শনিবার (ফেব্রুয়ারি ২৪) সকালে দক্ষিণ এশিয়ার একবিংশ শতাব্দীর সাংবিধানিক আদালত: ভারত-বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষ যাতে ন্যায়বিচার পায় তা নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগ সরকারের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরেছেন।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, আমার দেশের মানুষ যেন ন্যায়বিচার পায় এবং দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং অর্থনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার সুনিশ্চিত হয়। বাংলাদেশ যেন এগিয়ে চলে এবং ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব যেন চিরস্থায়ী হয়। আমাদের মতো যেন বিচারহীনতায় তাদের কষ্ট পেতে না হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সরকারের আসার পর থেকে মানুষ যাতে ন্যায়বিচার পায়, তার জন্য আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু করি।
আজকে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতিটা হচ্ছে, সেটা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলে এবং একটা স্থিতিশীল পরিবেশ আছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। আজকে এটা প্রমাণিত সত্য যে, মানুষের জীবনে ন্যায় বিচার প্রাপ্তি, আর্থ-সামাজিক উন্নতি, এটা একমাত্র হতে পরে যখন মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করার সুযোগ হয় এবং দেশটা উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা যারা ১৫ আগস্ট আপনজন হারিয়েছি, আমরা বঞ্চিত থাকব। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করার পরে, অর্থাৎ আমাকেই ক্ষমতায় আসতে হলো ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারই বিচার বিভাগ ও নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করেছে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড় (ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়) এবং আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ‘এশিয়া ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার’ পুরস্কার তুলে দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, ৩ ডিসেম্বর রোববার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে পুরস্কার তুলে দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় নেতৃত্ব এবং সোচ্চার কণ্ঠস্বরের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে ‘এশিয়া ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার’ পুরস্কার দেওয়া হয়।
১ ডিসেম্বর শুক্রবার দুবাইয়ে কপ-২৮ শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে গ্লোবাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট মোবিলিটি এ পুরস্কার প্রদান করে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন কপ-২৮ এ বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
দুবাইয়ে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সহ-সঞ্চালক হিসেবে ছিলেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট অ্যাম্বাসেডর ড্যানিস ফ্র্যান্সিস এবং আওএমের জেনারেল সেক্রেটারি অ্যামি পোপ।
মন্তব্য করুন
প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতিতে ফেরা এবং ২০২৪ সালে জেএসসি এবং পিএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার তথ্য মিথ্যা বলে জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে এ তথ্য জানানো হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু ব্যক্তি প্রচার করছেন যে প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতিতে ফিরে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ২০২৪ সালে জেএসসি এবং পিএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
'এই তথ্যটি মিথ্যা ও বানোয়াট। এ ধরনের তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ করা হলো। '
নতুন শিক্ষাক্রমে শ্রেণিকক্ষে গতানুগতিক পরীক্ষার বদলে দক্ষতা নির্ভর মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
প্রয়োজনে মূল্যায়ন পদ্ধতির পরিবর্তন আনা হবে বলে জানিয়েছেন নতুন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারে ২৯টি প্রকল্পের উদ্বোধনসহ চারটি নতুন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর করেছেন।
বুধবার (৭ই ডিসেম্বর) কক্সবাজারের শহীদ শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজিত আওয়ামী লীগের জনসভায় সুইচ টিপে তিনি এই প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন করেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২৯টি প্রকল্পে ব্যয় হবে ১ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা চারটি প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ৫৭২ কোটি টাকা।
উদ্বোধন করা প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে - কক্সবাজার গণপূর্ত উদ্যান, বাহারছড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা মাঠ, কুতুবদিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ভবন, পেকুয়া উপজেলা ভূমি অফিস ভবন, কক্সবাজার জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় ভবন, শেখ হাসিনা জোয়ারিয়ানালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের চারতলা একাডেমিক ভবন, আবদুল মাবুদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের চারতলা একাডেমিক ভবন, মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের চারতলা একাডেমিক ভবন, কক্সবাজার জেলার লিংক রোড-লাবনী মোড় সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প, রামু-ফতেখাঁরকুল-মরিচ্যা