প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছার কারণে ঈদে যাত্রীরা ট্রেনে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পেরেছেন , মন্তব্য করেছেন রেলপথমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম।
আজ বুধবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে রাজবাড়ীর পাংশায় নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
রেলমন্ত্রী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী চেয়েছেন ঈদে যাত্রীরা যেন নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দ্যে তাদের বাড়ি ফিরতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ আমরা পালন করেছি। আন্তরিকভাবে যদি কোনো কাজ করা যায় আমার মনে হয় সেই কাজে সফলতা আসে। রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ পরিদর্শন অধিদফতর আমরা সবাই মিলে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছি যাত্রীরা যাতে নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারে। আমাদের চেষ্টা ফলপ্রসু হয়েছে। এজন্য আমরা জনগণকে ধন্যবাদ জানাই এবং রেলের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানাই। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা ও নির্দেশনার কারণে তাকেও ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, আমরা যাত্রীদের ফিরতি টিকিটও দিয়েছি। ঈদে যেমন তারা নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরেছেন। ঈদ শেষেও তারা একইভাবে নির্বিঘ্নে কর্মস্থলে ফিরতে পারবেন।
মন্তব্য করুন
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার শাহাদাত আলী জানিয়েছেন,দেশজুড়ে নাশকতা এড়াতে ও ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় লোকাল, মেইল ও কমিউটারসহ ছয়টি ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
আরো বলা হয়, হরতাল-অবরোধে নাশকতা এড়ানোর জন্য পার্বতীপুর-রাজশাহী-পার্বতীপুর রুটে চলাচল করা উত্তরা এক্সপ্রেসটির চলাচল ২২ ডিসেম্বর (শুক্রবার) থেকে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এর আগে রাজশাহী থেকে পার্বতীপুর পর্যন্ত উত্তরা এক্সপ্রেস এবং ইশ্বরদী থেকে রহনপুর পর্যন্ত কমিউটার ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে চিঠি দিয়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
পশ্চিম অঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার গণমাধ্যমকে বলেন, মূলত ট্রেনটি অনেক রাতে যাত্রা করে। আমরা ট্রেনটির নিরাপত্তা দিতে পারছি না। ট্রেনটির নিরাপত্তার কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
বিএনপি
এবং সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর ডাকে চলছে ষষ্ঠ দফার অবরোধ কর্মসূচি। অবরোধে আইনশৃঙ্খলা
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য রাজধানী ঢাকায় র্যাবের ১৪২ টহল দলসহ সারাদেশে ৪২৮
টহল দল মোতায়েন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার(২৩নভেম্বর) সকালে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান র্যাবের
লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান।
তিনি
বলেছেন, যেকোনো ধরনের নাশকতা ও সহিংসতা প্রতিরোধে বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন
গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে গোয়েন্দারা ছদ্মবেশে নজরদারি অব্যাহত রেখেছে। দেশের বিভিন্ন
স্থানে দূরপাল্লার গণপরিবহন ও পণ্যবাহী পরিবহনকে র্যাবের টহলের মাধ্যমে এস্কর্ট প্রদান
করে নিরাপদে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দিচ্ছেন।
মন্তব্য করুন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আজ বৃহস্পতিবার অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স প্রবেশপথে টানানো, তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগসহ ১০ দফা নতুন নির্দেশনা দিয়েছে ।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর পরিচালনার ক্ষেত্রে বর্ণিত শর্তাবলি আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। আর এ ১০ নির্দেশনা হলো :
১. বেসরকারি ক্লিনিক হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিকের লাইসেন্সের কপি প্রতিষ্ঠানের মূল প্রবেশ পথের সামনে দৃশ্যমান স্থানে অবশ্যই স্থায়ীভাবে প্রদর্শন করতে হবে।
২. সব বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় তথ্যাদি সংরক্ষণ ও সরবরাহের জন্য একজন নির্ধারিত দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকতে হবে। একইসঙ্গে তার ছবি ও মোবাইল নম্বর দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করতে হবে।
৩. যেসব প্রতিষ্ঠানের নাম ডায়াগনস্টিক ও হাসপাতাল হিসেবে আছে, কিন্তু শুধু ডায়াগনস্টিক অথবা হাসপাতালের লাইসেন্স রয়েছে, তারা লাইসেন্স পাওয়া ছাড়া কোনাভাবেই নামে উল্লিখিত সেবা প্রদান করতে পারবে না।
৪. ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরির ক্ষেত্রে যে ক্যাটারগরিতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত, শুধু সে ক্যাটাগরিতে নির্ধারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া কোনোভাবেই অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যাবে না। ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্যাথলজি বা মাইক্রোবায়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি ও রেডিওলজি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করতে হবে।
৫. বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতালের ক্ষেত্রে লাইসেন্সের প্রকারভেদ ও শয্যা সংখ্যা অনুযায়ী সব শর্তাবলি বাধ্যতামূলকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
৬. হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়োজিত সব চিকিৎসকের পেশাগত ডিগ্রির সনদ, বিএমডিসির হালনাগাদ নিবন্ধন ও নিয়োগপত্রের কপি অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে।
৭. হাসপাতাল, ক্লিনিকের ক্ষেত্রে যে কোনো ধরনের অপারেশন বা প্রসিডিউরের জন্য অবশ্যই রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসককে সার্জনের সহকারী হিসেবে রাখতে হবে।
৮. কোনো অবস্থাতেই লাইসেন্সপ্রাপ্ত বা নিবন্ধিত হাসপাতাল ও ক্লিনিক ব্যতীত চেম্বারে অথবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়া যাবে না। বিএমডিসি স্বীকৃত বিশেষজ্ঞ ছাড়া যে কোনো ধরনের অপারেশন/সার্জারি/ ইন্টারভেনশনাল প্রসেডিউর করা যাবে না।
৯. সব বেসরকারি নিবন্ধিত লাইসেন্সপ্রাপ্ত হাসপাতাল, ক্লিনিকে লেবার রুম প্রটোকল অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
১০. নিবন্ধিত বা লাইসেন্সপ্রাপ্ত হাসপাতাল, ক্লিনিকে অপারেশন থিয়েটারে অবশ্যই ‘Operation Theatre Etiquette’ মেনে চলতে হবে।
মন্তব্য করুন
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন সরকারি এবং বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে।
আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অনলাইন আবেদন ফরম পূরণের সময়সীমা ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
গত ২৪ অক্টোবর শুরু হয়ে ১৪ নভেম্বর আবেদনের শেষ সময় ছিল।
আবেদন ফরম পূরণের পর রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদন ফি জমা দেওয়া যাবে।
মন্তব্য করুন
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ নম্বর বান্দরবান আসনের ১৮২ ভোট কেন্দ্রের মধ্যে দুর্গম ১২টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সামগ্রী ও নির্বাচনী জনবল আনা নেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হবে হেলিকপ্টার ।
রোববার দুর্গম ও যাতায়াত ব্যবস্থা স্বাভাবিক না থাকায় এসব কেন্দ্রে হেলিকপ্টার ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে বলে জানান জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন।
তিনি বলেন, ১২টি হেলিস্যুটি ভোটকেন্দ্রগুলোর মধ্যে রোয়াংছড়ি উপজেলায় ১টি, রুমা উপজেলায় ৩টি, থানচি উপজেলায় ৭টি ও আলীকদম উপজেলায় ১টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বান্দরবানের ৭ উপজেলার ২ পৌরসভা ও ৩৪টি ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮৮ হাজার ২৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৪৮হাজার ৫৮৩জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৬ জন। ১৮২টি কেন্দ্রে ভোটকক্ষ থাকবে ৭২৭টি।
বান্দরবানের রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার জন্য সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দুর্গম এলাকার ১২টি হেলিস্যুটি ভোটকেন্দ্রে সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সহায়তায় হেলিকপ্টারের মাধ্যমে যাবতীয় নির্বাচনী সরঞ্জাম ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের আনা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।
মন্তব্য করুন
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অনেক এলাকায় আজ সোমবার ছিল কুয়াশায় ঢাকা। রাজধানীতে এ শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে আজ সকালে। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের প্রায় সব জেলাসহ মোট ২১ জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্য উঁকি দিলেও কুয়াশার কাটাতে পারেনি সেভাবে। ফলে শীত জেঁকে ধরেছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে বলেছেন, আজ ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি ঢাকায় এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গতকাল ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াম কমেছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জনিয়েছে, গতকাল রবিবার দেশের কয়েকটি স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। আগামী পরশু বুধবার দেশের কয়েকটি স্থানে বৃষ্টি হতে পারে।
আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নওগাঁর বদলগাছীতে, আট দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল একযোগে তিন স্থানে। সেই স্থানগুলো হলো রাজশাহী, ঈশ্বরদী ও বদলগাছী। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মন্তব্য করুন
বুধবার (১৫ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখতে এসে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, সরকার ও নির্বাচন বিরোধী আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হলে পুলিশ কঠোর অবস্থান নেবে। আর নিয়মতান্ত্রিক হলে সুন্দর হওয়ার জন্য সব ধরনের নিরাপত্তা দেবে পুলিশ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই নির্বাচন ভবনে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করেছে ডিএমপি।
কমিশনার আরো বলেন, তফসিল ঘোষণা হবে। তাই সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখার জন্য আমি এসেছিলাম। সবার সঙ্গে কথা বললাম। তফসিল ঘিরে নির্বাচন কমিশন এবং নগরবাসীর নিরাপত্তার জন্য যে সমস্ত কাজকর্ম পুলিশের পক্ষে থেকে করা দরকার- যেমন, নিরাপত্তা তল্লাশি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা যেগুলো আছে, সেগুলো দেখা।
অবরোধের মধ্যে তফসিল হচ্ছে, বিরোধী দলগুলো বলছে আরো বেশি কঠোর আন্দোলনে যাতে, সে হিসেবে পুলিশের প্রস্তুতি নিয়ে তিনি বলেন,আন্দোলন যদি নিয়মতান্ত্রিক হয়, পুলিশ সেই আন্দোলন যাতে সুন্দরভাবে হয়, সেজন্য পুলিশ নিরাপত্তা বিধান করবে। কিন্তু যদি কোনো নৈরাজ্য হয়, কোনো শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী কোনো কিছু হয়, সেখানে পুলিশ অবশ্যই কঠোর অবস্থান নেবে। সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব কিছু আমরা করবো।
মন্তব্য করুন
যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতুতে সংযুক্ত রেললাইনে দীর্ঘদিন ধরে ট্রেন চলছে ঝুঁকি নিয়ে। তাই দেশের উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে রেল যোগাযোগ আরও সমৃদ্ধ করতে স্বতন্ত্র রেলসেতু করার উদ্যোগ নেয় সরকার।
বর্তমান বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে দ্রুতগতিতে চলছে স্টিল অবকাঠামোর নতুন ডাবল ট্র্যাকের ডুয়েলগেজ লাইনের সেতুটির নির্মাণকাজ। চলতি বছরই সেতুটি উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এরই মধ্যে দৃশ্যমান তিন কিলোমিটার। ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটারের এ সেতুর কাজ শেষ হলে ট্রেন চলবে ১২০ কিলোমিটার গতিতে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে জানায়, সেতুটির ওপরের স্টিল অবকাঠামোর কাঁচামাল জাপান থেকে এনে ভিয়েতনামে ফেব্রিকেশন করা হয়। পরে ভিয়েতনাম থেকে এনে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুতে স্থাপন করা হচ্ছে। ২০২৪ সালেই আগস্ট মাসের মধ্যেই সেতুর বাকি কাজ সম্পন্ন করা হবে। এরই মধ্যে সেতুর স্প্যানে বসানো হয়েছে স্লিপারবিহীন রেললাইন। বঙ্গবন্ধু রেলসেতুতে দেশে প্রথমবারের মতো ব্যবহার হচ্ছে জাপানি আধুনিক ডাইরেক্ট রেল ফ্যাসেনিং প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তিতে স্প্যানের ওপর সরাসরি বসানো হচ্ছে লাইন। এতে সেতুর ওপর রেললাইনের স্থায়িত্ব বাড়ার পাশাপাশি কমবে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্পের বর্তমান অগ্রগতি ৭৬ দশমিক ৫ শতাংশ। সেতুর মূল কাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি নদীর দুই পাড়ে এগিয়ে চলছে অ্যাপ্রোচ রেলপথ নির্মাণ কাজ। টাঙ্গাইল অংশে অ্যাপ্রোচ রেলপথ নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ আর সিরাজগঞ্জ অংশে ৭৫ শতাংশ। সেতুটির ৩ দশমিক ১ কিলোমিটার অংশ এরই মধ্যে দৃশ্যমান। যমুনা নদীর পূর্ব দিকের টাঙ্গাইল অংশ ও পশ্চিম দিকের সিরাজগঞ্জ অংশ মিলে মোট ৫০টি পিয়ারের কাজ শেষ। ৪৯টি স্প্যানের মধ্যে বসানো হয়েছে ৩১টি। নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে এটি হবে দেশের দীর্ঘতম রেলসেতু।
বাংলাদেশ রেলওয়ে জানায়, ২০১৬ সালে বাস্তবায়ন শুরু হওয়া এ প্রকল্পের ব্যয় প্রথমে ছিল ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা। পরে ব্যয় ৭২ শতাংশ বাড়িয়ে ১৬ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা করা হয়।
প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান বলেন, দ্রুতগতিতে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে প্রকল্পের অগ্রগতি ৭৬ দশমিক ৫ শতাংশ। এরই মধ্যে তিন কিলোমিটারের বেশি অংশ দৃশ্যমান। আমরা নির্দিষ্ট সময়ের আগেই প্রকল্পটি উদ্বোধন করবো।
যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতুতে বর্তমানে যে রেললাইন রয়েছে, সেখানে রেলের ওজন ও গতির বিষয়ে সীমাবদ্ধতা আছে। এটি মূলত সড়ক সেতু, এ কারণে এ সেতুতে ট্রেন চলাচলে ওজন ও গতি বেঁধে দেওয়া হয়। সেতুতে সর্বোচ্চ ২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলতে পারে। এ বাস্তবতায় বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরাল রেলসেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। রেলসেতু নির্মাণ হলে ১২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলতে পারবে। এছাড়া এর ওপর দিয়ে যে কোনো ওজনের মালবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেন চলতেও বাধা নেই।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান করবে সেতুটি।আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধার সমন্বয়ে নির্মিত হচ্ছে নতুন রেলসেতুটি। ফলে সার্কভুক্ত চারটি দেশের সঙ্গে রেলপথে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে। ভারত, মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে স্থাপন হবে শক্তিশালী বাণিজ্যিক সম্পর্ক। যমুনায় নতুন রেলসেতু নির্মাণের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। রেলপথের মাধ্যমে বাড়ানো হবে কনটেইনার পরিবহন। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দ্রুতগামী রেলওয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। নতুন রেলসেতুর মাধ্যমে উত্তরবঙ্গে সহজলভ্য হবে গ্যাস সংযোগ।
বঙ্গবন্ধু সেতু ইস্ট (বিবিই) স্টেশন এবং বঙ্গবন্ধু সেতু ওয়েস্ট (বিবিডাব্লিউ) স্টেশন স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটার বেজড ইন্টারলিংকিং (সিবিআই) সিগন্যালিং সিস্টেম থাকবে। সেতু বরাবর থাকবে গ্যাস ট্রান্সমিশন পাইপলাইন। যেটি সম্পূর্ণভাবে নির্মিত হলে উত্তরবঙ্গ, পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে ধরা দেবে বলে মনে করছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। ভারী পণ্য পরিবহনে মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালে ৩০টি ট্রেন চলাচলের একটি পরিকল্পনা রয়েছে, যার মধ্যে থাকবে দুটি কনটেইনার, একটি পেট্রোলিয়াম ও দুটি খনিজপণ্যবাহী। ২০৩৩ সালে পাঁচটি কনটেইনার, একটি পেট্রোলিয়াম ও দুটি খনিজপণ্যবাহী ট্রেন চলবে। ২০৪৩ সালে যমুনা নদীর ওপর দিয়ে ৭০টি ট্রেন চলাচলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আটটি কনটেইনার, চারটি পেট্রোলিয়াম ও দুটি খনিজপণ্যবাহী ট্রেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের মে মাসে জাপান সফরে যান। সে সময় প্রকল্পটির বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে ইতিবাচক আলোচনা হয়। প্রকল্পের তাৎপর্য ও গুরুত্ব এবং বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুর ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে জাইকার ঋণে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু সেতু বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে দুই অংশকে একত্রিত করেছে। বর্তমানে যাত্রীবাহী ছাড়া কোনো ভারী মালবাহী ট্রেন এ সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করতে পারছে না। সেতুর বর্তমান অবস্থার কথা চিন্তা করেই সরকার এমন সিদ্ধান্ত নেয়।
মন্তব্য করুন
রাজধানীসহ
সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)
৪৬০টি টহল টিম মোতায়েন করা হয়েছে।
১৯
নভেম্বর (রোববার) সকালে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার
আল মঈন বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি
জানিয়েছেন, রাজনৈতিক বিভিন্ন দলের ডাকা ২ দিনব্যাপী হরতালে রাজধানীসহ সারা দেশে যাতে
কোনো ধরনের নাশকতা ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয়, সেজন্য র্যাবের সব কয়টি ব্যাটালিয়নের
সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। এই লক্ষ্যে ঢাকায় ১৬০টিসহ সারাদেশে ৪৬০টি র্যাবের টহল
টিম মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও সাইবার স্পেসেও নজরদারি করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
সারা
দেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা
শুরু হয়েছে। প্রথম দিন বাংলা প্রথমপত্রের
পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার
(১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে শুরু
হওয়া পরীক্ষা শেষ হয়েছে দুপুর
১টায়।
এসএসসি,
দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল)
পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০
লাখ ২৪ হাজার ১৯২
জন। দেশজুড়ে ২৯ হাজার ৭৩৫টি
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ৩ হাজার ৭০০টি
কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা
মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়
জানিয়েছে, এসএসসিতে পরীক্ষার্থী ১৬ লাখ ৬
হাজার ৮৭৯ জন, দাখিলে
২ লাখ ৯০ হাজার
৯৪০ জন, এসএসসি (ভোকেশনাল)
পরীক্ষা দিচ্ছে ১ লাখ ২৬
হাজার ৩৭৩ জন। আর
বিদেশের ৮ কেন্দ্রেও অনুষ্ঠিত
হচ্ছে পরীক্ষা।
মন্তব্য করুন