

দলীয়
সিদ্ধান্ত অমান্য করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক
বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
বিএনপির
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোটেক রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য
জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে
আরও বলা হয়, বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আসন্ন
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনটি শরিক দল জমিয়তে উলামায়ে
ইসলামকে ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি। এ আসনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের মনোনয়ন পেয়েছেন জমিয়তের
সহসভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব।
এ
আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও দলটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক
সহসম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
তবে
মনোনয়ন না পেলেও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা
দিয়েছেন।
এর
আগে রুমিন ফারহানা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা দিয়ে পদত্যাগের
কথাও বলেছিলেন।
এ
বিষয়ে গণমাধ্যমকে রুমিন ফারহানা বলেছিলেন, যদি ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার হয় দল অবশ্যই
ব্যবস্থা নেবে। আমি তো বাধা দিতে পারব না। তবে মনোনয়ন কেনার আগেই সম্মানের সঙ্গে দল
থেকে পদত্যাগ করব।
মন্তব্য করুন


জাতীয়
সংসদের দক্ষিণ প্লাজা সংলগ্ন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আগামীকাল বুধবার বাদ জোহর সাবেক
প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। দাফন করা হবে চন্দ্রিমা উদ্যানে শহীদ
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে।
দুপুরে
উপদেষ্টা পরিষদের সভা শেষে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি জানান, বৈঠকে বিশেষ আমন্ত্রণে অংশ নিয়েছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম
আলমগীর। তিনি খালেদা জিয়ার পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে জানাজা ও দাফনের বিষয়ে উপদেষ্টা
পরিষদকে অবহিত করেছেন।
মঙ্গলবার
উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠক শুরু হয় এক মিনিটি নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে। আসিফ নজরুল
বলেন, গোটা জাতির মতো সরকারে যারা আছেন তারাও শোকাহত। উপদেষ্টা পরিষদের সভায় খালেদা
জিয়ার মৃত্যুতে বুধবার থেকে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। আগামীকাল
সাধারণ ছুটি।
সরকার
জানাজা ও দাফন ঘিরে সব ধরনের সহযোহিতা দেবে। সভায় প্রধান উপদেষ্টা বেগম জিয়ার স্মৃতিচারণ
করেন। সবশেষ সেনাসদরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার আলাপ হয়েছিল। তিনি সভায়
সেদিনের স্মৃতিচারণ করেন।
আইন
উপদেষ্টা বলেন, দেশের ইতিহাসে বেগম জিয়ার অবদান অবিনশ্বর হয়ে থাকবে। এমন একজন নেত্রীর
চলে যাওয়াটা একটি বিশেষ মুহূর্ত। সবাই শোকাহত। সবার উচিত জানাজা ও দাফনে যথাযথ সম্মান
প্রদর্শন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা।
উপদেষ্টা
পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্বে বাংলাদেশের যত দূতাবাস ও হাইকমিশন আছে সেগুলোতে
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক বই খোলা হবে।
এদিকে
দুপুরে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন,
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গোটা জাতি আজ গভীর
শোক ও বেদনায় আচ্ছন্ন। তাঁর ইন্তেকালে আমরা এক মহান অভিভাবককে হারিয়েছি। দেশের গণতান্ত্রিক
রাজনীতিতে তাঁর অবদান ইতিহাসে অম্লান হয়ে থাকবে।
মন্তব্য করুন


স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, আওয়ামী লীগ শাসনামলে দমনপীড়নের মধ্যেও যারা ন্যূনতম সাংবাদিকতার চেষ্টা করতেন, তাদের ওপরও নেমে আসত নির্যাতনের খড়গ।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘প্রশ্ন নয়, প্রশংসা করতে এসেছি’ এই ছিল হাসিনার সংবাদ সম্মেলনের ধরন। এই দমনপীড়নের মধ্যেও যারা ন্যূনতম সাংবাদিকতার চেষ্টা করতেন, তাদের ওপর নেমে আসত নির্যাতনের খড়গ। যেসব কারণে জুলাই অনিবার্য হয়ে উঠেছিল, তার মধ্যে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়াও ছিল অন্যতম।
পোস্টে আরো বলা হয়, শিল্পী দেবাশিস চক্রবর্তী জুলাই প্রিলিউড সিরিজের ৯ ও ১০ নম্বর পোস্টার এঁকেছেন গণমাধ্যমের স্বাধীনতাহীনতা ও চাটুকারিতাকে থিম করে।