জাতীয় মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প, টেকনাফ-শাহপরীর দ্বীপ জেলা মহাসড়কের হাড়িয়াখালী থেকে শাহপরীরদ্বীপ অংশ পুনর্নির্মাণ প্রশস্তকরণ এবং শক্তিশালীকরণ প্রকল্প, বাঁকখালী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ নিষ্কাশন সেচ ও ড্রেজিং প্রকল্প (১ম পর্যায়), শাহপরীর দ্বীপে সি ডাইক অংশে বাঁধ পুনর্নির্মাণ ও প্রতিরক্ষা কাজ, ক্ষতিগ্রস্ত পোল্ডার সমূহের পুর্নবাসন প্রকল্প, রামু কলঘর বাজার-রাজারকুল ইউপি সড়কে বাঁকখালী নদীর ওপর ৩৯৯ মিটার দীর্ঘ সংসদ সদস্য ও রাষ্ট্রদূত ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী সেতু, কক্সবাজার জেলায় নবনির্মিত ছয়টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস ভবন, চারটি উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন (রামু, টেকনাফ, মহেশখালী ও উখিয়া), কক্সবাজার পৌরসভার এয়ারপোর্ট রোড আরসিসিকরণ ও অন্যান্য প্রকল্প, শহীদ সরণি আরসিসিকরণ ও অন্যান্য প্রকল্প, বীর শ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম সড়ক আরসিসিকরণ ও অন্যান্য প্রকল্প, নাজিরারটেক শুঁটকি মহাল সড়ক আরসিসিকরণ ও অন্যান্য প্রকল্প, টেকপাড়া সড়ক আরসিসিকরণ ও অন্যান্য প্রকল্প, সি বিচ রোড আরসিসিকরণ ও অন্যান্য প্রকল্প, মুক্তিযোদ্ধা সরণি আরসিসিকরণ ও অন্যান্য প্রকল্প, সৈকত-সরণ আবাসিক এলাকা সড়ক আরসিসিকরণ ও অন্যান্য প্রকল্প।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য প্রস্তুত চার প্রকল্প হলো - বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (২য় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্প, কুতুবদিয়া উপজেলার ধুরুং জিসি মিরাখালী সড়কে ধুরুংঘাটে ১৫৩.২৫ মিটার জেটি ও আকবর বলি ঘাটে ১৫৩.২৫ মিটার জেটি নির্মাণ প্রকল্প, মহেশখালী উপজেলার মহেশখালী গোরকঘাটা ঘাটে জেটি নির্মাণ প্রকল্প এবং বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য উখিয়া-টেকনাফ উপজেলায় নাফ নদ বরাবর পোল্ডারসমূহের (৬৭/এ, ৬৭, ৬৭/বি এবং ৬৮) পুনর্বাসন প্রকল্প।
মন্তব্য করুন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ২০২৩ সালের লিখিত পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত।
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৩এর প্রথম গ্রুপের (রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ) আওতাধীন জেলাসমূহের লিখিত পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে।প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ সংক্রান্ত সকল প্রকার সামগ্রী ইতোমধ্যে জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন জানান, তিনটি বিভাগের ১৮টি জেলায় (রংপুর ৮, বরিশাল ৬, সিলেট ৪) এবারের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন। কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৩৫টি ও কক্ষের সংখ্যা ৮ হাজার ১৮৬টি।
পরীক্ষা সংক্রান্ত জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্টদের ০২৫৫০৭৪৯৬৯ নাম্বারে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী সকল সংসদ সদস্যকে নিয়ে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন ।
আগামীকাল শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় এ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।এবারের নির্বাচনে নবনির্বাচিত এমপিরা শপথ নিয়েছেন গতকাল। আজ বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) শপথ নেবেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। গতকালই মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য বেশ কয়েকজন আমন্ত্রণ পেয়েছেন।
আজ বিকালেই জানা যাবে কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন। সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে মন্ত্রপরিষদের সদস্যদের শপথ পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপ্রধান। শপথগ্রহণ শেষে নবনিযুক্ত মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা নিজ নিজ শপথবাক্যে স্বাক্ষর করবেন।
ইতোমেধ্যই দ্বাদশ সংসদে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের অনুমতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাতে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।এর আগে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সংসদ সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়ে তার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য সম্মতি দেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। আর ঠিক পরেই জারি করা হয় প্রজ্ঞাপন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (৩) দফা অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সংসদ সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন এবং তার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য সম্মতিজ্ঞাপন করেছেন। নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে গণ্য হবে।
মন্তব্য করুন
নির্বাচনে নৌকা প্রতীক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আওয়ামী নেতাদের জয়-পরাজয়ের কষ্ট ভুলে আবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভায় এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামীলীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে এ যৌথসভা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা নির্বাচন করেছি সবার সঙ্গে। হয়তো কেউ হেরেছি অথবা কেউ জিতেছি, কষ্ট আছে কারো, কারো আনন্দ আছে। কিন্তু ওই আনন্দ-দুঃখ-কষ্ট-হাসি-কান্না সব মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে আবার এক হয়ে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে, জনগণের স্বার্থে জনগণের কল্যাণে মানুষের জন্য। মানুষের যে আস্থা-বিশ্বাস আমরা অর্জন করেছি, সেটা যেন কোনোভাবে হারিয়ে না যায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দলটা সবচেয়ে বড়। সংগঠন যদি পাশে না থাকে তো, কোনো অর্জন করা সম্ভব হয় না। প্রতিটা সাফল্যের পেছনে একটা শক্তি দরকার। আমার শক্তি বাংলাদেশের জনগণ, আওয়ামীলীগ ও আমাদের সহযোগী সংগঠনগুলো।
