

মো: মাসুদ রানা,কচুয়া ॥
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ৫নং পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিন উদ্দিন বাপ্পি সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ড. আনম এহছানুল হক মিলনের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার কারণে তাঁর ছবি সম্বলিত ছবি দিয়ে নিজ বাড়ির প্রধান গেইট সুসজ্জিত করেছেন। এর পাশাপাশি তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত ছবি একেছেন। তাঁর এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানান উপজেলা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ। সোমবার সকালে উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারী সহ অন্যান্যরা যুবদল নেতা মহিন বাপ্পির বাড়ির গেইট পরিদর্শন করেন। এসময় তারা নেতার প্রতি এমন ভালোবাসায় মুগ্ধতা ও প্রশংসা করেন।
উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারী বলেন, মহিন বাপ্পি হামলা-মামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্যাতনের শিকার হয়েও দলকে ও তার নেতাকে ভুলে যায়নি। হামলা-মামলা ও নির্যাতনের শিকার হলেও তিনি কখনোই দলকে ভুলে যাননি এবং প্রিয় নেতা মিলন ও তার আদর্শ বুকে ধারণ করে আজও দলের সাথে মিশে আছেন তিনি। তার এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
মন্তব্য করুন


মুরাদুল ইসলাম মুরাদ, কুড়িগ্রাম:
জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা জাসাস রাজিবপুর উপজেলা শাখার আয়োজনে ২২ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাসাস রাজিবপুর উপজেলা শাখার কর্মী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাসাস জেলা শাখার আহ্বায়ক জাকি মোঃ আহসান হাবিব সজিব এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম। কর্মী সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাসাস জেলা শাখার সদস্য সচিব নুর জামাল বাহাদুর। জাসাস রাজিবপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আকবর হোসেনের সঞ্চালনায় কর্মীসভায় সভাপতিত্ব করেন জাসাস রাজিবপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ মাহে আলম। কর্মী সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি রাজিবপুর উপজেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মাহবুব রশিদ মন্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, যুবদল রাজিবপুর উপজেলা শাখার সদস্য সচিব মিরন মোঃ ইলিয়াস, আহ্বায়ক রোস্তম মাহমুদ লিখন, স্বেচ্ছাসেবক দল রাজিবপুর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক মোঃ মোজাম্মেল হক, সদস্য সচিব মোঃ কামাল হোসেন বিএসসি, কৃষক দল রাজিবপুর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক মোঃ সুরমান আলী সাবেক মেম্বার, সদস্য সচিব মোঃ আবু সাঈদ কাসেম, ছাত্রদল রাজিবপুর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক মোঃ মোখলেসুর রহমান, সদস্য সচিব নাজমুল মাহমুদ, কলেজ শাখার আহ্বায়ক মোঃ পলাশ মাহমুদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা, কচুয়া প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়ায় চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
এদিকে ফলন কাটতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে এবার এ উপজেলা ৪ হাজার ৮শ ৭৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ১৮০ হেক্টর। লক্ষমাত্রার চেয়ে এ বছর ৩০৫ হেক্টর জমিতে বেশি আবাদ হয়েছে আমন ধানের। ইতিমধ্যে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর আমন ধান কর্তনের শুভ উদ্বোধন করেছেন। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের বিভিন্ন ধানক্ষেত ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ ক্ষেতের ধানই পেকে গেছে। অনেকে আবার আগাম লাগানো রোপা ধান কাটা-মাড়াই শুরু করেছেন।
জানা যায়, কচুয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে মূলত আগাম ধান লাগানো হয়। সাধারণত এসব অঞ্চলের মাটিতে বছরে ৩-৪টি ফসল চাষাবাদ করেন কৃষকরা। এবার নানান প্রতিকূলতার মধ্যে আমন ধান লাগাতে হয়েছে। সময়মতো বর্ষার পানি না পাওয়া এবং তেলের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছিলেন তারা। এতে খরচ বেশি হয়েছে। তবে ফলন ভালো হওয়ায় আশায় বুক বাধছেন কৃষকরা।
