এআই ডিপফেক হল এমনই একটি প্রোগ্রাম, যা দ্বারা অডিও, ভিডিও ও ছবিতে কারসাজি করে এমন কনটেন্ট বানানো হয়, যা দেখে আসল কি নকল তা বোঝার উপায় থাকে না।
সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে যারা কাজ করে থাকেন তারা আগে থেকেই এআই ডিপফেক নামটির সঙ্গে পরিচিত। অত্যাধুনিক এআই ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করলে যে কোনও মানুষের চেহারা ও আওয়াজসহ সবকিছুই অবিকল অনুকরণ করা যায়। এখন পর্যন্ত সেই ডিপফেক শুধু সেলিব্রেটিদের নিশানা করলেও নিশ্চিত করে বলার উপায় নেই যে টার্গেট লিস্টে ভবিষ্যতে আপনি থাকবেন না।
ডিপফেক যেভাবে তৈরি করা হয়,
ডিপফেকের অ্যালগরিদম দু’টি মুখের অর্থাৎ আসল ভিডিও’র মুখ এর পরিবর্তে যে মুখ সেখানে বসানো হবে দু’টির মধ্যে মিল খুঁজে বের করে। তারপর তাদের সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলো মিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তারজন্য এমনই ভিডিও খুঁজে বের করা হয়, যেখানে ক্লোজ আপ শট প্রায় থকেনা বল্লেই চলে। ডিপফেক ভিডিও’র দৈর্ঘ্য খুব একটা বড় হয় না কারণ এই প্রযুক্তির পক্ষে বড় ভিডিওকে একেবারে হুবহু এডিট করা প্রায় অসম্ভব।
ডিপফেক ভিডিও যেভাবে বুঝবেন,
ডিপফেক ভিডিওতে ব্যক্তির তাকানো কিংবা মুখের এবং শরীরী ভঙ্গিমাতে অসঙ্গতি থাকে। এক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির কথা বলা কিংবা কাজের সঙ্গে তার চাহনির মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। ব্যক্তির মুখ এবং আশপাশের আলোতে সামঞ্জস্যের অভাব থাকে।
অডিওর মানও আর পাঁচটা স্বাভাবিক ভিডিওর চেয়ে আলাদা তকে। তাই কোনও ভিডিও নিয়ে সন্দেহ হলে সেই ভিডিওর অডিওর মান যাচাই করে নিতে হবে। ডিপফেক ভিডিওতে ব্যক্তির হাত-পা কিংবা মুখের আদল বেশ খানিকটা বদলে যায়। অর্থাৎ দেখতে লম্বাটে কিংবা চ্যাপ্টা লাগে। ভালো করে দেখলে এই বিকৃতভাব চোখে পড়বে।
সূত্র : দ্য ওয়াল।
মন্তব্য করুন
বন্যাদুর্গত কয়েকটি
উপজেলায় অপটিক্যাল ফাইবার ড্যামেজ হওয়ার কারণে নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়েছে বলে
জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
বৃহস্পতিবার তথ্য ও
সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে তার বরাত দিয়ে এক বার্তায় এ জানানো হয়েছে, বন্যাদুর্গত
এলাকার ১৩ শতাংশ সাইট ডাউন রয়েছে। কয়েকটি উপজেলায় অপটিক্যাল ফাইবার ড্যামেজ হওয়ার
কারণে নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়েছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন আছে কয়েকটি জায়গায়। জেনারেটর
ব্যবহার করা হচ্ছে। নেটওয়ার্ক একবারে বিচ্ছিন্ন
হলে ১০টি ভিএসএটি প্রস্তুত আছে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক ফ্রি করতে তাই
জরুরিভাবে নির্দেশনা দেওয়া আছে।
উল্লেখ্য,
পাহাড়ি ঢল আর বৃষ্টিতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় বিপর্যস্ত হয়েছে দেশের নয়টি জেলা।
বন্যাকবলিত জেলাগুলো হলো– ফেনী, নোয়াখালী, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, কুমিল্লা,
চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুর ও খাগড়াছড়ি। এসব জেলার কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি ও বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন
হয়ে পড়েছে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে ১০ থেকে ১২ হাজার চীনা নাগরিক অবস্থান করছেন। তাদের অনেকে অবৈধভাবে বসবাস করছেন।
চীনে পড়তে গিয়ে প্রতারক চক্রের খপ্পর পড়ে প্রতারণায় জড়ানো তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য জানিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রাকিবুল ইসলাম রাতুল (২৪), আসাদুজ্জামান রাজু (২৯) ও মামুন হাওলাদার (২৭)।
