নেত্রকোনা
জেলার আটপাড়ায় বোরো জমিতে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে দিলোয়ার মিয়া
(৩৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত কৃষক দিলোয়ার মিয়া আটপাড়া উপজেলার
স্বরমুশিয়া গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে।
সোমবার
(৬ মে) সকালে সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার স্বরমুশিয়া হাওরে এই
বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
ঘটনার
সত্যতা নিশ্চিত করে আটপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তাওহিদুর রহমান জানান, ওই কৃষক নিজের জমির ধান কাটতে গেলে আকস্মিক বজ্রপাতে তিনি
আহত হন। পরে অন্যরা উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত
চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আটপাড়া
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম সাজ্জাদুল হাসান জানান, বজ্রপাতে
নিহত কৃষকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।
মন্তব্য করুন
মোঃ মাসুদ রানা, কচুয়া প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চাপাতলি লতিফিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় দাখিল পরীক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার দুপুরে মাদ্রাসা মিলনায়তনে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো: মনিরুল ইসলাম মজুমদারের সভাপতিত্বে ও প্রভাষক মো: আফজাল হোসাইনের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো: হেলাল উদ্দিন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, গোহট দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান মো: আমির হোসেন, সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ আলী, গভর্নিং বডির দাতা সদস্য মো: সোহেল প্রধান, সদস্য মাওলানা আব্দুল হাই, মাসনীগাছা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিন উল্লাহ, কহলথু্ির উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবিএম এমরান হোসেন, চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সোহাগ উদ্দিনসহ আরো অনেকে। এসময় মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
পরে দাখিল পরিক্ষার্থীদের সফলতা ও দোয়া কামনায় বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করা হয়। একই দিনে কহলথুরী হামিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরিক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা, চাঁদপুর প্রতিনিধি :
চাঁদপুরের কচুয়া পৌরসভায় ৫নং ওয়ার্ডের কড়ইয়া গ্রামের পূর্ব বিলে লোডশেডিংয়ের কারনে চলতি মৌসুমের ইরি-বোরো ধানের পানি সেচ নিয়ে বিপাকে রয়েছেন কৃষকরা। এতে করে কৃষকরা ভালো ফলন নিয়ে খুবই চিন্তিত। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারনে ওই বিলের কৃষকরা ইরি ধানের ফলন ঘরে তোলা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে,কচুয়া পৌরসভাধীন কড়ইয়া গ্রামের পূর্ব বিলে প্রায় ৫শ একর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। চলতি বছরের ওই বিলের বোরো ধানের থোর বের হলেও পানি না থাকার কারনে ভালো ফলন নিয়ে ঘরে ফেরার দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা। এছাড়া সরকারি খাস ভূমিগুলো ইচ্ছে মত দখল করে নেয়ায় পানি চলাচল করতে পারছে না। এসব খাস ভূমিগুলো অসাধু দখলদারীদের কাছ থেকে উদ্ধারের দাবী জানিয়েছে কৃষকরা।
স্থানীয় কৃষক জাহাঙ্গীর হোসেন, মনির হোসেন, আব্দুল আউয়ালসহ একাধিক কৃষকরা জানান, চলতি মৌসুমে এই মাঠে আমরা বোরো ধান চাষ করেছি। কিন্তু ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ায় সেলু মেশিন থেকে আমাদের ফসলী জমিতে পানি আসছে না। তারা আরো জানান, পার্শ¦বর্তী এলাকায় বিদ্যুৎ থাকলেও আমাদের এ অঞ্চলে বিদ্যুৎ থাকেনা। তাই কৃষি জমির ফসলী উৎপাদনের লক্ষে জনস্বার্থে বিদ্যুতের ঘাটতি কমিয়ে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ দেয়ার জোড় দাবী করছি।
ওই মাঠের আলী হোসেনের সেলু মেশিনের লাইনম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমি গত বেশ কয়েক বছর যাবৎ এই সেলুতে লাইন ম্যানের কাজ করছি। কিন্তু এবারের মত এত ভয়াবহ লোডশেডিং কখনো দেখিনি। বিদ্যুৎ একবার গেলে আর আসার নাম থাকে না। কখনো কখনো বিদ্যুৎ আসলে সেলু মেশিন চালু দিলে ড্রেইনে পানি প্রবেশের আগেই বিদ্যুৎ চলে যায়।
কচুয়া কৃষি অফিসের উপ-সহকারি কর্মকর্তা টিটু মোহন সরকার বলেন, স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ফসলী জমি দেখতে পরিদর্শনে আসি। চাহিদা মত বিদ্যুৎ না থাকায় অধিকাংশ ফসলী জমিতে পানি নেই। ফসলী ধানের জমিতে পানি না থাকলে কৃষকদের ক্ষতি সাধন হবে।
মন্তব্য করুন
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়নে খনন করা
বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) কূপের তিনটি স্তরে মিলেছে জ্বালানি গ্যাস। বাংলাদেশ
পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) আশা করছে এ
থেকে দৈনিক এক কোটি (১০ মিলিয়ন) ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে ।
সোমবার (১২ আগস্ট) রাতে বিষয়টি
নিশ্চিত করে বাপেক্সের ভূ-পদার্থিক বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার ওহিদুল
ইসলাম বলেন, ওয়াছেকপুর গ্রামে খনন করা বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) কূপে মিলেছে গ্যাসের
অস্তিত্ব। ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল শুরু হওয়া খননকাজের পর ডিএসটি টেস্ট শেষে এখন চলছে
সর্বনিম্ন স্তরের উৎপাদন টেস্ট। প্রাথমিকভাবে কূপটির তিনটি স্তরে পর্যাপ্ত গ্যাস
আছে। এ টেস্ট শেষে জানা যাবে এখানে মজুত থাকা মোট গ্যাসের পরিমাণ।
বাপেক্স সূত্রে আরো জানা যায়, কূপটিতে তিন হাজার ১১৩ মিটার গভীর পর্যন্ত খনন করা
হয়, যার মধ্যে এক হাজার ৯২১ থেকে এক হাজার ৯৭৩ মিটার পর্যন্ত প্রথম স্তর, দুই
হাজার ৫৪৮ মিটার থেকে দুই হাজার ৫৮৫ মিটার পর্যন্ত দ্বিতীয় স্তর এবং তিন হাজার ৮১
মিটার থেকে তিন হাজার ১০১ মিটার পর্যন্ত তৃতীয় স্তরে গ্যাসের অস্তিত্ব মিলেছে।
বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) কূপের তিনটি স্তর থেকে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন
ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
হাওলাদার ওহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের লক্ষ্যমাত্রার থেকে বেশি গ্যাস মিলতে পারে বলে
ধারণা করছি। এখন পর্যন্ত টার্গেট চারটি জোনের মধ্যে তিনটি জোন থেকে বাণিজ্যিকভাবে
গ্যাস উত্তোলন করা যাবে বলে আশা করছি।’
বাপেক্সের ভূতাত্ত্বিক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শামসিয়া মুক্তাদির বলেন, ‘প্রাকৃতিক
গ্যাসের সন্ধানে বাপেক্স দীর্ঘদিন থেকে কাজ করে আসছে। বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) কূপটিতে
খনন কাজ শুরু এ বছরের ২৯ এপ্রিল। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল না থাকায়
আমাদের খনন কাজেও কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। দিনশেষে আমরা সফল হতে পেরেছি।’
বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপের প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. প্রিন্স আল
হেলাল বলেন, এখান থেকে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ করার
লক্ষ্যমাত্রা ছিলো। তবে লোয়ার জোনে গ্যাসের কন্ডিশন দেখে মনে হচ্ছে, আরও ভালো কিছু
আশা করা যাবে। উৎপাদন টেস্ট শেষে মোট গ্যাসের মজুত সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ড্রিলিং ইনচার্জ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এটি খনন করতে আমাদের নানা
প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়েছে। সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে আমরা আজ আলোর মুখ দেখছি।
একসময় গ্যাসকূপ খননের কাজে বিদেশি শ্রমিক ও কর্মকর্তারা যুক্ত থাকতেন। কিন্তু এখন
তার পরিবর্তন হয়েছে। এ কূপ খননের সঙ্গে জড়িত প্রায় দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী
সবাই বাংলাদেশের। এটাও আমাদের জন্য অনেক আনন্দের।’
এর আগে, ১৯৭৬ সালে বেগমগঞ্জ-১ ও ১৯৭৮ সালে বেগমগঞ্জ-২ গ্যাসকূপ খনন করা হলেও সেগুলো
থেকে গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। ২০১৪ সালে বেগমগঞ্জ-৩ কূপ খনন করা হয় এবং
সেখান থেকে এখনো প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ফেনী-নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক
সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এখানে বেগমগঞ্জ-৫ ও বেগমগঞ্জ -৬ কূপ
খননের পরিকল্পনা রয়েছে বাপেক্সের।
মন্তব্য করুন
জাহিদুল ইসলাম, হাইমচর প্রতিনিধিঃ
