রফিকুল ইসলাম বাবু, চাঁদপুর:
চাঁদপুরে পরকীয়া প্রেমের বলি হলো দুই সন্তানের জননী
তাসলিমা বেগম। পরকীয়ার ঘটনার প্রতিবাদ করায় রাতের আঁধারে শ্বাসরুদ্ধ ও অতর্কিত হামলা
চালিয়ে স্ত্রীকে নৃশংস ভাবে হত্যা করেছে স্বামী। এই ঘটনায় চাঁদপুর আদালতে মামলা হওয়ার
পর অবশেষে মূল হোতা পাল বাজারে ব্যবসায়ী মোঃ সরোয়ার হোসেন সেলিমকে আটক করেছে চাঁদপুর
মডেল থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্ত্রী হত্যা মামলার
আসামি স্বামী সেলিমকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
এই ঘটনায় পরকীয়া প্রেমিকা বাবুরহাট রয়েল তাইবা ট্রাবলস
গ্রুপের অ্যাকাউন্ট অফিসার সালমা মিয়াজি প্রেমিক মায়া এখনো পলাতক রয়েছে।
গত ৮ জুলাই বুধবার গভীর রাতে চাঁদপুর শহরের জে.এম.
সেনগুপ্ত রোড সাবেক মন্ত্রী দীপু মনির বাসার চতুর্থ তলায় ভাড়াটিয়া বাসায় পাল বাজারের
ব্যবসায়ী সেলিম তার স্ত্রীকে শ্বাসরুদ্ধ করে ও অতর্কিত হামলা চালিয়ে হত্যা করে।
পরবর্তীতে তার বাবা মোঃ ইদ্রিস মিয়া বাদী হয়ে আদালতে
সরোয়ার হোসেন সেলিম তার পরকীয়া প্রেমিকা সালমা মিয়াজি মায়াকে আসামি করে মামলাটি দায়ের
করেন।
অবশেষে পুলিশ মামলার প্রধান আসামি সেলিমকে আটক করতে
সক্ষম হয়।
মামলার বাদী ইদ্রিস মিয়া জানান, কচুয়া থানার প্রসন্নকাপ
এলাকার কলিম উদ্দিনের ছেলে সরোয়ার হোসেন সেলিমের সাথে ১১ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে
তাসলিমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সেলিম বিভিন্ন মেয়েদের সাথে পরকীয়ায়
জড়িয়ে পড়ে। কিছুদিন পূর্বে শহরের মিতালী নামের একটি মেয়ের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক
করলে সেই মেয়ের পেটে অবৈধ সন্তান জন্ম হয়। সেই ঘটনায় সেলিমের বিরুদ্ধে মামলা হলে
২৭ দিন জেল খেটে বেরিয়ে আসে।
পরবর্তীতে সেলিম রয়েল তাইবা গ্রুপের অ্যাকাউন্ট অফিসার
সালমা মিয়াজি মায়ার সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সেই ঘটনা প্রতিবাদ করলে ঘটনার
দিন রাতে সেলিম তার স্ত্রী সালমা বেগমকে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলে। অবশেষে ঘটনাটি ধামাচাপা
দেওয়ার জন্য তারা চেষ্টা করে ও মামলা না দেওয়ার জন্য ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে।
পরবর্তীতে আদালতে মামলা হওয়ায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার
করতে সক্ষম হয়। এই ঘটনায় সেলিম ও তার পরকীয়া প্রেমিক মায়ার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত
ব্যবস্থা গ্রহণ করা জোর দাবি জানান পরিবারের স্বজনরা।
মন্তব্য করুন
বগুড়ায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল
আব্দুস সামাদ ৫৭ বছর বয়সে এসে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ।
পুলিশের পোশাকে কাটিয়ে দিয়েছেন
জীবনের ৩৭টি বছর। চাকরির বাকি আর মাত্র দুই বছর ১০ মাস। এই বয়সে এসে এসএসসি পরীক্ষায়
অংশ নিয়ে জিপিএ ৪.২৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন বগুড়ায় কর্মরত ট্রাফিক পুলিশের এই সদস্য।
রোববার (১২ মে) এসএসসি ও
সমমান পরীক্ষার ফলাফলে পুলিশ সদস্য আব্দুস ছামাদের এই সাফল্যের বিষয়টি জানা যায়।
এ বয়সে তার এমন সফলতায় বগুড়া
জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আব্দুস
সামাদ ১৯৬৮ সালে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আশরাফপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৭ সালে
অষ্টম শ্রেণি পাশ করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে যোগদান করেন। এরপর বগুড়ার শেরপুর,
সদর ও নন্দীগ্রাম ডিএসবি, সদর কোর্ট এবং সর্বশেষ বগুড়া ট্রাফিক পুলিশের সদস্য হিসেবে
কর্মরত আছেন।
তিনি ব্যক্তিগত জীবনে দুই
ছেলে ও এক মেয়ের জনক। ছেলে ও মেয়েদের করেছেন উচ্চশিক্ষিত।
পুলিশ কনস্টেবল আব্দুস সামাদ
জানিয়েছেন, চাকরি শেষ হওয়ার পর হোমিও চিকিৎসায় যুক্ত হওয়ার ইচ্ছে তার। কিন্তু সেজন্য
