গত
১০ জানুয়ারি ভারতের গীতা কলোনি উড়ালপুলের নীচের রাস্তা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের
মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কিভাবে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে তা জানা যায় ময়নাতদন্তে। কিন্তু,
কিছুতেই মৃতের পরিচয় জানা যাচ্ছিল না। মৃতদেহের মুখটি এমন ভাবে বিকৃত হয়ে গিয়েছিল যে
চেনার উপায় ছিল না তাকে। ফলে খুনি অবধি পৌঁছনো অসম্ভব হয়ে পড়ছিল। ১ সপ্তাহের বেশি
তদন্ত চালিয়েও যখন বিশেষ লাভ হচ্ছে না, তখন পুলিশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নেয়।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে মৃত যুবকের ছবি পুনর্নির্মাণ করা হয়। তারপর
সেই ছবি দিয়ে ৫০০টি পোস্টার ছাপিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় লাগিয়ে দেওয়া হয়। হোয়াটসঅ্যাপ
গ্রুপ মারফতও ছড়িয়ে দেওয়া হয় ছবিটি।
কয়েকদিন
পরেই এক ব্যক্তির ফোন আসে পুলিশের কাছে। তিনি জানান, পোস্টারের ওই যুবক তার দাদা হিতেন্দ্র।
এরপরই নতুন করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্ত করে জা, হিতেন্দ্রর সঙ্গে ৩ যুবকের ঝামেলা
বেধেছিল। কথা কাটাকাটির মধ্যেই শ্বাসরোধ করে হিতেন্দ্রকে খুন করে ৩ জন। মৃতদেহের মুখ
বিকৃত করতে সাহায্য করেন ১ মহিলা। ইতিমধ্যে ওই মহিলা সহ ৩ জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে।
এভাবে
এআই ব্যবহার করে ‘বাঁচিয়ে’ তোলা হয় মৃতকে। আর তাতেই সাফল্য। অপ্রত্যাশিত ভাবে দ্রুত
সমাধান হয়ে গেল জটিল মামলার।
সূত্র:
আনন্দবাজার পত্রিকা
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের চার্জ
দ্য অ্যাফেয়ার্স (সিডিএ) হেলেন লাফেভ।
আজ বুধবার (অক্টোবর ২৩) রাষ্ট্রীয় অতিথি
ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ হয়।
সাক্ষাতে তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট
বিভিন্ন বিষয় এবং সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি
ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের প্রধান পয়েন্টগুলো নিয়ে আলাপ করেন।
হেলেন লাফেভ প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন,
আগামী সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করবেন।
অধ্যাপক ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের
সংস্কার উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এরই মধ্যে ছয়টি
প্রধান সংস্কার কমিশন তাদের কাজ শুরু করেছে এবং তারা অংশীজনদের সঙ্গে সংস্কার বিষয়ে
পরামর্শ করছেন।
মন্তব্য করুন
ভারতের মহারাষ্ট্রে গাড়ি দুর্ঘটনায়
এক নারী নিহত হয়েছেন। ভিডিওতে দেখা যায় ওই নারী গাড়ি পেছনে নিতে গিয়ে তা ৩০০ ফুট গভীর
খাদে পড়ে যায়, ফলে গাড়িটি বিধ্বস্ত হয় এবং মারা যান।
এনডিটিভির খবরে জানা যায়, ওই নারী,
শোয়েতা দীপক সুরবাসি (২৩), গাড়ি চালানো শিখছিলেন। তার বন্ধু সুরজ সানজাও মুলি (২৫)
ঘটনাটি ভিডিও করছিলেন। দুই বন্ধু আরঙ্গাবাদ থেকে সুলিভানজান পাহাড় ভ্রমণে গিয়েছিলেন।
বেলা ২টার দিকে সুরবাসি গাড়ির চালকের আসনে বসেন এবং গাড়িটি পেছনে নিতে থাকেন। গাড়িটি
পর্বতের কিনার থেকে ৫০ মিটার দূরে ছিল। পেছনে নিতে নিতে দূরত্ব কমতে থাকে। ভিডিও ধারণকারী
