প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা বলেছেন, আমার কাছে ক্ষমতা বড় না, দেশের স্বার্থ বড়।
১২ নভেম্বর রোববার নরসিংদী জেলায়
ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপর সেখানে আয়োজিত সমাবেশে
দেওয়া বক্তব্যে আমেরিকার গ্যাস বিক্রি প্রস্তাব প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী
এসব কথা বলেন ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,
২০০১ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসতে পারিনি। কিন্তু আওয়ামী লীগই ভোট বেশি পেয়েছিল,
জনগণের সমর্থন ছিল। অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন যদি হতো আওয়ামী লীগ কিন্তু
সরকার গঠন করত।
তাছাড়া দেশের সম্পদ
বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে হবে এই দৈন্যে অনন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা ভোগে
না, আমার কাছে ক্ষমতা বড় না, দেশের স্বার্থেই বড়।
বিএনপি সরকারের আমলে কৃষকেরা
সারের জন্য আন্দোলন করেছিল। সার চাওয়াতে তাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আজকে
বিএনপি যেমন অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছিল ২০১৩ সালেও সেই অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছিল।
সেই সময় বিদ্যুৎকেন্দ্র পুড়িয়ে দেয়, কর্মরত ইঞ্জিনিয়ার সেই আগুনে পুড়ে মারাও যায়।
এইভাবে তারা একে একে দেশে সম্পদ নষ্ট করে। সেই সময় অগ্নিসন্ত্রাসে যেভাবে মানুষ
ক্ষতিগস্থ হয়েছিল। আবার এখন সেই অগ্নিসন্ত্রাস তারা শুরু করেছে। আমি জানি না তাদের
চেতনা কবে ফিরবে বা দেশের মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ কবে ফিরবে। শুধু দেশবাসীকে বলব
সাহসের সঙ্গে যেকোনো অবস্থার মোকাবিলা করতে।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদেশি বিনিয়োগের দিকে অধিকতর নজর
দিতে হবে। বৈদেশিক অর্থায়নভুক্ত
প্রকল্পগুলোর দিকে বেশি নজর
দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী । দেশের উন্নয়ন
পরিকল্পনা ঢেলে সাজাতে ৯
বছর পর অনুষ্ঠিত পরিকল্পনা
কমিশনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।
বুধবার
(২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিশন চেয়ারপারসন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠকে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মূল্যস্ফীতি
কমাতে বিশেষ নজর দিতে হবে।
প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অর্থাৎ প্রকল্প পরিচালকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে। জাতীয়
নির্বাচনের কারণে যে সময় ব্যয়
হয়েছে তা মেটাতে আরও
বেশি কাজ করতে হবে।
আমাদের লক্ষ্য- স্মার্ট বাংলাদেশ। এজন্য সর্বক্ষেত্রে ডিজিটাল সিস্টেম আরও কার্যকরভাবে চালু
করতে হবে। বৈদেশিক ঋণ
বা অনুদান যেন দ্রুত ছাড়
পাওয়া যায় সেদিকে নজর
দিতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগের
দিকে অধিকতর নজর দিতে হবে।
দেশের ভেতরে সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখতে
হবে। জমি অনাবাদি রাখা
যাবে না। উৎপাদন বাড়াতে
হবে। গবেষণা বাড়াতে হবে। পরনির্ভরশীলতা থেকে
বেরিয়ে আসতে হবে। আত্মমর্যাদা
নিয়ে চলতে হবে। প্রকল্প
পরিচালক প্যানেল করে প্রকল্প পরিচালক
নিয়োগ দেওয়া যায়। এ বিষয়ে
একটি গাইড লাইন করা
যায়। এর নাম ‘বিশেষজ্ঞ
প্যানেল’ হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী
আরও বলেন, নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা
প্রণয়নে খুব বেশি আউট
সোর্সিংয়ের ওপর নির্ভর করা
যাবে না। পাট ও
পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য,
আইসিটি, ডিজিটাল ডিভাইস ইত্যাদিতে নজর দিতে হবে।
পানি ও নৌ-পরিবহন
খাতে নজর দিতে হবে।
এ
সময় উপস্থিত ছিলেন, বৈঠকে
কমিশনের বিকল্প চেয়ারপারসন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ
আলী, ভাইস চেয়ারপারসন পরিকল্পনামন্ত্রী
আব্দুস সালাম, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা এবং গভর্নর আব্দুর
রউফ তালুকদার। বৈদেশিক ঋণনির্ভর প্রকল্প যেন সঠিকভাবে বাস্তবায়ন
হয় সেজন্য মুখ্য সচিবকে প্রধান করে একটি কমিটি
গঠন করা হয়েছে। কমিটি
২ মাস পর রিভিউ
করবে। বৈদেশিক ঋণ বা অনুদানের
প্রকল্পগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, সঠিকভাবে
টাকা ছাড় হচ্ছে কি
না, এসব বিষয় দেখভাল
করবে এ কমিটি।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে
বুধবার থাইল্যান্ডে পৌঁছেন ।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস
উইং জানায়, থাইল্যান্ড সফররতকালীন সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডুসিট প্রাসাদের
অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া
এবং রানী সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
থাইল্যান্ডের রাজা-রানীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তারা কুশলবিনিময় করেন এবং
দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এর আগে সকালে জাতিসংঘের
এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ)
৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন।
২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল
সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে
দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন। এ সফরকালীন সময়ে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড দুই দেশের মধ্যে
একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনার আগ্রহপত্রসহ বেশ কয়েকটি সহযোগিতার নথিতে
স্বাক্ষর করবে।
পাশাপাশি বাংলাদেশ এবং
থাইল্যান্ড সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত একটি চুক্তি
স্বাক্ষর করতে পারে, শক্তি সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং
সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য পর্যটন খাতে সহযোগিতা এবং শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক
সহযোগিতার বিষয়ে আরও দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে পারে।
মন্তব্য করুন
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগদান উপলক্ষে জার্মানি সফর শেষে দেশে
ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানা
চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটি ছিল
তার ১ম বিদেশ সফর।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা
১১ টায় বিমান বাংলাদেশ
এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর
আগে তিনি স্থানীয় সময়
রাত ৯ টা ৮
মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে মিউনিখ ছাড়েন।
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে গত
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জার্মানি
যান প্রধানমন্ত্রী। ১৬
ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে
যাওয়া মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্স ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত
চলে। এতে বিশ্বের বিভিন্ন
দেশের শীর্ষ নেতারা যোগ দিয়েছেন।
৬০তম মিউনিখ নিরাপত্তা
সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মানির
চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ, ডেনমার্কের
প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডেরিকসেন ও
নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট
ভলোদিমির জেলোনস্কিসহ কয়েকজন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান,
বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
মন্তব্য করুন
সমাজে
বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ‘বেগম রোকেয়া পদক-২০২৩ পেয়েছেন ৫
বিশিষ্ট নারী।
শনিবার
(৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবস
উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট নারী ও তাদের
স্বজনদের হাতে পদক তুলে
দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে
সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও
শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। স্বাগত
বক্তব্য দেন মহিলা ও
শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।
বেগম
রোকেয়া পদকপ্রাপ্তরা হলেন: নারী শিক্ষায় বাংলাদেশ
প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য খালেদা
একরাম (মরণোত্তর), নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায়
ডা. হালিদা হানুম আখতার, নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে
কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা (মরণোত্তর), নারী জাগরণে উদ্বুদ্ধকরণে
নিশাত মজুমদার ও পল্লী উন্নয়নে
রনিতা বালা।
বেগম
রোকেয়া পদকপ্রাপ্তদের ১৮ ক্যারেট মানের
২৫ গ্রাম স্বর্ণ নির্মিত ১টি পদক, পদকের
রেপ্লিকা, প্রত্যেককে ৪ লাখ টাকার চেক ও সম্মাননাপত্র
দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীরত্ব ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৭২ বিজিবি সদস্যকে পদক পরিয়ে দিয়েছেন ।
সোমবার সকাল ১০টায় পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবসের কুচকাওয়াজে তাদের পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় পিলখানায় উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দিবস-২০২৩ এর আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজে বিজিবি সদর দপ্তরের বীরউত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন।
মন্তব্য করুন
টানা
৪র্থবার ও সব মিলিয়ে
৫মবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন আওয়ামী
লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার
(১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা ৩ মিনিটে
বঙ্গভবনে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রীর
শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন।
শেখ
হাসিনা বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে
প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। স্বাধীন
বাংলাদেশের ইতিহাসে ৪ মেয়াদে ২০
বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ শাসন করেছেন
শেখ হাসিনা।
২০২৯
সালে ৫ম মেয়াদ পূর্ণ
হলে তিনি স্বাধীন দেশে
২৫ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব
পালন করবেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ
হাসিনা প্রথম ১৯৮৬ সালে সংসদ
সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯১,
১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ এবং সর্বশেষ
২০২৪ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত
হন।
দ্বাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ
জয়ের পর তরুণ-প্রবীণদের
সমন্বয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন
করেছেন শেখ হাসিনা। ৫ম মেয়াদে
রাষ্ট্র পরিচালনায় এবার শেখ হাসিনার
সঙ্গী হচ্ছেন ২৫ জন মন্ত্রী
ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর
পর একে একে মন্ত্রী
এবং প্রতিমন্ত্রীদেরও শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি।
মন্তব্য করুন
রবিবার(১০ মার্চ) সকালে কোস্ট গার্ডের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে । সেই সঙ্গে দেশ ও দেশের অর্থে কেনা প্রতিটি জিনিসের যত্ন নিতে কোস্ট গার্ডের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
সরকারপ্রধান বলেছেন, সমুদ্রসীমা আইন জাতির পিতাই প্রথম করেছিলেন। ৭৫-এর হত্যাকাণ্ডের পর দায়িত্বে আসা কোনো সরকারই কোনো উদ্যোগ নেয়নি। সমুদ্রে বাংলাদেশ নিজস্ব সীমানার মালিক হয়েছে। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে এটি সম্ভব করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।
তিনি বলেছেন, নতুন দুটি জাহাজ ও হেলিকপ্টার যুক্ত হচ্ছে কোস্ট গার্ডে। যুক্ত হবে আধুনিক মেরিটাইম সার্ভিল্যান্স সিস্টেম। অচিরেই ত্রিমাত্রিক বাহিনী হতে চলেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।
তার আগে, সকাল সোয়া ১০টার দিকে শেরেবাংলা নগরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরে ভি-স্যাটনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা ছাড়াও নবনির্মিত পাঁচটি স্টেশন ও একটি আউটপোস্টের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তারও আগে সকাল ১০টার দিকে কোস্ট গার্ডের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ও পদক প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বাহিনীটির সদর দপ্তরে পৌঁছান সরকারপ্রধান। পরে বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের জন্য কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তা, নাবিক ও অসামরিক ব্যক্তিদের হাতে পদক তুলে দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অমর একুশে বইমেলার শুভ উদ্বোধন শেষে প্রথমবারের মতো ডিএমপির বুক স্টল পরিদর্শন করেছেন । এসময় তিনি ডিএমপির স্টল থেকে দুটি বই কেনেন।
শত ব্যস্ততার মাঝেও সাহিত্যপ্রেমী পুলিশ লেখকদের মননশীল বই পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে বইমেলায় এবার রয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) স্টল।
ডিএমপির বুক স্টল বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতেই মাঠের উত্তর দিকের সারিতে রয়েছে । এখানে বইপ্রেমী পাঠকদের জন্য রয়েছে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান রচিত মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ: মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা (১ম, ২য় ও ৩য় খন্ড); ‘ঠার’ বেদে জনগোষ্ঠীর ভাষা: LETTERS OF SHEIKH MUJIBUR RAHMAN (VOL.1: 1948- 1950); ‘চিঠিপত্র’ শেখ মুজিবুর রহমান (খণ্ড ১: ১৯৪৮-১৯৫০): স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান; LETTERS OF SHEIKH MUJIB (VOL.2: 1951-1952); শেখ মুজিবের চিঠিসহ (খণ্ড ২: ১৯৫১-১৯৫২) বিভিন্ন পুলিশ লেখকদের গল্প, উপন্যাস, কবিতা ও ছড়ার জনপ্রিয় বই।
প্রধানমন্ত্রী ডিএমপি কমিশনারকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ লেখকদের লেখা বিভিন্ন বই দেখেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী বই কেনার জন্য জনগণকে উৎসাহিত করতে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান সম্পাদিত বঙ্গবন্ধু জেলখানায় থাকাকালীন বঙ্গবন্ধুর চিঠিপত্রের সংকলন LETTERS OF SHEIKH MUJIB (VOL.2: 1951-1952) ও শেখ মুজিবের চিঠি (খণ্ড ২: ১৯৫১-১৯৫২) বই দুটি কেনেন।
এসময় স্টলে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তারসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বাংলা একাডেমির উদ্যোগে পড় বই, গড় দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ - শীর্ষক প্রতিপাদ্যে একাডেমির প্রাঙ্গণ এবং সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বার্ষিক এই বইমেলা আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা এক অভিনন্দন বার্তায় সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টানা চতুর্থবারের মতো আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করায় আমি আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
এই ফলাফল বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে আপনার নেতৃত্ব এবং নিষ্ঠার কথাই বলে। ’
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার অভিনন্দন বার্তায় আরও বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের স্বল্প-আয়ের থেকে একটি নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরের যাত্রা, যা জনগণের মঙ্গলের প্রতি আপনার অঙ্গীকারেরই প্রমাণ। ’
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার উল্লেখ করেন, ‘আপনি যখন আপনার পরবর্তী মেয়াদ শুরু করবেন, আমি আত্মবিশ্বাসী যে, বাংলাদেশ তার উন্নতি অব্যাহত রাখবে, নতুন মাইলফলক অর্জন করবে এবং সুশাসনের জন্য বৈশ্বিক মানদ- স্থাপন করবে। ’
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার আরও বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের জনগণের জন্য ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে আপনাকে এবং আপনার প্রশাসনকে সমর্থন দেওয়ার সুযোগের অপেক্ষায় আছি। ’
সবশেষে যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার বলেন, ‘আবারও এই অর্জনের জন্য আপনাকে অভিনন্দন। আমি আপনার সার্বিক সাফল্য কামনা করি এবং আবারও আপনার সাথে দেখা করার জন্য আমি অপেক্ষায় আছি। ’
মন্তব্য করুন