দেশে অবস্থান করা এই চাইনিজরা পেতেছেন বিভিন্ন প্রতারণার ফাঁদ। বাংলাদেশি যেসব শিক্ষার্থীরা চীনে পড়তে যান, তাদের নিয়ে প্রতারণার এই চক্র গড়ে তুলছেন সেই সব চীনা নাগরিকরা। তারা বিভিন্ন অ্যাপস খুলে, জুয়ার সাইট চালিয়ে এবং অনলাইনে মাল্টিলেভেল মার্কেটিংয়ের লোভে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিমানবন্দর থানা এলাকায় অভিযান তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।
ডিবি জানায়, ভুয়া সাইট খুলে কোটি কোটি টাকা নেওয়া চক্রের দুই চাইনিজ নাগরিকসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সেটির তদন্ত করতে গিয়ে নতুন করে এই চক্রের সন্ধান মেলে। গ্রেপ্তার তিনজন জানিয়েছেন অনলাইনে মাল্টিলেভেল মার্কেটিংয়ের লোভে ফেলে অ্যাপ খুলে জুয়ার সাইট চালিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রে জড়িয়েছিলেন তারা।
শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, বাংলাদেশ থেকে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যায়। তার মধ্যে বৃহৎ অংশ চীনে মেডিকেল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য যায়। তাদের একটা বড় অংশ চাইনিজ ভাষায় পারদর্শী হয়ে উঠে এবং চাইনিজ বিভিন্ন প্রতারক চক্রের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে। আর এ চক্রের মূলহোতা হচ্ছে চীনা নাগরিকরা। তারা ভালো বাংলা বা ইংরেজি বলতে পারেন না। তখন চীনে পড়তে চাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের টার্গেট করেন। তারা চাইনিজ ভাষায় পারদর্শী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের দিয়ে বিভিন্ন প্রতারণার কাজটি করে আসছেন।
তিনি বলেন, অনলাইনে মাল্টিলেভেল মার্কেটিংয়ের লোভে ফেলে, অ্যাপ ও জুয়ার সাইট খুলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন চীনা নাগরিকরা। কারণ প্রত্যেকটি প্রতারণার সাইটের অ্যাডমিন চীনে।
চক্রটি চীনেও এসব প্রতারণায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাজে লাগায়। আবার কিছু শিক্ষার্থীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে প্রতারণা শিখিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। এরপর সেসব শিক্ষার্থীরা বেনামি সিম সংগ্রহ করে বিকাশ নগদসহ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে নেয়।
এ প্রতারণার মূল পরিকল্পনাকারী দুই চাইনিজ গাগা ও চিং চং (Gaga, Chig Chog)। তারা প্রতারণার জন্য চীনে একটি সার্ভার স্থাপন করেছেন। আর সেসব প্রতারণার টাকা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে তাদের দেশে নিয়ে যাচ্ছে।
গ্রেপ্তার তিন শিক্ষার্থীর বিষয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, গ্রেপ্তার রাতুল, রাজু, মামুন বাংলাদেশ থেকে পড়ালেখার জন্য চীনে গিয়ে চাইনিজ ভাষা শিখে প্রতারক চক্রের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে চীনারা তাদের বলে যে তারা কিছু অ্যাপস তৈরি করেছেন। অ্যাপস ব্যবহার করে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। তাদের সেই কার্যক্রমে কিছু বাংলাদেশি সিম, বিকাশ/নগদ অ্যাকাউন্ট, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন। স্বল্প সময়ে অধিক উপার্জনের আশায় এই প্রতারণায় যুক্ত হয়ে চীনা নাগরিকদের বাংলাদেশি সিম বিকাশ/নগদ অ্যাকাউন্ট, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সরবরাহ করে।
প্রতারণার প্রক্রিয়া সম্পর্কে হারুন বলেন, রাতুল, রাজু, মামুন অনলাইনে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং, অনলাইন ফিনান্সিং, বেটি সাইট, সি-ফাইন্যান্স, লোন অ্যাপস, হানি ট্র্যাপে সরাসরি জড়িত। গ্রেপ্তারকৃতরা চাইনিজ প্রতারক চক্রের হয়ে বাংলাদেশি এজেন্ট হিসাবে কাজ করে আসছিল। চক্রটি মানুষকে অনলাইনে টাকা উপার্জনের কিংবা পার্টটাইম চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়।
