টানা
৪র্থবার ও সব মিলিয়ে
৫মবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন আওয়ামী
লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার
(১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা ৩ মিনিটে
বঙ্গভবনে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রীর
শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন।
শেখ
হাসিনা বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে
প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। স্বাধীন
বাংলাদেশের ইতিহাসে ৪ মেয়াদে ২০
বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ শাসন করেছেন
শেখ হাসিনা।
২০২৯
সালে ৫ম মেয়াদ পূর্ণ
হলে তিনি স্বাধীন দেশে
২৫ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব
পালন করবেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ
হাসিনা প্রথম ১৯৮৬ সালে সংসদ
সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯১,
১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ এবং সর্বশেষ
২০২৪ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত
হন।
দ্বাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ
জয়ের পর তরুণ-প্রবীণদের
সমন্বয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন
করেছেন শেখ হাসিনা। ৫ম মেয়াদে
রাষ্ট্র পরিচালনায় এবার শেখ হাসিনার
সঙ্গী হচ্ছেন ২৫ জন মন্ত্রী
ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর
পর একে একে মন্ত্রী
এবং প্রতিমন্ত্রীদেরও শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি।
মন্তব্য করুন
আজ সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকা ছাড়েন।
তিনি সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন।
ওবায়দুল কাদের এর স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ২৫ জানুয়ারি ঢাকা ফেরার কথা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির (জাপা) আসন চাওয়া নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখন ১২টা বাজে, ৪টা পর্যন্ত দেখি। এই ৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। সব ফাইনাল হয়ে যাবে ৪টার মধ্যে।’
আজ রবিবার(১৭ডিসেম্বর) ধানমন্ডিতে দলের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘জাতীয় পার্টির নিজস্ব চাওয়া আছে। তাদের নির্দিষ্টসংখ্যক আসন ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। সেসব আসনে নৌকার প্রার্থী থাকবে না।’
তিনি অরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে। কোনো অশোভন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।’
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপিসহ কয়েকটি দল নির্বাচনকে ‘ভাগাভাগি’ বলছে। যে নির্বাচনে ২৮টি রাজনৈতিক দল এবং প্রায় ২২শ প্রার্থী আছে, সে নির্বাচন কীভাবে ভাগাভাগির নির্বাচন হয়?
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের
সঙ্গে বসেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৬ নভেম্বর দুপুরে এ
বৈঠক শুরু হয়।
সকাল থেকে নিরাপত্তাবেষ্টনী পার হয়ে সারিবদ্ধভাবে গণভবনে প্রবেশ করেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। নেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে ভেবেই উচ্ছ্বসিত ছিলেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।
গত শনিবার (২৫ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্বাচন উপলক্ষে গঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সব সদস্য ও মনোনয়নপ্রত্যাশী সব প্রার্থীকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, মনোনয়নপত্রের রিসিভ কপি, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনলাইন ফরমের ফটোকপিসহ যথাসময়ে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানান।
তাছাড়া গত শনিবার(২৫ নভেম্বর) থেকে টানা চারদিন মনোনয়নপত্র বিক্রি এবং জমা নেয় আওয়ামী লীগ। বৃহস্পতিবার(২৩নভেম্বর) থেকে টানা তিনদিন মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠক হয়। আজ বিকেলে বৈঠক শেষে দলীয় কার্যালয়ে নাম ঘোষণার মাধ্যমে এই পর্ব শেষ হবে।
মন্তব্য করুন
টানা
৪র্থবার আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাভারের জাতীয়
স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে নতুন মন্ত্রিসভা।
শুক্রবার
(১২ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা।
জাতীয়
স্মৃতিসৌধে প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপরে মন্ত্রিসভার
সদস্যদের নিয়ে স্মৃতিসৌধে পুনরায় শ্রদ্ধা জানান তিনি। তারআগে সকালে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার
সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে টানা ৪র্থবার ও সব মিলিয়ে ৫মবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ
নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মন্ত্রিসভার অন্যান্য
সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ৫ম মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনায়
এবার শেখ হাসিনার সঙ্গী হলেন ২৫ মন্ত্রী এবং ১১ প্রতিমন্ত্রী। একই অনুষ্ঠানে বঙ্গভবনে
শপথ নেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা।
মন্তব্য করুন
শনিবার (ফেব্রুয়ারি ২৪) সকালে দক্ষিণ এশিয়ার একবিংশ শতাব্দীর সাংবিধানিক আদালত: ভারত-বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষ যাতে ন্যায়বিচার পায় তা নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগ সরকারের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরেছেন।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, আমার দেশের মানুষ যেন ন্যায়বিচার পায় এবং দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং অর্থনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার সুনিশ্চিত হয়। বাংলাদেশ যেন এগিয়ে চলে এবং ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব যেন চিরস্থায়ী হয়। আমাদের মতো যেন বিচারহীনতায় তাদের কষ্ট পেতে না হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সরকারের আসার পর থেকে মানুষ যাতে ন্যায়বিচার পায়, তার জন্য আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু করি।
আজকে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতিটা হচ্ছে, সেটা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলে এবং একটা স্থিতিশীল পরিবেশ আছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। আজকে এটা প্রমাণিত সত্য যে, মানুষের জীবনে ন্যায় বিচার প্রাপ্তি, আর্থ-সামাজিক উন্নতি, এটা একমাত্র হতে পরে যখন মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করার সুযোগ হয় এবং দেশটা উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা যারা ১৫ আগস্ট আপনজন হারিয়েছি, আমরা বঞ্চিত থাকব। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করার পরে, অর্থাৎ আমাকেই ক্ষমতায় আসতে হলো ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারই বিচার বিভাগ ও নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করেছে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড় (ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়) এবং আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের জন্য তৃতীয় দিনের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি চলছে।
২০ নভেম্বর সোমবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে তৃতীয় দিনের মতো ফরম বিক্রি শুরু হয়।গত দুদিনে ২ হাজার ২৪৪টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে।
গত দুদিনের মতো সোমবারও হাজার হাজার নেতা-কর্মী ও তাদের সমর্থকদের নিয়ে আগ্রহী প্রার্থীরা বঙ্গবন্ধুর অ্যাভিনিউ এসে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম কিনছেন। অনেকের পক্ষ থেকে তার প্রতিনিধিরা ফরম সংগ্রহ করছেন।
গত শনিবার (১৮ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়।
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। এরপর এ কার্যক্রম শুরু করা হয়। তৃতীয় দিনেও বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়কে কেন্দ্র করে এর আশপাশের এলাকা গুলিস্তান, জিরো পয়েন্ট, সচিবালয় এলাকাজুড়ে চলছে উপচে পড়া ভিড়। সেইসঙ্গে নেতা-কর্মী সমর্থকদের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা।
ঢাকাসহ সারা দেশের মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রার্থীরা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে আসছেন। আগ্রহী প্রার্থীদের সঙ্গে জেলা-উপজেলা থেকে হাজার হাজার নেতা-কর্মী এসে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে সমবেত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের আগ্রহী প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের সময় তাদের সঙ্গে দলের হাজার হাজার নেতা-কর্মী দলীয় প্রতীক নৌকা এবং তাদের সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে মিছিল নিয়ে আসছেন।
এ সময় নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি নিয়ে মিছিল-স্লোগান দিতে দিতে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আসেন। এসব মিছিলে তাদের সমর্থিত প্রার্থীর ছবি, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার ছবি, নৌকার প্রতিকৃতি নিয়ে আসছেন। একের পর এক মিছিল সহকারে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ ও এর আশপাশের এলাকায় এসে অবস্থান নিচ্ছেন তারা।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি চলবে আগামী মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) পর্যন্ত। এসময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিতে হবে। ফরম সংগ্রহ ও জমা কার্যক্রম চলবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এবার অনলাইনেও মনোনয়ন ফরম দেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওপর জনগণের আস্থা-বিশ্বাস
থাকার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে সেনাবাহিনীর ওপর জনগণের
আস্থা-বিশ্বাস থাকে না সেই সেনাবাহিনী রণাঙ্গণে বিজয়ী হতে পারে না। আমাদের সেনাবাহিনী
আজকে জনগণের পাশে দাঁড়ায়, জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে। যেকোন দুঃসময় দেখা দিলে
আমাদের সশস্ত্র বাহিনী জনগণের পাশে আছে এবং জনগণের একটা ভরসাস্থল হিসেবে সেই আস্থা
আজকে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
রোববার (৫ মে) ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত
আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) ভবন এবং আর্মি সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম
সেনাপ্রাঙ্গণের উদ্বোধন শেষে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে দরবারে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের
সেনাবাহিনীর ওপর যেন সাধারণ মানুষের একটা আস্থা-বিশ্বাস সৃষ্টি হয়। যেটা যেকোন সেনাবাহিনীর
জন্য একান্তভাবে জরুরি। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য প্রয়োজন। যেকোন দুঃসময় দেখা
দিলে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী জনগণের পাশে আছে এবং জনগণের একটা ভরসাস্থল হিসেবে সেই আস্থা
আজকে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের সশস্ত্র
বাহিনী যে অবদান রাখে প্রতিটি দেশ, প্রত্যেকেই ভূয়সী প্রশংসা করে। সেটাকে আরও উন্নত
করাই আমাদের লক্ষ্য। সশস্ত্র বাহিনীর জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৭৪ সালে
যে প্রতিরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন তারই ভিত্তিতে ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করে আমরা
তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। ফোর্সেস গোল বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা চাচ্ছি আমাদের সশস্ত্র
বাহিনী আধুনিক জ্ঞানসম্পন্নভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে, সেই সাথে যেহেতু ২০০৮ এর নির্বাচনে
আমাদের লক্ষ্য ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা, কাজেই আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন
আমাদের সশস্ত্র বাহিনী গড়ে উঠবে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য, সেভাবেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গসহ
জনসাধারণের উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি
(এএফআইপি) বিভাগের জন্য নতুন ভবন নির্মাণ করা
হয়েছে। এ ছাড়াও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সভা, সেমিনার, সামাজিক
অনুষ্ঠান ইত্যাদি আয়োজনের লক্ষ্যে আর্মি সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম সেনাপ্রাঙ্গণের নির্মাণ
করা হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য,
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, বাহিনী প্রধানগণ, ঢাকা সেনানিবাসের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক
কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী সকল সংসদ সদস্যকে নিয়ে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন ।
আগামীকাল শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় এ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।এবারের নির্বাচনে নবনির্বাচিত এমপিরা শপথ নিয়েছেন গতকাল। আজ বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) শপথ নেবেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। গতকালই মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য বেশ কয়েকজন আমন্ত্রণ পেয়েছেন।
আজ বিকালেই জানা যাবে কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন। সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে মন্ত্রপরিষদের সদস্যদের শপথ পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপ্রধান। শপথগ্রহণ শেষে নবনিযুক্ত মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা নিজ নিজ শপথবাক্যে স্বাক্ষর করবেন।
ইতোমেধ্যই দ্বাদশ সংসদে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের অনুমতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাতে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।এর আগে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সংসদ সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়ে তার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য সম্মতি দেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। আর ঠিক পরেই জারি করা হয় প্রজ্ঞাপন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (৩) দফা অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সংসদ সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন এবং তার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য সম্মতিজ্ঞাপন করেছেন। নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে গণ্য হবে।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন।
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় ,শেখ হাসিনাকে পাঠানো এক শুভেচ্ছা বার্তায় থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন বলেন, ‘আপনার বিস্ময়কর সাফল্য ও পঞ্চম মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় থাই সরকার ও থাইল্যান্ডের জনগণের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাতে পেরে আমি গর্বিত।আপনার সুস্বাস্থ্য এবং সাফল্যের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও জনগণের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
তিনি বলেন,গত পাঁচ দশক ধরে থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।‘আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক ক্ষেত্রে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিশেষ করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক এবং টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রসারিত ও গভীর হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে আগামী বছরগুলোতে আমাদের দুই দেশ এবং জনগণের পারস্পরিক সুবিধার জন্য আপনার নেতৃত্বে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।’
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন ‘আমাদের সহযোগিতা আরও বাড়াতে আমি আপনার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী।’
শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য এবং তার মহৎ প্রচেষ্টার প্রতিটি সাফল্যের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও জনগণের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
মন্তব্য করুন
বিশ্বের শ্রমজীবী-কর্মজীবী
মেহনতি মানুষের ঐক্য, সংহতি, সংগ্রাম ও বিজয়ের দিন মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, শিল্প ও শ্রমবান্ধব বর্তমান সরকার শ্রমিকের সার্বিক কল্যাণ
সাধন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে।
বুধবার মহান মে দিবস ২০২৪
উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন,আমি বাংলাদেশসহ
বিশ্বের সব শ্রমজীবী মানুষকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। বিশ্বের অন্যান্য
দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
মহান মে দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক মালিক গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’ যথাযথ
ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, ২০৪১
সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে
শ্রমিকের পেশাগত নিরাপত্তা ও সুস্থতা, শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক, উন্নত কর্মপরিবেশসহ
শ্রমিকের সার্বিক অধিকার নিশ্চিতকরণের কোনো বিকল্প নেই। বিশ্বব্যাপী আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে
শ্রমজীবী মানুষের কঠোর পরিশ্রম, ত্যাগ ও ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত
করতে হলে শ্রমিকের অধিকার ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ে সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।
বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরেই মে দিবসকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে দিনটিতে সরকারি ছুটি
ঘোষণা করেন। শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিতকল্পে তিনি মজুরি কমিশন গঠন করেন এবং
শ্রমিকদের জন্য নতুন বেতন কাঠামোর ঘোষণা দেন। ১৯৭২ সালে জাতির পিতার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে এবং আইএলও’র ৬টি কোর কনভেনশনসহ
২৯টি কনভেনশন অনুসমর্থন করে। শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও অধিকার রক্ষায় যা ছিল
এক অনন্য মাইলফলক।
বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক স্বাধীনতার
পাশাপাশি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখতেন। তার সেই স্বপ্নপূরণের অন্যতম অনুষঙ্গ
শ্রমজীবী মানুষের উন্নয়নে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে একযোগে কাজ করা নিয়ে মো. সাহাবুদ্দিন
বলেন, শ্রমিক-মালিক সম্প্রীতি ও যৌথ প্রয়াস
দেশের উন্নয়নকে আরও বেগবান করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
তিনি আরো বলেন, টেকসই শিল্প
ও বাণিজ্য খাত গড়তে বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ, শ্রমিকের একাগ্রতা এবং শ্রমিক-মালিকের পারস্পরিক
সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার, স্বার্থ ও কল্যাণের
সঙ্গে মহান মে দিবসের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাদের জীবনমান উন্নয়ন
এবং ন্যায্য অধিকার রক্ষায় সকলে স্ব স্ব ক্ষেত্রে সকলে ঐকান্তিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন
এ প্রত্যাশা করি।
রাষ্ট্রপতি মহান মে দিবস
২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।
মন্তব্য করুন