আমন ধান কাটার পরে এই জমিতে আলু চাষ করা হবে। দোয়াটি গ্রামের কৃষক বাবুল ও সজিব হোসেন বলেন, এবার ধান চাষের সময় বৃষ্টির পানি না পাওয়ায় সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময়ে চারা রোপণ করতে পারিনি। তারপরও ফলন ভালো হয়েছে। প্রায় জমির ধান পেকে গেছে। কয়েক দিনের মধ্যে ধান কাটা-মাড়াই শুরু করবো।
পালাখাল গ্রামের কৃষক ওমর ফারুক, শাহজালাল, ইমান হোসেন বলেন, জমিতে আমন ধান চাষ করেছি। শুরুর দিকে বর্ষার পানি ছিল না। পরে আমন চাষের জন্য যথেষ্ট পানি পেয়েছি। আল্লাহর রহমতে ফসল খুব ভালো হয়েছে।
কচুয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, কচুয়ায় চলতি মৌসুমে রোপা ও বোনা আমন ধান লক্ষমাত্রা হেক্টর চেয়ে বেশি চাষাবাদ করেছে কৃষকরা। ইতিমধ্যে ধান কাটা শুরু হয়েছে। এ বছর কচুয়াতে আমান ধানের ভালো ফলন হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন


নিজস্ব প্রতিবেদন:
কুমিল্লার সুপরিচিত সমাজসেবক ও দক্ষিণ চর্থার স্থায়ী বাসিন্দা মো. আবুল হোসেনের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক,দৈনিক আজকের জীবনের কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি নেকবর হোসেনের বাবা মরহুম আবুল হোসেন ২০১৩ সালের ৩০শে নভেম্বর ৬৪ বছর বয়সে হঠাৎ করেই দুনিয়ার মায়া ছাড়েন। পরিবারের ভাষ্য মতে, মৃত্যুর সময় তিনি কোনো কষ্ট পাননি, কাউকেও কষ্ট দিয়ে যাননি—যা তাঁর সৎ, সরল ও শান্ত জীবনযাপনেরই প্রতিফলন।
জীবদ্দশায় তিনি কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ চর্থা এলাকায় শিক্ষা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, কবরস্থান উন্নয়নসহ বিভিন্ন সামাজিক ও অবকাঠামোগত কর্মকাণ্ডে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। একজন ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি নিজ কর্মজীবনে সততার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন এবং অবসর সময় সমাজসেবামূলক কাজে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে নিয়োজিত রাখতেন। তাঁর সাদামাটা জীবনযাপন ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা আজও এলাকাবাসীর মনে গভীরভাবে জায়গা করে রেখেছে।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর পরিবার দক্ষিণ চর্থা এলাকার বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসায় কোরআন খতম, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে। পাশাপাশি তিনটি এতিমখানার ছাত্রদের জন্য দুপুরের খাবারের বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। একইসঙ্গে সমাজসেবামূলক সংগঠন ‘মুভ ফর চেঞ্জ ফাউন্ডেশন’ এবং রক্তের বাঁধনে চর্থাবাসীর উদ্যোগে বাদ আসর দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
প্রয়াত মো. আবুল হোসেনের রূহের মাগফিরাত কামনায় পরিবারের সদস্যরা, আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন। তাঁর রেখে যাওয়া সৎ পথের দৃষ্টান্ত ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ৮৪ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক
ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১,সিপিসি-২।
আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন পশ্চিম রাজাপাড়া এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে অভিনব কৌশলে মিনি পিকআপের পিছনে মাছ রাখার ড্রামের মধ্যে লুকিয়ে গাঁজা পরিবহণের সময় আসামী রাকিবুল হাসান নামের একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৮৪ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি মিনি পিকআপ উদ্ধার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী রাকিবুল হাসান (২২) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার বাশমঙ্গল গ্রামের দুলাল মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা সহ অন্যান্য জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়াতে সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিনব কৌশল অবলম্বন করে মাদকদ্রব্য পরিবহণ করতো। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪ এ কুমিল্লা জেলা পুলিশ সারাদেশে সেরা হবার গৌরব উজ্জ্বল কৃতিত্ব অর্জন করেছে ।
চলমান পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪ এর দ্বিতীয় দিনে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স এ ২০২৩ সালে মাদকদ্রব্য উদ্ধার, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার অভিযান ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সার্বিক কার্যক্রম মূল্যায়নে কৃতিত্ব অর্জনকারী কুমিল্লা জেলা পুলিশকে পুরস্কার প্রদান করেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম ।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল কামরান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম (বার) পুরস্কার গ্রহণ করেন ।
সারা দেশে পুলিশের সকল ইউনিটের মধ্যে মাদকদ্রব্য উদ্ধারে ১ম স্থান, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সার্বিক কার্যক্রম মূল্যায়নে ১ম স্থান ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে ২য় স্থান অর্জন করেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ।
কুমিল্লা জেলা পুলিশের জন্যে এটি এক গৌরবময় অর্জন।
কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম (বার) জেলা পুলিশের অপরাধ শাখাসহ সকল ইউনিটের সদস্যদের ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।
মন্তব্য করুন


কুড়িগ্রামে বিশ্ব ইজতেমার উদ্দেশ্যে মুসল্লিদের নিয়ে ছেড়ে যাওয়া একটি রিজার্ভ বাসে মুসল্লি সেজে মাদক পাচারের সময় গাঁজাসহ আঙুর হোসেন নামের এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাগেশ্বরী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপ কুমার সরকার।
এর আগে গতকাল (বুধবার) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, নাগেশ্বরী থানা পুলিশের একটি টিম গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রাতে নাগেশ্বরী বাসস্ট্যান্ড থেকে ছন্মবেশে বিশ্ব ইসতেমার রির্জাভ বাসে মুসল্লি সেজে মাদক পরিবহন করে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় ওই বাসের মুসল্লিদের সহায়তায় নাগেশ্বরীর আঙ্করনগর (নতুন বাজার) গ্রামের মাদক কারবারি মোঃ আঙ্গুল হোসেন (৩০) কে সাড়ে ১০ কেজি গাঁজাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মন্তব্য করুন


ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের
‘শ্লীলতাহানি’র ঘটনার আন্তঃজেলার তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকার
সাভার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত হওয়া তিনটি মোবাইল
ফোন, একটি ছুরি ও ২৯ হাজার ৩৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মানিকগঞ্জের দৌলতপুর সদর উপজেলার লাউতারা গ্রামের মো. বদর উদ্দিন শেখের ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম ওরফে মুহিত (৩০), শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মো. ইসমাইল মোল্লার ছেলে মো. সবুজ (৩০) এবং ঢাকার সাভার উপজেলার টানগেন্ডা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মো. শরীফুজ্জামান (২৮)।
এ বিষয়ে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো.
মিজানুর রহমান তার কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিংএর মাধ্যমে তিনি জানান, এ ঘটনায় দায়িত্ব
অবহেলার কারণে মির্জাপুর থানার এএসআই আতিকুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগে বাসে ডাকাতির ঘটনায় বাসের যাত্রী ওমর আলী বাদী হয়ে শুক্রবার ভোর রাতে মির্জাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইউনিক রোড রয়েলস্
পরিবহনের ঢাকা কোচটি (ময়মনসিংহ-ব-১১-০০৬১) ঢাকার গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে
রাজশাহীর নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এসময় বাসটিতে ৩০ থেকে
৩৫ জন যাত্রী ছিল। পরে রাত ১২টার দিকে হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছার সেখানে
থেকে আরও ১০ থেকে ১২জন যাত্রী নিয়ে বাসটি পুনরায় রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা করে। পরে
বাসটি গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন চন্দ্রা বাইপাসে পৌঁছালে চা-বিরতির জন্য
থামে। সেখান ১০ থেকে ১৫ মিনিট চা বিরতির সময় চন্দ্রা বাইপাস থেকে আরও তিন থেকে চার
জন নতুন যাত্রী নিয়ে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা করে বাসটি। বাসটি ওইদিন রাত দেড়টার
দিকে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন হাইটেক সিটি পার্ক সংলগ্ন খাড়াজোড়া
ফ্লাইওভার ব্রিজ অতিক্রম করার ৫ থেকে ৬ মিনিট পর হঠাৎ যাত্রীবেশে থাকা বাসে ৮ থেকে
৯ জন ডাকাত এক সঙ্গে দাঁড়িয়ে যায় এবং ধারালো চাকু ও চাপাতি দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার
ভয় দেখিয়ে সবাইকে চুপ থাকতে বলে। এসময় তাদের মধ্যে তিনজন অজ্ঞাতনামা ডাকাত
গাড়িচালকের গলায় ধারালো চাকু ধরে টানা হেঁচড়া করে কিলঘুষি মেরে তাকে উঠিয়ে নিয়ে
পেছনে উল্টা করে রাখে। ডাকাতদের মধ্যে থেকে একজন চালকের আসনে বসে বাসটি নিয়ন্ত্রণ
নেয় এবং বাসটি চালিয়ে টাঙ্গাইলের দিকে রওনা হয়। পরে মির্জাপুর উপজেলার সোহাগপাড়া
সাকিনস্থ ফুটওভার ব্রিজের প্রায় ১০০ গজ পশ্চিম পার্শ্বে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের
ওপর পৌঁছালে ডাকাতদলের ৬ থেকে ৭ জন সদস্য গাড়িতে থাকা অন্যান্য যাত্রীদের ধারালো
চাকু ও চাপাতি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এসময় যাত্রীদের বলে, ‘তোদের সঙ্গের টাকা
পয়সাসহ যার যা কিছু আছে সব দিয়ে দে’। এসময় যাত্রীদের কাছে থাকা টাকা, মোবাইল ফোন,
স্বর্ণালংকার ও রূপাসহ সব মালামাল ছিনিয়ে নেয়। পরে ডাকাতদলের সদস্যরা মির্জাপুরের
নাটিয়াপাড়া নাছির গ্লাসের সামনে থেকে ইউটার্ন নিয়ে ঢাকার দিকে রওনা করে। তারা দুই
থেকে আড়াই ঘণ্টা গাজীপুরের কালিয়াকৈর, কোনাবাড়ীসহ গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরায়
এবং এই সময়ের মধ্যে যাত্রীদের ধারালো চাকু ও চাপাতি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
একপর্যায়ে দুই নারীর ‘শ্লীলতাহানি’ করা হয়।
এজহারে আরও বলা হয়েছে- সব যাত্রীদের টাকাসহ অন্যান্য মালামাল লুট
করে রাত ৪টার দিকে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন বাড়ইপাড়া এলাকার নন্দন পার্কের
সামনে গাড়িটি টাঙ্গাইল অভিমুখে থামিয়ে চালককে ভয় দেখিয়ে বলে, ‘১০ কিলোমিটারের
মধ্যে গাড়িটি কোথাও থামালে তোকে জানে মেরে ফেলবো, আমরা তোদের গাড়ির পেছনে পেছনে
আছি’ এই বলে ডাকাতদলের সদস্যরা মালামাল ও টাকা পয়সাসহ গাড়ি থেকে নেমে চলে যায়।
পরে চালক গাড়ি নিয়ে চন্দ্রা মোড়ে গেলে গাড়িতে থাকা যাত্রীরা জাতীয়
জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে ঘটনার বিষয়ে পুলিশকে জানালে কিছুক্ষণের মধ্যে টহল পুলিশ
সেখানে উপস্থিত হয়। তখন গাড়িতে থাকা যাত্রীরা ডাকাতির বিষয়ে বিস্তারিত জানালে
কালিয়াকৈর থানাধীন চন্দ্রা এলাকার টহলরত পুলিশ মির্জাপুর থানায় যাওয়ার পরামর্শ
দিলে চালক গাড়ি নিয়ে মির্জাপুর বাসস্ট্যান্ডে যায়। তখন কয়েকজন যাত্রী ও গাড়ির
সুপারভাইজার মির্জাপুর থানায় গিয়ে ডিউটি অফিসারকে বিষয়টি মৌখিকভাবে অবগত করলে
মামলা না নেওয়ায় তারা পুনরায় রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরে নাটোর জেলার
বড়াইগ্রাম থানা মোড়ে গেলে গাড়ি থেকে তিন থেকে চার যাত্রী নেমে স্থানীয় লোকজনের
সহায়তায় গাড়ির চালক, হেলপার ও সুপারভাইজার ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে সন্দেহে
গাড়িটি আটক করে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, ডাকাতির ঘটনায় মামলা হওয়ার
১৪ ঘণ্টার মধ্যেই এ ঘটনায় জড়িত আন্তঃজেলা ডাকাতদলের তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার
করেছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে আদালতে হাজির করে
পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে। এছাড়া দায়িত্ব অবহেলায় মির্জাপুর থানার ডিউটি
অফিসার উপ পরিদর্শক (এএসআই) আতিকুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


১
কোটি টাকা অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে আওয়ামী দোসরদের নিয়ে কুমিল্লা কেমিস্ট অ্যান্ড
ড্রাগিস্ট সমিতি কমিটি কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা,
মাদক ব্যবসায়ী, আওয়ামী রাজনীতিতে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে জড়িতরা কমিটিতে স্থান পেয়েছে।
কেন্দ্রীয় কমিটিতে এখনো আওয়ামী দোসররা বসে আছে। তাই এ কমিটিও দোসরমুক্ত হয়নি।
শনিবার
(৩১ মে) দুপুরে কুমিল্লা সদরের আলেখারচর বিশ্বরোড এলাকার মেডিসিন কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে
সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন সদ্য ঘোষিত কমিটির সহ-সভাপতি মোরশেদুল হক খোকন।
লিখিত
বক্তব্যে খোকন আরো বলেন, সম্প্রতি আওয়ামী
দোসরদের একটি অংশ তাদের অপকর্ম ঢাকার জন্য মিথ্যে তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেছেন- কুমিল্লায় দুই ব্যক্তির কাছে ঔষধ ব্যবসায়ীরা জিম্মি ।
প্রকৃতপক্ষে চিত্রটা ভিন্ন। সদ্য ঘোষিত কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের পরিবার। তারা যাচাই-বাছাই করে মামলা দায়ের করেছেন। এতে আমাদের কোন হাত নেই। কারণ এখানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা রয়েছে, রয়েছে প্রশাসন। তাই এখানে অন্য কেউ চাইলেও কাউকে আসামি করতে পারবে না। ফলে তাদের এই অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। আওয়ামী দোসররা মেডিসিন ব্যবসায়ী শিল্পী ও রুবেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। প্রকৃতপক্ষে তারাই অবৈধ মেডিসিন ব্যবসার সাথে জড়িত। ব্যবসার আড়ালে মাদক ব্যবসাও করছেন। বিভিন্ন সময় অবৈধ মেডিসিন ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেছে। মূলত সদ্য ঘোষিত কমিটিতে আটজন আওয়ামী লীগের দোসর রয়েছে, যারা প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগে রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তারা আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা, সভা- সমাবেশে উপস্থিত থাকতেন। বিভিন্ন এমপি সাথে বিভিন্ন প্রোগ্রামে তাদের ছবি রয়েছে। সেই অপবাদ ঢাকার জন্য তারা এখন শিল্পী ও রুবেলের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ এনেছেন। যা নিন্দনীয়। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
সদ্য
ঘোষিত কমিটিতে সভাপতি পদে থাকা মো: আব্দুল আলীম ভূইয়ার সাথে কুমিল্লা সদরের সাবেক সংসদ
সদস্য হাজী বাহার ও চান্দিনা সংসদীয় আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রাণ গোপালের জনসভা এবং
স্থানীয় সাবেক কুসিক কাউন্সিলর সরকার মাহমুদ জাবেদের সুসম্পর্ক ছিল। তাদের সাথে মো: আব্দুল আলীম ভূইয়ার উপস্থিতির ছবি রয়েছে। ১৯৯৬
সালে রেইসকোর্সে অবস্থিত গ্লাক্সো ফার্মাসিটিক্যালস এর ২০ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের মূল
পরিকল্পনাকারী ও ১৭ বছর আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা ও আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতাকারি
আব্দুল আলীম।”
এই
কমিটির সিনিয়র সভাপতি মো: নুরুল আলম চৌধুরীর ( নোমান) মা নাজমা আক্তার চান্দিনা উপজেলা
পরিষদের মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান ছিলেন।
কমিটির
সহ-সভাপতি মেসার্স লাবোনি মেডিকেল হলের মালিক এ.কে.এম মোস্তাফিজুর রহমান (শাহজাহান)
আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা ছিলেন। এছাড়া তিনি সদরের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী বাহার
ও চান্দিনার সাবেক সংসদ সদস্য প্রাণ গোপাল, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ নিয়াজ
পাভেলের কাছের মানুষ ছিলেন। এই কমিটির সদস্য মেসার্স নিউ গ্রিণ ফার্মেসীর মালিক এনায়েত
উল্লাহ মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালিন কমিটিতে সদস্য ছিলেন। সর্বশেষ মহানগর আওয়ামী
লীগের কমিটিতে উপদেষ্টা পদ পান তিনি। কমিটির সদস্য মেসার্স নাড়িখান মেডিকেল হলের মালিক
মো: শামীম আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা ছিলেন।
সদস্য
মেসার্স নিউ মেডিকেল হলের মালিক বাবু ধনঞ্জয় কুমার দত্ত আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন।
স্থানীয় কাউন্সিলর সরকার মাহমুদ জাবেদের রাজনীতিতে অর্থ যোগান দিতেন বলে জানা গেছে।
সদস্য মেসার্স যমুনা মেডিকেল হলের মালিক নিখীল চন্দ্র দত্ত আওয়ামী সমর্থক ছিলেন এবং
সদস্য মেসার্স রিয়া মেডিকেল হলের মালিক প্রহল্লাদ চন্দ্র দত্তের বিরুদ্ধে মেডিসিন ব্যবসায়
নানা অনিয়ম করেছে।
আওয়ামী
দোসর, অর্থ যোগানদাতা ও মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। যা নিন্দনীয়।