ঘন কুয়াশায় চাঁদপুরের হাইমচরে ভোলা থেকে ঢাকাগামী দুটি লঞ্চের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টায় চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলায় চরভৈরবী এলাকায় মেঘনা নদীতে লঞ্চ এমভি সুরভী-৮ লঞ্চের সঙ্গে ভোলা টিপু- ১৪ লঞ্চের সংঘর্ষ ঘটে।
এ ঘটনায় সোহেল নামে এক যুবক নিহত হন। তিনি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আমিনাবাদ ইউনিয়নের ওসমান আলি ফরাজি বাড়ির বাসিন্দা সেলিম ফরাজির ছেলে।
এম.ভি সুরভী-৮ লঞ্চের স্টাফ রাসেল বলেন, কাল রাতে টিপু-১৪ লঞ্চটি আমাদের লঞ্চকে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চটির কেবিনে পেছনের অংশ ভেঙে যায়। এ ঘটনায় আমাদের লঞ্চে থাকা সোহেল নামে এক ব্যক্তি আহত হন। পরে তিনি মারা যান।
এ বিষয়ে হাইমচরের নীলকমল নৌ পুলিশ ফাড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন খান বলেন, ৯৯৯ নাম্বারে এম.ভি সুরভী-৮ লঞ্চ থেকে আমাদের ফোন করা হয়। একটি অজ্ঞাতনামা লঞ্চ তাদের লঞ্চটি ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়া জন্য তাদের ফোন করলে তারা জানায় এম.ভি সুরভী-৮ লঞ্চটি ঘটনাস্থল ত্যাগ করে ঢাকার উদ্দেশ্যে চলে যায়। তবে একজনের মৃত্যুর বিষয়টি আমার জানা নাই।
চাঁদপুর উপপরিচালক সাহাদাত হোসেন আরও জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও ঘন কুয়াশায় নৌযান পরিচালনা না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনেকেই কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অমান্য করে নৌযান পরিচালনা করছেন। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
ভোলা বন্দর কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, কাল সন্ধ্যা ৬টা সদর ঘাট থেকে ছেড়ে আসে টিপু-১৪ লঞ্চটি। রাত সাড়ে ১০টায় ভোলা ছাড়ে ঢাকাগামী লঞ্চ এমভি সুরভী-৮। চাঁদপুরের হাইমচরে টিপু-১৪ লঞ্চটি সুরভী-৮ লঞ্চটিকে ধাক্কায় দেয়। এ ঘটনায় এক যাত্রী আহত হন। পরে তার মৃত্যু হয়। সুরভী-৮ লঞ্চটি এবং নিহত সোহেলে মরদেহ এখন সদর ঘাটে আছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় হাইওয়ে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ মাদক কারবারিকে
আটক করা হয়েছে ।
হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলম এর নির্দেশনা
মোতাবেক শুক্রবার (১৪ ই জুন) বিকাল আনুমানিক ৪টায় কুমিল্লা
সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের মিরপুর হাইওয়ে থানাধীন ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায় গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ৩৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ জন মাদক কারবারিকে আটক করা
হয়।
আটককৃতরা হলো রোজিনা বেগম (২৮) এবং আলা
আমিন মিয়া (৪২) ।
কুমিল্লা সিলেট আঞ্চলিক মহাসডকের মিরপুর
হাইওয়ে থানাধীন ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় কুমিল্লা গামী
নিউ সুগন্ধা যাত্রীবাহী একটি বাসে করে ২ জন
মাদক কারবারি ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে যাচ্ছে।
এই তথ্যের ভিত্তিতে মিরপুর হাইওয়ে থানার এসআই বোরহান উদ্দিন তার ফোর্স সহ
উক্ত বাসটি থামিয়ে সে গাড়িতে থাকা যাত্রীদের তল্লাশীর চেষ্টাকালে
তারা ২জন দ্রুত গাড়ি হতে নেমে পালানোর চেষ্টা
করলে এসআই বোরহান উদ্দিন ফোর্স সহ তাদের ২ জনকে আটক করে স্থানীয় মহিলা সাক্ষী দ্বারা
আসামি রোজিনা বেগমকে তল্লাশি করলে রোজিনা বেগম তার পরিহিত কালো বোরকার নিচে থাকা পরিহিত
পায়জামার কোঁছা হতে মাদক ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় উপস্থিত সাক্ষীদের উপস্তিতিতে উক্ত মাদক গননা করে মিনিটে ৩৫০ পিস ইয়াবা
ট্যাবলেট পাওয়া যায় যা বিকাল অনুমান ৩টা ৫০ এসআই বোরহান উদ্দিন জব্দ তালিকা মুলে জব্দ
করেন।
রোজিনা বেগমের সাথে থাকা অপর ব্যাক্তি আলা আমিন হচ্ছে তার স্বামী।
তারা স্বামী ও স্ত্রী ২জন পরষ্পর যোগসাজসে
উদ্ধারকৃত মাদক ইয়াবা ট্যাবলেট সমুহ সীমান্তবর্তী এলাকা হতে ক্রয় করে অধিক লাভে বিক্রয়ের
জন্য কুমিল্লাগামী বাস যোগে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছিলো।
উক্ত বিষয়ে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১টি
মামলা দায়ের করে আসামিদেরকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো
হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা সদরের আমড়াতলী ইউনিয়নের উত্তর
রসুলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্মানাধীন সেপটিক ট্যাংকিতে পড়ে তিন বছর বয়সী মোছা.
নুরী নামে এক শিশু নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকেলে রসুলপুর
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু আদর্শ সদর উপজেলার আমড়াতলী
ইউনিয়নের প্রবাসী মোহাম্মদ রিজানের কন্যা মোছা. নুরী।
কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক
তদন্ত শিবেন বিশ্বাস নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার
বিকালে তার মায়ের সাথে নানা বাড়ি বেড়াতে যাবার কথা ছিল। দুই মাসের বেশী সময় ধরে
উত্তর রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সেপটিক ট্যাংকির জন্য গর্ত করে ফেলে রাখে
ঠিকাদার। কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনি ছাড়াই ফেলে রাখা হয় সেপটিক ট্যাংকের জন্য করে রাখা
গর্তটি। বৃষ্টির পানিতে পুরো হয়ে যাওয়ায় ওই শিশু কন্যা পড়ে যায় গর্তে। বৃহস্পতিবার
দুপুর ২টার দিকে নুরের লাশ ভেসে উঠে ওই গর্তের পানিতে।
রসুলপুর এলাকার বাসিন্দা শামীম আহমেদ
জানান, কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী ছাড়াই ফেলে রাখা হয় সেপটিক ট্যাংকের জন্য করে রাখা গর্তটি।
বৃষ্টির পানিতে পুরো হয়ে যাওয়ায় ওই শিশুটি পড়ে যায় গর্তে। পরে দুপুর ২টার দিকে নুরীর
মরদেহ ভেসে ওঠে ওই গর্তে।
উত্তর রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. স্বপন আহমেদ জানান, আমরা বারবার ঠিকাদারকে বলেছিলাম যেন
সেপটিক ট্যাংকের নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করার জন্য। উনি কেন এটা করলেন না, আমার বোধগম্য
নয়। আমরা উপজেলা চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি যাথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস
দিয়েছেন।
এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানার পুলিশ
পরিদর্শক তদন্ত শিবেন বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। আমরা পরিবারের অভিযোগের
ভিত্তিতে তদন্ত করে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
মন্তব্য করুন
দেশের
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গা ও সিরাজগঞ্জে। এই ২ জেলায় আজ তাপমাত্রা
৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ।
মঙ্গলবার
(২৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে।
আজ
মঙ্গলবার শৈত্যপ্রবাহের কারণে চুয়াডাঙ্গা জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও
উচ্চ বিদ্যালয়গুলোতে শ্রেণি কার্যক্রম, ক্লাস, পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।
জেলা
প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তবিবুর রহমান জানান, তীব্র শীতের কারণে সারা দেশে প্রাথমিক
বিদ্যালয়ের ক্লাসের সময়সূচিতে পরিবর্তন এনেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। নতুন
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে সারা দেশে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে
ক্লাস শুরু হবে সকাল ১০টায়। যেসব জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামবে,
সেসব জেলার বিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশনাও বহাল রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার
আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস অর্থাৎ ১০ ডিগ্রির কম। সে অনুযায়ী
প্রাথমিকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এখন থেকে যেদিন এ জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির কম থাকবে সেদিনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা
আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে
বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ দ্বিতীয় দিনে মাঝারি শৈত্য প্রবাহে রূপ নিয়েছে। মঙ্গলবার
(২৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ৬
ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে
সিরাজগঞ্জের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামায় সোমবার দুপুরের দিকে জেলার
মোট ৩৮৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৯২টি মাদরাসা ও ১৬৭১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা
করা হয়েছে।
জেলা
প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম আব্দুর রহমান বলেন, এ জেলার ১৬৭১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়
বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার চরজোকা এলাকার ভয়ংকর মানব পাচারকারী চক্রের মূলহোতা মিলন ফকিরসহ মানব পাচার চক্রের সদস্য রিজাউল ফকির ও তাসলিমা বেগম কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ এর আভিযানিক দল।
র্যাব জানান, চক্রের মূলহোতা মিলন ফকির দীর্ঘদিন ধরে লিবিয়া থেকে মানব পাচারের কাজ করে আসছে। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বেকারত্ব ও দারিদ্রের সুযোগ নিয়ে তার চক্রের অন্যান্য সদস্যদের মাধ্যমে বিদেশে ভালো চাকরী দেওয়ার লোভ দেখিয়ে মানব পাচার করে আসছিল। এই চক্রটি ফরিদপুরের ভাংগা থানার গোয়ালদী গ্রামের সহিদুল শেখ (৪৮) এর ছেলে জুবায়েদকে ১২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ইতালিতে মোটা টাকার বেতনের চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে আসে। বেকারত্বের অভিশাপ থেকে বাঁচার জন্য জুবায়েদের হত দরিদ্র বাবা-মা জায়গা-জমি বন্ধক রেখে অনেক কষ্ট করে টাকা জোগার করে উপরোক্ত মানব পাচার চক্রের সদস্য রিজাউল ফকির ও তাসলিমা বেগমকে দেয়। গত ২০২২ সালের আগস্ট মাসের ২৯ তারিখে আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে জুবায়েদকে পাচারের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে নিয়ে লিবিয়া পাঠিয়ে দেয় । এরপর থেকে জুবায়েদের আর খোঁজ না পেয়ে তার বাবা-মা মূলহোতা মিলনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সে আরো দশ লক্ষ টাকা দাবী করে তার ছেলেকে ফিরিয়ে দেবার কথা বলে। এরই মধ্যে হঠাৎ করে জুবায়েদ একদিন ফোন করে বলে তাকে প্রচুর অত্যাচার করেছে এবং ট্রলারে করে তাকে সাগরে নিয়ে যাচ্ছে। তার বাবা-মা এতে আতঙ্কিত হয়ে মূলহোতা মিলনকে আরো ছয় লক্ষ টাকা দিলেও তার ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের ৬/৭/৮ ও ১০ ধারায় মামলা দায়ের করেন। এই মানব পাচারের সাথে জড়িত চক্রটির মূলহোতা মিলন ফকিরসহ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতার লক্ষ্যে র্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ, সিপিএসসি কোম্পানি এর একটি চৌকশ গোয়েন্দা টীম যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে তাদের অবস্থান সনাক্ত পূর্বক গ্রেফতারের চেষ্টা করেন। আজ (৫ মে) নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানা এলাকা থেকে মানব পাচার চক্রের মূলহোতা এজাহারনামীয় ১নং আসামী মিলন ফকির (৪২), মানব পাচার চক্রের সদস্য ২নং আসামী রিজাউল ফকির (৬৫), ৩নং আসামী তাসলিমা বেগম (৫৫) কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো- মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানাধীন চরজোকা এলাকার মোঃ রিজাউল ফকির এর ছেলে মিলন ফকির, মৃত আলিম উদ্দিন ফকির এর ছেলে রিজাউল ফকির, রিজাউল ফকির এর স্ত্রী তাসলিমা বেগম।
গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
৫২ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
করেছে কোতয়ালী
মডেল থানা পুলিশ।
গতকাল (১৮মে)
সন্ধ্যায় কোতয়ালী
মডেল থানায় কর্মরত এসআই(নিঃ) শেখ মফিজুর রহমান ও সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোতয়ালী মডেল থানাধীন ২নং উত্তর দূর্গাপুর ইউপিস্থ আড়াইওড়া উত্তর পাড়া কালী মন্দির সংলগ্ন ধৃত আসামী খালেক মিয়ার চা দোকানের উত্তর পাশে খালেক মিয়ার মালিকানাধীন একচালা ছাপরা ঘরের ভিতরে তল্লাশী করে ৫২ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী নিলুফা বকুল
ও মোঃ মালেককে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত
আসামীরা হলো- কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী
মডেল থানাধীন
আড়াইওড়া(উত্তর পাড়া, কালী মন্দির সংলগ্ন) এলাকার খোকন মিয়ার
স্ত্রী নিলুফা
বকুল (৫০) এবং একই এলাকার মৃত আলী আশরাফ এর
ছেলে মোঃ
মালেক(৫০)।
এ
ঘটনায় কুমিল্লা কোতয়ালী
মডেল থানায়
মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন