মো: মাসুদ রানা, চাঁদপুর প্রতিনিধি :
চাঁদপুরের কচুয়া পৌরসভায় ৫নং ওয়ার্ডের কড়ইয়া গ্রামের পূর্ব বিলে লোডশেডিংয়ের কারনে চলতি মৌসুমের ইরি-বোরো ধানের পানি সেচ নিয়ে বিপাকে রয়েছেন কৃষকরা। এতে করে কৃষকরা ভালো ফলন নিয়ে খুবই চিন্তিত। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারনে ওই বিলের কৃষকরা ইরি ধানের ফলন ঘরে তোলা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে,কচুয়া পৌরসভাধীন কড়ইয়া গ্রামের পূর্ব বিলে প্রায় ৫শ একর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। চলতি বছরের ওই বিলের বোরো ধানের থোর বের হলেও পানি না থাকার কারনে ভালো ফলন নিয়ে ঘরে ফেরার দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা। এছাড়া সরকারি খাস ভূমিগুলো ইচ্ছে মত দখল করে নেয়ায় পানি চলাচল করতে পারছে না। এসব খাস ভূমিগুলো অসাধু দখলদারীদের কাছ থেকে উদ্ধারের দাবী জানিয়েছে কৃষকরা।
স্থানীয় কৃষক জাহাঙ্গীর হোসেন, মনির হোসেন, আব্দুল আউয়ালসহ একাধিক কৃষকরা জানান, চলতি মৌসুমে এই মাঠে আমরা বোরো ধান চাষ করেছি। কিন্তু ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ায় সেলু মেশিন থেকে আমাদের ফসলী জমিতে পানি আসছে না। তারা আরো জানান, পার্শ¦বর্তী এলাকায় বিদ্যুৎ থাকলেও আমাদের এ অঞ্চলে বিদ্যুৎ থাকেনা। তাই কৃষি জমির ফসলী উৎপাদনের লক্ষে জনস্বার্থে বিদ্যুতের ঘাটতি কমিয়ে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ দেয়ার জোড় দাবী করছি।
ওই মাঠের আলী হোসেনের সেলু মেশিনের লাইনম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমি গত বেশ কয়েক বছর যাবৎ এই সেলুতে লাইন ম্যানের কাজ করছি। কিন্তু এবারের মত এত ভয়াবহ লোডশেডিং কখনো দেখিনি। বিদ্যুৎ একবার গেলে আর আসার নাম থাকে না। কখনো কখনো বিদ্যুৎ আসলে সেলু মেশিন চালু দিলে ড্রেইনে পানি প্রবেশের আগেই বিদ্যুৎ চলে যায়।
কচুয়া কৃষি অফিসের উপ-সহকারি কর্মকর্তা টিটু মোহন সরকার বলেন, স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ফসলী জমি দেখতে পরিদর্শনে আসি। চাহিদা মত বিদ্যুৎ না থাকায় অধিকাংশ ফসলী জমিতে পানি নেই। ফসলী ধানের জমিতে পানি না থাকলে কৃষকদের ক্ষতি সাধন হবে।
মন্তব্য করুন
কুড়িগ্রামের উলিপুরে
ব্রহ্মপুত্র নদের ঘাট এলাকা থেকে ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার রাতে তাদের আটক
করা হয় এবং রোববার দুপুরে মাদক মামলায় কুড়িগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শনিবার
রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল উলিপুর উপজেলার হাতিয়া
ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে বাবুর চর ঘাটের পাশ থেকে মশালের চর গ্রামের একাধিক
মাদক মামলার আসামি মাদক কারবারি সরবেশ মন্ডল রফিক ওরফে দরবেশ (৩০) এবং মুসা
মিয়া (১৯) এ দুজনকে ৫০০ পিস ইয়াবাসহ হাতেনাতে আটক করে। এসময় তাদের মাদক পরিবহনে
ব্যবহৃত ইঞ্জিন চালিত নৌকা জব্দ করা হয়। পরে তাদের নামে উলিপুর থানায় একটি মাদক
আইনে মামলা রুজু করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রামের
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গত ২৪
ঘন্টায় জেলায় পুলিশ বিভিন্ন মামলায় ২০জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত সকল
আসামীকে রোববার আদালতে সোপর্দ করা হয়।
মন্তব্য করুন
কিশোরগঞ্জে হেলিকপ্টারে চড়ে কর্মচারীর বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন সৌদি মালিক ও তার ছেলে।
২১ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় পৌঁছান সৌদি আরবের নাগরিক আহাম্মদ হলিবি (৬০) ও ছেলে আব্দুল লিল হলিবি (৪৫)। সৌদি আরবের দাম্মাম এর আল হাসার খালিদীয়া এলাকার অধিবাসী তারা।
জানাযায়, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের সাহেবেরচর নয়াপাড়া এলাকার মৃত কৃষক চাঁন মিয়ার ৩ ছেলে খাইরুল ইসলাম (৪০), আব্দুল হামিদ (৩৫) ও সারোয়ার হোসেন সাহিদ (৩১)। খাইরুল ২০ বছর আগে সৌদি আরবে যান। আর ছোট ২ ভাই হামিদ ও সারোয়ার ৭ বছর আগে সৌদি আরবে যান। সৌদি আরবের দাম্মাম এর আল হাসার খালিদীয়া এলাকার শামীম আহাম্মদ হলিবির পরিবারে কাজ করতো তারা। সেখানে কাজ করতে গিয়ে মালিকদের সঙ্গে তাদের তিন ভাইয়ের হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই ভালোবাসার টানে মঙ্গলবার তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন সৌদি নাগরিক আহাম্মদ হলিবি ও তার ছেলে আব্দুল লিল হলিবি।
ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে হোসেনপুর সদরের ঢেকিয়া খেলার মাঠে আসেন। পরে সেখান থেকে মাইক্রোবাসে করে তারা সাহেবেরচর নয়াপাড়া এলাকায় যান।
মন্তব্য করুন
নিজ কৃষি খামারে কাজ করতে গিয়ে পঁয়ত্রিশ বছরের যুবক মো. সুমন (৩৫) কে সাপে কাটে।
খামারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতাল থেকে পালিয়ে ওঝার কাছে সেই সাপে কাটা রোগী।
চমেকে রোগীতে যথারীতি ভর্তি করালেও মায়ের আকুতি মিনতি আর নানা হুমকিতে গ্রামের উদ্দেশ্যে আবারো হাসপাতাল ছাড়ে সাপে কাটা সুমন। জানা যায়, ওঝার কাছে চিকিৎসা করতেই মূলত রোগীকে চমেক ছাড়তে বাধ্য করেন তাঁর মা শাহিদা বেগম (৫০)। শাহিদার একমাত্র ছেলে মো. সুমন।
গত সোমবার (২৫ মার্চ) রাত ১২ টার দিকে বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের চর মেঘা এলাকার খামারবাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দপুরের চেয়ারম্যান বেল্লাল মোল্লা।
ঘটনা সুত্রে জানা যায়, সুমনের বাড়ি মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার রাজাপুর হলেও সুমন বসবাস করতেন মেঘনা নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে উঠা গোবিন্দপুর ইউনিয়নে। মেঘনা নদীর করাল ভাঙ্গনে গোবিন্দপুর ইউনিয়ন এখন বিলিন প্রায়। সব দিকে চর এলাকা।
ঘটনার দিন গত সোমবার (২৫ মার্চ) রাত ১২ টার দিকে সুমন নতুন চর এলাকায় নিজ খামারে কাজ করছিলেন। খামারটিতে গরু লালন পালন ও ডাল চাষ করতেন। এলাকাটি ঝোপঝাড় জঙ্গলে ভরপুর ছিল। রাতে সুমন জমিতে কাজ করতে গেলে হঠাৎ পায়ে কামড় দেয় বিষধর চন্দ্রবোড়া (রাসেলস ভাইপার) সাপ। কয়েক ঘন্টার মধ্যে গলা দিয়ে রক্ত পড়ে সুমনের। দ্রুতই আত্মীয় স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে নোয়াখালী হাসপাতাল হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
পরে সাপে কাটা রোগী হাসপাতাল ছেড়ে ওঝার কাছে নিতে সিট কেটে দেন। এ ঘটনা শোনে চমেক হাসপাতালের ১৬ নম্বর মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অন্যান্য রোগিরাও হতভম্ব হয়ে পড়েন। কেননা, চট্টগ্রাম বিভাগে সাপে কাটা রোগীর একমাত্র ভরসা হচ্ছে চমেক হাসপাতাল। এখানেই দেওয়া হয় সাপে কাটা রোগীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা। রয়েছে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম টিকা ও আইসিইউ ব্যবস্থা।
হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা গেছে, গত ২৬ মার্চ সাপে কাটা মো. সুমনকে চমেকে ভর্তি করেন তাঁর খালু মোহাম্মদ খলিল। ভর্তি করানোর পর ডাক্তারেরা নিশ্চিত হন সুমনকে চন্দ্রবোড়া সাপে কামড় দিয়েছেন। কিডনিতে সমস্যা হয়েছে। ফলে, দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া হয় রোগীকে। কিন্তু চিকিৎসা শুরুর ১২ ঘন্টা না যেতেই রোগীর সিট কেটে গ্রামের উদ্দেশ্যে দৌঁড় দিলেন খলিল।
পরে রোগীর বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, রোগী হাসপাতাল ছেড়ে মূলত ওঝার কাছে গেছেন। সাপে কাটা রোগী সুমনের মা শাহিদা বেগমকে নাকি পাশের বাড়ির লোকজন জানিয়েছেন ছেলেকে ওঝার কাছে চিকিৎসা করাতে। এই ধারণায় পেয়ে বসে শাহিদা বেগমকে। ছেলেকে যেকোন মূল্যে হাসপাতাল থেকে ওঝার কাছে পৌঁছাতেই চাপ দেন রোগীর এ্যাটেনডেন্ট হিসেবে আসা খালু মোহাম্মদ খলিলকে। এতেই ঘটে বিপত্তি।
স্থানীয় সুত্র জানায়, সুমন গোবিন্দপুর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের ফজলে করিম হাওলাদারের ছেলে। সুমনের এক ছেলে, এক মেয়ে। বর্তমানে তাঁর পরিবারের সবাই অসুস্থ। সুমনকে সাপে কামড় দিয়েছে এ খবরে তাঁর স্ত্রী রিক্তা বেগমও পাগলপ্রায়।
গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আসলাম রোগীর এ্যাটেনডেন্ট খলিলের বরাত দিয়ে বলেন, 'সুমনের মা সরাসরি খলিলকে হুমকি দিয়েছেন। সুমন মারা গেলে তাঁকে আসামি করে মামলা করবে। সুমনকে যেন তাড়াতাড়ি ওর মায়ের কাছে পৌঁছায় দেন। এ কথা শোনে মূলত খলিল সাপে কাটা রোগীকে চমেকে ভর্তি করলেও পরে কোন মতে রোগী নিয়ে পালিয়ে যান।'
গোবিন্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেল্লাল মোল্লা বলেন, 'ঘটনাটি কেউ আমাকে জানায়নি। আমি খবর নিচ্ছি। বর্তমান যুগে যেখানে চিকিৎসা বিজ্ঞান এত উন্নত হয়েছে সেখানে এখনও ওঝার ঝাঁড় ফুক বিশ্বাস করা দুর্ভাগ্যজনক। মানুষকে সচেতন হওয়া দরকার।'
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ডাঃ অনিরুদ্ধ ঘোষ বলেন, 'আমরা যতটুকু জেনেছি রোগীকে চন্দ্রবোড়া (রাসেলস ভাইপার) সাপে কেটেছে। অলরেডি চামড়ার নিচে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে। আমরা অনেক চেষ্টা করেছি রোগীকে হাসপাতালে রাখতে। কিন্তু রোগীর মা কিছুতেই রাজি ছিলেন না। রোগীকে নিয়ে গেলেন। বিষয়টি রোগীর এলাকার মেম্বার, চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কোন ওঝা যদি মাকে প্রলুব্ধ করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
বণ্যপ্রাণী ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ মো. আবু সাইদ বলেন, 'সাপে কামড়ানোর পর যারা আগে ওঝার কাছে যান, তাদের মধ্যে মারা যাওয়ার হার বেশি। সময় মতো হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করালে রোগীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। সাপে কামড়ানোর পর ৬১ শতাংশ মানুষ যান ওঝার কাছে। আর ৩৫ শতাংশ মানুষ যান হাসপাতালে।সাপে কামড়ানোর পর প্রথম ১০০ মিনিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য দ্রুত হাসপাতালের বিকল্প নেই।'
মানুষের শরীরের ওপর সাপের বিষের প্রভাব নিয়ে পিএইচডি করা গবেষক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর এম এ ফয়েজ জানান, 'সাপের দংশনের শিকার মানুষের প্রাণ বাঁচানোর পথে অন্যতম অন্তরায় অপচিকিৎসা। কেননা, অধিকাংশ সময় রোগীকে হাসপাতালে না নিয়ে, যাওয়া হয় ওঝা বা বৈদ্যের কাছে। এতে রোগীর মৃত্যু ও পঙ্গুঝুঁকি বাড়ছে। এ কারণে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি অপচিকিৎসা রোধে আইন প্রণয়ন করা জরুরী হয়ে পড়েছে।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার সফিবাদ দরবার শরীফ মাদরাসা কমপ্লেক্সের আওতায় জামেয়া আহমাদিয়া সফিবাদ মাদরাসা ও দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষনা,শিক্ষা উপকরণ ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার মাদ্রাসা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে সফিবাদ দরবার শরীফের সেবামূলক প্রতিষ্ঠান সিরাজাম মুনিরা ফাউন্ডেশনের আয়োজনে শিক্ষার্থীদের ব্যাগ,খাতা,কলম সহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।
সফিবাদ দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসার সভাপতি মুফতি সোলেয়মান বিন কাশেমের সভাপতিত্বে ও দরবার শরীফ মাদরাসা কমপ্লেক্সের সেক্রেটারী মাওলানা জিসান শরীফের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সিংআড্ডা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল গণি মাষ্টার। প্রধান মেহমান হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কচুয়া উপজেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সুপারভাইজার হাসান মজুমদার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, আব্দুল মবিন মাষ্টার,সেকান্দার মোল্লা সহ আরো অনেকে।
এসময় মাদ্রাসার হেড ইনচার্জ যাকারিয়া বখতিয়ার,সহকারী শিক্ষক হাফেজ মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক,সমাজসেবক ফজলুর রহমান,আব্দুস সাত্তার, আব্দুল মুনাফ,খন্দকার আব্দুর রহিম সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।
উল্লেখ্য যে, মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে দ্বীনি শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষায় পাঠদান করা হয়। তাছাড়া গরীব-অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ভর্তি ও পাঠদান করানো হচ্ছে। মাদ্রাসার সফলতা ও অগ্রগতি কামনায় সকলের দোয়া কামনা করেছেন মাদ্রাসার সভাপতি মুফতি সোলেয়মান বিন কাশেম।