বন্ধু তাকে গাড়ির গতি কমাতে সতর্ক করেন এবং ক্লাচ ধরার জন্য চিৎকার করেন। একপর্যায়ে
গাড়ি থামানোর চেষ্টা করতে তিনি দৌড়ে যান, কিন্তু ব্যর্থ হন। আর এই দুর্ঘটনায় শোয়েতা
নিহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাড়িটি ৩০০
ফুট নিচে পড়ে যায়। ছবিতে গাড়িটির ধ্বংসাবশেষ দেখা গেছে।
সূত্র : এনডিটিভি
মন্তব্য করুন
ব্রাজিলের
দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য রিও গ্র্যান্ডে ডো সুলে বন্যায় মৃত্যের সংখ্যা বেড়ে
দাঁড়িয়েছে ৭৮ জন। আর নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত
১০৫ জন।
দেশটির
বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
স্থানীয়
কর্তৃপক্ষ গতকাল রবিবার (৬ মে) জানিয়েছে, বন্যায় ১ লাখ
১৫ হাজারেরে বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ বারের বিপর্যয় ১৯৪১ সালের ভয়ঙ্কর
বন্যাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। রিও গ্র্যান্ডে ডো সুলে ছাড়াও দক্ষিণাংশের কয়েকটি শহরে
জলস্তর ১৫০ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
দেশটির
প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে উদ্ধার প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা গতকাল রবিবার (৬ মে) সকালে রিও গ্র্যান্ডে ডো সুলে পৌঁছেছেন। রাজ্যের গভর্নর এডুয়ার্ডো লেইট
বলেছেন, ‘এটি
একটি যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং যুদ্ধ-পরবর্তী ব্যবস্থার প্রয়োজন হবে।’ স্বেচ্ছাসেবকরা
চলমান উদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তা করেছেন। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
গতকাল
রবিবারেও ১০৫ জনের নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মন্তব্য করুন
গত সপ্তাহে ধূসর রঙের স্কচটেপ লাগানো
একটি ‘কলার শিল্পকর্ম’ ৬ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মূল্য
ছিল ৭২ কোটি টাকারও বেশি। অবাক করা তথ্য হলো নিউইয়র্কের ম্যানহাটন শহরের এক বাংলাদেশি
ফল ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মাত্র ৩৫ সেন্ট (৪২ টাকায়) কলাটি কেনা হয়। এরপর দেওয়ালে স্কচটেপের
মাধ্যমে সেঁটে দিয়ে এটিকে দেওয়া হয় ‘শিল্পকর্মের’ খেতাব।
নিলামের মাধ্যমে এই ‘শিল্পকর্ম কলাটি’
কেনেন চীনা বংশোদ্ভূত ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসায়ী জাস্টিন মুন। ওই সময় তিনি জানান কলাটি
তিনি খেয়ে ফেলবেন। নিজের দেওয়া সেই কথা রেখেছেন জাস্টিন মুন। তিনি ৭২ কোটি টাকায় কেনা
সেই কলাটি সত্যিই খেয়ে ফেলেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি আজ শুক্রবার
(২৯ নভেম্বর) জানিয়েছে, তিনি হংকংয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকে সাংবাদিকদের সামনে কলাটি খেয়েছেন।
২০১৯ সালে সর্বপ্রথম এই অদ্ভুত শিল্পকর্মটি
সামনে আসে। এটি তৈরি করেন মারিজিও ক্যাটেলান।
যখনই কোনো প্রদর্শনীতে এই ‘শিল্পকর্মটি’
নিয়ে যাওয়া হয় তার আগে কলাটি পরিবর্তন করা হয়। চীনা বংশোদ্ভূত জাস্টিন সান মূলত এই
অদ্ভুত শিল্পকর্মটির প্রদর্শনীর স্বত্ব কিনেছেন। কীভাবে এটি প্রদর্শন করতে হবে সেই
ব্যাপারেও তাকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে শিল্পকর্মটি নিলামে তোলার আগে
সেখানে নতুন কলা নেওয়া হয়। আর এই কলাটি এক বাংলাদেশির কাছ থেকে ৪২ টাকায় কেনা হয়।
এর আগেই এই শিল্পকর্মের প্রদর্শনীতে
রাখা কলা খেয়ে ফেলার ঘটনা ঘটেছিল। প্রথমবার ২০১৯ সালে একজন পারফরমেন্স আর্টিস্ট। দ্বিতীয়বার
২০২৩ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার এক শিক্ষার্থী কলাটি দেওয়াল থেকে খুলে খেয়ে ফেলেন। তবে এরজন্য
৭২ কোটি টাকা তো দূরের কথা এক টাকাও তাদের দিতে হয়নি।
জাস্টিন সান একটি প্রতিষ্ঠান চালান
যেটির ব্যবহারকারীরা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ব্যবসা করতে পারেন। ধারণা করা হচ্ছে নিজের
প্রতিষ্ঠানের প্রচার-প্রচারণার স্বার্থে তিনি হয়ত কলাটি এত দাম দিয়ে কিনেছেন।
সূত্র:
বিবিসি
মন্তব্য করুন
চীনের
দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলের জিয়াংশি প্রদেশে জিনয়ু শহরে দোকানে অগ্নিকাণ্ডে
৩৯ জন নিহত হয়েছেন। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন আরও ৯ জন।ওই প্রদেশটির কর্তৃপক্ষ
এই খবর নিশ্চিত করেছে।
বুধবার(২৪
জানুয়ারি) বিকেলে জিনয়ু শহরে একটি দোকানের বেজমেন্টে আগুন লেগে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে
এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। তবে অন্য একটি সূত্র বলছে ঘটনাটি স্থানীয় সময় বেলা ৩টার দিকে
একটি রাস্তার দোকান থেকে এই আগুন লাগে। (খবর আল আল জাজিরা)
চীনা
টেলিভিশন সিসিটিভি এ ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। যেখানে ভবনের ভেতর থেকে কালো ধোঁয়া
বেরিয়ে আসতে এবং লোকজনকে জানালা দিয়ে লাফ দিতে দেখা যায়।
দুঃখজনক
দুর্ঘটনা উল্লেখ করে কী কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা তদন্ত করে দেখতে বলেছেন চীনের
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় তুর্কি সিরিয়াল ‘কুরুলুস উসমান’ সিরিজের অভিনেতা বুরাক অ্যাজিভিট ঢাকায়
এসেছেন।
এর আগে বুরাক বৃহস্পতিবার (২৩ মে) তার সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, তিনি ঢাকার ভক্ত-অনুরাগীদের
উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
এ অভিনেতা ২৪ মে ঢাকায় এসে পৌঁছান বলে জানা গেছে।
তুর্কি সিরিয়ালের জনপ্রিয় এ অভিনেতা তিনি এখন হোটেল রেডিসন ব্লুতে অবস্থান করছেন।
একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণেই বাংলাদেশে এসেছেন কুরুলুস উসমানের নায়ক বুরাক
অ্যাজিভিট। আগামীকাল (২৬ মে) ঢাকার ভক্তদের সঙ্গে দেখা করবেন এ অভিনেতা।
এই মুহূর্তে হোটেল রেডিসন ব্লুতে অবস্থান করছেন তুর্কি সিরিয়ালের জনপ্রিয় এ অভিনেতা।
জানা গেছে, বহুজাতিক একটি প্রতিষ্ঠান তাদের রূপান্তর যাত্রার অংশ হিসেবে আমন্ত্রণ
জানিয়েছেন বুরাককে। আর সে আমন্ত্রণেই বাংলাদেশে এসেছেন কুরুলুস উসমানের নায়ক বুরাক
অ্যাজিভিট।
বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ধারাবাহিক কার্যক্রমে অংশ নিতেই সফরে আসেন তিনি। দেখা
করবেন তার ভক্তদের সঙ্গেও।
বহুজাতিক সেই কোম্পানি থেকে যারা পণ্য কিনেছেন তাদের মধ্য থেকেই ভাগ্যবান বিজয়ী
এই প্রিয় অভিনেতার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎ ও শুভেচ্ছা বিনিময় করতে পারবেন। আগামী ২৬
মে বিজয়ী ভক্তদের সঙ্গে দেখা করবেন বুরাক।
অভিনেতা বুরাক অ্যাজিভিটের তুরস্ক ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অসংখ্য ভক্ত রয়েছে।
তিনি উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রথম সম্রাট উসমানের চরিত্রে রূপদান করে বিশ্বব্যাপী বিনোদনপ্রেমীদের
মন জয় করেছেন। তাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশ্বের প্রায় ১৬ মিলিয়ন মানুষ অনুসরণ করে।
বুরাক অ্যাজিভিটের ১৯৮৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তুরস্কের মারমারা
বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় পড়াশোনা করেছেন।
মন্তব্য করুন
আজ
বিশ্ব পুরুষ দিবস।
এদিন
প্রিয় পুরুষ- বাবা, ভাই, বন্ধু, সহকর্মী, স্বামী বা প্রেমিক যে কাউকে চাইলে আপনি শুভেচ্ছা
জানাতে পারেন।উপহারও দিতে পারেন । কারণ, কর্মক্লান্ত জীবনে বিশেষ কোনো দিনে উপহার পেলে
ভালো লাগবে নিশ্চয়ই। আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস একজন পুরুষকে ভালো মানুষ হওয়ার মূল্যবোধ,
চরিত্র এবং দায়িত্বের প্রতি উৎসাহিত করতে পারে।
১৯৯৯ সালে জিরোম টিলাকসিংয়ের নির্ধারিত দিনটিই বিশ্ব পুরুষ দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পায়। সে সময় ক্যারিবীয় অঞ্চলে দিবসটি ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল। দিন দিন জনপ্রিয় হয়েছে দিবসটি। আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসে পুরুষের মাঝে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য ও সামাজিক সমস্যা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। নারী-পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন বিষয়ক প্রচারণা, নারী-পুরুষ সমতার প্রচার, পুরুষদের মধ্যে ইতিবাচক আদর্শ চরিত্রের গুরুত্ব তুলে ধরা, পুরুষ ও বালকদের নিয়ে গড়ে ওঠা বিভিন্ন সংস্কার ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করা, পুরুষ ও বালকদের অর্জন ও অবদানকে উদযাপন করা হয়।
বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ৪৫ বছরের কম বয়সী পুরুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা
বেশি। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশেই এটি ঘটছে।
পরিসংখ্যান বলছে, পুরুষের তুলনায় নারীরা বিষণ্নতায় বেশি ভোগেন। কিন্তু, পুরুষের আত্মহত্যার
সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই পুরুষের মাঝে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে ও মানসিক সুস্থতার জন্য
পুরুষ দিবস উদযাপন গুরুত্বপূর্ণ।
মন্তব্য করুন
গত ৪ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। প্রেসিডেন্ট গভীররাতে গোটা সিয়ারা লিওন যখন ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন এই জরুরি অবস্থার নেপথ্যে একমাত্র কারণ কুশ নামক মাদকের ব্যবহার।
মানুষের
হাড় জোগাড় করতে মাদক প্রস্তুতকারকেরা হানা দিচ্ছেন কবরস্থানে। কবর খুঁড়ে বার করে
আনা হচ্ছে মানুষের কঙ্কাল। তার পর সেই কঙ্কালের হাড় গুঁড়ো করে অন্যান্য প্রয়োজনীয়
পদার্থের সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করে ফেলা হচ্ছে কুশ। সিগারেট, বিড়ি বা গাঁজার মতো এই মাদক
সেবন করছেন সিয়েরা লিওনের বাসিন্দারা।
শুধু জরুরি অবস্থা জারি করে নিশ্চিন্ত হতে পারেননি সে দেশের প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস মাদা বায়ো, কবরস্থান গুলিতে মোতায়েন করতে হয়েছে সশস্ত্র নিরাপত্তা বাহিনী।পশ্চিম আফ্রিকার সিয়েরা লিওন নামক ছোট্ট দেশটির কাছে এখন হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই মাদক। এক জাতীয় মাদকের ব্যবহার রুখতে জারি করা হল জরুরি অবস্থা।
হাজার
হাজার মানুষ ছুটছেন এই মাদকের পিছনে। ভয়াবহতা আর তৈরির প্রক্রিয়ার জন্য একে ‘পিশাচ
মাদক’ও বলা হয়।সিয়েরা লিওনে এখন আতঙ্কের কারণ কুশ। কুশ এক ধরনের মাদক। কিন্তু সে দেশের
বেশির ভাগ নাগরিকের কাছেই কুশ যেন ‘অমৃত’।
এই
কুশের দাম বেশ কম। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, মাত্র ৮০০ টাকার মাদক কিনে
বেশ কয়েক জন নেশা করেন। তবে যে দেশের বার্ষিক আয় মাত্র ৪২ হাজার টাকা, সে দেশের মানুষের
কাছে কুশ এক বিলাসিতা। কিন্তু নেশার টানে সেই বিলাসিতার জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন
হাজার হাজার যুবক।
যে
সব পদার্থ মিশিয়ে কুশ তৈরি করা হয়, তা চিকিৎসকদের আরও বেশি করে চিন্তায় ফেলেছে। অনেকেই
এই মাদককে ‘মৃত্যুফাঁদ’ বলেও উল্লেখ করছেন। বহু প্রচার করেও এই মাদক ব্যবহার থেকে দেশের
মানুষকে বিরত করতে পারেনি প্রশাসন। দেশে তাই জরুরি অবস্থা জারি করা ছাড়া কোনও রাস্তা
ছিল না বলে দাবি করেছেন বায়ো।
এই
মাদক তৈরিতে ব্যবহার করা হয় সালফার। আর এই সালফার জোগাড় করতেই প্রয়োজন পড়ছে মানুষের
হাড়! হাড় গুঁড়ো করে মাদকে মেশানো হচ্ছে।কুশ বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ মিশিয়ে
তৈরি করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে ফেন্টানাইল, গাঁজা, ফর্মালডিহাইড জাতীয় দ্রব্য।
গভীর
রাতে গোটা সিয়েরা লিওন যখন ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস জরুরি অবস্থা ঘোষণা
করেন। এই জরুরি অবস্থার নেপথ্যে একমাত্র কারণ কুশ! তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে বিধ্বংসী
সিন্থেটিক মাদক কুশের অপব্যবহারের কারণে আমাদের দেশ অস্তিত্বগত সঙ্কটে ভুগছে। এই মাদক
এক মৃত্যুফাঁদ। মানুষ এই মাদক সেবন করে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’’
জুলিয়াস
সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে ভাবেই হোক কুশ ব্যবহার আটকাবেই তারা।কবর থেকে কঙ্কাল চুরি
আটকাতে কবরস্থানের চারপাশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করেছে সিয়েরা লিওন সরকার। সন্দেহভাজন
কোনও ব্যক্তিকে দেখলেই গ্রেফতার করা হচ্ছে।
বর্তমানে
গোটা দেশ যেন নেশায় আচ্ছন্ন। বছর কয়েক আগেও এই দেশের অবস্থা এমন ভয়াবহ ছিল না। বিশেষজ্ঞদের
মতে, এই মাদক এক বার সেবন করলে তা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশে বেকারত্বের
হার প্রায় ৬০ শতাংশ। দু’বেলা পেটভরা খাবার জোগাতে হিমশিম খান বেশির ভাগ মানুষ। কিন্তু
খাবারের থেকেও কুশ সেবনের প্রবণতা বেশি। আর তা কেনার জন্য অর্থ জোগাড় করতে অপরাধ জগতে
পা দিচ্ছেন অনেকেই।যে ব্যক্তি এই মাদক সেবন করেন, তিনি কয়েক ঘণ্টা নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে
থাকেন। বিশেষত, তরুণ প্রজন্মের মধ্যেই এই মাদক সেবনের প্রবণতা বেশি।
কুশ
ব্যবহারের ফলে স্নায়ু শিথিল হয়ে যায়। স্বাভাবিক চিন্তাভাবনার শক্তি হারিয়ে ফেলেন সেবনকারী।
তবে কুশে ব্যবহৃত ফেন্টানাইলের মতো দ্রব্যগুলির নেতিবাচক প্রভাব ভয়ঙ্কর।
২০২০
সালেও সিয়েরা লিওনে এই মাদকের ব্যবহার এতটা ছিল না। সরকারি এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী,
২০২০ সালে গোটা দেশে কুশ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৪৭। ২০২২ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে
দাঁড়ায় ১ হাজার ১০১।
২০২০
থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এই মাদক ব্যবহার বেড়েছে চার হাজার শতাংশ। তাঁদের মধ্যে বেশির
ভাগই পুরুষ। ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সিরাই এই মাদকে আসক্ত হচ্ছেন বেশি।
এই
মাদকের ফলে সিয়েরা লিওনে বৃদ্ধি পাচ্ছে মৃত্যুর হার। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, সে দেশের
হাসপাতালগুলিতে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ৬৩ শতাংশই কুশ মাদকে আসক্ত। এই মাদকে আসক্ত
অসুস্থ হয়ে পড়া ব্যক্তিদের বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম।
চিকিৎসকদের
মতে, কুশ শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন হৃদ্যন্ত্র, মস্তিষ্ক, লিভার, কিডনি এবং ফুসফুসে
সরাসরি প্রভাব বিস্তার করে। ফলে এক বা একাধিক অঙ্গ বিকল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। প্রধানত
অঙ্গ বিকল হয়েই মৃত্যু হয় কুশ মাদকে আসক্ত ব্যক্তির।
এই
জরুরি অবস্থার নেপথ্যে একমাত্র কারণ কুশ নামক মাদকের এক জাতীয় মাদকের ব্যবহার রুখতে
জারি করা হল জরুরি অবস্থা। পশ্চিম আফ্রিকার সিয়েরা লিওন নামক ছোট্ট দেশটির কাছে এখন
হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই মাদক। শুধু জরুরি অবস্থা জারি করে নিশ্চিন্ত হতে পারেননি সে
দেশের প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস মাদা বায়ো, কবরস্থানগুলিতে মোতায়েন করতে হয়েছে সশস্ত্র নিরাপত্তা
বাহিনী।
সিয়েরা
লিওনে এখন আতঙ্কের কারণ কুশ। কুশ এক ধরনের মাদক। কিন্তু সে দেশের বেশির ভাগ নাগরিকের
কাছেই কুশ যেন ‘অমৃত’। হাজার হাজার মানুষ ছুটছেন এই মাদকের পিছনে। ভয়াবহতা আর তৈরির
প্রক্রিয়ার জন্য একে ‘পিশাচ মাদক’ও বলা হয়।
যে
সব পদার্থ মিশিয়ে কুশ তৈরি করা হয়, তা চিকিৎসকদের আরও বেশি করে চিন্তায় ফেলেছে। অনেকেই
এই মাদককে ‘মৃত্যুফাঁদ’ বলেও উল্লেখ করছেন। বহু প্রচার করেও এই মাদক ব্যবহার থেকে দেশের
মানুষকে
বিরত করতে পারেনি প্রশাসন। দেশে তাই জরুরি অবস্থা জারি করা ছাড়া কোনও রাস্তা ছিল না
বলে দাবি করেছেন বায়ো।
গত ৪ এপ্রিল গভীর রাতে গোটা সিয়েরা লিওন যখন ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। এই জরুরি অবস্থার নেপথ্যে একমাত্র কারণ কুশ! তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে বিধ্বংসী সিন্থেটিক মাদক কুশের অপব্যবহারের কারণে আমাদের দেশ অস্তিত্বগত সঙ্কটে ভুগছে। এই মাদক এক মৃত্যুফাঁদ। মানুষ এই মাদক সেবন করে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’’কুশ বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ মিশিয়ে তৈরি করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে ফেন্টানাইল, গাঁজা, ফর্মালডিহাইড জাতীয় দ্রব্য। শুধু তা-ই নয়, এই মাদক তৈরিতে ব্যবহার করা হয় সালফার। আর এই সালফার জোগাড় করতেই প্রয়োজন পড়ছে মানুষের হাড়! হাড় গুঁড়ো করে মাদকে মেশানো হচ্ছে।
মানুষের হাড় জোগাড় করতে মাদক প্রস্তুতকারকেরা হানা দিচ্ছেন কবরস্থানে। কবর খুঁড়ে বার করে আনা হচ্ছে মানুষের কঙ্কাল। তার পর সেই কঙ্কালের হাড় গুঁড়ো করে অন্যান্য প্রয়োজনীয় পদার্থের সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করে ফেলা হচ্ছে কুশ। সিগারেট, বিড়ি বা গাঁজার মতো এই মাদক সেবন করছেন সিয়েরা লিওনের বাসিন্দারা।কবর থেকে কঙ্কাল চুরি আটকাতে কবরস্থানের চারপাশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করেছে সিয়েরা লিওন সরকার। সন্দেহভাজন কোনও ব্যক্তিকে দেখলেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। জুলিয়াস সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে ভাবেই হোক কুশ ব্যবহার আটকাবেই তারা।
বছর কয়েক আগেও এই দেশের অবস্থা এমন ভয়াবহ ছিল না। বর্তমানে গোটা দেশ যেন নেশায় আচ্ছন্ন। যে ব্যক্তি এই মাদক সেবন করেন, তিনি কয়েক ঘণ্টা নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকেন। বিশেষত, তরুণ প্রজন্মের মধ্যেই এই মাদক সেবনের প্রবণতা বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মাদক এক বার সেবন করলে তা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়।পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশে বেকারত্বের হার প্রায় ৬০ শতাংশ। দু’বেলা পেটভরা খাবার জোগাতে হিমশিম খান বেশির ভাগ মানুষ। কিন্তু খাবারের থেকেও কুশ সেবনের প্রবণতা বেশি। আর তা কেনার জন্য অর্থ জোগাড় করতে অপরাধ জগতে পা দিচ্ছেন অনেকেই।
কুশ
ব্যবহারের ফলে স্নায়ু শিথিল হয়ে যায়। স্বাভাবিক চিন্তাভাবনার শক্তি হারিয়ে ফেলেন সেবনকারী।
তবে কুশে ব্যবহৃত ফেন্টানাইলের মতো দ্রব্যগুলির নেতিবাচক প্রভাব ভয়ঙ্কর।এই
মাদকের ফলে সিয়েরা লিওনে বৃদ্ধি পাচ্ছে মৃত্যুর হার। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, সে দেশের
হাসপাতালগুলিতে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ৬৩ শতাংশই কুশ মাদকে আসক্ত। এই মাদকে আসক্ত
অসুস্থ হয়ে পড়া ব্যক্তিদের বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম।
২০২০ সালেও সিয়েরা লিওনে এই মাদকের ব্যবহার এতটা ছিল না। সরকারি এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালে গোটা দেশে কুশ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৪৭। ২০২২ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ১০১।
২০২০
থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এই মাদক ব্যবহার বেড়েছে চার হাজার শতাংশ। তাঁদের মধ্যে বেশির
ভাগই পুরুষ। ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সিরাই এই মাদকে আসক্ত হচ্ছেন বেশি।
চিকিৎসকদের মতে, কুশ শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন হৃদ্যন্ত্র, মস্তিষ্ক, লিভার, কিডনি এবং ফুসফুসে সরাসরি প্রভাব বিস্তার করে। ফলে এক বা একাধিক অঙ্গ বিকল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। প্রধানত অঙ্গ বিকল হয়েই মৃত্যু হয় কুশ মাদকে আসক্ত ব্যক্তির।
এই কুশের দাম বেশ কম। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, মাত্র ৮০০ টাকার মাদক কিনে বেশ কয়েক জন নেশা করেন। তবে যে দেশের বার্ষিক আয় মাত্র ৪২ হাজার টাকা, সে দেশের মানুষের কাছে কুশ এক বিলাসিতা। কিন্তু নেশার টানে সেই বিলাসিতার জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার যুবক।
মন্তব্য করুন
১১ দিনের সরকারি সফরে আজ মঙ্গলবার
(১৫ অক্টোবর) ঢাকা ছেড়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান । এ সময় তিনি
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফর করবেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)-এর
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
সফরকালে তিনি জাতিসংঘ সদর দফতর, যুক্তরাষ্ট্র
ও কানাডার উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে অংশ নেবেন ও পারস্পারিক
সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করবেন।
বৈঠকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন সংক্রান্ত
বিষয়ে আলোচনা, সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং ভবিষ্যত
কর্মপন্থা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা করা হবে।
আইএসপিআর জানায়, সেনা প্রধান আগামী
২৫ অক্টোবর দেশে ফিরবেন।
মন্তব্য করুন
চিকিৎসকরা যা পারলেন না, করে দেখিয়ে দিলেন একজন মা। এ যেন মাতৃশক্তির জয় । ৫ বছর কোমায় থাকার পর মায়ের মুখে কৌতুক শুনেই জেগে উঠলেন এক মার্কিন নারী।
জেনিফার ফ্লিওয়েলেন ২০১৭ সালে একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন । আর এরপরই কোমায় চলে যান। কিন্তু মেয়ের নিস্পন্দ শরীরটাকে আগলে রাখতেন মা পেগি মিন্স। মেয়েকে পিরে পাওয়ার প্রত্যাশায় প্রতিদিন আসতেন হাসপাতালে মা, মেয়ের সঙ্গে কথা বলতেন, হাসির-মজার নানা গল্প বলতেন, কৌতুকও শোনাতেন। হঠাৎ একদিন ঘটল মিরাকল’। কাঁপুনি দিয়ে জেগে উঠলেন মেয়ে। মুখভর্তি একগাল হাসি।
৬০ বছরের পেগি জানিয়েছেন, ২০২২ সালের ২৫ আগস্টের সেই অবিস্মরণীয় দিনটির কথা। ওইদিনই কোমা-মুক্ত হন জেনিফার। সম্প্রতি এতবছর পর ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে ।
মার কথায় জানা যায়, যখন সে জেগে উঠল, আমি প্রথমে রীতিমতো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। কারণ সে হাসছিল। এতদিন ধরে তাকে হাসপাতালে দেখছি। কখনও আগে এরকম হাসতে দেখিনি। ওর শরীরে কাঁপুনি দিচ্ছিল। কথা বলতে পারছিল না, তবে মাথা নাড়ছিল। তবে এটা সত্যি, তাকে জেগে উঠতে দেখে বুঝেছি, আমার স্বপ্ন সত্যি হল। সেদিন নিজেকে বললাম, আমার স্বপ্ন সত্যি হল। এতদিন যে দরজা আমাদের দুইজনকে আলাদা করে রেখেছিল, তা যেন হঠাৎই খুলে গেল। আবার আমরা এক হয়ে গেলাম।
তবে কোমা মুক্ত হলেও এখনো পুরোপুরি সুস্থ হননি জেনিফার। এখনও ঠিক করে কথা বলতে পারেন না তিনি, নড়াচড়া করতেও সমস্যা হয়। জেনিফারের চিকিৎসার খরচ জোগাতে সমাজমাধ্যমে একটি ‘গো-ফান্ড-মি’নামে পেজও খোলা হয়েছে। গোটা ঘটনায় বিস্মিত মিশিগানের মেরি ফ্রি বেড রিহ্যাবিলিটেশন হাসপাতালের ডাক্তার র্যালফ ওয়াং।
ডাক্তার বলেন, এটি অলৌকিক ঘটনা, শুধু কোমা থেকে জেগে ওঠাই নয়, জেনিফার সুস্থতার দিকেও এগোচ্ছে। মাত্র ১ থেকে ২ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রেই এমনটা দেখা যায়।
এদিকে, মায়ের ফিরে আসায় উচ্ছ্বসিত পুত্র জুলিয়ান। সম্প্রতি তার ফুটবল ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন জেনিফার। জুলিয়ান জানিয়েছেন, মা আমার সবচেয়ে বড় সমর্থক। দর্শকাসনে তাকে ফিরে পাওয়ার অনুভূতি বলে বোঝানো সম্ভব নয়।
সূত্র: এনডিটিভি
মন্তব্য করুন