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনটা যাতে না হয়, সে জন্য অনেক চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র ছিল। ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আমরা নির্বাচন করেছি। আমরা নির্বাচনে সবসময় মনোনয়ন দিই, মনোনয়ন দিয়েছি। আমাদের বড় দল, অনেকেই নির্বাচন করতে চায়, সেজন্য নির্বাচনটা উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। যে-যারা করতে চায়, করুক।
নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা নির্বাচন করেছে, কেউ জয়ী হয়েছে, কেউ পারেনি। সেক্ষেত্রে আমি সবাইকে অনুরোধ করব, একজন আরেকজনকে দোষারোপ করা, কার কী অপরাধ সেগুলো খুঁজে বেড়ানো বন্ধ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দল ছাড়া আরও কয়েকটি দল অংশ নিয়েছে। আমরা জনগণের যে সমর্থন পেয়েছি, সেটা কাজের স্বীকৃতি হিসেবে। দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছি, ভোট দিয়েছে, আমাদের জয়ী করেছে।
নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সজাগ থাকতে হবে। অগ্নিসন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ করে যারা রেলগাড়িতে মা-শিশুসন্তানকে পুড়িয়ে মারে, যারা বাসে আগুন মানুষ মারে, ওই অগ্নি সন্ত্রাসীদের বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। তাদের মিথ্যাচার, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে।
মন্তব্য করুন
নির্বাচনে কে আসবে না আসবে তা এখনো চূড়ান্ত নয়। এমনও কিছু হতে পারে যা আপনি-আমি, কেউ ভাবছি না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ রংপুরের ৩৩টি, রাজশাহীর ৩৯টিসহ মোট ৭২টি আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। আমরা সব আসনে মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত ফল প্রকাশ করব না। একসঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সারা দেশের ফল ঘোষণা করব। বর্তমান সংসদ সদস্য কয়েকজন বাদ পড়ছেন। এই মুহূর্তে আমি তাদের নাম বলতে পারছি না, তবে বাদ পড়ছেন। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৫ নভেম্বর (শনিবার) প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করা হবে। আগে আমরা দেখি কারা বিদ্রোহী হয়, তারপর সিদ্ধান্ত নেব।
মন্তব্য করুন
বন্ধ হয়ে গেছে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন। জানা যায় যান্ত্রিক ত্রুটির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
আজ সকাল ৬ .১৫ মিনিটের দিকে কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ ইন্ডিয়া পার্টনারশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঈদ আকরামুল্লাহ ।
তিনি বলেন, উৎপাদন বন্ধ হওয়ার খবর পেয়েছি। আশা করি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আবারও উৎপাদন শুরু করা হবে।
২০১০ সালে ভারত ও বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের এনটিপিসি লিমিটেডের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাঃ) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) নামে কোম্পানি গঠিত হয়। এই কোম্পানির অধীনে ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল) নামে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ এখন অতটা খারাপ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডলারের সংকট এখন ঠিক সেরকম নেই, রপ্তানি আয়ও খুব একটা কমেনি বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞায় পড়ে গেলাম। ফলে আমাদের কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমাদের কিছু খরচের ব্যাপারে মিতব্যয়ী হতে হয়েছে, কিছুটা সংকুচিত করতে হয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা এখন অতটা খারাপ নেই। ডলারের সংকট যথেষ্ট ছিল, এখন ঠিক সেরকম সংকট নেই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে আমরা মনিটরিং বাড়িয়েছি। অনেক ক্ষেত্রে যতটা প্রয়োজন নয়, তার চেয়ে বেশি দিয়েও অনেকেই এলসি খুলে, কিন্তু ওই টাকাটা ফেরত আসে না। এ কারণে সরকার পণ্য কেনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ব্লুমবার্গের মূল্য তালিকা দেখে, তা মনিটর করে এলসি খুলতে দেয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আগে যেভাবে যখন-তখন এলসি খোলা হতো। এখন ইচ্ছেমতো হচ্ছে না, সেটাতে নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রপ্তানি আয় খুব একটা কমেনি। যেসব দেশে আমরা রপ্তানি করি, এমনকি যেগুলো খুব ধনী দেশ, তাদের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে, বাজার সংকুচিত হয়েছে, সেখানে অর্ডার কমেছে। অর্থনৈতিকভাবে তারা খুব চাপে আছে, তাদের মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। তারই ফলে হয়তো কিছুটা কমেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রপ্তানি আয় বাড়াতে সরকারের পক্ষ থেকে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিকল্প বাজার খুঁজে বেড়ানো, রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণে ব্যবস্থা নিয়েছি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কৃষক যথাযথ উৎপাদিত পণ্যের মূল্য না পেলে সমস্যা হবে। মূল্য বাড়লে নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ কষ্ট পাবে।
মন্তব্য করুন