ঢাকায়
এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বিষয়ক একটি
প্রতিনিধি দল।
আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) প্রতিনিধি দল ঢাকায় পৌঁছেছে।
মার্কিন
প্রতিনিধিদল আগামী
২২-২৫
নভেম্বর ঢাকা
সফর করবে।
প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্তর্জাতিক শ্রম
বিষয়ক বিশেষ
প্রতিনিধি কেলি
এম ফে
রদ্রিগেজ। এছাড়া
রয়েছেন শ্রম
বিভাগের ডেপুটি
আন্ডার সেক্রেটারি থিয়া লি।
ঢাকা
সফরের প্রথম
দিনে বাংলাদেশের শ্রমিক সংগঠন সলিডারিটি সেন্টারের নেতাদের সঙ্গে
বৈঠক করেছেন
তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, সফরকালে মার্কিন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকর্তা, বেসরকারি খাতের পোশাক শ্রমিক এবং
শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে দেখা
করবেন।
প্রতিনিধি দলটি তৈরি পোশাক
খাতে বিনিয়োগ করা আমেরিকান কোম্পানির প্রতিনিধি এবং বৈশ্বিক
শ্রম বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতি, গণতন্ত্র এবং শ্রমিকদের কীভাবে সর্বোত্তমভাবে সহায়তা
করা যায়
সে বিষয়ে
আলোচনা করবে।
এ সফর অর্থনৈতিক উন্নয়ন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত
শ্রমের মান,
সে সঙ্গে
টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং ব্যাপকভাবে ভাগাভাগি করা সমৃদ্ধির উন্নতি-অগ্রগতির জন্য
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর
দেয়।
মন্তব্য করুন
বিয়ে
করে বাড়ি ফেরার পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল নবদম্পতির। এসময় গাড়িতে তাদের সঙ্গে
আরও কয়েকজন আত্মীয়স্বজনও প্রাণ হারান এ দুর্ঘটনায়।
কনের
বাড়ি থেকে ফেরার পথে গাড়িটি সড়ক দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের
সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় গাড়িটির। ধাক্কায় গাড়ির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। গাড়ির
ভেতরেই আটকে থাকা নবদম্পতিসহ ৫জনের মৃত্যু হয়।
ভারতীয়
গণমাধ্যম আনন্দবাজার জানায়, রোববার ছত্তীসগঢ়ের বোলুদাতে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটিকে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার পরই ট্রাক ফেলে রেখে পালান চালক। গাড়িটি পামগড় থেকে আকালতারায় ফিরছিল। পাকারিয়া জঙ্গলের কাছে গাড়িটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে।
মন্তব্য করুন
নরওয়ের রাজধানী অসলোতে গত মঙ্গলবার
একটি বাণিজ্যিক এলাকায় ট্রাম লাইন থেকে ছিটকে পার্শ্ববর্তী একটি ফোন ও কম্পিউটারের
দোকানে ঢুকে পরে। এ ঘটনায় চারজন আহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন পুলিশ।
তবে দোকানটির ব্যাপক ক্ষতি হলেও কোনো
প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। ট্রামের চালক ও আরো তিনজন সামান্য আহত হয়েছে।
জানা গেছে, ট্রামটি লাইন থেকে ছিটকে
পার্শ্ববর্তী একটি অ্যাপলের শোরুমে বেশ জোরে ধাক্কা খায়। ঘটনার আকস্মিকতায় সেখানে উপস্থিত
পথচারীরা হতবাক হয়ে যায়।
সেখানকার পুলিশ অপারেশনের প্রধান অ্যান্ডার্স
রনিং বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, এ দুর্ঘটনায় ট্রামের ভেতরে থাকা তিনজন ও বাইরে একজন
আহত হয়েছে। আহতদের কারো আঘাতই গুরুতর নয়।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে ট্রামে কমপক্ষে
২০ জন যাত্রী থাকার কথা জানিয়েছিল। তবে জরুরি পরিষেবার উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছনোর আগেই
কিছু যাত্রী দুর্ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানটিকে ফাঁকা করা হয়েছে।
উদ্ধারদলের কর্মকর্তারা বলেছেন, বিশেষজ্ঞরা
ভবনটির দেয়ালের স্থিতিশীলতা নির্ধারণ না করা পর্যন্ত ট্রামটি সেখান থেকে সরানো হবে