দরকার এসএসসি পাসের সার্টিফিকেট। তাই সিদ্ধান্ত নেন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন। সিদ্ধান্ত
অনুযায়ী ২০২২ সালে তিনি নাটোর মহর কয়া নতুনপাড়া কারিগরি ইনস্টিটিউটটে নবম শ্রেণিতে
ভর্তি হন। এরপর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ ৪.২৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।
আব্দুস সামাদ বলেন, পারিবারিক
অসচ্ছলতায় ৮ম শ্রেণি পাস করেই পুলিশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলাম। আমার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার
ওপর ছোট থেকেই আগ্রহ ছিল। অবসরে যাওয়ার পর যেন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করে সবার সেবা
করতে পারি তাই চাকরির পাশাপাশি নিয়মিত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে পড়াশোনা করতাম। কিন্তু
হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার কোর্সে ভর্তি হতে এসএসসি পাসের সার্টিফিকেট লাগে। তাই ২০২২ সালে
সিদ্ধান্ত নেই এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার। এরপর নাটোরে একটি টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে ভর্তি
হই। সেখান থেকে এ বছর এসএসসি পাস করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমার চাকরির
আর দুই বছর ১০ মাস সময় আছে। এখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি ডিএইচএমএস কোর্সে হোমিওপ্যাথিক
মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার। অবসরে যাওয়ার পর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমে সবাইকে
সেবা করতে চাই। এ বয়সে আমার পরিবার ও ডিপার্টমেন্ট অনেক সহযোগিতা করেছে। আমার মা বেঁচে
আছেন। তার বয়স ১০০। আমার মা আমার এ সফলতার কথা শুনে অনেক খুশি হয়েছেন। এ যাত্রা শুরু
করার সময় অনেকেই অনেক কটু কথা বলেছেন। কিন্তু পরিবার ও ডিপার্টমেন্টের উৎসাহে আমি পিছপা
হইনি।
বগুড়া পুলিশের অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) সুমন জানান, আমাদের ট্রাফিক বিভাগের সদস্য আব্দুস সামাদ ৫৭ বছর
বয়সে এসএসসি পাস করেছেন। আমরা তার এ সফলতাকে অভিনন্দন জানাই। তিনি এ বয়সে এসেও শিক্ষার
আলোয় আলোকিত হতে চান। আমি তার এ আলোকিত হওয়ার উদ্দেশ্যকে সাধুবাদ জানাই এবং তার ভবিষ্যৎ
জীবনের মঙ্গল কামনা করছি।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় বজ্রপাতে চার উপজেলায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পৃথক সময়ে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা, সদর দক্ষিণ, বুড়িচং ও দেবিদ্বার উপজেলায় চারজনের মৃত্যু হয়।
বজ্রপাতে
মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার
ধামতী গ্রামের মোখলেছুর রহমান (৫৮), চান্দিনা উপজেলার
বরকইট ইউনিয়নের কিছমত-শ্রীমন্তপুর গ্রামের সুন্দর আলীর ছেলে দৌলতুর রহমান (৪৭),বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের পাচোরা গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার আলম হোসেন এবং সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ার ইউনিয়নের উত্তর সূর্যনগর গ্রামের আতিকুল ইসলাম ( ৫০) ।
সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও স্থানীয় সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত
করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
৯৯ বোতল ফেন্সিডিল’সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
১৪ মার্চ রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী
মডেল থানাধীন আমতলী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে মোঃ সাইফুজ্জামান
বুলবুল (৩৮) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৯৯ বোতল
ফেন্সিডিল ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
১। মোঃ সাইফুজ্জামান বুলবুল (৩৮) কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার সবজিকান্দি গ্রামের
