ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) ভবন ও আর্মি সেন্ট্রাল অডিটরিয়াম সেনাপ্রাঙ্গণ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (৫ মে) সকাল সোয়া ১০টার দিকে এএফআইপি ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে আর্মি সেন্ট্রাল অডিটরিয়াম, সেনাপ্রাঙ্গণের উদ্বোধন করেন তিনি।
আইএসপিআর জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নের বিভিন্ন পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও তাদের পরিবারসহ জনসাধারণের উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) বিভাগের জন্য এ নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
এছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সভা, সেমিনার, সামাজিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি আয়োজনের লক্ষ্যে আর্মি সেন্ট্রাল অডিটরিয়াম সেনাপ্রাঙ্গণ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, বাহিনী প্রধান, ঢাকা সেনানিবাসের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অটিজম বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রী কন্যা সায়মা ওয়াজেদ।তিনিই প্রথম ও একমাত্র বাংলাদেশি এবং বিশ্বে দ্বিতীয় নারী হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই সম্মানজনক পদে যোগ দিলেন।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদরদপ্তরে তিনি যোগ দেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেয়া উপলক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, সায়মা ওয়াজেদ বিশ্ব স্বাস্থ্য নিয়ে বহু আগে থেকেই কাজ করা একজন অভিজ্ঞ মানুষ। বিশ্বের বহু দেশের নেতারা তাকে অটিজম বিশেষজ্ঞ হিসেবেই চেনেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, একজন বাংলাদেশি হিসেবে এ রকম দায়িত্বশীল ও গুরুত্বপূর্ণ পদে যোগ দেওয়াটা আমাদের জন্য একটি বিরাট অর্জন ও সম্মানের।
মন্তব্য করুন
টানা চতুর্থবার সরকার গঠনের পর আগামী শনিবার (১৩ জানুয়ারি) গোপালগঞ্জ যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র জানায়, সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
রাতে গোপালগঞ্জ অবস্থান করে পরদিন রোববার ঢাকায় ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে আগামী ৫ বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন শেখ হাসিনা। একই অনুষ্ঠানে নতুন মন্ত্রিসভার ২৫ মন্ত্রী এবং ১১ প্রতিমন্ত্রীও শপথ নেবেন।
আজ সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ পাঠ করাবেন।
মন্তব্য করুন
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ফেনীতে নারী প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ল্যাপটপ বিতরণ করেছেন।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে ফেনী শহরের ট্রাংক রোডের পিটিআই মাঠে জেলা প্রশাসন এবং তথ্য ও প্রযুক্তি অধিদপ্তর এ আয়োজন করে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে হার পাওয়ার প্রকল্পের আওতায় ফেনী ছাড়াও চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলার মোট ৭৪৫ জন নারী প্রশিক্ষণার্থীকে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে ফেনীর ২৪০ জন ছাড়াও লক্ষ্মীপুরে ২৬৫ ও চাঁদপুরে ২৪০ জন নারী রয়েছেন।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তারের সভাপতিত্ব বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, পুলিশ সুপার জাকির হাসান ও ই-ক্যাব প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার।
আয়োজনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোস্তফা কামাল।
এছাড়া প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফেনীর চৈতি সাহা, লক্ষ্মীপুর জেলার ইসরাত জাহান তানজিনা ও চাঁদপুর জেলার সাবিহা জামান।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বিশ্বজয়ের হাতিয়ার একটি স্মার্ট ল্যাপটপ। প্রতিবছর ২০-২৫ লাখ তরুণ-তরুণী কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করছেন। সবাইকে চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়। সবাই ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যে চলে যেতে পারবে না। তাহলে নিজের গ্রামে বসে স্বাবলম্বী হওয়ার ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। তরুণ-তরুণীদের ওপর নির্ভর করছে স্মার্ট বাংলাদেশ।
পলক আরও বলেন, দেশে যৌতুকপ্রথা ব্যাধি হয়ে উঠেছিল। ৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে নারী শিক্ষার প্রসার, যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রাখে। এক সময় প্রাইমারি স্কুলে অনেক বেশিপুরুষ শিক্ষক ছিলেন। এখন ৬০ শতাংশ নারী। প্রধানমন্ত্রীর অসংখ্য সিদ্ধান্তে নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।
সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম বলেন, ২০০৯ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন অনেকে হাস্যরস করেছেন। ১৫ বছর পর প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন স্মার্ট বাংলাদেশ। স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি ২০৪১ সাল পর্যন্ত পরিকল্পনা করেছেন। আজ একটি ল্যাপটপ একজন তরুণীকে মাথা উঁচু করে থাকার প্রেরণা দেবে।
সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট নাগরিক প্রয়োজন। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও পিছিয়ে নেই। আজ যারা ল্যাপটপ পাচ্ছেন তাদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।
এরপর প্রতিমন্ত্রী পলক পরশুরাম উপজেলার আলাউদ্দিন আহমেদ নাসিম কলেজ সংলগ্ন শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের নির্ধারিত জায়গা পরিদর্শন করবেন।
দাগনভূঞা উপজেলা কো-অর্ডিনেটর আল ইমরান জানান, উইমেন আইটি সার্ভিস প্রোভাইডার কোর্সে ছয় মাসব্যাপী ৮০ জন নারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তারা প্রশিক্ষণ শেষে অনলাইন ও অফলাইনে কাজ করার সুযোগ পাবেন।
মন্তব্য করুন
সোমালিয়ার জলদস্যুদের পক্ষ থেকে ছিনতাইয়ের শিকার এমভি আবদুল্লাহর মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
বুধবার (২০ মার্চ) জলদস্যুরা তাদের প্রাথমিক আলাপ শুরু করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। তিনি বলেন, আজ প্রথমবারের মতো জলদস্যুরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এখন থেকে জিম্মিদের মুক্তি ও জাহাজ উদ্ধারের বিষয়টি এগোবে। তবে মুক্তিপণের বিষয়ে এখনো কোনো আলাপ হয়নি। মাত্রই যোগাযোগ হয়েছে আর বিষয়টি খুব সেনসেটিভ।
এ বিষয়ে দেশের সিনিয়র নাবিক ক্যাপ্টেন আতিক ইউএ খান বলেন, দু্দিন ধরে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে জলদস্যুদের ওপর যৌথভাবে চাপ বাড়িয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ভারতীয় নৌবাহিনী। ফলে দস্যুরা অবস্থান বদলে উপকূলের দেড় নটিক্যাল মাইলের মধ্যে জাহাজ নিয়ে গেছে। এরপর থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল জলদস্যুরা এবার আলাপে আসবে। তবে এটি মাত্র শুরু।
এর আগে ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। সে সময় জাহাজটি সোমালিয়া উপকূল থেকে ৫৭০ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছিল। দস্যুদের কাছে জিম্মি হয় ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু। বাংলাদেশি জাহাজটি পরের তিনদিন ধরে সোমালিয়ার গোদবজিরান উপকূলের ৪ নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে ছিল। পরে আবারও অবস্থান বদল করে এখন একই উপকূলের দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করেছে।
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার
(২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১ টায় তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ চুক্তি ও
সমঝোতা স্মারক সই হয়। কাতেরের সঙ্গে বাংলাদেশের মধ্যে পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি
সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।
সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে টাইগার গেটে তাকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী।পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল হলে বৈঠকে বসেন দুই নেতা। দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে দুদেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।
চুক্তিগুলো
হলো: দ্বৈত কর ও কর ফাঁকি পরিহার, আইনি বিষয়ে সহযোগিতা, সমুদ্র পরিবহন, পারস্পরিক
বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা এবং একটি যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদ প্রতিষ্ঠা।
বৈঠকে
বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পাশাপাশি ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের ফলে সৃষ্ট মধ্যপ্রাচ্যের বিশেষ
পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
এর বাইরে শ্রমশক্তি, বন্দর পরিচালন, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা, কূটনৈতিক
প্রশিক্ষণে সহযোগিতাসহ পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা
রয়েছে।
এদিকে
দুপুরে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনের দরবার হলে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন
হামাদ আল থানির সম্মানে মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করা হয়েছে। এ দিন সন্ধ্যায় বিশেষ
বিমানে করে আমির কাতারের উদ্দেশে যাত্রা করার কথা রয়েছে। এ সময় বাংলাদেশের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ তাকে বিমানবন্দরে বিদায় জানাবেন।
সোমবার
(২২ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির।
বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
মন্তব্য করুন
ঢাক-ঢোল ও বাঁশি বাজিয়ে বাংলা নববর্ষ বরণে অনুষ্ঠিত হলো আজ শোভাযাত্রা। সকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে চারুকলা অনুষদ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও ডিএমপি কমিশনার শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন।
এর
আগে সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রায়
প্রদর্শনীর জন্য বিভিন্ন মুখোশ, পেঁচা, ঘোড়া, মূর্তি, ট্যাপা পুতুল, নকশি পাখি, বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতি শোভাযাত্রার জন্য প্রস্তুত করা হয়।
আজ
মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য ছিল ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী।তার সাথে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রার ৩৫ বছর পূর্তি হলো ।
চারুকলা অনুষদের
উদ্যোগে প্রথমবারের মতো বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা
১৯৮৯ সালে । বাঙালি এ উৎসব
সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়। এরপর থেকে বাংলা বর্ষবরণের অপরিহার্য অনুষঙ্গ হয়ে ওঠে ।
ইউনেস্কোর
বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি লাভ করে ২০১৬
সালের ৩০ নভেম্বর এ
শোভাযাত্রা।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মহাপরিচালক অ্যামি পোপ।
মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি গণভবনে গিয়ে তিনি এ সাক্ষাৎ করেন।
রবিবার ঢাকায় এসেছেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ।
জানা গেছে, সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকা সফর করবেন জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা। আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপকে দিয়ে শুরু হচ্ছে এ সফর।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আইওএম মহাপরিচালক ৫-৯ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবেন।
মন্তব্য করুন
একমাত্র
নৌকা মার্কা ক্ষমতায় থাকলেই এদেশের উন্নতি হবে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট দিতে সবাইকে
সকাল বেলা ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার
আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার
(২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুরের তারাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে নির্বাচনী
জনসভায় দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ,
আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন।
এই নির্বাচনে একেবারে সকাল বেলা উঠে
যারা ভোটার তাদের নিয়ে সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন।
এ নৌকা মার্কা আপনাদের
জীবনমান উন্নত করেছে। কাজেই আগামী নির্বাচনে আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট
দিয়ে আপনাদের সেবা করার আরেকটিবার
সুযোগ আমাদের দেবেন, যাতে আপনাদের প্রত্যেকের
জীবন উন্নত-সমৃদ্ধ করে দিতে পারি।
নৌকা মার্কা নূহ নবীর নৌকা
মার্কা, সেই মহাপ্লাবনে মানুষকে
বাঁচিয়েছিল। নৌকা মার্কা, যে
নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনারা
স্বাধীনতা পেয়েছেন। এই নৌকা মার্কা,
যে নৌকা মার্কায় ভোট
দিয়ে আজকে উত্তরবঙ্গ মঙ্গামুক্ত
হয়েছে। এখন আর মঙ্গাপীড়িত
এলাকা নেই, মঙ্গা থেকে
মুক্ত হয়ে এখন উন্নয়নের
সুবাতাস বইছে। একটা কথা মনে
রাখবেন, বাবা-মা-ভাই
সব হারিয়েছি। রিক্ত-নিঃস্ব আমি, আমার তো
হারাবারও কিছু নেই; পাওয়ারও
কিছু নেই। কিন্তু আপনারা
ভালো থাকুন, আপনাদের জীবন সুন্দর হোক,
আপনাদের ছেলেমেয়েরা বংশ পরম্পরায় সুন্দর
জীবন পাক সেটাই আমার
লক্ষ্য। আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট
দিয়েছেন, আমরা আপনাদের সেবা
দিচ্ছি। এটা হচ্ছে জাতির
পিতার স্বপ্ন, সেই স্বপ্ন আমরা
পূরণ করে দিচ্ছি। জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
দেশে কোনো মানুষ অবহেলিত
থাকবে না। এটাই আমার
কথা আর সেভাবেই আমরা
কাজ করে যাচ্ছি। আমরা
দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, আজকে
আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। সেটাকে ধরে রেখে এই
বাংলাদেশকে আমরা উন্নত দেশ
হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
একমাত্র নৌকা মার্কা ক্ষমতায়
থাকলেই এদেশের উন্নতি হবে।
সবশেষে বিকেলে পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি-জামায়াত বয়কটের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এরা পরাজিত শক্তির দালাল, এদের না বলুন। এদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
বিএনপি-জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যারা জ্বালাও-পোড়াও করে, রেল লাইনের ফিশপ্লেট তুলে ফেলে, এরা তো পরাজিত শক্তির দালাল, মনে রাখতে হবে এরা পরাজিত শক্তির দোসর। কাজেই এদের না বলুন।
শেখ হাসিনা বলেন, এদের (বিএনপি-জামায়াত) বাংলাদেশে রাজনীতি করারই কোনো অধিকার নেই। কারণ খুনি, সন্ত্রাসী, জঙ্গি, দুর্নীতিবাজ—এদের বাংলাদেশে কোনো স্থান নেই।
‘এরা ধ্বংস করতে জানে, সৃষ্টি করতে জানে না। এরা মানুষ খুন করতে পারে, মানুষের জীবনে শান্তি-নিরাপত্তা দিতে পারে না। এরা মানুষের সর্বনাশ করতে পারে, মানুষকে উন্নতি দিতে পারে না। কাজেই তাদের থেকে সাবধান।’
আওয়ামী লীগের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে দলটির সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ, বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেয়েছে। তারা ভোটের অধিকার প্রয়োগ করবে; তারা শান্তিতে বাস করবে উন্নত জীবন পাবে এটাই আমাদের লক্ষ্য।
তিনি বলেন, আমরা এদেশকে আর কখনো এই পরাজিত শক্তির হাতে তুলে দেব না। বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে চলবে এবং এগিয়ে যাবে জাতির পিতার ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে।
বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সারা দেশে তারা অগ্নি-সন্ত্রাস করে যাচ্ছে, তাদের আন্দোলন কী, অবরোধ-হরতাল। তাদের দেখা নেই; কয়েকটা গাড়ি পোড়ানো, মানুষ পোড়ানো, রেল লাইন কেটে দেওয়া, বাস পোড়ানো; এটাই হচ্ছে তাদের হরতাল, এটাই হচ্ছে তাদের আন্দোলন।
তিনি বলেন, তারা নাকি জনগণের স্বার্থে কাজ করে, জনগণের জন্য আন্দোলন করে। তারা নাকি গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য আন্দোলন করবে। আরে গণতন্ত্র বানান করতে পারবে? আর গণতন্ত্র তারা শিখেছে? ওর (বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান) বাপ কি গণতন্ত্র দিয়েছিল? ওটা তো কারফিউ গণতন্ত্র ছিল।
বিএনপি-জামায়াতের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ যদি মাঠে নামে এরা হালে পানি পাবে না। কাজেই আমি জনগণের কাছে আহ্বান করবো, সবাইকে সাবধান থাকতে হবে।
তিনি বলেন, এখন তাদের নানা রকম চক্রান্তও শুরু হয়েছে। প্রত্যেকটা নির্বাচনের আগেই চক্রান্ত হয়। কিন্তু এদেশের মানুষের শক্তি হচ্ছে বড় শক্তি, আমি যেটা বিশ্বাস করি। সেই শক্তি আছে বলেই আমরা পরপর এক টানা তিনবার ক্ষমতায় আসতে পেরেছি।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ থাকলে এদেশের মানুষ সেবা পায়।
টানা তিন মেয়াদে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকায় দেশের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজকে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশকে হেয় চোখে দেখা হত। পাকিস্তানিরা বোঝা মনে করত, এটা চলে গেলেই ভালো। আজকে তারা বলে আমাদেরকে বাংলাদেশ বানিয়ে দাও।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম, শহীদ বুদ্ধিজীবী সন্তান নুজহাত চৌধুরী প্রমুখ।
সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-প্রচার সম্পাদক আবদুল আউয়াল শামীম।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন।
ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ার ও ট্রাস্টি মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস পাঠানো শুভেচ্ছা পত্রে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নতুন মেয়াদ শুরু করায় তাকে শুভকামনা জানিয়েছেন।
‘আমি বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সকলের সাথে যোগ দিয়েছি যে আমরা বাংলাদেশের সাথে আমাদের দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্বকে কতটা মূল্যায়ন করি তা প্রকাশ করার জন্য’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এসডিজি এবং সরকারের অস্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশের উন্নয়ন লক্ষ্যগুলোকে সমর্থন অব্যাহত রাখার আশা করছি।’
মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস বলেন, বাংলাদেশ প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনা গ্রহণের ক্ষেত্রে একটি আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক উদাহরণ হতে প্রস্তুত এবং ‘আমরা দূরদর্শী ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্যোগসহ আপনার আর্থিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যগুলোর জন্য চলমান সহায়তা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।
‘একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল আর্থিক ইকোসিস্টেম বিকাশে এটুআই ও আইসিটি’র সাথে আমাদের ফাউন্ডেশনের অংশীদারিত্ব রয়েছে এবং আমরা ২০৪১ সালে আপনার স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশনে অবদান রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে সহযোগিতা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ফাউন্ডেশন সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আপনার প্রতিশ্রুতির সঙ্গে শরিক হয়েছে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, জলবায়ু পরিবর্তনের মুখে ধানের প্রজনন আধুনিকায়ন এবং উৎপাদনশীলতা বজায় রাখতে তারা বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাথে কাজ করছে।
বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ার ও ট্রাস্টি পুষ্টি বিষয়ে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা সফলভাবে সম্পন্ন করা এবং জাতীয় খাদ্য ও নিরাপত্তা নীতি ২০২০-২০৩০ পাস করায় শেখ হাসিনা সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
ফাউন্ডেশনের পুষ্টি দল বৃহৎ আকারের খাদ্য মজুদকরণের মাধ্যমে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি দূর করার দিকে মনোনিবেশ করছে এবং ‘আমি আশা করি আমরা আপনার সরকারের সাথে আমাদের সহযোগিতা বাড়াতে পারব’।
তারা ডিপিএইচই এবং এটুআই এর সাথে বাংলাদেশে একটি স্যানিটেশন ডেটা কমান্ড সেন্টার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সাথে সমঝোতা স্মারক এই সহযোগিতার পথ খোলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমি আশা করি আমরা আমাদের সমস্ত উন্নয়ন অগ্রাধিকারকে সন্বিবেশিত করে আরও ব্যাপক একটি চুক্তির বিকাশ ঘটাতে পারি।”
মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে আরও সুষম করার জন্য শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতিরও প্রশংসা করেন।তিনি বলেন, শেখ হাসিনার প্রশাসনের জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতে এইচপিভি ভ্যাকসিনের প্রবর্তন একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন এবং এই উদ্যোগের অন্যতম অংশীদার হতে পেরে ফাউন্ডেশন আনন্দিত।
মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনার সূচনাকে অভিনন্দন জানিয়ে মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের ফোকাস কপ২৮-এ যেমন, ফাউন্ডেশনও অভিযোজন অর্থায়ন জলবায়ু কর্ম বৃদ্ধির পক্ষে সুপারিশ করছে।
“আমি আশা করি আমরা এই প্রচেষ্টাগুলিতে সহযোগিতা করার উপায় খুঁজে বের করতে এবং বাংলাদেশের জন্য জলবায়ু অভিযোজনের সুযোগগুলি অবারিত করতে পারব।"
ফাউন্ডেশনের একটি নির্বাহী প্রতিনিধিদল এই বছর বাংলাদেশ সফর করবে বলে জানিয়ে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে তারা বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য ও উন্নয়ন পরিচালনায় তাদের যৌথ প্রচেষ্টা এবং ভবিষ্যতের সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করতে শেখ হাসিনার প্রশাসনের সিনিয়র সদস্যদের সাথে দেখা করতে পারবেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে হরি মেনন, যিনি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ফাউন্ডেশনের কাজের নেতৃত্বে রয়েছেন এবং জামাল খান, যিনি বাংলাদেশ সরকারের সাথে তাদের সরকারি সম্পর্কের নেতৃত্ব দেন, এই সফরের পরিকল্পনা করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আসবেন।
মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস এই বলে শেষ করেন, “আমি আমাদের শক্তিশালী অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখতে এবং একসাথে আমাদের অভিন্ন লক্ষ্যগুলির দিকে এগিয়ে যেতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
মন্তব্য করুন