মো: মাসুদ রানা, কচুয়া:
তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশাকে উপক্ষো করেই জমি তৈরি করে বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করেছেন চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার কৃষকরা। কৃষকদের আশা, আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার তারা বোরো ধানের বাম্পার ফলন পাবেন। গেল বছরের তুলনায় এ বছর বাজারে ধানের দাম বেশি থাকায় কচুয়া প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ইরি-বোরো ধান চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। ফলে উপজেলার গ্রামাঞ্চল কিংবা পৌরসভার আবাদী ও অনাবাদী জমিতে ব্যাপকহারে বোরো ধান চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
এদিকে শ্যালো মেশিন কিংবা পাম্পের সাহায্যে জমিতে পানি দিয়ে ধান রোপণের জন্য জমি উপযোগী করে তুলছেন বেশিরভাগ কৃষক। অধিকাংশ জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করা ও বীজতলা থেকে ধানের চারা উত্তোলন করে জমিতে রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন চাষিরা।
কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১২ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ হাজার ২০০ হেক্টর জমি।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে দেখা যায় ইরি-বোরো রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। তবে পালাখাল, সাচার, বিতারা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে পুরোদমে বোরো ধান রোপণ শুরু হয়েছে। গেলো বোরো মৌসুমে ধানের দাম বেশি পাওয়ায় এবারও দাম ভালো পাওয়ার আশায় আছেন চাষিরা।
পালাখাল গ্রামের ধান চাষী ফজল হক ও ফজলু মিয়া সহ অনেকেই জানান, ধানের দাম বাজার বেশি থাকায় বোরো রোপণ করছি অধিকাংশ জমিতে। আরও অনেক জমিতে রোপণ করা বাকি আছে। বাজারের ধানের দাম বেশি। তাই বোরো ধান চাষ বেশি আবাদ করবেন বলে জানান তারা।
দোয়াটি গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম ও আবুল হোসেন বলেন, ইতিমধ্যে আমরা অনেক জমিতে বোরো ধানের চারা রোপন করেছি, বাকী জমি গুলোতে পর্যায়ক্রমে রোপন করা হবে। আশা করছি এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকলে এবং ধানের ফলন ভালো হলে দাম পাওয়া যাবে।
এব্যাপারে উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মেজবাহ উদ্দিন জানান, চলতি মৌসুমে ধানের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বোরো চাষে কৃষকরা বেশি আগ্রহী হচ্ছেন। তবে এ বছর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রোপণ হতে পারে বলেও জানান তিনি। তাছাড়া বোরো আবাদে কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
যে সকল ব্যক্তি নিরক্ষর, তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) ছবির নিচে টিপসই (আঙুলের ছাপ) প্রদর্শিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সিস্টেম ম্যানেজারকে নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।
ইসির এনআইডি মহাপরিচালক মো. মাহবুব আলম তালুকদার নির্দেশনাটি ইতোমধ্যে এনআইডি পরিচালককেও (অপারেশনস) পাঠিয়েছেন।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো উপজেলায় বদলি জনিত কারণে পদ ফাঁকা হলে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে কর্মকর্তা পদায়ন করতে হবে। প্রয়োজনে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতিকল্প কর্মকর্তা পদায়ন করতে হবে। অর্থাৎ পদ ফাঁকা রাখা যাবে না।
এছাড়া নতুন ভোটার নিবন্ধনে ডাকঘর এন্ট্রি সংক্রান্ত সমস্যা নিরসন করা, নতুন ভোটার শনাক্তকারীর এনআইডি ডাটাবেজে রাখা ও তদন্ত দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে।
অন্যদিকে নিরক্ষর ভোটারের এনআইডিতে ছবির নিচে আঙুলের ছাপ, ভোটার স্থানান্তরের জন্য আবেদনকারীর সশরীরে উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ, বিদেশে অবস্থিত মিশন হতে সংগৃহীত জন্ম সনদে মুদ্রণজনিত ত্রুটি নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ইসি কর্মকর্তারা জাানায়, নিরক্ষর ব্যক্তিদের এনআইডিতে স্বাক্ষর নিয়ে সমস্যা দীর্ঘ দিনের। অনেকে আবেদনে স্বাক্ষর না পারলেও কোনো একটা স্বাক্ষর করে দেন৷ কিন্তু পরবর্তীতে সেটা আর মেলে না৷ আবার যারা স্বাক্ষর করেন না, তাদের জন্যও কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই এখন থেকে এনআইডিতে ছবির নিচে নিরক্ষরদের আঙুলের ছাপ প্রদর্শিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মন্তব্য করুন
যারা নতুন ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন, তাদের তথ্যে কোনো ভুল বা কারো কোনো দাবি আপত্তি থাকলে আগামী ১৭ জানুয়ারির মধ্যে আবেদন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ সংক্রান্ত আবেদন নেবেন।
ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ে পাঠিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন সহায়তা শাখা-২’র সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী।
গত ২ জানুয়ারি হালনাগাদ করা ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এরপর ভুল-ভ্রান্তি বা কারো কোনো দাবি আপত্তি থাকলে আবেদন করতে হবে ১৭ জানুয়ারির মধ্যে। ৩০ জানুয়ারির মধ্যে দাবি আপত্তিগুলোর নিষ্পত্তি করা হবে। আর ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানায়, হালনাগাদের আগে ভোটার ছিল ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন। নতুন করে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫২ জন। এ হিসেবে ভোটার সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২ জন। ভোটার বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, দাবি আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে আগামী ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এই সময়ের মধ্যে কারো কোনো দাবি বা আপত্তি থাকলে তা জানাতে পারবেন। ১৭ জানুয়ারি দাবি আপত্তি জানানোর শেষ সময়।
মন্তব্য করুন
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, রাতের আকাশের এই নক্ষত্র দেখতে অনেকটা ধোঁয়াসদৃশ। প্রায় এক দশক পর রাতের এই নক্ষত্রের দেখা পাওয়া গেছে।
জানুয়ারির ২৫ তারিখের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যের সৌর-গবেষণা প্রতিষ্ঠান রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি (আরএএস)।
নতুন সন্ধান পাওয়া বিশালাকার এ নক্ষত্রের অবস্থান মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কাছাকাছি। নক্ষত্রগুলো দশকের পর দশক ধরে অনাবিষ্কৃত ছিল। সৌরজগতে যুগ যুগ ধরে এদের অবস্থান রয়েছে বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে এবারই প্রথম সৌরজগতে এমন নক্ষত্রের খোঁজ পাওয়া গেছে। সৌরজগতে এমন প্রায় ১০০ কোটি নক্ষত্র রয়েছে, যা খালি চোখে দেখা যায় না। চিলির আন্দিজের এক এলাকা থেকে টেলিস্কোপের সাহায্যে এ পর্যবেক্ষণ চালিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
সূত্র: সিএনএন
মন্তব্য করুন
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ব্যাপক সমালোচিত হয় বাংলাদেশ পুলিশ। শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালানোর পর পুলিশ বাহিনীও আত্মগোপনে চলে যায়।
এর পর থেকে দেশে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি দেখা যায়। এবার এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এসএসসিতে জিপিএ ২.৫ হলেই আবেদন করা যাবে। আগামী ১ অক্টোবর থেকে এ আবেদন শুরু হবে।
আবেদনের যোগ্যতা
আগ্রহী প্রার্থীদের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। ন্যূনতম জিপিএ-২.৫ থাকতে হবে।
আবেদনের জন্য বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক ও অবিবাহিত হতে হবে। তালাকপ্রাপ্ত গ্রহণযোগ্য নয়। ২০২৪ সালের ১৫ অক্টোবর তারিখে প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে হতে হবে। এ ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য বিদ্যমান কোটা অনুসৃত হবে।
শারীরিক যোগ্যতা
মেধা কোটার ক্ষেত্রে পুরুষ প্রার্থীর উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি হতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তান, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের কোটার ক্ষেত্রে বিধি অনুসৃত হবে। নারী প্রার্থীর উচ্চতা মেধা কোটার ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি হতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তান এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ২ ইঞ্চি।
শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের কোটার ক্ষেত্রে বিধি অনুসৃত হবে।
মেধা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি ও সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩৩ ইঞ্চি। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের কোটার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি ও সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি। দৃষ্টিশক্তি ৬/৬।
যেভাবে আবেদন
আগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এই ওয়েবসাইটে আবেদন ফরম পূরণের সহায়ক হিসেবে ভিডিও টিউটরিয়াল এবং ফরম পূরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আবেদন ফি
