প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘকে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি নারী শান্তিরক্ষী
নিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রচেষ্টায়
বাংলাদেশের অটল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
আজ
রোববার (২০ এপ্রিল) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতিসংঘের শান্তি কার্যক্রমবিষয়ক
আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যাঁ-পিয়ের লাক্রোয়া প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে
গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৈঠকে
শান্তিরক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এ
সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি যা উৎসাহিত করি তা হলো শান্তিরক্ষা মিশনে আরও বাংলাদেশি
নারীর অংশগ্রহণ।
শান্তিরক্ষী
প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষ তিন দেশের একটি। বর্তমানে বাংলাদেশের ৫,৬৭৭
জন শান্তিরক্ষী ১১টি সক্রিয় মিশনের মধ্যে ১০টিতে কাজ করছে।
জাতিসংঘ
আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জানান, নারীদের শান্তিরক্ষায় সম্পৃক্ত করার ব্যাপারে জাতিসংঘের
একটি নীতিমালা রয়েছে।
তিনি
বলেন, আমরা নারীদের নির্দিষ্ট কোনো ভূমিকায় সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না।’ তিনি উল্লেখ করেন
যে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষার সব ক্ষেত্রে নারীদের নিয়োগে সমর্থন দেবে।
প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, প্রয়োজনে বাংলাদেশ অতিরিক্ত সৈন্য ও পুলিশ পাঠাতে
প্রস্তুত। তিনি জাতিসংঘের পিসকিপিং ক্যাপাবিলিটি রেডিনেস সিস্টেম (পিপিআরএস)-এর র্যাপিড
ডিপ্লয়মেন্ট পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুত পাঁচটি ইউনিটের কথা উল্লেখ করেন।
অধ্যাপক
ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় সদর দপ্তর এবং মাঠপর্যায়ে বাংলাদেশি নেতৃত্ব
বৃদ্ধির পক্ষে মত দেন। জাতিসংঘ প্রতিনিধি বলেন, এ ব্যাপারেও তারা বাংলাদেশকে সমর্থন
দেবে।
প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, শান্তিরক্ষী নিয়োগে জাতিসংঘের যাচাই প্রক্রিয়া বাংলাদেশ
কঠোরভাবে মেনে চলে এবং প্রশিক্ষণ ও জবাবদিহিতায় জাতিসংঘসহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে আরও
সহযোগিতাকে স্বাগত জানায়, যাতে মানবাধিকার প্রতিপালন আরও জোরদার হয়।
প্রধান
উপদেষ্টাকে জানানো হয়, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল
আগামী ১৩ থেকে ১৪ মে জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের
সম্মেলনে অংশ নেবে।
মিয়ানমারে
চলমান সংঘর্ষ, সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা, বেসামরিক নাগরিক হতাহত এবং নাফ নদী সংলগ্ন
এলাকায় জীবিকা বিঘ্নিত হওয়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
তিনি
সতর্ক করেন, এই অস্থিরতা অব্যাহত থাকলে তা আরও অবনতি হয়ে নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি সৃষ্টি
করতে পারে। তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সম্মিলিত আন্তর্জাতিক উদ্যোগের আহ্বান জানান।
প্রধান
উপদেষ্টা সম্প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে
অবস্থিত রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের কথা স্মরণ করে বলেন, তার এই সফর রোহিঙ্গাদের নিরাপদ
ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে নতুন করে আশা জুগিয়েছে।
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন,পহেলা বৈশাখের মাঝে বাঙালি
খুঁজে পায় নিজস্ব ঐতিহ্য,সংস্কৃতি ও চেতনার স্বরূপ।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি আজ দেয়া এক বাণীতে বলেন, শুভ
নববর্ষ-১৪৩১’ পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির জীবনে পরম আনন্দের একটি দিন। আনন্দঘন
এই দিনে আমি দেশে ও বিদেশে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে জানাই বাংলা নববর্ষের
শুভেচ্ছা। ২০১৬ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্ব
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাষ্ট্রদর্শন ও আদর্শের
অন্যতম ভিত্তি ছিল দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশ ও জাতীয় চেতনার উন্মেষ। সেই চেতনায়
উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কারারুদ্ধ জীবনে সহবন্দিদের নিয়ে নববর্ষ উদযাপন
করেছিলেন। জাতীয় সংস্কৃতির এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জাতি হিসেবে বাঙালির জন্য
পরম গৌরব ও মর্যাদার।
রাষ্ট্রপতি আরো বলেন,পহেলা বৈশাখের মাঝে বাঙালি খুঁজে পায় নিজস্ব
ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও চেতনার স্বরূপ। দুঃখ, জরা, ব্যর্থতা ও মলিনতাকে ভুলে সবাই জেগে
ওঠে নব আনন্দে, নব উদ্যমে। বৈশাখের আগমনে বেজে উঠে নতুনের জয়গান। ফসলি সন
হিসেবে মোঘল আমলে যে বর্ষগণনার সূচনা হয়েছিল,সময়ের সাথে আজ সমগ্র বাঙালির
অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে।
এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের
আত্মবিকাশ ও বেড়ে ওঠার প্রেরণা। বৈশাখ শুধু উৎসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।বাঙালি
সংস্কৃতির বিকাশ,আত্মনিয়ন্ত্রণ ও মুক্তিসাধনায় পহেলা বৈশাখ এক অবিনাশী শক্তি।
বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও গণতান্ত্রিক বিকাশে সংস্কৃতির এই শক্তি রাজনৈতিকতন্ত্রের
চেতনাকে দৃঢ় ও বেগবান করে।
"পহেলা বৈশাখ আমাদেরকে উদার হতে শিক্ষা দেয় এবং একটি আদর্শ জাতিকে মানব সমাজের অনুপ্রাণিত হয়ে
বিশ্বমানবের সঙ্গে মিশে যাওয়ার শক্তি জোগায়। এই উদারনৈতিক চেতনাকে ধারণ করে
বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রদর্শন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আদর্শ এবং রাষ্ট্রভাষা চেতনার
বহ্নিশিখা অন্তরে ধারণ করে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ
বিনির্মাণ হোক আজকের দিনে সকলের অঙ্গীকার।"
ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকলে মিলে নাচ-গান, শোভাযাত্রা,
আনন্দ-উৎসব, হরেক রকম খাবার ও বাহারি সাজে বৈশাখকে বরণ করে নেয় উৎসবপ্রেমী বাঙালি
জাতি। নতুন বছরে যাত্রাপালা, পুতুলনাচ, লোকসংগীত, গ্রামীণ খেলাধুলা, মেলাসহ
নানাবিধ বর্ণিল আয়োজন মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয় আনন্দ ও সম্প্রীতির নতুন
বার্তা।
রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা - সকল অশুভ ও অসুন্দরের ওপর সত্য ও
সুন্দরের জয় হোক। ফেলে আসা বছরের সব শোক-দুঃখ-জরা দূর হোক, নতুন বছর জাতীয় ও ব্যক্তিজীবনে
নিয়ে আসুক অনাবিল সুখ ও সমৃদ্ধি।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূস আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য ও পণ্য সরবরাহ শৃঙ্খল স্বাভাবিক রাখার
জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার
কার্যালয় থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চারটি বিভাগের ৩১টি জেলার কর্মকর্তাদের
সঙ্গে আলোচনায় যুক্ত হয়ে এই নির্দেশ দেন তিনি।
ভিডিও কনফারেন্সে তিনি কর্মকর্তাদের
নিজ নিজ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা, কৃষি
পণ্য সংরক্ষণ, সার সরবরাহ এবং শিল্প এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্য নিবিড়ভাবে
কাজ করার নির্দেশ দেন। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কর্মকর্তারা এই ভিডিও
কনফারেন্সে যোগ দেন। কনফারেন্সে ১৯ জন বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ পুলিশ
প্রধান, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার পর্যায়ের কর্মকর্তা বক্তব্য রাখেন।
কনফারেন্সের সমাপনী বক্তব্যে প্রধান
উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, কর্মকর্তাদের বক্তব্য ও মতামত আগামীদিনে
সরকারকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করবে। এটা আমার জন্য প্রথম সুযোগ ছিল আপনাদের সঙ্গে
কথা বলার। অনেক কিছু শিখলাম, অনেক বিষয়ে নিজেকে অবহিত করলাম। এটা আমাদের কাজে সহায়ক
হবে।’
ড. ইউনুস বলেন, সামনেই রমজান আসছে,
রমজানকে কেন্দ্র করে দ্রব্যমূল্যের দিকে আপনারা বিশেষভাবে নজর রাখবেন। শুধু দ্রব্যমূল্য
নয়, জিনিসপত্র আনা-নেওয়া আরও কীভাবে সহজ করা যায় সে বিষয়েও কাজ করবেন।
তিনি আরও বলেন, সংস্কারের লক্ষ্যে সরকার
যে ১৫টি কমিশন গঠন করেছে, তার মধ্যে বেশ কয়েকটি কমিশন খুব শিগগিরই তাদের প্রতিবেদন
দেবে। এসব প্রতিবেদনের পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে, নাগরিকদের সঙ্গেও
আলোচনা হবে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে নির্বাচনের একটি আবহও তৈরি হবে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মন্ত্রী পরিষদ
সচিব শেখ আব্দুর রশিদ।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ত্বকের একটি ক্ষত অপসারণের
চিকিৎসা নিয়েছেন।
শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
জানায়, বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) এ অস্ত্রোপচার করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বৃহস্পতিবার ঢাকার সিএমএইচে ত্বকের একটি ক্ষত অপসারণের জন্য একটি ছোট চিকিৎসা নিয়েছেন।
শুক্রবার সকালে তিনি তার অফিসিয়াল দায়িত্ব পালন করেন।
চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে আগামীকাল
শনিবার (১৯ অক্টোবর) কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন অধ্যাপক মুহাম্মদ
ইউনূস।
মন্তব্য করুন
একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটি স্মারক ডাকটিকেট, একটি উদ্বোধনী খাম ও একটি সিলমোহর অবমুক্ত করেছেন ।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্তকালে উপস্থিত ছিলেন তথ্য, ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ড. মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এস এম সাহাবুদ্দিন ।
এ ছাড়াও একই সময়ে সপ্তম জাতীয় কমডেকা ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে একটি স্মারক ডাকটিকেট, একটি উদ্বোধনী খাম ও একটি সিলমোহর ও অবমুক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
এছাড়া
এ সময় কমডেকা উপদেষ্টা, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক
বিভাগের সিনিয়র সচিব মুহাম্মদ এহছানুল হক, কমডেকা চিফ মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধসহ
অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত রাতে কায়রোর আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দিয়েছেন।
আজ শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকায় প্রাপ্ত এক বার্তায় এ কথা বলা হয়েছে।
আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. সালামা দাউদ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অধ্যাপক ড. ইউনূসকে স্বাগত জানান।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চের ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. মাহমুদ সিদ্দিক।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ নৌবাহিনী ফেনীর বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় অসামরিক প্রশাসনকে সাহায্য করতে কাজ করছে । স্মরণকালের এই ভয়াবহ বন্যায় পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার করে জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হচ্ছে।
গতকাল থেকে শুরু হওয়া উদ্ধার ও চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমে আজ
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুটি নৌ কন্টিনজেন্ট যোগ দিয়েছে এবং আরো দুটি কন্টিনজেন্ট
ফেনীর উদ্দেশে গমন করবে।
উদ্ধারের পাশাপাশি অসহায়, গরিব ও
দুস্থ মানুষের মাঝে চিকিৎসাসেবা, ওষুধ, খাবার স্যালাইনসহ মানবিক সহায়তা প্রদান করা
হচ্ছে। সেই সঙ্গে পানিবন্দি মানুষের জন্য শুকনা খাবার ও রান্না করা খাবার সরবরাহ
করা হচ্ছে।
আইএসপিআর জানায়, নৌবাহিনীর ১৩ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে প্রয়োজনীয় উদ্ধার সামগ্রী,
বোট, লাইফ জ্যাকেট, ডুবুরিসহ প্রায় দুই শতাধিক নৌ সদস্য উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা
করছেন।
এ ছাড়া প্রায় ১৫ হাজার মানুষের জন্য ত্রাণসামগ্রী বোঝাই ট্রাক
ফেনীর উদ্দেশে রওনা করেছে।
বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত নৌবাহিনীর এই উদ্ধার
কার্যক্রম, চিকিৎসাসেবা ও ত্রাণ সহায়তা চলমান থাকবে।
মন্তব্য করুন
নতুন বছর- ২০২৫ উপলক্ষে দেশবাসী এবং প্রবাসী বাঙালিসহ বিশ্ববাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১ জানুয়ারি) খ্রিষ্টীয় নতুন বছর উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘নতুনের আগমনী বার্তা আমাদের উদ্বেলিত করে, নব উদ্যমে সুন্দর আগামীর পথচলার জন্য অনুপ্রেরণা যোগায়।
নতুন বছরের এই মাহেন্দ্রক্ষণে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নতুন সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে উন্নতির নতুন শিখরে আরোহণে অঙ্গীকারবদ্ধ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার।’
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার লাখো শহীদের রক্ত ও গত জুলাই-আগস্ট মাসে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অর্জিত স্বাধীনতাকে সর্বদা সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার করছে। আমরা দেশকে ভালোবাসবো, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করবো এবং যেকোনো সন্ত্রাসবাদকে প্রতিহত করবো।’
নতুন বছরে মানুষে-মানুষে সম্প্রীতি, সৌহার্দ ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও জোরদার হোক এই কামনা করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘খ্রিষ্টীয় নতুন বছর ২০২৫ সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।
মন্তব্য করুন
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের নেতৃত্বে আগামীর বাংলাদেশ হবে সুশাসন ও ন্যায়বিচার ভিত্তিক।
আজ শনিবার যশোর পিটিআই মিলনায়তনে আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি বলেন, পুলিশকে তদন্তের সময় সতর্কতা অবলম্বন
করতে হবে। যাতে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি শাস্তি না পায়।
বিচারকদের উদ্দেশে এ সময় তিনি বলেন, জামিন দেওয়ার একচ্ছত্র অধিকার
আপনাদের নেই। নতুন বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণির সভাপতিত্বে
কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম পুলিশ,
প্রশাসন ও বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, এ রাষ্ট্র ট্রান্সফরমেশনের
মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আগামীর বাংলাদেশে কোনো ব্যক্তির কাছে নয়, আপনারা আইন ও
সংবিধানের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন। আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে কাদের পক্ষে
দাঁড়াবেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির
হায়দার, সিআইডির অতিরিক্ত আইজি মতিউর রহমান শেখ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
অতিরিক্ত সচিব আতাউর রহমান খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালায় খুলনা ও বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ও ১৬ জেলার
জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনার, জেলা ও দায়রা জজ, সিনিয়র জুডিশিয়াল
ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পাবলিক প্রসিকিউটর,
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ৩২০ কর্মকর্তা
অংশ নেন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ও ভারত বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারে ১০টি সমঝোতা স্মারক ও নথি
সই করেছে ।
শনিবার (২২ জুন) দুপুরে নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র
মোদীর সঙ্গে একান্ত ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে তাদের উপস্থিতিতে এসব সমঝোতা স্মারক সই
হয়।
এর মধ্যে পাঁচটি নতুন সমঝোতা স্মারক সই, তিন সমঝোতা স্মারক নবায়ন এবং ভবিষ্যৎ কাজের ক্ষেত্র হিসেবে যৌথ কার্যক্রমের দুটি নথিতে সই করে উভয় দেশ।
‘ডিজিটাল অংশীদারত্ব’ এবং ‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সবুজ অংশীদারত্ব’ বিষয়ক দুটি সমন্বিত রূপকল্পকে সামনে রেখে কাজ করবে ভারত এবং বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে দুই যৌথ কার্যক্রমের নথি সই করে বাংলাদেশ।
এ দুটি হলো—বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল অংশীদারত্বের বিষয়ে অভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা এবং
টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশ-ভারত সবুজ অংশীদারত্বের বিষয়ে অভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা বিষয়ক
নথি সই।
নতুন পাঁচটি সমঝোতা স্মারক হলো—বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরের সুনীল অর্থনীতি ও
সমুদ্র সহযোগিতার বিষয়ে দুদেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক; ভারত মহাসাগরের ওশানোগ্রাফির
ওপর যৌথ গবেষণা ও দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ে বাংলাদেশের বিওআরআই ও ভারতের সিএসআইআরের মধ্যে
সমঝোতা স্মারক; বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রেল যোগাযোগের ওপর সমঝোতা স্মারক; যৌথ ছোট
স্যাটেলাইট প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি
মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ভারতের ন্যাশনাল স্পেস প্রোমোশন অ্যান্ড অথোরাইজেশন সেন্টারের মধ্যে
সমঝোতা স্মারক এবং ডিফেন্স স্টাফ কলেজের মধ্যে একাডেমিক সহযোগিতা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক।
নবায়নকৃত তিন সমঝোতা স্মারক হলো—মৎস্যসম্পদ সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক; দুর্যোগ
ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক এবং স্বাস্থ্য ও ওষুধ খাতে সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা
স্মারক।
এর আগে সকাল ৯টায় রাষ্ট্রপতি ভবনে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তাকে স্বাগত জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সুসজ্জিত অশ্বারোহী দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মোটর বহরকে পাহারা দিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনের গেট থেকে ফোরকোর্টে নিয়ে যায়।
এরপর এখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার
দেওয়া হয়। এ সময় বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। সশস্ত্র সালাম গ্রহণের
পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লাইন অব
প্রেজেন্টেশনে দুদেশের মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের
পরিচয় করিয়ে দেন।
রাষ্ট্রপতি ভবনের এ কর্মসূচি শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের জাতির পিতা
মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রাজঘাট যান। সেখানে তিনি মহাত্মা গান্ধীর সমাধিসৌধে
পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে শেখ হাসিনা হায়দ্রাবাদ হাউসে যান। সেখানে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র
মোদীর সঙ্গে একান্ত ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
মন্তব্য করুন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ রাজধানীর সচিবালয় এলাকায় আনসার সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়েছেন । তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে (ওসেক) নিয়ে আসা হয়েছে।
রোববার (২৫ আগস্ট) রাতে অসুস্থ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
এর আগে রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে সচিবালয়ের সামনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এদিকে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সচিবালয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে ওসেকে তার চিকিৎসা চলছে। সচিবালয়ে অবরুদ্ধ থাকায় হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। জরুরি বিভাগের ওসেকে তাকে অক্সিজেন লাগিয়ে রাখা হয়েছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন তার বড় ধরনের কোনো সমস্যা হয়নি।
রাজধানীর সচিবালয় এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে আটক রাখার খবরে সচিবালয়ের উদ্দেশে রওনা হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় আনসার সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে। এ সময় কয়েকজনকে লাঠিপেটা করে আনসার সদস্যরা। পরে শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে আনসার সদস্যরাও পিছু হটে।
প্রথমদিকে দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হলেও একপর্যায়ে সেনাবাহিনী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে এবং পুলিশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে।
তারও
আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম তাদের ফেসবুক পোস্টে আটক রাখার
বিষয়টি জানালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জমা হতে থাকে। পরে রাত
৯টায় তারা সচিবালয়ের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
মন্তব্য করুন