এই ঘটনা ২৪ এর আন্দোলন কে কলঙ্কিত করেছে। আমরা চাই অতিসত্বর এই দোসরদের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হোক।
সংবাদ
সম্মেলনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মেডিসিন ব্যবসায়ী আবু বকর সিদ্দিক শিল্পী ও রুবেল
সহ আরো অনেকে। সংবাদ সম্মেলন শেষে মেডিসিন কমপ্লেক্সের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত
হয়।
মন্তব্য করুন


রোববার দুপুরে নাটোরের নলডাঙ্গায় ১১টি মোটরসাইকেলে গ্রামবাসীর ওপর সন্ত্রাসীরা আক্রমণের চেষ্টা চালাচ্ছে—এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন সেনাসদস্যরা। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার পচারমোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সোমবার (১২ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নলডাঙ্গা থানার ওসি মোহা. মনোয়ারুজ্জামান বলেন, রোববার দুপুরে ২০ থেকে ২২ জনের একটি দল পচারমোড় এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রামবাসীর ওপর আক্রমণের চেষ্টা চালায়। এ সময় এলাকাবাসী সেনাবাহিনী টহল দলকে বিষয়টি জানালে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সশস্ত্র দল ১১টি মোটরসাইকেল রেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
সেনাসদস্যরা সন্ত্রাসীদের রেখে যাওয়া মোটরসাইকেলগুলো জব্দ করে থানায় হস্তান্তর করেছেন ।
মোটরসাইকেল মালিকদের চিহ্নিত করতে কাজ চলছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার বানিয়াপাড়া এলাকায় ৩০ লাখ টাকার কাপড়সহ একটি
কাভার্ডভ্যান ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ
সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার (২৬ জুলাই) দিবাগত রাত ১টার দিকে ‘নিরাপদ ট্রান্সপোর্ট’
কোম্পানির মালবাহী কাভার্ডভ্যানটি দাউদকান্দির বানিয়াপাড়ায় পৌঁছালে ছিনতাইকারীদের কবলে
পড়ে। ছিনতাইকারীরা গাড়িচালককে জিম্মি করে গাড়ি ও মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায়
দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী
ব্যবসায়ীদের অধিকাংশই কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বাসিন্দা। জানা গেছে, ওই দিন তারা
নরসিংদীর বাবুরহাট বাজার থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকার কাপড় ক্রয় করেন এবং তা ‘নিরাপদ ট্রান্সপোর্ট’-এর
কাভার্ডভ্যানে করে চান্দিনায় পাঠানো হচ্ছিল।
চান্দিনার
ব্যবসায়ী তাপস মজুমদার জানান, আমরা ১৮ জন একসঙ্গে কাপড় কিনে কাভার্ডভ্যানে পাঠিয়েছিলাম।
বানিয়াপাড়ায় পৌঁছালে একটি পিকআপ এসে কাভার্ডভ্যানের গতি রোধ করে এবং ছিনতাইকারীরা চালককে
সরিয়ে দিয়ে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়।
অপর
ব্যবসায়ী রাজীব নন্দী বলেন, আমি প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকার কাপড় কিনেছিলাম। হঠাৎ রাতে
খবর পাই গাড়ি ছিনতাই হয়েছে। এতে আমরা সবাই দারুণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।
নিরাপদ
ট্রান্সপোর্টের চান্দিনা ব্রাঞ্চ ম্যানেজার সনত কুমার নন্দী জানান, ছিনতাইকারীরা চালককে
মারধর করে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং তার মোবাইল থেকে বিকাশ অ্যাকাউন্টের পিন নম্বর জেনে
৫ হাজার টাকা তুলে নেয়। পরে চালক ভোরে তাদের বিষয়টি জানান। ঘটনার পরপরই দাউদকান্দি
থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
দাউদকান্দি
মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জুনায়েদ চৌধুরী জানান, ঘটনার পর থেকে পুলিশ মালামাল
ও কাভার্ডভ্যান উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে। এরইমধ্যে সন্দেহভাজন হিসেবে রিপন মিয়া
(২৮) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত
রিপন ভোলা জেলার শশীভূষণ উপজেলার হাজিরগঞ্জ গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। মামলার তদন্ত
কর্মকর্তা এসআই রবিউল ইসলাম জানান, রিপনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কুমিল্লা বিচারিক আদালতে
৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
এ
ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দ্রুত মালামাল উদ্ধার এবং ছিনতাইকারীদের
গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন