ইসলাম, সেনাবাহিনীর চট্টগ্রামের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাইনুর রহমান,
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় বিভিন্ন নেতারা
উপস্থিত ছিলেন।
সভায় স্থানীয়দের মধ্যে বিএনপি, জনসংহতি
সমিতি, জাতীয় পার্টি, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন,
পার্বত্য নাগরিক পরিষদ, পরিবহন মালিক শ্রমিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন পরামর্শ
তুলে ধরেন।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘‘পুরোনো ব্যবস্থার রাজনীতি ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে নতুন ব্যবস্থার রাজনীতিতে আগামীর বাংলাদেশ পরিচালিত হবে”। যেই রাজনীতি হবে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে, খুনের বিরুদ্ধে, ধর্ষণের বিরুদ্ধে, মামলাবাজদের বিরুদ্ধে, দুর্নীতি-অন্যায়-অনাচারের বিরুদ্ধে। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর যুব বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত যুব ম্যারাথন কর্মসূচির উদ্বোধনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরও বলেন, তারুণ্যের নতুন বাংলাদেশ বিনির্মান না হওয়া পর্যন্ত ম্যারাথন চলবেই। যত বাঁধা, ভয়ভীতি আসুক আমরা থেমে যাবো না। আমরা জাতির স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করব, ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, আগামীর নির্বাচনে কোনো ধরনের কারিগরি ষড়যন্ত্র জনগণ হতে দেবে না। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে কোনো আনুকূল্য চাই না কিন্তু কমিশন যদি কারো প্রতি আনুকূল্য দেখায় তবে সেটি বরদাস্ত করা হবে না। কালো টাকায় কেউ মানুষকে কেনার চেষ্টা করলে মানুষ মুখে ছাঁই মেরে দেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন। দেশপ্রেমে উজ্জীবিত জাতিকে কেউ কালো টাকায় কিনতে পারবে না।
আমীরে জামায়াত বলেন, পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী পূর্ব পাকিস্তানের ওপর অবিচার করার কারণে, বৈষম্যের সৃষ্টি করায় মানুষ ফুঁসে উঠেছিল। যারা ৭০ এর নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছিল তারা জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বৈষম্যহীন শাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলবেন। কিন্তু দেশ স্বাধীনের পর তারা ক্ষমতায় বসে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছিল। তারা বহুদলীয় গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়েছিল, মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। রক্ষী বাহিনী গঠন করে যখন যাকে ইচ্ছে তাকে খুন করা হয়েছিল, মা-বোনদের ইজ্জত লুন্ঠন করা হয়েছিল। বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে পরিবারতন্ত্রের শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের ছেলেরা ব্যাংক ডাকাতি করেছিল। বিদেশী দাতা সংস্থাদের দান করা খাদ্য সামগ্রী ও অর্থ লুট করা হয়েছিল। তাদের সাড়ে চার বছরের দুঃশাসন মানুষকে বিদ্রোহী করে তুলেছিল। কে তাদেরকে হত্যা করেছিল?- একাত্তরের রণাঙ্গনে নেতৃত্ব দেওয়া জাতীয় বীরদের হাতেই তারা হত্যার শিকার হয়েছিল। কেন হত্যার শিকার হয়েছে সেই উত্তর আওয়ামী লীগকেই খুঁজতে হবে। ৭২ এর ১০ জানুয়ারী, ৯৬ এর ১০ জানুয়ারী, ২০০৯ সালের ৭ জানুয়ারী তারা তিনবার ক্ষমতায় এসেছে। ৯৬ সালে তারা ক্ষমতায় আসার আগে অতীতে তাদের দল যেই খুন করেছে, জুলুম করেছে তা স্বীকার করে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছিল। জনগণ সরল বিশ্বাসে তাদেরকে ক্ষমতায় বসানোর পর তারা আবার নিজের রূপে ফিরে আসে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী চট্রগ্রামে গিয়ে ঘোষণা দিয়েছিল তার দলের একজন মারা গেলে ১০ জনকে হত্যা করা হবে। একজন প্রধানমন্ত্রী কতটা দায়িত্ব জ্ঞানহীন হলে এমনটা বলতে পারে। সেই সময় তারা মানুষকে হত্যা করে খালে-বিলে লাশ ফেলেছে।