মৃত মফিজুল ইসলাম এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ৫২ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক
ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), কুমিল্লা ।
গতকাল (৯ জুন) রাতে জেলা গোয়েন্দা
শাখা, কুমিল্লার এসআই উক্যমং রাখাইন তার সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোতয়ালী
মডেল থানাধীন ১নং কালির বাজার বাইতুন সালাম ইসলামীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার সামনে থেকে
৩টি বস্তার ভিতরে মোট ৫২ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ সুমনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত
আসামী হলো: কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন শুভপুর এলাকার আব্দুল জলিল এর ছেলে
মোঃ সুমন(৩৫)।
উক্ত ঘটনায় মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে আওতায় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঈশ্বরদী জংশন অতিক্রম করা রাজশাহীগামী আন্তনগর কপোতাক্ষ একপ্রেস ট্রেনের 'ঙ' নাম্বার বগিতে স্বর্ণা আক্তার (২০) নামে এক প্রসূতির হঠাৎ প্রসব ব্যথা ওঠে। পথে পাবনার ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে পৌঁছালেই ট্রেনের মধ্যেই একটি ছেলে নবজাতকের জন্ম দেন ওই প্রসূতি।
আজ সোমবার (৮ জুলাই) বেলা ১১ টা ৪০ মিনিটে পাবনার ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে ট্রেনে ভূমিষ্ঠ হয় শিশুটি। বর্তমানে মা ও মেয়ে শিশুকে মেয়েকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ট্রেনে সন্তান জন্মদানকারী প্রসূতি স্বর্ণা ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার পান্তাপাড়া ইউনিয়নের হুগরি পান্তাপাড়া গ্রামের ইয়াসিন আরাফাতের সহধর্মিণী।
আন্তঃনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের কর্তব্যরত খুলনার ট্রেন পরিচালক (গার্ড) ইলিয়াস কবীর সেলিম বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, সোমবার (৮ এপ্রিল) যথারীতি খুলনা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর ৭০৫ নাম্বার কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসে। ট্রেনটি সকাল সোয়া নয়টার দিকে দর্শনা রেলস্টেশনে পৌঁছালে ওই প্রসূতি নারী তার পরিবারসহ দর্শনা রেলস্টেশন থেকে 'ঙ' নাম্বার বগিতে ওঠে। ট্রেনটি বেলা পৌনে ১১টার দিকে ভেরামারা রেলস্টেশনে এলে প্রসূতির প্রসব বেদনা ওঠে।
এ সময় ওই ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) তাপস কুমার আমাকে বিষয়টি অবগত করেছেন। যে, 'ঙ' নাম্বার বগিতে এক প্রসূতির প্রসব বেদনা উঠেছে। এ সময় আমি মাইকিং করে ট্রেনে কোনো ডাক্তার আছে কিনা? ঘোষণা করলে খুলনা-রাজশাহী রুটের আলমডাঙ্গা রেলস্টেশন থেকে ওঠা রাজশাহী অভিমুখে যাওয়া ট্রেন যাত্রী ঢাকাস্থ বেসরকারি হাসপাতালের নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মোছাম্মৎ নাজনীন আক্তার দ্রুত এসে ' ঙ' নাম্বার বগিতে এসে পরিচয় দেন, তিনি ডাক্তার।
এদিকে কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের সময় ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে এলে একটি ছেলে শিশু ভূমিষ্ঠ হয়।
ওই ট্রেনের যাত্রী, নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মোছাম্মৎ নাজনীন আক্তার বলেন, আমি ট্রেনে আলমডাঙ্গা থেকে রাজশাহী যাচ্ছিলাম। মাইকিং শোনার পর আমি 'ঙ' বগিতে যাই। সেখানে কাপড় টাঙিয়ে ৩ সিটের একটি চেয়ারে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়। জন্ম নেওয়া বাচ্চাটি নরমাল ডেলিভারিতে বেশ সুস্থভাবেই জন্ম হয়েছে। তাই কোনো সমস্যা হয়নি। বর্তমানে মা ও শিশু সুস্থ আছে।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ জানান, ট্রেনটি রাজশাহী স্টেশনে পৌঁছানোর পর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহায়তা নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ আছে।চলন্ত ট্রেনে ব্যথায় কাতর প্রসূতি, জন্ম দিলেন ছেলে শিশু ।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে আওতায় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঈশ্বরদী জংশন অতিক্রম করা রাজশাহীগামী আন্তনগর কপোতাক্ষ একপ্রেস ট্রেনের 'ঙ' নাম্বার বগিতে স্বর্ণা আক্তার (২০) নামে এক প্রসূতির হঠাৎ প্রসব ব্যথা ওঠে। পথে পাবনার ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে পৌঁছালেই ট্রেনের মধ্যেই একটি ছেলে নবজাতকের জন্ম দেন ওই প্রসূতি।
আজ সোমবার (৮ জুলাই) বেলা ১১ টা ৪০ মিনিটে পাবনার ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে ট্রেনে ভূমিষ্ঠ হয় শিশুটি। বর্তমানে মা ও মেয়ে শিশুকে মেয়েকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ট্রেনে সন্তান জন্মদানকারী প্রসূতি স্বর্ণা ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার পান্তাপাড়া ইউনিয়নের হুগরি পান্তাপাড়া গ্রামের ইয়াসিন আরাফাতের সহধর্মিণী।
আন্তঃনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের কর্তব্যরত খুলনার ট্রেন পরিচালক (গার্ড) ইলিয়াস কবীর সেলিম বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, সোমবার (৮ এপ্রিল) যথারীতি খুলনা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর ৭০৫ নাম্বার কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসে। ট্রেনটি সকাল সোয়া নয়টার দিকে দর্শনা রেলস্টেশনে পৌঁছালে ওই প্রসূতি নারী তার পরিবারসহ দর্শনা রেলস্টেশন থেকে 'ঙ' নাম্বার বগিতে ওঠে। ট্রেনটি বেলা পৌনে ১১টার দিকে ভেরামারা রেলস্টেশনে এলে প্রসূতির প্রসব বেদনা ওঠে।
এ সময় ওই ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) তাপস কুমার আমাকে বিষয়টি অবগত করেছেন। যে, 'ঙ' নাম্বার বগিতে এক প্রসূতির প্রসব বেদনা উঠেছে। এ সময় আমি মাইকিং করে ট্রেনে কোনো ডাক্তার আছে কিনা? ঘোষণা করলে খুলনা-রাজশাহী রুটের আলমডাঙ্গা রেলস্টেশন থেকে ওঠা রাজশাহী অভিমুখে যাওয়া ট্রেন যাত্রী ঢাকাস্থ বেসরকারি হাসপাতালের নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মোছাম্মৎ নাজনীন আক্তার দ্রুত এসে ' ঙ' নাম্বার বগিতে এসে পরিচয় দেন, তিনি ডাক্তার।
এদিকে কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের সময় ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে এলে একটি ছেলে শিশু ভূমিষ্ঠ হয়।
ওই ট্রেনের যাত্রী, নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মোছাম্মৎ নাজনীন আক্তার বলেন, আমি ট্রেনে আলমডাঙ্গা থেকে রাজশাহী যাচ্ছিলাম। মাইকিং শোনার পর আমি 'ঙ' বগিতে যাই। সেখানে কাপড় টাঙিয়ে ৩ সিটের একটি চেয়ারে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়। জন্ম নেওয়া বাচ্চাটি নরমাল ডেলিভারিতে বেশ সুস্থভাবেই জন্ম হয়েছে। তাই কোনো সমস্যা হয়নি। বর্তমানে মা ও শিশু সুস্থ আছে।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ জানান, ট্রেনটি রাজশাহী স্টেশনে পৌঁছানোর পর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহায়তা নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ আছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
দেড় কোটি টাকা মূল্যের ৬৪ হাজার পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট জব্দ করেছে ৬০ বিজিবি।
শুক্রবার
(৮ নভেম্বর) বিকালে আদর্শ সদর উপজেলার টিক্কারচর এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এক
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, সুলতানপুর ব্যাটেলিয়ন (৬০ বিজিবির) অধিনায়ক
লেঃ কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার।
প্রেস
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার দুপুরে সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) মাদক বিরোধী
অভিযান পরিচালনা করে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার টিক্কারচর থেকে হতে ১ কোটি ৫৮ লক্ষ
টাকা মূল্যের ভারতীয় নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট ৬৪ হাজার পিস এবং টয়োটা
গাড়ি ১ টি উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় ভাত খাওয়ার
জন্য সৎ মায়ের কাছে বায়না ধরেছিল ৯ বছরের শিশু আবদুল্লাহ। তাতে সৎমা ফারজানা বিরক্ত
হয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে শিশুটির। এ ঘটনায় সৎমাকে গ্রেফতার করেছে
পুলিশ।
শনিবার (১৩ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে
উপজেলার ইউসুফপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহত শিশু মো: আব্দুল্লাহ উপজেলার ইউসুফপুর
গ্রামের পশ্চিমপাড়ার ঘোড়া গাজী সরকার বাড়ির আমানউল্লাহর ছেলে। সে একই গ্রামের একটি
স্কুলে ২য় শ্রেণিতে ছাত্র।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেবিদ্বার থানার
ওসি মো: নয়ন মিয়া।
স্থানীয়রা জানান, তিন বছর আগে আবদুল্লাহর
বাবার সঙ্গে তার মায়ের ডিভোর্স হয়। পরে ফারজানা আক্তারকে বিয়ে করেন। বর্তমানে ফারজানার
আড়াই বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ফারজানার নিজের ছেলে সন্তান হওয়ার পর সৎ ছেলে আবদুল্লাহকে
সহ্য করতে পারছিলেন না। প্রায়ই শিশু আবদুল্লাহকে মারধর ও নির্যাতন করত ফারজানা। শনিবার
সকালে আবদুল্লাহ ফারজানার কাছে ভাত খেতে চাওয়ায় বিরক্ত হয়ে শিশু আবদুল্লাহর গলায় ওড়না
পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ বাড়ির উঠান থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায়
নিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোসলেম উদ্দিন জানান,
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি উঠানে আবদুল্লাহর লাশ পড়ে আছে। গলায় কয়েকটি দাগ পাওয়া
গেছে।
দেবিদ্বার
থানার ওসি নয়ন মিয়া বলেন, নিহত আবদুল্লাহর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। অভিযুক্ত ফারজানাকে
গ্রেফতার করা হয়েছে। ফারজানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী
রফিকুল আবরার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক
ড. মোঃ হায়দার আলী। আজ ১৬ মার্চ সকাল ১০.৩০টায় শিক্ষা উপদেষ্টার কার্যালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার
সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক
ড. মাসুদা কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের
পরিচালক মোঃ দেলোয়ার হোসেন এবং প্রকৌশল দপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এস. এম. শহিদুল
হাসান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ২৪ ইঞ্জিনিয়ার
কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের প্রধান প্রকল্প সমন্বয়ক এএফডব্লিউসি, পিএসসি কর্ণেল আরিফুল ইসলাম
খান এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক পিএসসি
লেফটেন্যান্ট কর্ণেল জাহিদুল ইসলাম।
সৌজন্য সাক্ষাতে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের
সার্বিক বিষয় ও অগ্রগতি নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার সাথে কথা বলেন। শিক্ষা উপদেষ্টা উপাচার্যকে
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নসহ পরামর্শ প্রদান করেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ৩৪৭ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুইজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
১৮ সেপ্টেম্বর রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২
এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন
ময়নামতি এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ মনিরুজ্জামান মনির এবং
২। মোঃ সজিব (২৭) নামক দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ
থেকে ৩৪৭ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত একটি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা
হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ মনিরুজ্জামান
মনির (৩০) কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার কালিকাপুর গ্রামের মোঃ মানিক মিয়া এর ছেলে
এবং ২। মোঃ সজিব (২৭) একই গ্রামের মোঃ নুরু মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে কাভার্ড ভ্যান যোগে দেশের
বিভিন্ন জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে
আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা
করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত
আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
সরকারি চাকুরী শেষে
ফেয়ারওয়েল আছে, আছে এককালীন আর্থিক সুবিধা ও পেনশন সহ নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা।
কিন্তু যারা আল্লাহর ঘর মসজিদে খেদমতের কাজ করেন, দীর্ঘ দিন কাজ করার পরও তাদের
ভাগ্য জুটে না কোনো বিদায় সংবর্ধনা। তবে এবার স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের
ব্যতিক্রমী উদ্যোগ একই মসজিদে ৩৬ বছর খেদমত শেষে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে একজন
মুয়াজ্জিন পেলেন রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) জুমার নামাজ শেষে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের নরোত্তমপুর
গ্রামের গুড়াগাজী বেপারী বাড়ি মসজিদে তাকে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়।
জানা যায়, গুড়াগাজী জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন হুজুর। তিনি একই
মসজিদে একটানা ৩৬ বছর, ৩ যুগেরও অধিক সময় মুয়াজ্জিন হিসেবে খেদমত করে গেছেন। বয়স
এবং কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ায় দীঘ কর্মজীবন শেষে তিনি অবসর নেন। তার এই দীর্ঘ খেদমত
জীবনকে স্মরণীয় করতে রাখতে মসজিদ কমিটির পরিচালনা পরিষদ ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী
সংগঠন মানবতা এক্সপ্রেসের পক্ষ থেকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এ উপলক্ষে এলাকার হাজারো মুসল্লির উপস্থিতিতে তাদের পক্ষ থেকে নগদ এক লাখ
পঞ্চাশ হাজার টাকা সহ পরিবারের সদস্যদের জন্য উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে মুয়াজ্জিনকে।
এই সময় হাজারো মুসল্লি কয়েকটি পিকআপভ্যান এবং ফুলসজ্জিত একটি মাইক্রোবাসে করে
মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ হেলাল হুজুরকে ফুলেল শুভেচ্ছায় পুরো গ্রাম ঘুরিয়ে নিজ বাড়ীতে
পৌঁছে দেন। এইদিকে একজন দীর্ঘদিন মসজিদে খেদমত জীবন শেষে এমন শুভেচ্ছার উদ্যোগকে
স্বাগত জানান এলাকার অনেক উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ।
একজন সাধারণ মুয়াজ্জিন হিসেবে এমন বিরল সম্মান পেয়ে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে
আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ হেলাল হুজুর।
অনুষ্ঠিত সংবর্ধনায় বক্তব্য রাখেন, মসজিদের উপদেষ্টা ও দৈনিক নয়াদিগন্তের নোয়াখালী
অফিস প্রধান মুহাম্মদ হানিফ ভুঁইয়া, সাংবাদিক তাজুল ইসলাম মানিক, স্থানীয় ইউপি
সদস্য জিল্লুর রহমান, সমাজ সেবক শরীফ উল্লাহ, সাংবাদিক মোঃ সুমন ভূঁইয়া,
মানবতা এক্সপেসের মনির হোসেন, মনসাদ আলম প্রমূখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, সরকারি এবং বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী জীবন শেষে
এককালীন আর্থিক সুবিধা ও পেনশন সহ নানা সুযোগ-সুবিধা আছে। কিন্তু আল্লাহর ঘর
মসজিদের খতিব, মুয়াজ্জিনদের জন্য এ সুবিধা না থাকলেও গুড়াগাজী জামে মসজিদের
মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ হেলাল হুজুরের সম্মানজনক রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনার এই উদ্যোগ
আগামীতে অন্যান্য মসজিদের খতিব, মুয়াজ্জিনদের সম্মানে নতুন দিগন্ত উন্মেচিত হবে।
মন্তব্য করুন