জুলাই ২০২৪-এর অন্যতম যোদ্ধা এই শিল্পী সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে এসব পোস্টার ডিজাইন করছেন। এসব পোস্টারে ফুটে উঠেছে জুলাই কেন অনিবার্য হয়ে উঠেছিল এবং সেই সময়ে কী ঘটেছিল।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, শিল্পী দেবাশিস চক্রবর্তীর আঁকা দশটি পোস্টারে ফুটে উঠেছে কেন জুলাই অনিবার্য হয়ে উঠেছিল এবং জুলাইয়ে কী ঘটেছিল। ‘আমার চাওয়ার কিছু নেই। আমি আসছি মানুষকে দিতে’ মুখে এমন কথা বললেও স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ফেনা তুললেও ভেতরের চিত্র কী ছিল, তা এখন উন্মোচিত। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় লাগামহীন ও অবিশ্বাস্য মাত্রার লুটপাট আওয়ামী লীগ আমলের এক বড় নির্দেশক।’
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আরো লিখেছেন, শিল্পী দেবাশিস চক্রবর্তী জুলাই প্রিলিউড সিরিজের ৫ থেকে ৮ নম্বর পোস্টার এঁকেছেন এই লুটপাটকে থিম করে। জুলাই ২০২৪-এর অন্যতম যোদ্ধা শিল্পী দেবাশিস চক্রবর্তী সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে ‘জুলাই কোমেমোরেশন’ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে এসব পোস্টার ডিজাইন করছেন। শুরুতে দশটি পোস্টার ধারাবাহিকভাবে প্রকাশের পরিকল্পনা থাকলেও সবার অনুরোধ ও অনুপ্রেরণায় তিনি পোস্টারের সংখ্যা বাড়াতে সম্মত হয়েছেন। এসব পোস্টারে ফুটে উঠছে জুলাই অনিবার্য হয়ে ওঠার কারণ এবং যা ঘটেছিল জুলাইয়ে।
(সূত্র- বাসস)
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে
টেকসই সংহতি এবং বর্ধিত সহায়তার জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, এমন
সহায়তার প্রয়োজন যাতে আর্থিক সংকট লাঘব করা যায় এবং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর
জন্য বাংলাদেশের সহায়তা আরো জোরদার করা যায়।
আজ
মঙ্গলবার (৩ জুন) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন
লুইস প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই আহ্বান জানান।
সাক্ষাৎকালে
তাঁরা রোহিঙ্গা সংকট এবং রোহিঙ্গাদের জন্য আর্থিক সহায়তার চলমান চ্যালেঞ্জ নিয়ে গুরুত্ব
সহকারে আলোচনা করেন।
তাঁরা
উভয়ে অর্থায়নের ব্যাপক কাটছাঁটে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন, যা ইতোমধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর
শিক্ষা ও অন্যান্য জরুরি কার্যক্রমে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
আবাসিক
সমন্বয়ক গোয়েন লুইস অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে দৃঢ় সহযোগিতার প্রশংসা করেন এবং উভয়
নেতা বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
তাঁরা
সরকারের উচ্চাকাঙ্ক্ষী সংস্কার কার্যক্রম শক্তিশালী করতে জাতিসংঘ কীভাবে ব্যাপক সহায়তা
দিতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করেন।
আবাসিক
সমন্বয়ক বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের জন্য একটি নির্বিঘ্ন
রূপান্তর নিশ্চিত করতে গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন।
আবাসিক
সমন্বয়কারী বাংলাদেশের সংস্কার ও সংস্কারপ্রক্রিয়ার সঙ্গে তার অবিচল সংহতি পুনর্ব্যক্ত
করেন এবং টেকসই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে জাতিসংঘের সমর্থনের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন।
মন্তব্য করুন


যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া বলেছেন,
১৯৭৫ সালের সিপাহী-জনতার বিপ্লব এবং ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান একই সামাজিক-রাজনৈতিক
প্রেক্ষাপট থেকে সৃষ্টি হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের সিপাহী-জনতার বিপ্লবের প্রেক্ষাপট ২০২৪
সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটের সঙ্গে অনেকটাই সাদৃশ্যপূর্ণ। প্রকৃতপক্ষে,
এই দুটি গণআন্দোলনের পেছনের পরিস্থিতির মধ্যে খুব সামান্যই পার্থক্য রয়েছে।
আজ শুক্রবার জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে
জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে
‘নভেম্বর থেকে জুলাই : বিপ্লব থেকে বিপ্লবে’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন
তিনি।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া বলেন,
স্বাধীনতার পর একটি ন্যায়ভিত্তিক ও কার্যকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থতা-এই দুই ঘটনার
পটভূমি তৈরি করেছিল। স্বাধীনতার পর যারা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন, তারা দুর্নীতি
ও লুটপাটে জড়িয়ে পড়েন। এর ফলেই ১৯৭৫ সালের সিপাহী-জনতার বিপ্লবের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়
এবং প্রায় একই পরিস্থিতি ২০২৪ সালেও পুনরাবৃত্তি ঘটে। ১৯৭৫ সালের পর থেকেই বাংলাদেশ
একটি কার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে যাত্রা শুরু করে- যখন দেশ প্রতিষ্ঠানিক গঠন, সামরিক বাহিনীকে
শক্তিশালীকরণ এবং আঞ্চলিক রাজনীতিতে ভূমিকা রাখার মতো কার্যক্রম শুরু করে, এসব বিষয়গুলো
আজও প্রাসঙ্গিক।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের
অবদানের কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান কল্যাণমুখী রাজনীতির
সূচনা করেন এবং একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র কাঠামো গঠনে কাজ করেন। আজও দেশ তাঁর স্থাপিত
ভিত্তির ওপর পরিচালিত হচ্ছে, যা আমাদের রাজনৈতিক ও নীতিগত আলোচনায় প্রতিফলিত হয়।
এ সময় জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক
প্রেক্ষাপট ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড নিয়েও আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
সভাপতি রিফাত রশিদ। আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান
মজিবুর রহমান মঞ্জু, কবি ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদ ফরহাদ মজহার, ড. আবদুল লতিফ মাসুম এবং
লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান।
মন্তব্য করুন


তথ্য
ও সম্প্রচার, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা
হাসান বলেছেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন একটি শক্ত ভিত্তি তৈরি করবে। এই ভিত্তি
গণতন্ত্রকে সুদৃঢ় করবে এবং সরকারকে জনগণের কাছে জবাবদিহির আওতায় আনবে। বৈষম্যহীন ও
শোষণমুক্ত সমাজ গড়ার যে স্বপ্ন এখনো পূর্ণতা পায়নি, সেই লক্ষ্য অর্জনের যাত্রা এখান
থেকেই শুরু করা সম্ভব হবে।’
আজ
সোমবার ( ১৬ ডিসেম্বর ) ঢাকায় সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন
শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা
বলেন, ‘শুধু নির্বাচন নয়, এবার গণভোটের মাধ্যমেও সংস্কার প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে
জনগণ তাদের মতামত জানাতে পারবে। এর ওপর ভিত্তি করে গণতন্ত্রের যাত্রা নতুন রূপে শুরু
হতে পারে।’
রিজওয়ানা
হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রতিপক্ষকে দমন করতে যুক্তি ও তর্কের বদলে হত্যাচেষ্টার
মতো সহিংস পন্থা নেওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। এটি নিন্দনীয় ও কাপুরুষোচিত।
তিনি
বলেন, ‘শক্তি থাকলে জনগণের মুখোমুখি হতে হবে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণের সামনে যাওয়ার
পথ সবারই জানা।’ তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিপক্ষকে ঘায়েল
করার যে সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে, নতুন বাংলাদেশে তার কোনো স্থান নেই। এই সরকার তখনই সফল
হবে, যখন সুষ্ঠু নির্বাচন, বিচার এবং সংস্কারের যে লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছে,
তা বাস্তবায়ন করা যাবে।’
তথ্য
উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারের লক্ষ্য একটি শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও স্বতঃস্ফূর্ত নির্বাচন
নিশ্চিত করা। মানুষ যেন নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে। তবে এই প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার জন্য
একটি শক্তি সক্রিয় রয়েছে। সেই শক্তিকে প্রতিহত করার পাশাপাশি সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে
তোলাও প্রয়োজন।
মন্তব্য করুন


যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, রাজনৈতিক দলের ব্যাপারে যে রিউমার বা কথাবার্তা
শোনা যাচ্ছে, অনেকেই শুনতে চাচ্ছেন আমাদের থেকে, কথা হচ্ছে এ বিষয়ে এর আগেও আমরা স্পষ্টভাবে
বলেছি যে এখনই রাজনৈতিক দল খোলার কোনো অভিপ্রায় আমাদের নেই। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে
যা আছেন তাদের ক্ষমতার অভিলাস নেই।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আরও
বলেন, আপনারা জানেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যারা আছেন তাদের পেশাগত জীবন আছে। সবাই
সেখানে ফিরে যেতে চাই। দেশের মানুষ গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে দায়িত্ব দিয়েছেন সেটা