পরবর্তীতে তারা ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পল্টন মোড়ে মানুষকে সাপের মতো পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। শুধু তাই নয় হত্যার পর তারা লাশের উপর নৃত্য করেছিল। যেই দৃশ্য দেখে পুরো বিশ্ব ব্যথিত হয়েছে। ২০০৯ সালে আবার ক্ষমতায় এসে তারা প্রথমেই পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল। একে একে তারা জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে হত্যা করেছিল। শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ড চালিয়ে এদেশের আলেম-ওলামাদের হত্যা করেছিল। তাদের শাসনামলের ১৫ বছরে এমন কোনো জনপদ নেই যেখানে আওয়ামী লীগের জুলুম থেকে মানুষ রক্ষা পেয়েছে। যার কারণে জুলাই আন্দোলনে তাদের বিরুদ্ধে পুরো দেশবাসী ফুঁসে উঠেছিল। তারা জনরোষের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। এখন তারা পলাতক থেকেই চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে। তাদের টার্গেট এখন এদেশের তরুণ ও বিপ্লবীরা। সেই টার্গেটের অংশ হিসেবে তারা জুলাইয়ের অন্যতম শীর্ষ নেতা ওসমান হাদীকে হত্যা চেষ্টা করেছে। ওসমান হাদীর কিছু হলে বিপ্লবীরা বসে থাকবে না। আওয়ামী লীগ ভেবেছে ওসমান হাদীকে শেষ করতে পারলে কিংবা কয়েকজন বিপ্লবীকে শেষ করতে পারলে তারা সফল হবে কিন্তু না! বিপ্লবীর সংখ্যা তারা কমাতে পারবে না। বরং ক্রমেই বিপ্লবী তরুণদের সংখ্যা বাড়বে। তরুণরা আওয়ামী লীগের সকল অপশক্তি রুখে দিতে প্রস্তুত রয়েছে। আমীরে জামায়াত, উপস্থিত যুব সমাজকে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত ম্যারাথন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
উদ্বোধনী সভায় কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘‘রাজপথে বিজয়ে, চলো এক সাথে বাংলাদেশ গড়ি’’- স্লোগানে জামায়াতে ইসলামী সকলকে সঙ্গে নিয়ে আগামীর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে প্রস্তুত। আজকের এই যুব ম্যারাথন অতীতের বস্তা পঁচা রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে নতুন ধারার রাজনীতির বার্তা দেয়। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা যেই স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছিলাম সেই বাংলাদেশে মানুষের স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়নি। ৭১ এর চেতনা বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণেই চব্বিশে নতুন চেতনায় নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে জুলাই বিপ্লব অর্জিত হয়েছে। জুলাই চেতনার নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবেই, হবে। বুলেট-বোমাকে ভয় না করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণ যুব সমাজকে দৃঢ় শপথ নিতে হবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ কামাল হোসেনের পরিচালনায় যুব ম্যারাথন কর্মসূচির উদ্বোধনী সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক প্রমুখ। এসময় কেন্দ্রীয় এবং ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী সভা শেষে, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে যুব ম্যারাথন উদ্বোধন করেন। যুব ম্যারাথনে অর্ধ লাখ তরুণ যুবক অংশগ্রহন করেন। ম্যারাথনটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে শুরু করে শাহবাগ-সাইন্সল্যাব হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউতে গিয়ে শেষ হয়।
মন্তব্য করুন


ডাকাতির প্রস্তুতিকালে রাজশাহীর কাটাখালী এলাকা থেকে কিশোর গ্যাং ‘জনি বাহিনী’র প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করেছে র্যাব। রাজশাহীর ভয়ংকর কিশোর গ্যাং হিসেবে পরিচিত জনি বাহিনী।
শনিবার (৮ জুন) দিনগত রাতে জনি বাহিনীর ৯ জনকে আটক করা হয় কাটাখালীর শ্যামপুর পশ্চিমপাড়া থেকে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ধারালো চাকু ও ৩টি টিপ চাকু উদ্ধার করেছেন র্যাব।
র্যাব-৫ রাজশাহীর সিপিএসসি মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাদের ৯ জনকে আটক করে। আটককৃতরা হলো: জনি বাহিনীর প্রধান জনি ইসলাম (২৩), আবদুল মান্নান খাঁ (২০), আবু হানিফ (১৯), কুরমান আরী (২২), মাসুম আলী (২৭), মো. সাগর (২০), টিপু সুলতান (২০), নুরমান ইসলাম (২০) ও সুজন আলী (৩০)।
রোববার দুপুরে র্যাব-৫ এর সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আটককৃতরা চাঁদাবাজি, জমিদখল ও ভাড়ায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। এলাকায় তারা ‘জনি গ্যাং’ বা ‘জনি বাহিনী’ হিসেবে পরিচিত। অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও মারামারিসহ বিভিন্ন অপরাধে ১০টি মামলা রয়েছে বাহিনীর প্রধান জনির বিরুদ্ধে।
র্যাব-৫ এর সদর দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, জনি বাহিনীর সদস্যরা শনিবার রাতে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় খবর পেয়ে জনি বাহিনী’র প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে নিজ কার্যালয়ে নিয়ে যায় র্যাব।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রোববার দুপুরে তাদের কাটাখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া আটককৃতদের নামে মামলা দেওয়া হয়। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন


সরকারি চাকরি (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ
২০২৫ এর অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ
বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক
বিভাগের ভেটিং-সাপেক্ষে সরকারি চাকরি (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ চূড়ান্ত অনুমোদন
করা হয়েছে।
এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে তার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের
বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া সভায় বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস ১৫
মার্চের পরিবর্তে ৩ ডিসেম্বর, ‘আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস’
‘খ’ শ্রেণি হিসেবে অন্তর্ভুক্তকরণ এবং ২ এপ্রিল ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ ঘোষণার
প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
পাশাপাশি ওআইসি লেবার সেন্টারের সংবিধিতে
সই প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে এবং পারমাণবিক জ্বালানি এবং তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার
নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) কর্তৃক ১৯৯৭ সালের
৫ সেপ্টেম্বরে গৃহীত ব্যয়িত জ্বালানি ব্যবস্থাপনার নিরাপত্তা এবং তেজস্ক্রিয় বর্জ্য
ব্যবস্থাপনার নিরাপত্তা বিষয়ক যৌথ কনভেনশনে সইয়ের প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়।
মন্তব্য করুন


সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লারসহ সব ধরনের মুরগির দাম কমেছে। একই সঙ্গে উৎপাদন বাড়ার নতুন পেঁয়াজ ও আলুর দামও কমেছেতবে শীতকালীন সবজির বাজার স্থিতিশীল আছে।
১৯ জানুয়ারি শুক্রবার রাজধানীর তালতলা ও শেওড়াপাড়া বাজার ঘুরে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চলতি সপ্তাহে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। যা গত সপ্তাহে ২১০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সপ্তাহ ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। এসব বাজারে সোনালি কক, সোনালি হাইব্রিড কক ও লেয়ার মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। বাজারগুলোতে সোনালি কক ৩০০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ২৯০, দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫২০ ও লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
পাইকারি বাজারে মুরগির দাম কমায় খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। তবে মুরগির দামের কারণে বিক্রি তুলনামূলক কমেছে বলেও জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে শেওড়াপাড়া বাজারে মুরগি বিক্রেতা সোহেল বলেন, সপ্তাহ ব্যবধানে সব ধরনের মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। দুই মাস ধরেই মুরগির বাজারে অস্থিরতা চলছে। এতে করে আমাদের বিক্রি অর্ধেকে নেমেছে। তবে পাইকারি বাজারে দাম কমায় আমরাও দাম কমিয়ে বিক্রি করছি।
চলতি সপ্তাহে এসব বাজারে নতুন পেঁয়াজ ১০ টাকা কমে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ দেশিটা (পুরাতন) ১০০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে শীতকালীন সবজি দাম স্থিতিশীল রয়েছে। তবে নতুন আলুর কেজিতে ১০ টাকা কমে ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও এই আলু ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম ৫০ থেকে ৭০, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৫০ থেকে ৬০, কাঁচা টমেটো ৩০, কচুরমুখী ১০০ এবং গাজর ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ফুলকপি প্রতিটি ৪০ থেকে ৬০ টাকা ও বাঁধা কপি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার এসব বাজারে বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, করলা ৭০, ঢেঁড়স ১০০, পটল ৮০, বরবটি ১২০, ধুন্দুল ৮০, চিচিঙ্গা ৮০, খিরাই ৪০ থেকে ৫০, শশা ৬০, পেঁপে ৪০, ধনে পাতা ১০০ থেকে ১৫০, মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা, নতুন আলু ৬০, নতুন উঠা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে, ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০, পেঁয়াজের ফুলকলি ৬০ ও কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০, কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায় ও জালি কুমড়া ৪০ টাকা প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০, মূলা শাক ১০ থেকে ১৫, পালং শাক ১৫ ও কলমি শাক ১০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১০৫০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২০০ ও দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকা।
শুক্রবার এসব বাজারে মাছের দাম অপরিবর্তিত আছে। বাজারগুলোতে ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা, এক কেজি শিং মাছ (চাষের, আকারভেদে) ৩০০ থেকে ৫০০, রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০, মাগুর মাছ ৭০০ থেকে ৯০০, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০, পাঙাস ২০০ থেকে ২২০, চিংড়ি ৬০০ থেকে ৮০০, বোয়াল মাছ ৪০০ থেকে ৯০০, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০, তেলাপিয়া ২২০, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০, মলা ৫০০, বাতাসি টেংরা ৯০০, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৭০০, কাচকি মাছ ৬০০, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০, রুপচাঁদা ১০০০, বাইম মাছ ১০০০ থেকে ১২০০, দেশি কই ১০০০, সোল মাছ ৬০০ থেকে ৮০০, আড়ই মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


যেখানেই অন্যায়, সেখানেই প্রতিবাদ করুন।
আগামী দিনে কেউ যদি ক্ষমতার অপব্যবহার করে, অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতি করে ও সুদ, ঘুষ
ও মাদকের সাথে জড়িত থাকে তাহলে তার গঠনমূলক প্রতিবাদ করুণ। সরাসরি না হলে সামাজিক যোগাযোগের
মাধ্যমে করুন। এটি না করলে আবারও দেশে একই সংস্কৃতি তৈরি হবে বলে জানান সমন্বয়ক সারজিস
আলম।
রবিবার (২০ অক্টোবর) সকালে পঞ্চগড় সরকারি
বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন তিনি।
সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘প্রতিবাদ
করতে গিয়ে যদি আপনারা কোনো সমস্যার সম্মুখীন হন পুরো বাংলাদেশে আপনাদের জন্য ফাইট করতে
যা যা করা দরকার আমরা তা করব। তবে গুজবে কান দেওয়া যাবে না। বিগত ১৬ বছরে দেশের পরিস্থিতি
নিয়ে, রাজনীতি ও প্রশাসন নিয়ে কথা বলতে অনেকবার ভাবতে হত। আন্দোলনে অংশ নেওয়া কারো
হাত নেই কারো পা নেই। কেউ আর কখনো পৃথিবীর আলো দেখবে না। কেউ কোনোদিন আর হাঁটতে পারবে
না। শহীদের সংখ্যা দুই হাজারেরও বেশি। আহতের সংখ্যা প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার। জনগণের
সরকার ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য জনগণের ওপর অত্যাচার করতে পারে না। কিন্তু জনগণের চেয়ে
তাদের কাছে ক্ষমতার মূল্যটা অনেক বেশি ছিল।
এ ছাড়া ভালোভাবে পড়াশুনা করা ও প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগে স্মার্ট ফোন ব্যবহারে সতর্ক
হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় বক্তব্য প্রদান করেন, বিদ্যালয়ের
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খায়রুল আনাম মো. আফতাবুর রহমান হেলালী, সিনিয়র সহকারী শিক্ষক
শহীদুল ইসলাম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন পঞ্চগড়ের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী। পরে পঞ্চগড়
বিপি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিয়ম করেন তিনি।
মন্তব্য করুন


নির্বাচন কমিশন (ইসি) আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে ৬৫৩ জন বিচারিক হাকিমকে ১ জানুয়ারি প্রশিক্ষণ দেবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্টদের পাঠিয়েছেন ইসির আইন শাখার উপ-সচিব মো. আব্দুছ সালাম।
প্রশিক্ষণ নিয়ে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনী অপরাধসমূহ আমলে নেওয়া ও তা সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচারের নিমিত্তে সারাদেশে ৩০০ সংসদীয় আসনে নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত ৬৫৩ জন প্রথম শ্রেণির বিজ্ঞ বিচারিক হাকিমদের ১ জানুয়ারি ১০টা থেকে দিনব্যাপী আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ব্রিফিং/প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে।
ব্রিফিং/প্রশিক্ষণে বিজ্ঞ বিচারিক হাকিমদের নির্ধারিত তারিখ ও স্থানে সকাল ৯টায় নিবন্ধন সম্পন্ন করে দিনব্যাপী ব্রিফিং/প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করতে হবে।
মন্তব্য করুন


সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি আজ
সোমবার (১১ নভেম্বর) চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি (বিএমএ)'তে ৭ম সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে গৌরবমন্ডিত 'হল অব ফেইম' এ অন্তর্ভুক্ত হন।
এ সময় সেনাবাহিনী প্রধানের সহধর্মিনীও উপস্থিত ছিলেন।
বর্ণাঢ্য সামরিক জীবনের অধিকারী সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ২০ ডিসেম্বর ১৯৮৫ তারিখে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি হতে ১৩ বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সাথে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করে কোর অব ইনফেন্ট্রি'তে কমিশন লাভ করেন। উল্লেখ্য, তিনি গত ২৩ জুন ২০২৪ তারিখে ১৮তম সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে জিওসি, আর্টডক; কমান্ড্যান্ট, ইবিআরসি; জিওসি, ২৪ পদাতিক ডিভিশন; এ্যাডজুটেন্ট জেনারেল; কমান্ড্যান্ট, বিএমএ; সামরিক সচিবসহ সেনাসদর, চট্টগ্রাম সেনানিবাস এবং বিএমএ'র উর্ধ্বতন ও বিভিন্ন পদবীর সেনাকর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিপিএলের উদ্বোধন
ঘোষণা করেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)
শুরু হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর।
এ সময় ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
বলেন, আমরা একটা দীর্ঘ লড়াইয়ের পর আজকের এই বাংলাদেশে আছি। আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ
গড়ার স্বপ্ন দেখছি। সেই নতুন বাংলাদেশের অংশ হিসেবে আমরা দেশের প্রতিটি সেক্টরে সংস্কারের
উদ্যোগ নিয়েছি। তারই অংশ হিসেবে বিপিএলটাকেও নতুন করে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এবারের বিপিএলে থিম সং ও মাসকটসহ কিছু নতুন নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মাঠের খেলাও যেন
উপভোগ্য হয়। সেজন্য বিসিবি অনেক কাজ করেছে। আজকের এই আয়োজনকে সফল করার জন্য ও একটি
সুন্দর বিপিএল সবাইকে উপহার দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বিসিবিকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের
এই উদ্যোগের সঙ্গে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা নিজেও সরাসরি যুক্ত ছিলেন। আশা করি এবারের
বিপিএলে নতুন বাংলাদেশের একটি নতুন বিপিএল হিসেবে সবার নিকট উপভোগ্য হবে।
মিরপুরে আজকের বিপিএল ফেস্টে বিসিবি
সভাপতি ফারুক আহমেদ ছিলেন মঞ্চে।
মন্তব্য করুন