মন্তব্য করুন
রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে আশুলিয়া থানা অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস্) আবদুল্লাহিল কাফি জানান, পোশাক কারখানা ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বেতন প্রদানের সময় স্ট্যাম্পের চাহিদার সুযোগ নিয়ে কোটি টাকার জাল স্ট্যাম্প সরবরাহ করে আসছিল একটি চক্র। এমন চক্রের সন্ধান পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে আশুলিয়া থানা পুলিশ আর এ অভিযানে বিপুল সংখ্যক জাল স্ট্যাম্পসহ চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-বরিশাল জেলার সদর থানার ব্রাউন কম্পাউন্ড রোড এলাকার মৃত আ. রশিদ হাওলাদারের ছেলে মো. আসিফ ইকবাল (৩৮) ও মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার বাহেরচর গ্রামের হোসেন মোল্লার ছেলে মো. জুয়েল (৪২)। একটি পোশাক কারখানায় জার স্ট্যাম্প বিক্রির সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস্) আবদুল্লাহিল কাফি বলেন, জাল স্ট্যাম্প তৈরির কারখানা আমরা গত ঈদের আগে শনাক্ত করে চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছি। তারা কিন্তু ধরন পরিবর্তন করেছে। পোশাক কারখানার বেতনের সময় ১০ টাকার জাল স্ট্যাম্পের প্রয়োজন হয়। একই সঙ্গে পণ্য শিপমেন্টের সময় ৫০০ টাকার স্ট্যাম্প প্রয়োজন হয়। এ চাহিদাকে চক্রটি কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার ডংলিয়ন পোশাক কারখানায় জাল স্ট্যাম্প বিক্রি করতে আসেন আসামি আসিফ ইকবাল। খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ।
পুলিশের উপস্থিত বুঝতে পেরে তিনি আসিফ ইকবাল পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ১০ টাকা মুল্যের ২ লাখ ৯০ হাজার ২০০ টি রিভিনিউ স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার মৌচাক বাজারের ইউনিয়ন ব্যাংকের সামনে থেকে মো. জুয়েল মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার কাছ থেকে ১০ টাকা মূল্যের ১০ হাজার ও ৫০০ টাকা মূল্যের ৪০ হাজার স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়। যার মুল্য দুই কোটি ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এ জাল স্ট্যাম্পের কারখানার করা হচ্ছে। দ্রুত কারখানাসহ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হবে। গ্রেপ্তারকৃত আসামির রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় সার্কেল কাবাডি প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়েছে। কুমিল্লা জেলা পুলিশের আয়োজনে ও কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহযোগিতায় বুধবার ( ১৪ ফেব্রুয়ারি ) সকালে কুমিল্লা জিমনেসিয়ামে কাবাডি প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়।
কাবাডি প্রতিযোগিতায় কুমিল্লা জেলা পুলিশের ৮টি সার্কের টিম অংশ গ্রহন করে। দুটি গ্রুপে নক আউট পর্যায়ে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। কুমিল্লা উত্তর ও দক্ষিন জেলার চৌদ্দগ্রাম সার্কেল, সদর দক্ষিন সার্কেল, লাকসাম সার্কেল, সদর সার্কেল, হোমনা সার্কেল, দাউদকান্দি সার্কেল, দেবিদ্বার ও মুরাদনগর সার্কেল টিম অংশ নেয়। ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩ টায় আইজিপি কাপ ও চট্টগ্রাম রেঞ্জ কাবাডি ও কুমিল্লা জেলা সার্কেল টিমের বিজয়ী কাবাডি প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরন করা হবে।
কুমিল্লায় সার্কেল কাবাডি প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মংনে খোয়াই মারমা। প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রোমেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার কামরান হোসেন, কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ হোসেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন জাকির।
মন্তব্য করুন
পৃথক দুইটি অভিযানে ৩০ কেজি গাঁজা ও ৫০ বোতল ফেন্সিডিল’সহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
(০২ জুলাই) তারিখ রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন পদুয়ার বাজার এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আসামী ১। মোঃ শাহিন উদ্দিন (২৫) এবং ২। মনি আক্তার (২৯) নামক ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ১০ কেজি গাঁজা, ৫০ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়।
পৃথক অন্য একটি অভিযানে (০২ জুলাই) দুপুরে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন মাঝিগাছা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আসামী মোঃ বিল্লাল হোসেন (২৩) নামক ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় আসামীর হেফাজত হতে ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ শাহিন উদ্দিন (২৫) কক্সবাজার জেলার সদর থানার মধ্যম মাইজপাড়া গ্রামের শামসুল আলম এর ছেলে, ২। মনি আক্তার (২৯) নারায়নগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার গুরুবদী গ্রামের হানিফ মিয়া এর মেয়ে এবং ৩। মোঃ বিল্লাল হোসেন (২৩) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার ভরজালা গ্রামের মৃত আলী আকবর এর ছেলে। আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা ও ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
রফিকুল ইসলাম বাবু, চাঁদপুর:
শনিবার
দুপুরে চাঁদপুর শহরের পৌর এলাকায় গুনরাজদী আনোয়ারা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার বার্ষিক
ক্রীড়া ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি
শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, চাঁদপুর জেলা বি.এন.পি'র সাধারণ সম্পাদক ,এড. মোঃ সেলিম উল্লাহ সেলিম, পৌর বি.এন.পির আহ্বায়ক আক্তার হোসেন মাঝি, চাঁদপুর পৌর বি.এন.পির, সদস্য সচিব এড হারুনুর রশিদ সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ , অভিভাবক ও শিক্ষক, শিক্ষার্থীবৃন্দুরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সবার শেষে মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল:
কুমিল্লা নিউমার্কেটে নিত্যপণ্যের বাজারে
তদারকি অভিযান চালিয়ে তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ
অধিদপ্তর ।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে কুমিল্লা নিউমার্কেটে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মোঃ আছাদুল ইসলাম এই অভিযান পরিচালনা করেন। চলমান বর্ষা মৌসুমকে কেন্দ্র করে সবজিসহ নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি তদারকি করতে এ মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ সময় ভোক্তা অধিকার বিরোধী নানা কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।
এ সময় সহযোগিতা করেন স্যানিটারি
ইন্সপেক্টর একে আজাদ এবং জেলা পুলিশের একটি টিম।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,কুমিল্লার
সহকারী পরিচালক মোঃ আছাদুল ইসলাম জানান, অভিযানে মসলা, সবজি, কাচামরিচ, ডিম, ফার্মেসী
প্রভৃতি বিষয়ের ওপর তদারকি করা হয়। অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
করা হয়। জনস্বার্থে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন মাঝিগাছা এলাকা থেকে অস্ত্রসহ অস্ত্রধারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ এর সিপিসি-২।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গত ০৬ ডিসেম্বর বুধবার রাতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন মাঝিগাছা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে ১টি পাইপগানসহ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হলো: কুমিল্লার জেলার কোতয়ালী মডেল থানার, বিষ্ণপুর (পশ্চিমপাড়া) এলাকার মৃত তবদল হোসেন এর ছেলে মোঃ জাহের (৩৮)।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সে দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে অস্ত্র প্রদর্শন করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম সহ বিভিন্ন ধর্তব্য অপরাধ সংগঠিত করে আসছিল। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন