

চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মাছ ঘাট এলাকা থেকে ২২০ কেজি জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ করেছে চাঁদপুর সদর উপজেলা মৎস্য বিভাগ ও কোস্ট গার্ড।
রোববার (৭ জুলাই) সকালে চাঁদপুর সদর উপজেলা মৎস্য বিভাগ ও কোস্ট গার্ড এর যৌথ অভিযানে বড় স্টেশন মাছ ঘাট থেকে এসব জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ করা হয়।
এসব তথ্য জানান, অভিযানে অংশ নেওয়া চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম।
চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম বলেন, সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত উপজেলা মৎস্য দপ্তর ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের যৌথ অভিযানে বড় স্টেশন মাছ ঘাট থেকে ২২০ কেজি জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ করা হয়। এবং জেলিযুক্ত চিংড়ি মাটিতে পুঁতে বিনষ্ট করা হয়। চিংড়ির মালিকানা কেউ দাবি না করায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
অভিযানেউপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর সদর উপজেলা মৎস্য দপ্তরের ক্ষেত্র সহকারী মো. জামিল হোসেন, কোস্ট গার্ড চাঁদপুর স্টেশনের চিফ পেটি অফিসার এম. শফিকুল ইসলামসহ কোস্ট গার্ড সদস্যরা।
মন্তব্য করুন


শ্রীলংকায়
ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা কবলিত জনগণের জন্য বাংলাদেশ জরুরী ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে।
বন্ধুপ্রতীম
দেশ শ্রীলঙ্কায় সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়া'র প্রভাবে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের
মতো মানবিক বিপর্যয়ে বাংলাদেশ অত্যন্ত মর্মাহত। এ পরিস্থিতিতে শ্রীলংকা সরকার জরুরী
অবস্থ জারী করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলের কাছে সহায়তার আবেদন জানিয়েছে।
শ্রীলংকার
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কলম্বোস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনকে জরুরী ভিত্তিতে খাদ্য, ঔষধ সামগ্রী
ও অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী প্রেরণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানায়।
আন্ত:বাহিনী
জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি সি ১৩০জে পরিবহন বিমান ক্ষতিগ্রস্থদের মানবিক সহায়তা প্রদানের
লক্ষ্যে আজ বুধবার বাংলাদেশ বিনান বাহিনীর ১৫ জন ক্রুর একটি দল, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের
একজন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে কলম্বো
উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
বিমান
বাহিনীর এয়ার কমডোর মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম মিশন কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। আজ প্রেরণকৃত
সর্বমোট প্রায় ১০ টন ত্রাণ সহায়তার মধ্যে রয়েছে তাঁবু, শুকনো খাবার, মশারী, টর্চ লাইট,
গাম বুট, ভেস্ট, হ্যান্ড স্লোভস, রেসকিউ হেলমেট এবং বিপুল পরিমান ঔষধ।
উল্লেখ্য,
মানবিক সহায়তা প্রদান শেষে সি ১৩০জে পরিবহন বিমানটি একই দিন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন
করবে।
বাংলাদেশ
সশস্ত্র বাহিনী বিশ্বাস করে যে, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রেরিত এই মানবিক সহায়তা শ্রীলংকায়
সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের দুর্ভোগ কমিয়ে আনতে সহায়ক ভূমিকা
পালন করবে।
আগামী
দিনগুলোতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বৈশ্বিক যে কোন প্রয়োজনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী
আত্মনিয়োগের জন্য সদা অঙ্গীকারবদ্ধ।
উল্লেখ্য,
শ্রীলংকায় সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়া'র প্রভাবে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ফলে
এখন পর্যন্ত ৩৩৪ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২ শতাধিক জন নিখোঁজ রয়েছে। শ্রীলংকার দুর্যোগ
ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের তথ্য মোতাবেক উক্ত বন্যায় ২০ হাজারের বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্থ
হয়েছে এবং ১ লাখ ২৩ হাজার মানুষকে সরকার পরিচালিত অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া
হয়েছে।
মন্তব্য করুন


প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু বাংলাদেশ সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা নাশকতা
কিনা তা তদন্তের পর বলা যাবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল
মো: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।
সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের ৬ তলায় সড়ক পরিবহন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং
এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের এই আগুন লাগে।
আজ সকাল ৯ টায় উপদেষ্টা ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর সচিবালয়ে এক সংবাদ
সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
থেকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। কমিটির সদস্য সংখ্যা ৫ থেকে ১১
পর্যন্ত হতে পারে। কি হয়েছে তা আমরা দেখবো। পুরোটা সার্চ করার পরে কিছু পাওয়া য়ায় কিনা
আমরা জানাবো। সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের ৬ তলায় আগুন লেগে তা উপরে ছড়িয়ে পড়েছে। আনুমানিক
রাত ১টা ৫০ মিনিটে ৭ নম্বর ভবনের ছয়তলায় আগুন
ধরে। ১টা ৫২ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। ১টা ৫৪ মিনিট থেকে তারা তাদের কাজ
শুরু করে। সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন সর্ম্পূণ নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য
পাইপ নিয়ে সচিবালয়ের সামনের রাস্তা পার হওয়ার সময় একজন ফায়ার ফাইটারের ট্রাকচাপায় মৃত্যু
হয়।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের
উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ
সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


আজ বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৯ টায় বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালির মান্যবর রাষ্ট্রদূত মি. আন্দ্রোনিকো আলেসান্দ্রো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সম্মানিত আমীর ডা. শফিকুর রহমান এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও এক ব্রেকফাস্ট বৈঠকে মিলিত হন।
মি. অ্যাম্বাসেডর শুরুতেই আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান এর স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নেন এবং পরিপূর্ণ আরোগ্য কামনা করেন।
বৈঠকে তারা বাংলাদেশে বিরাজমান সার্বিক পরিস্থিতি, বাংলাদেশ ও ইতালির বিনিয়োগ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কসহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের প্রতি ইতালির দৃঢ় সমর্থন থাকবে। একই সাথে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে-ইতালির বিনিয়োগ আরও বাড়বে বলেও তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।”
আলোচনাকালে মান্যবর রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ইতালি দূতাবাসের ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর মি. ফেদেরিকো জামপারেল্লি। আমীরে জামায়াতের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাংবাদিকদের সেকেন্ড হোম হিসেবে খ্যাত জাতীয় প্রেস ক্লাবের আজ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ বিশেষ দিনে ক্লাবের সদস্য, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ দেশের সকল সাংবাদিকদের প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
১৯৫৪ সালের ২০ অক্টোবর ‘পূর্ব পাকিস্তান প্রেস ক্লাব’ হিসেবে যাত্রা শুরু হয় দেশের শীর্ষ সাংবাদিক সংগঠনটির। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রেস ক্লাব সাংবাদিকদের পেশাগত কাজের সহায়তা, সুস্থ সাংবাদিকতা, পারস্পরিক সম্পর্কের বিকাশ, মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা এবং সাহিত্য-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে।
প্রথমে ১৮ তোপখানা রোডে মাসিক ১০০ টাকায় ভাড়া নেয়া ভবনে ক্লাবের কার্যক্রম শুরু হয়। ভবনটি একসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ভবন ছিল, যেখানে বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু বসবাস করতেন। ক্লাবের প্রথম সভাপতি ছিলেন মুজিবুর রহমান খাঁ এবং প্রথম আজীবন সদস্য ছিলেন এন. এম. খান।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংস ‘অপারেশন সার্চলাইট’-এর সময় ক্লাব ভবনটি বিধ্বস্ত হয়ে যায়। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ৫ মার্চ অনুষ্ঠিত সভায় ক্লাবের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘জাতীয় প্রেস ক্লাব’। ১৯৫৫ সালে গৃহীত হয় প্রেস ক্লাবের লোগো।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের ইতিহাসে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায় যুক্ত হয় ১৯৭৭ সালে, যখন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ক্লাবের জন্য বর্তমান স্থানের জমি বরাদ্দ দেন এবং সরকারের অর্থায়নে নতুন ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা করেন।
১৯৭৬ সালে সাংবাদিকদের দাবিতে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রেস ক্লাবকে সরকারি তহবিল থেকে ভবন নির্মাণে সহায়তা করার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, “প্রেস ক্লাব একটি জাতীয় ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, এর উন্নয়ন মানে গণতন্ত্রের উন্নয়ন ও সাংবাদিকতার প্রসার।” তার নির্দেশনায় সরকার ক্লাবের বর্তমান ভবন নির্মাণ করে, যা আজও সাংবাদিক সমাজের ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।
পরবর্তীতে ২০০৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রেস ক্লাবের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ক্লাবের জমি ৯৯ বছরের জন্য স্থায়ী লিজ হিসেবে ঘোষণা দেন। বর্তমানে ক্লাবের মোট জমির পরিমাণ প্রায় দুই একর।
প্রেস ক্লাব শুধু সাংবাদিকদের সংগঠন নয়, বরং এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনেরও সাক্ষী। বিভিন্ন সময়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে এই ক্লাব পরিণত হয়েছিল ‘গণতন্ত্র স্কয়ারে’।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ শুভক্ষণে সাংবাদিকরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছেন প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং দেশের গণমাধ্যমের অগ্রযাত্রায় যাদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটি ক্লাবের হারানো ঐতিহ্য ও গৌরব পুনরুদ্ধারে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে— যেন জাতীয় প্রেস ক্লাব সবসময় সাংবাদিকতার পেশাদারিত্ব, স্বাধীনতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতীক হয়ে থাকে।
মন্তব্য করুন


রাষ্ট্রপতি মো.
সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সুশীল সমাজের
প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের বৈঠকের সিদ্ধান্তের
পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করা হয়েছে।
৬ আগস্ট বঙ্গভবন থেকে
গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস রিলিজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এছাড়া প্রেস রিলিজে আরো
বলা হয়েছে যে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
১ জুলাই ২০২৪ থেকে ৫
আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও বিভিন্ন মামলায় আটকদের মুক্তি দেওয়া শুরু
হয়েছে এবং এরই মধ্যে অনেকে মুক্তি পেয়েছেন।
মন্তব্য করুন


যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব
ভূঁইয়া জানিয়েছেন, যুব প্রশিক্ষণ ও যুব ঋণের মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি করে কর্মসংস্থানের
ব্যবস্থা করছে সরকার। বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় ৯ লাখ যুবককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যারা
কোনো শিক্ষা বা কাজে নেই। আগামী দুই বছরে ৫ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করা হবে।
আজ শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে
জাতীয় যুব দিবসের আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের ম্যান্ডেট নিয়ে এই সরকার
গড়ে উঠেছে। সংস্কার কার্যক্রমে যুবসমাজের সহযোগিতা ও মতামত প্রত্যাশা করে সরকার। ৫
আগস্টের পর যারা ট্রাফিক কাজে যুক্ত হয়েছিল, তাদের আরও প্রশিক্ষণ শেষে সহ-পুলিশ হিসেবে
নিয়োগ কার্যক্রম চলমান আছে। সাংবিধানিক ও কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে সমতা প্রতিষ্ঠার
যে লক্ষ্য সেখানে সহায়ক ভূমিকায় থাকবে যুব সমাজ। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরে জাতীয় যে
নৈতিক বুস্টিং হয়েছে তারই ফল হিসেবে ক্রীড়া ক্ষেত্রে আমাদের বেশকিছু অর্জন এসেছে।
মন্তব্য করুন


শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় প্রিয় প্রাঙ্গণ সুপ্রিম কোর্ট থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও সাবেক এটর্নি জেনারেল বিশিষ্ট আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফকে শেষ বিদায় জানালো তাঁর দীর্ঘ দিনের সহকর্মী, স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীগণ।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে ধানমন্ডি ৭ নম্বর জামে মসজিদে এএফ হাসান আরিফের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন।
শুক্রবার বিকেল ৩টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে মারা যান উপদেষ্টা হাসান আরিফ। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
মন্তব্য করুন


নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে রাতের আঁধারে বাল্বহেড চালানোর দায়ে ১৫টি বাল্কহেডসহ ২৩ শ্রমিককে আটক করেছে নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান পি পি এম।
রোববার (২৩জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে চাঁদপুর নৌ-থানার অফিসার ইনচার্জ মুনিরুজ্জামান জানান, শনিবার বিকাল থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো: মো. শাহীন(৩২), মো. দিদার(২২), মো. শরিফ(৩২), মো. সোহেল(৩০), মো. মাঈন উদ্দিন (২৮), মো. শহিদুল(৪২), মো. আরিফুল হোসেন (৩৩), মো. শহিদুল ইসলাম (৫০), মো. আল আমিন (৩৮), মো. আমির হোসেন গাজী (৬৫), মো. স্বপন(২৮), মো. গিয়াস উদ্দিন (২৮), মো. ফিরোজ (২৭), মো. মিজান (৩৫) ও মো. সুমন (২৮)।
তারা নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, চাঁদপুর ও বরগুনার বাসিন্দা।
নৌ ওসি মুনিরুজ্জামান মনির জানান, ঈদুল আজহায় যাত্রীবাহী লঞ্চের নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিতে বাল্বহেডে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। সে মোতাবেক মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে নৌ পুলিশ। আটকৃতদের বিরুদ্ধে বাল্বহেড গুলোর কাগজপত্র গরমিল ও চলাচলের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৩ জুন থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত বাল্কহেড চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বিআইডব্লিউটিএ।
মন্তব্য করুন


জুলাই
গণ-অভ্যুত্থানে শাহাদাত বরণকারী ১১৪ জনের পরিচয় শনাক্ত করতে, রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে
লাশ উত্তোলন করা শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আজ রবিবার সকাল সাড়ে
৯টার দিকে সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. ছিবগাত উল্লাহ এ তথ্য জানান।
আজ
রবিবার ( ০৭ ডিসেম্বর ) সকাল থেকে মরদেহ উত্তোলনের
কাজ শুরু করেছে সংস্থাটি। মরদেহগুলো তোলার পর ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা নিয়ে আবার যথাযথ
প্রক্রিয়ায় দাফন করা হবে।
ছিবগাত
উল্লাহ বলেন, ‘এই কবরস্থানে যারা নাম-পরিচয়হীন অবস্থায় শুয়ে আছেন, তাদের পরিচয় তখন
যাচাই-বাছাই করা হয়নি। তাদের পরিচয় উদঘাটন করা জাতির প্রতি আমাদের একটি দায়িত্ব। আজ
সেই মহান কাজের সূচনা হলো।’
জাতিসংঘের
মানবাধিকার সংস্থার (ওএইচসিএইচআর) মাধ্যমে আর্জেন্টিনা থেকে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ লুইস
ফন্ডিব্রাইডার ঢাকায় এসে পুরো কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
তিনি
আরো বলেন, ‘এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে। এ ব্যাপারে অজ্ঞাত শহীদদের পরিবার
আবেদন করেছে। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে এসব কাজ পরিচালিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসরণ
করে কবরস্থান থেকে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য লাশ উত্তোলন করা হচ্ছে।
সিআইডি
প্রধান বলেন, ‘লাশ শনাক্তের জন্য ইতিমধ্যে ১০ জন আবেদন করেছেন। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা
করা হচ্ছে, এখানে শহীদের সংখ্যা ১১৪ জনের বেশি। প্রকৃত সংখ্যা লাশ উত্তোলনের পর জানা
যাবে।
তিনি
আরো বলেন, ‘লাশগুলোর পোস্টমর্টেম করা হবে এবং ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে। পরে ডিএনএ
প্রোফাইল তৈরি করে ধর্মীয় সম্মান বজায় রেখে পুনঃদাফন করা হবে।
মো.
ছিবগাত উল্লাহ বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিচয় শনাক্ত হলে, পরিবার চাইলে
লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ডিএনএ সংগ্রহের পর, যে কেউ আবেদন করলে সহজেই শনাক্ত
করা যাবে। সিআইডির হটলাইন নম্বরগুলো জানিয়ে দেওয়া হবে, যাতে যে কেউ যোগাযোগ করতে পারেন।’
গত
৪ আগস্ট মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহিদুল ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ১১৪টি মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ
দেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে নিহত অজ্ঞাত ব্যক্তিদের
পরিচয় শনাক্তের জন্যই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গত বছর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিহত
১১৪ জন শহিদকে অজ্ঞাত পরিচয়ে মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে; প্রতিটি ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে তিনি বিশ্ব মানবতার জন্য অনিন্দ্য সুন্দর অনুসরণীয় শিক্ষা ও আদর্শ রেখে গেছেন; যা প্রতিটি যুগ ও শতাব্দীর মানুষের জন্য মুক্তির দিশারি হিসেবে পথ দেখাবে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ‘পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)’ উপলক্ষে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারি, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ও ওফাতের পবিত্র স্মৃতিবিজড়িত ১২ রবিউল আউয়াল ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) বিশ্ববাসী বিশেষত মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন। এ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানাচ্ছি। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে বিশ্বজগতের হেদায়েত ও নাজাতের জন্য ‘রাহমাতুল্লিল আলামিন’ তথা সারা জাহানের রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছেন। নবী করিম (সা.) সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘হে নবী, আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য কেবল রহমতরূপে প্রেরণ করেছি’ (সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ১০৭)। মুহাম্মদ (সা.) এসেছিলেন তওহিদের মহান বাণী নিয়ে। সব ধরনের কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার, পাপাচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবসত্তার চিরমুক্তি, শান্তি, প্রগতি ও সামগ্রিক কল্যাণের বার্তা নিয়ে এসেছিলেন তিনি। বিশ্ববাসীকে তিনি মুক্তি ও শান্তির পথে আসার আহ্বান জানিয়ে অন্ধকার যুগের অবসান ঘটিয়েছিলেন এবং সত্যের আলো জ্বালিয়েছেন। আজকের দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে মহানবীর (সা.) অনুপম জীবনাদর্শ, তার সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণ এবং ইবাদতের মাধ্যমেই বিশ্বের শান্তি, ন্যায় এবং কল্যাণ নিশ্চিত হতে পারে বলে আমি মনে করি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ বিশ্ববাসীর জন্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ, উৎকৃষ্টতম অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় এবং এর মধ্যেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)’ উপলক্ষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহ তথা বিশ্ববাসীর শান্তি, মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনা করে বলেন, মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে মহানবী (সা.) এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ যথাযথভাবে অনুসরণের মাধ্যমে দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণে কাজ করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
মন্তব্য করুন