যথাযথভাবে পালন করা, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফল ঘটিয়ে একটি নির্বাচনের মাধ্যমে
গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরীর
তেরখাদিয়া এলাকায় জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শক অধিদপ্তরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এসব
কথা বলেন।
উপদেষ্টা আসিফ আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
বলেন, আমরা যে সংস্কারের কথা বলেছি, সেটা ছিল এক দফা সংস্কার। শেখ হাসিনার সরকারের
পতন হয়েছে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। এক দফার মূল অংশ ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ। এই
ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপের জন্য যে সংস্কারগুলো অত্যাবশ্যকীয় সেগুলো করার ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হয়েছে। এগুলো জনগণের ম্যান্ডেটের ভিত্তিতেই হয়েছে। জনগণ নির্বাচন বা ক্ষমতার
পালাবদলের জন্য অভ্যুত্থানে আসেনি। যদি আসত তাহলে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগেই আসত
বলে আমি মনে করি। অভ্যুত্থান হয়েছে স্পষ্টভাবে এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিলুপ্তের জন্য।
যে ব্যবস্থা বিদ্যমান আছে যদি এটার সংস্কার করে দিয়ে যেতে না পারি তাহলে যে দলই ক্ষমতায়
আসুক স্বৈরতান্ত্রিক একটা সিস্টেমের মধ্যে সে নিজেও স্বৈরাচার হতে বাধ্য হবে। সে কারণে
আমরা মনে করি, দেশের জনগণ যেভাবে দেশকে গড়তে চাইবে, পুনর্গঠনের যে প্রস্তাবনা মানুষের
মধ্য থেকে আসবে সেটার বাস্তবায়ন করা আমাদের দায়িত্ব।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান
পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুর রহিম খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, শ্রম
ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম সফিকুজ্জান, আইএলও-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুওমো
পুটিআইনেন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, রাজশাহী নগরীর তেরখাদিয়া
এলাকায় ১৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহীতে নবনির্মিত জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা
বিষয়ক গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠানটি দক্ষিণ এশিয়ায় পেশাগত স্বাস্থ্য
ও নিরাপত্তা বিষয়ক একটি উল্লেখযোগ্য স্থান হতে চলেছে। দেশের শিল্প কলকারখানাসমূহে নিরাপদ
কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ ও শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে এই প্রতিষ্ঠানটি।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের নিরাপত্তা, অগ্রগতি ও জাতি গঠনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান সত্যিই প্রশংসনীয়। দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আপনারা যে ত্যাগ ও নিষ্ঠা প্রদর্শন করেছেন, তা দৃষ্টান্তমূলক।’
আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারিতে আমাদের জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটে সত্যিই একটি ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করতে হবে। এটি শুধু একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হবে না, বরং শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করবে। ভোটাররা যখন ভোট দিতে বের হবেন, তা উৎসবমুখর হবে এবং জাতি গর্বের সঙ্গে স্মরণ করবে যে তারা দেশের ভাগ্য পরিবর্তনের একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তে অংশ নিয়েছেন।’একইসঙ্গে তিনি জাতীয় নিরাপত্তা, অগ্রগতি, জাতি গঠন এবং সংকটকালে জনগণের পাশে দাঁড়ানোয় সশস্ত্র বাহিনীর অবদানের প্রশংসা করেন।
আজ রাজধানীর মিরপুর সেনানিবাসে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স (এনডিসি) ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স (এএফডব্লিউসি)-২০২৫-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং মহামারীর মতো সংকটে সশস্ত্র বাহিনীর অব্যাহত প্রচেষ্টা দেশের জনগণের কল্যাণে তাদের প্রস্তুতি ও অটল নিষ্ঠার প্রমাণ বহন করে।’ বাহিনীর সদস্যদের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বৈশ্বিক শান্তিতে অবদান রাখার জন্যও ধন্যবাদ জানান, যা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতি
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় তিনি দেশবাসীকে দোয়া ও প্রার্থনা করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানের এই আনন্দময় মুহূর্তে আসুন আমরা সকল বাংলাদেশীর সঙ্গে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি আমাদের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।’
স্নাতক সম্পন্ন করা অফিসারদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকের গ্র্যাজুয়েশন আপনার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স এবং আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স সফলভাবে সম্পন্ন করা সত্যিই একটি বড় অর্জন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি আপনার জীবনের স্মরণীয় মুহূর্ত। এই অর্জন বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও অধ্যবসায়ের প্রতিফলন। এখন আপনি উচ্চতর দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রস্তুত, যা আপনাকে জাতীয় নিরাপত্তা, রাষ্ট্র পরিচালনা, নীতি নির্ধারণ, কৌশল প্রণয়ন এবং জাতীয় উন্নয়নের জটিলতাগুলো বোঝার ক্ষমতা প্রদান করবে।’
ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, কলেজটি এমন নেতৃবন্দ গড়ে তোলার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যারা জটিল ও ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নিজেকে নিবেদিত করতে সক্ষম হবেন।
তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমরা এমন এক এক সময়ে আছি যখন অর্থনৈতিক কেন্দ্রীকরণের গুরুত্ব এশিয়ার দিকে স্থানান্তরিত হচ্ছে, বাংলাদেশ এমন একটি কৌশলগত অবস্থানে রয়েছে যা অসাধারণ সুযোগ প্রদান করে। ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের জন্য এই অনন্য ভূ-রাজনৈতিক সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে দেশের টেকসই প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করা একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স একটি কৌশলগত স্তরের কোর্স, যা অংশগ্রহণকারীদের জাতীয় নিরাপত্তা বোঝার, বিশ্লেষণ এবং কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম এবং নেতৃত্বের দক্ষতা বৃদ্ধি করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স কৌশলগত ও অপারেশনাল স্তরের ওপর কাজ করে এবং কৌশলগত ও ট্যাকটিক্যাল স্তরের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে সহায়ক। এই কোর্স চলাকালীন, আপনি বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ যেমন সন্ত্রাসবাদ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং সাইবার হুমকি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও বিশ্লেষণে যুক্ত হয়ে পড়েছেন।’
বিদেশি গ্রাজুয়েটদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি আশা করি, এখানে আপনার সময়কালে আপনি এমন বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছেন যা দিগন্ত বিস্তারী যা আমাদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গভীরতর বোঝাপড়া তৈরি করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের উপস্থিতি আমাদের প্রতিষ্ঠানকে সমৃদ্ধ করেছে এবং আমি বিশ্বাস করি, আপনারা আপনার নিজ নিজ দেশে বাংলাদেশের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করবেন। বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সম্পর্ককে আরও মজবুত করবেন। আমি আপনাদের আগামীর জন্য সফলতা কামনা করছি।’
এনডিসির অবদানের প্রশংসা করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ প্রতিষ্ঠার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করেছে। ‘এটি স্বীকার করা গুরুত্বপূর্ণ যে এনডিসি কেবল সামরিক ক্ষেত্রে নয়, ভবিষ্যত নেতৃত্ব গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রতি বছর বেসরকারি প্রশাসন,পররাষ্ট্র ক্যাডার, পুলিশ, আর্মি ও বিডিপির উঁচু পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এনডিসি কোর্সে অংশগ্রহণ করা আমাকে অত্যন্ত আনন্দ দেয়।’
তিনি আরও বলেন, বিদেশি কর্মকর্তাসহ কোর্সটি চিন্তাধারা বিনিময়, বন্ধুত্ব সৃষ্টি এবং বোঝাপড়া সঙ্গতিপূর্ণ করার জন্য অসাধারণ সুযোগ প্রদান করে। ‘আমি কমান্ড্যান্ট, শিক্ষক ও স্টাফদের আন্তরিক প্রশংসা জানাই, যারা ২০২৫ সালের এনডিসি কোর্স এবং সশস্ত্র বাহিনী যুদ্ধ কোর্সটি উৎকর্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করেছেন,’ প্রধান উপদেষ্টা বলেন।
অধ্যাপক ইউনূস কোর্সে অবদান রাখার জন্য রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ রিসোর্স পার্সন এবং বিশেষ বক্তাদের প্রশংসা জানিয়ে বলেন, ‘আমি সেই দেশের সমর্থনকেও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্বীকার করি, যারা স্টাডি ট্যুরের আয়োজন করেছে, যা এই কোর্সের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’
তিনি আরো বলেন,‘ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী যে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ তার মূলমন্ত্র ‘সুরক্ষা থেকে জ্ঞান’ বজায় রাখবে। এই প্রচেষ্টা আপনাদের নতুন ভূমিকা গ্রহণের সময় প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা নির্ধারণে পথ দেখাবে, যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জটিলতা মোকাবিলায় সহায়ক হবে।’
মন্তব্য করুন


পররাষ্ট্র
উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রাখার জন্য সরকার
সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থানে রয়েছে। তিনি বলেন, শুরুতে কিছু চ্যালেঞ্জ থাকলেও পরিস্থিতি
এখন নিয়ন্ত্রণে। পুলিশ বাহিনীও নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছে। সামনে জাতীয় নির্বাচন আইনশৃঙ্খলা
বাহিনীর জন্য একটি বড় পরীক্ষা।
আজ
শনিবার ( ০৬ ডিসেম্বর ) রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সরকারি কর্মকর্তাদের
সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র
উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এই
নির্বাচন হবে ‘আদর্শ নির্বাচন’। নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ হয়, সেজন্য
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য-এই দুই খাতেই
সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। ডাক্তার-নার্স সংকট নিরসনে স্বল্প সময়ে সাড়ে তিন
হাজার নার্স ও তিন হাজার ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আলু
রপ্তানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশ্বে নিয়মিত আলু আমদানি করে এমন দেশ খুবই কম। বিশেষ
পরিস্থিতি না হলে রপ্তানির সুযোগও সীমিত। বিদেশে মানবসম্পদ রপ্তানি বিষয়ে উপদেষ্টা
বলেন, দক্ষতা না থাকায় দেশের কর্মীরা বিদেশে কম বেতন পান। নার্সিং পেশায় বিদেশে বিপুল
চাহিদা রয়েছে। দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে পারলে দেশ উপকৃত হবে।
এছাড়া
রংপুরে পালন করা ছোট জাতের দেশি গরুর মাংসের প্রশংসা করে এর বাণিজ্যিক উৎপাদনে প্রাণিসম্পদ
অধিদপ্তরকে উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
জেলা
প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল আহসানের সভাপতিত্বে সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মারুফাত হুসাইনসহ
বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন।
চার
দিনের সফরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা রংপুরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান পরিদর্শন করছেন। আজ বিকেলে
তিনি রংপুর ক্যাডেট কলেজ ঘুরে দেখার কথা রয়েছে। আগামীকাল রোববার কিশোরগঞ্জের মাগুরা
উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি সৈয়দপুর থেকে ঢাকায়
ফিরবেন।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের
মধ্য দিয়ে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দেশের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে খুবই
আন্তরিক।
এ
খাতের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের পাশাপাশি টেকসই শিল্পায়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারে
বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) ও সংশ্লিষ্ট সকলকে ইতিবাচক ভূমিকা অব্যাহত রাখার
জন্য তিনি আহ্বান জানান।
প্রধান
উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস’ উপলক্ষে আজ দেয়া এক
বাণীতে এসব কথা বলেন।
প্রধান
উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০২৫’
উদ্যাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড
(বিএবি) এর সকল অংশীজন এবং সহযোগী সংস্থাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। দিবসটির এবারের
প্রতিপাদ্য ‘অ্যাক্রেডিটেশন : ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের ক্ষমতায়ন (এসএমই)’, বর্তমান
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
ক্ষুদ্র
ও মাঝারি উদ্যোক্তারা বিশ্ব অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমাদের মোট দেশজ উৎপাদনের একটি বৃহৎ অংশ এসএমই খাত থেকে আসে।
নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও এ খাতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসএমই খাতের
প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিনিয়ত আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা, ক্রেতা ও ভোক্তার
পরিবর্তনশীল চাহিদা এবং আর্থিক সীমাবদ্ধতার মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এ সকল
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে প্রয়োজন সম্মিলিত বৈশ্বিক উদ্যোগ।
তিনি
আরও বলেন, অ্যাক্রেডিটেশন ব্যবস্থা জাতীয় গুণগতমান অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে পণ্য
ও সেবার সরবরাহ ব্যবস্থার সকল পর্যায়ে গুণগতমান নিশ্চিতকরণ, দক্ষ কারিগরি জনবল সৃষ্টি,
বাণিজ্যে কারিগরি বাধা অপসারণ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি করে এ
সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিএবি এ
লক্ষ্যে কাজ করে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ল্যাবরেটরি, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সনদ প্রদানকারী
সংস্থা এবং পরিদর্শন সংস্থাসহ মোট ১৫৫টি সরকারি, বেসরকারি এবং বহুজাতিক সংস্থাকে আন্তর্জাতিক
মান অনুসারে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদান করেছে।’
প্রধান
উপদেষ্টা ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা
করছি।
মন্তব্য করুন


কোনো ব্যক্তি
গুম হওয়ার পর ন্যূনতম ৫ বছর নিখোঁজ থাকলে এবং জীবিত ফিরে না আসলে ট্রাইব্যুনাল তাকে
আনুষ্ঠানিকভাবে ‘নিখোঁজ’ বা ‘ডিসাপিয়ার্ড’ ঘোষণা করতে পারবে এমন বিধান রেখে ‘গুম প্রতিরোধ
ও প্রতিকার অধ্যাদেশ-২০২৫’-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
একইসঙ্গে হাওর ও জলাভূমি রক্ষায় নতুন অধ্যাদেশ এবং সুইজারল্যান্ডের বার্নে নতুন দূতাবাস
স্থাপনের প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক
বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য
জানানো হয়েছে।
অনুমোদিত অধ্যাদেশ
অনুযায়ী, গুম হওয়া ব্যক্তির স্ত্রী বা তার ওপর নির্ভরশীল পরিবারের সদস্যরা কমিশনের
পূর্বানুমতি ছাড়াই নিখোঁজ ব্যক্তির সম্পত্তি ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া সরকার মানবাধিকার
কমিশনের সুপারিশের প্রেক্ষিতে ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইব্যুনাল’-এর জন্য প্রয়োজনীয়
সংখ্যক পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ দিতে পারবে। ভুক্তভোগী বা অভিযোগকারী ব্যক্তিগত উদ্যোগেও
ট্রাইব্যুনাল আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন।
বৈঠকে ‘বাংলাদেশ
হাওর ও জলাভূমি সংরক্ষণ অধ্যাদেশ-২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। অপরিকল্পিত
বাঁধ নির্মাণ, কীটনাশকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার এবং পর্যটনের বিরূপ প্রভাবে হুমকির মুখে
থাকা হাওর ইকোসিস্টেম রক্ষায় এই আইন করা হচ্ছে।
এই অধ্যাদেশের
মাধ্যমে হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের দায়িত্ব ও ক্ষমতা সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে।
এতে সংরক্ষিত হাওর এলাকা ঘোষণার বিধান রাখা হয়েছে। হাওর এলাকায় নিষিদ্ধ কার্যক্রম পরিচালনা
করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং এর জন্য শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া উন্নয়ন
প্রকল্প বাস্তবায়নে অধিদপ্তরের মতামত গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
সুইজারল্যান্ডের
রাজধানী বার্নে বাংলাদেশের নতুন দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা
পরিষদ। বর্তমানে জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের মাধ্যমেই জাতিসংঘ ও দ্বিপাক্ষিক
কাজ চালানো হচ্ছিল। সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী হওয়ায় বার্নে
দূতাবাস স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে একজন রাষ্ট্রদূত, ফার্স্ট সেক্রেটারি
ও প্রয়োজনীয় জনবল নিয়ে দূতাবাসের কার্যক্রম শুরু হবে।
বৈঠকে জুলাই
গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক
অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়। বর্তমানে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন হাদির অবস্থা সংকটাপন্ন। তার
চিকিৎসার তদারকি করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সিঙ্গাপুরে অবস্থান
করছেন। এছাড়া মহান বিজয় দিবস সুন্দরভাবে উদযাপনের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে
ধন্যবাদ জানায় উপদেষ্টা পরিষদ।
মন্তব্য করুন