না।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী দৈনিক সংবাদপত্র
ভার্ডেনস গ্যাংকে বলেছেন, দৃশ্যটি ছিল অবিশ্বাস্য। আন্দ্রে নরহেইম বলেন, ‘যদি সবাই
এই দুর্ঘটনা থেকে অক্ষত অবস্থায় বেরিয়ে আসে, তার মানে কেউ আমাদের ওপর নজর রাখছে।
কারণ এটি একটি শক্তিশালী দুর্ঘটনার হালকা আভাস দিয়েছে।
মন্তব্য করুন
রোববার সকালে চট্টগ্রামে ডাঙ্গারচর নৌ তদন্ত কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, তুমব্রু সীমান্তে বিজিবির (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) সঙ্গে কাজ করছে পুলিশ। বিজিবিকে সব ধরনের সহযোগিতা করার জন্যও প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ সদস্যরা।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সামরিক জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গ্রুপের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। তাদের ছোড়া গুলির সিসা ও রকেট লঞ্চার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে উড়ে এসে পড়ছে।এ ঘটনায় ঘুমধুম-তুমব্রু এলাকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। আতঙ্ক, উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন তারা। ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতেও পারছেন না অভিভাবকরা। এছাড়াও কৃষকরা ফসলি জমিতে যেতে ও দৈনন্দিন কাজে যেতে ভয় পাচ্ছেন তারা।এদিকে বিদ্রোহীদের আক্রমণে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে দেশটির সামরিক বাহিনীর ১৪ সদস্য তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে।
গত রাতে বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় আবারও মর্টার শেলের বিস্ফোরিত অংশ বাংলাদেশে এসে পড়েছে। এছাড়া গত রাতে সীমান্তঘেঁষা ঘুমধুম ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় সীমান্তের ওপারে প্রায় সারা রাত গুলির শব্দ শোনা গেছে।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে বান্দরবানের তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নেয় তারা।
তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ি তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মাহাফুজ ইমতিয়াজ ভুঁইয়া বলেন, যে কোনো পরিস্থিতিতে স্থানীয়দের নিরাপত্তা দিতে আমরা প্রস্তুত আছি।
আইজিপি বলেন, আমরা বিজিবির সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করছি। বিজিবি আমাদের কাছ থেকে যে সহযোগিতা পাবে, আইনানুগভাবে আমরা সেই সহযোগিতা বিজিবিকে দেবো।
মন্তব্য করুন
মেক্সিকোর সিনালোয়া রাজ্যে মাদক কারবারিরা
নিজেদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়েছে। আর চলমান এ সংঘর্ষে কমপক্ষে নিহত হয়েছেন ১৯২
জন।
স্থানীয় সময় বুধবার (৯ অক্টোবর) সিনালোয়া
স্টেট পাবলিক সিকিউরিটি কাউন্সিল এ তথ্য জানিয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করে আনাদোলু
নিউজ এজেন্সি।
তুরস্কভিত্তিক সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে,
সেপ্টেম্বরের ৯ তারিখ থেকে সংঘর্ষ চলছে, এতে প্রায় ২০০টি খুন এবং ২২৬টি নিখোঁজ ঘটনার
প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এছাড়াও সংঘর্ষে প্রায় ২০০ পরিবার তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে,
১৮০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ২ হাজার মানুষ চাকরি হারিয়েছেন।
সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্যে গত
সপ্তাহে ৫৯০ জন ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিনালোয়ার
গভর্নর রুবেন রোচা ময়া।
তিনি বলেন, ‘ন্যাশনাল গার্ড, এয়ার
ফোর্স, নেভি এবং স্টেট পুলিশ একসঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করছে, যারা আমাদের সহিংসতা থামাতে
সাহায্য করছে। তবে দুর্ভাগ্যবশত, আমরা এখনও বলতে পারছি না যে, পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে
এসেছে। আমরা আশা করছি তারা আমাদের সাহায্য করবে।
সম্প্রতি, সিনালোয়া কার্টেলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং কুখ্যাত
মাদক সম্রাট ইসমাইল ‘এল মায়ো’ জাম্বাদা গ্রেফতার হন। এর পর থেকে এ সংঘর্ষ বাধে, যা
এখনও চলমান। ৭০ বছর বয়সী জাম্বাদাকে মার্কিন কর্তৃপক্ষ এল পাসো, টেক্সাসে হেফাজতে
নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্য চ্যাপিটোস নামক কার্টেলের দ্বিতীয় বৃহত্তম শক্তি এল চ্যাপোর
ছেলে এবং উত্তরাধিকারীরা দখল শুরু করে এবং আগুন জ্বালায়।
মন্তব্য করুন
আজ রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। ‘বহুভাষায় শিক্ষার প্রসার: পারস্পরিক বোঝাপড়া ও শান্তির জন্য সাক্ষরতা’এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পালিত হচ্ছে এ বছরের আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস।
দিবসটি উপলক্ষে এক বাণীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আনুষ্ঠানিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘শিক্ষা মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার। জাতি গঠনের প্রধান হাতিয়ার।’
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদ্যাপনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশের জনগণকে শিক্ষা ও সাক্ষরতার বিষয়ে সচেতন ও উৎসাহী করে তোলা এবং তাদের মানবসম্পদে রূপান্তর করা। মাতৃভাষায় সাক্ষরতা অর্জনের পাশাপাশি এক বা একাধিক ভাষা শেখার সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে শিশু, কিশোর ও তরুণদের যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে হবে। ব্যক্তিগত জীবনমান, জাতীয় উন্নয়ন ও শান্তি ত্বরান্বিত করতে আমাদের যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে হবে। এ বছরের আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের প্রতিপাদ্য সেই লক্ষ্যই তুলে ধরছে। শিক্ষা জাতি গঠনের প্রধান বাহন এবং শিক্ষার প্রথম ধাপ হলো সাক্ষরতা।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাসাক্ষরতার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নে সর্বদা সচেষ্ট থাকতে বলেন।তিক সাক্ষরতা দিবসে সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে
এবারের সাক্ষরতা দিবসে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমি জেনে আনন্দিত যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২৪ উদ্যাপন করছে।
বিশ্বব্যাপী ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস (আইএলডি) উদ্যাপন করা হচ্ছে ১৯৬৭ সাল থেকে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সোমবার বাংলাদেশের কর্মকর্তা, এনজিও এবং সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দকে
বাকুতে কপ২৯ সম্মেলনে দেশের জলবায়ু সংকটের উদ্বেগ তুলে ধরতে অতিরিক্ত প্রচেষ্টা চালাতে
বলেছেন।
জাতিসংঘের
বার্ষিক জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিতে আজারবাইজানের রাজধানীতে
পৌঁছার পরপরই বাকুতে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি
বাকুর একটি হোটেলে সমন্বয় সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে বলেন, আমাদের প্রধান প্রচেষ্টা
হবে আমাদের উদ্বেগ ও দাবিগুলি কপ২৯-এর চূড়ান্ত ঘোষণায় অন্তর্ভুক্ত করা’।
বৈঠকে
পরিবেশ সচিব ফারহিনা আহমেদ সম্মেলনের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান
সম্পর্কে কর্মকর্তাদের অবহিত করেন।
তিনি
বলেন, বাংলাদেশ শীর্ষ সম্মেলনে জলবায়ু অর্থায়ন, ক্ষতি ও প্রশমন এবং শুধু রূপান্তর ও
অভিযোজন প্রক্রিয়াসহ সকল প্রধান ক্ষেত্রে আলোচনার জন্য নয়টি দল গঠন করেছে। বাংলাদেশের
অন্তত ২৯টি এনজিও এবং সুশীল সমাজ গোষ্ঠী কপ২৯-এ যোগ দিচ্ছে। গ্লোবাল নর্থের ধনী দেশগুলোর
আশ্বাস সত্ত্বেও বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ৩৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান এবং ২৫০ মিলিয়ন
মার্কিন ডলার ঋণ জলবায়ু অর্থায়ন হিসেবে পেয়েছে।
এর
আগে বিকেল ৫.১৫ মিনিটে স্থানীয় সময় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
বাকু পৌঁছান।
তিনি
আগামীকাল (মঙ্গলবার) কপ২৯-এর মূল শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন এবং অন্তত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন।
মন্তব্য করুন
দেশের গণমাধ্যম এখন নজিরবিহীন স্বাধীনতা
ভোগ করছে বলে মন্তব্য করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন,
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল তথ্যের বন্যা বয়ে গেছে।
আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) অর্থনীতি পুনর্গঠন,
সম্পদপাচার, ভুল তথ্য মোকাবেলা এবং গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সংস্কার বাস্তবায়নে বাংলাদেশের
প্রচেষ্টা নিয়ে ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের নেতারা সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধান উপদেষ্টা
এসব কথা বলেন।
ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান
অ্যালেক্স সোরোস এবং সভাপতি বিনাইফার নওরোজির নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার
সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কারের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে।
বৈঠকে অ্যালেক্স সোরোস ইতিহাসের একটি
গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া এবং দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিক করা ও অর্থনীতি
পুনর্গঠনে প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ায় ড. ইউনূসের প্রশংসা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থান দেশের জন্য একটি নতুন গতিপথ নির্ধারণের জন্য
বিরাট সুযোগ এনে দিয়েছে। তারা জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান, ভিকটিমদের জন্য অন্তর্বর্তী
ন্যায়বিচার, অর্থনৈতিক সংস্কার, গণমাধ্যম, চুরি যাওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধার, নতুন সাইবার
নিরাপত্তা আইন, কিভাবে তাদের উন্নতি করা যায় এবং রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করেন।
অ্যালেক্স সোরোস বলেন, আমরা এসব ক্ষেত্রে
আপনার প্রচেষ্টা সমর্থন করার উপায় খুঁজব।
প্রধান উপদেষ্টা ওপেন ফাউন্ডেশনকে তাদের
সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান।
তিনি নজিরবিহীন ছাত্র-নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানের
খবর ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ফাউন্ডেশনের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ডাভোস সফরে গিয়ে
আমি যা প্রত্যক্ষ করেছি তা হলো, জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান সম্পর্কে অনেকেই জানে না।
অনেক অপপ্রচার হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার ১৬ বছরের
শাসনামলে পাচার হওয়া প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করার জন্য ফাউন্ডেশনের
প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন,
অন্তর্বর্তী সরকার উত্তরাধিকার সূত্রে একটি ‘বিধ্বস্ত ও যুদ্ধবিধ্বস্ত’ অর্থনীতি পেয়েছে
এবং তিনি পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় ফাউন্ডেশনের সমর্থন কামনা করেন।
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনে
সাহায্য করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে ফাউন্ডেশন। এই পদক্ষেপকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
ইউনূস স্বাগত জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
গত সপ্তাহে ধূসর রঙের স্কচটেপ লাগানো
একটি ‘কলার শিল্পকর্ম’ ৬ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মূল্য
ছিল ৭২ কোটি টাকারও বেশি। অবাক করা তথ্য হলো নিউইয়র্কের ম্যানহাটন শহরের এক বাংলাদেশি
ফল ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মাত্র ৩৫ সেন্ট (৪২ টাকায়) কলাটি কেনা হয়। এরপর দেওয়ালে স্কচটেপের
মাধ্যমে সেঁটে দিয়ে এটিকে দেওয়া হয় ‘শিল্পকর্মের’ খেতাব।
নিলামের মাধ্যমে এই ‘শিল্পকর্ম কলাটি’
কেনেন চীনা বংশোদ্ভূত ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসায়ী জাস্টিন মুন। ওই সময় তিনি জানান কলাটি
তিনি খেয়ে ফেলবেন। নিজের দেওয়া সেই কথা রেখেছেন জাস্টিন মুন। তিনি ৭২ কোটি টাকায় কেনা
সেই কলাটি সত্যিই খেয়ে ফেলেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি আজ শুক্রবার
(২৯ নভেম্বর) জানিয়েছে, তিনি হংকংয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকে সাংবাদিকদের সামনে কলাটি খেয়েছেন।
২০১৯ সালে সর্বপ্রথম এই অদ্ভুত শিল্পকর্মটি
সামনে আসে। এটি তৈরি করেন মারিজিও ক্যাটেলান।
যখনই কোনো প্রদর্শনীতে এই ‘শিল্পকর্মটি’
নিয়ে যাওয়া হয় তার আগে কলাটি পরিবর্তন করা হয়। চীনা বংশোদ্ভূত জাস্টিন সান মূলত এই
অদ্ভুত শিল্পকর্মটির প্রদর্শনীর স্বত্ব কিনেছেন। কীভাবে এটি প্রদর্শন করতে হবে সেই
ব্যাপারেও তাকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে শিল্পকর্মটি নিলামে তোলার আগে
সেখানে নতুন কলা নেওয়া হয়। আর এই কলাটি এক বাংলাদেশির কাছ থেকে ৪২ টাকায় কেনা হয়।
এর আগেই এই শিল্পকর্মের প্রদর্শনীতে
রাখা কলা খেয়ে ফেলার ঘটনা ঘটেছিল। প্রথমবার ২০১৯ সালে একজন পারফরমেন্স আর্টিস্ট। দ্বিতীয়বার
২০২৩ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার এক শিক্ষার্থী কলাটি দেওয়াল থেকে খুলে খেয়ে ফেলেন। তবে এরজন্য
৭২ কোটি টাকা তো দূরের কথা এক টাকাও তাদের দিতে হয়নি।
জাস্টিন সান একটি প্রতিষ্ঠান চালান
যেটির ব্যবহারকারীরা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ব্যবসা করতে পারেন। ধারণা করা হচ্ছে নিজের
প্রতিষ্ঠানের প্রচার-প্রচারণার স্বার্থে তিনি হয়ত কলাটি এত দাম দিয়ে কিনেছেন।
সূত্র:
বিবিসি
মন্তব্য করুন
ভিয়েতনামে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের
হ্যানয়ের বাংলাদেশ দূতাবাস টাইফুন ইয়াগি সম্পর্কে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
শুক্রবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে হ্যানয়ের
বাংলাদেশ দূতাবাস ভিয়েতনামে বসবাসরদের জন্য সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভিয়েতনামে
বসবাসরত সব বাংলাদেশি নাগরিকদের সদয় জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে যে, শক্তিশালী টাইফুন
ইয়াগি ইতোমধ্যে ভিয়েতনামে আঘাত হানতে শুরু করেছে এবং তার প্রভাবে আগামী ২ দিন উত্তর
ও মধ্য-ভিয়েতনামে ভারী বর্ষণ এবং বন্যা সংঘঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জরুরি মুহূর্তে
সব-প্রকার দোকান-পাট বন্ধ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বিধায় আপদকালীন সময়ের জন্য প্রয়োজনীয়
খাবার ও ওষুধ সংগ্রহে রাখা যেতে পারে। টাইফুন আক্রান্ত এলাকায় ভ্রমণ না করে এই সময়ে
নিরাপদে যার যার বাসস্থানে অবস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হলো। আপডেটের জন্য স্থানীয়
সংবাদ মনিটর করুন। ভিয়েতনামের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা
রয়েছে বিধায় ভিয়েতনাম ভ্রমণে ইচ্ছুক বাংলাদেশি নাগরিককে এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে ভ্রমণ
করার জন্য অনুরোধ করা হলো। বাংলাদেশ দূতাবাস, আগামী সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) যথারীতি
খোলা থাকলেও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে স্বাভাবিক সেবা প্রদানে বিঘ্ন ঘটতে পারে। এমতাবস্থায়
জরুরি প্রয়োজনে দূতাবাসের নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
দূতাবাসে যোগাযোগের নম্বর : +৮৪-৮৯৬৩২১৮৬৮ (দূতালয় প্রধান)
টাইফুন ইয়াগি কালীন জরুরি সাহায্যের
জন্য ভিয়েতনামের নিম্নের নম্বরে যোগাযোগ করুন-
১১২ (জীবন বিপন্ন হওয়ার ঝুঁকি দেখা দিলে)
১১৩ (পুলিশ সহায়তা)
১১৫ (এম্বুলেন্স সহায়তা)
মন্তব্য করুন
হেলিকপ্টার
বিধ্বস্তের ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন
আমির-আব্দুল্লাহিয়ান মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন)।
মৃত্যুর
খবরটি নিশ্চিত করেছে দেশটির আধা-সরকারি সংবাদমাধ্যম মেহের নিউজ এজেন্সি।
সোমবার
(২০ মে) এক প্রতিবেদনে মেহের নিউজ এজেন্সি জানিয়েছি, ইরানের
রাষ্ট্রপতি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পূর্ব আজারবাইজান
প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতিসহ হেলিকপ্টারের অন্যান্য আরোহীরা ‘শহীদ’ হয়েছেন।
যদিও
আনুষ্ঠানিকভাবে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। তবে উদ্ধারকারী দলের চিকিৎসকরা
বলেছেন, তারা দুর্ঘটনাস্থলে জীবনের ‘কোনো
চিহ্ন’ খুঁজে পাননি।
এর
আগে, রেড ক্রিসেন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় কোনো আরোহীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই।
ইব্রাহিম
রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর এর সন্ধান পেতে বেগ পেতে হয়েছিল
উদ্ধারকর্মীদের। কুয়াশাপূর্ণ বৈরী আবহাওয়া ও ঘটনাস্থল দুর্গম এলাকা হওয়ায় উদ্ধার
অভিযানে দেরি হচ্ছিল। পরে হেলিকপ্টারটির বিধ্বস্ত হওয়ার অবস্থান শনাক্ত করে
উদ্ধারকারী দল। সেখানে বড় ধরনের অনুসন্ধান অভিযান শুরু করে।
দেশটির
বার্তা সংস্থা ইরনা জানায়, ৪০ জনের বেশি উদ্ধারকারীর দল এ
অভিযানে নামে। অনুসন্ধানী কুকুর এবং ড্রোন দিয়ে দুর্ঘটনাস্থলে তাদের খোঁজে তল্লাশি
চালানো হয়।
রেড
ক্রিসেন্টের এক মুখপাত্র জানান, আবহাওয়া খারাপ থাকায় দ্রুত উদ্ধার
অভিযান চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। রোববার রাতে বিধ্বস্ত হওয়ার পর আজ সোমবার সকালে
হেলিকপ্টারটির খোঁজ মেলে। ইরানের রেডক্রিসেন্ট প্রধান পীরহোসেন কোলিভান্দ জানান,
বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি খুঁজে পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি ভালো নয়।
ইরানের
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার খবরে বলা হয়, ৬৩ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট রাইসি
আজারবাইজান সীমান্তের কাছে ইরানের একটি জলাধার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে
ফিরছিলেন। পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের ভার্জাকন এলাকায় জরুরি অবতরণ করার সময় তার
হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। ঘটনাটি ঘটেছে ভার্জাকন এবং জোলফা শহরের মধ্যে ডিজমার
জঙ্গলে। হেলিকপ্টারে আরও ছিলেন পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমতি এবং
সেখানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলি আলে-হাশেম।
মন্তব্য করুন