অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
আজ (১৯ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যাপক দমনপীড়ন ও গণহত্যা চালানোর ফলশ্রুতিতে সমগ্র দেশে দলমত নির্বিশেষে ছাত্র-জনতা উত্তাল গণবিক্ষোভ করে এবং আন্দোলনের এক পর্যায়ে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের দাবিতে সরকার পতনের একদফা দাবিতে ঐক্যবদ্ধ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করেন। রাষ্ট্রপতি বিগত ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাংবিধানিক সংকট মোকাবিলা, জনস্বার্থ ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা রক্ষা, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সচল রাখা এবং রাষ্ট্রের নির্বাহী কার্য পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার গঠন বিষয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের মতামত যাচনা করেন। সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত উপদেষ্টামূলক এখতিয়ার প্রয়োগ করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ৮ আগস্ট তারিখে স্পেশাল রেফারেন্স নম্বর- ০১-২০২৪ দ্বারা মতামত প্রদান করেছে যে, ‘রাষ্ট্রের সাংবিধানিক শূন্যতা পূরণে জরুরি প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের নির্বাহী কার্য পরিচালনার নিমিত্ত অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্যান্য উপদেষ্টা নিযুক্ত করতে পারবেন। রাষ্ট্রপতি উক্তরূপে নিযুক্ত প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্যান্য উপদেষ্টাগণকে শপথ পাঠ করাতে পারবেন।
এতে আরও বলা হয়, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ডক্ট্রিন অব নেসেসিটি অনুসারে সাংবিধানিক সংকট মোকাবিলায় সর্বস্তরের জনগণের ঐকান্তিক ইচ্ছা ও পরম অভিপ্রায়ের প্রেক্ষিতে, গণ-অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতার প্রতিনিধিদের প্রস্তাবের ভিত্তিতে এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের রাষ্ট্র সংস্কার আকাঙ্ক্ষা পূরণের ও রাষ্ট্রের নির্বাহী কার্য পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা ও দায়িত্ব, প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টাদের পদমর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা, পদত্যাগ এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে বিধান করা জরুরি। এ প্রেক্ষাপটে অন্তবর্তী সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদ ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে।
মন্তব্য করুন
ত্রাণ ও পুনর্বাসনের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে হুঁশিয়ারি দিয়ে দুর্যোগ
ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম বলেছেন, ‘ত্রাণ ও
পুনর্বাসন কর্মসূচি সমন্বয় কমিটি প্রতিনিয়ত মনিটরিং করবে। সেটি আবার মানুষের
কাছে প্রকাশ্য তুলে ধরা হবে। তাই ১০ টাকার জিনিস এখন আর ১০০ টাকা দিয়ে কেনা যাবে
না।’
মন্তব্য করুন
১১তম
ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে রাতে মিশর যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রাত ১টায় তিনি কায়রোর
উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন।
আজ মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সম-সাময়িক
ইস্যুতে ব্রিফিংকালে এ কথা জানান উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
ব্রিফিংয়ে
উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম ও সিনিয়র সহকারী
প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।
উপ-প্রেস
সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন,
বাংলাদেশ ছাড়াও আরও কয়েকটি দেশের সরকার প্রধান এতে যোগ দেবেন। এর মধ্যে রয়েছে
ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, পাকিস্তান।
মালয়েশিয়ার শিক্ষামন্ত্রী ও নাইজেরিয়ার একজন উচ্চপস্থ কর্মকর্তা প্রতিনিধিত্ব
করবেন। ইনভেস্টিং
ইন ইয়ুথ অ্যান্ড সাপোর্টিং স্মল মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ, শেপিং টুমরো'স ইকোনমি’ সম্মেলন
ভবিষ্যতের অর্থনীতির জন্য যুব ও এমএসএমই ইস্যুতে সংস্থাটির গুরুত্বকে তুলে ধরে।
এজন্য এই সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের তরুণদের নিয়ে বৈশ্বিক
সস্মেলনে কাজ করতে তিনি সেখানে যাচ্ছেন। এসএমই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কীভাবে কাজে
লাগানো যায়, সেই
বিষয়গুলো এখানে আলোচনা হবে।
সম্মেলনে
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসের সঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান, তুরস্কের
প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান,
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং মিশরের
প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি উপস্থিত থাকার কথা।
ডি-৮
অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন,
যা ডেভেলপিং-৮ নামেও পরিচিত। সংস্থাটি বাংলাদেশ, মিশর,
ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান
এবং তুরস্কের মধ্যে পারস্পরিক উন্নয়ন সহযোগিতার জন্য প্রতিষ্ঠিত। কায়রোতে
অনুষ্ঠিতব্য ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘ইনভেস্টিং ইন ইয়ুথ অ্যান্ড সাপোর্টিং স্মল মিডিয়াম
এন্টারপ্রাইজ, শেপিং
টুমরোস ইকোনমি’।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামীকাল মিশরের রাজধানী কায়রোতে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দিবেন। তিনি বর্তমানে ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দুই দিনের সফরে সেখানে অবস্থান করছেন।
প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার আজ বাসস’কে বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা আগামীকাল ১৯ ডিসেম্বর, আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দিবেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস আল-আজহার আল শরীফ মসজিদের গ্র্যান্ড ইমাম আহমেদ এলতায়েবের আমন্ত্রণে মিশরীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দিবেন।
গ্র্যান্ড ইমাম গত ১২ নভেম্বর আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে রিটজ কালর্টন হোটেলে সাক্ষাতকালে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা ডি-৮ অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশনে যোগ দিবেন, যা ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন নামে পরিচিত। এই সম্মেলন মিশরের রাজধানীতে ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি বলেছেন, শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানসহ কয়েকটি ডি-৮ সদস্য রাষ্ট্রের সরকার প্রধানদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মালয়েশিয়ায় তিন দিনের সরকারি সফর শেষে আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) দেশে ফিরেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি রাত ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে গত সোমবার তিনি কুয়ালালামপুরে যান।
বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠক করেন অধ্যাপক ইউনূস। এছাড়াও তিনি একাধিক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন।
মন্তব্য করুন
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ইটভাটাজনিত বায়ুদূষণ রোধে আর কোনো নতুন ইটভাটার ছাড়পত্র দেওয়া হবে না।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিবিএমওএ)-এর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা তিনি আরো বলেন, পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন ৩ হাজার ৪৯১টি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হবে। অবৈধভাবে পার্বত্য এলাকায় নির্মিত সব ইটভাটা স্থানান্তর করা হবে।
সভায় পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদন, ইটভাটার আধুনিকায়ন এবং কার্বন নির্গমন কমানোর বিষয়ে ও বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ইটভাটার পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, শুধু ভবন নির্মাণই যথেষ্ট নয়, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় তিনি আরও বলেন, বায়ুদূষণের কারণে মানুষের গড় আয়ু ৫-৭ বছর কমে যাচ্ছে। তাই, লাইসেন্স এবং ছাড়পত্র ছাড়া কোনো ইটভাটা পরিচালনা করা যাবে না।
পাশাপাশি তিনি পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান।
বিবিএমওএ-এর নেতৃবৃন্দ ইটভাটা শিল্পের চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি গ্রহণের প্রস্তাব দেন। ইটভাটায় সবুজ প্রযুক্তির ব্যবহার উৎসাহিত করতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন এবং উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
সভায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফিরোজ হায়দার খানসহ কেন্দ্রীয় এবং বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে, উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সভায় বিভিন্ন কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দিক-নির্দেশনা দেন।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী সোমবার দুই দিনব্যাপী সিভিল
সার্জন সম্মেলন উদ্বোধন করবেন।
আজ
বৃহস্পতিবার (৮ মে) এক তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা আগামী ১২ মে (সোমবার) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে তাঁর তেজগাঁওস্থ
কার্যালয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বিনিয়োগ, মৎস্য, রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা এবং যুব উন্নয়ন - বিশেষ করে
শিক্ষা ও খেলাধুলা ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে জাপানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ঢাকায় রাষ্ট্রীয়
অতিথি ভবন যমুনায় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) নির্বাহী সিনিয়র
ভাইস প্রেসিডেন্ট মিয়াজাকি কাতসুরার সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি ।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন,
জাপান সব সময়ই একটি বিশ্বস্ত বন্ধু। আমি সম্প্রতি আপনার দেশ সফর করেছি এবং আমি ও আমার
প্রতিনিধিদলের প্রতি যেভাবে আন্তরিকতা ও আতিথেয়তা দেখানো হয়েছে, তা আমাকে গভীরভাবে
স্পর্শ করেছে।
মিয়াজাকি জানান, এশিয়ায় বাংলাদেশ জাপানের
অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এবং তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় জাপানের অব্যাহত সহযোগিতার
প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনে যারা মৃত্যুবরণ
করেছেন ও আহত হয়েছেন, আমরা তাদের জন্য গভীরভাবে শোকাহত।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা মাতারবাড়ি প্রকল্পের
গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং এটিকে ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল’
হিসেবে অভিহিত করেন।
বাংলাদেশের সামুদ্রিক সম্ভাবনার গুরুত্ব
তুলে ধরে তিনি বলেন, আমি জাপানে জাইকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তাঁকে জানিয়েছি
আমরা একটি সমুদ্রভিত্তিক অর্থনীতিতে পরিণত হতে চাই।’
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের
তরুণদের জন্য জাপানে পড়াশোনার বৃত্তি বাড়ানো এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারণের
অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, অনেক তরুণ জাপানে কাজ করতে
যেতে চায়। সমস্যা হচ্ছে ভাষা। আমরা প্রস্তাব দিয়েছি যে, জাপানি শিক্ষকরা এখানে এসে
বা দূরশিক্ষণের মাধ্যমে ভাষা ও কর্মস্থলের আচরণ শেখাতে পারেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস রোহিঙ্গা
শরণার্থীদের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এটি একটি দুঃখজনক অবস্থা। হাজার
হাজার তরুণ ক্যাম্পে বেড়ে উঠছে কোনো আশা ছাড়াই। তারা হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে।’
মিয়াজাকি জানান, ২০২৬ সালে বাংলাদেশের
স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জাইকা বাংলাদেশের
বিচারব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, স্থানীয় সরকার ও স্বাস্থ্য খাতে সংস্কারে সহায়তা দিচ্ছে।
তিনি আরও জানান, আইসিটি মানবসম্পদ বিষয়ক
প্রশিক্ষণ চালু করতে জাইকা বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে—যা উভয়
দেশের স্থানীয় সরকার, কোম্পানি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় পরিচালিত হবে।
যুব উন্নয়ন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশের নারীদের খেলাধুলায় সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমাদের মেয়েরা
সবখানে জয়লাভ করছে। গতকাল তারা আরেকটি ম্যাচ জিতে চূড়ান্ত পর্বে উঠেছে। আমরা হোস্টেল
সুবিধা বাড়াচ্ছি, তবে তাদের স্বাস্থ্য ও প্রশিক্ষণে সহায়তা দরকার।’
এর জবাবে মিয়াজাকি ইতিবাচক সাড়া দিয়ে
জানান, জাপান ইতোমধ্যে অনেক দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবক পাঠাচ্ছে এবং নারীদের
খেলাধুলায় আরও সহযোগিতার কথা বিবেচনা করবে।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস অর্থনৈতিক
সংস্কার, রেলপথ নির্মাণ এবং মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি
মূল্যের ঋণ ও অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য জাপানকে ধন্যবাদ জানান এবং আরও বেশিসংখ্যক
উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তার (ওডিএ) সীমা ৩০০ বিলিয়ন ইয়েন থেকে
৪৫০ বিলিয়ন ইয়েনে বাড়ানোর অনুরোধ জানান।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন,
‘বাংলাদেশ সব সময় জাপানের বন্ধুত্ব ও অবদানের কথা মনে রাখবে।’
মন্তব্য করুন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভা শেষে আজ শনিবার
(২৪ মে) উপদেষ্টা পরিষদের এক অনির্ধারিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের ওপর অর্পিত তিনটি প্রধান দায়িত্ব (নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার) বিষয়ে বিস্তারিত
আলোচনা হয়।
এ নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ এক বিবৃতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজধানীর
শের-ই-বাংলা নগর এলাকায় পরিকল্পনা কমিশনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এসব দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের
অযৌক্তিক দাবি দাওয়া, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও এখতিয়ার বহির্ভূত বক্তব্য এবং কর্মসূচি দিয়ে
যেভাবে স্বাভাবিক কাজের পরিবেশ বাধাগ্রস্ত করে তোলা হচ্ছে এবং জনমনে সংশয় ও সন্দেহ
সৃষ্টি করা হচ্ছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বৈঠকে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশকে স্থিতিশীল
রাখতে, নির্বাচন, বিচার ও সংস্কার কাজ এগিয়ে নিতে এবং চিরতরে এদেশে স্বৈরাচারের আগমন
প্রতিহত করতে বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন বলে মনে করে উপদেষ্টা পরিষদ।
এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর
বক্তব্য শুনবে এবং সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করবে।
শত বাধার মাঝেও গোষ্ঠীস্বার্থকে উপেক্ষা
করে অন্তর্বর্তী সরকার তার ওপর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। যদি পরাজিত শক্তির ইন্ধনে
এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারের ওপর আরোপিত দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা
হয়, তবে সরকার সকল কারণ জনসমক্ষে উত্থাপন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। অন্তর্বর্তীকালীন
সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের জনপ্রত্যাশাকে ধারণ করে। কিন্তু সরকারের স্বকীয়তা, সংস্কার
উদ্যোগ, বিচার প্রক্রিয়া, সুষ্ঠু নির্বাচন ও স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে
এমন কর্মকাণ্ড অর্পিত দায়িত্ব পালন করাকে অসম্ভব করে তুললে সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে
প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
মন্তব্য করুন
প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ রোববার (৩ আগস্ট) নৌবাহিনী সদর দপ্তরে ‘নৌবাহিনী
ও বিমান বাহিনী নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৫' এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন।
নৌবাহিনী
সদর দপ্তরে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন হতে কমডোর, কমান্ডার হতে
ক্যাপ্টেন ও লেঃ কমান্ডার হতে কমান্ডার এবং বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন হতে এয়ার
কমডোর, উইং কমান্ডার হতে গ্রুপ ক্যাপ্টেন এবং স্কোয়াড্রন লীডার হতে উইং কমান্ডার পদবিতে
কর্মকর্তাদের পদোন্নতির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের
সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দের সমন্বয়ে গঠিত এ পর্ষদ, সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে নৌবাহিনী
ও বিমান বাহিনীর ভবিষ্যৎ জ্যেষ্ঠ নেতৃত্বের জন্য যোগ্য ও দক্ষ কর্মকর্তা নির্বাচন করবেন।
অনুষ্ঠানের
শুরুতে মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে সংঘটিত মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে
১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
আন্তঃবাহিনী
জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
নির্বাচনী
পর্ষদ-২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর বীর সেনা, সকল শ্রেণি-পেশার
মুক্তিকামী বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে
আত্মত্যাগকারী সকল শহীদকে।
তিনি
বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস, সংগ্রাম ও বীরত্বের কথা স্মরণসহ শান্তিকালীন
সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা এবং জাতীয় প্রয়োজনে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের ভূয়সী
প্রশংসা করেন।
তিনি
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ও নানা সংকটে বিশেষত ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র
জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী দেশের নিরাপত্তা সংকটে আপামর জনসাধারণের পাশে দাঁড়িয়ে আইন-শৃঙ্খলা
নিয়ন্ত্রণ, দেশ গঠনে উন্নয়ন ও সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করে দেশের মানুষের ভালোবাসা ও
পরম নির্ভরতা অর্জন করায় নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের সাধুবাদ ও অভিনন্দন জানান।
প্রধান
উপদেষ্টা দেশের সমুদ্র সম্পদের সংরক্ষণ ও আহরণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন,
ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র গভীর সমুদ্র বন্দরের ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর
অবদান এবং সার্বিকভাবে সুনিল অর্থনীতির বিকাশে প্রয়োজনীয় দক্ষ মানবসম্পদ গড়ার ব্যাপারে
নির্দেশনা প্রদান করেন। একইসাথে তিনি দেশের সুনীল অর্থনীতির বিকাশে চলমান বিভিন্ন কর্মকাণ্ড,
মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এমআইডিএ) প্রতিষ্ঠা, উপকূলীয় অঞ্চলের উন্নয়নসহ
দেশের সার্বিক উন্নয়নে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের
ওপর আলোকপাত এবং এক্ষেত্রে নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর অবদানের কথা উল্লেখ করেন।
অধ্যাপক
ড. ইউনূস নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী কর্তৃক দেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ
অবদানসহ দেশমাতৃকার সেবায় ও সুরক্ষায় বাহিনী দ্বয়ের ভূমিকা ও সর্বোপরি সশস্ত্র বাহিনীর
আধুনিকীকরণের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন। নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনী দেশের সংবিধান
সমুন্নত রেখে যে কোন রাষ্ট্রীয় সংকটে এবং দুর্যোগে আর্তমানবতার সেবায় জনগণের পাশে
দাঁড়ানোর এই ধারা ভবিষতেও অব্যাহত রাখবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
তিনি
বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর নেতৃত্বে দেশপ্রেমিক, মেধাবী, দক্ষ, পেশাদার, সৎ,
মানবিক এবং নৈতিক গুণাবলীসম্পন্ন যোগ্য কর্মকর্তাদের নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী পর্ষদকে
যথাযথ নির্দেশনা দেন।
প্রধান
উপদেষ্টা অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান, ওএসপি, এনপিপি,
এনডিসি, এনসিসি, পিএসসি এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান,
বিবিপি, ওএসপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি তাঁকে স্বাগত জানান।
নির্বাচনী
পর্ষদ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ায় নৌবাহিনী প্রধান এবং বিমান বাহিনী
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।
নৌবাহিনী
ও বিমান বাহিনীর ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার ব্যক্তিগত সম্পৃক্ততা
ও দিকনির্দেশনা নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর সকল সদস্যের কর্মস্পৃহা ও মনোবল বৃদ্ধি
করেছে বলে তারা দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এছাড়াও,
প্রধান উপদেষ্টার মূল্যবান দিকনির্দেশনায় নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীতে নেতৃত্ব প্রদানে
দেশপ্রেম, পেশাগত দক্ষতা, মানবিক ও অধিনায়কত্বের গুণাবলির মাপকাঠিতে দক্ষ ও উপযুক্ত
কর্মকর্তা নির্বাচনের মাধ্যমে সুদক্ষ বাহিনী গড়ে তোলার দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেন বাহিনী
প্রধানগণ ।
অনুষ্ঠানে
সংশ্লিষ্ট সামরিক ও বেসামরিক উধ্বর্তন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান
উপদেষ্টা নৌবাহিনী সদর দপ্তর প্রাঙ্গণে একটি বৃক্ষরোপণ করে নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী
ও বাংলাদেশের সমৃদ্ধি কামনা করেন ।
মন্তব্য করুন
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দেশে ফিরে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, আমার ওপর ভরসা রাখুন, দেশের কোথাও কারও ওপর হামলা হবে না ।
দুপুর ২টার পর ড. ইউনূসকে বহনকারী বিমানটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
দেশে ফেরার পর তাকে স্বাগত জানান সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানসহ তিন বাহিনীর প্রধান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। এ ছাড়াও সেখানে উচ্চপদস্থ অনেক কর্মকর্তারা ছিলেন।
এ সময় শুরুতেই কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হওয়া রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে স্বরণ করেন ড. ইউনূস।
তিনি বলেন, নতুন এই বাংলাদেশ যাতে দ্রুত গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে সেদিকে আমাদের কাজ করতে হবে।
নোবেলবিজয়ী আরো বলেন, এই স্বাধীনতাটা আমাদের রক্ষা করতেই হবে। শুধু রক্ষা না এর সুফল প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। তা নাহলে এই স্বাধীনতার কোনো দাম নেই।
তিনি আরও বলেন, আজকের এই দেশ তরুণ প্রজন্মের হাতে। তোমরা যেভাবে এটা স্বাধীন করেছো, তোমরাই এটা গড়ে তুলবে।
এর আগে বুধবার (৭ আগস্ট) তিনি ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের চার্লস দ্য গল বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করেন তিনি। বিমানবন্দরে তাকে কড়া নিরাপত্তা দেন ফ্রান্সের বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার ইউনূস সেন্টার থেকে বলা হয়েছিল, ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশে ফিরবেন। এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তার।
অলিম্পিক কমিটির আমন্ত্রণে বিশেষ অতিথি হিসেবে প্যারিসে গিয়েছিলেন ড. ইউনূস। সেখানে তিনি চিকিৎসা নিয়েছেন, তার একটি ছোট অস্ত্রোপচার হয়েছে।
জানা গেছে, ড. ইউনূস সরকারপ্রধান হিসেবে আজ রাত ৮টায় বঙ্গভবনে শপথ নেবেন।
মন্তব্য করুন