মন্তব্য করুন
বৈশ্বিক স্মার্টফোন সরবরাহে ১২ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো স্যামসাংকে পেছনে ফেলল বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাপল।
গেল বছর বিশ্ববাজারে স্মার্টফোন সরবরাহে স্যামসাংয়ের রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে আইফোন নির্মাতা অ্যাপল। ইন্টারন্যাশনাল ডেটা কর্পোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর বিশ্বজুড়ে সরবরাহ করা ফোনের এক পঞ্চমাংশেরও বেশি ছিল অ্যাপলের।বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ করে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর স্যামসাংসহ শাওমি, অপো ও চীনা ফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানি ‘ট্রান্সশন’ বিশ্ব বাজারের প্রায় ২০ শতাংশ জায়গা দখল করে আছে বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ডেটা কর্পোরেশন।
শাওমি, অপো ও ট্রান্সশনের বৈশ্বিক স্মার্টফোন শিপমেন্ট যথাক্রমে ১৪ কোটি ৫৯ লাখ, ১০ কোটি ৩১ লাখ ও নয় কোটি ৪৯ লাখ
আইডিসি আরও জানিয়েছে, ২০২৩ সালে অ্যাপল সারা বিশ্বে ২৩ কোটি ৪৬ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন পাঠিয়েছে, যা পুরো বাজারের ২০ দশমিক এক শতাংশ জায়গা দখল করে আছে। অন্যদিকে স্যামসাং সারা বিশ্বে ২২ কোটি ৬৬ লাখ স্মার্টফোন সরবরাহ করেছে যা স্মার্টফোন শিপমেন্টে বাজারের ১৯ দশমিক চার শতাংশ।
২০১০ সাল থেকেই শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছিল স্যামসাং। তার আগে শীর্ষে ছিল ফিনিশ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি ‘নোকিয়া’। এমনকি অ্যাপল তখন শীর্ষ পাঁচেও স্থান পায়নি।
আইডিসি বলছে, গত বছর সামগ্রিকভাবে কমেছে স্মার্টফোনের বিক্রি। ২০২৩ সালে সামগ্রিকভাবে স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে ১২০ কোটি যা আগের বছরের তুলনায় তিন দশমিক দুই শতাংশ কম।
এটি এক দশকের মধ্যে স্মার্টফোন বিক্রি হওয়ার সর্বনিম্ন পরিমাণ। বিশেষ করে করোনা মহামারীর কারণে এবং উচ্চ সুদ হারের কারণে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মুখে রয়েছেন অনেক মানুষ। তবে এ বছর বাজার পুনরুদ্ধার হবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মন্তব্য করুন
গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল)
দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে ইন্টারনেট সেবা
পেতে বিঘ্নতা পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে ।
বাংলাদেশের পাশাপাশি আরও
কয়েকটি দেশে একই অবস্থা তৈরি হয়েছে। ফলে গ্রাহকরা ইন্টারনেট সেবার ধীরগতির অভিযোগ করছেন।
দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের
(সিমিউই-৫) সংযোগ সরবরাহ বন্ধ থাকায় দেশের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা সঠিকভাবে
ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না যা আগামী দুই তিন দিনের আগে ঠিক হওয়ার কোনো সম্ভাবনা
নেই ।
ইন্টারনেটের সেবা পেতে বিঘ্নতার
কারণ নিয়ে জানা গেছে, সিঙ্গাপুরে ফাইবার ক্যাবল কাঁটা পড়ায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন
ক্যাবল সিমিউই-৫ দিয়ে ১৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ব্যান্ডউইথ সরবরাহ
স্বাভাবিক হতে দুই-তিন দিন লাগবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সাবমেরিন
ক্যাবল কোম্পানির এমডি মির্জা কামাল আহমেদ সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সমস্যা মোকাবিলায়
সিমিউই-৪ সাবমেরিন কেবল দিয়ে বিকল্পভাবে ব্যান্ডউইথ সরবরাহের চেষ্টা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
বিশ্বজুড়ে মেটার আওতাধীন ফেসবুকের সার্ভার ডাউন হয়ে
পড়ে। বাংলাদেশের
ব্যবহারকারীরা কেউ ফেসবুকে লগইন করতে পারছেন না। হঠাৎ ফেসবুকে ঢুকতে না পেরে অনেকে
আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার পর থেকে এ সমস্যার কথা জানাতে
থাকেন ব্যবহারকারীরা। তবে তাদের আতঙ্কিত না হতে অনুরোধ করেছেন ডিএমপির সাইবার ক্রাইম
ইউনিটের এসপি মো. নাজমুল ইসলাম।
ফেসবুকের
বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি এ কথা জানান। মঙ্গলবার রাতে
এ বিষয়ে একটি ভিডিও বার্তা দেন এসপি নাজমুল।
ভিডিও
বার্তায় তিনি বলেন, ফেসবুকের কার্যক্রম বর্তমানে কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ
বিষয়টি নিয়ে আমরা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ এবং সিঙ্গাপুরের ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে
কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে, সমস্যার সমাধানে তারা কাজ করে যাচ্ছে। দ্রুতই সমস্যার সমাধান
হয়ে যাবে। এটা সম্পূর্ণ ফেসবুকের কারিগরি সমস্যা, কেউ আতঙ্কিত হবেন না। এতে ফেসবুক
অ্যাকাউন্টধারী বা ফেসবুক অ্যাপের কোনো ত্রুটি নেই। পাসওয়ার্ড বা আর্থিক কোনো বিষয়েও
সংশ্লিষ্টতা নেই। আপনার ফেসবুক হ্যাক হয়নি, তাই কেউ আতঙ্কিত হবেন না। শিগগিরই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
এদিকে
রাত ১০টার দিকে ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষক ডাউনডিটেক্টরে দেখা যায়, রাত ৯টা ৩২ পর্যন্ত ৫
লাখ ৪১ হাজার ৫৭৩ জন ব্যবহারকারী তাদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
সুশৃঙ্খল সুরক্ষিত মহাসড়ক - এ লক্ষ্যকে নিয়ে দিনরাত কাজ করে যায় হাইওয়ে পুলিশ কারণ মূল উদ্দেশ্য থাকে একটাই দিনশেষে সুরক্ষার সাথে বাড়ি ফেরার নিশ্চয়তা সুনিশ্চিতকরণ ।
শনিবার (২০ এপ্রিল ২০২৪) সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলমের নেতৃত্বে কুমিল্লায় হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক কুমিল্লা রিজিয়নের ২২টি হাইওয়ে থানা পুলিশের বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট ডিউটি, অভিযান পরিচালনা এবং স্পিড গান বা স্পিড ডিটেক্টর ব্যবহার সহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় ।
হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজির নেতৃত্বে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সংশ্লিষ্ট সার্কেল সহ সকল থানার অফিসার ইনচার্জ, সাব-ইন্সপেক্টর, সার্জেন্ট সহ সকল পদমর্যাদার অফিসার ও ফোর্স মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বডি ওয়ার্ন ক্যামেরায় সজ্জিত হয়ে সারাক্ষণ লাইভ স্ট্রিমিংয়ে থেকে চেকপোস্ট ডিউটি, অভিযান পরিচালনা ও স্পিড গান ব্যবহার করাসহ আজ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ লঙ্ঘন কারী গাড়ির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় গাড়ি আটক ও গ্রেফতার করা হয়।
আজকের এই বিশেষ অভিযানের সময় কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নে ফিটনেস বিহীন বাস, ফিটনেস বিহীন পণ্যবাহী ট্রাক সহ সকল ফিটনেস বিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
শুধু তাই নয়, পণ্যবাহী গাড়িতে যাত্রী পরিবহন করার অপরাধেও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
পাশাপাশি মহাসড়কে অবৈধভাবে এবং ঝুঁকিপূর্ণভাবে থ্রি হুইলার চালানোর অপরাধে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৪৩টি থ্রি হুইলার আটক, ফিটনেস বিহীন ১টি পিকআপ আটক, দুর্ঘটনায় জড়িত ১টি সাউদিয়া বাস আটক ও গাড়ি ১ ড্রাইভারকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ছাড়াও সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ লঙ্ঘনের অপরাধে বিভিন্ন ধারায় মোট ১৭৩টি প্রসিকিউশন দেওয়া হয় এবং একই সাথে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৬৬ ধারায় ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত মোটরযান ও গণপরিবহন চালানোর অপরাধে ২৮টি, ৭৫ ধারায় ফিটনেস সনদ ব্যতীত বা মেয়াদ উত্তীর্ণ ফিটনেস সনদ ব্যবহার করে মোটরযান চালানোর অপরাধে ০৬টি, ৮৭ ধারায় নির্ধারিত গতিসীমার অতিরিক্ত গতিতে মোটরযান চালানো বা স্পীড ডিটেক্টরের সাহায্যে মোটরযানের গতি চিহ্নিত অপরাধে ৫৯টি, ৮৯(১) ধারায় কালো ধোঁয়া নির্গমনকারী মোটরযান নিষিদ্ধ হর্ণ স্থাপন/ব্যবহার ইত্যাদির অপরাধে ০৭টি, ৮৯(২) ধারায় ঝুঁকিপূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষিত মহাসড়কের চলাচলের অনুপোযোগী যান চালনা ইত্যাদির অপরাধে ৫১টি, ৯২(১) ধারায় মোটরযান চলাচলের সাধারণ নির্দেশাবলী সংক্রান্ত (১ম অংশ) অপরাধে ২০টি এবং ৯২(২) ধারায় (২য় অংশ) অপরাধে ০২টি সহ কুমিল্লা রিজিয়ন কর্তৃক বিভিন্ন অপরাধে সর্বমোট ১৭৩টি প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়।
হাইওয়ে পুলিশ প্রধান এবং বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মো: শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম (বার) মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কুমিল্লা রিজিয়ন জোরদার ভাবে স্পিড গান বা স্পিড ডিটেক্টর ব্যবহার করা হচ্ছে ।
জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে হাইওয়ে পুলিশের বডি ওয়ার্ণ ক্যামেরার মাধ্যমে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে অভিযান সংক্রান্ত এ কার্যক্রম কুমিল্লা রিজিয়নে অব্যাহত থাকবে।
ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কে ৮০ কি:মি গতিসীমার মধ্যেই যানবাহন সমূহ চালানোর নির্দেশনা সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি সদা সর্বদা থাকবে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ এর । এসময় কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলম উল্টোদিকে গাড়ি চালানো এবং মহাসড়কে থ্রি হুইলার ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল অফিসার ইনচার্জদের নির্দেশ প্রদান করেন।
পাশাপাশি তিনি পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নের্তৃত্ব এবং সংশ্লিষ্ট সকল গাড়ির ড্রাইভারদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি পরিহার এবং ফিটনেস সার্টিফিকেট থাকা গাড়ি গুলোকেই গতিসীমা মেনে গাড়ি চালানোর জন্য অনুরোধ করেন।
মন্তব্য করুন
জনগণের চাহিদার কথা বিবেচনা করে মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালুর জন্য বাংলালিংক প্রতিনিধিদের আহ্বান জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো: নাহিদ ইসলাম।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিসকক্ষে বাংলালিংক প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করতে এলে একথা বলেন উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, তরুণ প্রজন্মের চাহিদার প্রেক্ষিতে ইন্টারনেটের মূল্য কমানোর পাশাপাশি সব মোবাইল অপারেটরদের মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালুর চেষ্টা করতে হবে।
ভিওন লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কান টার্জিওগ্লু বাংলাদেশে সিম কার্ডের ট্যাক্স কমানোর কথা বললে উপদেষ্টা বলেন, ট্যাক্সের সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয় জড়িত, তাই এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন কান টার্জিওগ্লু।
বাংলালিংকের চিফ লিগ্যাল অফিসার জাহারাত আদিব চৌধুরী জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশন টফির ব্যবহারে বিভিন্ন বাঁধার কথা উল্লেখ করলে উপদেষ্টা বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
এ সময় বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক এস, প্রধান কর্পোরেট ও নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা তাইমুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
বিশ্বজুড়ে
মেটার আওতাধীন ফেসবুকের সার্ভার ডাউন হয়ে গিয়েছিল। হঠাৎ করেই ফেসবুক ব্যবহারকারীরা
লগইন সমস্যায় পড়েছেন। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সাড়ে তিন লাখ রিপোর্ট পাওয়া
গেছে ডাউন ডিটেক্টরে। এক্সের ট্রেন্ডিং ফিডেও ফেসবুক সার্ভার ডাউনের বিষয়টি উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার
( ৫ মার্চ) রাত ৯টার পর থেকে এ সমস্যার কথা
জানাতে থাকেন ব্যবহারকারীরা।
প্রযুক্তি
ওয়েবসাইট ডাউন ডিটেক্টরও ফেসবুক ব্যবহারে সমস্যার কথা নিশ্চিত করেছেন।
ব্যবহারকারীরা
জানান, হঠাৎ করেই তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগ আউট হয়ে যায়। পরে তারা লগ ইন করতে গিয়ে
সমস্যায় পড়েন।
ফেসবুকের
একটি সূত্র ডেইলি মেইলকে জানিয়েছে, কোম্পানির অভ্যন্তরীণ সিস্টেমও ডাউন হয়ে গিয়েছিল।
মন্তব্য করুন
ই-পাসপোর্ট পরিষেবায় পুলিশ ভেরিফিকেশন পদ্ধতি বাতিল করা
হয়েছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এক পরিপত্র জারির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
সুরক্ষা সেবা বিভাগ। এর মাধ্যমে এখন থেকে কোনো প্রার্থীকে তার জাতীয় পরিচয়পত্র বা ন্যাশনাল
আইডি (এনআইডি) কার্ডে থাকা তথ্য অনুযায়ী সরাবরাহ করা হবে ই-পাসপোর্ট।
এদিকে
অপ্রাপ্তবয়স্ক ও প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের অধিকাংশ সময়ই জাতীয় পরিচয়পত্র করার সুযোগ
থাকে না। এ জন্য এই দুই শ্রেণির নাগরিকদের পাসপোর্টের ক্ষেত্রে তাদের আবেদন নিরীক্ষার
মাপকাঠি হবে অনলাইনে নিবন্ধনকৃত জন্ম নিবন্ধন সনদ। এবার তাহলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ছাড়া
ই-পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া জেনে নেয়া যাক।
কাদের জন্য কোন নথি
প্রয়োজন
ই-পাসপোর্ট পেতে আবেদনকারীদের বয়স
অনুযায়ী প্রয়োজনীয় নথি দিতে হবে:
১৮ বছরের নিচে: অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম নিবন্ধন সনদ (BRC,
ইংরেজি ভার্সন)।
১৮-২০ বছর: এনআইডি কার্ড বা
অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম নিবন্ধন সনদ (BRC, ইংরেজি ভার্সন)
২০ বছরের বেশি: শুধুমাত্র এনআইডি কার্ড। তবে বিদেশি
মিশনের মাধ্যমে আবেদনকারীরা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ জমা দিতে পারবেন।
শিশুদের ক্ষেত্রে: পিতা-মাতার এনআইডি কার্ড।
ঠিকানার প্রমাণ: সাম্প্রতিক ইউটিলিটি বিল (গ্যাস, বিদ্যুৎ
বা পানি)।
বিশেষ পরিস্থিতি: দত্তক বা অভিভাবকত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অনুমোদন।
পেশাভিত্তিক প্রয়োজনীয় নথি
ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ড্রাইভার: সংশ্লিষ্ট কারিগরি
সনদপত্র।
শিক্ষার্থী: সর্বশেষ শিক্ষাগত
যোগ্যতার সনদ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়নপত্র/স্টুডেন্ট আইডি
বেসরকারি চাকরিজীবী: প্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক প্রত্যয়নপত্র।
সরকারি চাকরিজীবী: সরকারি আদেশ (জিও), অনাপত্তি পত্র (এনওসি),
প্রত্যয়নপত্র, পিআরএল অর্ডার বা পেনশন বই।
কৃষক: জমির পর্চা।
ব্যবসায়ী: ট্রেড লাইসেন্স।
আবেদনের সময় জমা দিতে হবে
বায়োমেট্রিকের জন্য
নির্ধারিত সময়সহ আবেদনপত্রের সারাংশ (প্রিন্ট কপি)।
অনলাইনে নিবন্ধিত পূর্ণ
আবেদনপত্র (প্রিন্ট কপি)।
পাসপোর্ট ফি জমার রশিদ।
৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য
ল্যাব-প্রিন্টেড সদ্য তোলা ছবি (গ্রে ব্যাকগ্রাউন্ডে)।
ধারাবাহিকভাবে
ই-পাসপোর্টের আবেদনের নিয়ম :
অনলাইনে আবেদন ফর্ম পূরণ : প্রথমেই ইন্টারনেট ব্রাউজার
ওপেন করে সরাসরি www.epassport.gov.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। তারপর
‘অ্যাপ্লাই অনলাইন’ ট্যাবে ক্লিক করতে হবে। এবা আঞ্চলিক ই-পাসপোর্ট কার্যালয় নির্ধারণ
করতে হবে। স্ক্রিনে ড্রপ ডাউন লিস্ট থেকে প্রার্থীর অবস্থানরত জেলা ও থানার নাম নির্বাচন
করতে হবে। ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অধিভুক্ত ই-পাসপোর্ট কার্যালয়ের নাম নির্ধারিত হবে।
এছাড়া
আলাদাভাবে নিকটস্থ ই-পাসপোর্ট কার্যালয় চেনার জন্য প্রবেশ করতে পারেন এই লিঙ্কে- https://dip.gov.bd/site/page/4d4ea063-50df-46ee-a326-492d8ef2dbb0/-।
পাসপোর্ট
অফিস নির্ধারণের পর ই-পাসপোর্ট অনলাইন নিবন্ধন পোর্টালে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এ জন্য
প্রয়োজন একটি ই-মেইল ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন ও মোবাইল নম্বর দিয়ে
একটি ব্যতিক্রম পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে। তারপর অ্যাকাউন্ট খোলা হলে পরবর্তীতে ই-মেইল
বা মোবাইল নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে পারবেন।
আবেদন
ফর্মের প্রতিটি তথ্য অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী উল্লেখ করতে হবে। ন্যূনতম তারকা
চিহ্নিত তথ্যগুলো অবশ্যই সফলভাবে প্রদানের পর পাসপোর্ট ফি প্রদানের অপশন আসবে। ফি তাৎক্ষণিকভাবে
অনলাইনে পরিশোধ করা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রশিদ নম্বর সংযুক্ত হবে। পরবর্তীতে বায়োমেট্রিক
নিবন্ধনের জন্য দিনক্ষণ নির্ধারণ করতে হবে। স্ক্রিনে প্রদর্শিত ক্যালেন্ডার থেকে উপলব্ধ
তারিখগুলো থেকে পছন্দসই একটি তারিখ নির্ধারণ করতে পারবেন প্রার্থী। এরপরই চূড়ান্ত পর্যায়,
যেখানে সাবমিট সম্পন্ন করার পর অ্যাপয়েনমেন্টসহ পুরো আবেদনের একটি সামারি প্রদর্শিত
হবে। এই সামারি এবং সাবমিটকৃত পুরো অনলাইন নিবন্ধনের প্রিন্ট কপি অন্যসব কাগজপত্রের
সঙ্গে সংযুক্তি হিসেবে জমা দিতে হবে।
ই-পাসপোর্ট ফি পরিশোধ: ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করে
ফি পরিশোধের জন্য পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের অনুমোদিত কিছু পেমেন্ট সিস্টেম রয়েছে।
এসব হচ্ছে- ভিসা, মাস্টার ও অ্যামেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড, বিকাশ, নগদ, রকেট, ইউপে,
ডিমানি, ওকে ওয়ালেট এবং এমবিএল রেইন্বো। আর অনুমোদিত ব্যাংকগুলো হচ্ছে- ব্যাংক এশিয়া,
ব্র্যাক ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, আরব-বাংলাদেশ
ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক এবং মিডল্যান্ড ব্যাংক।
৫ বছর ও ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট আবেদনের খরচ: পাসপোর্ট বইয়ের পৃষ্ঠা, পাসপোর্টের
মেয়াদ ও বিতরণের সময়সীমার ভিত্তিতে ফি ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। মূলত রেগুলার, এক্সপ্রেস
এবং সুপার এক্সপ্রেস, এই তিন ক্যাটাগরিতে সরবরাহ করা হয় ই-পাসপোর্ট।
অধিকতর
দ্রুত সময়ে পাসপোর্ট পাওয়ার মাধ্যম হচ্ছে সুপার এক্সপ্রেস মাধ্যম। এতে বায়োমেট্রিক
সংগ্রহের তারিখ থেকে মাত্র ২ কার্যদিবসের পাসপোর্ট পাওয়া যায়। এক্সপ্রেস ক্যাটাগরিতে
বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের তারিখ থেকে ৭ থেকে সর্বোচ্চ ১০ কার্যদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া
যায়। আর রেগুলার ক্যাটাগরিতে সর্বাধিক সময়সীমা লাগে, যেখানে বায়োমেট্রিক প্রদানের দিন
থেকে ন্যূনতম ১৫ কার্যদিবস বা ২১ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যায়।
আবেদনপত্রসহ নথিপত্র জমা ও বায়োমেট্রিক নিবন্ধন প্রক্রিয়া: উল্লেখিত সব কাগজপত্র
নিয়ে পূর্বনির্ধারিত দিন উপস্থিত থাকতে হবে পাসপোর্ট অফিসে। এদিন আবেদনকারীর ছবি তোলা,
হাতের আঙুলের ছাপ নেয়া হয়। বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়ার জন্য ছবি উঠাতে প্রার্থীকে অবশ্যই
রঙিন পোশাক পরে আসতে হবে পাসপোর্ট অফিসে। সব কাজ শেষে প্রার্থীকে বিতরণের সম্ভাব্য
তারিখ সম্বলিত একটি স্লিপ দেয়া হবে। স্লিপটি আবেদনকারীর বায়ো নিবন্ধনের প্রমাণপত্র,
এ জন্য এটি পাসপোর্ট সংগ্রহের দিন অবশ্যই সঙ্গে করে নিয়ে আসতে হবে।
অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা যাচাইয়ের উপায়: বায়ো নিবন্ধনের দিন
থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহের সম্ভাব্য দিনটির আগে পাসপোর্ট আবেদনের অবস্থা অনলাইনের মাধ্যমে
যাচাই করা যায়। এ ক্ষেত্রে পাসপোর্ট কোন প্রক্রিয়ায় রয়েছে, তা দেখা থেকে শুরু করে পাসপোর্ট
প্রিন্ট এবং তা সরবরাহ করার জন্য প্রস্তুত কিনা, সেটিও দেখা যায়। এ জন্য প্রবেশ করতে
হবে এই লিঙ্কে- https://www.epassport.gov.bd/authorization/application-status- লিঙ্কে।
পাসপোর্ট
অফিস থেকে দেয়া বিতরণ স্লিপে ১৩ সংখ্যার একটি অ্যাপ্লিকেশন আইডি রয়েছে। আবেদনের বর্তমান
অবস্থা যাচাইয়ের জন্য এই আইডি বা আবেদন ফর্মে থাকা ওআইডি (অনলাইন রেজিস্ট্রেশন আইডি)
ব্যবহার করতে হবে।
আগে
বায়োমেট্রিক দেয়ার কিছুদিন পর পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য আবেদনকারীকে ফোন করা হতো। কিন্তু
এখন থেকে এই কার্যক্রম থাকছে না। ই-পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য একদম প্রস্তুত হলে যথারীতি
আবেদনপত্রে উল্লেখিত ফোন নম্বর ও ই-মেইলে নির্দিষ্ট তারিখ সম্বলিত বার্তা পাঠানো হবে।
আর সেই তারিখে বিতরণ স্লিপ ও জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসে
হাজির হতে হবে।
মন্তব্য করুন
লাইভ ভিডিও সংরক্ষণের নীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জায়ান্ট ফেসবুক।
ব্যবহারকারীদের লাইভ ভিডিওগুলো ফেসবুক আর অনির্দিষ্টকালের জন্য সংরক্ষণ করবে না। পোস্ট হওয়ার ৩০ দিন পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেগুলো মুছে যাবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট টেক পোর্টাল।
আগে ফেসবুকে লাইভ ভিডিও স্থায়ীভাবে সংরক্ষিত থাকত, যতক্ষণ না ব্যবহারকারী নিজে সেগুলো মুছে ফেলতেন। সেই নীতিতে এখন বড় পরিবর্তন আনলো প্ল্যাটফর্মটি।
ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটা এক ব্লগ পোস্টে বলেছে, তাদের এ নতুন নিয়ম ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে।
১৯ তারিখের আগে পোস্ট করা বিভিন্ন লাইভ ভিডিওর মধ্যে যেগুলো ৩০ দিনের বেশি পুরোনো সেগুলোও ফেসবুক থেকে সরিয়ে দেবে মেটা। তবে ইমেইল ও ‘ইন অ্যাপ’ পপ আপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের সেটা জানাবে কোম্পানিটি, যাতে নিজেদের বিভিন্ন লাইভ ভিডিও সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা নিতে পারেন তারা।
আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পুরানো বিভিন্ন লাইভ ভিডিও মুছে ফেলবে মেটা। লাইভ
ভিডিও সংরক্ষণে ব্যবহারকারীদের জন্য ফেসবুক তিনটি বিকল্প রেখেছে। সেগুলো হলো-
এছাড়াও, মেটা নতুন কিছু টুলও চালু করেছে, যা লাইভ ভিডিও সংরক্ষণে ব্যবহারকারীদের সাহায্য করবে। এজন্য নিজেদের প্রোফাইল বা পেইজের ‘ভিডিও’ বা ‘লাইভ’ ট্যাবে গিয়ে নির্দিষ্ট ভিডিও নির্বাচন করে ‘ডাউনলোড ভিডিও’ অপশন ব্যবহার করে তা ডাউনলোড করতে পারবেন।
এদিকে, ফেসবুক তাদের এক ব্লগ পোস্টে বলেছে, “এই পরিবর্তন আমাদের স্টোরেজ নীতিকে ইন্ডাস্ট্রির স্ট্যান্ডার্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করবে এবং ফেসবুকের লাইভ ভিডিওর অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করবে।যদি ব্যবহারকারীরা আরও সময় চান, তাহলে তারা ভিডিও মুছে ফেলার সময় ৬ মাস পর্যন্ত পেছাতে পারবেন। তবে যদি ৬ মাসের মধ্যে কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয়। তাহলে ফেসবুক স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলো মুছে ফেলবে এবং পরে তা পুনরুদ্ধার করার কোনো উপায় থাকবে না।”
শর্ট ভিডিওর ব্যবসা বাড়ানোর পরিকল্পনা থেকে মেটা এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে টেকপোর্টাল।
মন্তব্য করুন