আবেদন ফরম পূরণ করার পর যোগ্য প্রার্থী একটি ইউজার আইডি পাবেন। ওই ইউজার আইডিতে আবেদন ফরম পূরণের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যেকোনো টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে ৪০ টাকা জমা করতে হবে।
আবেদনের সময়সীমা
১ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত।
মন্তব্য করুন
পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃ-ত্যু হয়েছে। শিশু দুইটির নাম পিঙ্কি দাস ও উর্মিলা মারাক।
রোববার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে ত্রিপুরার পশ্চিম জেলার শ্রীনগর থানার অন্তর্গত নাগিছড়া কালীদাসপাড়া এলাকায়।
জানা যায়, রোববার দুপুরে পিঙ্কি ও উর্মিলা আরেক শিশুর সঙ্গে পুকুরে গোসল করতে নামে। কিছুক্ষণ পর ওই শিশু পুকুর থেকে ডাঙায় উঠে আসে। কিন্তু পিঙ্কি ও উর্মিলা পানিতে তলিয়ে যায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে শ্রীনগর থানায় পুলিশ ও আনন্দনগর ফায়ারসার্ভিসের কর্মীরা ঘটনা স্থলে পৌঁছে শিশু দুটির নিথর দেহ উদ্ধার করে। পরে তাদের আনন্দনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
পিঙ্কি দাস কালীদাসপাড়ার শঙ্কর দাসের মেয়ে, বয়স ৯ বছর। উর্মিলা মারাকের বয়স ১০, বাবার নাম রাজেন মারাক।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে স্থানীয় থানা পুলিশ।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা, কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পালাখাল ছালেহিয়া আলিম মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মাদ্রাসায় বই পেয়ে খুশি শিক্ষার্থীরা। নতুন বছরের এমন নতুন বই পেয়ে আনন্দ উল্লাসিত তারা। মাদ্রাসার ১ম শ্রেনী থেকে নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের মাঝে এসব বই বিতরণ করা হয়।
এদিকে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জানান, বছরের প্রথমে বই পেয়ে আমরা আনন্দিত। এজন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।
মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মো. সাদেকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও আরবী প্রভাষক নেয়ামত উল্যাহর পরিচালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন, সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ উল্যাহ,মঈনুল হাসান,সহকারী মৌলভী আব্দুল কুদ্দুস খান সহ আরো অনেকে।
এসময় মাদ্রাসার শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা, কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ায় বাকি বিল্লাহ (৩৫) উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ফেরী করে বিক্রি করেন নানান জিনিসপত্র। খেলনা থেকে শুরু করে নারীদের বিভিন্ন প্রসাধনীসহ নানান বাহারী রকমের সামগ্রী বিক্রি করেন তিনি। বাকী বিল্লাহ জীবন সংগ্রামে জীবিকা নির্বাহের যুদ্ধে এখনো ঠিকে আছেন তিনি। প্রতিদিন ৪শ থেকে ৫শ টাকা বিক্রি করেন। যা আয় হয়,তাই দিয়ে সংসার চলে তার। সে হবিগঞ্জের বানিয়াচোং উপজেলার সুজাতপুর গ্রামের অধিবাসী মৃত. সফিক মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, কচুয়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রামীন জনপদে ফেরিওয়ালাদের আনাগোনা খুবই কম। এক সময় উপজেলার প্রতিটা গ্রামেই ফেরিওয়ালাদের বিচরন ছিলো চোখে পড়ার মতো। ফেরি ওয়ালারা বিক্রি করত জিনিসপত্র। তবে ফেরিওয়ালারা বিভিন্ন জিনিসপত্রের বিনিময়ে ক্রেতাদের নিকট থেকে পুরাতন পরিত্যক্ত মালামাল নিয়ে যেতো। গ্রামের শিশু থেকে শুরু করে বয়বৃদ্ধরাও ফেরি ওয়ালাদের হাক ডাক শোনার সাথে সাথে পরিত্যক্ত প্লাষ্টিক এবং লৌহজাত পন্য নিয়ে ছুটে যেতো ফেরিওয়ালাদের নিকট। কালের বিবর্তনে গ্রামীন জনপদ থেকে সেই ফেরিওয়ালাদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। আধুনিক জীবন ব্যবস্থার সবকিছুর পরিবর্তন হলেও প্রত্যান্ত অঞ্চলের গ্রামগুলোতে আজও ফেরিওয়ালাদের দেখা যায়। যুবক বাকী বিল্লাহ ছুটে চলেছেন গ্রামের মেঠো পথ ধরে। কচুয়ার প্রতিটি গ্রামে প্রতিদিন এভাবেই তাকে ছুটে চলতে হয়। অকালে পিতাকে হারানোর পর তিনি ছোট বেলা থেকেই ফেরি করে সংসার চালান। বিবাহিত জীবনে তার স্ত্রী ও একটি পুত্র সন্তান রয়েছে ।
ফেরিওয়ালা বাকী বিল্লাহ জানান, গৌরিপুর থাকেন তিনি। প্রতিদিন গৌরিপুর থেকে কাধেঁ করে ফেরির মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় যান। তার বাশির ডাকে শিশু থেকে শুরু করে নানা বয়সী মানুষেরা ভিড় করেন। পরে কথার ধরনের ক্রেতারা মালামাল ক্রয় করেন। প্রতিদিন ৪শ থেকে ৫শ টাকা বিক্রি করলে তার ৩শ টাকা আয় হয়। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ফেরিওয়ালারা আরো ব্যাপক আকারে সুবিধা পাবেন বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
প্রবাসী বাংলাদেশিদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এমন নির্দেশনা সব থানা/উপজেলা কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন ইসি সচিব শফিউল আজিম।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মাঠ পর্যায়ের প্রতিটি কার্যালয়কে জনবান্ধব সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে জনগণকে সেবাদান করতে হবে এবং প্রবাসী ভোটার নিবন্ধনের কার্যক্রম সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে নিষ্পত্তি করতে হবে। এক্ষেত্রে কর্মকর্তারা নিজ নিজ কর্মস্থলে উদ্যোগ গ্রহণপূর্বক জনবান্ধব কার্যালয় পরিচালনার মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ভোটার নিবন্ধন সংক্রান্ত যাবতীয় সেবা প্রদানের নির্দেশনা প্রদান করবেন। সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে অফিসের সেবা কর্নার বা হেল্প ডেস্কে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা সীমাবদ্ধ না রেখে মাঠ পর্যায়ের প্রতিটি অফিসকেই সামগ্রিক সেবা কেন্দ্রে পরিণত করতে হবে।
আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের দেওয়া নির্দেশনায় ইসি সচিব বলেন, উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে মনিটরিং করতে হবে। সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম বা ব্যত্যয় ঘটলে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে এবং ভালো কাজের জন্য পুরস্কার প্রদান করতে হবে।
মন্তব্য করুন
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে বান্দরবান প্রেসক্লাবের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বান্দরবান মাইক্রোবাস, জিপ ও পিকআপ মালিক সমবায় সমিতির নেতারা পার্বত্য জেলা বান্দরবানে আরও সাশ্রয়ী ভ্রমণের লক্ষ্যে আগামী ১ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ২ মাস ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার এই ঘোষণা দেন।
বান্দরবানে পর্যটকদের ভ্রমণে উৎসাহী করার পাশাপাশি সমবায় সমিতিটির সভাপতি মো. নাছিরুল আলম বলেন, বান্দরবানের প্রতিটি পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকবাহী মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপগুলো নিয়মিত চলাচল করার পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রতিটি চালক একজন দক্ষ গাইড হিসেবে কাজ করেন। আমরা আগামী ১ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বরের পর্যন্ত ২ মাস ২০ শতাংশ ছাড়ের ঘোষণা করছি।
বান্দরবানে পর্যটকদের ভ্রমণে উৎসাহী করার পাশাপাশি সমবায় সমিতিটির সভাপতি মো. নাছিরুল আলম আরো জানান, তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে বান্দরবান সবচেয়ে বেশি সম্প্রীতির জেলা হিসেবে পরিচিত। এই জেলার পাহাড়ি ও বাঙালি সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মধ্যে বসবাস করে। এই সম্প্রীতির সহাবস্থান দেখার পাশাপাশি বান্দরবানে নতুন নতুন পর্যটনকেন্দ্র গড়ে উঠছে এবং সেখানে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রতিনিয়ত কাজ করছেন।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মাইক্রোবাস, জিপ ও পিকআপ মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক নেজাম উদ্দিন চৌধুরী, বান্দরবান প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এন এ জাকিরসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে আগামী ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সব ধরনের প্রচারণা ও মিছিল করার ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনার আলোকে মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করেছে।
এতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৭৮ অনুসারে কোনো নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণ শুরুর আগের ৪৮ ঘণ্টা এবং ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোনো জনসভা আহ্বান, অনুষ্ঠান বা তাতে যোগদান এবং কোনো মিছিল বা শোভাযাত্রা আয়োজন বা তাতে যোগদান না করার বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টায়। এ হিসাবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ৯ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
পরিপত্রে আরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ভোটকেন্দ্রের ৪শত গজের মধ্যে কোনো প্রার্থী নির্বাচন ক্যাম্প স্থাপন করতে পারবে না।
মন্তব্য করুন